বাংলাদেশের সব জায়গার মানুষের উঠোনের প্রকরণ মোটামুটি একইরকম, কথ্য ভাষায় বৈচিত্র্য আছে, বিচিত্র খাদ্যাভ্যাস, ভৌগলিক সীমাবদ্ধতার কারণেও আচরণের তারতম্য আছে; ‘প্রতিটি সমাজ, সংস্কৃতি অনন্য’ -- নৃবিজ্ঞানে শিখে আসা এই উপলব্ধি’র সাথে খুব করে যোগ করতে চাই মানুষের অনন্যতার কথা। উপকূল বলতে যে বিস্তীর্ণ এলাকা বোঝায় তার প্রতিটি জায়গা একরকম নয়, হওয়ার কথাও নয় তবু যে বিষয়টি আমাকে সবসময় প্রেরণা দেয় সেটি হচ্ছে মিলগুলো। আমরা পার্থক্য খুঁজে বেড়াই বলে একসাথে হেঁটে যাবার তাগিদটা খুব দ্রুত ফিকে হতে থাকে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের চমৎকার বৈশিষ্ট্য আছে, প্রথমত তারা আসলেই সাধারণ, দ্বিতীয়ত তাদের চাহিদাগুলো এখনও পুরোপুরি কাঠখোট্টা বৈষয়িক নয় এবং তৃতীয়ত তাদের আবেগ প্রায়শই খাঁটি। আমরা পৃথিবীর সবচাইতে আবেগ-বিধৌত জাতি। শহর এলাকায় আমরা ‘বিলাপ’ বলে একটা বিষয় নিয়ে হাসাহাসি করি কিন্তু আবহমান মানুষের ভেতর এই বিলাপ খুবই সার্বজনীন, সর্বত্র। মানুষ আমাকে সর্বত্র বিস্মিত করে...
গ্রামে এখনও সবাই বাংলা মাসের হিসেব করে, সময় দেখতে সূর্যের দিকে তাকায়, আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে দিতে পারে বৃষ্টি হবে কখন, বাতাসের গন্ধ শুঁকে বলে দেয় ঝড়টা কতটা তীব্র হতে পারে। স্থানিক জ্ঞান খুবই বিস্ময়কর একটা ব্যাপার, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বহমান এইসব জ্ঞান নিয়ে স্থানিক মানুষের কোন আহামরি ভাব নেই। আহামরি ভাব থাকে আমরা যারা তাদের সাথে কাজ করতে যাই তাদের, আরও বহুকিছুর সাথে আমরা সেগুলোকেও তাদের ভেতর দিয়ে দেই; আমরা সবাই খুব দ্রুত বিশেষজ্ঞ হয়ে যাই এবং বিদেশী বিশেষজ্ঞ দেখলে আমাদের যে হাত কচলানো একটা অভ্যাস আছে তা সাধারণ মানুষের সর্বক্ষেত্রে থাকে না। বিদেশী দেখলে তাদের চেহারায় একটা নির্ভেজাল কৌতূহল খেলা করে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় কোন দেশ, কি খায়, বাংলাদেশ কেমন লাগলো এইসব প্রশ্ন করে, গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে থাকে, ঠেলাঠেলি করে, চা-পান খাওয়াতে চায় এবং তারপর হয়তো সাত-দিন, একমাস কিংবা আরও পরে কিছুদিন সেই বিদেশী নিয়ে পুরো এলাকার মানুষ তাদের সময় কাটিয়ে দেয় গল্প করে। দূর্যোগ এর পর এটা ঘটেনা। সিডর এবং আইলার পর উপকূলের মানুষ তাদের একজীবনে যত বিদেশী এবং বিশেষজ্ঞ দেখেছে তার তুলনা মেলা ভার। প্রথমদিকে বিষয়টা খুব সাধারণ ছিলো, তারপর তারা টের পেয়ে গেলো যে বিদেশী আসা মানেই সাহায্য তৈরি হয়েই আছে, শুধুমাত্র আসা বাকি আর বিশেষজ্ঞ আসা মানেই পরিকল্পনা এবং আরও সাহায্য... মানুষ খুব দ্রুত চালাক হয়ে গেলো, খুব দ্রুত ধনী হয়ে গেলো আরও কিছু মানুষ, তারচাইতে দ্রুতগতিতে আসা-যাওয়া শুরু করলো জিপ, পাজেরো আর পতাকাবাহী গাড়ী। আমি আমার চোখের সামনে এই পরিবর্তনগুলো ঘটে যেতে দেখেছি পুরোটা সময় জুড়ে। সেগুলো নিয়ে আলাদাভাবে লিখতে ইচ্ছে করে। ‘প্রতিটি ক্রিয়ার একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে’ -- নিউটনের এই সূত্রটা আমি আমাদের যাপিত জীবনে সবচাইতে বেশি দেখি!
