প্রথম পর্ব: http://www.sachalayatan.com/tanimehsan/44188
সর্বশেষ যুক্তি, সাযুজ্য কিংবা প্রিয় অভিলাষ শেষে, তবুও, হাতে আলো না নিয়ে চলার মানে বিপদের সম্ভাবনা তৈরি হওয়া, আর যখন শুধুমাত্র দু’টি চাকার উপর বিপদের মাত্রিকতা নির্ভর করে তখন তা থেকে নিজেকে বিরত রাখাটাই শ্রেয় -- এই যাত্রার তৃপ্ত পরিসমাপ্তি এখানেই।
আমাদের প্রতিটি যাত্রাপথে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকেনা, সব ইচ্ছেয় সমানভাবে থাকেনা পরিমিতিবোধ -- আমাদের প্রায়শই মনে হতে থাকে একটা দারুণ কিছু করা গেলে হয়তো ফিকে রঙ ঘাসগুলো থেকে নতুন চারা গজাবে, স্তিমিত হয়ে যাওয়া কোন েস্রাতে হয়ত বইবে জলের প্রবল প্রবাহ অথবা মাথা থেকে গুনগুন করতে ভুলে যাওয়া গানগুলো আবার হুড়মুড় করে চলে আসবে হাতপাখা নাড়াতে নাড়াতে... দারুণ কিছু বলে কয়ে হয়না কোনদিন, দারুণ কিছু ঘটে, আমতলী থেকে রওনা হওয়ার পর আমাদের জীবনে একটা দারুণ কিছু ঘটে গেলো ---
তারা খসে যেতে থাকার সাথে মানুষের ইচ্ছাপূরণ সম্ভাবনা থাকে, মানুষ এটা মানে, সেই খসে যেতে থাকা তারা ও আমরা চাইলেই দেখতে পারিনা, ব্যাপারটা হটাত করে ঘটে। আজীবন সেই তারার আকৃতি বহুদূর থেকে দেখি বলে আমাদের কাছে বড়জোর একটা টেনিস বলের মত মনে হয় -- আমাদের সামনে দিয়ে একটা ছোট বাচ্চাদের ফুটবল সাইজের তারা তার নীল-সাদা ময়ূরপুচ্ছ নিয়ে নিচে নেমে গেলো!
চক্রবর্তী মশাই কথা বলেন কম, আমরা দু’জন একসাথে থাকলে বেশিরভাগ সময় চুপ করেই বসে থাকি কিংবা গান শুনি। আমি তাকে জিজ্ঞেস করতেই তিনি বললেন, “দেখছি, ভালো লক্ষণ ভাই, আমাদের জন্য ভালো হবে।” এরপরে আর কোন কথা থাকেনা।
আমতলী উপজেলা দৈর্ঘ্যে অনেক বড় এবং একে পাশ কেটে চলে যাওয়া এই পথের প্রায় অর্ধেক এলাকা জুড়েই দুই পাশে বাবলা গাছের সারি, একেকটা গাছ যেন হামলে পড়ে অপরপাশের গাছের মাথা ছুঁয়েছে, গাড়ীতে যেতে খুবই ঘন মনে হয়, দূর থেকে চোখের নিচে হাত দিয়ে শুধু উপরে তাকিয়ে দেখলে মনে হয় পাতার সুরঙ্গ। মোটরবাইক থেকে উপরে তাকাতেই দেখলাম খুব বেশি ঘন নয়, কম ঘন বলে ছাড়াছাড়া পাতার ভিড়ে চাঁদকে ঘিরে ঝাঁঝরি-কাটা কোন আলপনা তৈরি হতে হতেও হয়না। এই আলপনা দেখেছি জাবিতে ট্রান্সপোর্ট অফিসের সামনের দুইটি গাছের নিচ থেকে, কোন তুলনা হয়না। একইরকম আকাশ আলপনা দেখেছি চট্টগ্রামে লালখান বাজার থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত যেতে, এই দুটি পথ ধরে আমি কতবার যে চলে গেছি, এখনো সুযোগ পেলে যাই।
