জীবন মানে লড়াই শেষে-ও, লড়তে থাকা যুদ্ধ

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৬/০২/২০১৩ - ৫:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সারাক্ষণ দৌড়ুচ্ছি গত প্রায় দুইমাস, গত ০৩ ফেব্রুয়ারি সারাদিন দৌড়োবার পর রাতের বেলা বরিশাল, দুপুরে সেখানে খেয়ে পটুয়াখালী, পটুয়াখালী’তে ঘুমাতে ঘুমাতে মধ্যরাত, সকাল বেলা একটু আরাম-আয়েস করে উঠে আবার দৌড়, ১৩:১৫ মিনিটে আমি মোবাইলে একটা এসেমেস পেলাম। জাবি মুক্তিযোদ্ধা ছাত্র-কমান্ড প্রতিষ্ঠাকারী ৭ কমান্ডারের একজন, বন্ধু শামীম ভাই এর এসেমেস’টা হুবহু তুলে দিচ্ছি, ‘আমরা হতাশ .. আমরা আইসিটি এর এই রায় মানি-না ... কসাই কাদেরের ফাঁসি চাই .. আসুন বিকেল ৪ টায় প্রেস ক্লাবের সামনে .. জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ কর..’ শামীম ভাই, আমি জানি তুমি সেখানে ছিলে!

শুধুমাত্র মানুষের নাম আছে বলে যে পশুটার নামের উপর সারা বাংলাদেশ থুথু ফেলছে সেই বেজন্মার নাম নেবো-না আমি... আসলে-ই আওয়ামী লীগ চায় নাকি চায়-না, বিএনপি আর-ও কত উদোম হবে কি হবে-না কিংবা রাষ্ট্রযন্ত্রের হর্তা-কর্তা-বিধাতা’রা কিভাবে সমাপ্তি টানতে চান আমাদের খুশী করার জন্য -- সেসব নিয়ে আমি ভাববো কেন? তার চাইতে আমি, আমরা নিজে ব্যক্তিগতভাবে কি বিশ্বাস করি তার গুরুত্ব বেশি! আমরা মেনে নিতে নিতে হাপসে গেছি, একদম গুনে গুনে স------ব মেনে নেই, কিন্তু আমরা সবকিছু সবভাবে মেনে নিবো এই দিব্যি কে দিয়েছে!! গরাদের ভেতর হাত-পা-চোখ বাঁধা থাকতে পারি কিন্তু চোখ বন্ধ করে হলেও পশুদের যথাযোগ্য শাস্তি পেতে কল্পনায় দেখে যাবো আমি। আমি মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্ম, আমাদের প্রতিটি স্বপ্নের দাম আছে -- এতো সহজ সবকিছু!

হতাশ হতে হতে ‘এই দেশটার যে কি হবে!’ বলে দিতে শিখে যাওয়া প্রজন্মের কোলে বড় হয়েছি আমরা, বড় হয়েছি যাদের হাতে তারা ‘এই দেশে কিছু হবে-না’ এ্ই সার্টিফিকেট দিতে শিখে গিয়েছিলেন... আমাদের চাইতে পাঁচ কিংবা তারও বেশি বছর বয়সে যারা বড় তাদের নানাভাবে দেশ পাল্টে যাবার স্বপ্নের কথা বলতে শুনেছি আমরা, তাদের সেসব স্বপ্ন নিয়ে যুদ্ধ করতে দেখেছি, পাশে থেকেছি... তারপর তারা যখন কোণঠাসা হতে হতে জীবন সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়েছেন তখন আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের স্বপ্নগুলো পূরণ করার লড়াই চালিয়ে যেতে.... আমাদের পর একই চেষ্টা করেছে আমাদের সমসাময়িক প্রজন্ম... প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এই দেশে হতাশ হওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়েছে কিন্তু জাতিগত উদ্যম কিংবা একটা ভীষণ বদলে দেয়া আলো’র স্বপ্ন দেখা ছাড়েনি কেউ -- যে মাটির সোঁদা গন্ধ নাকে লাগলে সমগ্র মহাবিশ্ব’কে অস্বীকার করে ফেলতে ইচ্ছা করে, যে দেশের জাতীয় সংগীত গাইলে মনে হয় বুকের ভেতর বাংলাদেশ নামের একটা অদ্ভুত আকুল-ব্যাকুল পৃথিবী নিয়ে বেঁচে আছি আমি -- সেই দেশের মানুষ’কে ‘বোকাচোদা’ ভাবে যারা, তাদের বংশপরিচয় নিয়ে আমার সন্দেহ আছে!

