আজ, আজ এমন কোন দিন নয় যে চারপাশে সবাই বাংলাদেশ বাংলাদেশ বলে মিছিল নিয়ে বেড়াবে- বুকে’র ভেতর একটা ক্রিকেট দল যারা নিজেরাই বাংলাদেশ হয়ে গেছে। আজ এমন কোন দিন কোনভাবেই নয় যেন মনে হবে বাংলাদেশ পৃথিবী’তে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে তুমুল স্বীকৃতি পেয়ে গেছে সে বাঙালী বলে। আজ এমন’কি রাজনীতি-গুজব-রটনা-ঘটনা-সমষ্টি দুম করে দেশ থেকে উধাও হয়ে যায়, বিদায়-ও নেয়নি টিভি-পত্রিকা-ইউটিউব-ফেসবুক-ব্লগ-ঝাড়বাতি থেকে। আজ এমনকি কোথাও কোনভাবে এই কথা বলা হয়নি যে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বললে ২০টি জেলায় যখন-তখন চলে গিয়ে একটানা দেশের গান গাইতে গাইতে এমাথা-ওমাথা হেঁটে বেড়ানো যাবে। আজ বরং বুঝে নেয়ার সময়, সামনের দিনগুলো আরও দীর্ঘ, আরও বহুদূর পথ হেঁটে যেতে হবে। কিছু কিছু শেষ হয় শুরুতে, সেই শুরুটাকে শেষ হিসেবে ভেবে নিয়ে কর্তব্যে থেকে দূরে সরে গেলে ভয়াবহ বিপদ। প্রতিবার প্রতিটি অর্জনের পর সবচাইতে বড় ভুলগুলো করেছি আমরা, অর্জন ধরে রাখা যায়নি। রক্তিম মনে মনে বিশ্বাস করতে চায়, এইবার আর সেটা হবে না।
রক্তিম এর সাথে পতাকা’র যেদিন দেখা হয় তখনই রক্তিম টের পেয়েছিল পতাকা’র পরিমিতিবোধ পরিমাপে! শারীরিক কোন পরিমাপ পরিবৃত্তি এখানে কাজ করেনি, সে ওভাবে ভাবতেই শেখেনি। পতাকা নামের একজন মানুষ, যাকে নানাজন নানানরকম নামে ডাকতে শুরু করেছে, রক্তিম তার নাম দেবার আগেই জেনে গেল সবকিছু’তে সবরকম করতে নেই। যার সাথে সবকিছু করতে নেই তার সাথে যে সবকিছু জড়িয়ে যায়, আরও বেশি জড়াতে থাকে সে বিষয়টা বুঝতে বুঝতে যখন অনেক দেরী হয়ে গেল ততদিনে সে নিজ থেকে আলাদা, না বুঝে! পতাকা সবার সাথে যায়-না, সবার কাছে পরিমিতিবোধ এর সমস্তটুকু থাকে-না, সবাই ‘শূন্য’কে মানতে শেখে-না সর্বাগ্রে! পতাকা নামে কোন মানুষ এর সাথে আজও তার পরিচয় হয়নি, রক্তিম ভাবে। কাউকে কি সে খুঁজেছিল অমন করে? সে জানে সে খুঁজেছে, আজ সে মেনে নিলো। আজ সবকিছু থেকে মুক্তি! আচ্ছা, পতাকা নিজ থেকে সবকিছু বুঝে নিলো না কেন? একথা’টা সে আগেও ভেবেছে এবং যুক্তি খুঁজেছে। শেষ দেখা হয়েছিলো কবে? সে যাই হোক, আর ভাবা যাবে-না, সে মনে মনে বলে।
তারপর হুট করে তার মনে হয় বাংলাদেশে’র পতাকা’র মাপ আর সঠিক রূপরেখা নিয়ে কে যেন পরিবর্তনের কথা বলছিল কিছুদিন আগে। কিছুদিন আগে জাতীয় সঙ্গীত বুকে হাত রেখে গাইতে শুরু করেছিলো এন্তার মানুষজন, টিভি’তে শিল্পী-কলাকুশলী-সেলেব্রিটি’দের একেবারে ভিড় লেগে গেল জাতীয় সঙ্গীত গাইবার জন্য। সেদিন চ্যায়ারমেন সাহেব বলছিলেন তাই দেখে নাকি তার বিশ্বকাপে ফুটবল দলগুলোর কথা মনে পড়ে। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে হবে টানটান দু’হাত দু’পাশে ঝুলিয়ে রেখে, দেখে যেন মনে হয়- ‘আমি প্রস্তুত!’ বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত স্বদেশ এর রূপ-রস-গন্ধে-গর্বে সে কেবলমাত্র ভালবাসা’র কথা বলে, বলে মানবতার কথা। বাংলাদেশের পতাকা সে কথা বলে-না বলেই সে ৩০লক্ষ শহীদ এর রক্ত’কে স্বীকৃতি দেয় কেন্দ্রে, সবুজ তার সমৃদ্ধ বিশ্ব-চরাচর। আজ এমন কোন দিন নয় যে বাংলাদেশে’র মানুষ সবাই মিলে জাতীয় সঙ্গীত গাইবার পর রণসঙ্গীত-ও গাইবে! অথচ গাইবার কথা ছিল- চল্ চল্ চল্, চল্ চল্ চল্...
