রোজা রাখি না রাখি কিন্তু রোজার দিন আসলে নষ্টালজিক হয়ে যাই। রোজার টানে ??? না জনাব ইফতারের টানে। দেশে থাকতেও রোজা রাখতাম না কিন্তু তাতে কি বিনা পরিশ্রমে ইফতার খেতে পারতাম। রোজা কেনো রাখতাম না? কারন আমার মা জননী। রোজা রাখলে জান ভাজা ভাজা করে ফেলতো। রোজা রাখলে শুয়ে শুয়ে গল্পের বই পড়ার কোন সুযোগ নেই। উঠাইয়া, টাইনা, ছ্যাচরাইয়া নিয়া কোরান খতমে বসাবে। কে কে ত্রিশ রোজায় ত্রিশ পারা পড়তেছে, কোরান খতম দিতেছে, জান্নাত হাসিল করতেছে, আমরা শয়তানের লাঠি হচ্ছি এই বর্ণনা দিয়ে দিয়ে ক্লান্ত করে ফেলতন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাযতো পড়তেই হবে আবার তারাবীহও পড়তে হবে। একবার শুরু হইলে ম্যারাথন নামায আর শেষ হওয়ার কোন লক্ষন নাই। এশার সময় আমার মাথা ঘুরাইত, উঠতেছি, বসতেছি আবার উঠতেছি আবার বসতেছি, চলছে - চলবে অবস্থা। আব্বুরা অনেক সময় রাতের খাবার আর সেহরীর টাইমের মধ্যে না ঘুমিয়ে সিনেমা দেখেন, আমরা ঘুমাই সেই সময়, জেগে থাকতে পারি না, আশায় থাকি পরদিন আব্বুরা বাইরে চলে গেলে আমরা দেখবো। কিন্তু না রোজা রেখে সেটা হবে না। রোজা মাকরুহ হয়ে যাবে তাহলে। আম্মি কি আসলে এতো ধার্মিক? আপাতঃ দৃষ্টিতে না, কিন্তু তিনি ব্রেন ওয়াশড। আমার দাদু আমাদের সাথে থাকতেন, তার সাথে রোজা উপলক্ষ্যে সাহায্য নিতে বিভিন্ন টাইপ মেয়ে হুজুররা আসতেন, তাবলীগের মহিলারা আসতেন, রোজার নানা রকম ফজিলত, দান - ধ্যান, আর নানা রকম কবরের আজাবের লোমহর্ষক বর্ণনা দিতেন। মাও সেগুলো বসে বসে গিলতেন। তাতে অস্থির হয়ে কোন দিকে দৌড়াবেন না বুঝে আমাদের ত্যাক্ত করে শ্যাষ করতেন। আর ছিল জান লেয়া আর একটা জিনিস “ইতেকাফ”। আমাদেরকে আম্মির হাতের উত্ত্যম মধ্যম থেকে বাচানোর একমাত্র মাসিহা ছিলেন দাদু। তিনি রোজার সময় ঘরের মধ্যে পর্দা টানাইয়া কাভি শেষ না হওয়া ইতেকাফে বসতেন। তাহলে আমাদেরকে কে বাচায়? আরও ছিল সেহরীর অত্যাচার। কোনদিন হয়তো একটা আকর্ষনীয় পদ রান্না হয়েছে,খাবার টেবলে দেয়া হয় নাই সেহরীতে খাবে বলে, খাওয়ার লোভে হয়তো বলে ফেলেছি রোজা রাখব, সেহরীর সময় ঘুমে চোখ না খুলতে পেরে ইরাদা বদলে ফেলেছি খাবোও না আর রোজাও রাখবো না, কিন্তু আর মুক্তি নাই। রোজা রাখি আর না রাখি আম্মি কানের কাছে বাঁশি বাজিয়ে বিছানা থেকে তুলবেন তবে ছাড়বেন। ছেলে মেয়েকে খাওয়ানোর জন্য সব বাবা মায়েরা এমন করেন ক্যান?