সারাটা দিন সারাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী’রা যে-যেভাবে পারেন তাদের মনের কথা বলেছেন, আমার পূর্ব পরিচিত মানুষ যাদের রাজনৈতিক পরিচয় ছিল ছাত্রদল নেতা তাদের ভেতর প্রচুর মানুষজন বহুবছর পর ছেড়ে আসা রাজনৈতিক ময়দানের দিনে ফিরে গিয়েছেন কি? ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেতাদের ভেতর তীব্র প্রতিক্রিয়া, কষ্টের কোন সীমা-পরিসীমা নেই... প্রাক্তন বামপন্থী’দের বেলাতেও একই অবস্থা...আবেগী/নিরাবেগ, বোবা/কথক, সাহসী, পরশ্রীকাতর, নির্বিবাদী, আপোষকামী, নিরিবিলি, আউল-বাউল-নামাবলি, ঘুষখোর, স্বভাবে চোর, ভালো-মন্দ-মাঝামাঝি, সরল-জটিল, চালাক-চতুর-বোকা --- আরও বহুরকম তাল-বাহানার মানুষজন ফেসবুকে ভেতরের বিষ উগড়ে দিয়েছেন, দিচ্ছেন, দেবেন আরও কিছুদিন। বাঙ্গালী মরার আগে-ও নিজের মতামত দিয়ে যেতে চায়। বাঙ্গালী’র কেবলমাত্র নেতিবাচক চিন্তা করার, ভাবতে পারার, বলতে পারার কিংবা হুট অভিমানে, দ্রোহে সবকিছু থেকে নিজেকে বিযুক্ত করে ফেলার ক্ষমতা বিস্ময়কর!

যে ভাষায় কথা বলি সেই ভাষার ইতিহাস, যে সংস্কৃতি রক্তে লালন করি সেই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গর্বে বিদেশে গেলে আমি মাটি থেকে অন্তত দুই হাত উপর দিয়ে হাঁটি -- সেই দেশে একটা কসাই এর মূল্যমানে আমাদের সামগ্রিক চাওয়া এবং সেই চাওয়ার সাথে জড়িত আবেগের হিসেব হতে পারেনা! হিসেব হতে পারেনা কোন মাদারচোদ ফাঁসি না হয়ে যাবজ্জীবন হয়েছে বলে আমাদের পাছায় দিয়ে রাখা তার আজন্ম কিলবিলে দালালি’র দশটা আঙুলের ভেতর দুইটা আঙুল বের কোন সাইন দেখিয়েছে তার উপর ভিত্তি করে। আমি আজ থেকে সবগুলো রায় প্রত্যাশা অনুযায়ী না পেলে ‘ভি ফর ভিক্টরি’ সাইন আমৃত্যু দেখাবোনা। এই আঙুলে’র ভাজে ভাজে আমার সামগ্রিক অস্তিত্বের অমল-ধবল পাললিক রক্তের স্রোত, এই আঙুলের মুঠোয় ভরে আমি যে-দেশের মাটি দু’হাতে তুলে নিতে পারি বলে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হয়, যে হাতে’র উঠোনে খেলা করে আমার তিরিশ লক্ষ শহীদ আর আমার দেশের কন্যা-জায়া-জননীর বোধের ছায়া -- সেই হাতে আমি কোনদিন নেবো-না মেনে পরাজিত কোন বকধার্মিক-বেজন্মা রাজাকারের আস্ফালনে অপবিত্র হয়ে যাওয়া কোন বৈশ্বিক স্বীকৃতি! পারলে ঠেকা তোর কোন বিদেশী বাবা পারে তোদের মাতৃহীন এই স্বীকৃতি দিতে বেজন্মা জারজের দল! V for Vendetta, V for Vow!

