[justify]এক
নিজ-সোহাগী গ্রামের রইসুদ্দী বয়াতির একচালা ঘর, ঘরের চালে, খড়ের বেড়ায় জোর বাতাসে ঝন্-ঝনা-ঝন্ বাদ্য বাজে দিনদুপুরে, রাতদুপুরে,---মাঝবয়সী...
সোনাভানু’র হাতের আঙুল সুই-সুতা আর ছেড়া-ফাড়া কাঁথার ভেতর ব্যস্ত থাকে দিন দিনান্ত, রাতবিরেতে---এখন যেমন। লন্ঠনে তার কেবল ফুরায় তেল-কেরাসিন; সব আঁধারে, নিত্যরাতে, দিনের আলোয় এপাশ-ওপাশ, ডানে খালি, বামে খালি --- খালি তাহার মন! একলা খড়ের দেয়াল ঘেঁষে কে কাশি দেয়, কে হেঁটে যায়! দখিন ঘরের, পূবের ঘরের দেবর-ভাশুর কাঠ-পাটাতন নড়েচড়ে, সোনাভানুর জলে ভরে একলা দু’চোখ, নামতে থাকে বিরামবিহীন নাড়িছেঁড়া চোখের পানি --- ঠোট নড়েনা, বুকের ভেতর কথা বলে শতেক জীবন: পুরুষ মানুষ আর বানের পানি আল্লাগো.........
কোথায় তোমার বসত মাঝি, কোথায় রঙের নাও; ভাটি দেশের নিরাক ময়না, উজান গাঙে যাও;
ও তার, ডাঙার বসত নাই।
চিরল চিরল গাছের পাতা নিরল তোমার বাস; গুণের নাওয়ে বসত গুণীর, উড়াল বারোমাস;
ও তার, ডাঙার বসত নাই।
আসমান জানে মেঘের খবর, বানের জলে ঢেউ --- ভাসান জানে যে-জন মানুষ, আর কি ফিরে কেউ?
ও তার, ডাঙার বসত নাই...
দুই
কালী আর ঘোরাউতরাল নদীর মোহনার কাছে মেঘনা নদী ভীষণ প্রতাপ, দুই প্রহরের সমান দূরে বসন্তপুর, নদীর ঘাটে গয়না নৌকা ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ; ঘুম ভেঙে গেলো রইসুদ্দী বয়াতির, একটা হু হু বাতাস যেন তার বুকের ভেতর খেলা করে গেলো--- ছইয়ের ভেতর চাঁদের আলো, গাঙের জলে চাঁদের আলো, আলোর ভেতর এত কষ্ট কেন্!--- বয়াতি মানুষের বুঝি রাত নাই দিন নাই খালি বুকের ভেতর দুঃখ, চোখের ভেতর দুঃখ, দুঃখের ভেতর দুঃখ, দুঃখের ভেতর ভার-ভারন্তি সুখ... যেন্ শেষ নাই। তার গুরু কলমাকান্দার হাশেম আলী ফকির বলেছিলো, ‘রইসুদ্দী মিয়া, যত দুঃখ তত গান, যত গান তত দুঃখ, মাইনষের মনের ভেতর যে দুঃখ কথা কয় তার নাম সন্ন্যাস!’
রইসুদ্দী বয়াতি টের পায় তার মাথার ভেতর একটা সুর আসে-যায় আসে-যায় আর কথা বলে--- সে গুনগুন করতে করতে শব্দের পর শব্দ বসিয়ে যেতে থাকে,
সোনার খাঁচা সোনার পালঙ্ক, সোনাবরণ যার --- তাহার স্বরূপ গাছের পাতা, মাটির অলঙ্কার
আহারে কন্যার লাগেনা ভালো, লাগেনা ভালো- চান্দেরও মতন মন!
লাগেনা ভালো রুপার নোলক, লাগেনা ভালো ফুল, কন্যার হাতের নাইওরি কাকই নাহি খোঁজে চুল
কন্যা কি করো কি করো, কোথায় তোমার মন!
কোথায় তোমার মন-গো কন্যা, কোথায় তোমার বাস --- কন্যা তোমার, চোখে কিগো আষাঢ়-শ্রাবণ মাস---
কন্যা, কাঁদেনা কাঁদেনা, দোহাই চোখেরও জল...
রইসুদ্দী বয়াতির চোখ বেয়ে অবিরল ধারায় জল পড়তে শুরু করলো, সে নৌকার ভেতরে থাকা তার সর্বস্ব দ্রুত একসাথে বেঁধে ফেলে নৌকা থেকে নেমে হনহন করে হাঁটতে শুরু করে,---‘আহারে বউ! কতদিন তরে দেখিনা!’...