তাহলে আমি কি কখনোই রোজা রাখতাম না? না রাখতাম তো ঃ)। সিম্বোলিক রোজা রাখতাম। প্রথম রোজা, শেষ রোজা, সাতাশ রোজা টাইপ। রোজার বন্ধের পরেই সব সময় পরীক্ষা থাকতো, তাই সব রোজা রাখতে দেয়ারতো প্রশ্নই আসে না। প্রতিবারই ঠিক হতো সামনের বার রাখলেই হবে। যেনো সামনের বার আর পরীক্ষা থাকবে না। তাছাড়াও মাঝে মধ্যে রোজা রাখতাম কিন্তু কেনো? হুমম, সেইটা হলো আসল ঘটনা। আমাদের রোজা রাখার কষ্ট আব্বু সহ্য করতে পারতেন না। কলেজ পর্যন্ত আমাদেরযে দিনে দুইটা রোযা রাখার ব্যবস্থা আছে সেইটা বোঝানোর আপ্রান চেষ্টা করে গেছেন। সেহরীতে একবার খাওয়াবেন আবার দুপুরে আর একবার। তারপর অবশ্য একটু বড় হয়ে আমরা নিজেরাই যখন দিনে চারটা পর্যন্ত রোজা রাখা শুরু করে দিলাম, তখন আব্বু ঠান্ডা হলেন। আগের দিনের বেচে যাওয়া ইফতারী, মিষ্টি- জিলাপী- দই দিয়ে পরদিনের সকাল থেকে শুরু করতাম। কিন্তু এতো কিছুর পরও যেদিন শয়তানের জিল্লতকে পারি দিয়ে দিনে একটা রোজা রেখেই ফেলতাম সেদিন কয়েকবার ফোন করে জিজ্ঞেস করতেন, বেশি কষ্ট হচ্ছে কিনা? কি কি নিয়ে আসবেন ইফতারের জন্য। কি খেতে ইচ্ছে করে। এইটা হলো পয়েন্ট। যখন দেখতাম গরমের উছিলা দিয়ে আব্বু চকে যাচ্ছে না, নিউমার্কেট থেকে ইফতার এনে মেরে দিচ্ছে, ঘরের দইবড়া কিংবা মামা হালিম, আম্মিরে দেখি লেবুর শরবত, তরমুজের শরবত, তেতুলের শরবত কিংবা রাতে খেয়ে বেচে যাওয়া দইয়ের লাচ্ছি দিয়ে চার পাঁচ দিন কাবার করে দিচ্ছে। তখন ভাবি হায় হায়। তাড়াতাড়ি একটা রোজা রাখি। তবেই না আব্বু গরম ঠেলে চকবাজারে ঢুকবে স্পেশাল ইফতারী আসবে, হালিম আসবে, বিরিয়ানী, সূতা কাবাব সব আসবে। সাথে আসবে মিল্ক ভিটার ঠান্ডা চকলেট দুধ, চকবাজারের লাচ্ছি, চটপটি। না হলে কি হইলো ইফতার?
ইফতারে আব্বুর কিছু স্পেশালিটি আছে, যেটা আব্বু স্পেশাল, এটা আর কেউ পারে না। আমাদের ইফতার খাওয়া হয়ে যাওয়ার পর পেয়াজু, বেগুনী, ছোলা, চপ যা যা বাঁচতো সব মেখে আব্বু একটা ভর্তা বানাতেন। লেবুর রস, কাঁচা মরিচ, পেয়াজ কুঁচি ধনেপাতা সব দিয়ে। তার মধ্যে মুড়ি মাখিয়ে হালিমের বাটি উপুড় করে দিতেন। এটা খেতে হবে খুব দ্রুত কারন মাখার পর একটা পুঁ পুঁ শব্দে মুড়ি ন্যাতানোর আওয়াজ হতে থাকে। অবশ্য সেটা কোন সমস্যা না, তৈরী মাত্রই শেষ। মাগরিবের নামাজ কেনো এতো লম্বা হয়, সেই রাগে আমরা ঘুরতাম বাটি বুটি টেবিলে রেডি করে। আব্বু আসবেন আর আসা মাত্রই আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ব। এটা আব্বু যে পরিমানেই বানাতেন না কেনো, রোজ সন্ধ্যায় বানাতেন, কিন্তু কম পরত। কারন আমি। খেয়ে খেয়ে খেয়েও মনে হতো মিটিলো না সাধ। এটা বেশি খাওয়ার জন্য, ছোঁচা বকা যে কতো