গান ছাড়া এই জীবন অচল সব প্রহরে। সেই ছেলেবেলা কোথায় কবে শব্দের আবাহনে সুর-তাল-লয়-ছন্দ সমস্বরে এসে জীবনটাকে এইভাবে বেধে ফেলেছে জানা নেই, জানা নেই গান বিচ্যুত সময়গুলো’তে আসলে কতটা ভাল থাকি, কিন্তু এতোটুকু বুঝি গান ছাড়া এই জীবন অচল যখন-তখন!
ইদানীং খুব গান শোনা হয়। কানের ভেতর হেড-ফোন গুজে মাঝে মাঝে নিজ থেকে আলাদা হয়ে যাই বন্ধু মহলে খুব সমালোচনা আছে আমার, এমনকি যখন কাজ করি তখন-ও গান শোনা চাই। ইউটিউব খুলে আজকাল খুব গান শোনা হয়। লাইভ কনসার্ট দেখতে আমার খুবই ভাল লাগে। একটা লাইভ কনসার্ট মানে পরিচিত গানটি’কে হয়তো আরও একটু আলাদাভাবে শুনতে পারার সুযোগ, মিউজিক কম্পোজিশনে হয়তো একটু ভিন্নতার ছোঁয়া, আরও বেশি হামিং আর হারমোনাইজেশন, পাশাপাশি আলোর বর্ণমালা’য় নতুনত্ব! লাইভ কনসার্ট মানে ল্যাপটপের পুরোটা স্ক্রিন জুড়ে প্রচুর দর্শকের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। আর যদি সামগ্রিক একটা এক্যুয়েস্টিক পরিবেশনা হয় তাহলে-তো কথাই নেই। সামগ্রিক পরিবেশনায় অনন্যতার সাথে সাথে মঞ্চ ব্যবস্থাপনা আর আলোক-সম্পাত কতোটা কাব্যিক হতে পারে, হতে পারে কতটা “থিমেটিক (যুতসই বাংলা শব্দ পাচ্ছি না)”, তা বলে বোঝানো যাবে না।
একটা গান একটা সমাজ’কে পাল্টে দিতে পারে, একটা গানের সাথে একাত্ম হয় একটা জাতি, একটা গানের সুরে কণ্ঠ মেলাতে পারে সমগ্র বিশ্ব। গানের আবেদন সার্বজনীন, ভাষা এখানে কখনো কখনো কোন তুমুল পার্থক্য গড়ে নিতে পারে না। যে কারণে ইন্সট্রুমেন্টাল শুনতে শুনতে যখন ডুবে যাই তখন মাঝে মাঝে টের পাই কোন এক ভাষা’র জন্ম হয় গহীন ভিতরে। আবেদনে, নিবেদনে কিংবা আলাপনে একটা গান শ্রোতাকে তার পরম নৈকট্যে নিয়ে আসতে পারে বলেই সঙ্গীত সংশ্লিষ্ট একজন শিল্পী জনপ্রিয়তার তুখোড় সিঁড়ি বেয়ে উঠে যেতে পারেন।
পৃথিবী বদলায়, যেমন বদলায় আমাদের স্ব-দেশ। বাংলাদেশ গানের দেশ, যারা এই ভয়ংকর সত্যটাকে স্বীকার না করে খুশী হতে চান তাদের ধাক্কা খেতে হয় প্রতিনিয়ত- প্রতিনিয়ত, এমনকি একটা রিকশা-সিএনজি-বাসে বসে আমরা টের পেয়ে যাই মানুষ গান গায় কিংবা গান শোনে; বাংলাদেশে প্রচুর সুরের ধারার সৃষ্টি করেছেন যারা তাঁরা কেউ সমাজের প্রতিষ্ঠিত মানুষ ছিলেন-না। পাললিক বাংলাদেশে পললের সাথে সুর ভেসে আসে, একজন মাঝি যে-কারণে গান গাইতে গাইতে নদী’র বুকে ঢেউ তুলে ফিরে চলে যান বাড়ী। কৃষকেরা ধান কাটার সময় একই তালে ধানের ক্ষেতে লড়াই করেন সাড়া বেলা, ধান কাটা নিয়ে এদেশে প্রচুর গান আছে। বাংলাদেশের মানুষের গান সংক্রান্ত আচরণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। বার মাসে তের পার্বণের এই দেশে প্রতিটি আচারের সাথে গান তৈরি হয়েছে এই সেদিন-ও কিংবা হয়তো-বা এখনও হয় যার খোঁজ রাখার সময় আমাদের নেই।
একজন শাহ আব্দুল করিম, রাজ্জাক দেওয়ান, বিজয় সরকার, মুজিব পরদেশী, উকিল মুন্সী কিংবা আব্দুর রহমান (আরও কত নাম!) আমাদের কাছাকাছি কোনদিন আসার সুযোগ পাননি বলে আমরা তাদের গানের বিকৃত রূপ শুনে আত্মতৃপ্তি পাই; তাদের গান গেয়ে বিখ্যাত হয়ে যান প্রচুর মানুষ কিন্তু এই মৃত্তিকার পরম আবেশ আর আবেগ অস্তিত্বে নিয়ে এইসব মানুষেরা সমগ্র দেশজুড়ে মানুষের মনে কতটা পার্থক্য গড়ে দেন তার খোঁজ রাখি না আমরা। এই অংশটুকু মূল প্রসঙ্গের বাইরে থেকে বলা কিন্তু না বলে পারা গেল না।
