জীবন থেকে নেয়া

তানবীরা এর ছবি
লিখেছেন তানবীরা (তারিখ: শুক্র, ১৪/১১/২০০৮ - ৪:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জীবন থেকে নেয়া

গল্প বলার অনুশীলন

বহুদিন ধরেই নানা কারনে লেখালেখি একদম শিকেয় তুলে রাখা। সময় তার প্রধান ফ্যাক্টর। তবে মোটামুটি প্রতিদিন মনে মনে একটা ব্লগ লিখি আর মুছি। আবার কোন কিছু নিয়ে মেজাজটা খাট্টা হলে লেখা চলে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে। আর দৈনন্দিন জীবনে মেজাজ খাট্টা হওয়ার মতো উপাদানেরতো আর খামতি নেই।
অনেকেই তাদের জীবনের প্রতি নিয়ত ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে ডায়রীর মতো সচলায়তনের পাতায় বন্দী করে রাখছেন। আমি ভাবছি আমারও কিছু স্মৃতি থাকুক সেভাবে। যদিও হয়তো আমার এ সমস্ত লেখায় এই পৃথিবীর কারো কিছুই আসবে যাবে না কিন্তু আমার জন্য এগুলো এক একটা সময় আমার জীবনের আনন্দ বেদনার অংশ জুড়ে রয়েছ, অনেক গুরুত্ব বহন করে এবং করেছে, করবেও সারা জীবন ধরে। আমার জীবনের একটা বিরাট অংশ জুড়ে আছে আমার মেয়ে। তার জন্য কিছু লেখা থাকুক সচলায়তনে বন্দী। কোনদিন যদি মেয়ে সেভাবে বাংলা পড়তে শিখে, এসে সচলায়তনে ঢু দিবে মায়ের জার্নাল পড়তে। মায়ের কম্পিউটার করার সময়টা তার খুব পছন্দ কারন সে সময়ে সে অবাধ দুষ্টুমী করতে পারে। মা আর মেয়েতে আমাদের কি রকম জীবন ছিল জেনে নিবে সেটা সে এখান থেকেই।

ছেলে মেয়ে মানুষ করা যে একটা বিশাল দ্বায়িত্বের ব্যাপার সেটা টের পাওয়া যায় মেয়েকে খাওয়াতে বসলে আর ঘুম পাড়াতে নিয়ে গেলে। খাওয়াটা যদিও আমিই সারাই কিন্তু রোজ আমার আর কন্যার বাবার মধ্যে কে মেয়েকে ঘুম পাড়াতে নিয়ে যাবে সেটা নিয়ে রশি টানাটানি খেলা চলে। উনি আমার ঘাড়ে আমি তিনার ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার একটা প্রানান্ত লড়াই চালাই। শেষ পর্যন্ত যিনি পরাজয় বরন করেন তিনিই সেদিনের মতো ব্যাজার মুখ করে মেয়েকে নিয়ে উপড়ে যান। মেয়েকে ঘুম পাড়ানো সহজ কোন কাজতো নয়। তার সমস্ত আগডুম বাগডুম প্রশ্নের সুষ্ঠ এবং তুষ্ঠ জবাব দেয়া চাই। গল্প বলো, পিঠ চুলকে দাও, পানি দাও ইত্যাদি প্রভৃতি করে তারপর উনাকে নিদ্রা দেবীর কাছে জমা দাও। এই সমস্ত করতে করতে এক ঘন্টার উপড় কাবার হয়ে যায়। মেয়ে নিজে ঘুমানোর চেয়ে উনি ঘুমালে আমি না উনাকে ফেলে নীচে চলে আসি তা পাহারা দিতে ব্যস্ত থাকে। শীতের রাতে আটটায় একবার গরম বিছানায় ঢুকলে কার আবার সেই ওম ফেলে নটায় নীচে নামতে ইচ্ছে করে পড়ে থাকা কাজ গুলো করার জন্য। শরীরে আলসী এসে ভর করে এক মন ওজনের শরীর তখন তিনমন মনে হতে থাকে। মেয়েটা অবশ্য বাপের ধারা পেয়েছ, ডিপ্ল্যোমেটিক পাজী। বাপের সাথেই ঘুমানো তার পছন্দ, বাপের কানে ধরে যেদিক ইচ্ছে ঘুরানো যায় কিন্তু মুখে স্বীকার করবে না। আর তিনার কথা কি বলব?
পৃথিবীর সব বাবাদের মতো তিনিও নিজের কন্যা বলতে অজ্ঞান। পরের মেয়ের প্রতি যে ছেলেই যতো কঠিন হোক, নিজের মেয়ের বেলায় তিনিই ততোটা মোম। পরের মেয়ে যেটা করলে বাজে খরচা নিজের মেয়ের আবার সেটা না হলে চলে নাকি?