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম’কে রাষ্ট্র মুসলমান কবি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি, দিয়েছে জাতীয় কবি হিসেবে। রক্তিম এর মনে পড়ে যায়- এই স্বীকৃতি দিতে কবি’কে বাংলাদেশে এনে তাকে জাতিগত চূড়ান্ত মানসিকতা’র সাথে স্বীকৃতি দেয়া হয়; বিদ্রোহী কবি বলে আমরা যাকে জানি তিনি-ই আমাদের জাতীয় কবি। জাতি হিসেবে কি আমরা আজন্ম বিদ্রোহী-বিপ্লবী নই? ‘সাম্যের গান’ গেয়ে যাওয়া কবি জীবিত থাকতে ‘নাস্তিক’, ‘কাফের’ গালাগাল শুনেছেন, মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে পুরোপুরি ভিন্ন মরতবা! বাঙালী কেবলমাত্র বাংলাদেশে থাকে-না, সে ছড়িয়ে আছে বিশ্বজয়ী, বাঙালী’র বিশ্বকবি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর; বাঙালী বলতে বাঙালী’র গলায় কাশির ব্যামো আছে, হাসতে হাসতে ভাবে রক্তিম। বাঙালী বললে মুসলমান হিসেবে অস্তিত্বের টানাটানি লাগে প্রচুর মানুষের, এই সংকটের শুরু বেশিদিন নয়, সে বইতে পড়েছে। বাঙালী বললে যে জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করা সম্ভব হয়, তার ভেতর কতটা সম্ভাবনা লুকোনো, তা বুঝতে পেরেই কি এইভাবে দিনে দিনে সবকিছু আরকে মাখিয়ে ফেলা হয়েছে? বাংলাদেশে’র মানুষ মোড়ক দেখলেই বিভ্রান্ত হয়, হু বাবা এই দেশের মানুষ বিভ্রান্ত হতে পারে বটে! যে কারণে বিজ্ঞাপন’গুলো দেখলে মনে হয় দেশটা একেবারে বিলাত-আমেরিকা হয়ে গেছে।
আজকাল গাছ থেকে আম মাটিতে পড়ে প্রাণ ম্যাঙ্গো-জুস কিংবা চকলেট হয়ে যায়, সেটা দেখতে হয় টিভি পর্দায়। আজকাল উঠতে জ্বর, বসতে কাশি, শুতে গেলে ফাইভ-স্টার হাসপাতাল, আজকাল মেডিক্যাল থেকে বের হয়েই সবাই কনসালট্যান্ট! আজকাল ছাত্রের চাইতে শিক্ষক বেশি, শিক্ষকের চাইতে বিশ্ববিদ্যালয় বেশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইতে বেশ্যা’কে লজ্জা দেয়া তাবেদার-বুদ্ধিজীবী’র সংখ্যা বেশি, আজকাল পদ্মলোচন কানাগলি ছেড়ে স্ট্রিট-লাইটে হামাগুড়ি দিতে শিখেছে ধড়িবাজ! আজকাল ক্যামেরা হাতে নিলেই সবাই মিউজিসিয়ান, পটলের মত মাথা নিয়ে মাথায় একটা ওস্তাদি মার্কা টুপি দিয়ে দুইটা চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বললেই সিনেমা! মতিভ্রম হলে বিখ্যাত লেখক-কবি-বোদ্ধা-সমালোচক-ডিগ্বীজয়ী, আজকাল আর কোন নষ্টামি না