সব সুর মিলে যদি করে হরতাল, আমাদের দুঃখ রবে চিরকাল...
আমার প্রায় প্রতিদিনই মাথার ভেতর গান নিয়ে ঘুম ভাঙে, আজ সকাল বেলা ঘুম ভাঙার পর থেকে মাথার ভেতর ‘বাবা বলে গেলো আর কোনদিন গান করোনা’ গানটা বাজছে, বাজতেই থাকলো সা-রা-টা দিন...
জাহাঙ্গীরনগরে ফার্স্ট ইয়ারে থাকতে বই পড়ি দেখে এক পাগল ধরণের বড়ভাই-বন্ধু বলেছিলেন, ‘পৃথিবীর সবচাইতে ইন্টারেস্টিং বইটার নাম কি বলতো?’ আমি তখন জীবনের সংজ্ঞা জানার চেষ্টা করছি, খাঁচা খুলে বেরিয়ে যাওয়া পাখীর মত ‘যাই দেখি তাই ভালো লাগে, ভালো-ভালো-ভালো!’। প্রশ্ন শুনে বেশ কয়েকটা বইয়ের নাম বললাম, তিনি হেসে বললেন, ‘পৃথিবীর সবচাইতে ইন্টারেস্টিং বইটার নাম হচ্ছে মানুষ, এই বইয়ের শুরু হাসিতে আর শেষ চোখে।’ সেই বড়ভাই একসময় সত্যিকার অর্থেই পাগল হয়ে গেলেন, আরো কত মানুষ হয় পাগল হয়ে গেলো নয়তো ভুলেই গেলো তাদেরও কথা ছিলো স্বপ্নগুলো পূরণ করবার...
আমি পাগল হিসেবে পরিচিত ছোটবেলা থেকেই; ছোটবেলা থেকেই বাবার ভাষায় ‘রেস্টলেস’, মায়ের কাছে ‘মানুষকে বেশি বিশ্বাস করি’, বোনের কাছে ‘ভাইয়া তুমি নিজের খেয়াল রাখনা কেন?’, বন্ধুদের কাছে ‘মামা‘র আবেগ বেশি’, কলিগদের কাছে ‘আইডিয়ালিস্টিক’ আর নিজের কাছে স্পষ্ট থাকার চেষ্টা করতে করতে আজ হুট করে আবার টের পেলাম বয়স কমে গেছে।
অনার্সে আমাদের ১০০ নাম্বারের একটা ডিসার্টেশন ছিলো, সবাই কতকিছু বেছে নিলো, আমার বাউলদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা; প্রফেসর নুরুল আলম স্যার সে কথা শুনে বরাবরের মতই পিতৃসুলভ একটা হুংকার দিয়ে, ‘বাউল! বাউল নিয়ে কাজ করলে তোমাকে চাকরী দিবে কে!’ বলতেই আমি বলেছিলাম চাকরী করবোনা স্যার, এগ্রো-ফিশারিজ করবো। বেশ অনেকদিন আরোকিছু হুংকার দিয়ে তিনি ‘তোমাকে আমি আগেও বলেছি, তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবেনা’ বলে মেনে নিলেন। মাস্টার্স এর ভাইভা দিয়েই সেই এগ্রো ফিশারিজ শুরু করলাম, তারপর একসময় কিভাবে কিভাবে যেন চাকুরী শুরু তারপর এতদূর। তারপর, ‘আমার শুধু ছিলো আছে কাঠখোট্টা বাস্তবটা, দিবা রাত্রি আপোষ আর আপোষ...
রেললাইন সমান্তরাল বলেই হেঁটে যেতে মজা, কোন একটা ভীষণ ষ্টেশনে পৌঁছার ক্রমাগত প্রেরণা নিয়ে যারা হেঁটে যায় তাদের দিয়ে কিচ্ছুই হয়না আসলে, হওয়ার দরকারও নেই। সবারই কি সবকিছু হতে হবে? সবারই কি ছোটবেলায় সহজশিক্ষা ভুলে যাবার প্রয়োজন? থাকনা, কিছু মানুষ শৈশবের দেয়াল ঘেঁষে থেকে যেতে চাইলে পৃথিবীর আর কি আসবে যাবে?
