একদিন - প্রতিদিন
সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি
সারাদিন যেনো আমি সময়ের সাথে চলি
কুউ কুউ কুউ শব্দে একটানা বেজে চলেছে ঘড়ির এ্যার্লামটা। সকাল এখন সাড়ে ছটা। বাইরে অন্ধকার। শীতকালে সূর্যের দেখা পাওয়া অমাবস্যায় চাঁদের দেখা পাওয়ার মতো ঘটনা এখানে। তারপরও যেদিন আকাশ দেবতা প্রসন্ন হন, মেঘ দেবীর সাথে খুটোখুটি কম হয় সেদিন আলো রাজকন্যা মুখ ভার করা হাসির মতো একটা আবছা আবছা আলো দিয়ে আমাদের উপড় দিয়ে ভেসে ভেসে যান। যেটা ঠিক রৌদ্র রাজপুত্রের মতো ঝকঝকে কিছু নয় কিন্তু এখন রাত নয় দিন, বেলা দশটা থেকে তিনটে পর্যন্ত এধরনের একটা অনুভূতি আসে মনে। লেপের ওম ছেড়ে বাইরের এই ঠান্ডার মধ্যে বেরোতে কিছুতেই ইচ্ছে করে না। বারবার হাতটা বাড়াতে ইচ্ছে করে ফোনের দিকে, বলে দিতে ইচ্ছে করে অফিসে, আজকে অসুস্থ, আসতে পারছি না। এই রকম হয় আর নয় যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় যায় প্রায় পাচ - সাত মিনিট। এরপর মনটাকে লৌহ দড়িতে কষে বেধে শক্তি সঞ্চয় করে ঝটাক করে লাফ দিয়ে উঠেই পড়ি। আর কোন দিকে না তাকিয়ে ছোটবেলার বেলের শরবত গেলার মতো করে লেপ সরিয়ে সোজা ব্রাশ মুখে গুজে দেই যাতে মন আর এদিক ওদিক না পালাতে পারে। পৌনে সাতটার মধ্যে সারাদিনের যুদ্ধ সাজে সজ্জিত হয়ে যাই। শুরু হয় মেয়েকে টানাটানি। এক একটা মুহূর্ত তখন হীরের টুকরোর মতো মনে হয়, ব্রিলিয়ান্ট নয় পুরো পয়েন্ট ফাইভ থেকে শুরু হওয়া হীরে।
এই শীতে মেয়েও জমে থাকে। কোনদিকে নড়তে চায় না কিছুতেই না। জোর করে ধরে ব্রাশ করিয়ে কাপড় পড়িয়ে কোল বালিশের মতো নীচে এনে ফেলি। ঘড়ি কিছুতেই বাগ মানে না। সাড়ে সাতটার ঘরের দিকে যেতেই থাকে। চ্যাঁচাতে থাকি জুতো পড়, জুতো পড় কিংবা নাস্তাটা মুখে দে, মুখে দে। কিন্তু মেয়ে জড়ভড়ত হয়ে সোফার এক কোনে মাথা আর মুখ দুটোই সমানে গুজে বসে থাকবেই থাকবে। নট নড়নটি চড়নটি। সকাল সকাল চড় কষাতে ইচ্ছে করে না, এভাবে সূর্য ছাড়া বিচ্ছিরি ভোরের, দিনের শুরুটা আরো করুন করে দিতে ইচ্ছে করে না। তাছাড়া সারাটা দিন মেয়েটাকে দেখবো না। কোথায় কোথায় খেলবে , খাবে। মুখে স্যান্ডউইচ অর্ধেকটা গুজে দেই আর অর্ধেকটা দিই হাতে, গাড়িতে খেতে খেতে যাবি বলে টানতে টানতে বের হই। সেই আমায় আটটা