খেয়েছি আম্মির কাছে। এখন বোনদের বিয়ে হয়ে গেছে, তাদের শ্বশুর বাড়িতে প্লেটে দিয়ে দেয় ইফতারী যার যার মতো ভর্তা করে খাওগে যাও। বোনেদের অবশ্যই তাহা পছন্দ না। তারা ফাঁক খুজে কখন মুড়ির কাছে এসে পড়বে। প্রতি তিন চারদিন পর পর কিছু আইটেম বানিয়ে শাশুড়ীকে বলে আব্বু এটা ভালোবাসে দিয়ে আসিগে যেয়ে। এই বলে ইফতার খেতে বাপের বাড়ি ছুট দেয়।
বোনেরা হয়ত আগেই জানায় আজকে আসছি ইফতার খেতে। ভাইয়া স্পেশাল কিছু কিনে নিয়ে যায়। ভাইয়া ছিমছাম ভদ্রলোক চকে ঠেলাঠেলি করতে পারবে না ইফতারের জন্য। তিনি তার অফিস ফেরত গুলশান থেকে ইফতার কিনে নিয়ে আসেন। কোরবানীর ঈদে আব্বু না থাকলে সারা পাড়া খবর হয়ে যেতো। কে গরু ধরবে? আব্বু ধরে ধরে সারা পাড়ার গরু জবাই করান এখনো তার তিনবার খোলা হৃদয় নিয়ে আর ভাইয়া প্যান্টের পকেটে হাত দিয়ে দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখে।
আমি কেনো আজকে এগুলো বকে মরছি ? কষ্টে, জ্বালায়, মনের যন্ত্রনায়। ভালো খাওয়া দাওয়া সেরে ভাইয়া তার ঘর থেকে প্রায়ই আমাকে একটা এস এম এস দেয়। কি করো? আমরাতো এই এই করলাম। মিস করে তাই হয়তো দেয়। প্লাস ছেলেরা কম জটিল হয়। তবে আমাদের বাসার কোঅর্ডিশন ভালো না। দোতলায় কি হয় তিনতলার লোকজন সব সব সময় জানে না এবং উল্টোটা। এস।এম।এস পড়ে আমি খুবই কঠিন গলায় হয়তো দোতলায় ফোন দিলাম, কি করো তোমরা? সামিয়া চুন্নীর হাতে ফোন পড়লে গলাটাকে যত্তো সম্ভব মিহি করে ফেলে বলবে, এইতো ইফতার খেলাম। কে কে খেলি? এইতো আমরা সবাই। নিষ্পৃহ গলায় কথা বলার মানে হলো আমাকে কোন চিৎকার করার সুযোগ দিতে সে নারাজ। বড় ভাইবোনদের পেলে পেলে তাদের নাড়ি নক্ষত্র সে এইভাবে জানে যে কারে কোন মডুলে রাখতে হবে তা তার নখদর্পনে। আমি হয়ত আরো একটু এড়ে বললাম, সবাই খুব মজা করছো? সে গলায় আরো দুঃখী ভাব এনে বলবে, না মজা কিসের? তুপ্পাতো এক্ষুনি চলে যাবে। এরমানে হলো তুমি কাইন্দো না আমরা এক্ষুনি আবার সব আলাদা হচ্ছি, মজা শেষ। এরপর হয়তো ভাইয়া ঝাড়ি খায় কেনো আমারে বলছে, হয়তো খায় না।
ইফতার ছাড়াও আরো একটা জিনিস খুব মিস করি। কিছু অল্প বয়সী জোশিলা মুয়াজ্জিন থাকতো (অল্প বয়সী আমি ভেবে নিচ্ছি কারন বয়স হতে হতে মানুষের মনের সৃষ্টিশীল ইচ্ছাগুলো কমে আসে) যারা সেহরীর সারা বেলা গান গেয়ে শোনাতেন আমাদের। এই সুন্দর ফুল / সুন্দর ফল / মিঠা নদীর পানি / খোদা তোমার মেহেরবানী কিংবা তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে। অন্যগান গুলো মনে নেই। শুধু এই দুটো এখনো মনে আছে। মাঝে মাঝে দু একজন পড়তেন খুবই সুরেলা গলার। বিছানায় শুয়ে, গায়ে কাঁথা মুরি দিয়ে এই গানগুলো