ইহা একটা আজাইরা প্যাচাল। জ্ঞানী গুনীদের পড়ার দরকার নাই।
আমাদের এই এন্ডহোভেন শহরটা ভারতীয় অধ্যুষিত। অনেকেই মজা করে “ইন্ডিয়ান কলোনী” বলেন এটাকে। বিগত যৌবনা “ফিলিপস” এই জন্য দায়ী। এখন আছে “ফিলিপস” এর থেকে ছুইট্টা ফুইট্টা যাওয়া সব কোম্পানী আর “নরমতার” (software)ওয়ালারা। যারা ভারতীয় আমদানি করে যাকে বলে রমরমা। আমাদের হোলী, দিওয়ালী, ডান্ডিয়া, দুর্গা পূজা, স্বরস্বতী পূজা, বিজয়া সারা বছর লেগেই থাকে। এতো লোক থাকলে স্বাভাবিক অনেক দল - কোন্দলও থাকে। কিন্তু সবাই অনুষ্ঠান পালন করেন নিষ্ঠার সাথে।
মাঝে মাঝেই আগে নাচের দাওয়াত থাকতো আমার এইসব অনুষ্ঠানে। সেটা পরিবর্তন হয়ে এখন “নাচ শেখানো”র দাওয়াত হয়ে গেছে। এক গাদা পিচ্চি পাচ্চি আর তাদের মায়েদের নাচ শিখাই। শিখাই মানে কি? আমি কি আর নিজে নাচ শিখেছি? আমার দাদী নিজে খোন্দকার বংশের মেয়ে, এক কথার মানুষ। “নাচ - গান হিন্দুয়ানী কাজ, আমাদের বংশের মেয়েরা সেগুলো করতে পারবে না, আমাদের এসব সহ্য হয় না। আমাদের বংশের মেয়েদের নাম আছে, তারা ............। “ সুতরাং স্কুলে কোরাসে প্রজাপতি প্রজাপতিতে হাত ঘুরানো ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোন নাচ শিখেছি বলে মনে নেই। তবে আল্লাহ কোন সাধ আলহাদ অপূর্ণ রাখেন নাই, তিনি মেহেরবান। স্বামীর অন্যরকম মানসিকতা আর এই ভারতীয় অধ্যুষিত সমাজের কল্যানে, এখানে এসে দক্ষিন ভারতীয় শিক্ষিকার কাছে, তা ধিন ধিন তা, না ধিন ধিন না করেছি সাত বছর। তবে তা দিয়েও নাচ হয় না। সাত বছর কোন সময় না নৃত্যের মতো বিদ্যা অর্জন করার জন্য। রক্ষাকারী মা কালী হলেন “ইউটিউব”। অনুষ্ঠানের গান নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পরে ইউটিউবে সার্চ দেই, তার থেকে দুই তিনটা ভার্সন দেখে, ছোটবেলায় যেমন তিন খানা বই মিলিয়ে “নোট” লিখতাম, সেই রকম রিমিক্স নাচ বানাই। তারপরের পর্ব থাকে আরো মজার। মুদ্রা (step) দেখিয়ে দেয়ার পরে, এক এক জন এক এক দিকে হাত নাড়ে, পা ঘুরায়। আমি বসে বসে দেখি কোনদিকে সবচেয়ে বেশি লোকের হাত পা যাচ্ছে। তারপর সেদিকেই মুদ্রাটা ফাইন্যালি সেট করি যা আমাদের নাচটিকে অন্য সবার নাচের থেকে আলাদা করে তুলে।
প্রথমে যখন বাড়ি কিনে এ পাড়ায় আসি, তখন আমরা অস্তিত্বহীন লোকের মতো এখানে থাকতাম। কেউ আমাদের চিনে না, চিনতেও চায় না। এই পাড়ার প্রথম এবং একমাত্র কালো আমরা। সহবত জানি না কি কাউকে ধরে কামড়ে দেই, সেটা নিয়ে তারা খুবই চিন্তিত থাকতো। সকালে অফিসে যাই, বিকেলে বাড়ি ফিরি আর সপ্তাহান্তে অন্য শহরে ঘুরি ফিরি। আস্তে আস্তে গরমের সময়, বাগান - জানালার কাঁচ পরিস্কারের কাজে বাইরে থাকায় প্রতিবেশীদের সাথে একটু আধটু ভাব টাব হলো পরে, দেখলো যতো ভেবেছিল ততো খারাপ আমরা না। একটু একটু মানুষের মতোই লাগে আমাদেরকে। পরে যখন অনেক আলাপ - সালাপ ভাব হলো তখন তারা আবার অন্যদের নিন্দা করতে লাগলো। আমাদেরকে বাড়ি বিক্রি করাতে কারা কারা আমাদের আগের মালিকের ওপর প্রচন্ড নাখোশ ছিল ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু সেই দিন ঘুরে গেছে, এখন আমাদের অস্তিত্ব আছে। সুপারমার্কেটে, বেকারীতে কিংবা পার্কে হাটতে গেলে এদিক থেকে সেদিক থেকে চিৎকার আসে, হ্যালো তানিশা, কিংবা “হ্যালো মামা ফান তানিশা”। হ্যা, আমার একমাত্র পরিচয় এখন পাড়া তথা এলাকা জুড়ে, “তানিশার মা”। খারাপ না, আমি এটা উপভোগই করি। নিজেকে খালাম্মা খালাম্মা লাগে। অবশ্য এখন নতুন করে খালাম্মা লাগার কিছু নাই। যখন আমার দুধের দাঁত পড়ে নাই, তখন থেকেই আমি খালাম্মা। কিন্তু সবার থেকে দূরে থাকি বলে, সেই অনুভূতি মন থেকে চলে গিয়ে শুধু “আমি” আর “আমি” অনুভূতি কাজ করে আজকাল। আমার ছয় বছরের মেয়ে তার ক্লাশের, স্কুলের, সাতারের বন্ধু - বান্ধব, শিক্ষক শিক্ষিকা দিয়ে আমাদের অস্তিত্ব তৈরী করে ফেলেছে এখানে।
কিন্তু ঐযে বললাম, ভারতীয় অধ্যুষিত এলাকা। শুধু ক্লাশ থ্রি’র এ সেকশনেই তিনজন ভারতীয় ও বাংলাদেশি বাচ্চা আছে। আর ডে কেয়ারে ওদের গ্রুপে বাচ্চা আছে সাতটা ভারতীয় - বাংলাদেশী বাচ্চা। তানিশা, গায়ত্রী আর রিচা হলো স্কুলে। হোলি - দিওয়ালীর নাচের প্র্যাকটিস আরম্ভ হলে ক্লাশে তারা নিজেরা নিজেরা যখন আলোচনা করে, অন্যেরা শুনে। টীচারও জিজ্ঞেস করেন সোমবারে, তোমরা উইকএন্ডে কি করেছো। এই তিনজন সমস্বরে বলে, নাচের প্র্যাকটিস। কিসের নাচ, কেনো নাচ? সেই বৃতান্ত শেষ হলে টীচার বলেন, আমাদেরকে একটু দেখাও। তারা মনের মাধুরী মিশিয়ে নাচ শেষ করলে টীচার জিজ্ঞেস করেন, কে শিখাচ্ছে নাচ? “মামা ফান তানিশা”। আমি স্কুলে আনতে গেলে মাঝে সাঝে টুকটাক খাতিরের কথার মধ্যে এগুলোও বলেন টীচার। এবার স্কুলের বছরের শুরুতে “গার্জিয়ান মিটিং” এ গেলে, সমবেত মিটিং শেষ হওয়ার পর ইনডিভিজ্যুয়াল মিটিং শুরু হলো ছোট ছোট গ্রুপে। তখন সবাইকেই দাওয়াত করা হলো “গার্জিয়ান ক্লাব” জয়েন করার জন্য। আমারতো এমনিতেই সময় নেই জরুরী কাজ সারার আর আজাইরা জিনিসতো লিষ্টেই রাখি না।
এবার ধরা হলো আমাকে গার্জিয়ান ক্লাব জয়েন করতে। আমি জিজ্ঞেস করলাম জয়েন করলে কি কি করতে হবে? তারা যথারীতি তাদের লম্বা চওড়া ফিরিস্তি নিয়ে বসলেন। ভয় পাওয়ার জন্য তাদের ঐ ফাইলের চেহারা দেখাইই যথেষ্ট ছিল আমার জন্যে। ফাইল না খুললেও চলত। কাজের সারাংশ হলো মিটিং করতে হবে মাসে একবার, তার রিপোর্ট লিখতে হবে, ওয়েব সাইটে আপলোড করতে হবে, বাচ্চাদেরকে মোটিভেট করার জন্য নিত্য নতুন প্রডাক্টিভ পরিকল্পনা বানাতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি মাথা নেড়ে, সময় নেই সময় নেই বলেই যাচ্ছি। তখন নিরুপায় হয়ে তারা বললো, ঠিকাছে, তুমি বাচ্চাদেরকে কার্নিভ্যালে একটা নাচই শিখাও তাহলে। আমি চমকানোর শেষ পর্যায়ে, হতভম্ব। বল্লাম, ইউরোপীয়ান ডান্সের কোন অ আও আমি জানি না। তাহলে তুমি তোমাদের ইন্ডিয়ান ডান্সই শিখাও। আমি নিরুপায় গলায় বল্লাম অ, আচ্ছা ঠিকাছে। গার্জিয়ান কমিটি থেকে মেইল করল এর পরে, পরবর্তী আলোচনা করতে চায়। আমি আলোচনায় বল্লাম, “স্লামডগ মিলিওনার” এর “জ্যায় হো” শিখাই? কোথাকার কোন “স্লামডগ” নিয়ে তাদের কোন আগ্রহ দেখলাম না। শেষ পর্যন্ত ঠিক হলো, “হে মাকারেলা” শিখানো হবে। জানুয়ারীতে রিহার্সেল শুরু হবে, ফেব্রুয়ারীতে কার্নিভ্যাল।
পরিসংহারঃ এগুলো কি বলার মতো কিছু? না কিছু না, কিন্তু এই কিছু না টা জানানোরওতো কেউ নেই। তাই সচলে লিখে রাখলাম। এই অসীম পৃথিবীর কোথায় এই তৃনসম তানবীরা কিভাবে পরে রইলো, তা দিয়ে সৌরজগতের কোথাও কোন দাগ পড়বে না, সেটা আমি ভালোভাবেই জানি। কিন্তু তবুও মনটায় কেমন যেনো একটা খুশী খুশী ভাব ধরে, একটা আকিহ আকিহ ফুর্তি লাগে। অন্য গ্রুপের লোকেরা অকারনে ফোন করে, এই আলাপ সেই আলাপ করার ভান করে, কি নাচ শিখাচ্ছি এবার, সেটা জিজ্ঞেস করে। এমন ভাব করে, উনি কতো চালাক, আমি কতো বোকা, আমার পেটের গোপন কথা নিয়ে যাচ্ছে আমি টের পাচ্ছি না। ভালো লাগে এই লুকোচুরি লুকোচুরি খেলা। ডান্ডিয়া বা পিকনিক কিংবা কারো জন্মদিনের পার্টিতে অন্যদের দেখায় আমাকে, এই সেই তানবীরা যে হামারা গ্রুপে নাচ শেখায়, “বাংলাদেশের”। এটাও ভালো লাগে। বাংলাদেশ নামটাতো উচ্চারন হয়। অন্য গ্রুপে আমাকে টানার জন্য নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়, আমি সগর্বে আর সবিনয়ে ফিরিয়ে দেই। এই হিংসা হিংসি টানাটানি, এটাও ভালো লাগে।
এগুলো সব শুধু আমারই ভালো লাগে। বাবা মায়ের কাছে এগুলো বলা বৃথা। তারা সারাজীবন এগুলো নিয়ে, আমাকে নিয়ে ভুক্তভোগী। আমি আছি নাচ, গান, আবৃত্তি আর নাটক নিয়ে। আরতো দুনিয়ার কিছুর খবর আমার নাই। দুনিয়াটা যে কতো কঠিন। এ ধারনা তাদের মনে বদ্ধমূল। স্বামী আর এক কাঠি ওপরে, ভেংচী কেটে বলেন, নিজের পকেটের পয়সা দিয়াতো করো নাচ, নাটক। যদি কিছু আয় হইতো তাহলেও নাহয় বুঝতাম। অনেকদিন পরে হঠাৎ একজন আমার নাটক দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল, নুরুজ্জামান। বহুদিন পর আমিও আমাদের গ্রুপের ডিভিডি করে দেন যে তাকে বল্লাম, আমাকেও দুই কপি দিওতো। কেউ দেখে না, কারো সময় নেই, আগ্রহ নেই তাই ডিভিডিটাও আজকাল আর আনি না। অবশ্য নুরুজ্জামান দেখেছে কি না সেটা আমি জানি না.........।
এবারে একটা সুসংবাদ দিয়ে আজকের মতো বিদায় টানছি। এবারে দিওয়ালিতে প্রথমবারের মতো বাংলা নাচ হচ্ছে সমবেত মহিলা গ্রুপে। আমি আর একটা পরিবার বাদে সেখানে বাকিরা সবাই অবাঙ্গালী। বাংলা লোকগীতি শিখাচ্ছি সোহাগ চাঁদ বদনী ধনি নাচোতো দেখি।
কিছুই হয়তো না কিন্তু এটাই বা কম কি আমার মতো অভাজনের জন্যে? বাংলা ভাষা তোমাকে প্রনাম।
তানবীরা
০২.১০.০৯
মন্তব্য
তাতাপুর নাচ দেখতে মঞ্চায়
পোস্টটা পড়ে খুব ভাল্লাগল... বাংলা নাচের জন্য 'শুভকামান'...