বাজিয়ে ছাড়ল। আটটার আগে বেরোতে পারলে রাস্তায় ট্র্যাফিক কম থাকে সময় মতো পৌঁছনো যায়। শুরু হলো আমার সময়ের সাথে সারাদিনের যুদ্ধ, মানসিক চাপ। রাস্তায় দেখা গেলো আজকে প্রতিটি লাইট আমার ক্রসের সময় লাল হয়ে আছে। একটা আর্শ্চয ব্যাপার প্রায়ই হয়, প্রথম লাইটটা লাল পেলাম মানে সবগুলো লাইট লাল। বাসা থেকে ডে কেয়ার স্বাভাবিকভাবে দশ মিনিটের রাস্তা হলেও আজ ট্র্যাফিক ঠেঙ্গিয়ে, লাল বাতি ঠেঙ্গিয়ে পৌঁছতে পৌঁছতে প্রায় বিশ মিনিট। ডে কেয়ারের ফুলবানুরা সবাই মিলে দেখা যাবে কফি রুমেই তখনো আড্ডা দিচ্ছেন, কেউ করিডোরের লাইটটাও অন করার কষ্টানুভব করেননি। আমি করিডোরের লাইট অন করে এ্যাটেনডেন্টস ডেকে দিয়ে যখন বেড়োতে যাবো তখন মেয়ে ঝাপিয়ে পড়বে মাকে বিদায়ী আদর জানাতে। যতক্ষন না টেনে সরাবো ততক্ষন ম্যারাথন আদর আর শেষ হবে না। যতোই সারা সকাল ধৈর্য্য ধরলাম পরিনতি শেষে সেই মুখ কালাকালিতেই পর্যবেসিত হলো। আমি জানি আমি আজকের মতো অলরেডী লেট লতিফা খাতুন। তবুও দুর্বার বেগে গাড়ি আর সময়ের সাথে একটা কোস্তাকুস্তী দিয়ে যাই।
পার্কিং ফুল। ঢুকতে ঢুকতে লট শেষ করে তখন প্রায় পাশের লনে পার্ক করো। সেখান থেকে ছুটতে ছুটতে কার্ড বের করো আর ঘড়ির পাশে যাও কার্ড পাঞ্চ করতে, “হাজির স্যার”। করিডোর দিয়ে যেতে যেতে অসম্ভব ক্লান্ত লাগে, ভেন্ডিং মেশিনের দিকে আগাই এক কাপ ধূমায়িত কালো চা কিংবা কালো কফি যা শরীরকে তাজা না করুক অন্তত সারাদিন চড়ে বেড়ানোর শক্তিটুকু যোগাতে সাহায্য করবে তার খোজে। কিন্তু সেখানেও দেখা যাবে জনা দশ পনর লোকজনের একখানা জটলা। এখানে অপেক্ষা করা মানে হাই - বাইয়ে আরো দশ মিনিট। গরম পানির সাহায্য ছাড়াই আগানো স্থির করে দৌড় দেই আপন স্থলের দিকে। একপাশে ব্যাগটা ঢিল দেই আর অন্যহাতে ডায়রীটা খুলি। মিটিং সাড়ে আটটায়। লাগাই দৌড় কনফারেন্স হলের দিকে। যেয়ে দেখব সবাই চা কফি নিয়ে বসে যার যার মতো খোশ গল্প করছে। প্রজেক্টার রেডী স্লাইড শো শুরু হবে হবে দশা। সবার এ্যাটেনডেন্টস সই হয়ে লিষ্টটা শুধু আমার সম্ভাব্য চেয়ারের সামনে পড়ে আছে। ক্লান্ত মন আর ব্যাজার মুখ নিয়ে সবার সামনে সবার শেষে সেটাতে নিজের নাম লিখতে লিখতে ভাবি, কি করলাম সারা সকাল? কেনোই বা মেয়েকে কাঁদিয়ে কেনোই বা সবার দেরীতে পৌছলাম?