শোনার আলাদা এক আবেশ আছে। চারদিক নিঃশব্দ, সারা বাড়িতে খাবার ঘরে শুধু চামচের টুং টাং, আস্তে গলায় দু একটা ছোট কথা বিনিময়, খোলা জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে কালো আকাশের পেটে ফুটে থাকা এলোমেলো কিছু নিষ্প্রভ তারা। আহা, কি সেই সময়। তার মাঝে উদার খালি গলার মিষ্টি গান। বিছানায় নিশ্চুপ পড়ে থাকা আর এলোমেলো হাজার কথা ভাবা। ভাবতে ভাবতেই আবার ঘুমিয়ে পরা।
****ইফতার মিস করে মেজাজ অসম্ভব খারাপ থাকায়, এই প্রথম একটা ইনষ্ট্যান্ট লেখা সচলে টাইপ করা মাত্র দিলাম। খুবই আবোল তাবোল কিন্তু সচল ছাড়া আর কাকে বলবো? ****
তানবীরা
২৭.০৮.০৯
মন্তব্য
তানবীরাপু, খুব নস্টালজিক একটা লেখা। মনের কষ্ট অনেক বাড়িয়ে দিলেন। আহারে চকের সরবত আর লাসসি। তার সাথে হালিম, সুতা কাবাব, স্পেশাল বুট, বড় জিলাপী এগুলার কথা মনে করায় দেওয়ায় আপনাকে তেব্র দিক্কার জানাই। লেখায় লক্ষ কোটি তারা। আমার বাবাও চাইতো রোজা না রাখি, আর আম্মা চাইত ধর্মের গাথুনি যেন শুরু থেকেই হয়। অনেক মিল পেলাম আপনার সাথে। দোয়া করি আপনার ইফতার কালিন কষ্ট দীর্ঘজীবি হোক ;)। লেখায়
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমার সাথে তোমার এই ব্যাপারে কুনুই মিল নাইগো ভাইডি। আমার মা - বাবা দুজনেই চায় (এখনো) যেনো আমি ধর্মপথে আসি কিন্তু ...............।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
সেহরিতে গান গেয়ে জাগানোর কথা মনে করায় দিলেন। কিশোরবেলায় কলোনিতে থাকতে আমিও বের হইছিলাম একরাতে ভাই-বন্ধুদের সাথে, শীতের মধ্যে কারই গলা দিয়ে শব্দ বের হইতেছে না- লোকজনরে জাগাবো কি নিজের অবস্থাই বেগতিক
"Life happens while we are busy planning it"
আপনি ঢাকার বাইরে থাকতেন? আমি শুনেছি ঢাকার বাইরে এরকম একটা ব্যবস্থা ছিল, গান গেয়ে গেয়ে লোককে জাগানো।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আমি ঢাকাতেই থাকতাম। ঢাকায় সেই সময় (মধ্য নব্বই) সব পাড়াতেই এই ব্যবস্থা ছিলো বলে জানি, কলোনিগুলাতে তো আলবাত ছিলো। ঈদের দুই দিন আগে এসে হাজির হইতো ছেলেদের দল- সারা মাসের মেহনতের হিস্যা বুঝে নিতে। সবাই অবশ্য খুশি মনেই দিতো কমবেশি।
"Life happens while we are busy planning it"
আমাদের পাড়ায় মসজিদে গান করতো বাচচা হুজুরেরা। তবে পাড়ার ছেলেরা নিজেরা গান করবে এরকম প্ল্যান করেও শেষ পর্যন্ত হয়নি কারন তারা আইলসা ছিল।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
- ইফতারি খামু। ইফতারি নিয়া আইসেন আসার সময়।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমারে দাওয়াত দিয়া আমারে দিয়াই রান্ধাইবা ????