"কামান" যত্নে তুলে রাখলাম। নাচ দেখা কোন ব্যাপার না, হল্যান্ডে আসলেই দেখতে পাবা।
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আমি কিন্তু হল্যান্ডেই আসি ... ডাক দিলেই এধার থেকে ওধার চলে আসব ...
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
আপনাকেতো ডাকলাম, কোন সাড়া দিলেন না
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ইউটিউব থেকে দেইখা আসেন ভাইজান। ওইখানে তাতাপুর দলীয় নৃত্য আছে !
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
আপনে একা না, আমরাও আছি, লেখাটা জোশ হইসে, আর অপ্র এর মত আমিও বলতে চাই, তনু আফার নাচ জাতি দেখপার চায়।
পুরাই হাহাপগে।
পুরাই ঝাক্কাস লাগলো আপনার ফর্মূলা
আরো ভিডিও চাই তাতাপু
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আর নীল শাড়ি পরিহিতা কি তনু আফা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
না আমার ভূত।
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
এরপরের গেট্টুগেদারে স্বাতী আপা আর মনির হোশেনের যুগল নৃত্য হবে।
ক্যান, তুমি লজ্জাও না ডরাও ?
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
তানবীরাপু খুব ভাল লাগলো আপনার লেখাটা।
বাচ্চাদের নাচ দেখেতো ভীষন মজা পেলাম। আমদের মেঘ মামনি দেখলাম জড়তা ছাড়াই তালে তালে নাচছে। নীল জামা পরা পিচ্চির কান্ড দেখে মহা হাসি পেয়ে গেল । সবাই যা করে তাকে ঠিক অন্য কিছু করতে হবে
--------------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
ঐ পিচ্চি উড়ে এসে জুড়ে বসেছে, বাচ্চারা নাচ বাদ দিয়ে সবাই ওকে নিয়ে হেসে যাচ্ছিল।
তোমার খবর কি, লেখা নেই কেনো? পড়া নিয়ে কি খুব ব্যস্ত?
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
পিচ্চিগুলো তো দারুণ স্মার্ট!
আপনার জন্য রইল অনেক শুভকামনা।
---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।
---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।
ধন্যবাদ আপনাকে
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
পোষ্টটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
পিচ্চিগুলো অনেক আদর। খুব ভালো লাগ্লো ভিডিওটা দেখে...। এতো গুলা পিচকা।
'হিন্দুরা যে কতো বর্ণবাদী (Racist), স্বয়ং হিন্দু ধর্মই তার সাক্ষী।'---সহমত।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
বর্ষাকে অনেক ধন্যবাদ।
যারা ভুক্তভোগী, তারা সবাই সহমত
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
খুবই অবাক হলাম আপনাকে সহমত হতে দেখে !!!
সহমত। বেশীদূর যেতে হবে না, বেদ বা উপনিষদ পড়লেই বোঝা যাবে।
______________________________
আর সব যুদ্ধের মৃত্যুর মুখে হঠাৎ হাসির মতো ফুটে ওঠা পদ্মহাঁস
সে আমার গোপন আরাধ্য অভিলাষ!
--আবুল হাসান
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
বেশিদূর কেন যেতে হবে না ? বেদ বা উপনিষদ বুঝি আপনার হাতের কাছেই থাকে ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
জ্বি।
______________________________
আর সব যুদ্ধের মৃত্যুর মুখে হঠাৎ হাসির মতো ফুটে ওঠা পদ্মহাঁস
সে আমার গোপন আরাধ্য অভিলাষ!
--আবুল হাসান
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
তাতাপুর নাচ দেখতে মঞ্চায়!!
----------------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
চাওয়ার কুনু শ্যাষ নাই, পাওয়ার চেষ্টা বৃথা তাই
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
হাই আপু,
তোমার মতন ভাষা, দেশ আর বাংলা নাচের অভাজন যদি হইতে পারতাম;
জীবন কিঞ্ছিত সার্থক হইত !
শুভ কামনা রইল ! ভাল থাইকেন !
এস হোসাইন
------------------------
"মোর মনো মাঝে মায়ের মুখ।"
এইতো বেশ সচলে শুদ্ধ বাংলায় মন্তব্য করছেন, জীবনতো কিঞ্চিত সার্থক হয়েই আছে।
আপনিও ভালো থাকবেন।
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
Racism প্রসঙ্গটুকু বাদ্দিলে লেখা ফাট্টাফাট্টি হয়েছে।
আমার পুলাপাইন ( আল্লাহয় যদি দেয় ) সব পাঠাইয়া দিমু তনু ফুপির কাছে কাছে নাচের তালিম নিতে
Racism প্রসংগতো বাদ দিলাম। বাই দি ওয়ে, আমার ঈদের শাড়ি এখনো কিন্তু পাই নাই..................।।
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ক্যাজুয়াল লেখা, পইড়া খুব মজা পাইলাম।
ধন্যবাদ
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
"আকিহ আকিহ ফুর্তি"টা কিরকম জিনিস?
ঠিকাছে, ঐটার ওপর আলাদা পোষ্ট দিবোনে।
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
কেয়া নাচ হ্যায় ... আব ইস বাচ্চাগো কেয়া হোগা তাতাপা ?? !!
ভালা লাগসে বিষয়টা।
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
হোনা ক্যায়া। জো রাব নে সোচা ওহিতো হোনা হ্যায় না।
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আজাইরা প্যাচাল(!!) পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকুন
আপনিও ভালো থাকবেন।
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
যাক তাইলে আমরা ডাচ (নাকি অন্যকিছু) না জাইনাও যে তাতাখালা ডাকি তাতে কুনু দুষ নাই বুঝলাম (ইউরোপিয়ান সাট্টিফিকেট পাওনের পরে)
তাতাখালা অনেক গুণী মানুষ হগগলে বুঝার পরে আমরাও বুঝলাম যে এইডা নিয়া আমরাও গর্বাইতে পারি
তয়
এইটা নিশ্চিত যে বেকুবের দল তানিশার মায়েরে চিন্তে পারলেও অরিজিনাল তাতা খালারে এখনও চিন্তে পারে নাই
যেদিন চিনব সেইদিন ওরাই দেশ ছাইড়া আফ্রিকায় নির্বাসন নিবো কনফার্ম
লীলেনদা লুকটা বড়ই বালা ছিল, বেচারা অকালে শহীদ হইল। বড় মায়া লাগে তার জইন্য
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
পিচ্চি পাচ্চি গুলা দারুন তো।
খুব ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে।
পাইসি, এইবার আমার পালা, “আপনার লেখায় যাদু আছে”।
----------------------------------------------------------------------------
ডানা ভাঙ্গা একলা কাক, পথ শেষে থাক...একলাটি থাক
শোনেন, পরের পেটেন্ট জিনিস নিয়া টানাটানি না কইরা, নিজে কিছু তৈরী করেন
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
অন্যখানে আপনের জয় হো দেইখা আইসা এই ব্লগ পড়লাম। আপনের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগাছে... আপনে হয় খালি বাচ্চাগো অথবা বুড়াগো নাচের ভিডু দেন... এইটা ঠিক না... মাঝামাঝি কিছু নাই?
লেখা ভালো লাগলো... এইবার দেশে আসেন, নৃত্যানুষ্ঠান হবে... নাইলে ঠ্যাং ভেঙ্গে হাতে ধরায়া দিমু
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
জীবনের বাচ্চা কাল আর বুড়া কালটাই সত্য বাকি সব ভ্রান্ত ধারমা ..................
নৃত্যানুষ্ঠান অবশ্যই হইতে হইবে নইলে আমি ভাঙ্গা ঠ্যাঙ্গের নিহারী খামু। সারা বছর কাজ কাম কইরা, নাচানাচি কইরা কেলান্ত আমি বাড়ি আসবো, আপনাদের কাজ হবে নাচানাচি কইরা আমার মনোরঞ্জন করা। আমি গালিচায় বইসা "কুক" খামু আর আপনাদের মারহাবা মারহাবা কইরা বাহবা দিমু
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
সব ধর্মই মৌলবাদরে ধারন করে। মুসলমানরা মৌলবাদি যেমন, তেমন হিন্দুরাও মৌলবাদি হতেই পারে। সেটা হয়েছেও। কিন্তু যখনই আপনি বলবেন স্বয়ং হিন্দু ধর্মই তার স্বাক্ষী, সেটা শুনতে ভালো লাগে না। অন্যরকম লাগে।
তবু আপনার সেই লেখাটার অপেক্ষায় থাকলাম। জানারতো শেষ নাই।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
সহমত!
তানবীরা - 'আমাদের মতো কালো' দের অনেকে করেও তো নানাকিছুই, তা দেখে অকালোরা যখন সেটাতেই ফোকাস করে জেনারালাইজড একটা ধারণা ব্যক্ত করে, আমাদের কেমন লাগে সেটা আপনার ওপরের লাইনগুলোই কিন্তু বলে দিচ্ছে।
হিন্দুধর্মে বর্ণাশ্রম আছে, একদম ঠিক কথা। কিন্তু আমাদের ধর্মে বা খৃস্ট ধর্মে (বা আরও অনেক ধর্মে) তো নাই, তাতে কি আমরা কেউ কোন কম রেসিস্ট? এখানে রেসিজম বলতে আমি শুধু বর্ণ নির্ভর রেসিজম বোঝাচ্ছি না, রেসিজম বা এধরনের বিদ্বেষ যে অনেক রকমই হয় সেটা আপনি জানেন। আপনার নানারকম লেখা থেকে সেটা টের পাওয়া যায়।
আমার প্রত্যাশা আপনার কাছ থেকে তাই অন্যরকম ছিলো।
চমৎকার !
সচলায়তনের কারণে আজ জীবনে প্রথমবার বর্ণবাদী উপাধিও পেতে হলো।
যারা এই মন্তব্যে সহমত জানিয়েছেন, তাঁদেরকেও ধন্যবাদ, আমার সত্যিকারের পরিচয় আমাকে জানানোর জন্য।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সহমত জানাইনি, কিন্তু লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়ে অবশ্য প্রয়োজনীয় প্রতিবাদটুকু করার যে স্বাভাবিক দায়িত্ব ছিলো সেটা পালনে ব্যর্থ হয়েছি। এজন্য অত্যন্ত লজ্জিত আর বিব্রত বোধ করছি। আপনার আর সবার কাছেই সেজন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
যারা প্রতিবাদ করে ব্যাপারটা আলোচনায় এনেছেন তাদের কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা - নাহলে এমন অন্যায় চোখের আড়ালেই থেকে যেত।
তানবীরা আপু ভালো লাগল।
আপনারা আছেন বলেই বাংলা ভাষা পৃথিবী জুরে। বাংলা নাচ আজ হাজার মাইল দূরে তবলা বা ড্রামের তালে "সোহাগ চাঁদ বদনী ধনি নাচোতো দেখি।" এর সাথে নেচে উঠে।
জয় হোক আপনাদের।
ধন্যবাদ।
দলছুট।
"মুসলমান - মুসলমান, গোঁড়া গোঁড়া চিৎকার আমরা করি বটে, তবে মৌলবাদি কেউ কম না। হিন্দুরা যে কতো বর্ণবাদী (Racist), স্বয়ং হিন্দু ধর্মই তার সাক্ষী। সেটা নিয়ে অন্যদিন লিখব, আজকে আজাইরাতেই থাকি।"
মাস চারেক হল সচলায়তনের ব্যবস্থাপনা, অর্থায়ন, মডারেশন এইসব থেকে দূরে থাকি এবং কাছে আসার ইচ্ছাও খুব প্রকাশ করি না। যদি সেই পরিস্থিতি না থাকতো তাহলে আপনি, বর্ষা ও অপরাপর যারা আপনার উপরোক্ত বক্তব্যের সাথে সহমত তাদের সচলত্ব ফিরিয়ে নেবার একটা চেষ্টা করা যেত। আপনি রিপিট অফেন্ডার। আপনাকে সচল করাও একটা বড় ভুল ছিল।
সচলায়তনকে সচলায়তন রাখা সচলদের দায়িত্ব..
অরূপের ব্লগ @ http://etongbtong.blogspot.com
অরূপের ফ্লিকার @ http://www.flickr.com/photos/harvie-krumpet
আপনার যৌক্তিক কথাটাই আরেকটু সংবেদনশীলভাবে বলা যেত, আমরা অনেকেই তো তাতাপুর কথার শালীন প্রতিবাদ জানিয়েছি।
কাকে সচল করা ভুল ছিল বা সঠিক ছিল তার বিচার কিন্তুও একা আপনার হাতে বর্তায় না। এভাবে না বললেই বোধহয় ভালো হতো।
(মন্তব্যটা মামুন হকের মন্তব্যের জবাবেই করা, আগেরবার ভুলে আলাদা মন্তব্য হয়ে গিয়েছিলো)
তানবীরার কথাটি কতোটা সংবেদনশীল, বা শালীন ছিলো?
এর আগেও কি তিনি হিন্দুদের সম্পর্কে ঢালাও আজেবাজে মন্তব্য করে নিজের সংবেদনশীলতা, বা শালীনতার পরিমান সম্পর্কে আমাদেরকে ধারণা দেননাই?
