শ্রদ্ধেয় লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবালকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল, বিয়ের আগের এবং বিয়ের পরের জীবন সম্পর্কে আপনার অনুভূতি কি? স্মার্ট অধ্যাপক ঝটপট জবাব দিয়েছিলেন, বিয়ের আগে আমি ছিলাম সবসময় ক্ষুধার্ত এবং নোংরা; বিয়ের পরে আমার জামা-কাপড় ধবধবে পরিষ্কার এবং আমি ওয়েল ফেড।
কথাটা অনেক আগে শুনলেও (বা পড়লেও) দেশে থাকতে বাপের হোটেলে এবং মায়ের জিম্মায় এর মাহাত্ম্য কখনো বুঝি নি। বুঝলাম হাড়ে হাড়ে যখন বাইরে পড়তে এলাম। দেশে থাকতে রান্না-বান্না বলে যে একটা জিনিষ আছে, সেটার জন্যও সাধ্য-সাধনা করা লাগে কখনো বোঝার চেষ্টা করি নি। আলাদিন যেমন তালিয়া বাজালেই খাবার এসে হাজির হয়, আমাদের দেশের সিস্টেমটাও তো ওইরকমই। উলটো খাওয়া নিয়ে মায়ের পীড়াপীড়ি, ঘ্যান-ঘ্যান বড়ই বিরক্তিকর লাগে। কিন্তু প্রবাসে কে শোনাবে ওই অমৃত বাণী, কে দিবে পঞ্চব্যঞ্জনের স্বাদ? রান্না-বান্না বড়ই কষ্ট, রান্নার এন্তেজাম তো আরও। এটা কাটো রে, ওটা মাখাও রে, ওইটা কষাও রে- এত কষ্ট করে খেতে কি মন চায়?
দেশে থাকতে যে আমি খাওয়া-দাওয়া ব্যাপারটাকেই একটা অপ্রয়োজনীয় বিষয় মনে করতাম, পোলাও-কোরমা-বিরিয়ানীর রূপ-রস-গন্ধ যেখানে কোনদিন আমার মন ভোলাতে পারে নি, সেই আমিই কী না বিদেশে এসে খাওয়ার কষ্টে কেমন যেন হাড়-হাভাতে টাইপের হয়ে গেলাম। পকেটের কথা চিন্তা করে বাইরে খেতে পারি না (খাড়ার ঘাঁয়ের মত প্রথম সেমিস্টারে কোন ফান্ড পাই নি ) । রান্না-বান্নার কথা চিন্তা করলে গায়ে জ্বর আসে। অবস্থা তখন এমনই মানুষের বাসায় আলু ভর্তা-ডাইল দিয়ে দুটা ভাত খেলেও সেটা অমৃত লাগে। আর দাওয়াত হলে তো কথাই নেই, সারা মাস চাতক পাখীর মত বসে থাকি কখন বাঙ্গালী পার্টি হবে আর আমি ‘আক্রমণ’ বলে টিপু সুলতানের মত প্রতিপক্ষ তথা খাবারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ব।
আমার দুরাবস্থা দেখে দেশী এক বড়ভাইয়ের আমার উপর খুব মায়া পড়ে গেল। উনি আবার বিবাহিত, কিন্তু ভিসা জটিলতার কারণে স্ত্রীকে আমেরিকায় আনতে পারছেন না। তাই ম্যারিড হয়েও ব্যাচেলর; হতভাগাদের মধ্যে যাদের অবস্থা সবচেয়ে করুণ। জীবন বড় রহস্যময়। আমি নিজে কখনো যেচে মানুষের উপকার করেছি বলে মনে পড়ে না, তবু অযাচিতভাবে সারাজীবন অনেক মানুষের সাহায্য, ভালবাসা পেয়েছি। তা ওই বড়ভাই মানে জুবায়ের ভাই একদিন আমাকে উনার বাসায় ডেকে ফ্রিজ খুলে বললেন, ‘এই যে এখানে রান্না করা খাবার আছে, তাকে আরও জিনিষপত্র আছে, যখন ক্ষিধা লাগবে আমাকে ডাকাডাকি করবা না, নিজে নিয়ে খেয়ে ফেলবা’। শুনে আমার কান্নাই পেল। বিদেশে এসে এটাও একটা নতুন রোগ হয়েছে। কারও একটু স্নেহের ডাক, একটু খাতির পেলেই কান্না চলে আসে। আমার হোল তখন পোয়াবারো। রান্না-বান্না করার আর তেমন চেষ্টাও করি না। ক্ষিধে পেলে জুবায়ের ভাইয়ের এপার্টমেন্ট-এর দিকে হাঁটা দেই। ওনার আরেকজন বাংলাদেশী রুমমেট ছিলেন। আমার প্রতি জুবায়ের ভাইয়ের এই স্নেহ সে তেমন পছন্দ না করলেও, আমরা তাকে বেশী পাত্তা দিতাম না, বরং মাঝে মাঝে তার ওপরও আক্রমণ চালাতাম। ওই রুমমেট স্পেশাল কিছু রান্না করলেই জুবায়ের ভাই আমাকে ফোন দিতেন, ‘হে তো আইজকা বিরানী রানছে। তুমি চুপি চুপি আইসা পড়, আমি যে কইছি হেইডা আবার কইও না’। আমিও কিছু জানি না এমন ভাব করে এপার্টমেন্টে গিয়ে, ‘আরে ভাইয়া বিরানী রানছেন নাকি, গন্ধ তো একেবারে মৌ মৌ করতেছে’ বলে প্লেট পেতে বসে পড়তাম। এইভাবে প্রবাসের শুরুতে ড্যালাসের দিনগুলো আমার ভালই কাটছিল, যদিও নেক্সট সেমিস্টারে ফান্ড পাব কি না- এ চিন্তাটা মাঝে মাঝে অস্থির করে তুলত।