এভাবেই সময়ের সাথে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় বিকেল চারটা বাজে। শুরু হয় আর এক মানসিক চাপ। পাচটার মধ্যে অফিস থেকে বেরোতে পারবোতো? বেরোনোর ঠিক আগ মুর্হূতে না আবার একটা মেল বা ফোন আসে জরুরী অন লাইন ট্রান্সফার চাই। আমি এখান থেকে পয়সা না পাঠালে ওখান থেকে কন্টেইনার ছাড়বে না, ফাইন হবে, কাষ্টমার ডেমারেজ চাইবে আরো কতো আগড়ম বাগড়ম। টেলিফোনে ওলন্দাজ ভাষার এসব আগড়ম - বাগড়ম আমার কানে ঢুকলেও মাথায় ঢুকে না। মাথা থাকে তখন অন্যদিকে। মাথায় তখন থাকে দেরী হলে মেয়ে কেদে কেটে বাড়ি - ঘর মাথায় করে ফেলবে। দেরীতে বেরোনো মানে আফটার স্কুল এক্টিভিটিজে দেরীতে পৌছনো মেয়েকে নিয়ে। যেটা মেয়ে কিছুতেই সহ্য করতে পারে না, দুনিয়া আমার মাথায় এনে ভেঙ্গে দিতে ফেলতে চায়। এই সব কিছুর পরে শুরু হয় ফাইনাল যুদ্ধ। নটার মধ্যে মেয়েকে দুধ খাইয়ে, গোসল দিয়ে বিছানায় নিয়ে ফেলার লক্ষ্য থাকে আমার। ঠিক তখুনি মেয়ের সারা দিনের গল্প শেষ হয় না, এদিকে দৌড় দেয় সেদিকে যেয়ে লুকোচুরী খেলে। এরমধ্যে বেমক্কা একখানা টেলিফোন আসলো। শুরু হলো কানের কাছে ঘ্যানর ঘ্যানর। বেশীর ভাগই বাচ্চা খায় না কিংবা হাগে না টাইপ গল্প। বাচ্চা খায় না টাইপ একটা সাবজেক্টের উপর মানুষ কি করে একটানা তিরিশ মিনিট কথা বলতে পারে কে জানে? এই সুবর্ন সুযোগ আমার মেয়ে কাজে লাগিয়ে টিভি ছেড়ে বসে আর অসহায় চোখে আমি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখতে দেখতে থাকি টিক টিক শব্দ তুলে নয়টা পনর বেজে বড় কাটা আরো সামনের দিকে পা বাড়াচ্ছে।
ভাবি কি করলে টার্গেটে ঠিক থাকতে পারতাম, কে জানে?
তানবীরা
২০.০৩.০৯
মন্তব্য
আহারে... আপনার অবস্থা দেখে সত্যি কষ্ট লাগলো। আর আমি বা আমরা হইলাম একেবারে বিপরীত। চাকরি বাকরি না করা যে কী আরাম... তা আমার চেয়ে ভালো আর কে জানে? আহ্...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
নজরুল ভাই আপনেরে আমার ঘুষি মারতে ইচ্ছে করে ভাই। এত্তো সুখ ক্যান আপনের জীবনে? আমার সহ্য হয় না। সারাক্ষন সচল হইয়া বইসা থাকেন নাহলে ফেসবুকে রঙিলা স্ট্যাটাস লাগান। সুখই সুখ জীবনে।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
চিমটি!
---
খুব সাবলীল লেখা। এই আকালেও এমন একটি তাজা লেখা পড়তে যে কি ভালো লাগে!!