ভাই আমি যদি বলি, সচলায়তনের বেশিরভাগ মুসলমানরা আসলে হিন্দুবিদ্বেষী হিপোক্রিট। অপু ভাইয়ের মন্তব্যের আগের যেই সতেরোজন মন্তব্যকারী কেউ তানবীরার ঢালাও বর্ণবাদী মন্তব্যের প্রতিবাদ করেননাই, কিংবা সহমত হয়েছেন, এইগুলা হচ্ছে সবচাইতে বড়ো ভণ্ড-- কেমন অনুভব করবেন উনারা?
এইরকম স্টেটমেন্ট তানবীরা আপুর বক্তব্যের মতোই অশিক্ষিতঅশালীনঅসংবেদনশীল হবে।
তাই আমি এরকম কথা বলছিনা
তবে এই লেখা এবং এতোগুলি প্রশংসাসূচক মন্তব্য দেখে সচলায়তনের সচলত্ব নিয়ে সংশয় জাগে।
অরূপের সাথে সহমত।
আপনি বোধহয় তানভীর আর তানবীরাকে গুলিয়ে ফেলেছেন। অথবা আমারই বুঝতে ভুল হয়েছে হয়ত।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
পোস্টে ২ নাম্বার মন্তব্যটি পড়ুন।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
থ্যাঙ্কু রেনেট।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমার মনে হয় ঠিকই আছে। ওই লেখাতেও তানবীরা তালুকদার এমনই একটি চমৎকার মন্তব্য করেছিলেন, যা সে সময় খুবই বিতর্কিত হয়েছিলো। যদিও তিনি সে বিতর্কের প্রায় কোন প্রশ্নেরই জবাব দেন নি, কিছুটা দায়সারা গোছের দুঃখ প্রকাশ করেই সরে গিয়েছেন।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ভাইজান আমি কিন্তু তানবীরা আপার কথার পক্ষে কিছু বলি নাই। আমি আসলে বিতর্কিত ব্যাপারটাই এড়িয়ে যেতে চাইছিলাম। এখন তো দেখতেছি কাঁদা ঘাঁটাতেই অনেকের উৎসাহ বেশি। পুরা লেখায় একটা লাইন, এটা অনেকেরই চোখে পড়েনি, এমনকি হিমুরও না। অনেকেই বাচ্চা কাচ্চাদের নাচের অংশটুকু উপভোগ করেছে--সেটা নিয়েই লঘু হাস্যরস করা হয়েছে, এতে করে তাদেরও জোর করে রেসিস্ট বানিয়ে দেয়াটা বোকামী হচ্ছে। বর্ষা ছাড়া আর কেউ তো সরাসরি সহমত জানায়নি ।
তাতাপুকে আলাদা ভাবে বলে যেত ঐ অংশটুকু মুছে দিতে, ল্যাঠা চুকে যেত।
সেটা না করে সবাই শটগান নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়লে আখেরে নিজেদেরই ক্ষতি।
আক্রান্তকেই কেন শান্তিরক্ষার কথা চিন্তা করতে হবে?
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
অনেক লাইন লিখে ফেলেছি, আর লিখতে ক্লান্ত লাগছে
তবে একটা কথা বলি মামুন ভাই, এমন মন্তব্য আজই প্রথম না- আর এর প্রতিবাদ করাও মনে হয় কাঁদা ছোড়াছুড়ি না। এ নিয়ে আজ আর কথা বলার মত শক্তি অবশিষ্ট নেই। সবাই ভালু থাকুন।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ঠিক। শালীন মন্তব্য সবাই ডিজার্ভ করেন, শুধু আমার মতো "বর্ণবাদী" হিন্দুরা ছাড়া। তাই চূড়ান্ত রকমের অশালীন লেখাতেও মন্তব্য হতে হবে শালীন, সংবেদনশীল।
এই লেখাটা আজ এতো সময় ধরে সচলায়তনের নীড়পাতায় রয়েছে, আপনার মৃদু প্রতিবাদ আর অপু ভাই , স্নিগ্ধা আপুর জোরালো প্রতিবাদটুকু ছাড়া আর কিছু দেখেছি বলে মনে পড়ে না। কেউ কেউ সহমত জানিয়েছেন, আর কেউ কেউ বেমালুম চেপে গিয়ে লঘু হাস্যরসে মত্ত হয়েছেন। অবশ্য একজন সংখ্যালঘুর মান সম্মানে কারই বা কী যায়-আসে, তাই না ?
সচল করার দায়িত্ব বর্তায় কার উপর সেটা নিয়ে বোধহয় আমাদের তর্ক না করাই উত্তম। সে চিন্তা মডুদের জন্যই তোলা থাক।
আমি শুধু অরূপদার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, যিনি কতৃপক্ষীয় ব্যক্তি হিসেবে প্রথম এগিয়ে এসেছেন, যিনি এই লেখায় যে অপমান আর বিদ্রুপের তীর ছুড়ে মারা হয়েছে, তার বিষাক্ততা অনুভব করেছেন। আমি জানি এখন হয়তো অনেকেই অরূপদার উদ্দেশ্যে অনেক জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য রাখবেন- আমি শুধু আমার কৃতজ্ঞতাটুকু জানাতে চাই, যিনি এই চূড়ান্ত অপমানে আমার পাশে এসে সরবভাবে (কতৃপক্ষ হিসেবে) দাঁড়িয়েছেন, যিনি এইসব সুশীল শালীনতার ধার ধারেন নি, কোদালকে কোদালই বলেছেন।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ভাইরে তোমার কষ্টটা বুঝতে পারতেছি, তানবীরা আপার এই কথাটা বলাটা মারাত্মক অন্যায় হয়ে গেছে। কিন্তু এটা ধর্ম বিষয়ক কোন লেখা না, পুরো লেখায় মাত্র একটা লাইনে ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করা আছে। শান্তি রক্ষার খাতিরেই সেই একটা লাইনের আঘাত এগিয়ে যাওয়া ভালো। সচলে তো ইসলাম ধর্মের সমালোচনাও বেশ রুক্ষভাবে অতীতে করা হয়েছে, যদ্দুর পারছি এড়িয়ে গেছি। কী দরকার নোংরা ঘেঁটে আরও দুর্গন্ধ ছড়ানোর।
কেউ বললেই তো আর তুমি আমি বর্ণবাদী হয়ে যাইনা।
মানুষ মারতে জায়গা মতো একটা গুলি লাগাই যথেষ্ট, ছয়টা গুলি ছোড়ার দরকার আছে বলে মনে হয় না
এতো অনন্য সাধারণ গালিগালাজের পরও শান্তি রক্ষায় আমার দায়টা কোথায়, ঠিক ধরতে পারলাম না।
আমার মনে হয় সচলের যারা আমাকে একটু ঘনিষ্ঠভাবে চিনেন কিংবা লেখার সাথে পরিচিত, তাঁরা অনেকেই জানেন, আমি একদমই ধার্মিক কেউ না। বরং প্রায় নাস্তিক, ধর্ম কর্ম যা করি, তা সামাজিকতার খাতিরেই মূলত। ঈশ্বর বিশ্বাসের জায়গায় আমার নিজস্ব দ্বন্দ্ব আছে, যা নিয়ে আর কথা বলতে চাই না।
আমি চেতনায় যতোই অবিশ্বাসী হই, পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত ধর্মানুযায়ী আমি একজন হিন্দু (কিংবা পপুলার টার্মসে মালাউন)। তাই একজন তানবীরা তালুকদার যখন বলে বসেন, হিন্দুরা বর্ণবিদ্বেষী, তখন হোঁচট খাই। ভালো মতো আবার পড়ি, কোথাও কি "অধিকাংশ" কিংবা "প্রচুর" এ ধরনের কোন বিশেষণ আছে ? খুঁজে পাই না। বাক্যটাতে খুবই নগ্নভাবে বলা আছে, হিন্দুমাত্রই বর্ণবিদ্বেষী। সেই কালি তাই আমার গায়েও লাগে।
একটা কথা পরিষ্কারভাবেই বলতে চাই, ধর্মের সমালোচনায় আমি পিছপা হই না, কিংবা বিব্রতও হই না। ধর্ম আমার কাছে খুব স্বর্গীয় কোন ব্যাপার না, বরং অনেক বেশি সামাজিক। তাই এর সমালোচনা আমার কাছে খুব গুরুতর অপরাধ কিছু না। এই লেখায় যদি যুক্তি-তথ্য দিয়ে প্রমাণ করা হতো যে হিন্দু ধর্মে আসলে বর্ণবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়, আমি একবিন্দু অস্বস্তি অনুভব করতাম না। কিন্তু এই লেখায় স্রেফ গায়ের জোরে, কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়া বলে দেওয়া হয়েছে হিন্দু মাত্রই বর্ণবিদ্বেষী। সচলে এ ধরনের ঢালাও বক্তব্য কোথাও দেওয়া হয়েছে কিনা জানি না, আর দেওয়া হলেও সেখানে প্রতিবাদ করেছি কিনা খেয়াল নেই, তবে একটা কথা স্পষ্ট বলতে চাই এই ধরনের ঢালাও, যুক্তিহীন, গাঁজাখুরি, এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে আমি সবসময়ই আছি।
আর শেষ কথা, কেউ বললেই বর্ণবাদী হই না, এই যুক্তিটা হাস্যকর লাগলো। সে ক্ষেত্রে অপরিচিত কেউ কুকুর, শুয়োর কিংবা বেশ্যাপুত্র বলে গালি দিলেও মন খারাপ করা যাবে না, কারণ গালি দিলেই তো আর আমাদের বাবা-মা তাই না- ব্যাপারটা কি এমন হয়ে গেলো না ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
তুই একটা বর্ণবাদী কমরেড
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
সবজান্তা , তানবীরাদি'র মন্তব্যে আপনার কাছে আমিই লজ্জিত। কিন্তু আপনি নিজেকে "হিন্দু" হিসেবে ( যে কোনো এক ভাবেই হোক) আইডেন্টিফাই করে "আহত" হওয়াটা নিঝুমের "মুসলিমানিভূতি"তে আঘাত লাগার মতো হয়ে গেলো কিন্তু অনেকটা। রেসিস্ট কথা আপনার খারাপ লাগলো আপনি "হিন্দু" বলে? আমি তো হিন্দু নই, আমারও অসহ্য লাগলো কথাটি। কিন্তু ধর্মানিভূতির আঘাত নিয়ে কথা বললে আপনার "হিন্দুত্ববাদিতা"কেও শূলে চড়াতে হয়। আপনার কাছ থেকে "হিন্দু" হিসেবে নয় বরং মানুষ সবজান্তা হিসেবে প্রতিবাদ কামনা করি, তানবীরাদি'র কুৎসিত মন্তব্যের। ভালো থাকবেন। আমি আবারও আপনার খারাপ লাগায় দুঃখ প্রকাশ করছি।
লগইন না করে থাকতে পারলাম না। নিজে আরেক সংখ্যালঘু বলেই ধর্ম নিয়ে তর্কে সাধারনত নিজেকে জড়াই না। আপনার সাথেই আছি।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
"সবজান্তা আর রেনেট" ব্যাক্তিগত ভাবে আক্রান্ত বোধ করেছো দেখে আমি আলাদা করে তোমাদের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমি তোমাদেরকে "রেনেট" আর "সবজান্তা" বলে জানি, সচল বলে জানি, মানুষ বলে জানি, সহ বল্গার বলে জানি। তোমাদের অন্য কোন পরিচয় আমি জানি না। আমার কাছে তোমাদের এইই পরিচয়।
সবজান্তাকে বোধহয় আমার আর কোন লেখায় মন্তব্য দিতে দেখেছি বলে মনে পড়ে না।
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ঠিক। আপনার অবজারভেশন পুরোপুরি ঠিক। একদম শুরুতে করতাম, কিংবা সে সময় না করলেও তা ইচ্ছাকৃত কিছু না। কিন্তু "ক্ষম হে মম দীনতা" নামের সেই পোস্টে আপনার ওই মন্তব্যের পর যখন অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে, এই পোস্টের মতোই একটা দায়সারা গোছের ক্ষমাপ্রার্থনা করেছিলেন, তারপর থেকেই আমি সাধারণত আপনার পোস্টে আর মন্তব্য করি না। যেহেতু আপনার মতো আমিও সচলায়তনকে খুবই ভালোবাসি, তাই সেসব নিয়ে কোন ইস্যু বানাইনি, কিংবা প্রকাশ্যে বলিওনি। আমার ভালো লাগা-খারাপ লাগা আমার কাছেই রেখে দিয়েছি। সময়ের সাথে সেই অনুভূতি হয়তো বিবর্ণ হয়ে যেতো, কিন্তু গতকাল যখন একই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলাম, তখন বুঝতে পারলাম- আমি যতোই ব্যাপারটা ভুলে থাকতে চাই না কেন, সেটা বোধহয় সম্ভব না।
যাই হোক, আমি আবারও বলি, আমি সচলায়তনকে অত্যন্ত পছন্দ করি। একটা নির্দিষ্ট চিন্তার প্রতিবাদ আমি করেছি ঠিকই, কিন্তু কখনোই চাই না আমার প্রতিবাদের সুযোগে অন্য কেউ তামাশা দেখে যাক, কিংবা আমাকে সমর্থন করার দায়ে অন্য কেউ কথা শুনুক।
তাই আবারও বলি, সবাই ভালো থাকুন, সুখে থাকুন।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
তানবীরা আপনার লেখাতে ব্যক্তিগতভাবে আমিও আক্রান্ত বোধ করছি। হিন্দু পরিবারে জন্ম আমার অনেক বন্ধু আছে যারা ব্যক্তিগতভাবে অনেক মুক্তমনা। (গত কালকে এমন এক বন্ধুর বাসায় যেয়ে লক্ষ্মী পূজার ভোগ খেয়ে আসলাম। এখন কেন যেন ওর কাছে লজ্জ্বা লাগছে, আপনার লেখা এবং এর পরের বাদানুবাদ পড়ে)। আমি ভাবছি, আপনার মতো মানুষদের এইরকম আলপটকা কথা বার্তা দেখে তারা আমাকে আপনার সারিতে ফেলে দেবে না তো? (কেননা আপনি আমি দুজনেই মুসলিম নাম ধারণ করি)। আপনি দয়া করে আমার কাছেও ক্ষমা প্রার্থনা করবেন কি?