চিঠি লিখা ছিলো আমার একটা অসম্ভব পছন্দের কাজ, প্রায়ই দাদা কিংবা নানা বাড়ীতে চিঠি লিখতাম, তাতে সবার নামেই কিছু না কিছু লিখা থাকতো, কাউকেই পচানোর বেলায় ছাড় দিতাম না। সবাই মিলে একসাথে গোল হয়ে বসে সেইসব চিঠি পড়তো আর তুমুল হাসাহাসি। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার পরও সেই অভ্যাস ছিলো, তারপর মোবাইল যুগ। সেই যুগেও কাউকে নিস্তার দিইনি, কেউ দিক আর না দিক খালি এসেমেস আর এসেমেস কিন্তু ‘কমলালেবুর বদলে ভিটামিন সি’ দিয়ে কি আর পেট ভরে! চিঠিগুলো আসলে নিজেকেই লিখতাম।
সেইদিন রাসেল নামের এক ছোটভাই-বন্ধু’র সাথে চুক্তি হলো চিঠি লিখার, সে আর চিঠি লিখেনা। আমি আজকে তাকে ‘ব্যাটা, তোর সাথে কথা নাই, আড়ি’ বলে এসেমেস করতেই সে ফোন করে হাউমাউ করে বলে উঠলো, “১৯ বছর ধইরা আমারে ফাঁপর দিয়া যাইতেছ, আর কত!” খুশীতে আমার দাঁত বেরিয়ে গেলো, মনের সুখ মিটিয়ে ব্যাটাকে নাস্তানাবুদ করে গেলাম আর সে শুধু হাসে। এইসব বন্ধুত্ব, আড্ডা নেই বলে মগজ ঘোলা হয়ে যাচ্ছে...
সচলে এসেছিলাম আমার একদম স্তব্ধ হয়ে যাওয়া একটা সময়ে। সচলে এসে শুধু ভার ভারিক্কি পোস্ট দিয়ে নিজেকে জ্ঞানী প্রমাণিত করার একটা চেষ্টা যে মানুষটা করে গেছে সে আসলে নিতান্ত মূর্খ লোক, জীবনে কিছুই শেখেনি, তাকে দিয়ে আসলেই কিচ্ছু হবেনা!
সচলে ‘নিজস্ব দূরত্বে থেকে দেখেছি’ বলে নিজের সাথে একটা পত্রালাপ শুরু করেছিলাম, সেটাও হুট করে বেশি কিছু করতে যেয়ে একদম বন্ধ হয়ে গেলো, আবার শুরু করে দিব বলে ভাবছি। নিজের সুর নিজেরই ফিরে পেতে হয়, কেউ এসে ফিরিয়ে দেয়না...
একটা গাছের ডালে পাতায় পাতায়, এই দেখা যায় ওই দেখা যায়
মুচকি হাসে চন্দ্রমুখী আলো; ছায়াগুলো সব পালাল,
দেখতে পেলাম ফুল ফুটেছে।
‘ভুল ভেঙেছে, ভুল ভেঙেছে!’, --
বলল হেসে একটা কুড়ি, চোখদুটো তার ফুটতে তবু বাকি!
ফড়িঙ বলে, ‘ওরে ছানা, তোমার আবার কোন ভাবনা, এমন করে দিয়ে গেলো উঁকি?’
প্রজাপতি এলে উড়ে, জানা গেলো রাতদুপুরে
চারিদিকে সব কুড়িরা সরব, পাখীর দলে খুব কলরব
ঘাসগুলো সব শিশির সমবায়। চারিদিকে সব জেগে যায় ---
কৌতূহল আর জোর কলরোল, ‘গোল বেধেছে গোল!’
কুড়ি বলে, ‘না। দুর্ভাবনা,
বাদ দিন্ তো; এখনতো
সবারই শুধু মাথা উঁচু দাঁড়াবার দিন!’