তিন
ভরদুপুরে রসুই ঘরে উনুন-চাপা কষ্ট, সোনাভানুর ছটফটে আর নিরাক মনে, মনের ভেতর তপ্ত লোহার ছ্যাঁক! খোলা দীঘির মত চোখে তার পানাপুকুরের গান...
কেমন তাহার নাওয়ের কাষ্ঠ, কেমন তাহার মন --- তোমারও কি ঘরে বিবাগ, প্রাণও উচাটন-
যাদুধন, খাঁচার পাখী, কোন দূরে উড়িয়ারে যাও!
বিষও-কাঁটা বিষের বাঁশী, বাঁশীর কিবা টান --- মন্দিরাতে ঢোলের বাড়ী, একতারাতে গান-
লাউয়ের, তিনকালে ডুবিয়া ডুবিয়ারে জল!
পাখীর চউখে পাখীর আকাশ, মাছের নরম আঁশ --- মানুষ বাঁচে পথের ধুলায়, ধুলায় সর্বনাশ-
যাদুধন, বাউল মনে, ডুগডুগি উথলি জল!
শুক্লপক্ষ নিশির কান্দন, কান্দে ভরা গাঙ --- রঙের নাওয়ের, পাষাণ মাঝি, একটু ফিরিয়ারে চান
যাদুধন, কলঙ্কিনী, অবলা নারীরও মন!
চার
নিষ্কলঙ্ক মন যে তাহার, কলঙ্কিনী চাঁন --- কন্যা তোমার মানুষ আসে, যান-ও শুনিয়ারে যান-
কন্যা, কি করো কি করো কোথায় তোমার মন!
কোথায় তোমার মন-গো কন্যা, কোথায় তোমার চুল --- কন্যা তোমার পায়ে-গো আলতা, খোঁপায় তারার ফুল
কন্যা, লাগেনা ভালো, কাটেনা বাউলের দিন!
গাও-গেরামে বেভুল মানুষ, গঞ্জে মানুষ নাই --- মানুষের ভেতর মরা-রে নদী, ভাটা’র খবর পাই-
কন্যা, গাঙেরও জলে জোয়ারে জোয়ারে জল!
নাওয়ের কাষ্ঠের লোহার দুঃখ, বৈঠার দুঃখ কি --- লগীর দুঃখ বোঝেন ডাঙা, জলের দুঃখ মাটি
কন্যা, উত্তরে ডাঙা, পূবালী কন্যারও ঘর...
পাঁচ
ঘরেরও ভেতরে বাহির বাড়ী, বাহিরে ভেতরও ঘর --- বসত কোঠায় থাকে যে-জন, পান কি তার খবর
যাদুধন বসেনা ঘরে, থাকেনা ঘরেতে মন?
বাও-বাতাসে শীতলা পাটি, যক্ষেরও ঘরে ধন --- জলকলসী শাপলা তাহার শালুক দরশন
যাদুধন দক্ষিণা বাতাসে নাইওরী আলুথালু বেশ!
নিদ্রাকুসুম ফুলকুমারী, ফুলেরও নাহি থাকে ঘুম --- ধানের দুঃখ ধনীরও গোলা, নির্ধনও মরসুম
যাদুধন, নিদয়া মনে একেলা কি শুধু কথা কন!
ছয়
নিগুণ-ও রাতে ফিরিগো কন্যা, দশমী তিথি --- নবমী চান্দের সোনালু বরণ খবর জানে কি ---
কন্যা, কি করো কি করো কোথায় তোমার মন...
সাত
সোনাভানুর আলুথালু ঘুম আসে, ঘুমিয়ে যেতে যেতে সে টের পায় পুরুষের তেল দেয়া, জট লাগা চুলের গন্ধ, ঝাঁ-চকচক চোখের ভেতর মায়া আর মায়া, কাঁধের বাড়ন্ত গ্রহণ আর, একটা আঁকশির মত বুকের ভেতর এত সুখ এত শান্তি!
আট
চক্রাকারে জেগে থাকা গ্রামের দক্ষিণ-পাড়ার মাঝ রাস্তায় একটি অবয়ব দীর্ঘতর হতে থাকে, ঘরফেরতা পথে ক্রমাগত ছায়া পড়ে, বদলায়, নড়ে উঠে ঘুমিয়ে থাকা ঘাসের শিথিল শরীর, আবার পাশ ফিরে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয় শিশির সন্ধানে... বাতাসের অবগুণ্ঠন খুলে ভিড় করে সুগভীর শ্বাসের মাজেজা... বাঁশ-বাগানে বাঁশের পাতার তীক্ষ্ণ ডগায় শিস কাটে আরো কোন সুতীক্ষ্ণ চাবুক...
