আমাদের মারিয়া
মারিয়া আমাদের অফিসের রিসিপশনে আগে বসতো। রিসিপশন, টেলিফোন অপারেটর প্লাস সব ধরনের অফিস এ্যাসিসটেন্স সে দিতো। যেমন, ভিজিটর এসেছে তাকে পথ দেখানো, মিটিংএ কফি দেয়া, প্রজেক্টার ফ্রী কিনা কিংবা কনফারেন্স রুম কখন ফ্রী চেক করা ইত্যাদি রকম কাজ সে করতো। সে আমাদের অফিসে এসেছে ওলন্দাজ সরকারে উপঢৌকন হিসেবে। নেদারল্যান্ডসে যারা অনেকদিন বেকার ভাতা নেন, তাদেরকে ফিরে কর্মপোযুক্ত করার জন্য এ প্রজেক্ট। সরকার থেকে বেকার ভাতা যেমন পাচ্ছেন তিনি তেমনি বেকার ভাতা পাবেন, বদলে তাকে কাজ করতে হবে। কোন কোম্পানী তাকে নিজেকে ডেভেলাপ করার সুযোগ দিবে। এতে কোম্পানীর কোন ক্ষতি নেই কারন তারা সরকারের গুড বুকে থেকে দেশ ও সমাজ সেবার একটি মেডেল পাচ্ছেন উপরন্ত তাদের কিছুই খরচ করতে হচ্ছে না। এর অন্য একটা পজিটিভ দিক হলো কেউ যদি নিজেকে যোগ্য প্রমান করতে পারে, প্রজেক্ট শেষ হলে কোম্পানী তাকে কোন জব অফার করতে পারে। সুতরাং সব পক্ষই আপাত দৃষ্টিতে লাভবান।
মারিয়ার বয়স পঞ্চাশের উপরে। কতোটুকু উপরে এই মুহূর্তে আমি ঠিক বলতে পারছি না। যেভাবে আজকাল এন্টি এ্যাজিং ক্রীমের চর্চা হয়, তাতে মুখ দেখে বয়স আন্দাজ করা কঠিন একখানা ব্যাপার বটেই। দেখতে সে খুবই সুন্দরী। মেকআপ ছাড়া কেমন দেখায় তা আমি জানি না। কারন কোনদিনও তাকে আমি মেকাপ ছাড়া দেখি নাই। একজন পার্ফেক্ট লেডী সে। পায়ের জুতো, মুজা থেকে আরম্ভ করে আইশ্যাডোতো বটেই মাসকারা পর্যন্ত সে ম্যাচিং পড়ে আসে। যেদিন গ্রীন কিছু পড়ল সেদিন সব গ্রীন। গ্রীনেরও কয়েকটা আলাদা শেড আছে। দামী দামী ড্রেস তার। টমি হিলফিগার, বেনেটন, ম্যাক্স ছাড়া তাকে কিছুই পড়তে আমি দেখিনি। গুচ্চির ঘড়ি কিংবা ডি।এন। কে, ওয়াই এর সানগ্লাস। কতো টাকা আর কতো সময় সে এর পেছনে ব্যয় করে সেই জানে। আমার মতো সকালে চোখ পুছতে পুছতে, চুলে একখানা ক্লিপ গুজতে গুজতে, কোনদিন মুখে ক্রীম ডল্লাম তো কোনদিন ডল্লাম না মার্কা মানুষের পক্ষে এই ধারনা রাখা সত্যিই অসম্ভব। মারিয়া পাশ দিয়ে হেটে গেলেই মিষ্টি সুবাসে বাতাস নড়বড় করে। একদিন আমি আর থাকতে না পেরে জিজ্ঞেস করলাম, সকালে ঘুম থেকে কখন ওঠো? সে বলল, ক্যানো ছটায়। আমি অবাক হয়ে বল্লাম, তাই নাকি, তো কি করো এত্তো সকালে উঠে? মনে মনে ভাবলাম, গালে, চোখে, চোখের পাতায় সব রঙ লাগাতে আর ম্যাচিং সব দুল খুজতেই বোধ হয় সময় যায়। তার গালের এদিকে চক চক করে, তোঅন্যদিকে গ্লেস দেয়, কোনটার যে কি নাম আমি তাও জানি না। সে খুব রিলাক্স গলায় বলল, উঠে আমার সারমেয়কে নিয়ে বের হই, তার প্রাকৃতিক কার্য সমাধা করতে। ততক্ষনে আমার বর কফি আর ব্রেকফাষ্ট বানিয়ে ফেলে। আমি এলে একসাথে ব্রেকফাষ্ট খাই আর পেপার পড়ি। তারপর গোসল করে রেডী হয়ে অফিসে আসি।