মন্তব্য
বাহ্ সুন্দর!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
আপনার হয়তো মনে নেই, আপনার লিখা প্রথম ছড়ার বইটা আপনি নিজ হাতে আমাকে দিয়েছিলেন, আনন্দে কয়েকটা দিন আমি একদম দিশেহারা ছিলাম। রনিম’রা তখন আমাদের পাশের বাসায় থাকতো, বাসাবোতে, চাচা ছিলেন বাবার কলিগ।
এই লেখায় প্রথম কমেন্টটি আপনার, আমি জানি এটা আমাকে কতদূর কি দিয়ে গেলো। কৃতজ্ঞতা।
আপনার এবং আপনার নিজস্ব পৃথিবীর জন্য শুভকামনা
তাই নাকি তানিম? তুমি তো তাহলে আমাকে জানো। আমার নিজস্ব পৃথিবীর জন্যে তোমার শুভ কামনাটা ভালো লাগলো।
বলতে ভুলে গিয়েছিলাম তোমার লেখার শেষাংশের কবিতাটাও চমৎকার!
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
কি অদ্ভুত এই পাওয়া! অশেষ কৃতজ্ঞতা...
একরাশ মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ধন্যবাদ আপনাকে। সাথে একরাশ
আমার এমনিতেই নষ্টালজিয়ার রোগ আছে, আর আপনার লেখাগুলো যে কাউকেই নষ্টালজিয়াতে আক্রান্ত করবে।
চমৎকার লাগল।
নস্টালজিয়া ছাড়া জীবনে আর কি বাকি আছে আমাদের? আমাদের দিয়ে কিচ্ছু হবেনা
ধন্যবাদ ধুসর জলছবি, অনুবাদ কর্ম যেন থমকে না দাঁড়ায়
সেটা আমি জানি এবং মানি, আমাদের দিয়ে কিচ্ছু হবে না, হওয়ার দরকারও নেই । ( মানে আঙ্গুল ফল টক আর কি )
সবশেষে, আমরা আছি বলেই প্রকৃতি এখনো সমরুপ, এতটুকু জানি।
টক মিষ্টি বলে কিছু নেই, আঙুর ফল একটি অত্যাশ্চর্য রকমের প্রাকৃতিক উপহার, যারা জানে তারা মানে।
খুবই সংক্ষেপে নিজের আপাত বিবর্তনের একটা বর্ননা দিয়ে ফেললেন। চমৎকার তানিম, খুবই ভালো লাগলো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এভাবেই বেঁচে আছি এই ‘জীবনের নিয়মে...’
উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন ভাই, অনেক শুভকামনা
পড়ে কিছুক্ষন বসে আছি তানিম ভাই। কিচ্ছুটি বলার নাই। কারণ আপনি একটু ধারণা বোধ হয় রাখেন যে, আপনার এই ভাইটিরও কিচ্ছু হবেনা।
ডাকঘর | ছবিঘর
উঁহু, এটি মানতে রাজি নই। আমি কিন্তু নিজের মত করে একটা অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছি, শক্তভাবে দাঁড়িয়ে আছি। মানুষকে তার নিজস্ব সবটুকু নিয়ে এগুতে হয়, একটা অবস্থানে পৌঁছুতে হয়, তখন কিন্তু অনেক স্বপ্নই পূরণ করা যায়। কিচ্ছু হবেনা যারা বলে তাদের অনেকেই কিন্তু ভালোবেসে বলে। মোদ্দা কথা, একা একা ছায়ার সাথে, সবার সাথে যুদ্ধ করা যায়না, নিজের সাথে যুদ্ধে জিততে হয় সবার আগে।
আপনার ভেতর অনেক সম্ভাবনা আছে ( আমি সহজে কাউকে এই কথাটা বলিনা)। আপনি কিভাবে দাঁড়াতে পারবেন এটা কিন্তু আপনি জানেন, আপনি শুধু আপনার মেনে নেয়াগুলোকে পুরোপুরি মেনে নিন, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের জন্য একটা লক্ষ্য ঠিক করুন, ধৈর্য ধরুন, লেগে থাকুন, হয়ে যাবে।
দাঁড়ালে আরামে দাঁড়ান, বসলে সোজা হয়ে বসুন, ঘুমোলে প্রশান্তভাবে ঘুমোন, প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে বদলে যেতে নেই একটা বয়সের পরে। আমি জানি আপনি পারবেন, শুভকামনা
এভাবে কেউ বললে ভীষণভাবে নাড়া খাই। মনে হয়, সত্যিই তো, আমিও কেন পারবো না। অবশ্যই পারবো।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কি পারতে চাইবোনা বা করবোনা সেটা স্পষ্ট হওয়া খুব দরকার নিজের কাছে। শিশুদের সাথে শিশুর মত করে সময় কাটাতে পারেন আপনি, এটা একটা দারুণ ব্যাপার।
উপরে যাকিছু বললাম তা নিজেও করতে পারিনা সবসময়, অন্যের বেলায় খুব জ্ঞান দিতে পারি, উৎসাহ দিয়ে যেতে পারি, নিজের বেলায় লবডঙ্কা
জ্বী...