এদিকে জুবায়ের ভাইয়ের স্ত্রী একদিন ভিসা পেয়ে গেলেন। জুবায়ের ভাই ভিসা হবার সব আশা ছেড়ে দিলেও নবমবারের মাথায় গিয়ে ভাবীর লাইগ্যা গেল। ধন্যি ছেলের থুক্কু মেয়ের অধ্যবসায়। জুবায়ের ভাই খুশীতে আমাকে বল্লেন, ‘তানভীর তোমার তো এখন আর চিন্তা নাই। এখন তো তোমার ভাবীর হাতের রান্না খাবা’। কিন্তু আমি বুঝলাম, আমার এইখানে জ্বালাতন করার দিন শেষ হয়ে গেল। যে কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মহিলাই তার সংসারে আমার মত আপদকে সবার আগে বিদায় করবে। তবে ভাবী আসাতে আমি আন্তরিকভাবেই খুশী হয়েছিলাম জুবায়ের ভাইয়ের কথা ভেবে। এখনো মনে আছে ভাবী যেদিন এলেন আমরা ইউনিভার্সিটির সব বাংলাদেশী স্টুডেন্টরা জড়ো হয়েছিলাম জুবায়ের ভাইয়ের বাসায়। আমার দাঁত বের করা হাসি দেখে তানিম ভাই বল্লেন, ‘তানভীর, তুই হাসতেছিস ক্যান? তুই তো এখন কানবি, জুবায়ের ভাইয়ের বউ আসাতে তো তোরই কপাল পুড়ল, আর রাত দুটার সময় তো এখানে খেতে আসতে পারবি না’। কথাটা খুব সত্যি। সময়ে-অসময়ে ক্ষিধা পেলে এরপর আর জুবায়ের ভাইয়ের এপার্টমেন্টের দিকে হাঁটা দিতে পারি না। কি এক অদৃশ্য বাধা সামনে এসে পড়ে, এটাকেই বোধহয় চক্ষুলজ্জা বলে। জুবায়ের ভাইও দেখি আমার আর খোঁজ নেন না। বউ নিয়ে হয়ত ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, খুবই স্বাভাবিক। আমার জীবনেও এসময় একটা ভাল ঘটনা ঘটল। পরের সেমিস্টারে একেবারে পিএইচডি এডমিশনসহ ফান্ড পেয়ে গেলাম। তবে অন্য শহরে, অন্য একটা ইউনিভার্সিটিতে। ড্যালাসের উপর ততদিনে মায়া পড়ে গেছে, তবু ভাবলাম এটাই ভাল হল।
আমার ড্যালাস জীবন খুব সংক্ষিপ্ত, মাত্র এক সেমিস্টারের। কিন্তু অনেক ঘটনাবহুল। এখন যেমন জীবনটা মোটামুটি একঘেঁয়ে, তখন কিন্তু প্রতিদিনই কিছু না কিছু ইন্টারেস্টিং ব্যাপার ঘটছে, হয়ত প্রবাসের প্রথম দিনগুলিতে সবারই এরকম হয়। হিমুর মত টাটকা লিখে ফেললে মজাটা থাকত। তবু এটা নিয়ে সময় ও সুযোগমত বিস্তৃত লেখার ইচ্ছে আছে।
এখন আপাতত খাওয়া নিয়ে কথা বলি। নতুন জায়গায় গিয়েও আমার স্বভাবের তেমন উন্নতি হল না। বার্গার কিংয়ের ওয়াপার খেতে খেতে জিহবার ছাল উঠে গেল। তবে ততদিনে মোটামুটি রান্না শিখে গেছি বাধ্য হয়েই, অনেক কষ্টে সেটাই গলা দিয়ে নামাই। এইখানে আবার বাঙ্গালীদের দাওয়াতেরও কোন বালাই নেই। শুনলাম আগে নাকি কি গন্ডগোল হয়েছে, তাই যাদের ফ্যামিলি আছে, তারা ব্যাচেলরদের আর কোন দাওয়াত দেয় না। ফ্যামিলিদেরই শুধু আলাদা পার্টি হয়, আমরা সেখানে অচ্ছুত। ড্যালাসে বাংলাদেশীদের একটা দিক দেখে এসেছি, এইখানে আরেকটা দিক দেখলাম। এই গল্পও নাহয় পরে আরেকদিন হবে।
যাই হোক, প্রবাসে আসার প্রায় চার বছর পরে দেশ থেকে আমার বউ আসল (এরমধ্যে দুই বছর ম্যারিড ব্যাচেলর ছিলাম )। সাথে সাথে বাংলাদেশী সমাজে আশ্চর্যজনকভাবে আমার প্রমোশন হল। যে মানুষগুলো একসময় ব্যাচেলর হিসেবে বা ফ্যামিলি নাই দেখে দাওয়াত দিত না, তারাও দাওয়াত দেয়া শুরু করল। আমি এখনও মাঝে মাঝে ভাবি, মানুষ এত নির্লজ্জ হয় কি করে, তাও আমার বাংলাদেশের মানুষ!