আমি সুখী মানুষদের বেশীক্ষন সহ্য করতে পারি না বিধায় একটু মারিয়াকে এড়িয়েই চলি। অফিসে অবশ্য তার বকবক মাষ্টার হিসেবে খুবই নাম আছে। সে খুবই সোশ্যাল, সব্বার খোঁজ খবর নিবে। একখানা চিঠি দিতে কোথাও গেলে এক ঘন্টার উপরে কাবার হয়। যেকোন প্রেজেন্ট ব্যাপার নিয়ে তার সুচিন্তিত মতামত দিতে সে সবার আগে থাকে। ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া কিংবা আফগানস্থানে সৈন্য পাঠানো, অস্কার পুরস্কার কিংবা নোবেল পুরস্কার সব বিষয় তার নখদর্পনে। অর্থনৈতিক মন্দা থেকে আমাদের কোম্পানীও বাইরে নেই। সমস্ত এজেন্সীর লোকদের বিদায় দেয়া হয়েছে একগুচ্ছ ফুলসহ। সাময়িক কন্ট্রাক্টের আওতায় যারা আছেন তাদের বলা হয়েছে, অবস্থার পরিবর্তন না হলে তাদের চুক্তিপত্র সামনের দিকে আগানোর সম্ভাবনা ক্ষীন। তারা অন্যকিছু পেলে কোন অসুবিধা নাই। কিন্তু মারিয়া যেহেতু উপঢৌকন, তিনি বহাল তবিয়তেই আছেন। আমাদের ডিপার্টমেন্টে লোক কম বিধায় উনি মোটামুটি প্রমোশন নিয়ে আমাদের সাথে কাজ করছেন এখন। আমাকে প্রথমে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছিল, মারিয়াকে যেনো আমি খুবই সহজিয়া কিছু কাজ শিখিয়ে দেই, যেগুলো সাধারনতঃ গরুও করতে পারে। আমি মারিয়াকে কাজ শিখাতে যেয়ে দেখলাম, আমি শিখাই কম তাকে, সে আমাকে শিখায় তার চেয়ে অনেক বেশী। প্রত্যেক কথার শেষে সেই আমাকে প্রশ্ন করে, তার যুক্তিটাই কি বেশী লজিক্যাল না। কাজ থাকে সব পড়ে টালের টাল। বাকি সব্বাই আমার দুরবস্থা দেখে মুখ টিপে হাসে। দুই সপ্তাহ পরে ম্যানেজারকে বল্লাম, আমারে ছাইড়া দেন, আমি কাইন্দা বাঁচি। ম্যানেজার বলল, এরে দিয়া কিচ্ছু হবে না, যে কদিন ওর কন্ট্রাক্ট আছে, কোন রকমে চালিয়ে নাও, এনার্জি ইনভেস্টের কোন দরকার নেই। আমিও বল্লাম, তথাস্তু।
মাসের শেষ শুক্রবার ফাইনান্সের একটা পারাপারির দিন থাকে। সব্বাই সকাল থেকেই যুদ্ধং দেহীং একটা মনোভাব নিয়ে প্রবেশ করি। পিন ড্রপ সাইলেন্সে কাজ হতে থাকে সেদিন অফিসে। দেখা যায় কেউ চা কফিও আনতে যায় না। একজনের আউটপুট আর একজনের ইনপুট। নষ্ট করার মতো সময় কারো নেই। ম্যানেজার যেয়ে যেয়ে সব্বাইকে কফি এনে দেন। একাউন্ট ম্যানেজাররা সারাদিন তাদের সর্বশেষ আর সর্বোত্তম পার্ফরমেন্স দেয়ার জন্য ব্যস্ত থাকেন, যাতে রেজাল্টটা ভালো দেখানো যায় অন্তত খাতা পত্রে। এমনিতেই সেদিন বাড়ি ফিরতে ফিরতে সব্বার মিনিমাম আটটা। সাধারনতঃ অফিসেই সব্বাই পিজা কিংবা