অরূপের কথায় অশালীনতা দেখিনি, অশালীনতা দেখেছি তাতা'র বক্ত্যব্যে।
আশা করি তাতাপু উনার ভুল শুধরে নেবেন অথবা জাকিরের মত যুক্তি দেখাবেন, দুটোতেই স্বাগতম।
আর কিছুই না করলে শুধুই ঘৃণা।
...........................
Every Picture Tells a Story
"মাস চারেক হল সচলায়তনের ব্যবস্থাপনা, অর্থায়ন, মডারেশন এইসব থেকে দূরে থাকি এবং কাছে আসার ইচ্ছাও খুব প্রকাশ করি না।"
আপনার এই সিদ্ধান্তের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ না জানিয়ে পারলাম না।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
অরূপ ব্যক্তি সর্ম্পকের বাইরে বেরিয়ে এসে প্রতিবাদটা জানাতে পারে। এই কারনে সবার চক্ষুশুল হয়। অরূপ তারপরও নিজের অবস্থান থেকে টলেনি। অরূপের কাজটা আমি কয়েকবার করতে চেয়েছি। কিন্তু বিদ্রুপ ছাড়া কিছুই মেলেনি।
অরূপের অনুপস্থিতি হয়ত কারো কারো জন্য স্বস্থিজনক। কিন্তু সচলায়তনের ব্যালেন্সের জন্যই অরূপ কিংবা অরূপের মত একজনকে (যে আরেকটু যত্ন নিয়ে কথা বলে ) দরকার।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
সুবিনয় দা’, আপনি এভাবে ব্যক্তিগত রাগ ঝাড়বেন, আশা করতে পারি নি। অরূপের অসংখ্য দোষ। কিন্তু তার গুণগুলি কি সচলায়তনের জন্য একেবারেই অপ্রয়োজনীয় (মাহবুব মুর্শেদের মন্তব্য দ্রষ্টব্য)। অরূপ ছাড়া সচলের মান ও পরিবেশ উন্নততর হয়েছে?
আমি সচলায়তনের অনেক পুরাতন ও নীরব পাঠক। সচলায়তনে এখন যত পরিমাণ বিশ্রী ও রীতিমত অশালীন মন্তব্য চোখে পড়ে, তা চোখে ও মনে পীড়া জাগায়। কয়েক মাস আগেও তা ছিল না। মডারেটরদের সংখ্যা বাড়িয়ে কোনো লাভ হয়েছে বলে মনে তো হয়ই না, বরং সচলায়তনের মান অধঃগামী। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত।
জনাব, মডারেটরদের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলে কেন মনে হলো আপনার? আমি তো সচলের সক্রিয় সদস্য, মডারেটরের সংখ্যা হ্রাসবৃদ্ধি নিয়ে কোনো কিছু তো জানি না! আপনি তো টুপির নিচ থেকে ডিম বার করছেন দেখতে পাচ্ছি।
বজলুর রহমান সাহেবকে কেন যেন মনে পড়ে আপনাকে দেখলে। উনিও আপনার মতোই গ্যালারিতে বসে তামাশা দেখার মুড নিয়ে সচলে আসতেন আর মূল্যবান ফোড়ন কাটতেন। পরে কে যেন তাঁকে ধুয়ে দেবার পর তিনি গা-ঢাকা দেন। আপনারা আত্মীয় না তো?
কাদের ভাই, দুঃখের বিষয় যে আপনি না জেনেই একটা মন্তব্য করলেন। অরূপের সাথে আমার কখনো কোন ব্যক্তিগত যোগাযোগ বা বাদানুবাদ হয়নি, আমার কোন পোস্টেও অরূপ কখনো বাগড়া দেননি। তাই ব্যক্তিগত ঝাল ঝাড়ার প্রশ্ন এখানে কি করে এলো, তা আমি বুঝতে ব্যর্থ হলাম।
ব্লগের মডারেশন বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য এর আগে করেছি, তাই তার আর পুনরাবৃত্তি করলাম না। একটা ব্লগ সামলাতে দরকার পরিষ্কার নিয়মনীতির। যেই নিয়ম মানলে সদস্য থাকবে, আর না মানলে সদস্য থাকবে না। হয়তো সেই পলিসি নেই, বা পলিসির সুষ্ঠু প্রয়োগ নেই, সেটা বিতর্কের বিষয় হতে পারে।
কিন্তু সেটা না করে রাতের আঁধারে ট্রিগার চাপতে ওস্তাদ এমন মডুর শরণাপন্ন হতে হবে, সেটা আমি মানি না। ঐরকম মাস্তানি টাইপ মডারেশনের পরিণাম কি হয়, সচলই তার ভালো উদাহরণ। সচলের মান যদি পড়ে গিয়ে থাকে, সেটার পেছনে কারণ অনেক কিছু হতে পারে, কিন্তু অরূপের অনুপস্থিতি থেকেই যে সেটা এসেছে, সেটাতে আমার দ্বিমত আছে।
আর তানবীরার কথাও নতুন করে কিছু বলার নেই। গত বছরও তিনি হিন্দুদের নিয়ে কদর্য কথা বলেছিলেন। যেটার প্রতিবাদ হয়েছিল, কিন্তু কোন অ্যাকশন নেয়া হয়নি। সেই সুযোগে তিনি আজকে আরেকবার তার মুখোশ উন্মোচন করলেন। তার নতুন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় কি না, সেটা আপনি অপেক্ষা করে দেখতে পারেন। সচলদের মধ্যে ব্যক্তিগত (মানে বাস্তব জীবনে) খাতির আগের যে কোন সময়ের তুলনায় বেশী। সেটাও এইসব সিদ্ধান্তে কোন ফ্যাক্টর কিনা ভেবে দেখতে পারেন। দেশের একটা ক্রান্তিকাল চলছে, কিন্তু আগেকার ধারালো লেখকদের প্রবন্ধগুলো এখন মোটামুটি অনুপস্থিত। তার বদলে নিয়মিত সচলাড্ডার বিভিন্ন পোস্ট পাবেন। ব্লগের এই জমজমাট-আড্ডা আমেজটা অনেকের ভালো লাগে, হয়তো কারো লাগে না। এর সুবিধা বা অসুবিধা নিয়েও আলাপ হতে পারে। তবে হিটলারি মডু কোন সলিউশন না। আগেও চাইনি, এখনো চাইনা।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
আপনার মন্তব্য পড়ে যা বুঝলাম, আপনি পলিটিক্যালি কারেক্ট ভাষায় বলার চেষ্টা করছেন, "ব্লগোত্তর সুসম্পর্কের" সূত্র ধরে কোনো কোনো সচলের ওপর নিয়মনীতি ঠিকমতো প্রযুক্ত হয় না।
কথাটা বলে খুব হালকা লাগছে না :D ?
আপনার কাছ থেকে ধারালো প্রবন্ধের অপেক্ষায় থাকলাম। আপনার কথা শুনে মাঝে মাঝে মনে হয়, কোনো এক ধারালো ব্যক্তি সচল ছেড়েছেন, আর সাথে সাথে প্রস্তরযুগে ফিরে গেছে সচল। নিজে হাত পা গুটিয়ে বসে থেকে নানা বিতর্ক তো তোলাই যায়। সহজ কাজটাই কেন বারেবারে করেন?
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
অন্য ধর্ম নিয়ে এধরনের মন্তব্য আসলেই আপত্তিজনক। ধর্ম ব্যাপারটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে শুধু মাত্র হিন্দু ধর্মানুসারী হলেই রেসিস্ট হয়ে যাবে এটা মানসিক সর্কীনতা ছাড়া আরি কিছু ভাবতে পারছি না। দুঃখিত।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
স্বাতী আপার পোস্টটা পড়ি নাই, চোখ বুলিয়ে গেছি শুধু, কিন্তু ফাঁকে যে এমন ঢালাও বিদ্বেষপূর্ণ কথা আছে, চোখে পড়েনি। আলোচনায় উদ্ধৃতি দেখে স্তম্ভিত হলাম।
এবার দেখা যাক, ব্লগার হিমু ও স্বাতী আপা বনাম মডারেটর (কোন রঙের জানি না) হিমু ও তানবীরার দ্বন্দ্বে কে জয়ী হন।
ওরে কে আছিস, ফজলুরে চা দে, তামুক দে, পপকর্ন দে। গ্যালারির সিটগুলি ঝাইড়া দে ভাইরে। তামশা দেখতে আসছে ভাইয়ে।
কাদের ভাই, ব্যক্তিগত আক্রমন কেন করছেন? এটা তো হিমুদার ব্লগ না!!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ওনার দৌড় ঐ পর্যন্তই।
বাক্যটার মনে হয় অতি সাধারায়ণ (জেনারেলাইজড) করা হয়েছে। প্রত্যেকটা ধর্মের মূল সুরই কিন্তু ভালো। ধর্মের অনুসারীদের কোন কর্মকান্ডের কারণে ধর্মের দোষ দেয়াটা বোধহয় জ্ঞানীর কাজ নয়। তেমনিভাবে কোন ধর্মের সবাইকে এক পাল্লায় ফেলাটা বেশ ভয়ংকর। মুসলিম মাত্রই যেমন মৌলবাদী নয় (যেমন আমি), তেমনি হিন্দু মাত্রই বর্ণবাদী তেমনটি হতে পারেনা।
প্রথম প্যারার শেষাংশ পড়ে বাকিটা পড়ার রুচি হলো না! সচলায়তনে এই পরিমাণ সংকীর্ণ মনের মতবাদ প্রকাশিত হয় এবং তা বাহবাও পায় অন্যদের কাছে! মন্তব্যের ভাষা নেই। অন্যান্য বাংলা ব্লগে যাই না এই কারণে। সচলায়তন পড়ি নিয়মিত। কিন্তু এখানেও এই চর্চা শুরু হলে আর কোথায় যাব?
একজন সহমত জানালে চর্চা শুরু হয়েছে তা বলা যায়না। কতজন সমালোচনা করল সেটাও দেখুন
এত মন্তব্য দেখে সবগুলো না পড়েই কমেন্ট করেছিলাম, দু:খিত।
এভাবে কোনো ধর্ম নিয়েই বলা যায় না, উচিত নয়।
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
ফজলু এখন কোথায় যাবে?
কইতাছিলেন অনুষ্ঠানের কথা, এর পর কইলেন খুব নিষ্ঠাভরে সব হইতাছে তারপর ধাম কইরা পরের লাইনে হিন্দু-মুসলমান, বর্ণবাদ কেমনে আইলো হেডাই বুঝলাম না হাহাহা
কিছু মানুষ আছে যারা এমনি এমনি বর্ণবাদী, আপনের কথায় আপ্নেরে তাই মনে হইলো
বড়ই আমোদ পাইলাম
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
কথা খুব বেশী জমে গেলে মনে হয় কিছুই বলা যায় না।
খারাপ লাগাটাই শুধু জানিয়ে গেলাম।
তানবীরার কথাটি কতোটা সংবেদনশীল, বা শালীন ছিলো?
এর আগেও কি তিনি হিন্দুদের সম্পর্কে ঢালাও আজেবাজে মন্তব্য করে নিজের সংবেদনশীলতা, বা শালীনতার পরিমান সম্পর্কে আমাদেরকে ধারণা দেননাই?
ভাই আমি যদি বলি, সচলায়তনের বেশিরভাগ মুসলমানরা আসলে হিন্দুবিদ্বেষী হিপোক্রিট। অপু ভাইয়ের মন্তব্যের আগের যেই সতেরোজন মন্তব্যকারী কেউ তানবীরার ঢালাও বর্ণবাদী মন্তব্যের প্রতিবাদ করেননাই, কিংবা সহমত হয়েছেন, এইগুলা হচ্ছে সবচাইতে বড়ো ভণ্ড-- কেমন অনুভব করবেন উনারা?