যাহোক আমার ঘাড়ে যেদিন ঘুম পাড়ানোর দ্বায়িত্ব পড়ে অতিশয় খাট্টা মুখে আমি উপড়ে যাই। আগেই ঘোষনা দেই স্টোরি বুক থেকে রিড আউট করতে পারবো না। মুখে মুখে গল্প বলব আর তুমি তাড়াতাড়ি ঘুমাবে নইলে “সিধা” করে ফেলবো। মেয়ে কেদে উঠে না আম্মি আমাকে “সিধা” করবে না। “সিধা” যে কি সেও জানে না আমিও জানি না তবে আমার ধারনা আমরা প্রতিনিয়ত সিধা অবশ্যই হচ্ছি। তো গল্পতো বলব কিন্তু বলব কোনটা? ঠিক আছে শুরু করলাম এক ছিল টোনা আর একছিল টুনী। গল্প বলতে যেয়ে খেয়াল করলাম হায় আল্লাহ গল্পতো কিছু মনে নাই, মনে আছে শুধু ষ্টোরী লাইন। টোনা বলল ওরে টুনী পিঠা কর। টোনা চাল আনিল, ডাল আনিল, তেল আনিল, গুড় আনিল টুনী পিঠা বানাইল, খাইল গল্প শেষ। এই দিয়াতো ঘুম দূরের কথা মেয়ের হাইও আসবে না। যদিও এই গল্পটা বলতে বলতে আমি সিরিয়াস কিছুও ভাবলাম। ভাবলাম আগের দিনে কি খিচুড়ী টাইপের পিঠা হতো কি না, গুড় বাদ দিলে বাকী সবতো খিচুড়ী রাধতে লাগে। আমি আবার পিঠা বিশেষজ্ঞ তাই এই রকমই ভাবি। টোনা বাদ দিয়ে গেলাম সুয়োরানী দুয়োরানীতে সেইখানেও একই অবস্থা। রাজার দুই বউ ছিল একটা ভালো একটা খারাপ। একদিন রাজার কাছে সব ষড়যন্ত্র ফাস হইয়া গেলো, রাজা শয়তান বউকে বিদায় দিল, ভালোটাকে নিয়ে সুখে সংসার করল এর বেশী মনে নাই। পান্তাবুড়ী, ডালিম কুমার, রাক্ষস খোক্কস সহ সমস্ত গল্পেরই এই দশা। তারচেয়ে বড় দশা মেয়ে নানা কিসিমের লজিক্যাল প্রশ্ন করতে থাকে, সেগুলোর উত্তর দিতে গেলে এদিকে বজ্র আটুনী ফোস্কা গিরোর গল্প যায় ছুইট্টা। তখন ইয়া হাবিবি বইল্যা নিজেই ষ্টোরী লাইনের উপড় ঝাপাইয়া পড়লাম।