কয়েকটা দিন ধরে Peter Gabriel এ ডুবে আছি, লাইভ কনসার্ট দেখছি, Secret World এর লাইভ দেখতে দেখতে, গানগুলো শুনতে শুনতে আজকে ‘In your Eyes' যখন শুনছি তখন হুট করে U2'র ‘One' গানটার লাইভ কনসার্টের লিংক পেয়ে গেলাম কিন্তু গানটা শুরু হতেই থমকে গেলাম পুরোপুরি। গান যতটা শুনেছি তার চাইতে বেশি ভেবেছি। মনে হয়েছে বাংলাদেশে’র সঙ্গীত শিল্পী’রা কতটুকু দেশ নিয়ে যতটা ভাবেন ততটা তাদের ভাবনা প্রকাশ করেন কিনা, এই পোড়া দেশটাকে বদলে দিতে তাদের ভূমিকা তাঁরা ভুলে গেছেন কিনা? এরশাদ পতন আন্দোলনে ‘বামবা’ যে ভূমিকা রেখেছিল তার খোঁজ হয়তো এ প্রজন্ম রাখে না কিন্তু আমরা দেখেছি একটা ‘সংঘবদ্ধ’ বক্তব্য কতটা সমৃদ্ধ হয়ে যুব সমাজের ভেতর সংহত আবেগ তৈরি করে দিতে পারে। আমাদের এইসব সমৃদ্ধ চর্চাগুলো কি আমাদের নিজেদের দোষে হারিয়ে যাচ্ছে? নাকি পতনশীল রাজনীতি’র পঙ্কিল হর্তাকর্তা-বিধাতা’রা আমাদের ‘সাংস্কৃতিক আন্দোলন’ বন্ধ করে দিয়ে তাদের লুটপাট চালিয়ে যাওয়ার কাজে পুরোপুরি সফল?
জানি না, সবসময় সবকিছু নিয়ে ভাবতে ভাল লাগে না। বরং কয়েকটা গান শুনি, ভাল থাকি, যাপিত জীবনের খরতাপ ছেড়ে কিছুটা সময় কাটুক বাঙময়!
১) শেকিং দ্য ট্রি .... পৃথিবীর সকল নারীদের জয় হোক!
২) ওয়ান
৩) ইন ইওর আইজ
উৎসর্গ: অনন্য বন্ধু সৈয়দ সাহেব, গান নিয়ে নিজের ভালবাসার কথা বলতে গেলে চোখেমুখে যে বিরল আলো’র বসতি এসে ভিড় করে তার জয় হোক!
মন্তব্য
তানিম্ভাই জবরদস্ত লিখেছেন
লাইভ কন্সার্ট লাইভ দেখতে আরো জম্পেশ।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
লাইভ কনসার্ট লাইভ দেখার পর ভাঙা গলা নিয়ে ঘরে ফেরা আরও জম্পেশ!
শুধু ঘরে ফেরা না, বলেন টলতে টলতে ঘরে ফেরা
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
সর্বক্ষেত্রে না। টলতে টলতে ফেরা মানে প্রায়শ বিস্মৃতি কিন্তু পূর্ণ মনোযোগে হারিয়ে যেয়ে, ডুবে যেয়ে গান শুনতে শুনতে, গাইতে গাইতে যে বহুমাত্রিক আবেশ ভর করে তার মানবিক সামর্থ্যের বুঝি কোন তুলনা হয় না। খাওয়ার আবেশ আর স্বচ্ছন্দ-সহজাত আবেশের ভেতর কল্যাণকর পার্থক্য আছে মশাই
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
গান শোনা প্রায় ছেড়েই দিয়েছি।
লেখাটা বোধহয় আরো বেশ খানিকটা বড় হতে পারত।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হুমম। পরের লেখা বড় করে লিখবো নে। পড়া এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
প্রথম বাক্যটাই টেনে নিয়ে গেলো পরের গুলোয়। দারুন বিষয় নিয়ে দারুন লেখা। তবে অতৃপ্তি থেকে গেলো, আরো বড় করে লেখা দেন। "এই মৃত্তিকার পরম আবেশ আর আবেগ অস্তিত্বে নিয়ে এইসব মানুষেরা সমগ্র দেশজুড়ে মানুষের মনে কতটা পার্থক্য গড়ে দেন তার খোঁজ রাখি না আমরা" - শুধু এটা নিয়েই বোধহয় একটা চমৎকার পোস্ট হতে পারে।
- লিংকগুলো দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। "শেষ হইয়াও হইলো না শেষ" টাইপের পোস্ট দেয়ার অপরাধ(!) এই কারণেই মাফ করে দেয়া যায়।
____________________________
গান নিয়ে লিখতে গেলে শুধু মনে হয় গানের কিছুই বুঝি না এখনো
আপনি মহান প্রোফেসর সাহেব
লেখা উৎকৃষ্ট হয়েছে।
বর্তমান আবর্তে শুধু গান শুনলেই মনে হয় যেন বেঁচে আছি !