একটা গল্প বলি, গল্পটা যদিও উপকূলের নয় কিন্তু সত্যি ঘটনা, ময়মনসিংহ এলাকায়। এক গ্রামে উন্নয়ন কাজ শুরু হবে, এক বিদেশী গেছে সেখানে আর তার সাথে আরও সঙ্গী-সাথী। গ্রামের মানুষ সেই প্রথম বিদেশী দেখছে, সাদা চামড়া, তারা ভিড় করে এলো। কথাবার্তা শুরু হয়েছে, হুট করে টের পাওয়া গেলো মধ্যবয়সী একজন পুরুষ বিলাপ করে কাঁদছে, তাকে কেউ থামাতে পারছেনা, এক পর্যায়ে সেই বিদেশী আর থাকতে না পেরে বলা শুরু করলো যে কোন সমস্যা নেই, সব চাহিদা পূরণ করা হবে তবে ‘পুষ্টি’ মানুষের জীবনে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ, সেটার তরজমাও করা হচ্ছে কিন্তু কান্না থামে-না, যত আশ্বাস দেয়া হয় ততো বাড়ে। বেশ কিছুক্ষণ পর কান্না থেমেছে কিন্তু কান্না জনিত হেঁচকি থামেনি, ঠিক তখন তার কাছে জানতে চাওয়া হলো সে কি চায়, উত্তরটা ছিলো এরকম: “বাপজানের সারটা জীবন শখ আছিলো একটা বিদেশী দেখবো, হেই বিদেশী আইলোতো আইলো, আমার বাপজানে আর দেখতে পারলোনা-গো আল্লা....” তারপর আবার কান্না।
দক্ষিণের উপজেলাগুলো মধ্যে আমার রাতে থাকা হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ, খুলনার দাকোপ, বাগেরহাটের শরণখোলা আর বরগুনার পাথরঘাটায়, পাথরঘাটায় থেকেছি সবচাইতে বেশি। একবার পাথরঘাটায় যেয়ে টের পেলাম ভরা পূর্ণিমা, সাথে আমাদের ‘নিতান্ত ভদ্রলোক’ মতিন ভাই এবং চক্রবর্তী মশাইও তখন সেখানে কাজ করছেন। দ্রুত পরিকল্পনা হয়ে গেলো, রাতে আমরা একটা মোটরবাইক ভাড়া করে বেরিয়ে গেলাম, ঘুরতে ঘুরতে বেড়িবাঁধ দিয়ে একেবারে মোহনার কাছাকাছি চলে গেলাম তিনজন মিলে। বৈদ্যুতিক বাতি নেই, পথের দু’পাশে ছড়ানো-ছিটানো পুকুর, গাছ-পালা, ঘর, সেই ঘরে টিমটিম একটা-দুইটা আলো -- ঠিকমত কেউ পথ জানি না, প্রশ্ন করতে করতে ফিরছি। চক্রবর্তী মশাই এর স্বভাব হচ্ছে জায়গায় জায়গায় দাঁড়িয়ে মানুষকে এমনিতেই প্রশ্ন করা, ‘এইডা আমার ভালো লাগে ভাই!’। এক জায়গায় যেয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম আমরা, বসে থাকলাম বহুক্ষণ: ফসল উঠে গেছে ঘরে, বিস্তীর্ণ মাঠের ভেতর কর্তিত ধানের শরীর মাথা-ভাঙা পড়ে আছে, তার ভেতর সারি সারি তাল গাছ, পুরো একটা বৃত্তের ভেতর সবকিছু আর তার ভেতর মাটির পথ, পথের ধারে গাছ নেই বহুদূর কিন্তু ঘাস আছে, সেই ঘাস লতানো আঁধারের মত মনে হয়, আর সেই আঁধারের আলোয়ানে মাটির পথটাকে মনে হচ্ছে দীপ্যমান কুয়াশার মত চাঁদের আলোয় তীব্র! আর বৃত্তের চারপাশে গাছপালা, মানুষের ঘর-বাড়ী মৃদু মনে হয়! বহুক্ষণ পর রওনা দিয়েছি, পথে একজন মানুষের সাথে দেখা হয়ে গেলো...