আজকে টোনাটুনীর গল্প বলব।
টোনা - টুনী কি আম্মি?
টোনা আর টুনী হলো ছোট দুটো পাখী। টোনা হলো ছেলে আর টুনী মেয়ে পাখি। টোনা স্কুলে টিফিন খায়নি,
সন্ধ্যাবেলা ওর খুউউউব ক্ষিদে পেলো। টুনীকে বলল টুনী পিঠে করো।
টোনা কি দুষ্ট আম্মি? ও কেনো টিফিন খায়নি? ট্যারা চোখে তাকিয়ে মেপে নেয় আবার উনাকে মীন করছি নাতো?
দেই ধমক, এত্তো কথা বললেতো গল্প হবে না। নিজে নিজে ঘুমাও যাও।
না আম্মি প্লীজ, প্লীজ আম্মি আর কথা বলব না।
টোনা বলে ওরে টুনী পিঠা কর।
পিঠা কি আম্মি?
লে হালুয়া, পিঠা কি? পিঠা হলো একটা খাবার অনেকটা ওলিবল আর আপেল ফ্লাপের মতো খেতে। তো টোনা টুনীতো অনেক গরীব ওদের ঘরে পিঠা বানানোর মতো কিছু ছিল না। তাই টুনী বলল যাও আগে কাজে যাও, কাজ করে পয়সা আনো সেটা নিয়ে আলবার্টাইনে যাও বাজার করো তারপর রান্না।
ওদেরও আলবার্টাইন আছে ???
আবার কথা ???
সরি সরি আম্মি
খিদে পেটে টোনা এখন কাদতে কাদতে কাজে গেলো। ওর খুব মন খারাপ হলো। মন খারাপের সময় ও গান ধরলো। আমি আমার হেরে গলাটা যত্তোটা সম্ভব মিহি করে গান ধরি ......জীনে ক্যা হ্যায় চারদিন, বাকী হ্যায় বেকার দিন, জায়ে জায়ে, জায়ে জায়ে, একবার যো জায়ে জওয়ানী, ফির না আয়ে, হ্যা হ্যা জওয়ানী ফির না আয়ে...............।

কাজ শেষ করে যখন টাকা নিয়ে টোনা আলবার্টাইনে যাচ্ছিল, অনেক অন্ধকার হয়ে গেছিল তখন, কয়েকটা গুন্ডে লোক এসে টোনার টাকা গুলো নিয়ে যেতে চাইল।
এ পর্যায়ে এসে উনি একটু ভয় খাবে আমাকে আর একটু ভালো করে জড়িয়ে ধরবে।
তারপর শুরু হলো মারামারি ঢিসুম ঢুসুম ঢিসুম ঢুসুম। অনেক গুলো গুন্ডে আর টোনা একা কিন্তু না খাওয়া টোনার গায়ে এতো শক্তি যে অনেক অনেক মারামারি করে টোনা গুন্ডে লোকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বের হয়ে এলো। কিন্তু ততক্ষনে টোনা রাস্তা হারিয়ে ফেলেছে। রাস্তা হারিয়ে টোনা উড়তে উড়তে সমুদ্রের দিকে চলে গেলো আর কাদতে লাগল। টোনা মনের দুঃখে গান গাইছে আর ঊড়ছে , গান গাইছে আর উড়ছে......... আবার শুরু করি নাকি গলায় তু হি রে, তু হি রে, তেরে বিনা ম্যায় ক্যায়সে জিও, ওদিকে টুনীও অনেকক্ষন টোনার জন্য অপেক্ষা করে থেকে থেকে বেরিয়েছে টোনাকে খুজতে। টুনীও গান ধরেছে, আজারে আজারে ইউনা তরপা তু মুঝকো, জানরে জানরে ...............। গান গাইতে গাইতে টোনা - টুনী দুজন দুজন খুজে পেলো। তারপর তারা বাড়ী এসে মনের সুখে একসাথে পিঠা বানিয়ে খেলো।
হুমম, আম্মি আর একটা বলো আর একটা বলো প্লীজ
এইটাই কিন্তু শেষ, এখন যদি না ঘুমাও..................