কেবলমাত্র একটা ইট কিংবা পাথরের ভাঙা টুকরা কতটা পারমানবিক শক্তি ধরে তার খোঁজ জানে শুধুমাত্র জামাত-শিবির! আমাদের সময়ে জামাত-শিবির বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে, নানান জায়গায় যে পরিমাণ নাস্তানাবুদ হয়েছে তার ইতিহাস লিখা আছে পত্রিকার পাতায় পাতায়। জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী কিংবা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর কথা বাদ দিন, আমাদের সময়ে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির যে রাম-প্যাঁদানি খেয়েছিল তা বাঙালী ভুলে গেলেও জামাত-শিবির মনে রেখেছে। আসলেই কি আমরা যতোটা জুজু’র ভয় করি ততোটা ভয়ংকর হবার সাহস জামাত-শিবির রাখে? এতোটা স্পর্ধা এখনো এদের আছে? আমার মনে হয়-না, কার মনে হয়?

জামাত গৃহযুদ্ধের হুমকি দিয়েছে, সেই হুমকি’তে যদি বঙ্গবন্ধু কন্যা’র মন্ত্রণাদাতা’রা ভয় পায় তাহলে সেটা তাদের রক্তের দোষ, যদি আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক পৃষ্ঠপোষক বলয় ভয় পায় তাহলে সেটা তাদের বাণিজ্য চরিত্রের ব্যাবসায়িক পরিণতি, যদি আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক সম্প্রদায় ভয় পায় তাহলে সেটা তাদের স্বভাব দোষ -- রাষ্ট্রযন্ত্র যদি ভয় পায় তাহলে সেটা তাদের বাহানা আর যদি বঙ্গবন্ধু কন্যা ভয় পান তাহলে আমাদের জন্য সেটা শংকার কথা। ইতিহাস নিজ থেকে নিষ্ঠুর, ইতিহাস যদি পরে লিখা হয় তখন তার আলোকপাত থাকে একেকরকম আর বর্তমান নিজেই যখন ইতিহাস রচনা করে তখন সেখানে ভবিষ্যতের চাইতে বর্তমান সময়ের সাযুজ্য দেখাটা বেশি প্রয়োজন। জামাত’কে ছাড় দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা যদি ভেবে থাকেন যে তিনি এর বিনিময়ে তাঁর এবং তাঁর প্রায় নির্বংশ হয়ে যাওয়া পরিবারকে রক্ষা করতে পারবেন তাহলে তিনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন, আমরা করবো-না, জামাত নূন্যতম ছাড় দেবে না। বিএনপি এখন জামাতের পকেটের টাকায় দৈনিক কেনাবেচা হয় চোদ্দশ বার, আওয়ামী লীগ করে বলেই সবাই এখন আর ধোয়া তুলসী-পাতা নেই, বাংলাদেশের তথাকথিত প্রতিষ্ঠিত বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় বিক্রি হতে শিখে গেছে আজ বহুদিন -- আমাদের ভরসার জায়গা নেই কিন্তু নিজেদের অস্তিত্ব, গর্ব, স্বাধীনতা, স্বাধিকার আর বেঁচে থাকার দাম যদি আমরা এখন-ই ঠিক না করতে পারি তাহলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম বেজন্মাদের বীর্য পরিষ্কার করে দিনযাপনে বাধ্য হবে! এর চাইতে আমাদের আরেকবার হাসতে হাসতে মরে যাওয়া ভালো!