ধন্যবাদ ভাইয়া
তিথীর সাথে একমত। হুট করেই শেষ হয়ে গেল লেখাটা
আমিও সেরকম গানখোর:D গান নিয়ে আরো লিখুন বেশ বড়সর করে।
চেষ্টা করবো।
আর ইয়ে, হুট করে শেষ হলো কোথায় বাপু, লিংক ধরে গান শুনুন, সিক্রেট ওয়ার্ল্ড কনসার্ট দেখতে-ও ব্যাপক সময় লেগে যাবার কথা। বললেই হলো!
কি ফাঁকিবাজ আপনি ভাইয়া, তাইলে পরে ইউটিউবের লিঙ্ক ধরায়ে দিলেই হয়, লোকে এই জন্মে ইউটিউব দেখে শেষ করতে পারবেনা।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ধন্যবাদ আপনাকে
-নিয়াজ
ধন্যবাদ
আপনার গদ্যের মাঝে-ও একটা সুন্দর লিরিক্যাল ভাব রয়েছে।আমাদের দেশীয় ঐতিহ্যবাহী গান নিয়ে-ও যদি লেখেন,তাহলে খুব ভালো হয়।
লিঙ্কগুলোর জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
প্রতিদিন গান না শুনলে পেটের ভাত হজম হয় না তেমন না ব্যাপারটা। কিন্তু তাপ্পরেও আমি প্রচণ্ড রকমের গান পাগলা। এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে 'মৌলবাদী' শ্রোতা সম্ভবত। এবং তা নিয়েই আমি স্বস্তিতে থাকি( কিছু কিছু পাবলিকের 'বিখ্যাত' হয়ে যাওয়া নিয়ে আর কি)।- বামবার সেই সময়টা দেখি নি। লিখুন না সেইগুলো নিয়ে।
কয়েকদিন ধরে সঞ্জীব দা'র স্বপ্নবাজীর ভিডিওটা দেখছি। শিউরে উঠি প্রতিবার।
কড়িকাঠুরে
ধন্যবাদ কড়িকাঠুরে। বামবা’র সেই সময়টা ছিল বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের জেগে যাবার তুমুল একটা সময়, শুধুমাত্র বামবা নয়, সারা দেশজুড়ে একটা জাগ্রত সমবায় ছিল সংস্কৃতির।
সাংস্কৃতিক আন্দোলন ছাড়া রাজনৈতিক কোন পরিবর্তন সম্ভব নয়, কোনদিন নয়। আমাদের চাইতে রাজনীতিবিদ’রা এটা সবচাইতে ভাল জানেরে ভাই, তবে আশার কথা, একটা পরিবর্তন আসছে। নতুন প্রজন্মের সাথে হাতে হাত রেখে সে আন্দোলনে সামিল হতে পারছি এই তৃপ্তি কতদূর তা বলে বলে বোঝাতে পারবো না!
ইন ইউর আইজ শুনলাম, ভাল লাগছে, বাকীগুলা পরে শুনবোনে।
আচ্ছা।
খাপে খাপে মিলে গেছে!