(যদি কেউ আরো শুনতে চায় তাহলে চলবে)

উৎসর্গ

জীবন থেকে নেয়া সিরিজের সর্বপ্রথম পর্বটি আমি আমার প্রানের চেয়েও অনেক বেশী প্রিয় ছোট তিনবোনের জন্য লিখলাম। যদি কোন জাদুর ছোয়ায় ওরা কখনো বুঝতে পারে ওরা আমার হৃদয়ের কতোখানি জুড়ে আছে। যাদের মমতা মাখা স্পর্শে, মেইলে আমার শুকনো প্রবাস জীবনটা রসময় হয়ে থাকে। দূরে থেকেও মনে হয় দূরে না খুব কাছেই আছি, দারোয়ান কোন বুয়ার সাথে কারেন্টলী প্রেম করছে, পাড়ার কোথায় কে কি করছে, কার ফ্যাশনের কি বাহার হলো সব আমি প্রতিনিয়ত আপডেট পেয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ নামটা মনে হলেই মনে হয় শুধু যানজট, ছিনতাই, মিনারেল ওয়াটার প্রবলেম, মেলামাইন মিশানো গুড়ো দুধ নয়, দু হাত বাড়িয়ে, পরম মমতায় বুকের ভিতর জড়িয়ে রাখার জন্য সেখানে কেউ কেউ রয়ে গেছে, যারা আমার জন্য নতুন একটা জামা তুলে রেখেছে, এটা সুন্দর, আমায় ভালো মানাবে কিংবা এধরনের মোটিফ আমার পছন্দ,
আচারটা আমি ভালোবাসি, সিডিটা আমায় দিবে তাই ইনট্যাক্ট রেখে দিয়েছে, খুলেও শোনেনি, আমি এলেই শুনবে। তারা অবশ্য হুমায়ূন আহমেদ, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সেবা প্রকাশনীর বইয়ের বাইরে তেমন কিছু পড়তে চায় না কিন্তু নেহাৎ বড় বোনের মনে দুঃখ দিতে পারে না বলে মাঝে মাঝে সচলে এসে ঢোকে, শুধু নিজেরাই ঢোকে না, মাঝে মাঝে বাবা - মাকেও সচলে ধরে নিয়ে এসে পড়ায়, তাদের কিছুটা পাগল এই বোনটা কিসব এখানে লিখে রেখেছে।

যারা মেয়েকে ঘুম পাড়ানোর সময় আমার পাশে এসে শুয়ে পড়তো স্রেফ আমার গল্প শোনার লোভে। আমি গানে টান দেওয়া মাত্র ধুপ করে কিছু নীচে পড়ার শব্দ হয়, তারপর আমি দেখি বিছানা খালি, মশারী তুলে বাইরের উচু উচু দালান থেকে, রাতজাগা কারো রুমের জানালার পর্দা ভেদ করে আমাদের ঘরে এসে পড়া ক্ষীন আলোতে দেখি মুখে কাথা ঠেসে ধরে তারা মেঝের মাঝে গড়াগড়ি যান। আমার কন্যা অবশ্য এই এপিসোডের মানে বুঝে না। শুধু জিজ্ঞেস করে, কিসের শব্দ হলো আম্মি, কি হলো? কি হলো? ওরা কি পড়ে গেলো? সিন্ডারেলা কিংবা সাত ভাই চম্পা আমার কাছে মডারেটেড হয়ে কোন দিকে টার্ন নেয় এটা শোনাই ওদের লোভ। রাতে আমি কি গল্প মেয়েকে শুনিয়েছি সেটা সকালে নাস্তার টেবিলে বাবা - মা - ভাইয়াকে বলে উনারা নিজেরা হেসে গড়াগড়ি যান। একটা পাচ বাই সাত ফুটের খাটে আমরা চার বোন আমাদের দুই আন্ডা বাচ্চা নিয়ে কিভাবে জায়গা হই সেই প্রশ্ন আমাকে কেউ করেন না কারন উত্তর আমি জানি না। মাঝে মাঝে তাগড়া রিক্সাওয়ালা পেলে বেশী ভাড়ার লোভ দিয়ে এক রিক্সায়ও জায়গা হই আর সারা রাস্তা ছেলেদেরকে উলটা টীজ করতে করতে যাই, আমাদেরকে দেখে টীজ করার আগেই আত্মরক্ষা মূলকভাবে।

তানবীরা
১৪.১১.২০০৮


মন্তব্য

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই রে... ধূগো না আবার আপনার জামাইয়ের শালীদের খোঁজ শুরু করে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তানবীরা এর ছবি

দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

অনেকদিন পরে...