এই দেশে তবু যা সম্ভব তার নাম ক্রমাগত বেইমানি! যে-দেশে প্রতিদিন কুকুরের লেজ ধরে ল্যাম্পপোস্ট হিসেবে দাঁড়িয়ে যায় আরও সব বেহায়া কুকুর, যে-দেশে শকুনের থাবার নীচে শুকিয়ে যাওয়া রক্ত মায়ের আঁচল ছিঁড়ে নিয়ে পরিষ্কার করে আরও সব বেজন্মা শকুনেরা, যে-দেশে হায়েনার কাছে নিজের বোন’কে বর্গা দিতে কার্পণ্য করেনা আরও সব জারজের দল -- সে দেশে নব্য রাজাকার তৈরি হয় -- কেউ সরাসরি ছানা-ঘি-মাখনের দোকানে জিভ চাটতে চাটতে যায়, কেউ পায়সান্ন লুকিয়ে বাড়ীতে আনে, কেউ জিবেগজা খেয়ে মুখ মুছে বলে ফেলে, ‘আমি কিছু খাইনি!’ আমরা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্ম দেখছি, দেখেই যাচ্ছি... যাদের বিকিয়ে যাওয়া প্রয়োজন তারা জন্মের আগে-ই বিকোয়। চামার, পশু কিংবা রাজাকার হয়ে কেউ জন্মায়নি কিন্তু মানুষেরা-ই চামার-পশু আর রাজাকারের জন্ম দেয়। আমাদের কোন জিনিসটার ঘাটতি আছে ঐক্য ছাড়া? মানলাম মুক্তিযুদ্ধের পর দেশে সোনা-রুপার গঙ্গা বয়ে যাওয়ার কথা ছিল, হয়নি; কথা ছিল সবার সব স্বপ্ন পূরণ হবে, হয়নি; তাতে কি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ মিথ্যে হয়ে যায়? মিথ্যে হয়ে যায় আমাদের স্বাধীনতা? মিথ্যে হয়ে যায় পূর্বপুরুষের আত্মত্যাগ? বিষয়টা এতই ফেলনা, এতোটাই ঠুনকো যখন যেভাবে খুশী দেশের নামের উপর ধিক্কার দিতে শিখে গেছি আমরা!!

আমাদের পূর্বপুরুষরা কি একটা খেতাব, দুইটা পদক আর তিনটা টাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন? আজ আইসিএসএফ এর নতুন প্রজন্ম কিংবা আরও যারা এইরকম একটা যুদ্ধ চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সামনে থেকে স্ব-উদ্যোগী নেতৃত্ব দিয়ে- তারা কি একটা ‘কষ্ট করলে পাওয়া একটা কেষ্ট মামা’, দুইটা ফুলের মালার তৃতীয়া স্বীকৃতি কিংবা চতুর্মাত্রিক একটা জীবন এর প্রত্যাশায় এই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন? দেশের পুরাণ হয়ে যাওয়া বাতিল লোহা-লক্কড় প্রজন্ম আমাদের কি মনে করে? মেরুদণ্ড সোজা করে দাড়াতে না পারলে অবসর নিন! প্রয়োজন নেই স্থিতিশীল বাংলাদেশের চক্রবৃদ্ধিহারে বিপন্ন আঁচলের, প্রয়োজন নেই প্রতিদিন মুখ লুকিয়ে ঘরে ফেরা – সবকিছু’তে আপোষ হবে-না, রক্তের গর্ব বিকাবে-না নিলামে!