করতে পেরে টক-শো-গলাবাজ হতে পারে ল্যাচ্চর! কিংবা মানুষের কাছে কোন বিকল্প নেই বলে এতো কয়টা চ্যানেল-পত্রিকা-ইতং-বিতং দেখতে দেখতে মানুষ হাপসে উঠেছে -- রক্তিম ভাবে। সাংস্কৃতিক একটা তুমুল আন্দোলন দরকার এখন সারাদেশ জুড়ে। সেই কথা জেনে ব্যবসা শুরু হয়েছে, রক্তিম জানে। মানুষ বদলে যাবার জন্য কিভাবে ডিম পাড়বে, কিভাবে ডিমের আগে মুরগী হতে যেয়ে ভুল করে একটা বজ্জাত শেয়াল মুখোশ জুটিয়ে মানুষের মত সং সাজার চেষ্টা করবে সেটাও সবাইকে দেখতে হয়। পরিবেশে দিনেকানা!
এইগুলা হচ্ছে বয়সের দোষ, সারাক্ষণ ভাবতে থাকা, রক্তিম ভাবে। তারপর তার মনে হয়- সবাই ভাবে, বাঙালী সারাক্ষণ ভাবে, ভুলপথে ভাবে! আজ থেকে কি সঠিক পথে ভাববে? জাতি হিসেবে তার কল্পনাশক্তি’ কি ফিরেছে? মনে হয় না। ঘরের কাছে যুদ্ধ চলে আসার আগ পর্যন্ত সে আসলে ভাবতেই থাকবে- আরেকটু দেখি। যুদ্ধ মানে যে শুধুমাত্র ঢাল-সড়কি-বন্দুক-পিস্তল নিয়ে যুদ্ধ না, কখনো কখনো যুদ্ধ’টা যে কেবলমাত্র বিশ্বাসে- এই কথাটা সে কবে বুঝতে শিখবে? কবে তার মনে হবে যে একটা জাতি’র আত্মপরিচয় কেবলমাত্র ধর্ম দিয়ে হতে পারে না, ভাষা সেখানে একটা বিবেচ্য বিষয়, সংস্কৃতি তার চাইতেও বড়। ১৯৭১ সালে যে পূর্ব পাকিস্তান, সে পূর্ব পাকিস্তান এর শুরু ভারত ভাগের পর, তার আগে এই জাতি’র নাম যদি পূর্ব পাকিস্তান না হয়ে থাকে তাহলে পূর্বদিকে সূর্য উঠলে তা পশ্চিমে অস্ত যাবেই কিন্তু কোনদিন পশ্চিম থেকে উঠবে না! সৌদি আরবের খুরমা-খাজুর যতই পবিত্র হোক সে খুরমা-খাজুর এর মালিকানা ওহাবী’দের, তাদের জন্ম ব্রিটিশ শাসনে, মওদুদী কেবলমাত্র টাইটেল পাস বলেই মওলানা, নাপাকিস্তানে জামাতি ইসলামী জন্মলগ্ন থেকেই স্বীকৃতি পায়নি, বাংলাদেশে তারা আত্ম-স্বীকৃত রাজাকার-আলবদর-আলশামস। বাংলাদেশে জামাত কতটা ঘৃণার বস্তু তার চাইতে বড় কথা ঘৃণ্য জিনিস নিয়ে এত-বেশি তর্জমা করার সুযোগ আমরা দেই বলেই তারা তাদের জঙ্গি-মৌলবাদী চরিত্র ধারণ করে এমনকি আমাদের হুমকি দিতে সাহস পায় এই আজকের দিনে-ও... আজ এমন কোন দিন নয় যে একটা কসাই এর ফাঁসি হবার পরেও তাকে কাদের মোল্লা কাদের মোল্লা নামে ডাকা হতেই থাকবে! বাংলাদেশের কসাই’রা পর্যন্ত শাহবাগ আন্দোলনের সময় জানিয়েছে যে একটা কাদেরের নামের আগে কসাই যুক্ত করা হলে তারা লজ্জিত বোধ করে! এই দেশের মানুষ এমন হয়, হতে পারে কিভাবে?