যারা এই পথে এমনকি দিনের বেলাতেও যাননি তাদের জন্য বলি: উপকূলীয় এলাকার সৌন্দর্য মূলত জলে-সবুজ কাব্যে এবং জলে টইটুম্বুর এই এলাকায় সেই কারণে ডোবা, নালা, সরু সরু খাল, একটা খালের অনেকদূর বিস্তৃতির পাশাপাশি প্রায়শই যেসব জলাধার পাড়ি দিতে হয় তাকে নদী বলেই মনে হয় -- আর নদীরা প্রকৃত অর্থেই নদী। এই জলের সাথে উপচে পড়া সবুজের সমারোহ, বেঁচে থাকার জন্যই প্রচুর গাছের আনাগোনা মেনে নিয়েছে মানুষ, সেই গাছের সাথে লতা-পাতা-গুল্ম মিলিয়ে মিশিয়ে একটা একাকার অবস্থা।
আমার বিশেষ পছন্দ নারিকেল বাগানগুলো, একটা ক্ষেত্রফলের ভেতর ক্ষুদে ক্ষুদে নালা’র মত কেটে কেটে তৈরি করা, প্রতিটি নালার পাশে ঢিবির মত জেগে থাকা মাটি, সেই মাটির উপর একটাই সারি ধরে নারিকেল গাছ --- শুধুমাত্র একটা ফ্রেমে এটা একটা দারুণ দৃশ্য। এটা খুব বেশি দেখা যায় পিরোজপুর থেকে বাগেরহাট যেতে আর ভোলায় সর্বত্র। এই জোছনার ভিড়ে এমনকি সেখানে জোনাকির আলোও চোখে পড়েনা, তমসাবৃত মনে হয়।
যখন বাঙ্গালীরা এই এলাকা তখনও নিজেদের ভেতর ভাগ করে নেয়নি, তখন কলা আর খেপু নামে দুই ভাই একটা নদীর এপারে আর ওপারে তাদের রাখাইন পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতো। আমরা কলাপাড়া পৌঁছে সেই নদী উপর ফেরি পেয়ে যাই, নদীর নাম আন্ধারমানিক। ব্রিজ এর কাজ শুরু হয়েছে, নদীর উপর অনেকগুলো স্প্যান এরিমধ্যে উঠে গেছে, ফেরীকে একটু ঘুরে যেতে হয়। ঘুরে যেতে যেতে দেখলাম সাগর থেকে ফিরছে একটা নৌকা, ভটভট ভটভট আওয়াজের সাথে ফেরীর ঘর্ঘর ঘর্ঘর শব্দ শুনতে শুনতে সব মাছের ঘুম ভাঙিয়ে আমরা ওপার পৌঁছে দেখি কোন দোকান খোলা নেই, শুধু অনেকগুলো মোটরবাইক দাঁড়িয়ে আছে যাত্রীর জন্য।
এখানে বাস, সাইকেল আর মোটরবাইক ছাড়া চলা যায়না, কোন উপায় নেই, মূল বাহন হিসেবে নৌকার কদর এখনও পুরোপুরি ফুরোয়নি। পরবর্তী ফেরীঘাটে পৌঁছে ফেরী’র ইজারাদারের প্রতিনিধি, ড্রাইভার আর রেলিঙে হাত রেখে ঘুমোতে থাকা আরেকজনকে পাই। জানা যায় আরো গাড়ী না এলে ফেরী ছাড়া যাবেনা, আরো গাড়ী বলতে লাইনের বাস এবং সেই বাস এর লাস্ট ট্রিপ চলে গেছে। ঠিক এসময় নজরুল ফোন করে বলে যে পরবর্তী ফেরীঘাটে সে খেয়া নৌকা আটকে রেখেছে, তার এক বন্ধু আছে বিপ্লব, সেই বিপ্লবও সেখানে থাকবে। এখানে পুরো ফেরী ভাড়া করা যায়, সেই পথে এগুলাম। আমি দরকষাকষি করতে পারিনা ঠিকমত, শেষপর্যন্ত ২০০ টাকায় রফা হলে আমরা সবাই মিলে বেশ গল্প করতে করতে একসাথে নদী পার হলাম। পৃথিবীতে আর সব ঘুম!
এরমাঝে চলতি পথে বিপ্লব নামে সেই ছেলে ফোন দেয়, ফেরিঘাটে পৌঁছে দেখি বিপ্লব দাঁড়িয়ে আছে, খেয়া ভেড়ানো, ফেরীও দাঁড়ানো। চক্রবর্তী মশাই হেসে বলেন, ‘ভাই বলছিলাম না, শুভ লক্ষণ!”