এইরকম স্টেটমেন্ট তানবীরা আপুর বক্তব্যের মতোই অশিক্ষিতঅশালীনঅসংবেদনশীল হবে।
তাই আমি এরকম কথা বলছিনা
তবে এই লেখা এবং এতোগুলি প্রশংসাসূচক মন্তব্য দেখে সচলায়তনের সচলত্ব নিয়ে সংশয় জাগে।
অরূপের সাথে সহমত।
তানবীরা আপু, আপনার এরকম ঢালাও মন্তব্যে স্তম্ভিত হলাম। আশা করি আপনি আপনার ভুল বুঝতে পারবেন।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার প্রেক্ষাপটে ধর্ম বা জাতি নিয়া জেনারালাইজড কোন সিদ্ধান্ত নিয়া ফালানো খুব খারাপ জিনিষ।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
হাঃ
দৌড়ের উপর প্রথম প্যারার লাইনগুলো চোখ এড়িয়ে গেছে আমারও
কথাগুলো একেবারেই সাম্প্রদায়িক তাতা
কী ব্যাখ্যা আছে আপনার জানি না
কিন্তু ওই লাইনগুলো চোখে পড়লে আমি আমার ফাজিল কমেন্টটা করতাম না এই লেখায়
০২
যেদিন আপনি সেই বিষয়টা আমাদের বোঝার মতো করে বলবেন সেদিন বুঝব
আজ আপাতত আমার আগের করা কমেন্টটা আপনি মুছে দিয়েন আপনার পোস্ট থেকে
লীলেনদা, আমি ভেবেছিলাম আপনি আমাকে বিন্দু হলেও চিনেন, জানেন। যাহোক, আমি আমার ব্যাখা দিয়েছি। তারপরও আপনি যদি বলেন, মুছে দিতে আপনার মন্তব্য, আমি দিবো দাদা।
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
অনেক তিক্ত কথা বলেছি ঠিকই, সেই সাথে অবশ্যই একটা ব্যাপারে কৃতজ্ঞতা না জানালে অন্যায় হয়।
সচলায়তনের বেশ কিছু সদস্য আমাকে ব্যক্তিগত মেসেজ, ফেসবুক কিংবা ইন্সট্যান্ট মেসেঞ্জারে দুঃখ প্রকাশ করেছে ব্যক্তিগতভাবে, জানিয়েছেন তাঁরা কেউ এমন ভাবেন না। তাঁরা আমার বন্ধু, আমার পাশেই আছেন।
তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আপনাদের বন্ধুত্ব আমাকে ঋদ্ধ করেছে। আপনাদের সবাইকেই ধন্যবাদ।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ধর্ম নিয়া যেখানে তর্ক-বিতর্ক হয়, সেখানে সাধারনত আমি থাকি না। আমি নিজে এখানে একজন সংখ্যালঘু। যে এলাকায় থাকি, সেখানে আশে-পাশে মুসলমানের নাম-গন্ধও নেই। এলাকার লোকে আমাকে একবাক্যে মুসলমান বলে ডাকে, কেউ ঠিকানা জানতে চাইলে বলে, ওই মুসলমানদের বাড়ি যাবেন? সে এই ফ্ল্যাটবাড়ির বাসিন্দাই হোক বা গলির মুদিখানার মালিকই হোক।
যে দোকানে কাপড় সেলাই করাই, তাদের প্রত্যেক ঈদে অবাক প্রশ্ন থাকে, সারাদিন উপোস করে তারপর গান্ডে-পিন্ডে এত খায় কী করে লোকে? এটা কী রকম ধর্ম,সারা রাত খাও আর সারাদিন উপোস কর? মহিলা কিন্তু অশিক্ষিত বা স্বল্প শিক্ষিত নন, উচ্চ শিক্ষিত এবং ঝাঁ চকচকে বুটিক চালান।
আরেকজন আছেন, সারা দুনিয়ার বই-পত্তর গুলে খেয়েছেন, সুযোগ পেলেই মুসলমান-ইসলাম নিয়ে খিস্তি-খাস্তা মন-প্রাণ খুলে করেন, সমালোচনা বলে যেগুলো করেন, তাকে আমি অন্তরের সমস্ত ঘৃনা ঢেলে দেওয়া ছাড়া আর কিচ্ছু বলবো না। নিজেকে নাস্তিক বলে সগর্বে প্রচার করেন, অথচ জন্মসুত্রে যে ধর্মাবলম্বী তিনি, সেই ধর্মের সমালোচনা করতে তাকে দেখিনি কখনো।
দেশভাগ-ভিটে ছেড়ে তাঁর পূর্ব পুরুষের চলে আসার সমস্ত দায় মুসলমানদের। ওখানে থাকলে কেটে কুচি কুচি করে ফেলা হত নাকি।
এখানে, যা কিনা এক ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ, সেখানে কেটে কুচি কুচি করা হয় না মুসলমানদের? কেটে তো ড্রেনে ফেলে দেওয়া হয়, দশ ভাগের একভাগও যে খবরে আসে না, সে সাংবাদিকেরা নিজেরাই বলেন। সব জায়গাতেই বর্ণ বৈষম্য আছে, সকলেই জানেন সেটা। হয়ে আসছে, হয়ে চলেছে আর হতেই থাকবে। এ নতুন কিছু নয়।
সমালোচনা যদি করতেই হয় তো নিজের ধর্ম বা জন্মসুত্রে যে ধর্ম পেয়েছ, সেটা নিয়ে আগে কথা বলো!
তানবীরার এই স্টেটমেন্ট কোনো ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়, কিন্তু অরূপ যা বলে গেলেন, যেভাবে বলে গেলেন, সে তো রিতিমতো হুমকি!!
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
যে ব্যাক্তি বর্তমানে সচলায়তন মডারেশনে নাই তার কথাকে হুমকি বলার কোন যৌক্তিকতা নাই। খামাখা বিষয়টার মোড় না ঘোরানোর অনুরোধ জানাই।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মুর্শেদ,
তিনি মডারেশনে আছেন কী নেই, আমি জানি না, আর আমি মোড় ঘোরানোর কোনো চেষ্টাও করি নাই বা করার কোনো উদ্দেশ্যও নাই। আমি অত্যন্ত দু:খিত কিন্তু এখনও এটাকে আমি হুমকিই বলবো।
তানবীরা যা বলেছেন, আমি আশা করব, তিনি তার ব্যাখ্যা দেবেন।
ব্যক্তিগত কারণে সচলায়তন বা অন্য সমস্ত ওয়েব পাতা থেকে রিতিমত নিজেকে সরিয়ে রেখেছি, কাজেই সমস্ত লেখা পড়াও হয় না, জানিও না এর আগে তিনি কি বলেছেন। পড়া থাকলে আর আপত্তকর বক্টব্য-মন্তব্য-স্টেটমেন্ট চোখে পড়লে তার প্রতিবাদও করে আসব।
এই পাতাতেই তার সাথে আলাপ, এত বড় এক ইস্যু নিয়ে তিনি চুপ করে থাকবেন, এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।
তানবীরা,
আমরা অপেক্ষা করছি।
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
পশ্চিমবঙ্গের অনেক জায়গাতেই মুসলিমদের কেমন দৃষ্টিতে দেখা হয় কিছুটা আন্দাজ পেয়েছি কয়েকবার যেয়ে। সংখ্যালঘু হওয়ার অভিজ্ঞতাটা মনে হয় কোথাও-ই তেমন সুখকর না। তবে আমাদের ধর্মই মনে হয় এই- নিজেরা সংখ্যাগুরু হইলেই ভুলে যাই, লঘু হলে কেমন লাগতে পারে।
তোমার অভিজ্ঞতাটাই মোটামুটি মিরর করে এদেশের অনেক হিন্দুর জন্য চালিয়ে দেওয়া যায়। যাই হোক, এই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গেলে সবারই রাত পার হয়ে যাবে।
আমি শুধু একটা কথাই বলি, অরূপদার মন্তব্য অনেকের কাছেই অনেক কিছু মনে হবে, কিন্তু আজকে তিনি আমার কাছে প্রথম সহায় ছিলেন। প্রথম কোন কর্তৃপক্ষের স্বর (যদিও বর্তমানে নিষ্ক্রিয় আছেন), যাতে আমি আশ্বস্ত হয়েছি যে, আমার এই অপমানটা একজন হলেও ঠিকভাবে অনুভব করতে পেরেছেন। তাই আজ অন্তত অরূপদার বিরুদ্ধে কারো কোন অভিযোগ থাকলে তা আমার দিকেই ছুড়ে দিন। এর সব দায় দায়িত্ব আমার।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সবজান্তা,
তোর আগের একটা মন্তব্যের একটু সুতো ধরে বলছি,
ওখানে হিন্দুদের মালাউন বলা হয়, আর এখানে মুসলমানদের "কাটা" বলা হয়। আশা করি এই কাটা শব্দটির মানে বুঝিয়ে হবে না।
ঠিক বলেছিস, সংখ্যালঘু হওয়াটা কোথাওই- সুখকর নয়।
-----------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
তানবীরা, তোমার লেখা বরাবরের মতই ভালো লেগেছে। সেই মুক্ত-মনা থেকে যদি তোমাকে না চিনতাম তাহলে তোমার এই বিশেষ লাইনটি হয়ত ভাবাতো। যেহেতু তোমাকে ওইটুকু জানি, আমার বিশ্বাস তুমি সেই অর্থে কথাটা বলনি, কাউকে কষ্ট দেয়ার উদ্দেশ্যে বলনি। তুমি ভাল থেক।_
______________________________
আর সব যুদ্ধের মৃত্যুর মুখে হঠাৎ হাসির মতো ফুটে ওঠা পদ্মহাঁস
সে আমার গোপন আরাধ্য অভিলাষ!
--আবুল হাসান
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
আইচ্ছা , ঘটনা তাইলে এই দাঁড়াইলো যে, মুক্তমনার সময় থেকে না চেনার কারণেই আমরা ভুল বুঝসি !
ইশশ, আফসোস লাগে, কেন যে মুক্তমনা থেকে ব্লগিং টা শুরু করি নি, তাইলে হয়তো ঠিক ঠাক মতো সব কিছু বুঝতাম। ধুর, আফসোসে সারা রাত ঘুম হবে না আমার আজকে
কেন আমি মুক্তমনার যুগ থেকে মানুষজন চিনি না , কেনু কেনু কেনু...
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আপনি মনি'র কথাটাকে নিয়ে হাস্যরস করলেও, এই কথাটাই সত্যি।
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
হাস্যরস কই করলাম ! আমি শুধু আফসোস করলাম যে, উনার মতো করে অনেক কিছু জানি না দেখে, চিনি না দেখে, ঠিকভাবে বুঝতে পারি নাই।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
খুবই আশ্চর্য হলাম আপনার মন্তব্যে। আমি মোটেও সেরকম কিছু বলতে চাইনি। শুধু বলতে চেয়েছি যে ওঁর আরো অন্যরকম কিছু লেখা পড়ার সুযোগ হওয়ার কারণে আমি ভুল বুঝিনি।আমার নিজের জন্ম হিন্দু পরিবারে, সামান্য হলেও কিছুটা তো দেখেছি, বুঝেছি এই ধর্ম এবং কালচারকে। কাউকে কষ্ট দেয়া আমার উদ্দেশ্য নয়। যা সত্য মনে হয়েছে বলেছি। ভালো থাকবেন।
_______________________________
আর সব যুদ্ধের মৃত্যুর মুখে হঠাৎ হাসির মতো ফুটে ওঠা পদ্মহাঁস
সে আমার গোপন আরাধ্য অভিলাষ!
--আবুল হাসান
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
আমি বাজি ধরে বলতে পারি, আপনার দুইটা মন্তব্য, বিশেষত প্রথমটা দেখে যতোটা বিস্মিত আমি হয়েছি, ততোটা আশ্চর্য আপনি হন নি।
যাই হোক, সচলায়তনে অনেক দিন ধরেই একটা শীত নিদ্রা টাইপ অবস্থায় ছিলাম। আজ বহুদিন পর এক গাদা কমেন্ট করে ফেললাম। অনেককে বোধহয় আঘাতও করলাম। কাউকে আমার দুর্মুখ স্বভাবের দ্বারা আঘাত করে থাকলে দুঃখিত।
ঘুমাতে গেলাম।
জগতের সকল জীবই সুখী হোক।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
উনি বললেন হিন্দুরা বর্ণবাদী, আপনি বললেন বেদ উপনিষদ পড়লেই জানা যায়, আর আমার মাথায় ঘুরতে লাগলো কিছু সীন, যেমন রাস্তাঘাটে অফিস আদালতে হিন্দুরা এক হাতে বেদ আর আরেক হাতে উপনিষদ নিয়া ঘুরতাসে আর জায়গায় জায়গায় বর্ণবাদ কইরা বেড়াইতাসে, এরে মারতাসে ওরে ধরতাসে, রায়ট করতাসে ইত্যাদি।
আমি যে পাপী, এতদিন পর যদি কুই কুই কইরাও কই না মানে .. আইজ্ঞা আমার জন্ম হিন্দুঘরে.. তাইলে ব্রহ্মা বিষ্ণু মহাদেব তিনজনেই এমন জোরে হাইসা উঠবো যে আরেকটা প্রলয় লাইগা যাইতে পারে। আপনাদের কথায় আমিই যেইখানে কষ্ট পাইলাম, একটা হিন্দু যে কি করবো তাই ভাবতাসি।
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
কমরেড আপনার কমেন্ট পইড়া হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ। সীনটা ভিজুয়ালাইজ করতেই...