ক্ষুদে জিনিয়াসের দু-একটা ফটো দিলে আরো ভালো হতো।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আসলেই, তিনি আবার আজকাল পোজ দেয়া শিখেছেন ঃ-}
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
কেউ যদি "বাচ্চা খায় না আহারে আমার বাচ্চাটা কিছু খায় না" বলে বারামাস্যা জোড়ে, সোজা বলে দেবেন বাচ্চাকে দুইজনে মিলে ধরে চিত্ করে ফেলে মুখে খাবার ঠুসে দিতে নয়তো "খাবি না যা তবে খাস না" বলে ছেড়ে দিতে। সোজা হিসাব, আধাঘন্টার মামলা।
আপনার ধারনা তাতে তাদের মুখ বন্ধ হবে? আমারতো মনে হয় তখন শুরু হবে তাদের বাচ্চার ফার্দার কার্যকলাপের গল্প কিন্তু গল্প করে লোককে বিরক্ত করা চলছে চলবেইইই
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
একটা শ্লোক শোনা আছে-'সময় তো আর রয় না বসে চলছে অবিরল......' প্রথম সকালে বসে আপনার দিনমান গল্প 'একান্ত নিজস্ব যন্ত্রণা' পড়ে ফেললাম। ছড়ার লাইন শেষ করে আপনার প্রথম প্যারা কি যে মোহ আবিষ্ট ভাষার কীর্তণ তা 'বাহ' শব্দের দাবীদার। আর তারপর সিড়ি ভাঙ্গা জীবনের সেখানে এসে শেষ, যেখানে আপনি আমাদের দাঁড়া করালেন। বলিয়েরা যেকোন কথাই বলতে পারে এবং আপনার মত 'কাউকে বিরক্ত করলে দুঃখিত' সৌজন্য বোধ ব্যতিরেকে। আপনি হয়তো তাদের একান্ত শ্রোতা তাই মেয়ের গোসল আর ঘুমানোর প্রাক কালে তাদের আশ্রয়ে খুজে পায় আপনাকে। এমন যাপিত জীবন তাই বুঝি দুঃখ এসেও থাকে না বেশি ক্ষণ। তাই আজকের ক্লান্ত সময় আর কষ্টের ঘানি টানা কাল আবার শুরু হবে অমিত সম্ভাবনার তাড়া করা সূর্য্য সকাল সাথে নিয়ে। অন্য রকম দিনপঞ্জি'র সুখানুভূতি কড়া নাড়ুক ২১কে সাথে নিয়ে। ধন্যবাদ এলোমেলো সারাবেলা'র জন্য।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
কি জানি? এমনেতো মনে হয় কেউ দেখতে পারে না। সারাক্ষন ব্যাক বাইট। কিন্তু দরকার লাগলে আবার আগে আমাকেই খোজে। সবই তার ইচ্ছা।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
এখনো আরামে আছি বউ বাচ্চা আসেনি বলে, গবেষক ছাত্র (!!) কিনা তাই আরামের জীবন, অনেক সকালে (!!) ৯ টায় ঘুম থেকে উঠা, বেরুতে বেরুতে ১০, অফিসে আসতে আসতে সাড়ে ১০, কফি খেতে খেতে ফেইসবুক, সচলায়তন, মেইলঃ কত্ত কাজ কিনা তাই আসল কাজ শুরু করতে করতে ১১ টা। ১ তা বাজতেই কিন্তু লাঞ্চ করতে হবে সেই সাথে কফি আর খানিকক্ষন আড্ডা না দিলে কি আর চলে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেইত বাড়ি ফিরে আরেক দফা আড্ডা বা রাতের খাবার সেরে কার্ড খেলা। ভাবছি কাজের জন্য সামনে সময়ত আছেই, ওদিকে বউ শোনাচ্ছে আমি আসার আগেই কাজ সব শেষ করে ফেল। আরামের দিন তাই শেষ হয়ে এলো।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আপনাদের ওখানে এখনো শীত! আহা, নেদারল্যান্ড মনে হলেই কি এক কারণে আমার টিউলিপ ফুলের কথা মনে হয়। ছোটবেলায় হয়তো ক্যালেন্ডারের পাতা দেখিয়ে বলেছিল ওটা হল্যান্ড, সেই থেকেই এই অবস্থা।
পিপিদা এখন টিউলিপ সিজন এসে পড়েন।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আমারে না আপনি কালকে তুড়ি মারতে বললেন! আজকে দেখি আপনার মনই খারাপ।
আপনার সাথে আমার পার্থক্য হলো আপনার মাঝে মাঝে মন খারাপ আর আমার হলো মাঝে মাঝে মন ভালো
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
তানবীরা টানা পড়ে ফেললাম। দারুণ লাগলো।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
=============================
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
সুখের কাঁটায় জীবন আটা
বেসামাল ঘড়ির কাঁটা।
বোঝা বওয়া ক্লান্ত পথিক
কি খোঁজ দিগ্বিদিক?