সমস্ত শুভলক্ষণ নিয়ে কুয়াকাটা পৌঁছে দেখি নজরুল দাঁড়িয়ে আছে একটা দোকানের সামনে, হাতে ঝোলা। বলেছিলাম আপেল আর দেশি কলা কিনে রাখতে আর ৫ লিটার পানির জার, সে সাথে আঙুর আর কমলাও কিনে রেখেছে। চক্রবর্তী মশাইকে চলতে দিয়ে আমি নজরুল এর সাথে হাঁটতে হাঁটতে জেনে যাই তার ভাড়া নেয়া দোকান গুড়িয়ে দিয়েছেন ডিসি সাহেব, তারপর আবার নতুন ভাগ-বাঁটোয়ারা-বন্দোবস্তে তারা অস্থায়ী ভিত্তিতে দোকান খুলেছে, নজরুলকে দেখেই মনে হয় সে ভালো নেই।
এবং রাত ১২ টার পর সমুদ্রে যাওয়া যায়না, থাকা যায়না, পুলিশ আটকে দেয়।। এত প্রেমের সমুদ্রে যেতে আমার ইচ্ছে করতনা, প্রথমবার সত্যিকার সমুদ্র দর্শনে যাই (পতেঙায় আদতে কোন আলোড়ন তৈরি হয়না)জাবিতে পড়ার সময়, সাথে সাথে নৃবিজ্ঞান বিভাগের আরো ৬০ জন এবং একজন শিক্ষক, ১৯৯৬ সালে। যাবার আগে নিচের এটা লিখেছিলাম,
অসীম শূণ্যতা তোমার!
এতোটাই যে, আমার যাকিছু শূণ্যতা সব চলে গেলো,
চলে গেলো তোমার আঁচলে!
এই দু’চোখে শূণ্যতার বৃষ্টি ঝরেছিল;
দু’চোখ যে জল ধরে রেখেছিলো দুঃখের বিলাসে,
সেই জল যায়নি ঝরে তীব্র বিগ্রহ আবেগেও --
আর সাগর, কত সহজেই না জেনে নিলে তুমি আমার দু’ফোঁটা ইতিহাস!
কক্সবাজারে সেই প্রথম সত্যিকারের সমুদ্র দেখা দিনের বেলা, আমি খানিকটা হতভম্ব হয়ে গেলাম, প্রেমভাব উবে গেলো -- গুচ্ছের মানুষ তল্পি-তল্পি-তহবিল সহকারে সমানে হৈ চৈ করছে, লাবনী পয়েন্টে একটা ঘর্মাক্ত পরিবেশে কোথাও শান্তিতে বসে থাকার জো নেই। সমুদ্রের সত্যিকার অর্থে এবং সামনাসামনি প্রেমে পড়লাম রাতে। রাতের সমুদ্র অপার্থিব, রাতের সমুদ্র প্রশান্তির চাইতেও বেশি কিছু দেয়। সারা পৃথিবীতে পর্যটকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করে কর্তৃপক্ষ, আর বাংলাদেশে পর্যটকদের নিরাপত্তা বিধান করার জন্য পুলিশ সারারাত জেগে জেগে পাহারা দেয় যাতে কোন পর্যটক রাতের বেলা বিচে থাকতে না পারে! বাংলাদেশে সবকিছু এমন কেন!
মানুষের ‘কহতব্য নয়’ ধরনের কিছু ঝামেলা থাকে, আমার এমন একটা ঝামেলা হচ্ছে নাক ডাকায়, দশমাইল দূর থেকে কেউ নাক ডাকলেও যদি সেই আওয়াজ আমার কানে আসে তাহলে আমি ঘুমোতে পারিনা। চক্রবর্তী মশাই আগে বলেছিলেন বটে যে তার নাক ডাকেনা কিন্তু তিনি বেহুশ হয়ে ঘুমোতে থাকলে একটু পরেই আমি টের পাই তার নাক ডাকছে। তারপর তার নাক ডাকতেই থাকে, ডাকতেই থাকে... আমি ভেড়া-পাখী সব গুনতে গুনতে কি করে যেন একসময় ঘুমিয়ে যাই...
আদতে নিয়ন্ত্রিত নই, আদতে নই অধীনতা নিয়েছি মেনে;
পরাভূত ইচ্ছেরা আর পলাতক স্বপ্নগুলো জানে
আদতে আপোষহীন থেকে যেতে চাই,
জীবিকার প্রয়োজনে যৌগিক মানুষ, মৌলিক যাতনা জুড়াই!