অবশ্যই শুনতে চাই। চলুক...

তানবীরা এর ছবি

হুমম, তুমি বোধ হয় অনেকদিন পরেই আমার লেখা পড়ছ।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

হ্যাঁ, মাঝে দীর্ঘ বিরতি গেলো...

নিঝুম এর ছবি

মেঘলার জন্য ভালোবাসা রইল । বাচ্চারা মনে হয় বরাবরি অনেক কৌতূহলী হয় । জানতে চায় ।
লেখাটা বেশ লাগলো । মা গল্প বলে ঘুম পাড়ানোর সময় আমি যা যা করতাম, তাই চোখের সামনে ভেসে উঠল...
--------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

তানবীরা এর ছবি

মামার জন্যও রইল মেঘলার অনেক ভালবাসা। আসছো কবে তুমি ?

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আপু খুবি মজা লাগল, আমি হাসতে হাসতে শেষ সব পড়ে হিহিহিহি হো হো হো
বাবাদের কাছে মনেহয় সব মেয়েরাই এমন আদুরে হয় হাসি আপনার মেয়েটা এত্ত কিউট কিভাবে যে আপনি ধমকদেন হিহিহি। 'সিধা' শুনে আমি হাসতে হাসতে শেষ আর গল্পের কথা কি বলব, টোনা-টুনির হিন্দি মুভি ভারসন আমি একদম কল্পনা করছিলাম হিহিহিহি। এত পর্বের আমি এখন থেকে রেগুলার পাঠক দেঁতো হাসি
পি:এস: আপু আপনার ডিমান্ড এখন এক্সপোনেনসিয়েলি হাই হবে চোখ টিপি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

তানবীরা এর ছবি

"সিধা" শুধু!!! এবার দেশে যেয়ে শিখে এসেছে "তক্তা"। ধামাধাম বলে " মেরে তক্তা করে দিব"।

চোখ টিপের মানে বুঝলাম না, "সিধা" কইরা কও।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অতিথি লেখক এর ছবি

(যদি কেউ আরো শুনতে চায় তাহলে চলবে)....................... এইটা কোন কথা হল নাকি ? চলবে মানে ? অবশ্যই চলবে ।
নিবিড়

তানবীরা এর ছবি

চিন্তিত চিন্তিত চিন্তিত

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা। গল্পগুলোর সব কি অবস্থা বানাইসেন! হাসতে হাসতে শেষ আমি! দেঁতো হাসি
আর হিন্দী গান যেভাবে গল্পে ঢুকাইসেন... হো হো হো

মনে হলো যেন পাশে বসে গল্প শোনাইলেন! অদ্ভুত সুন্দর লাগলো লেখা। চলবে মানে! অতি অবশ্যই চলবে! তবে আর যাই করেন, সিরিজ-খেলাপী হইয়েন না! হাসি
তা না হলে কিন্তু আপনার মেয়েকে দিয়ে আপনাকে সিধা করা হবে চোখ টিপি

তানবীরা এর ছবি

বুড়া বয়সে আর কি সিধা হবো? তবে খেলাপী না হওয়ারতো কারন দেখি না, দাদারেও হইতে দেখছি, বাপেরেও হইতে দেখছি আর সারা দেশের মামা - চাচাদেরতো হইতে হরদম দেখছিই, জাতীর এই পরম্পরাতো আমি ভাংগতে পারি না প্রহরী, আফটার অল দেশ ও জাতীর প্রতি আমার একটা দ্বায়িত্ব আছে না? চোখ টিপি চোখ টিপি

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ভলিবল তো চিনি, কিন্তু "ওলিবল" কী স্বাতী আপা?