যারা ডুগডুগি বাজাচ্ছেন কিংবা ভাবতে বসেছেন সকাল বেলা নিমের ডালে তা দিতে দিতে সবকিছু পেয়ে যাবেন তারা চিরকাল ফাচুকে; ফাচুকে শব্দটা মনে পড়তেই হাসি চলে আসে রক্তিমের। কারা যেন একেবারে দল বেঁধে ঘোমটা খুলে নাইতে নেমে ‘ফাঁসি নয়, আমরা মিলমিশ করে বাঁচতে চাই’ বলে একেবারে তেলে-জলে মিশে গেছে, তাদের কারণে ২০১৩ চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে বাংলাদেশে’র ইতিহাসে। ২০১৩ সাল মুখোশ উন্মোচনের বছর, সবাই বলছে একথা। বাঙালী আয়নায় নিজের চেহারা দেখে প্রতিদিন, মাথায় চুল নেই তবু তার পকেটে চিরুনি রাখা চাই কিন্তু ইতিহাস উচ্ছন্নে গেলে তার রক্ত গরম হয় না। রক্তিম হাসে, বাঙালীর রক্ত গরম হয় পরকালে!
সে জানে, এখন-ও বহুদূর পথ বাকি। মা নাকি অসুস্থ, সেদিন ছোটবোন ঝাঁঝালো গলায় বলছিল। মা কখন অসুস্থ হন, কখন সুস্থ হন সে কথা মা কোনদিন নিজ থেকে বলেন না- রক্তিম জানে। মা কখনো বলেন-না তাকে ডাক্তার এর কাছে নিয়ে যেতে, খুব দাম দিয়ে একটা শাড়ী কিনে এনে দিলে বকা দেন। অথচ রক্তিম যদি মায়ের কাছাকাছি বসে এমনকি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে- মা অস্থির হয়ে যান। মা’কে কোনদিন কারও নামে নালিশ দিতে শোনেনি রক্তিম, কোনদিন মা তাঁর ইতিহাসের সমস্ত দু:খ, কষ্ট, যাতনা, লজ্জা কিংবা দাহনের কথাগুলো বলেন না, কোনকিছু প্রয়োজন হলে তা চাইবার সময় লজ্জা পান --- মা এমন কেন মা!
আমরা-ই বা এমন করি ক্যান? ধরেই নেই মা সর্বংসহা, আমরা কিছু না করলেও তিনি ভাল থাকবেন, ভালই থাকবেন, নিজ থেকে ‘বৃদ্ধাশ্রম’ বেছে নেবেন তবু মূর্ছা যাবেন-না!! জামাত-শিবির এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ মানে সারাবিশ্বে’র সমস্ত হায়েনা-শকুন-শেয়ালের সাথে প্রতিদিন যুদ্ধ, দেশের জন্য লড়তে থাকা মানে প্রতিবার বিশ্বাসের লড়াই, সে লড়াইয়ে রাজনীতি কাঙালের মত শুধুমাত্র ভিখ মাগে বলে সে যুদ্ধে কে কোনদিকে কোন ফায়দা উঠিয়ে নেবে তার চিন্তা করতে নেই, নিজের লড়াই’টা লড়ে যেতে হয়... জাতীয় সঙ্গীত যদি বুকে’র ভেতর মশাল হয় তবে তার দাবাগ্নি’র নাম হোক রণসঙ্গীত --- থেমে যেতে নেই!