ম্যাক বা কখনও চায়নীজ অর্ডার করে খেয়ে নেই, কাজের ফাকে। একবার আমাদের সিইও আমাদের রুমে ঢুকে বলেই ফেল্ললেন, মনে হচ্ছে ম্যাথ এক্সাম চলছে, ক্যালকুলেটর, সীট আর কম্পিউটার ছাড়া কিছুই নেই দেখছি। সেইদিনে আমাদের আর একটা গোদের উপড় বিষ ফোড়া থাকে ইন্টার কোম্পানী একাউন্ট মিলানো। প্রত্যেক দেশের অফিসের নিজেদের মধ্যে যে হিসাবের লেন দেন থাকে তার আপডেট মিলানো। আমাদের মান্থলি ক্লোজিং শুরু হতে হতে হংকং এর অফিস আওয়ার মোটামুটি শেষ। আর এশিয়ার সাথে আমাদের হিসাব কোনদিনই মিলে না। আমাদের হিসাবে আমরা সবসময় বেশী পাই আর ওদের হিসাবে আমরা সবসময় কম পাই। প্যালেষ্টাইন যুদ্ধের মতো অনন্তকাল ধরে এই হিসাবের পোটলা, মেলের উপর মেল চলতে থাকে। যদিও আমাদের এশিয়া আর আফ্রিকার জন্য পাঁচ পার্সেন্ট, ক্ষেত্র বিশেষে দশ পার্সেন্ট লস সবসময়ই ধরা থাকে বাজেটে, যে ওই পয়সার মুখ আমরা জিন্দেগীতে দেখব না, কিন্তু তারপরও ডিফারেন্স অলওয়েজ অনেক বড়।
বস এই ব্যাপারটা নিয়ে খুবই চটিতং আছেন ইদানীং। ডিরেক্টর থেকে রেজাল্টের ঝাড়ি উনি খান, আমরাতো না। তাই উনি রেজাল্ট ভালো দেখাতে বদ্ধ পরিকর। যেখানে যতো চার - আটআনা আছে তা উনি টেনে টেনে আনতে এখন ব্যস্ত। মাসের শেষ শুক্রবারের সকালেই আমাকে হুকুম করলেন হংকং এর যত্তো মেল আছে প্রিন্ট করে নিয়ে যেনো উনার সাথে বসি। এইমাসে উনি রেজাল্টে কোন ডিফারেন্স নিবেন না, উনার পাক্কা পয়সার অঙ্ক চাই। আমি বললাম ওকি ডো। প্রায় চল্লিশ পৃষ্ঠা নিয়া, আল্লাহর নাম স্মরন করে বসলাম উনার সাথে। লাল,নীল, সবুজ পেন্সিল দিয়ে দাগিয়ে দাগিয়ে ক্যালকুলেটারের বাপের নাম ভুলিয়ে দিয়ে আমরা ফাইন্যাল হিসাব নিলাম। আটটায় বসেছি, ছোট খাটো কয়টা টেলিফোন যন্ত্রনা ছাড়া একটানা কাজ করে এগারোটায় বস আমার হাতে ফাইল্যাল কাগজ দিয়ে বললেন, এটা মেল করে হংকং পাঠাও আর বলো এই মাসে এই টাকা না দিলে ওদের খবর আছে। আমি যতোদূর সম্ভব ঘাড় কাত করে সায় দিয়ে নিজের টেবিলে ফেরত আসলাম। এই যন্ত্রনাও বুঝি না, পয়সা সব ডয়েচে পোষ্টের, হংকং থাকলেই কি আর হল্যান্ডে থাকলেই কি? এসে দেখি মেলে মেলে আমার মেল বক্স সয়লাব। সে মুহূর্তেই মারিয়া কি যেনো বলতে আমার কাছে আসল। আমি মারিয়াকে দেখে জীবনে এতো বিগলিত আর কখনো হই নাই। আমি বসের কাগজটা মারিয়ার হাতে দিয়ে বল্লাম, আমাদের ফাইন্সাসের কমন মেল এ্যাড্রেস থেকে এ মেলটা তুমি হংকং এ করো অন বী হাফ মি, যা আছে হুবহু তাই টাইপ করে যাবে। আমাকে আর বসকে সিসি দিবে।