ডাকঘর | ছবিঘর
আমাকে দিয়া কিচ্চু হবেনা জেনে গেছি।
তারপর ও চেষ্টা চলছে তো চলছেই দেখি নিজেরে অতিক্রম করা জায় কিনা!!!!!
লেখা বড়ই সুন্দরজ্জ।
একেবারে কিছু না হলেতো হবেনা, এই পোস্ট যাতে কাউকে হাল ছাড়তে উৎসাহ না দেয়। নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা সফল হোক, শুভকামনা
যে এত সুন্দর করে লিখতে পারে, তারে দিয়ে কিচ্ছু হবে না, ইতা কিতা কইলেন! চিন্তায় আছি আমি, আমার কি হপে?
এত চিন্তা করে কিছু হয়? মনের কথা শুনলেই হয়। একটা কথা আছে, ‘পাগলের সুখ মনে মনে’, শোনেন নাই
খুব সহজ আবার খুব কঠিন এক টা কথা বলে ফেললেন।
আপনি সেটাকেই আলাদাভাবে হাইলাইট করেছেন দেখে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন ভাই, শুভেচ্ছা
সুর হারানো ছন্দপতনের মধ্যে কীভাবে আবার ঘুরে দাঁড়াবো জানি না তবে চেষ্টা করছি। লেখাটা পড়ে খুব মন কেমন করা একটা অনুভূতি হলো। ভালো থাকবেন ভাইয়া। আর কিছু বলার খুঁজে পাচ্ছি না
দাঁড়ালেই হয়ে যায়, এই এখন ঘুরে দাঁড়িয়ে যান, মনে করুন হয়ে গেছে। মানুষের ক্ষমতা বিস্ময়কর! অনেক শুভকামনা আপনার জন্য ভাইয়া
দারুণ লেখা , যাদের কিছু হয় না তারা যে এত ভালো লেখে এইটা কিছু না??? ইয়ার্কি??
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
হ, ইয়া আর কি, মানে বুঝলেননা?
সক্কাল বেলায় উঠেই আপনার লিখা পড়লাম। কেমন ঝরঝরে লিখা। তরতর করে সবটা পড়ে ফেললাম, মনে হল এত অল্পতে ফুরিয়ে গেল আপনার এত কথা।
"নিজের সুর নিজেরই ফিরে পেতে হয়, কেউ এসে ফিরিয়ে দেয়না..."