আমার মামাতো বোন ও যখন পিচকু ভাগনাকে খাওয়াতো বছর দশেক আগে, আমিও ঐরকম হেসে কুটিকুটি হতাম। গল্পে ডাইভারশন দেখার জন্যই ভাগনার খাওয়ার সময়টায় ঐদিকে অবস্থান নিতাম। হাসি

মাঝে মাঝে অবশ্য আমাকেও তার গল্পের ক্যারেক্টার হয়ে যেতে হতো! কিন্তু আল্লায় বাঁচাইছে তারে গল্পের মধ্যে হীরামন স্টাইলে গান ঢুকাইতে হয় নাই। দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তানবীরা এর ছবি

ওলিবল হলো আমাদের দেশের তেলের পিঠার মতো ওলন্দাজ পিঠা। ৩১শে ডিসেম্বরে ওরা এটা খাবেই। সাথে আইসিং সুগার খায়। তুমি নিশ্চয়ই জার্মানীতে খেয়েছো। ডাচে তেল কে ওলি বলে, নামেও মিল আছে ওরা বলে ওলিবল, আমরা বলি তেলের পিঠা। আমাদের যেমন নতুন বছরের শুরুতে থাকে কদমা - মুরালী, ওদের ওলিবল - আপেলফ্লাপ।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

ধুসর গোধূলি এর ছবি
তানবীরা এর ছবি

কাইন্দো না, এন্ডহোভেন এসো, খাইয়ে দিবো নে।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

রণদীপম বসু এর ছবি

হুঁম... !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

তানবীরা এর ছবি

চিন্তিত

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

ভালো লেগেছে, আরো আসুক মনের কথা
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

তানবীরা এর ছবি

দাদা ধন্যবাদ।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

দুর্দান্ত এর ছবি

চলুক।

তানবীরা এর ছবি

চাল্লু চাল্লু

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

পুতুল এর ছবি

কামনা করি মেয়ে যেন একদিন বাংলায় পড়তে লিখতে শেখে!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

তানবীরা এর ছবি

ধন্যবাদ পুতুল ভাই। আমিও এই আশা রাখছি।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হা হা হা
খুবই মজা পেলাম আপনার মডারেটেড গল্প শুনে। মাঝে মাঝে হিন্দি গানে ভরপুর পুরোদস্তুর ঝাকানাকা মুভির মতো। দেঁতো হাসি
আপনার মেয়ের সাথে আমরাও বসলাম।
আরো আসতে থাকুক।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

তানবীরা এর ছবি

চাল্লু চাল্লু

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

মুস্তাফিজ এর ছবি

ভালো লাগলো, চলতে থাকুক

...........................
Every Picture Tells a Story

তানবীরা এর ছবি

ভালো লাগলে নিশচয়ই চলবে।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অম্লান অভি এর ছবি

একটু গল্প দিয়েই গল্পকে বরণ করি। গতকাল বিকালে আপনার লেখাটায় চোখ গেল। কিন্তু তখন বাহিরে যাব। কি করা কাট কপি'র মোক্ষম সুযোগ হাত ছাড়া করলাম না। কপি করে পেষ্ট করলাম ওয়াডে। তারপর আজ সকালে যখন নেট কানেকশন হচ্ছিল না তখন গতকালে জমিয়ে রাখা খাদ্য গুলোর জাবরকাটতেই প্রথমে আপনারটারে টানলাম। পড়লাম আর তারপর নেট কানেটেড। (বুঝেনই তো এই সেই দেশ যেখানে প্রযুক্তি আসে ফেলে দেয়া ভাঙ্গা জানালার হাত ধরে, তাই বিড়ম্বনা শিরধার্য্য)।
আজ সচলায়তনে ঢুকতেই নতুন করে আবিষ্কার করলাম উৎস্বর্গ। তাই ভুলে গেলাম অন্য যা মনেছিল। মমতায় বন্দি হলাম। নিজের স্মৃতিচারণ করলাম আর আপনার মমতা গ্রহীদের দীর্ঘ্য প্রাপ্তির প্রত্যাশায় সৃষ্টিকর্তার স্মরণ নিলাম। একজন স্নেহাতুর বোনহারা ভাই মমতায় সিক্ত হলাম।
****গল্পে কমেন্টস আজ থাক। আপনার গল্প চলুক। আপনি দীর্ঘ্যায়ু হন আপনার কন্যার জন্য তার চেয়েও বেশী আপনার সেই ভগ্নি হৃদয়ের ভালোবাসায় তাদের সিক্ত করার জন্য।