এত্তো কম কথায় কি মারিয়া চলে যাওয়ার পাত্রী, বন্ধু সকল ???? সে আমাকে জিজ্ঞাসিল, কাকে মেল করিব??? আমি বলিলাম তাহার নাম “মাসিমো কোহনো” এই যে দেখো উপরে লেখা আছে। এরপর সে আমাকে যে প্রশ্ন করিল তাহার কাছে স্লামডগ মিলিওনিয়ার বিলীন হইয়া যাইবে। এই ঝড় ঝঞ্ঝাসম বিক্ষুব্ধ ঝামেলার সময় সে আমাকে খুবই সিরিয়াস ভঙ্গীতে, একটা গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন করার মতো জিজ্ঞাসিল, মাসিমো ছেলে না মেয়ে ??? তার এই প্রশ্নের পরে আমার মাথা ধরা অর্ধেক সারিয়া গ্যালো। নিজেকে তিরস্কার করিলাম ক্যানো জীবন নিয়ে এত্তো টেনশান করি? ক্যানো সব কাজ সময়মতো সুচারুভাবে সম্পন্ন হইতে হবে? কে আমাকে মাথার দিব্যি দিয়াছে? রান্না করা আছে বাসায়, ফিরতে দেরী হলে অসুবিধা নাই, বাপ - বেটীতে আনন্দ করে খাইয়া লইবে। না রান্না থাকলে আরো আনন্দ করে বাইরে থেকে আনিয়া খাইয়া লইবে। মা নাই বাড়িতে, যা ইচ্ছে তাই করতে পারার আনন্দ। তাই আমিও খুব রিলাক্স গলায় মারিয়াকে উত্তর করিলাম, খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং খুবই মজার একখানা প্রশ্ন তোমার মস্তিকে আসিয়াছে মারিয়া যা আমি পূর্বে কোনদিন ভাবি নাই। আমার কাছ থেকে এই মুহূর্তে যেই উত্তরই সব্বাই আশা করিয়াছিল ইহা যে করে নাই তাহা বুঝিতে পারিলাম। আমার এই উত্তরে রুমের সবাই হো হো করিয়া হাসিয়া উঠিল।
তানবীরা
০২.০৪.০৯
মন্তব্য
পুরোটা পড়া শেষ করিয়া আমিও হো হো করিয়া হাসিতেছি ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
যদিও এটাই স্বয়ংসম্পূর্ণ লেখা হতে পারে তবু জানতে ইচ্ছে হয় এর পরে কী হলো।
মারিয়া কি মেইলটা পাঠালো? উত্তর এলে সে কী করলো? আশা করছি কিছু ইনটেরেস্টিং উপসংহার আছে। লিখুন না। আমাদের তো এমন মারিয়া নেই তাই জানতে চাইছি।
জ্বী, সব্বাই হাসাতে বিরক্ত হয়ে মারিয়া মুখ লাল করে মেইল পাঠিয়েছে। উত্তর এসেছে অফিসিয়াল, ইন্টারেষ্টিং কোম্পানীর জন্য, সচলের জন্য না ঃ-}
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
মারিয়াকে একজন উদাহরন যোগ্য রমনী বলেই মনে হচ্ছে :চ
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
জটিলস্য ।
ধন্যবাদস্য
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
দারুন---!!
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আমার অফিসেও এমন এক্টা আইটেম ছিল! আপ্নের মাথা এবং হাত নিয়ন্ত্রন রাখার পারদর্শিতায় আপ্নাকে বিপ্লব
হাত নিয়ন্ত্রনের কথা কেনো আসতেছে ভাই, আপনি কোন অফিসে কাজ করেন?
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
একটা মারিয়া টাইপের প্রশ্ন। মাইর দিয়েন না।
আপনার বস নিজের ইমেইল নিজে পাঠায় না কেন?