পৃথিবীর প্রথম মানবেরও বুঝি কোন এক দুয়ারে হাত রেখে কেঁপেছিল নিজস্ব ছায়া! আঙুলের গিঁটে গিঁটে ফেরার তাগাদা নিয়ে রইসুদ্দী বয়াতি দুয়ারের ভাসমান কাষ্ঠে কড়া নাড়ে, ভাঙা গলায় ডাক দেয়, ‘ও বউ, ঘুমাইছোনি---’
নয়
পৃথিবীর প্রথম মানবীও বুঝিবা কোনদিন ঘুমোয়নি তার অস্তাচল ফিরে আসা রাতে!
দশ
শাস্ত্র মানো, তন্ত্র মানো --- কর্মযোগ নিষ্কাম,
মানুষ সত্য, মানুষ পুণ্য, মানুষ সর্বনাম
সখা হে,
মানুষে মানুষে সকল ধর্মেরও সার...
উৎসর্গ:
বাংলাদেশের সকল- বাউল ফকির বয়াতি সাধক কীর্তনিয়া বৈষ্ণব বৈষ্ণবী... যারা সহজ মানুষ।
মন্তব্য
আমার খুব ভালো লেগেছে। কী সুন্দর! "মানুষ সত্য, মানুষ পুণ্য, মানুষ সর্বনাম"
আপনার এই পুরো লেখাটাই উদ্ধৃত করা উচিৎ মনে হচ্ছে।
ধন্যবাদ।
চোখ বুজে ছন্দটাকে অনুভব করবার চেষ্টা করলাম, বিশেষ করে এই জায়গাটায়,
এই অংশটুকু তো চমৎকার অভিজ্ঞানে প্রদীপ্ত,
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধন্যবাদ রোমেল ভাই ঠিক আছে, সব জায়গায় ঠিক আছে; শুধু দুই জায়গায় একটু দেখবেন কষ্ট করে,
১. খালি-তাহার-মন --- একসাথে উচ্চারণ করলে কি ছন্দ ভাঙে?
২. বানের-পানি-আল্লাগো......... এখানটাতে ’বিলাপ’ এর কথা কাজ করেছে মাথায়। বানের-পানি-আল্লাগোওওওওওওওওও, এভাবে লিখবো কিনা ভেবেছিলাম, পরে বাদ দিয়েছি; (এটা যেহেতু উচ্চ সুরে বিলাপ নয় বরং ভেতরের নিজস্ব আলাপ, তাই অনুচ্চারিত থাকুক।)
ছেলেবেলায় পালাগান দেখেছিলাম, শুধু সুরে সুরে কথা। একটা পর্যায়ে এসে ক্লান্ত লাগছিলো বলে শেষ করে দিয়েছি, আর লিখতে ইচ্ছে করছিলোনা।
এখানে যে গানগুলো করেছি সব একটা সুরে, একটাই তাল কাজ করেছে মাথার ভেতর; শুক্রবার ঘুম-ভাঙা ভোর থেকে রাতে ঘুমনোর আগ পর্যন্ত সেই সুরটা মাথায় ছিল, শুধু লিখে গেছি; আজব ব্যাপার, গতকাল থেকে সুরটা তালগোল পাকিয়ে গেছে
তানিম, আপনার সব লেখা আমি ছুঁতে পারিনা। এটা সম্ভবত আমার বোধের অভাব। তবে আপনার লেখা পড়লে একটা ঘোর লাগা অনুভূতি হয়। এখনও হলো। 'ভালোলাগা' বোঝাতে পারলাম কী ?
কৃতজ্ঞতা জানবেন।
ধন্যবাদ নজরুল ভাই।
এমন ছন্দে ছন্দে লেখা। অনেক সুন্দর।
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ধন্যবাদ গল্পকার’কে। সচলায়তনে পূর্ণ চিকিৎসক আরো একজন বাড়ল, অভিনন্দন
বাহ্, দারুণ তো!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দুপুরে একবার পড়ে গেছিলাম। এখন আরেকবার পড়লাম। তানিম ভাই শুধুই পড়ে গেলাম...... ওহুম, হল না... ভেসে গেলাম!!