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

তানবীরা এর ছবি

বোনহারা ভাই হবেন কেন? আমরা সবাইতো আছি।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

নন্দিনী  এর ছবি

অনেক দিন পর তোমার লেখা পেলাম । ভাবছিলাম লিখছো না কেন । খুব মজা করে পড়েছি মেঘলার 'রোদ' কাহিনী ঃ-) নিজের বাচ্চাদের নিয়ে অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেলো সেই সাথে ।
ভালো থেকো মা মেয়ে দুজন আর ভালো থাকুক সেই সব জনেরা - যারা এই মা-মেয়েকে সর্বক্ষণ ঘিরে থাকে।

নন্দিনী

তানবীরা এর ছবি

আপু, এমন কোন ঝামেলা নাই পৃথিবীতে যা এতোদিন আমার উপড় দিয়ে গেলো না।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সুমন সুপান্থ এর ছবি

বাংলাদেশ নামটা মনে হলেই মনে হয় শুধু যানজট, ছিনতাই নয়, দু হাত বাড়িয়ে, পরম মমতায় বুকের ভিতর জড়িয়ে রাখার জন্য সেখানে কেউ কেউ রয়ে গেছে

এখানটাতে এসে গলার কাছে আটকে রইলো ব্যাথা ! চোখের পাতায় কমদামি জল !!
দারুন লেখা তানবীরা । কুর্ণিশ নেবেন ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

তানবীরা এর ছবি

আমি কিছুতেই আপনার কুর্নিশ নিতে পারি না, আপনার ভাষার কাছে আমি কোথাও দাড়াই না। আপনিই আমার অনেক শুভকামনা জানবেন যেনো আপনার কলম ঠিক এইভাবেই চলে।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

চলুক চলুক

তানবীরা এর ছবি

আদাব আর সে।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

তুই এত ভাল লিখিস কেমনে ?

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

তানবীরা এর ছবি

যা ব্বে ।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

দময়ন্তী এর ছবি

ওলে বাবা কি মিত্তি মেয়ে আপনার!

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

তানবীরা এর ছবি

গ্রাসেস আর ওলোয়েজ গ্রীন ওনলি ফ্রম আদার সাইটস ঃ-}

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

swarnali এর ছবি

hahaha... onek din por suyo rani duo ranir golpo tar kotha mone porlo... ro onek mojar mojar ghotona ase to... obosso amra eksathe hole protita diny to notun notun kahini hoy... likhte thako...ato sob jhamelar modhhe arokom ekta lekha porar sujog hole montay bhalo hoye jay. so Continue ...

তানবীরা এর ছবি

আমিতো টোনা – টুনীটা লিখলাম। তুই সুয়োরানী – দুয়োরানীটা লিখে ফ্যাল। তোকে না সেদিন অভ্রের লিঙ্ক দিলাম।

যতোদিন রইবে পদ্মা মেঘনা আর যমুনা ততোদিন বইবে জ্বালা আর যন্ত্রনা। তবে আবার জমবে মেলা হাটখোলা বটতলা ...।।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

Sumy এর ছবি

Nice written and pleasssseeee do continue.

অনামিকা এর ছবি

আপনার মেয়ের জন্য অনেক আদর ও দো'য়া রইল। আমারও একটি মেয়ে আছে । অপেখআ করছি গলপ বলবো কবে ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।