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
তানবীরাপু আপনার লেখা পরে আমারও দেশের রোজার সময়ের মজাদার ইফতারীর কথা মনে পরে গেল। আমাদের বাসার সামনেই ছিল ফকরুদ্দিন বাবুর্চির আস্তানা আর বেইলি রোডের কথাতো মনে করতে চাই না।টেবিল ভর্তি ইফতার থাকতো তাও ঘ্যান ঘ্যান করতাম আর কিছু আছে কিনা বলে।
ইফতারীর সময়ের জন্যই রোজা রাখাটা মধুর হয়ে যেতো।
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
তুমিতো খাওয়া দাওয়ার মাঝে সাতার কাটছো দেখতেছি।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আমিও বহু বছর রোজা না রাখলেও কোন ইফতার পার্টি মিস করি না। আজকে রোজা না রেখে আপনার ইফতারির যে ফিরিস্তি পেলাম, আহা সেরকম একটি ইফতারি করতে পারলে আমার সারাজীবনের সব গুনাহ মাফ হয়ে যেত। তবে আপনার লেখার ইফতারিগুলো শেষ রোজাতক মজা করে খাব, অনেক ধন্যবাদ। আপনার ঈদের মেনু কি হবে তা ভেবে জিভে জল নিয়ে তাকিয়ে আছি।
ঈদের মেনু হবে ফল, সালাদ আর চা। যেমন রোজ হয়।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
তা হলে ঈদ করাই ছেড়ে দেব, আর সব দোষ কিন্তু হবে আপনার।
আমিও আজকাল সেহরী আর ইফতারীর নিয়ে কষ্টে আছি। রোজা রাখি, কেনো রাখি জানি না;যতটা না ধর্মীয় তার'চে পুরনো অভ্যাসের কারণে রাখা হয়। তার'চে বেশি ভয় পাই সেজপা'র দো'জখের বয়ান, সেকারণেও রোজা রাখা। তো আজকাল প্রায় সময় ছোটবেলার বহু কাঙ্খিত ইফতারি আমাকে একা একাই করতে হয়, টুটুল ইফতারির সময় প্রায় দিন ফিরে না; আর মেয়ে দুইটা তো এখনো মাটির সাথে কথা বলে, টেবিলে হয়তো বসে কিন্তু নিজেদের হরলিক্স বা প্যাকেট জাত খাবারের বাইরে অন্য কিছু খেতে চায় না। আমি একা একাই গম্ভীর ভাবে মুখে খাবার তুলি আর আগে সবাই মিলে এক সাথে ইফতারি করার স্মৃতি মনে করে দীর্ঘশ্বাস ফেলি।
এসব হলো বড় হবার জ্বালা-যন্ত্রনা!
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)
সেটা ঠিক একা একা কোন কিছুই খেয়ে বা পড়ে, দেখে আরাম নেই। সবাই মিলেমিশে কম খেলেও আনন্দ।
তবে আমরা বাড়িতে এতো লোক থাকা সত্বেও যেদিন আব্বু থাকতো না ইফতারীতে বাসায়, কেউ টেবিলেও যেতো না ঠিক করে।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
এমনিতেই বিদেশ-বিভুঁয়ে পড়ে পড়ে তড়পাচ্ছি---এর মাঝে নিয়ে এলেন এই রকম 'রোজালজিক' লেখা!!
পৃথিবীর মানুষ গুলো এমন কেন???
পৃথিবীর মানুষ গুলো এমন কেন?? কেন কেন ???
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
তনু আফার বয়ান শুনে মনে হইল আজকেই দেশের প্লেনে উঠে বসি। কত কাল দেশী ইফতারী কপালে জোটেনা!
বেশি বেশি ব্যানানা কেক খান
হাহাহাহা, ভাবতেছেন কি বিদেশি বউ সে জন্য? দুঃস্ক রাইখেন না মনে আমিও কোনদিন ইফতার বানিয়েছি বলে মনে করতে পারি না।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
বেশ টাইমলি ওয়াল পোস্ট দিছিলাম মনে হইতেছে
আজকাল চকে যাওয়া হয় না দূরত্বের কারনে। বনানী-গুলশান-বেইলি রোড বা মিরপুর এটুকুতেই ঘোরাফেরা করে সামান্য কিছু হালিম,কাবাব,গোশ-পরাটা,মিষ্টান্ন দিয়ে ইফতারি করা হয়। ওখানে তো নিজেই আয়োজন করেন, তাই না?
কোরবানির সময়টা আমার বেশ আনন্দ লাগে। নিজের হাতে একের পর এক গরু জবাই দিতে আমার একরকমের পাশবিক আনন্দ হয়!
খেকজ তোমারে
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
'প্লাস ছেলেরা কম জটিল হয়।' - এই সত্য ভাষণের জন্য আপনাকে এক গামলা মুড়ি ভর্তা।
যাক, তাওতো কেউ কিছু দিলো।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
লেখাটা তো বরাবরের মতোই...
যদিও আমাকে এখনও সেভাবে ইফতারি নিয়ে স্মৃতিকাতরতায় ভুগতে হয় না, তারপরও মাঝে মাঝে মনে হয়, ছোটবেলায় যেভাবে যতগুলা আইটেম থাকত, এখন তারচেয়ে অনেক কমে গেছে।
আমার কাছে একটা জিনিস মনে হয়, এই যে শেষ রাতে মাইক নিয়ে ডাকাডাকি করে লোকজন, যারা অমুসলিম অথবা যারা রোজা রাখে না, তাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানোর মানেটা কী? যার দরকার, সে নিজে থেকে উঠে সেহরী খাবে!