আপনার তাই মনে হলো? রোজকার এই মানসিক চাপের মধ্যে অনেক সুখ লুকানো থাকে? কি জানি? আমার অনুভূত হয় না।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
হাহাহাহা এখন ঐ ভাবী যদি এই লেখা পড়ে ফেলে তাইলে ?
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
পড়লে আমি জানে বাচব বোরিং ফোনের হাত থেকে
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
এইসময় কোন ফোন ধরেন কেন?! আমি কলার আইডিতে সেরকম কারো নাম্বার না দেখলে ধরিই না, ধরলেও একইসাথে ঝাড়ি এবং তাড়া লাগাই !
আর, ইয়ে পুরো লেখাটায় মেয়ের বাবাখানা কী ভূমিকা পালন করেন ঠিক স্পষ্ট নয় - তিনি কী যুদ্ধে অংশ নেন না?
আপনার দুঃখ কমিয়ে দিতে পারতাম - আমার রাস্তায় যতখানি সময় ব্যয় হয় সেটা বললে, কিংবা আমার মা-মেয়ে যুদ্ধের বিবরণ দিলেই আপনি আনন্দে দাঁত বের করে হাসতে থাকতেন - কিন্তু, আমি অত ভালু নই তো, কাজেই .....
স্নিগ্ধাপু, আমার মেয়ের বাবার অস্তিত্ব হলো আমাদের জীবনে ভগবানের অস্তিত্বের মতো, অনুভব করবেন তিনি আছে কোথাও, কিন্তু কাজের সময় তাকে পাশে পাবেন না। কিন্তু বিশ্বাস রাখবেন তার দ্বারা কোন উপকার ইহ বা পরকালে সম্ভব।
আমাকে এতোটাই সিঙ্গেল মাদারের মতো চলতে হয় যে এক ছেলে আমাকে সিঙ্গেল মাদার ভেবে বিয়ের প্রস্তাব করে ফেলেছিলো।
এবার বলি মেয়ের বাবার ভুমিকা। আমি যদি শেখ হাসিনা আর যুদ্ধক্ষেত্র যদি পিলখানা হয় তাহলে মেয়ের বাবা হলেন, খালেদা জিয়া। নিরাপদ দূরত্বে থেকে পিত্তি জ্বালানো মহান বানী দিবেন যাতে আমার মাথার রক্ত সঞ্চালন আরো বেড়ে যাবে।
দুধ খাওয়ার তাড়া দিলে উনি মেয়ের পক্ষ নিয়ে বলবেন, তাড়া করে খাওয়ানো অস্বাস্থ্যকর। উপড়ের ফোনে কলার আইডি নেই তারপরও অনেক সময় আমি ফোন ধরি না, তাহলে উনি নীচের থেকে ফোন ধরে আমাকে উপড়ে ডেকে দিবেন, তোমার ফোন। উনি দেশ আর জাতির উপর মহান কর্তব্য পালন করেন বিবিসি পড়েন, শুনেন, প্রথম আলো থেকে শুরু করে নয়া দিগন্ত পড়ে রোজ দেশের আর বিশ্বের খবর রাখেন।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
খাইছে রে, এ তো আমার মতো কেস। ভালো লাগলো তোমার প্রাতঃলিপি
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
হা হা হা
আপনার কথাবার্তা আর কান্ডকীর্তি দেখে আমার মায়া-মাখা মজা লাগছে, স্বাতী আপা।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কলিকালে মানুষ কিসে মজা না পায়
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আমার বউকে এইটা দেখাতে হবে, তাইলে বুঝবে আমি কত্তো ভালো বাবা!