গুড নাইট !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমি প্রথমেই সবার কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, আমার ধোঁয়াটে বক্তব্যের জন্য। আমার লেখা লাইনটাকে যদি “একজন মুসলমানের দ্বারা লিখিত বক্তব্য ধরা হয় হিন্দু ধর্মের বা অন্য ধর্মালম্বীদের বিশ্বাসে আঘাত করার জন্য” তাহলে বির্তকের অনেক সুযোগ আসে। আমি মানবতায় বিশ্বাসী কোন ধর্মে নয়। এই কথাটি কম বেশি অনেকেরই জানা। এই লাইনটি মুসলমান হিসেবে অন্যকে আক্রমন করার মানসে লেখা হয় নাই। ইসলাম ধর্ম তথা ধর্মের সমালোচনা করে অনেক লেখাই আমার আছে, মুক্তমনা, সদালাপ, সাতরং, ভিন্নমত ইত্যাদিতে প্রকাশিত।
যে জিনিস মানুষের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে তা কিছুতেই মানুষের কল্যানে আসতে পারে না, এই আমার বিশ্বাস। ধর্ম , বর্ণ নির্বিশেষ সব মৌলবাদের বিরুদ্ধেই আমি আমার মনের অবস্থান অনুভব করি। মৌলবাদের বিরুদ্ধে আমার মনের এই বিরক্তিটাই প্রকাশ পেয়েছে। যেহেতু বিশেষ ধর্মালম্বী অধ্যুষিত পরিবেশে আমার দিনের অনেকটা সময় কাটে, তাই তাদের মৌলবাদগুলোই আমার বেশি চোখে পড়ে আর মনে প্রশ্নের উদ্রেক করে। তাই হয়তো অসাবধানতা বশতঃ তাদের নামটা এসে গেছে। “Cast and Creed” নিয়ে ওদের নিজেদের মধ্যে যে বিভেদগুলো কাজ করে, তা আমাকে প্রচন্ডভাবে ব্যথিত করে। তবে সেটা কম বেশি সব ধর্মেই বিদ্যমান।
অনেক কথা বা কাজই আমাদেরকে আহত করে। আহত হওয়াটাই আসল কথা না, বাস্তবটাই আসল। “বাংলাদেশ” মুষ্টিমেয় কিছু লোকের জন্য পাঁচ পাঁচ বার দুর্নীতিবাজ খেতাব প্রাপ্ত। আমরা যারা দুর্নীতি করি নাই, তারাও এই খেতাবের জন্য সর্বত্র অপমানিত। দুর্নীতি করি নাই কিন্তু প্রতিবাদও করতে পারি না।
আশাকরি আমি আমার দৃষ্টিকোন ব্যখা করতে পেরেছি। সচলায়তন আমার সবচেয়ে আনন্দের জায়গা। এজায়গাতে আমি কোন ধরনের তিক্ত বির্তক টানতে আগ্রহী না, কিছুতেই না, কোন মূল্যেই না। তাই আমি এই লাইনটা পোষ্ট থেকে মুছে দিলাম।
ধন্যবাদ সবাইকে।
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
এইখানে এই 'একজন মুসলমানের দ্বারা লিখিত' কথাটা আসলো কিভাবে? কেউ তো এইখানে বলে নাই এই কথা! হিন্দু-মুসলমান ইস্যু তুলতাসেন কেন? আর শুধু মুসলমান বললেই গায়ে লাগবে অন্য কেউ বললে গায়ে লাগবে না এইটাই বা কেমন কথা? আপনি ইসলাম নিয়া কি বলসেন না বলসেন সেইসবের তুলনাই বা নিয়া আসতাসেন কেন এইটার সাথে? কিছুই বুঝলাম না!
আর তাই ঢালাওভাবে সবাইকে এক কাতারে ফেলবারও চেষ্টা করেন? বুঝলাম না কিছুই!
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
তানবীরা আপু, কিছু মনে করবেন না। আপনি যদি বলতেন, হ্যাঁ! হিন্দু ধর্মে এই জিনিসগুলো খারাপ, এই অংশ বর্নবাদী তাহলেও মানতাম। কিন্তু একেবারে সবাইকে ধরে টান দেওয়াটা একদমই উচিত হয় নাই। এভাবে বললে, সবজান্তা ভাই, অভিজিৎ দাও কিন্তু বর্নবাদীদের অংশ হয়ে যায়। আশা করি সীমানাটা বোঝাতে পেরেছি।
ধর্মকে যত ইচ্ছা গাল দেন, কিন্তু মানুষকে ভালোবাসুন। আমি জানি আপনি মানুষকে সত্যিই ভালোবাসেন তবুও বলবো একটু লেখার সময় একটু সতর্ক থাকুন। কারণ এই ধরনের বাক্য খুব ধীরে ধীরে বিষবাষ্প ছড়ায়, যা আলটেমেটলি সবার জন্যই ক্ষতিকর।
আনন্দে থাকুন।
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
রায়হান মনে কিছু করার মতো কিছুতো তুমি বলো নাই। তবে অভি ভাইয়ার কথা এর মধ্যে আসে না। আমার নামটা যেমন তানবীরা ওনার নামটা তেমন অভিজিত, ঐটুকু বাদ দিলে তিনি শুধুই মানুষ আর সবার মতো।
আমি যা লিখেছিলাম তাতে তিনি বর্ণবাদের অংশ হয়ে গেলে, ওনার কাছে থেকে এতো ভালো ভালো বিশ্লেষনধর্মী লেখা পাঠক পেতো না। ওনাকেতো লোকেরা কম কিছু বলে না।
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
যারা আমাকে ব্যাক্তিগতভাবে ম্যসেজ দিয়ে দুঃখিত না হতে অনুরোধ করেছেন, সাহস - সান্ত্বনা দিয়েছেন, ভালোবাসা জানিয়েছেন, পাশে থেকেছেন তাদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। তাদের ভালোবাসার ঋন শোধ দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই।
আমি কৃতজ্ঞই হয়ে রইলাম।
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
এই লোক আর আপনার সাথে পার্থক্য আছে কি নাই বুঝার চেষ্টা করতেছি।
মডু দাদার দৃষ্টি আকর্ষন করছি, আমার মতে এই পোস্টে মন্তব্য করার সুযোগ এখানে বন্ধ করা উচিত। আর ধর্ম নিয়ে লেখা লেখি না করাই ভালো, এতে অযথা খোচাখোচি আর মতবিরোধ, সেখানে থেকে সম্পর্ক নষ্ট হয়, সুন্দর পরিবেশ নষ্ট হয়, কাজেই আমার মত ভুদাই মানুষের অনুরোধ, ধর্ম বিষয়ক ব্যাপারা নিয়ে লেখালেখি থেকে দূরে থাকুন, সচলে শান্তি সৌহার্দ্য বজায় রাখুন। ধর্মকে ব্যক্তিগত পর্যায়েই রাখুন। আশা করি এতে করে এরকম ঘটনা ভবিষ্যতে আর ঘটবে না। এখানে যেন আমরা সবাই মিলে মিশে থাকতে পারি, এই কামনা রইল। সবাই ভালো থাকুন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
কেনো? দরজা বন্ধ করে দিলেই সব ঝড় থেমে যাবে?
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
ঝড় থামবে কেন? তিক্ততাই বাড়বে, যদি সেটাই আপনার কাম্য হয়, চালিয়ে যান!! সাবাশ!! সবজান্তা ভাইজান এবং অন্যান্য সচলেরা পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিয়েছে, আমার মনে হয় না, নতুন করে কাউকে কিছু বোঝানোর আছে। কারো বোঝার থাকলে এর মাঝে বুঝে যাবার কথা, কেউ বুঝতে না চাইলে একই কথা ১০ বার বললে কি বুঝে যাবেন?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
দুঃখিত আপু...আপনাকে অনেক শ্রদ্ধার আসনে বসিয়েছিলাম। আজকে সেটা পুরো ভেঙ্গে গেল...সচলের অনেক প্রবাসী প্রবাসে কেন এসেছেন তা justify করেন। আমি কেন এসেছি জানেন? শুধু একটা কারণে...বেঁচে থাকার নিরাপত্তাটুকু পেতে (জোট সরকারের আমলে)। অর্থ-সম্পদ-সম্মান কোনকিছুর অভাব ছিলনা...তবুও বাবা-মাকে ছেড়ে এই কষ্টের জীবনে এসেছি...যেন তারা নিশ্চিত থাকেন যে তাদের সন্তান বেঁচে থাকবে। সচলে এমন কারো দেখা পাব ভাবিনি...সচলের সবাই সামাজিকভাবে মনমানসিকতার দিক থেকে হয়ত 'মাইনরিটি'! বলতে নিজেরই কষ্ট হচ্ছে...আপনি এই বিদেশে কিসের মুখোমুখি হচ্ছেন জানিনা...কিন্তু আমি আমার জন্মভূমিতে তারচেয়ে হাজার গুণ বেশি সহ্য করেছি...কখনও তবু মাথা নিচু করিনি। বলতে খুব কষ্ট হচ্ছে...খুব রূঢ় শোনাবে...আমি দেশ ছেড়েছি হয়ত আপনার মত মানুষের মনমানসিকতার জন্য!!
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
অরূপ ভাইর মন্তব্য খুব কর্কশ মনে হচ্ছিলো অনেকক্ষণ। আপনার ক্ষমাপ্রার্থনামূলক বক্তব্য শোনার পরে তা আর খুব কর্কশ মনে হচ্ছে না।
আপনি এক ধর্মকে গালি দেওয়ার পরে তাকে যুক্তিযুক্ত প্রমাণ করার জন্যে বললেন, "যান অমুক সাইটে গিয়ে দেখে আসেন - আমি অন্য ধর্মরেও গালি দেই"। এইটা কোন ক্ষমা প্রার্থনার ভাষা হয় না।
আমি খুব অনিয়মিত, আর সবার মতো ব্যক্তিগত যোগাযোগ বা সামাজিকতা রক্ষা করি না, সেইজন্যে বেশি কথা বলার সাহস পাই না। এখনো সচলায়তন ছেড়ে দিই নি, কাজেই মনে করি এইটুকু কথা বলার মতো অবস্থান আমার আছে।
আপনি যদি বলতেন, "মুসলমানরা সব টেরোরিস্ট বা ইহুদিরা সব বর্বর" - আমি একই প্রতিবাদ করতাম।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
পড়লাম।
লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?
তাতাপু এতো ভাল নৃত্য করেন জানা ছিলনা। আপনার একক নৃত্য দেখার ইচ্ছা রইল। পিচ্চিগুলোর নাচ দেখে মজা পাইলাম।
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
আমি আস্তিক-নাস্তিক ক্যাচাল থেকে সাধারণত দূরে থাকি। কারণ, এরকম ক্যাচাল শেষ পর্যন্ত উগ্রতায় গিয়ে শেষ হয় এবং আমার কাছে উগ্র আস্তিক ধার্মিক নয় এবং উগ্র নাস্তিক নাস্তিক নয়, তারা দুজনেই স্রেফ নির্বোধ। দুই নির্বোধের তালগাছফাইট দেখতে ভালো লাগে না, তাতে জড়াতেও রূচি হয় না। মূল পার্থক্য বিশ্বাসে। মহাবিশ্বের সব জ্ঞান মানুষের আয়ত্বের মধ্যে নেই। এখন আস্তিকেরা ভাবে, সবকিছু সৃষ্টির জন্য একজন সৃষ্টিকর্তা লাগে, তাকে খুশি করার দরকার আছে। নাস্তিকের কথা হলো, যেটার প্রমাণ নাই, সেটার ওপর বিশ্বাসও নাই। যার যার বিশ্বাস নিয়ে সে সে থাকলেই ক্যাচাল হয় না।
সারফেস থেকে দেখলে ইসলাম ধর্মেও রেসিজম আছে। আবু লাহাবের বংশ ধংস, আদ সামুদের পাপীষ্ঠ জাতি, কাফিরেরা নিকৃষ্ট, ইহুদিরা অভিশপ্তটাইপ বয়ান অন্যপক্ষ ভালোভাবে নিবে না। কিন্তু আমি যতোদূর বুঝি, এই উৎকৃষ্টতা বা নিকৃষ্টতা বিচারের ভার আল্লাহর হাতে। আল্লাহকে বিশ্বাস করে তার ইবাদত করলে আল্লাহর কাছে সে উৎকৃষ্ট মানুষ হবে। কিন্তু একজন আল্লাহতে বিশ্বাসকারীকে আল্লাহ সেই ক্ষমতা দেন নাই, যে আল্লাহতে অবিশ্বাসকারীর প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করবে, একজন অমুসলমানকে গিয়ে বলবে, তুমি মুসলমান না, তাই পশুর চেয়ে অধম। আমার মতে, এই ফাইন লাইনটা অনেকেই বুঝে না। সুতরাং আচরণগত দিক দিয়ে কেউ নিজেকেই আল্লাহর স্থানে বসিয়ে ননমুসলিমদেরকে ঘৃণা করা শুরু করে এবং সেটা প্রকাশ থেকেই ক্যাচাল শুরু হয়। সমস্যা হলো, একটা ধর্ম সম্পর্কে অন্য মানুষের জানার প্রক্রিয়ার শুরুটা হয় সেই ধর্মের মানুষের আচরণ থেকে। এখন তার কোন আচরণটা প্রকৃতপক্ষে ধর্মের নির্দেশ আর কোনটা তার নিজস্ব সীমাবদ্ধতা, তা জানার বা বোঝার আগেই অনেকে সিদ্ধান্তে চলে আসেন, ধর্ম সম্পর্কেই একটা বাজে ধারণা সৃষ্টি হয়। যেমন, হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে আমার ধারণা খুবই কম। ইসলাম ইকুয়াল টু যেমন কুরআন, হিন্দু ধর্মের মূল যে কি তা ও আমার জানা নাই। কিন্তু আমার খুব ঘনিষ্ট ব্রাহ্মণ ফ্রেন্ড আমাদের বাসায় এসে সবকিছু খেলেও কখনো ভাত খায় নাই, অনেক ব্রাহ্মণের ব্যবহৃত জিনিসপত্র মুসলমান ছুঁয়ে দিলেই তা ফেলে দেয়ার চল ও দেখেছি। বর্ণপ্রথায় ভাগ করে একেক দল মানুষকে জন্মসূত্রেই উঁচুনিঁচু মর্যাদায় ভাগ করার প্রক্রিয়াটাও অপছন্দের। আমি জানি না, এগুলো হিন্দু ধর্মের নির্দেশ, নাকি মানুষের ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতা বা ধর্মের অপব্যবহার। আমার কাছে এগুলোকে ধর্মের নির্দেশ হিসেবে মনে হয় না এবং তা দিয়ে আমার বন্ধুদেরকে স্টেরিওটাইপিং করি না।
তানবীরা আপুর স্টেটমেন্টটাকে আমার কাছে সারফেসে থেকে বক্তব্য মনে হয়েছে। এটাকে 'ধার্মিকদের' প্রতি তীব্র ঘৃণা পোষণকারী একটা জঘন্য স্টেটমেন্ট বলবো কিনা বা যারা আহত হয়েছেন, তাদের আহত হওয়ার মাত্রাটা কতোটা জাস্টিফায়েড এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। পারসোনাল জাজমেন্টের অনেক ফ্যাকড়া আছে, সেখানে গ্রে লাইন আছে, আপাতত তাই জাজমেন্টে না গেলাম।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমার সামাজিক পরিচয়ে আমি একজন হিন্দু। আর লেখিকার বক্তব্য হচ্ছে,
এইখানে কোথাও অধিকাংশ হিন্দু, প্রচুর হিন্দু কিংবা কিছু হিন্দু এই ধরনের কোন ক্লাসিফেকশন নাই, জাস্ট হিন্দুরা।
এখন আপনি আমাকে বলেন, আমার আঘাত পাওয়াটা জাস্টিফায়েড কিনা, সেই ব্যাপারে অনিশ্চয়তাটা কোন জায়গায় ?