এক্কেবারে একমত।
একমত হলে যাতে একমত তাই মেনে নিয়ে চলতে হয় কিন্তু আপু, অ্যাটেনশন
আমার শরীর আজ প্রভাত পাখীর গান, আমার শরীর আজ দারুচিনি দ্বীপ, আমার শরীরে আজ নির্ঝরের স্বপ্ন ভঙ্গের খেলা------- কেবল মন নয়, সমস্ত শরীর জুড়ে শিশিরের শব্দের মতো ওই গানটি বেজে চলেছে এই পোষ্ট পড়ার পর। অসম্ভব সুন্দর একটা লেখা পড়লাম অনেকদিন পর।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সব মুদ্রাদোষের দোষ, আমার কোন দোষ নাই
খুব ভাল লাগল লেখাটা
আপনার মন্তব্য পেয়ে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো আপু। শুভকামনা আপনাদের জন্য
এটাই আসল কথা। সমস্যা হচ্ছে নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেয়ে আমরা অন্যদের সমালোচনার ভয় বেশি পাই। সবাই সবার সমালোচক হয়ে বসে আছে; নিজ ছাঁদে বসিয়ে অন্যদের যাচাই করে দেখছে, কোনো দরকার নেই তো! লেখায়
এবং এইসব সম আলোচকের টক-শো আর ঝাল-শো দেখতে দেখতে, শুনতে শুনতে আমাদের ভেতরের সব মিষ্টতা হারিয়ে যেতে থাকে
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, অনেক শুভকামনা
এই লেখায় তিন নাম্বার কমেন্টটা হওয়ার কথা ছিলো আমার।
অর্ধেক লিখেছি, আর ইলেকট্রিসিটি চলে গেলো।
দারুণ লাগলো লেখা, আর আপনার বোধগুলো। ঠিকই বলেছেন, "নিজের সুর নিজেরই ফিরে পেতে হয়, কেউ এসে ফিরিয়ে দেয়না..."
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কি জানি, একটানে লিখা, লিখা শেষ করে কয়েকটা লাইন বাদ দিলাম, একবার দেখে মনে হলো ঠিক আছে, দিয়ে দিলাম, ছাপা হবে ভাবতেই পারিনি। সবাইতো দেখি ভালোই বলছে
গরম না থাকলে ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেলে তো দারুণ মজা, একদম ছোটবেলার মত করে সবকিছু খুঁজে খুঁজে নিতে হয়!
চারিদিকে বেদম বৃষ্টি, আপনাদের স্কুলের পারিজাত শিশুগুলো কি বৃষ্টি হলে ক্লাসরুমেই বসে থাকে আপনাদের সাথে?
সচলে কবিতা দিয়ে আপনার প্রতি আলাদা দৃষ্টি গেলেও আপনার সহজিয়া গদ্যই আমাকে মুগ্ধ করে।
যেমন করলো এটা।
কবিতার মানুষ বলেই বোধহয় আপনার গল্পগুলোও এমন, মস্তিষ্কে অণুরণন তোলে।
সাত্যকি! কতদিন পর কথা বললেন বলুন তো! মনে থাকবে আপনার কথাগুলো। অনেক অনেক ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা
নিজের সুর নিজেরই ফিরে পেতে হয়, কেউ এসে ফিরিয়ে দেয়না...
চমৎকার লাগলো আমার আত্মকথন।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ধন্যবাদ ভাই, অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা
সুরেলা সবুজ স্বগত কথন।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধন্যবাদ রোমেল ভাই শুভেচ্ছা অহর্নিশ!
একদম শেষের ১৩টি লাইন সম্পর্কে কিছু বললেন না ভাইয়া
আপনার লেখাটি খুব নাড়া দিয়ে গেল আমাকে। ভাবতে বসলাম, আমার সুর কি কখনো ছিল? উত্তর নেই, মনের মধ্যে।
ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম। ভালো থাকবেন।
যারা গাছ ভালোবাসে তাদের ভেতর কোন না কোন একটা সুর তার নিজের মত করে অবশ্যই আছে। আশা করি দূরে থাকা কাছের মানুষটাও ভালো আছে, আপনাদের জন্য অনেক শুভকামনা
আমাকে দিয়েও আসলে কিচ্ছু হয়নি। আর কিচ্ছু হয়নি বলে রক্ষা করার ঝামেলাও নেই। আমি সবসময় মনের কথা শুনেছি, মস্তিস্কের নয়। তাই সবার কাছে বোকা হয়েই থেকে গেলাম।
লেখাটা একেবারে মস্তিস্কের, উহু মনের গভীরে নাড়া দিয়ে গেল।
সহজ থাকাই ভালো। আমিও মনের কথা শোনার চেষ্টা করি, যদিও মস্তিষ্ক আগের চাইতে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে
মনের উপর কি আর জোর চলে সবসময়! আপনার সুস্থতা এবং প্রশান্তি কামনায়
হৃদয় ছুঁয়ে গেলো তানিম ভাই। পাঁচ তারা!