গানগুলির কি সুর তোলা আছে।
ডাকঘর | ছবিঘর
গতকাল থেকে সুর’টা হারিয়ে ফেলেছি এখন যখনই দেখতে যাই নানানরকম সুর মনে আসে এবং সেই সুরে গাওয়াও যায়। এখন থেকে মোবাইলে রেকর্ড করে রাখা শুরু করেছি।
দারুণ পরিণত লেখা তানিম ভাই, খুব ছুঁয়ে গেলো।
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
আপনাকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা আমার নেই সুমন ভাই, কোনদিন থাকবেনা। কৃতজ্ঞতা...
চমৎকার।
ধন্যবাদ ব্রুনো।
কি সুন্দর!
ভীষণ ভীষণ অন্যরকম।
লেখার সময়ে নিশ্চয়ই একটা ঘোরের ভেতরে ছিলেন আপনি? নাহলে এমন লেখা বেরোয় না।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
শুক্রবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে ঘুম ভেঙেছে এই সুর মাথায় নিয়ে, আবার ঘুমনোর চেষ্টা করেছি, পারিনি। সেই থেকে এই সুরে কেটেছে রাতে ঘুমনোর আগ পর্যন্ত। সারাদিন ঘুমিয়েছি, উঠেছি আর লিখেছি - একটানা...
আমি এমনিতেই ঘোরগ্রস্ত মানুষ, বেশুমার আবেগ।
আপনাকে থ্যাংকু
রাইখা গেলাম। পইড়া কমেন্টামুনে।
কমেন্টামুনে বইলা ইটা রাইখ্যা কই গেলা মিয়া! কমেন্ট কো? শুভেচ্ছা
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
অমানুষ! অমানুষ! অমানুষিক!
অ্যাঁ!
অন্যরকম ভাল , ঘোরলাগা
ধন্যবাদ
কবিদের আসলে পদ্য না লিখে গদ্যই বেশি বেশি করে লেখা উচিত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
জটিল
কেমন আছ হে! নিরন্তর শুভকামনা।
কি মন্তব্য করবো খুঁজে পাচ্ছিনা, অনেকগুলা লাইন খুব মনে ধরেছে। যেমন "সব আঁধারে, নিত্যরাতে, দিনের আলোয় এপাশ-ওপাশ, ডানে খালি, বামে খালি --- খালি তাহার মন!" চার আর দশ পুরাই অসাধারন। এই ভালো লাগা জানানোর ভাষা আমার আসলে জানা নেই ভাইয়া। আপনার মাথায় নিশ্চয় এগুলার সুর করা আছে, রেকর্ড করে এখানে আপ্লোড করে দিলে আমরা শুনতে পেতাম, খুব ইচ্ছে করছে শুনতে। অনুরোধটা ভেবে দেখবেন কি?
কম্পোজিশন করা হলে শোনাবো আপু। শুভকামনা রইলো
দুর্দান্ত!
কবিদের গদ্য আমার বরাবরই প্রিয় ছিল। এটাও!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ ভাইয়া।
তোমার জন্য নিরন্তর শুভকামনা।
নিজস্ব একটা ছন্দে পড়ে গেলাম, অথচ একি ছন্দে একি ভাবে.............কী অপার্থিব!!! কবি, এ সুর, এই বোধ কোথায় লুকিয়ে রাখেন, কী বিস্ময়!!!
_____________________
Give Her Freedom!
আপনার লেখা আমাদের খুব ভালো লাগে, লিখতে থাকুন। শুভকামনা
আজকে তৃতীয়বারের মত পড়লাম লেখাটা। এই দুদিন মন্তব্য করিনি লেখাটা পড়েই ঘোর লেগে গিয়েছিল তাই, কি বলব খুঁজে পাইনি । কবিরা গল্প লিখলে সেটা হয়ত এমনি হয়। ঠিক কতটা আবেগ নিয়ে লিখলে এমন একটা লেখা লেখা যায় তাই ভেবেছি বসে বসে। মনটাও একটু খারাপ হয়েছে। আমি সারাজীবন চেষ্টা করেও এমন একটা লেখা লিখতে পারব না। আমার আবেগ গুলো বৃথাই ।
আপনি আরও অনেক অনেক লেখেন।
facebook
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ক্লাসিক !!
"যারা সহজ মানুষ" - সহজ মানুষ হওয়াটাই যে বড় কঠিন !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ধন্যবাদ হে অক্লান্ত যুবক!
সহজ মানুষ হওয়াটাই যে বড় কঠিন!! হ্যাঁ
নতুন মন্তব্য করুন