এই বক্তব্যটাকে ঠিক কীভাবে দেখলে ভিন্ন অর্থ বের করা সম্ভব, সেটা আমার মাথায় আসে নি। তবে যদি কেউ আমাকে যুক্তি দিয়ে বোঝাতে পারেন যে, বক্তব্যে আমার এতো তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো ঠিক হয়নি, তবে আমি নিশ্চয়ই আমার কথা ফিরিয়ে নিবো, এমনকি দরকার হলে "নিঃশর্ত" ক্ষমাও চাইতে পারি।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
উনার বক্তব্যকে আমার কাছে সারফেসে থাকা বক্তব্য মনে হয়েছে। একটা উদাহরণ দেই। তীরুদাকে একবার তারেক মুনাওয়ারের ওয়াজ শুনিয়েছিলাম। তার কথাবার্তা শুনে উনি চরম উত্তেজিত, তারেইক্যা হাতের কাছে থাকলে উনি খুন করে ফেলতেন। কিন্তু যারা এই চিজের সাথে পরিচিত তাদের অনেকের কাছেই এর ওয়াজ মানে স্রেফ বিনোদন। এখন ইসলাম সম্পর্কে জানতে চাওয়া কোনো লোক যদি তারেইক্যার ওয়াজ শুনে, তার সাথে বুঝে বা না বুঝে গলা মেলানো অডিয়েন্সের ভাবভঙ্গি দেখে এবং তারপর কুরআনে পড়ে যে আবু লাহাব ধংস হোক, তাইলে তার কাছে মনে হতে পারে ইসলাম একটা রেসিস্ট ধর্ম।
প্রতিক্রিয়ার ঠিক-বেঠিকটা ডিফাইন করতে যাই নি, কারণ, এটা ব্যক্তিগত সেনসিটিভিটির ওপরে পড়ে। আমাকে কেউ যদি বলে মুসলমানেরা সন্ত্রাসী, আমি প্রথমেই ধরে নেই, ইসলাম সম্পর্কে সে বিশেষ কিছু জানে না। যদি সময় থাকে, তাকে বুঝিয়ে বলি যে ইসলাম আসলে শান্তির, সন্ত্রাসের যে রূপটা ইসলামের নামে বাজারে চালু আছে, সেটা ইনফ্যাক্ট ইসলামের বিকৃতি। আর যদি সময় না থাকে, তাহলে ইগনোর। আরেকজনের কমজানার জন্য নিজে আহত হলে নিজেরই ক্ষতি।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
জাস্টিফিকেশন????
পড়ে তো বটেই!!! আত্মসম্মান না থাকলে আরও ভালো...
খুবই সত্য কথা.. কিন্তু নোন রেসিস্টের সাথে বিনয় প্রদর্শন সম্ভব না, সেইটা আমার অক্ষমতা।
বছর খানেক আগে তার করা মন্তব্যের স্মৃতি মাথায় নিয়ে এই পোস্ট পড়লে কি রকম এক্সপেকটেশন থাকার (অথবা না থাকার) কথা? আপনিও তো ওই মন্তব্যের সময় সচল ছিলেন.. !!??
অরূপের ব্লগ @ http://etongbtong.blogspot.com
অরূপের ফ্লিকার @ http://www.flickr.com/photos/harvie-krumpet
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ধর্ম ব্যাপারটা আসলে যার যার ব্যক্তিগত বিষয়---- সেটা আস্তিক,নাস্তিক,অজ্ঞেয়বাদী সবার ক্ষেত্রেই খাটে। ধর্ম এক ধরনের বিশ্বাস যার উপর যুক্তি খাটে না। সব ধর্মের মূলসুর কিন্তু মানুষকে সুন্দর পথ দেখানো। সমস্যা হয় তখনই, যখন গোঁড়ামিতে আক্রান্ত হয় মানুষ। সেটা নিয়ে যুক্তি তর্ক করা উচিত কারণ গোঁড়ামি মানুষকে অনৈতিক কাজে উৎসাহিত করে। আমি অভিজিৎ চৌধুরির এক মন্তব্যে পড়েছিলাম লেখক শীর্ষেন্দু বলে কোনো শূদ্রের ছোঁয়া পানি খান না। আমার কিছু শূদ্রে বন্ধু আছে যারা শিক্ষিত, মার্জি্ত, রুচিবান। কিন্তু বিয়ের সময় শুধু কাষ্টের জন্য যোগ্য পাত্র/পাত্রী পাচ্ছেন না। আমার এক হিন্দু বান্ধবীকে জোর করে তার মুসলিম প্রেমিক থেকে সরিয়ে এক হিন্দু ছেলের সাথে বিয়ে দেয়া হয়েছে, সে হাসতে ভুলে গেছে। তানবীরা আপুর এই পোষ্টটায় ঐ অংশে সহমত পোষন করেছি কারণ আমার সেই বন্ধুগুলো তাদের ধর্মের গোঁড়ামিকে দায়ী করে। আমি ঐ বাক্যটির ঠিক শব্দ থেকে শব্দ বিশ্লেষন করিনি,আমি 'গোঁড়ামি সব ধর্মেই আছে' এই ভাবটায় সহমত করেছি। তানবীরা আপু যেহেতু কিছু হিন্দু পরিবারকে কাছে থেকে দেখেছেন তাই ওনার এই গোঁড়ামিগুলো অবজার্ভ করার সুযোগ বেশি। তাই তাদের গোঁড়ামির ব্যাপারটি নিয়ে যদি উনি সচলে লেখার আভাস দেন, সেইটায় আমি সহমত হয়েছি। মুক্তবুদ্ধির চর্চা কিন্তু সব ধরনের ক্ষতিকর দিকগুলোর বিরুদ্ধে। আশা করি,আমি কেনো সহমত পোষন করেছি বোঝাতে পেরেছি।
@ তানবীরা আপু, আমি আরেক পোষ্টে আপনার কমেন্ট পড়লাম, আমি মোটামুটি ধাক্কার মতো খেয়েছি। আপনি যদি এই পোষ্টের ঐ লাইনটিও একই মনোভাব থেকে লিখে থাকেন তবে আমি আমার সহমত অবশ্যই ফিরিয়ে নিচ্ছি।
@ অরুপের যুক্তির সাথে একমত হলাম, কিন্তু বক্তব্য প্রকাশের ভঙ্গীটি ভালো লাগলো না। সচলায়তন কিন্তু এখন একটা প্রতিষ্ঠান।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
বোঝার চেষ্টা করছি আপনি কনটেক্সট্ না বুঝে কমেন্ট করেন না সময়মতো রঙ পাল্টান..
আপনি হয়তো একদিন "সচল" হবেন
সেটা ভাবতে খুব ভালো লাগছে না..
আমার নামের বানানটা ঠিক করে লিখলে ভালো হয়
অরূপ.... অ, র এ দীর্ঘ ঊ-কার, প
অরূপের ব্লগ @ http://etongbtong.blogspot.com
অরূপের ফ্লিকার @ http://www.flickr.com/photos/harvie-krumpet
অরূপের ব্লগ @ http://etongbtong.blogspot.com
অরূপের ফ্লিকার @ http://www.flickr.com/photos/harvie-krumpet
আমি ভাই গরীব মানুষ একটা লিঙ্ক পাইলাম দিলাম সিদ্ধান্ত আপনাদের।
গরীব
সাউথ কোরিয়া
১২২ টি মন্তব্যের পর আর নতুন করে মন্তব্যের বেশী কিছু থাকেনা। তবু গরীবের দু পয়সা যোগ করিঃ-
১।
বর্ণপ্রথা মেনে নিয়েই যেহেতু হিন্দু ধর্ম টিকে আছে, সে অর্থে হিন্দু ধর্ম তো বর্ণবাদীই। ধর্মের এই বর্ণবাদকে মেনে নিয়েই যেহেতু হিন্দু ধর্ম বিশ্বাসীরা তাদের ধর্ম পালন করেন সেহেতু যুক্তিমতো প্রত্যেক হিন্দু ধর্মাবলম্বীই বর্ণবাদকে লালন করেন।
ইসলাম ধর্মের ল'বুক কোরান দাসপ্রথাকে অস্বীকার করেনি, দাসীদের সাথে যৌনসম্পর্কের অনুমতি দিয়েছে, অবাধ্য বৌকে পেটানোর অধিকার দিয়েছে- আজকের মানবিক বিবেচনা বোধে এই বিষয়গুলো স্পষ্টতই বর্বরতা। যারা মুসলমান তারা তাদের ল'বুকের দেয়া এই সব বর্বরতা মেনে নিয়েই মুসলমান। সহজ যুক্তিতে প্রতিটি বিশ্বাসী মুসলমানই তাহলে বর্বর।
কোন হিন্দু তার ধর্মের বর্ণবাদকে অস্বীকার করে কিংবা কোন মুসলমান তার ল'বুকের বর্বর নির্দেশ অমান্য করে হিন্দু কিংবা মুসলমান হন বলে আমার জানা নেই। ধর্ম আসলে তার বিশ্বাসীদের সেই সুযোগ ও দেয়না।
হিন্দু-মুসলমান-খ্রীষ্টান সহ পৃথিবীর যাবতীয় ধর্মকে কেউ যদি বর্ণবাদী, বর্বর, নারী অবমাননকারী, মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টিকারী বলেন তাহলে পৃথিবীর বেশীর ভাগ মানুষেরই ধর্মানুভূতি নামক প্রবল আবেগটি আক্রান্ত হয় তবে তাতে কিন্তু সত্য অবলোপিত হয়না।
(তানবীরার এই পোষ্টে প্রসংক্রমে পুরনো একটি পোষ্টের কথা এসেছে, সেই পোষ্টে তার মতামতের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম)
২। অরূপের মন্তব্য ভালো লাগেনি। জানা গেলো চার মাস থেকে অরূপ সচলায়তনের নীতিনির্ধারনের সাথে জড়িত নেই। কিন্ত তার মন্তব্যে এরকম ধারনা হতে পারে যে যখন অরূপ নীতিনির্ধারনে ছিলেন তখন তার ইচ্ছেতেই সচলত্ব প্রাপ্তি ঘটতো যে কারনে তানবীরাকে তিনি বলতে পারেন- আপনাকে সচল করা ভুল ছিলো।
এটা অরূপের ভুল। কারো দয়া দাক্ষিন্যে কেউ সচল হয়নি এর আগে, এখনো হয়না, আগামীতে ও হবেনা। সচল হয়ে উঠা প্রতিটি সচলের নিজস্ব অর্জন।
৩। এরকম যে সব পোষ্টে কোন কারনে ঝামেলা পাকায় সে সব পোষ্টে দেখি- দীর্ঘ শীত ঘুম থেকে উঠে আসেন অতি পুরনো দু একজন সচল। এরা সচলে লেখেন না, ঝামেলা পাকানো পোষ্টে এসে মন্তব্য করেন।
সবার মঙ্গল হোক।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
"কিন্ত তার মন্তব্যে এরকম ধারনা হতে পারে যে যখন অরূপ নীতিনির্ধারনে ছিলেন তখন তার ইচ্ছেতেই সচলত্ব প্রাপ্তি ঘটতো যে কারনে তানবীরাকে তিনি বলতে পারেন- আপনাকে সচল করা ভুল ছিলো।"
লোকে কেন ভাববে আমার দাক্ষিণ্যেতেই সচলত্বপ্রাপ্তি ঘটে?? এই কথাটা কার মুখে তুলে দেবার জন্য হাসান মোরশেদের দর্শন পাওয়া গেল? সচল করা ভুল ছিল এই কথাটা যে কোন সচলই বলতে পারে। আপনে শেষ প্রহরে সুশীল সেজেছেন, অভিনন্দন.. পপুলারিটি কনটেস্টে আমার খেলার দরকার নাই
অরূপের ব্লগ @ http://etongbtong.blogspot.com
অরূপের ফ্লিকার @ http://www.flickr.com/photos/harvie-krumpet
'লোকে কেনো ভাববে?', হুম, আমিই তো সাধারন লোক- আমার এরকম ভাবনা হলো যে
শেষ প্রহর কেনো রে ভাই, বাকী সাত প্রহর ও আমি সুশীলই।
কোন কনটেস্টেই আমি খেলিনা, লেখি- সময় থাকলে
ভালো থাকো।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আপনার ভাবনা যে হবেই সেটা তো কাল রাতেই দেখা গেল, বারংবার এই পোস্ট দেখে গেছেন (মুর্শেদ হয়তো গুনে বলতে পারবে ঠিক কতোবার)। আপনি তো অপেক্ষাই করছিলেন কখন খেলা জমবে, ঠিক কখন হাজিরা দিলে কাজ হবে। আপনি (এবং আপনারা) সফল.. মূল ইসু থেকে কথা এখন বহুদূরে
ভালো থাকুন, লিখতে থাকুন
অরূপের ব্লগ @ http://etongbtong.blogspot.com
অরূপের ফ্লিকার @ http://www.flickr.com/photos/harvie-krumpet
হ্যা, বড়ো বেশি দীর্ঘ ভ্রমণ। ১২২ মাইল... যেটা ১/২/৩... কিঙবা ৩৩ এও শেষ হতে পারতো।
ধর্ম বর্বর, ধর্ম বর্ণবাদকে লালন করে এইসবি পুরনো কথা। স্বিকার করে সবাই। তবু এইসব আচরণে মানুষ আছে অনেক। এই আচরণ ও অভ্যাসের ভেতর থেকেও মানুষ নিজেকে অতিক্রম করে কিংবা চেষ্টা করে অতিক্রমের। সেই চেষ্টায়রত মানুষের বিষয়ে নিশ্চয় ঢালাওভাবে কথা বলা ঠিক নয়। ট্যাগিং করার সময় সচেতনতা থাকা মনে হয় উচিত।
লাথি মেরে নমস্কার করা বা এই ধরনের একটা প্রবাদ শুনেছিলাম। তানবিরা এই নিয়ে দুইবার লাথি দিলেন এবঙ নমস্কার করলেন। অরূপের মন্তব্যের শব্দ ধরে আপনি যে আলোচনা করলেন, একই রকম আলোচনা অন্যকারো বিশ্রি বাক্যের শব্দ ধরে যদি আরো আগে করতেন, আজ সকালে বা গতকাল যখন অনলাইনে ছিলেন কিঙবা ধর্ম নিয়ে যে কথাগুলো বল্লেন এখন, তাই যদি বলতেন তাহলে হয়তো ভালোই হতো।
দীর্ঘ বিরতিগুলো মাঝে মাঝে মৃত্যুর নিরবতা বয়ে আনে।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
তাহলে আসেন আজকে থেকে তওবা করে আমরা কোনদিন আর কোন ধর্ম নিয়ে কথা বলবোনা- আহা যদি কেউ আহত হন, যদি কারো হাত পা ভেঙ্গে যায়... নিশ্চয়ই সকল ধর্মের ভেতরে কিছু আলোকিত মানুষ আছেন যারা নিজ নিজ ধর্মের বর্ণপ্রথা ও বর্বরতা দূর করার চেষ্টায় আছেন!