"আমার কাছে একটা জিনিস মনে হয়, এই যে শেষ রাতে মাইক নিয়ে ডাকাডাকি করে লোকজন, যারা অমুসলিম অথবা যারা রোজা রাখে না, তাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানোর মানেটা কী? যার দরকার, সে নিজে থেকে উঠে সেহরী খাবে!"
সত্যিই তো, এরকম হলেই তো মনে হয় ভাল হতো । তারপর ভাবি, সবাই যদি এক এক করে এই ধারায় ছাটতে থাকি তাহলে বাকী থাকবে কি? যদি না মসজিদ থেকে আজান ভেসে আসে, সন্ধ্যাবেলায় উলু শোনা না যায় বা গির্জার ঘন্টাধ্বনি বন্ধ হয়ে যায়, জীবনের রূপরসের বাকী থাকলো কি? সাবাই সবার জন্য ছাড় দিবে, অন্যের ভাললাগার মধ্যে আনন্দ পাবে -- তাতে সামান্য সহ্য না হয় করতেই হল -- এর নামই না জীবন ।
রানা ভাই, সত্যিই তো, এভাবে চিন্তা করিনি। খুব ভালো লাগল মুদ্রার অপর পিঠটা দেখতে পেরে। আপনার চোখে পানি আসা খুব মিস করি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
@ রানা [অতিথি]
মন্তব্যটা খেয়াল করিনি। দুঃখিত।
আমি ছোটবেলার বড়ো একটা অংশ কাটিয়েছি হিন্দু পাড়াতে (ঢাকার বাইরে, মফস্বলে)। তাই সন্ধ্যাবেলা শাঁখের আওয়াজ না শুনলে মনে হতো যেন সন্ধ্যা নামেইনি! তেমনি আজানও তাই। বিভিন্ন পূজা-পার্বণে প্রতিবেশিরা খাবার দিয়ে যেত, সেগুলো আগ্রহ নিয়ে খেতাম। বাসার ঠিক পাশেই শান বাধানো একটা উঁচু জায়গামতো ছিলো। সেখানে নিয়মিত কীর্তন (নাকি কীত্তন?) হতো। বিভিন্ন জায়গা থেকে নানান মানুষ আসতেন। একটা উৎসবের মতোই ছিল সেটা। বাসার পাশেই হওয়াতে মাইকিংয়ের প্রচণ্ড শব্দ সহ্য করতেই হতো। কিন্তু কখনো খারাপ লাগেনি। তেমনি মাঝে মাঝে দূর থেকে (এলাকার একমাত্র বিশাল মাঠটা ছিল বাসা থেকে মিনিট পাঁচ/সাত হাঁটা দুরত্বে) ওয়াজ-মাহফিলের শব্দ শোনা যেত। আসলে সত্যি বলতে, নিজের অজান্তেই হিন্দু-ইসলাম দুই ধর্মকে পাশাপাশি রেখেই বড়ো হয়েছি। আমাদের এলাকায় একটা খ্রীষ্টান পাড়াও ছিল। সেখানেও বেড়াতে যেতাম মাঝে মাঝে। বন্ধুর সাথে বিকালে হাঁটতাম। খুব ছিমছাম ছিল জায়গাটা। খুবই সুন্দর।
এর আগে ইব্রাহিমপুরে যে বাসায় ছিলাম, সেখানে এক লোক টিনের কোনো বাসনে ঘটাং ঘটাং বাড়ি দিয়ে আশেপাশের মানুষকে ঘুম থেকে ওঠার জন্য ডাকাডাকি করত। লোকটার কথা এখনও, রোজা এলেই, মনে হয়।
আসলে ব্যাপার হয়েছে কি, প্রতি রাতেই প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় জুড়ে মাইকে করে জনপ্রিয় হিন্দি গানের সুরে নানান গান শুনি, ফাঁকে ফাঁকে ডাকাডাকি। পুরো এলাকার মানুষকে যেন জাগিয়ে তুলতেই হবে। সেটা নিয়েই আর কি বলছিলাম। শুধু এটুকু পরিষ্কার করি, আজান/উলু ধ্বনি বা গীর্জার ঘণ্টাধ্বনি নিয়ে আমার কখনোই কোনো আপত্তি ছিল না, নেই, আশা করি থাকবেও না।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার অভিজ্ঞতা কথা শুনে ভাল লাগলো । এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু লিখবেন আশা করি । আমিও মোটামুটিভাবে এরকম পরিবেশেই বড় হয়েছি ।