এটা দুর্দান্ত টাইপ প্রশ্ন মারিয়া টাইপ না। কিন্তু উত্তর মারিয়া টাইপ। বস ইন্টার কোম্পানী একাউন্ট দেখলে আমি কি করবো? আমার চারকী ???
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
হিহিহি আসলেই সে কি পরে মেইল করতে পেরেছিল?
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
হুমম, মেলতো করতে পারেই। কিন্তু অকারনে পঞ্চাশ কথা বলা, ওভার স্মার্টগিরি ফলানো হইলো স্বভাব।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
নাহ্, তানবীরা - আপনি মনে হয় আসলেই "সুখী মানুষদের সহ্য করতে পারেন না বিধায়" মারিয়ার ওপর চটিতং বিরক্তিং হচ্ছেন, ও হয়তো 'মিয কোহনো' লিখবে নাকি 'মিঃ কোহনো' লিখবে সেজন্যেই জানতে চাচ্ছিলো?
স্নিগ্ধাপু, ডিয়ার অমুক লিখলেই কিন্তু সমস্যার সমাধান। সারনেম, ফাষ্ট নেম কিংবা মিয, মিষ্টার এর ঝামেলা লাগে না। মানুষ ক্যানো যে এত্তো প্যাচায়...............।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
দারুন!!
আপু তোমার খুব কাছে এসেও সময়ের অভাবে দেখা করতে পারিনি, জীবন জটিলতা , কাল চলে যাচ্ছি যদি ফোন নাম্বার দাও তো একবার কথা বলতে পারবো।
আমার ইমেইল-এ ফোন নম্বরটা দিতে পারো
...........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
মজা পাইলাম...
=========================================
মাইনের তীর থেকে...
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
তাইলে দশটা টাকা ছাড়েন মিয়া ভাই
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আপা,
নিন, একটা রাম চিমটি খান। আমিও আপনার দলের।
লেখাটা সেই রকম ।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আমাদের দলের মার্কা কি বিপ্লব ভাই ?
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
হা হা হা। খুব বেশি মজা পাইলাম লেখা পড়ে। মারিয়া তো সেইরম ক্যারেক্টার মনে হচ্ছে।
তবে স্নিগ্ধাপুর মতো আমারও মনে হয়, 'মিস' না 'মিঃ' লিখবে সেইটা জানার জন্যই সে জিজ্ঞেস করসিল আপনারে।
আচ্ছা, আমিও মারিয়া টাইপের প্রশ্ন করি একটা: অফিসে আপনারে কি ওলন্দাজ ভাষায় কথা বলতে হয়, নাকি ইংরেজিতে?
ওলন্দাজ ভাষায় কথা বলতে হয়। ইউরোপীয়ানরা এসব দিকে খুবই টেটনা, ইংরেজী প্রীতি ওদের নাই, স্মার্ট হওয়ার চেষ্টা নাই আমাদের মতো। ইংরেজী জানারে জ্ঞান বা জ্ঞানী ভাবে না। জার্মান, ফ্রান্স, ইটালীয়ান, স্প্যানিশ, পর্তুগীজ সব এক রকমের ঘাড় তেড়া। নিজের ভাষাই ভাষা, অন্যসব ফাষা।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
তাইলে আমি আপনার কাছে অসহ্য?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনি এটা এখনো বুঝেন নাই ???
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
দারুন ক্যারেক্টার মনে হচ্ছে মজা পাইলাম পড়ে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
হুমম ক্যারেক্টর দারুন, অফিসের সব্বাই তটস্থ থাকে, কার কাছে যেয়ে আবার কথা শুরু করে ঃ-}। তবে আমাদের মন খারাপ, মরিয়া চলে গেলে আমরা কাকে নিয়ে পিএনপিসি করবো?
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
"আমি সুখী মানুষদের বেশীক্ষন সহ্য করতে পারি না"
আমিও তাই। আচ্ছা, তাহলে তো সামনা-সামনি থাকলে আপনাকেও বেশিক্ষণ সহ্য করা যাবে না!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
হা হা হা হা হা কি মজার!
----------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
হা..হা..হা...
মজাতো...
(জয়িতা)
নতুন মন্তব্য করুন