ঠিক আছে, আমি একটু ক্রেডিট নেন। কি করেন আপনি ভালো বাবা হিসেবে? ন্যাপী পরিস্কার
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
এই রুদ্ধশ্বাস কাহিনী পড়ে অবধি চুপ হয়ে ছিলাম কিছুক্ষ্ণ । এত কিছুর পরেও এই টাগ অফ ওয়্যারের নিদারুণ যন্ত্রণাটি আপনি শেয়ার করতে পেরেছেন । কিন্তু এও তো ঠিক এর চেয়েও হয়তো আরো করুণ অবস্থা অন্য আরো কারোর। সে যন্তণা তিনি ভাগ করতেও পারছেন না।
কাহিনীটিতে অনেকাংশ জুড়ে রয়েছে বিযুক্তি (য়্যালিনিয়েশন) । রৌদ্রহীন দিন । কাজে না যাবার ইচ্ছে। একটানা সময়ে ও গতিতে কাজে পৌছতে না পারা । ডে কেয়ারে পৌছে মেয়ের মাকে ছেড়ে দিতে না চাওয়া । গাড়ী পার্কিং,কনফারেন্স হলে না পৌছনো ইত্যাদি । রৌদ্রে সাথে দিনের, কাজের সাথে ইচ্ছের, সময়ের সাথে গতির , মেয়ের নির্ভরতার সাথে স্নেহের ইত্যাদি। সম্প্রতি একটি কলামে পড়েছি যে দিনের অধিকাংশ সময় রৌদ্রহীনতা মনকে বিমর্ষ করে তোলে, এমনকি তরুণ- তরুণীদের মধ্যে নাকি এজন্য আত্মহত্যার প্রবণতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাজে না যাবার ইচ্ছে মনের ভেতর একবার ঢুকে গিয়েই সব বিপত্তি ঘটিয়ে তোলে কিনা বলা যায় না।
কাহিনীটির সবচেয়ে করুণ জায়গাটা আমাকে ভীষণই মন খারাপ করেছে তা হোলো আপনার মেয়েকে ডে কেয়ারে ছেড়ে আসার মূহুর্তটি। আর সবচেয়ে আনন্দ পেয়েছি ওই ফোনটি এসে মেয়ের লুকোচুরি খেলা , টিভি দেখার পর্বটিতে। লেখাটি থেকে সে সময় সংগীতের রিণিঝিণি বেজে উঠেছে যেন । আপনার মেয়েকে চোখের সামনে কল্পনায় অনুভব করতে পেরেছি।
আবহাওয়া মানুষের মনের উপর ভীষন প্রভাব ফেলে। শীতকালে যেমন অকারনে মেজাজ খিচরে থাকে, গরমকালে তেমনি হুদাই আনন্দ লাগতে থাকে।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
তানবীরাপু, প্রবাদটা তো জানেন - 'কারো পৌষমাস, কারো সর্বনাশ'। আপনি বেশ কঠিন যুদ্ধ চালায়া যাচ্ছেন যাপিত জীবনে, আর তার বদৌলতে এই অসাধারণ পোস্ট পড়ে মুগ্ধ হচ্ছি আমি এখানে।
অসাধারণ লেখা
আমাকে হল্যান্ড নিয়ে যান, বেবিসিটার হিসাবে নিয়োগ করেন, টাকা লাগবে না, থাকা-খাওয়া দিলেই হবে। তাইলে আপনার কষ্ট অনেক কমে যাবে। গ্যারান্টি দিলাম
গ্যারান্টি কোনটা, বিফলে মূল্য ফেরত?