সে ফেসবুকে লিখতে শুরু করে, স্ট্যাটাস দিয়ে লাইক পেতে নয়, সে বিশ্বাস করে ব্যবহার করতে জানলে ফেসবুক একটা চমৎকার হাতিয়ার... জাতির কলঙ্কমুক্তির প্রথম আঁধার ধ্বংস শত্রুপক্ষকে ভীষণ নড়বড়ে করে দিয়েছে সত্যি, তবে তারা তাদের শাণিত নখর হাতে বসে থাকবে আরেকটা ২৫শে মার্চ কিংবা ১৪ই ডিসেম্বর ঘটানোর জন্য, ভয় নেই- আমরা প্রত্যয় ধরে রাখলে সেই দিন শেষ, আমরা আর কোন নিষ্কর খোজা নই, বাংলাদেশ কোন মোড়ল ছাড়া একাই পথ চলতে পারে, পারবে। কেবলমাত্র আমাদের কার্পণ্য, রক্তের শীতলতা, মস্তিষ্কের নতজানু চরিত্র আর কল্পনাশক্তির দারিদ্র যদি আজ থেকে শেষ হতে শুরু করে... লিখতে লিখতে ইউটিউবে যায় রক্তিম। রণসঙ্গীত সবার শোনার, গাইবার, চর্চা করার প্রয়োজন, এটা কারও একলার সম্পত্তি নয়, রণসঙ্গীত আপামর। চল্ চল্ চল্ দিয়ে সার্চ দিতেই প্রচুর অপশন চলে আসে, একটা লিংক দেখে সে টের পায় সেখানে ৫ই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া শাহবাগ আন্দোলন এর সম্পৃক্ততা থাকতে আছে, এই আন্দোলন ছাড়া বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস লেখা হবেনা আর কোনদিন, সে লিংকে ক্লিক করে....
উৎসর্গ: কন্যা-জায়া-জননী, যাদের সত্যিকারের স্বীকৃতি দিয়ে সামগ্রিক কলঙ্কমুক্ত হওয়া এখনো বাকি আছে আমাদের।
মন্তব্য
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সব কটা জানালা খুলে দাও না
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
অনেক দিন পর আপনার লেখা, দীর্ঘ অপেক্ষার পর একেবারে শিকড় নিয়ে লেখাটা মুগ্ধ হয়ে পড়লাম।
২০১৩ আসলেই ব্যাক্তি জীবন থেকে শুরু করে জাতীয় জীবনে আমাদের সবচেয়ে স্মরণীয় বছর। ২০১৩ আর গনজাগরন আমাকে মানুষ চিনিয়েছে। চেনা জানা কতকাছের মানুষের ভিতরটা দেখিয়ে দিয়েছে আর বুঝিয়ে দিয়েছে তারা আসলে আমার অচেনা। আমি সৌভাগ্যবান আমার প্রজন্মের সবচেয় বড় আন্দোলনকে আমি কাছ থেকে দেখেছি, মিশে গেছি শরীরে আর আত্নায়। বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম উজ্জ্বল অধ্যায়টিতে আমরা ছিলাম সাক্ষী হয়ে। ২০১৪ আসুক চূড়ান্ত বিজয় নিয়ে সব রাজাকারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে।
মাসুদ সজীব
http://www.youtube.com/watch?v=-Pd0_IzmRvk
অনেক পথ বাকি, অনেক। যেন না ঘুমাই একবারের জন্যও। আমরা বড় ঘুমকাতুরে।
স্বয়ম
আমরা বড় ঘুমকাতুরে। সেটাই।
http://www.youtube.com/watch?v=er-wnmqZhCQ
http://www.youtube.com/watch?v=qGmAXMm8uo0
২০১৩ - একটা অন্য রকমের বছর
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
http://www.youtube.com/watch?v=EDKO7FvEchY
রণসঙ্গীতটা শুনলেই কেমন যেন গায়ের রক্ত চনমন করে ওঠে! ঠিক যেমন বুকের ভেতরটা মেদুর হয়ে আসে আমার সোনার বাংলা শুনলে আর চোখ ভিজে আসে ধন ধান্য পুষ্পভরা শুনলে। আমাদের দেশের গান গুলো যে এত সুন্দর!!
____________________________
http://www.youtube.com/watch?v=aH__jf36sl0
নতুন মন্তব্য করুন