পূর্ণিমায় সবকিছু ঠাহর করা যায়না ঠিকমত, সবকিছু অপার্থিব মনে হয়। তখন অনেক রাত হয়ে গেছে। তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন গাছের আড়ালে, আমরা টের পাইনি, চক্রবর্তী মশাই হুট করে থেমে জানতে চাইলেন জায়গার নাম, তিনি সামনে এগিয়ে এলেন, টের পেলাম তিনি বৃদ্ধ, লুঙ্গি পড়া, গায়ে একটা পাঞ্জাবি লেপটে আছে। তিনি উত্তর দিয়ে আমাদের পরিচয় জানতে চাইলেন এমন একটা সুরে যে আমার মনে হলো মানুষটা যেন খুব চেনা, দেখলাম চক্রবর্তী মশাই বাইক বন্ধ করে দিয়েছেন। আমরা নামলাম। তারপর বিভিন্ন আলাপ, পুরো আলাপন আমরা মাঝেমাঝে এখনও স্মরণ করি তিনজন একসাথে হলে।
আমি জানতে চাইলাম, ‘কেমন আছেন?’ তিনি বললেন, ‘‘ভালো”। জানতে চাইলাম ছেলে-মেয়ে কয়জন, তারা কি করে, তিনি কি করেন। আমরা দীর্ঘক্ষণ কতা বললাম, একদম শেষে এসে তিনি বললেন, ‘বাবা, দুইটা খাই, ঘুমাই, নিজের জমিতে কাজ করি, আমি আর কতদিন বাঁচবো বাবা? আমার শুধু একটাই চাওয়া, মরার আগে যেন অন্যের জিনিস না বলে নিতে না হয়, আমার বংশের কেউ যেন এই কাজটা কোনদিন না করে বাবা, আপনারা দোয়া কইরেন....’
ফিরে আসার সময় তিনজনই চুপচাপ। বহুক্ষণ পর... চক্রবর্তী মশাই বললেন, ‘ভাই, ওনার সাথে দেখা হওয়ার জন্যেই মনে হয় আসলে আমরা তিনজন আজকে পাথরঘাটায় আছি, ঠিক না ভাই?’
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
বড় অস্থির হে সখা যমুনার জল, মেঘনার চাইতে কালো!
বড় অচঞ্চল পাললিক লতা-পাতা, চিত্রাঙ্গদা সরস্বতী;
একমাত্র অভিমুখী হতে পারে উপকূল, তার চাইতে ভালো
তটরেখা ছুঁয়ে দেয়া মানুষের কৈবর্ত স্মৃতি
যখন একসাথে ভিড় করে কাছে চলে আসে...
কেবলমাত্র মানুষকে ভালোবেসে
দেখেছি প্রকৃতি কখনোই নিঃশেষিত নয়,
যতদূর ভালোবাসা তত দূ--র মানুষের জয়!
আর সব নিষ্পেষিত পারলৌকিক অতি-ভ্রমণে!
মন্তব্য
ভালো লেগেছে আপনার লেখা। নানা জায়গার নানা মানুষ দেখছেন আর নানা রকম ঘটনা আর অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছেন।
যতদূর ভালোবাসা তত দু -র মানুষের জয় ।
অনেক মূল্যবান একটি কথা।
ভালো থাকবেন সবসময়।
ধন্যবাদ আপনাকে
লিখা চলুক...
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
চলপে
কিছু কিছু লেখায় একাধিকবার মন্তব্য করতে ইচ্ছা হয়।
ট্রাফিক জ্যাম এ বসে পড়ার সময় কবিতাটা বেশি ভাল লেগেছিল- এখন পড়ে লেখাটাই বেশি ভাবাচ্ছে- দুঃশ্চিন্তা নয়- এক্টা আশা, সম্ভাবনা, আলোর ঝিলিক!
মুক্তিযুদ্ধের সার্বজনীনতা, উন্নয়নের বাঁধা, সহজিয়া মানুষ- এই ভালোমন্দের বাস্তবতা সত্যিই ভাবাচ্ছে - ফিরে যাবার আগের লেখায় ফিরে যাবার পরের স্বপ্ন দেখতে পাচ্ছি।
দারুন তানিম
“ফিরে যাবার আগে লেখায় ফিরে যাবার পরের স্বপ্ন দেখতে পাচ্ছি”
“স্বপ্নের চেয়ে সুন্দর কিছু নেই...”
শেষে এসে কেমন যেন চুপ করিয়ে দিল।
facebook
প্রিয় উড়ন্ত ঘুড়ি, আপনাকে সতেজ
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
লেখা কই?
আরে তানিম্ভাই এত্তো বড় লেখা লিখছেন আবার আমারে জিজ্ঞেস করেন লেখা কৈ? এইটা হইলো!!! নাকি মন্তব্যে খালি আঙ্গুল উঁচা করছি দেইখা ক্রোধান্বিত হইছেন? তয় দুইবার করছি কিন্তু।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
দুই এর পরে তিন হোক...