মন্তব্য
মাছেদের ঘুম ভাঙ্গালেন কেন খামোখা! হে হে, চমৎকার লাগল, মাঝের কবিতাগুলো দারুণ।
মাঝেই মাঝেই এমন লেখা দিতেই হবে- এক দফা, এক দাবী।
facebook
চেষ্টা করবো
একদম মনের কথা।
একদম শেষের কবিতাটা অসাধারণ।
ধন্যবাদ ধুসর জলছবি আপনাকে।
ঠিক কথা, প্রশান্তির থেকে বেশি মন খারাপ করে দেয় কেন যেন।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
মানুষের মহত্তম উপলব্ধি গুলো সবই বিষাদগ্রস্ত। রাতের সমুদ্র মানুষকে পরবর্তী কিছুদিন এর জন্য একটা স্থিতি দেয়। ভালো থাকবেন, শুভেচ্ছা।
আগের পর্ব আর এই পর্বের মন্তব্য একসাথে করছি
১) খুব ভালো লেগেছে পড়ে; মনে হচ্ছিল আমিও ভ্রমণ করছি আপনাদের সাথে।
২) আলো নেভানো নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, তাই এ বিষয়ে পুনরাবৃত্তি করব না
৩) পতেঙ্গা যেয়ে আমারও সমুদ্রের অনুভূতি হয়নি
৪) সমুদ্রকে রাতে দেখার ইচ্ছে মনে হয় পূরন হবেনা চাঁদের আলোয় রহস্যময় সমুদ্রকে দেখার খুব ইচ্ছে আমার।
৫) কবিতাগুলো অসাধারন।
৬) ঢাকা থেকে খুলনা যাবার সময় ফরিদপুরের ভেতর দিয়ে এমন গাছেদের আলপনা দেখতে পাবেন। নিমন্ত্রন রইলো।
ফরিদপুর থেকে খুলনা প্রচুর গাছ, নিমন্ত্রণ সানন্দে গৃহীত হল। খুলনা বিভাগের উপকূল ছাড়া আমার সবচাইতে প্রিয় ল্যান্ডস্কেপ হচ্ছে নড়াইল, এত সুন্দর, এত সুন্দর! আর চিত্রা নদী, আহা!
সময় নিয়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ইশ! চিত্রা নদী! আমার খুব মন খারাপ লাগলে ২০০১ সালের একটা দৃশ্য মনে করি, ভরা বরষায় প্রবল বৃষ্টি। নৌকায় মা, ছোট ভাই, খালামনি আর আমি। নৌকা যখন মাঝ নদীতে, দেখি বৃষ্টি ধেয়ে আসছে, নদীর উপর দিয়ে বৃষ্টি যেন মেঘের ডানায় উরে আসছে, তারপর ছুঁয়ে ফেলল আমাদের। প্রবলভাবে ছুঁয়ে দিলো আমাদের।
আমার চিত্রা নদী ! কল্পনার আর বাস্তবের মিশেল এ আমার চিত্রা নদী।
আবারও ধন্যবাদ আপনাকে ব্যাঙের ছাতা।
বাহ!
একটা দারুণ কিছু ঘটুক
রাতের সমুদ্র নির্বিঘ্নে দেখতে চাইলে সেইন্ট মারটিন সবচেয়ে ভাল। ইস, মনে পরে গেল সেই পূর্ণিমা রাতের কথা। সমুদ্র এবং সৈকত যেন ছিল শুধুই আমার। অবশ্য অস্বীকার করবো না যে কেমন একটা চাপা ভয় বা অস্বস্তিও যেন ছিল প্রথমদিকে।
দুই পর্ব মিলেই লেখাটা বেশ ভাল লাগল। এরকম পথের গল্প পড়তে বেশ লাগে। পথে যেতেও।
সহমত। পারকি বিচও কিন্তু একদম নির্জন, ইনানীও খুব নিরিবিলি। অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন, শুভেচ্ছা
সেন্ট মার্টিন্সের বীচ আসলেই দারুন। বছর কয়েক আগে গিয়েছিলাম - তখনো অন্তত দুএকটা স্পট ছাড়া বীচে মানুষ ছিল না বললেই চলে। পানি পরিষ্কার নীল বা একুয়ামেরিন।
স্রেফ বীচ ধরে হেঁটে পুরো দ্বীপটা চক্কর দিয়েছি একা একা। দারুন অভিজ্ঞতা! দ্বীপের এক কোনা থেকে রওনা দিয়ে আবার সেখানেই ফিরে এসেছি ৩- ৪ ঘন্টার মধ্যে। বিকেলে রওনা দিয়েছিলাম, অর্ধেক পথ গিয়ে দক্ষিণপ্রান্তে পৌঁছুতেই সূর্যাস্ত। তারপর সেই সূর্যাস্তের সোনালি-কমলা রঙের বন্যায় মাখামাখি হতে হতে আর পরে নেমে আসা অন্ধকারের মধ্য দিয়ে এক প্রায়-অলৌকিক নির্জন শীতার্ত আঁধার বীচ আর সাগর পেরিয়ে প্রায় ভাসতে ভাসতে ফিরেছিলাম মনে পড়ে। এখনো লেগে আছে স্মৃতিতে!