আমি তো মামু কোন চাকরী নেই নি যে একেবারে ঠিক সময় মতো, প্রতিটি বিষয়ে, প্রত্যেকের প্রসংগে কথা বলতেই হবে।
জগতে সকল প্রানী সুখী হোক। আমি দূরে যাই এই পোষ্ট থেকে
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
তানবীরা বুঝি ধর্ম নিয়ে কথা বলছিলেন!!! তাহলে আমারই বুঝার ভুল। আরো অনেক কিছু শিখতে হবে এটা বুঝতে পারছি।
হ্যা দুরে থাকাই ভালো, দুরেইতো ছিলে।
জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ধর্ম আর সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে অনেক ঝড় হয়ে গেছে। তানবীরা যে মনোভাব থেকেই ঐ মন্তব্যটি করে থাকুন, পাঠকের কাছে তার প্রতিফলন সাম্প্রদায়িক। তিনি ঐ মন্তব্যটি মুছে ফেলেছেন এবং সকলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। সুতরাং এই প্রসঙ্গটা ঐখানেই শেষ হতে পারতো। এর পরে যা আলোচনা হয়েছে বা হচ্ছে সেগুলি আমার কাছে বিপজ্জনক রকমের ত্যানাপ্যাচানি বলে মনে হচ্ছে। বিশেষ করে সচলায়তনের পাতায় এইসব বাজে প্যাচাল কোনদিনই হবার কথা ছিল না।
সহজ কথা হচ্ছে যে কোন ধর্মই ইন্সটিটিউশানের চেহারায় বর্ণবাদী। ধর্ম যতক্ষণ Religion না ততক্ষণ নিরাপদ। এর বাইরে গেলেই ব্র্যান্ডনিরপেক্ষভাবে ধর্মের আচরণ বিপজ্জনক। সাম্প্রদায়িকতা জিনিসটার শুরু হয় ধর্মকে Religion পর্যায়ে নিয়ে আসবার সাথে সাথে। আর Religion এর গন্তব্য তখন পরকালের বদলে ঘোরতর ইহকালমুখী হয়ে যায়। ইহকালমুখী গন্তব্য থাকার সুবাদে তখন ঐশী বাণী সমুহের সাথে তাবৎ ইহকালিক গুমুত মাখামাখি হতে থাকে। সামাজিক অসমতা রক্ষার কাজে এই ঐশীবাণী এবং গুমুতের চচ্চড়ি এখন পর্যন্ত সব থেকে কার্যকর বটিকা। এখানে বর্ণবাদের সাথে সাম্প্রদায়িকতার কোন পার্থক্য নাই। যেখানে ধর্মবিশ্বাসের ব্যাপারে মানুষের "স্পর্শকাতরাতা" বেশী সেখানে সাম্প্রদায়িকতা আর যেখানে জাতিশ্রেষ্ঠত্ব সেখানে বর্ণবাদ। রাজনৈতিক ইতিহাসের এর কোন ব্যতিক্রম নাই। মোটামুটি এরকম অবস্থান থেকেই সচলায়তনের প্রতিষ্ঠালগ্নে সাম্প্রদায়িকতাকে নিরুৎসাহিত করার বদলে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল যতদূর মনে পড়ে।
আমরা যারা বিদেশে থাকি আর যারা দেশে থাকেন সকলেই প্রাত্যাহিক জীবনে কখনো সংখ্যাগুরুর ভূমিকায় কখনো সংখ্যালঘুর ভূমিকায় সাম্প্রদায়িকতা প্রত্যক্ষ করি। সেই অভিজ্ঞতাগুলির নানারকম বিশ্লেষণ সচলায়তনের পাতায় আসবেই। কিন্তু লেখকের অবস্থান অসাম্প্রদায়িক থাকতেই হবে। এখানে বিচ্যুতি বা বিভ্রম, লেখক সম্পর্কে পাঠকের সাম্প্রদায়িক মূল্যায়ণ উৎসাহিত করতে পারে এবং তাতে সচলে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। এই বিষয়ে অসতর্কতা রাজনৈতিক অপরাধের কাছাকাছি। লেখকের অসাম্পদায়িক অবস্থান সচলত্ব প্রাপ্তির অনতিক্রম্য শর্ত। এখানে অসাম্প্রদায়িকতা প্রশ্নে তর্কমূলক সহাবস্থান বলতে কিছু নেই।
সচলায়তনের জন্মের সময়কার প্রতিজ্ঞাগুলি নড়বড়ে হতে দেখলে খুব বিচলিত বোধ করি। নতুন যারা লিখতে আসছেন বা যারা নিয়মিত মন্তব্য করেন বা নিদেনপক্ষে নিয়মিত পাঠক, তাঁদের অবগত থাকা অতিআবশ্যক যে সচলায়তন খুব স্পষ্টভাবে ধর্মীয় মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা এবং বর্ণবাদের বিরুদ্ধে। এই অবস্থান মোটামুটি মহপ্রলয়ের পরেও অপরিবর্তিত থাকবে।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
----আপনার কথাগুলো আমিও বলার চেষ্টা করে দেখেছি, কাজ হয় নাই। ব্যাপারটা এদ্দুর গড়াবার কোন দরকারই ছিলনা।
হ্যা। তিনি দুক্কু প্রকাশ করেছেন।
আমার মামু এই পোস্ট থাইকা ভাগছে। এইবার আমিও ভাগি। দেখি কদ্দুর যাইতে পারি।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আমরা যারা বিদেশে থাকি আর যারা দেশে থাকেন সকলেই প্রাত্যাহিক জীবনে কখনো সংখ্যাগুরুর ভূমিকায় কখনো সংখ্যালঘুর ভূমিকায় সাম্প্রদায়িকতা প্রত্যক্ষ করি। সেই অভিজ্ঞতাগুলির নানারকম বিশ্লেষণ সচলায়তনের পাতায় আসবেই। কিন্তু লেখকের অবস্থান অসাম্প্রদায়িক থাকতেই হবে। এখানে বিচ্যুতি বা বিভ্রম, লেখক সম্পর্কে পাঠকের সাম্প্রদায়িক মূল্যায়ণ উৎসাহিত করতে পারে এবং তাতে সচলে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে।
এই কথাটা একদম মনের কথা পেলাম এত এত মন্তব্যের মধ্যে।
ব্যক্তিগত আক্রমণ এড়িয়ে চলা উচিত, কিন্তু সম্প্রতি আক্কেল দাঁত ফেলায় আক্কেল কমে গেছে। তাই উত্তর না দিয়ে পারলাম না।
'বোঝার চেষ্টা করছি আপনি কনটেক্সট্ না বুঝে কমেন্ট করেন না সময়মতো রঙ পাল্টান..'
--- একটু কষ্ট করে আমার ব্লগের সূচনায় আমার নিজের সম্পর্কে লেখাটা এবং আমার আগের লেখাগু্লো অনুসরণ করলে সহজেই বুঝতে পারবেন আমি কি মনোভাব পোষন করি এই ব্যাপারে।
'আপনি হয়তো একদিন "সচল" হবেন
সেটা ভাবতে খুব ভালো লাগছে না..'
----আপনার যদি আপত্তি থাকে আপনার সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে প্রক্রিয়াটি আটকানোর চেষ্টা করুন, আমার তাতে কিছু আসে যায় না। এমনি এখন আপনার জন্য রইলো সমবেদনা।
অরূপ,অত্যন্ত দুঃখিত আপনার নামের বানান ভুল করার জন্য। বড়ো ফন্ট দিয়ে না লিখলেও ব্যাপারটি আমার নজরে পড়তো।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
তানবীরাদি, আমি এইমাত্র এখন এই লেখাটি পড়লাম।
আপনার আগের লেখাটিও পড়লাম।
আমি দুঃখিত, যে আগে পড়িনি।
আমি ধর্মবিশ্বাসী নই।
প্রবল অবিশ্বাসী।
তারপরও আপনার এই মন্তব্য আমার নাস্তিকানুভূতিতে আঘাত হানলো। অসম্ভব আঘাত হানলো।
সবজান্তার কাছে মানুষ হিসেবে ক্ষমা চাই।
হিন্দুদের সাথে আমরা মুসলমানরা বাংলাদেশে যা করি এখানে অস্ট্রেলিয়ার একটা নির্দিষ্ট গোষ্ঠী কালো (পড়ুন বাদামী, অশেতাঙ্গ) দের সাথেও করে।
আমার সাথেও করে।
আমার অনুভূতিতেও আঘাত লাগে, রাগও লাগে।
একজন গর্ভবতী শেতাঙ্গ মহিলা ট্রামে আমার ছেড়ে দেওয়া সীটে বসেননি, কালোদের "দয়া" উনি নেবেন না বলে। আমি মেয়ে, আমি "দয়া" যদি কিছু দেখিয়েই থাকি ওনার গর্ভস্থ শিশুটিকেই দেখাচ্ছিলাম, সেটা বোঝার পরও!!!! আমার রাগ লাগে, ঘেন্নাও লাগে। তারপরও হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীস্টান এই সরলীকরণ গুলো মানতে পারিনা।
তানবীরাদি, আপনার লেখায় একজন মানুষ হিসেবে লজ্জিত হলাম। নারী হিসেবে লজ্জিত হলাম। "অ"মুসলিম (নাস্তিকার্থে) হিসেবে এবং "মুসলিম" নামধারী হিসেবে লজ্জিত ও আহত হলাম।
এই লেখাগুলো পড়লে নিজেকে মাঝে মাঝে এই পৃথিবীতে জন্মানোর জন্য খুব ছোট লাগে।
খুব ছোট।
পোস্টে এক তারা।
তানবীরা আপার লেখা লাইনটার প্রতিবাদ করলাম।
যারা এর সাথে সহমত দিয়েছেন, সবাই সুস্থ্য হয়ে উঠুন।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
এই পোস্টে খুব পরিষ্কারভাবে একটি ব্যাপার উঠে এসেছে, যে সচলায়তনে সাম্প্রদায়িক মনোভাব কাম্য নয়। এটি সচলায়তনের নীতিমালাতেও স্পষ্টাক্ষরে লিখিত। প্রতি পদে মডারেটরদের পক্ষ থেকে এটি স্মরণ করিয়ে দেয়া হবে না। ভবিষ্যতে সচল সদস্যরা এই প্রসঙ্গটি মাথায় রেখে লিখবেন, সেই প্রত্যাশা রইলো। নীতিমালার এই ধারাটি বারংবার লঙ্ঘিত হলে সংশ্লিষ্ট সদস্যকে মডারেশনের আওতায় নেয়া হবে।
এই পোস্টে কমেন্ট বন্ধ করা হলো।