একটা ছোট্ট ঘটানা বলি। বেশ কয়েকপুরুষ আগে সিলেটের এক গ্রামের দুই হিন্দু ভাইয়ের মধ্যে একজন মুসলমান হন । দুই পরিবার এখন লতায়-পাতায় বেড়ে সম্মিলিতভাবে গ্রামের বড় অংশ । গল্পটি যার কাছ থেকে শোনা তিনি মুসলমান শাখার একজন । স্বভাবতই দুই শাখার জীবনযাত্রার মধ্যে বিস্তর ফারাক । তবে অদ্ভূত ব্যাপার হল প্রতি রমজান মাসে পুরুষাণুক্রমে হিন্দু ভাইয়ের বংশধরগণ মুসলমান ভাইয়ের বংশধরদের একবার নেমন্ত্রণ করেন তাদের বাড়িতে ইফতার করতে। যারা জানেন না, তাদের জন্য বলছি, সিলেটে ইফতার বলতে ইফতার এবং ডিনার বোঝায়। এটা চলে আসছে বংশানুক্রমে । এরা সবাই ধর্মপ্রাণ মুসলমান, তারা খেতে পারবেন এমনভাবেই ইফতারেরই ব্যবস্থা করেন হিন্দু ভাইয়েরা ।
অবশ্যই পাল্টা দাওয়াতও চলে সমান তালে।
তুই কি কইতে চাস??? আমি বরাবর এমন আবোল তাবোল লিখি ? যাহ, সত্যি বললি তাই আজকে ছেড়ে দিলাম
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ওহ তানবীরা আপা কিরকম আছেন? বুঝছেন আইজকা ইফতারীতে ঠিক করছি......
আচ্ছা থাক ইফতারীর পর কমু নে কি কি খাইছি।
দৃশা
না থাক, লাগব না ।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
রোজা না রাখলেও ইফতারীর লোভ ঠিকই হয়!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আমারোতো কথা সেইটাই। রোজা না রাখার গুনাহ হচ্ছে হোক কিন্তু ইফতারী না খাওয়ার গুনাহ করতে চাই না কিন্তু উপায় কি ?
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
একেবারে মিলে গেল।
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
তুমি কি কি ভেবে আহত হইতা কওতো শুনি, মিলাইয়া দেখি।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
মন খারাপ করবেন না, আসেন ইফতার করি
...........................
Every Picture Tells a Story
এইসব ঠিক না!!!!
------------------------------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
মুস্তাফিজ ভাই, বুকে এইভাবে আমূল চাক্কু হান্দায়া দিলেন , আপনার কী ক্ষেতি করসিলাম আমরা, সকালে উইঠা এমন ছবি দেখে চোখে পানি চলে আসল . তয় ছবি সেরাম তুলসেন, কাজেই আমার মত বুভুক্ষের পক্ষথেকে আপনাকে লম্বা স্যালুট
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
আপনি তো মানুষ খুন করতে পারেন! এই সব ছবি পোস্ট করতে আছে? ছিঃ!
কথায় আছেনা গন্ধে অর্ধ ভোজন, আর দর্শনে কোয়াটার
...........................
Every Picture Tells a Story
এইটা খুব স্যাডিস্টিক হয়া গ্যালো, এমনিই কতো কষ্টে আছি। পেপারে পড়ি কত সব মজার মজার ইফতারী হইতাছে আর মনে হয় নেক্সট রোজায় ইনশাল্লাহ ঢাকায় .........
আরে ধন্যবাদ৷ এই ছবিটা ভাল ফুড গাইডের কাজ করবে৷ কালই বেরোচ্ছি এটা নিয়ে৷
----------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
পৃথিবীর মানুষ গুলো এমন কেন???
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আমি যখন রোজা রাখতে চাইতাম, তখন মা রাখতে দিতোনা নাবালক বইলা। তখন দুধভাত রোজা রাখতাম। মাটির কলসীর ভিতর রোজা বন্দী রাইখা ভাত খায়া আবার রোজা করতাম।
আর যখন সাবালক হইছি, তখন মায়ে চাইতো কিন্তু আমি আর রোজার ধারে কাছে ঘেঁষি নাই। আমার স্মৃতিতে নাই জীবনে একটাও রোজা রাখছি কী না...