ধন্যবাদ
সাহিত্য আর সংগীত মানুষকে সবচেয়ে বেশি বিকাশিত করতে পারে.মানুষের চোখের সামনে সাজিয়ে দিতে পারে অসংখ্য কল্প দৃশ্য.জাগিয়ে তুলে মানুষের বিবেক বোধ,দেশপ্রেম.মিথ্যেকে ঘৃনা করতে শিখায়,সত্যের পথে সাহসী যোদ্ধা বানায়.বিশুদ্ধ সংগীত আর সত্যিকার জীবনমুখি উপন্যাস,গল্প মানুষের জন্যে তাই আলোর দিশারী.বাংলা সাহিত্যে অনেকেই আছেন যারা লিখে গেছেন জীবনবোধের কালজয়ী সব উপন্যাস,কিন্তু সংগীতে জীবনবোধ,মানববোধ,দেশপ্রেম,দ্রোহ,সমকাল,অন্যায় আর অসংগতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী শিল্পী খুজে পাওয়া কঠিন.এই স্রোতের বিপক্ষে চলা কয়েকজন শিল্পী আমি খুজে পেয়েছি.যাদের গানের মাঝে আমি সবি পেয়েছি,যাদের গান শুনে সবচেয়ে বেশিবার দেশের প্রেমে পড়েছি. ফিডব্যাকের মাকসুদ, দলছুটের সঞ্জীব দা আর বাংলার গান গাই খ্যাত মাহমুদুজ্জামান বাবু”..এরা প্রত্যেকেই আমার খুব প্রিয় শিল্পীর অন্যতম...!
মাকসুদ আমার কাছে বাংলা গানের প্রধাণ বিদ্রোহি গায়ক। যিনি গেয়েছেন রাজাকার, মৌলবাদী আর গনতন্ত্রের মুখোশধারীদের বিপক্ষে। তার নিষিদ্ধ এ্যালবাম ছিলো অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্রোহ। গীতিকবিতা-১ ,গীতিকবিতা-২, আবারো যুদ্ধে যেতে হবে, পারওয়াদিগার, বাংলাদেশ-৯৫, সামজিক কোষ্ঠকাঠিন্য, অনিয়ম সহ অসংখ্য কালজয়ী গান গেয়েছেন মাকসুদ।
বাংলাগানের কাব্যিক গায়ক বলতে সঞ্জীব দা কে বুঝায়। যিনি গেয়েছেন স্বৈরাচার বিরোধী গান থেকে শুরু করে একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামের শোষক মোড়লদের নিয়ে গান। স্বপ্নবাজ, চল বুবাইজান অন্যতম
মাহমুদুজ্জামান বাবু দ্রোহকালের শ্রেষ্ঠ গায়ক। সমসাময়িক রাজনীতি, মৌলবাদ,আর ৭১ যার গানের প্রধান বিষয় বস্তু ছিলো। ভোর হয়নি, অচেনা সময়, রাজা যায় রাজা আসে, প্রিয় মৃত্তিকা, মুখোশ নিবেন, নাচতে নেমে দিলে ঘোমটা , এমন অসংখ্য গানের মাঝে যিনি নিয়ে ধরে রেখেছেন মৌলবাদীদের স্বর্গকালের সময়কে।
আর এখন চলছে যন্ত্র গায়কদের(আরেফিন রুমি, হৃদয় খান, বালাম) জয়জয়কার। আমি আছি তুমি নেই,তোমার জন্যে মরতে পারির মাঝে গানগুলো সীমাবদ্ধ। অথচ ৯০এর দশকে বাংলাগান ছিলো প্রতিবাদের অন্যতম ভাষা, দেশপ্রেম জাগ্রত করার শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। বাংলাগান হাটছে এখন উল্টো পথে।
মাসুদ সজীব
মাহমুদুজ্জামান বাবু’কে দ্রোহকালের শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবে মেনে নিতে প্রখর আপত্তি আছে আমার, বরং কফিল ভাই হয়তো জনপ্রিয়তার কাছে নিজেকে বিকিয়ে দেননি বলে আমরা তাঁর নাম-ই জানি না। দ্রোহ শব্দটার সাথে প্রিয় কবি রুদ্র ছাড়া আর কাউকে ভাবতেই পারি না।
মাকসুদ ভাই আর সঞ্জীব দা -- সহমত। নোভা’র রাজাকারের তালিকা চাই গানটার কথা মনে করিয়ে দিলেন।
সহমত।
গিটারিস্ট জীবনের প্রথম দিকে উনার সাথে টানা প্রায় ২ বছর বাজানোর সৌভাগ্য হয়েছে বিভিন্ন স্টেজ শো তে। এখন তো উনি ঢাকাতে থাকেনই না। কিছুদিন আগে এসেছিলেন। তখনও একসাথে স্টেজে ছিলাম।
আপনাদের নিজেদের একটা গান শেয়ার করুন, আমরা সবাই শুনি।
যাপিত জীবনের খরতাপ ছেড়ে কিছুটা সময় কাটুক বাঙময়!
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
কাটুক তবে! ধন্যবাদ শাহীন ভাই
আমার কাছে একেকটা গান একেকটা কালের মাইল ফলক। একেকটা গান একেকটা স্মৃতিস্তম্ভ। গান শোনার সাথে সাথে সেই স্মৃতিগুলো সময়গুলো ঝপ করে নেমে আসে। নস্টালজিক হবার মতো পোষ্ট।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
নস্টালজিক সময় কাটছে। পড়া এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া
নতুন মন্তব্য করুন