আর... সতত শুভ কামনা!!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
মৌনতা ভেঙে গুটলুদের নিয়ে একটা কথন হয়ে যাক। ভালো থাকুন, আপনার নিজস্ব আকাশে সব তারা থাকুক সমুজ্জ্বল
(গুড়)
চমৎকার। কিছু হওয়া, না হওয়া এইগুলা সব আমাদের বানানো, যতসব ঝামেলার জিনিস।
facebook
প্রিয় উড়ন্ত-ঘুড়ি, আপনার জীবনে ঝামেলা না থাকুক, উড়তে থাকুন চিরহরিৎ...
এই পত্র লেখার ব্যাপারটা বিশ্বাস করেন আর নাই করেন আমার মধ্যেও ছিলো। ই-মেইল আসলো যখন দেশে, তখনো দেশের বাইরে থাকা সব্বাইকে মনে করে করে লেখঃ হতো। তারপর কেমন করে যেন যে কোন লেখালেখির অভ্যাসটাই চলে গিয়েছিল। ইদানীং এই সচলায়তনে লেখালেখি শুরু করার পরেই আবিষ্কার করলাম পত্রলেখার অভ্যাসটা কেমন করে যেন আবার ফেরত এসেছে। কাওকে কাওকে বেশ বড় সর চিঠি-পত্তরলিখে ফেলতে পারি আমি এখনো!
যাই হোক, আমি যেটা কোট করতে চাচ্ছিলাম, সেটা উপরে অমিত করে ফেলেছে।
আসেন হাত মিলান।
আর ভাল থাকুন সবসময়ে, সবকিছুর মাঝেই।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হাত মেলালাম... আপনার প্রতিটি যাত্রাপথে আলো থাক... আর কিছু বলতে ইচ্ছে করছেনা কেন যেন।
বাহ, ভালো লাগল লেখাটা।
আসলেই সত্যি কথাটা।
বৃদ্ধ হয়ে গেলে মনে হয় আবার হবে, বৃদ্ধ হলে নাকি এমনিতেই মানুষ শিশু হয়ে যায়, সেদিনের প্রতীক্ষায় আছি; চারিদিকে বয়সের কারণে শিশু আর আমি এমনিতেই শিশু --- ভাবতেই ঠিক এমন একটা হাসি চলে এলো
সুন্দর লেখা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সচলের দিদামণি এত চুপচাপ থাকলে হবে? তাড়াতাড়ি পোস্ট দেন
উঁহু, লেখালেখি বন্ধ করে দিয়েছি আপাতত। ভালো লাগেনা। নিজেকে ছুটি দিয়েছি অনির্দিষ্ট কালের।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম তানিম ভাই।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ, ধন্যবাদ
এমনকি তোমাকেও কতদিন হাবিজাবি এসেমেস করিনা আমি প্রিয় বড়ভাই-বন্ধু! কতদিন তুমিও বাজাও না মাউথ অর্গান আর আমি হেঁড়ে গলায় গান গাইনা। আমরা এমন “দাউ-দাউ” করে বদলে গেলাম কেন! হবেনা হবেনা হবেনা!
আমাকে দিয়ে কিছু হোক আর না হোক, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের সাথে আছি, যেমন তিনি আমাদের সাথে থাকেন।
এরপর পোস্ট নিয়ে আর কেউ কোন মন্তব্য না করলে খুশী হবো। এই মন্তব্যের পর থেকে সব মন্তব্য আমাদের মাতৃবন্দনা হোক।
শ্রদ্ধা
নতুন মন্তব্য করুন