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
মূল্য ফেরত তো বটেই, সাথে এক বছর আপনার গাড়ি মুছব, ঘরদোর সাফ করব, বাজার করে দেব, ইত্যাদি ইত্যাদি। চিন্তা করে দেখেন এরকম কাজের লোক এত সুলভে আর পাবেন না কিন্তু
পুরো লেখাটাই খুব ভালো লেগেছে।
চমতকার তানবীরা
আমাকে হল্যান্ড নিয়ে যান, বেবিসিটার হিসাবে নিয়োগ করেন, টাকা লাগবে না, থাকা-খাওয়া দিলেই হবে। তাইলে আপনার কষ্ট অনেক কমে যাবে। গ্যারান্টি দিলাম
বেবি করবে বেবিসিটিং
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
রাপ্পু এবং স্নিগ্ধাপু - আমার অফারটা আপনাদের জন্যও কিন্তু উন্মুক্ত। আরেকটু ভেঙে বলি। আমি "রানা আপু" এবং স্নিগ্ধাপুর মেয়ে (নাম জানি, বললাম না), দুইজনেরই বেবিসিটার হতে রাজি আছি
রানা, প্রহরী এখন পুরো দস্তর প্রেম করে, আর বেবী বলা কিন্তু যাবে না
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
শোনা কথায় কান দিতে নাই
নাইলে একদিন দেখবেন কানের আশায় চিলের পিছে ছুটতেসেন
আহারে কী বিরাট উব্গারটাই না কর্ল্লেন!! যেন আমার মেয়ের নাম খুব গোপন কিছু একটা! কিন্তু, সমস্যা তো সেখানে না - তুমি তো বুঝলাম আমার মেয়ের বেবী সিটার হতে রাজী, কিন্তু পুলিশ কী মানবে?! পরে যখন বাচ্চার কাছে বাচ্চা রেখে যাওয়ার জন্য আমার জেল জরিমানা হবে, তখন????
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
স্নিগ্ধাপু, আপনার উবগার যখন করসি, তাইলে এইবার আমার একটু করেন, বেবিসিটারের নিয়োগটা দিয়েই দেন। ভয় নাই, পুলিশ ম্যানেজ করার দায়িত্ব আমার। দেশ থেকে ভুয়া বার্থ সাট্টিফিকেট নিয়ে আসব আমি
তাতাপু, এত হাসি ভাল না। আমারে চাকরিটা দিবেন নাকি সেইটা কন
চাকরী না পেয়েই এত্তোবড় ধমক আর চাকরী পেলে জানি কি করবে
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
বেশ লেগেছে একটা দিনের গল্প।
কোন কোন মহিলার প্রিয় বিষয়, আমার বউ টপ টেনে আসবে
আপনার বউকে কি এই মন্তব্যটা দেখাবেন?
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
প্রিয় তা-তা, বাংলাদেশে আমরা (আমার পরিবারের সদস্যরা) অনেকটাই এরকম জীবন-যাপন করি। আপনাদের জীবনের সাথে অবশ্য আমাদের জীবনের অনেকগুলো সুস্পষ্ট পার্থক্য আছে। যেমন, আপনারা ভুল সময়ে বের হলে দশ মিনিটের রাস্তা বিশ মিনিটে পার হতে পারেন, আর আমরা ঠিক সময়ে বের হলেও দশ মিনিটের রাস্তা এক ঘন্টাতেও পার হতে পারবো কিনা তা জানা নেই। আপনাদের ক্ষেত্রে ইউটিলিটির অবিচ্ছিন্ন সরবরাহ আছে, যা আমাদের নেই। এর জন্য অযথা কী পরিমান হয়রানী হতে হয় তা কেবল বাংলাদেশে থাকাকালীন সময়েই আপনি অনুভব করতে পারবেন। আপনাদের শুধু ফোনে খাজুরে আলাপ সহ্য করতে হয়, আর আমাদের তার সাথে সময়-অসময়ে বিনা নোটিশে আগত প্রতিবেশীদেরও সহ্য করতে হয়। একটা দিনও টার্গেট ঠিক রাখতে পারি না। প্রায়ই অসহ্য মনে হয় এই অর্থহীন দৌড়া-দৌড়িকে। এসবের সাথে যখন সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা যোগ হয় তখন মনে হয় কিসের আশায় এখনো হস্তিনাপুরে পড়ে আছি। আরো বলা ভাল কিসের আশা করছি এখনো?