তবে ইফতারি একটা দারুণ জিনিস... ছোটবেলাতেই বাউন্ডুলে হওয়ায় টিএসসির ইফতারির বড় ভক্ত আমি। সেখানে দারুণ আয়োজন হতো। একটা পেপার বিছায়ে একটা গ্রুপ বসতো। তারপর চলতো উন্মুক্ত ইফতার আয়োজন। সব অজানা অচেনা মানুষ, কেউ হয়তো ১০ টাকার পেঁয়াজু আনলো, কেউ আনলো ৫ টাকার মুড়ি, কেউ ৫ টাকার ছোলা, কেউ কয়টা জিলাপি... এরকম। তারপর এগুলো সব একত্রে ঘুঁটা... তারপর সবাই মিলে খাওয়া। কারো পকেটে টাকা নাই, কিছু কিনতে পারে নাই? কোনো সমস্যা নাই, এই খাদ্য সবার জন্য...
তারপর ইফতারির মজাটা জমলো থিয়েটার গ্রুপে। সেটারও সিস্টেম এরকমই। বিকালেই চাঁদা তোলা, কেউ ২ টাকা, কেউ ৫ টাকা দিয়ে বিশাল ইফতারি আয়োজন...
আমার পরিবারের চেয়ে এসব ইফতারির স্মৃতি বেশি... এখন আর সেই দিন নাই... এখন আমার ইফতারিই করা হয় না তেমন একটা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এখন আর সেই দিন নাই... এখন আমার ইফতারিই করা হয় না তেমন একটা...
বাড়ে আদমি বাড়ে বাতেন ............
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আহা মন খারাপ করে না তানবীরা৷ এইতো কাল পরশু দুদিনই আমার দুটো ইফতারির নেমন্তন্ন আছে৷ আমি বরং ডবল খেয়ে নেবো৷ কেমন?
-------------------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
দমুদি, এই না সেদিন তুমি বললা তোমার ওজন বাড়ছে। আর খেয়ো না ইফতার তবে, নেমতন্ন খাওয়াটাও ছাড়তে হবে।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আমি বড় হইতে চাই না। তাইলে এরকম মন খ্রাপ হইবো...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
কথা সত্য।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
রোজা না রাখা একটা গুনাহ ইফতারি না করাটা তার থেকে বড় গুনাহ
দ্বিতীয় গুনাহ আমি কখনো করিনা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আমি আগে করতাম না কিন্তু এখনতো উপায় নাই
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আমাদের বাসাটা আবার একটু ইয়ে! রোজা আর নামাজ না করলে ঠ্যাং ভেঙ্গে হাতে ধরায় দিবে। এই বারই বোধহয়, আমার জ্ঞান হবার পর একটা রোজাও রাখতে পারলাম না... কী করে রাখব?... একই সতথে হেমোরেজিক ডেঙ্গু আর প্যারাটাইফয়েড বাধিঁয়ে বসে আছি! দোয়া রাইখো আপুনি... আমার খবর আছে! আই হ্যাভ নিউজ!
---------------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
খবর আছে মানে কি ??? হায় আল্লাহ কি কস এইসব ???
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
প্রবাসীরা দেশের জীবনের ইফতার মিস করবেন, তা নিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলবেন সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশে থেকেই যারা দিনের পর দিন ইফতারে বাসায় থাকতে পারেন না, অথবা বাইরে অখাদ্য-কুখাদ্য দিয়ে ইফতার করেন তাদের কথা কে বলবেন? এই দুঃখ না প্রবাসীরা বুঝবেন, না দেশে থাকা সুখী মানুষেরা বুঝবেন।
ভোররাতে যে গান গেয়ে সবাইকে ডাকা হয় তাকে কাসীদা বলে। এটা মূলতঃ জনপ্রিয় গানের সুরে ঢাকাই উর্দ্দুতে গাওয়া হয়। ঈদের পরে কাসীদার প্রতিযোগিতাও হয়। তবে জলপাই সরকারের আমল থেকে ঢাকায় অন্ততঃ কাসীদা বন্ধ আছে। দিন বদলের সরকার এখন ক্ষমতায় থাকলেও এই বৎসর এখন পর্যন্ত কাসীদা শুনতে পাইনি। আমাদের কালচারের এই অংশটা কোন প্রকার আইনী বা সুশীল যুক্তি দেখিয়ে বন্ধ করলে তা হবে দুঃখজনক।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
যারা নিজে দায়িত্বে ইফতার মিস করবেন, তাদের জন্য সমবেদনা
"কাসীদা"র কথা জানা ছিলো না ষষ্ঠদা, অনেক অনেক ধন্যবাদ জানানোর জন্য।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
নতুন মন্তব্য করুন