আর জামাত-শিবির! পারলে ‘আমি জামাত-শিবির করি’ এই স্টিকার লাগিয়ে প্রকাশ্যে আয় বেজন্মার দল, ভি ফর ভিক্টরি পুলিশ পাহারায় না চুদিয়ে পারলে বাইরে বের হয়ে দেখাতে বল! গৃহযুদ্ধ লাগুক, পারলে মুখোমুখি যুদ্ধে রাজি আছি, এইসব ফাচুকি রাষ্ট্রযন্ত্র আর বেহায়া মোড়লপনার চাইতে গৃহযুদ্ধ বেশি ভালো। না খেয়ে থাকতে রাজি আছি বেশুমার বাংলাদেশ কিন্তু যথাযোগ্য বিচার চাই, সেই গৃহযুদ্ধে যদি তার মূল্য দিতে হয়, সেই মূল্যে যদি বিতাড়িত করতে হয় পশুকুল সমাজ -- বাঙ্গালী আরেকবার সব ক্ষতি মেনে নিতে রাজি আছে। বুকের পাটা থাকলে ‘ধরে ধরে ধরেনা, ধরলে শিবির ছাড়েনা’ জামায় লিখে ঘুরে দেখা কুকুরের বর্জ্য থেকে জন্ম নেয়া প্রজন্মের দল! পারলে দেখা!

সচলে জাবি’তে জামাত-শিবির সম্পর্কিত পোস্টগুলো পড়ে অনেকে মন্তব্য করেছেন যে আমরা ভয়াবহ অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে গেছি, বিষয়টা মোটেই এরকম নয়; আমরা কোন দলের ছিলাম-না, হাতে-গোনা কিছু ছেলে-মেয়ে মুক্তিযোদ্ধা ছাত্র কমান্ড বলে একটা পতাকার নিচে এক হয়েছিলাম বলে আমাদের জীবনের সবচাইতে চমৎকার সময় কেটেছে সেই সময়টাতে, সবচাইতে বেশি মজা করেছি আমরা, সবচাইতে বেশি হৈ-চৈ হয়েছে, সবচাইতে বেশি গেয়েছি গান। ভয়াবহ ছিল আপাত লড়াই জিতে যাবার পর ভেঙে যাওয়া সামগ্রিক ঐক্য, আমাদের বিশুদ্ধ আবেগের উপর দাঁড়িয়ে রঙের বিকিকিনি...

যুদ্ধে নামার পর ঘোমটা দিতে বাঙালী শিখেছে বেশিদিন হয়নি, মানবতার নতুন সংজ্ঞা বাঙ্গালীকে শিখতে শেখানো হয়েছে এইতো সেদিন, কিন্তু বাঙ্গালী তার নিজের রক্তের পরিচয় ভুলতে শিখেছে বহু আগে! আর কতদিন! কর্তব্য বোধের কাছে এমনকি টের পাওয়ার আগে ভালবেসে ফেলা মানুষের কাছে দেয়া অঙ্গীকার মূল্যহীন হয়ে যায়... আজকে জামাত এর সাথে নূন্যতম আপোষ মানে আমাদের সমসাময়কি প্রজন্মগুলোর সাথে যে মাত্রার বেঈমানি তার মূল্য চুকাতে আমি নারাজ। এমনিতেই দেশের মুক্তবুদ্ধি নিয়ে বেড়ে উঠা প্রচণ্ড প্রতিভাবান প্রজন্মের একটা বড় অংশ দেশ ছেড়ে চলে গেছে, বুদ্ধিবৃত্তিক যে ঘাটতি নিয়ে এই দেশ বেঁচে আছে তাতে মাঠে সোনা ফললে আমাদের তুলে আনতে হয় কাঠপোড়া কয়লা -- আমরা আর কতো মূল্য চুকালে পরে দেশ’কে খুবলে খেতে থাকা মাথামোটা চামার’দের পেট ভরবে?


মন্তব্য

বিলাস এর ছবি

চলুক
সেটাই,

সবকিছু'তে আপোষ হবে-না, রক্তের গর্ব বিকাবে-না নিলামে!

সৌরভ কবীর এর ছবি

গুল্লি গুল্লি

__________________
জানি নিসর্গ এক নিপুণ জেলে
কখনো গোধূলির হাওয়া, নিস্তরঙ্গ জ্যোৎস্নার ফাঁদ পেতে রাখে

মেঘা এর ছবি

মন খারাপ অক্ষম ক্রোধে বুঝে পাই না কি হচ্ছে এসব?

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।