ছেঁড়া দ্বীপটা আরও চমৎকার। রাতে থাকার একটা জায়গা পেয়েছিলাম ওখানে, তবে সেবারে হয়ে উঠেনি।
****************************************
“ ...অর্ধেক পথ গিয়ে দক্ষিণপ্রান্তে পৌঁছুতেই সূর্যাস্ত। তারপর সেই সূর্যাস্তের সোনালি-কমলা রঙের বন্যায় মাখামাখি হতে হতে আর পরে নেমে আসা অন্ধকারের মধ্য দিয়ে এক প্রায়-অলৌকিক নির্জন শীতার্ত আঁধার বীচ আর সাগর পেরিয়ে প্রায় ভাসতে ভাসতে ফিরেছিলাম...” আপনি যে বললেন ঠিকমত বর্ণনা করতে পারেননা, এটা কি? কি চমৎকার লাগলো পড়ে যেতে, একদম চোখের সামনে দেখতে পেলাম সব...
আপনার নিকটা আমার খুব পছন্দ, পছন্দের একটা গান মনে পড়ে যায়
আপনার পোষ্টে চরম মাইনাস।
অফিসে বসে পড়ার পরে অফিস থেকে পালিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। কাজের নামে ঘণ্টা দিয়ে নিজেই নিজেকে গুম করতে ইচ্ছে যাগে।
আপনি মানুষ খারাপ।
খুবই খারাপ আপনি
আই কিঅইচ্চি
নূতন কিছুই বলার মত নাই।
তুমুল কাব্যগন্ধী এবং পরতে পরতে মুগ্ধতার আবেশ।
ভালো লাগল তানিম ভাই। ভালো থাকুন সবসময়।
ডাকঘর | ছবিঘর
ভোলানাথ কে দেখতে পেলে
জানিয়ে দিও ওমন ছেলে
পেতে হলে রাজ্য চষা চাই...
আপনার শহরে কবে যে যাই!
কবিতা দ্বিতীয়টাও ভালো। কিন্তু প্রথমটা অসাধারণ!
অল্প কিছুদিন আগে সেন্ট মার্টিনে রাতের সমুদ্র আমিও দেখেছি।
সত্যিই বর্ণণাতীত অনুভূতি!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হ্যাঁ, বর্ণনার বাইরে যে নীরবতা থাকে তাতে মুগ্ধতা সবচাইতে বেশি অকপট!