আমি মানুষ দেখি, নানা কিসিমের মানুষ। জনস্রোতের একটা কোনায় চুপচাপ বসে আমি মানুষ দেখতে পছন্দ করি। এই অভ্যাসটা বহু পুরনো। অনেকে বলতে পারে, মানুষ আবার দেখার জিনিস নাকি !! কিন্তু আমি দেখি। যখন ট্রেন স্টেশনে/বাস ডিপোতে/ এয়ারপোর্ট এ বসে থাকি তখন অজস্র মানুষের ভিড়ে টুকরো টুকরো ঘটনা মনে গেঁথে নেই। কেউ নিজের সন্তানকে বিদায় জানাতে এসেছে, কেউ নিজের পরিবার নিয়ে জায়গা বদল করছে, সাথে একগাদা জিনিস পত্তর, বাচ্চা কাচ্চার কিচির মিচির, কোন বৃদ্ধ মানুষ নির্লিপ্ত চোখে তাকিয়ে আছে, কেউবা বন্ধুদের সাথে শেষমুহুর্তের গলাগলি সেরে নিচ্ছে, আরও কতো কি। যত জায়গা ঘুরেছি, সেখানকার মানুষের জীবন নিজের স্মৃতিতে ধরে রাখতে চেয়েছি। আর দেখি পুরনো নোনা ধরা দেয়াল, স্যাঁতস্যাঁতে শেওলা ধরা। হাতড়ে হাতড়ে ঠান্ডা দেয়ালগুলো দেখে এদের অতীত চিন্তা করি। মনে হয় কতো হাসি-কান্নার সাক্ষী এরা!
তানিম ভাই, লেখা চলুক, ভালো লাগছে সিরিজটা।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ধন্যবাদ
দারুণ লাগছে সিরিজটা...
ধন্যবাদ কড়িকাঠুরে
দেবা ভাই
-----------------------------------------
'দেবা ভাই' এর ব্লগ
ধন্যবাদ ভাই
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
ধন্যবাদ শাব্দিক
ধন্যবাদ রংতুলি
এমন সময় আপনার এই সিরিজ চালু হলো যখন আমি নিয়মিত ব্লগে আসতে পারছি না। আজকে পেয়ে গেলাম এই পর্বটা। বাকী দুটো পর্বে আরেকদিন যাবো। তবে এই সিরিজটা থামায়েন না দয়া করে। সময় পাইলেই চালান। বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক অজানা জিনিস জানতে বাকী।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
চলবে। ধন্যবাদ ভাইয়া
দারুণ লাগলো তানিম ভাই ।আমরা খালি ম্যালা টাকাপয়সা খরচ করে নানা দর্শনীয় স্থান দেখতে যাই, মানুষ আর দেখা হয়না।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
এইটা পুরা বানানো কথা। সেই দিনি ছবিতে দেখলাম বইসা বইসা মানুষ-মানুষি ব্যাকটির পিছে মুবাইল তাক কইরা বসা আপনে
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ধন্যবাদ ভাইয়া
ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা
ভাল লাগছে, খুব সাধারন জনেদের জীবন নিয়ে লেখার বিষয় এবং বর্ণন।
সুমনের গানের প্রেমে আমি পড়ি ‘যদি ভাবে কিনছো আমায়’ এই গানটা শোনার পর, তার আগে ‘তোমাকে চাই’ও এতোটা কাবু করতে পারেনি। ভালো থাকবেন জুন ভাই
আমি আপ্নের লেখা পড়ি আর ভাবি মন্তব্য কী করা যায়! শুধু ভাল লেগেছে এই কথাটুকুতে নিজেই শান্তি পাইনা মনোভাব প্রকাশের অপ্রতুলতা দেখে। তাই এই অক্তে শুধু এটুকুই জানিয়ে যাই যে পড়ছি সবই এবং আরো অনেক অনেক এরকম লেখা পড়তে চাই। ভাল থাকুন।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
দারুণ সুন্দর লেখা! আমি দেশের বাইরে ঘুরে বেড়াই। ভেতরে নয়। অনেক দিন ধরেই ভাবছি, ভেতরেও ঘুরতে হবে। আপনার লেখা পড়ার পর সেটি আরো প্রবল হল। ভালো থাকবেন!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
জেনে ভালো লাগলো। শুভকামনা রইলো
ধন্যবাদ নজরুল ভাই
দারুণ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এঁরাই টিকিয়ে রেখেছেন দেশটাকে।
-অয়ন
হ্যাঁ। এরা টিকিয়ে রাখবেন-ও। ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রতিমন্তব্য সব নিজেদের ইচ্ছামতন জায়গায় যেয়ে বসতেসে, ঘুরাঘুরি করতেসে। জুন ভাইকে করা প্রতিমন্তব্য চলে গেছে প্রৌঢ়ভাবনা ভাইয়ের কাছে, প্রৌঢ়ভাবনা ভাইকে করা মন্তব্য আরেক জায়গায়। আগেও এমন হয়েছে। এমন হচ্ছে কেন বুঝতে পারছিনা।
নতুন মন্তব্য করুন