আমাদের কষ্ট আপনার চেয়ে বেশি এমনটা বোঝানো আমার উদ্দেশ্য নয়। আমি শুধু বোঝাতে চেয়েছি একই ধরণের অবস্থায় পড়া মানুষের পক্ষেই প্রতিদিনের এই ক্ষয় বোঝা সম্ভব।
আপনার বর্ণনার সাবলীলতা বা বিষয়বস্তু উপস্থাপণের মুনশীয়ানা নিয়ে কথা বলা অপ্রয়োজনীয় - আপনার পাঠক মাত্র সবাই একথা জানেন। পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বাংলাদেশে অসহ্যরকম সময় নষ্ট হয় যানজটে, কোন প্ল্যানিং ঠিক রাখা যায় না। কিন্তু দেশে
যেহেতু অনেকেই প্ল্যানিং ব্যাপারটাই বোঝেন না তাই কেনো যেনো কোন স্ট্রেস ও নেই।
আপনার মন্তব্য পড়ে শুধু অনুভব করলাম এ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যান বলেই জানেন রোজকার এ অবস্থা কতোটা অসহ্য, মানসিক নিপীড়ন এর মতো। কেউ কেউ বলবে তাহলে করিস ক্যানো, বাড়ি বসে থাক। কিন্তু আমি আপনি জানি এটা এটার সমাধান না।
আপনার কাছ থেকে লেখার প্রশংসা পেয়ে সত্যিই লজ্জা পেলাম আবার নিজে পড়লাম নিজের লেখাটা, কি এমন লিখলাম যে পান্ডুদা পর্যন্ত প্রশংসা করে বসল
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আমার ছেলেটি বড় হয়ে গিয়েছে। আপনার লেখার সময়ের কথাটি ভেবে খুব কষ্ট হয়। খুব নিবিড় ভালোবাসায় সাজানো একটি সময়!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আমারো এটাই কষ্ট তীরুদা, মেয়েটা বড় হয়ে যাচ্ছে কিন্তু একটু কোয়ালিটি টাইম স্পেন্ড করতে পারি না ওর সাথে।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
চেনা গল্প। খুব চেনা।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
"আমার মেয়ের বাবার অস্তিত্ব হলো আমাদের জীবনে ভগবানের অস্তিত্বের মতো, অনুভব করবেন তিনি আছে কোথাও, কিন্তু কাজের সময় তাকে পাশে পাবেন না। ":-)
খুব ভাল লাগল লেখাটা; বেশি বেশি লেখা চাই।
__________________________________
When I'm right nobody remembers; when I'm wrong nobody forgets!
When I'm right nobody remembers; when I'm wrong nobody forgets!
একটা চিমটি দিলাম! কারণ আমারো ঘড়ির অ্যার্লাম সাড়ে ছয়টায়। কিন্তু উঠতে উঠতে সাতটা বাজিয়ে দিই। তারপর ব্রাশ করে, শেভ, গোসল আর গায়ে জামাকাপড় গলিয়ে বাসা থেকে বের হতে হয় সাতটা বিশের মধ্যে। কিছু মুখে দেয়ারও সময় পাই না। ঘড়ির কাঁটা ধরে ঠিক ঠিক সাতটা পঁচিশে অফিসের গাড়িতে চড়ে বসতে হয়। হায় জীবন! এই জীবন কী আমি চেয়েছিলাম!
নতুন মন্তব্য করুন