ইচ্ছেঘুড়ি শিশুরা সব অশিক্ষকসুলভ আচরণ-দায়ীত্বহীনতা-অনিয়ম-দুর্নীতি’র মাধ্যমে বেড়ে উঠুক, হোক সহজাত প্রাকৃতিক; অনেক শুভকামনা আপনার এবং আপনার সহকর্মীদের জন্য।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমাদের যৌবনে দেখার যে সব জায়গার কথা জানতাম, যেমনন, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, কাপ্তাই, রামু, জাফলং, তামাবিল, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর, সুন্দরবন জেলেপল্লী এগুলো দেখেছি। সুন্দরবনের মধ্যে তিনদিন তিনরাত কাটিয়েছি, কিন্তু কুয়াকাটা যাওয়া হয়নি। আপনি নেশা ধরিয়ে দিলেন। স্বাস্থ্যগত কারনে সাহস করতে পারিনা।
তারপরও চেষ্টা থাকবে।
ঢাকা থেকে বরিশাল/পটুয়াখালী রাতের বেলা ঝিমঝিম লঞ্চ, সিঙ্গেল/ডাবল এসি কেবিন আছে, আছে ভিআইপি কেবিন নিজস্ব বারান্দা-টয়লেট সহ, পূর্ণিমার রাতে দেহমনে বেজায় প্রশান্তি দেবে। পটুয়াখালী’তে রেস্ট নেয়ার ভালো ব্যবস্থা আছে। তারপর থেমে থেমে কুয়াকাটা যাওয়া যাবে।
আমি বুঝতে পারছিনা এভাবে বলা ঠিক হচ্ছে কিনা, তবে আপনি যদি সত্যি সত্যি সব বাধা অতিক্রম করে আসতে চান তাহলে আমি সাধ্যমত চেষ্টা করবো আপনার জন্য কিছুটা হলেও আরাম এর ব্যবস্থা করে দিতে। আমাকে জানালে খুশী হবো।
আপনার লেখায় কিন্তু আপনি প্রায়শই তেজোদৃপ্ত
অসংখ্য ধন্যবাদ, আশ্বাস যোগানোর জন্য। যাবার পরিকল্পনা করলে অবশ্যই আপনাকে জানাবো।
দুই পর্বই পড়লাম। জ্যোৎস্নাকিরণের মত স্নিগ্ধ বর্ণনা। ভর বর্ষায় আড়িয়াল খাঁর বুকে ভাসতে ভাসতে জ্যোৎস্না স্নান করার নিমন্ত্রণ করলে রাজী হয়েও যেতে পারি।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ফেসবুক ইনবক্সে ঠিকানা দিন ভাইয়া, নিমন্ত্রনপত্র পাঠাবো
খুব সুন্দর খুব। তৃপ্তিসহকারে পড়লাম। আপনার সাথে ঘুরতে যাবার ইচ্ছেটা প্রবলতর হয়ে যাচ্ছে যে কবি...........
_____________________
Give Her Freedom!
যারা যাবে বলে যায়না, আসবে বলে ভাবতে-ই থাকে আসেনা তাদের সাথে কথা নেই। আমি কিন্তু এমনিতে চুপচাপ মানুষ, এই কারনেই কি আসতে চাওনা হে বালক
এইবার ঠিক ঠিক হবে.....কারণ পড়াশোনা নামক নিগড় থেকে মুক্তি নিয়াছি.........বাধা দেবে কে!!
_____________________
Give Her Freedom!
আমি কুয়াকাটা যাই নাই। আমারে নিও সাথে।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
কল্যাণদা আপনি কে দেশে? তাহলে হয়েই যাক, দেরি কেন...........
_____________________
Give Her Freedom!
পাসপোর্ট ভিসা আমার কাছে
যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ ব্যতিরেকে এহেন সাড়াশব্দে তীব্র প্রেতিবাদ জানানো হইলো। মিয়া, যখন দেশে আইলেন কত কথা কইতে চাইলাম আপনের সাথে, আপনের সময় হইলোনা, এখন বালকরে ধরছেন কুয়াকাটা আসার জন্য! হইবেক নাই!
বালক আদৌ আসতে পারবে কিনা ঠিক নাই, আপনে আপুমনি’রে নিয়া চইলা আসেন। সবাই খালি যাব-যাব বলে কিন্তু কেউ আসেনা
_____________________
Give Her Freedom!
পড়াশোনা আবার শেষ হয় নাকি জেবনে? হাহ! চাকুরী জীবনে যে পরিমাণ অখাদ্য-কুখাদ্য পড়তে হয় তার জন্য তৈরি থাক হে বালক, মুক্তি নাই
নিগড় না, ওটা শেকড় বানিয়ে নাও, চলে আস, ভ্রমণে শেখার অনুষঙ্গ ব্যাপক। পুঁথিগত বিদ্যা আর কতটা শেখায় আমাদের, শিক্ষকেরাও শিখিয়েছে কতটুকু? বরং এই কুয়াকাটার নজরুল কিংবা আমতলীর আমান এর মত মানুষের কাছ থেকেই জীবনে সবচাইতে বেশি শিখেছি।
শিখতে থাক, মানুষের কাছ থেকে শিখতে থাক...
_____________________
Give Her Freedom!
চমৎকার।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
রাজাসাহিব কে ধন্যবাদ
নতুন মন্তব্য করুন