শেষ কথা হইল, আমার হাভাতে স্বভাবটা এখনও যায় নাই...খাওয়া দেখলে এখনো ঝাঁপায়ে পড়ি, এখন তো আর রান্না-বান্নার কোন ঝামেলা নাই। বউরে দিয়ে প্রতিদিনই এটা ওটা রান্ধাই আর তালিয়া বাজাই। প্রব্লেম হইল বউ খালি আমেরিকানগো মত ক্যালরি হিসাব করে, কষ্টটা তো আর দেখে নাই। খাবার নিয়ে আমার ছোঁক-ছোঁক স্বভাব দেখে সে প্রায়ই বলে, ‘তোমার এত তেল-চর্বির খাবার পছন্দ, এটা তো কোন শিক্ষিত লোকের আচরণ না’। আমি তখন কই, ‘অভাবে স্বভাব নষ্ট...গত চার-পাঁচ বছর তো না খাওয়া ছিলাম, এখন তাই কমপক্ষে আরও তিন-চার বছর বেশী বেশী পোলাও-বিরিয়ানী খেয়ে ওটা ব্যালান্স করতে হবে...তাহলে আবার আগের মত ওদের রূপ-রস-গন্ধ দেখে মোহিত হব না’। হার্টের ব্যামো এখন না হলেই বাঁচি।
মন্তব্য
বউ ভালো রাঁধতে না পারলে কিন্তু আমছালা সব গেলো।
হাঁটুপানির জলদস্যু
হুম, প্রবাস জীবনে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশে ভালো রাঁধতে না পারলেও তেমন অসুবিধা নাই, অনেক বিকল্প আছে।
========
"পুনরায় রৌদ্রহীন রৌদ্রে আমি, পথহীন পথে"
একেবারে মনের কথা বলে ফেলেছেন। আগে আমি খাবার-দাবার নিয়ে উদাসীন ছিলাম। বিদেশে এসে পুরা হাড়-হাভাতে হয়ে গেছি!!!
কি মাঝি? ডরাইলা?
========
"পুনরায় রৌদ্রহীন রৌদ্রে আমি, পথহীন পথে"
পুরুষরা সবাই রান্না শিখুন।
বউয়ের উপর চাপ কমান
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
দেখুন, যদি নিজে রেঁধেই খাই, বউকে কিছু এক্সট্রা চাপ দেয়ার একটা তাড়না বোধ করতেই পারি। কাজেই রাঁধি বা না রাঁধি, বউ বেচারির চাপের পরিমাণ সর্বদা ধ্রুবক।
বের্নুয়ির সূত্রানুকরণে,
[রান্নাজনিত চাপ] + [অন্ন্যান্য চাপ] = ধ্রুবক
হাঁটুপানির জলদস্যু
সন্ন্যাসী যো.গু. এইটা কি বল্লেন, গুরুজী ? মানি না, মানব না
========
"পুনরায় রৌদ্রহীন রৌদ্রে আমি, পথহীন পথে"
হুম, যেদিন রান্নাজনিত চাপ কম থাকবে সেদিন আদর-সোহাগজনিত অন্নান্য চাপ বেশী দেবার জন্য চাপাচাপি করা যেতেই পারে।কারন রান্নাজনিত চাপ কম থাকলে অন্যান চাপের প্রভাবে বিপরীত পক্ষ থেকে রাগ কিংবা বিরক্তিজনিত চাপের উদ্ভব হবার সম্ভাবনা কম থাকবে।
কি মাঝি? ডরাইলা?
ও ভাই তানভীর আই, আপনি বললেন ডালাসে ছিলেন (নাকি এখনো আছন?), আমিও তো সেখানেই। আপনার কথিত জুবায়েরের কথা পড়তে গিয়ে মনে হলো, আরে এইটা আমি নাকি?
ডালাসে যে আরেকজন জুবায়ের আছে জানতামই না। এখনই খোলাসা না করলে আমার বদনাম হয়, বউয়েরও। বরং আমার বাসায় জনমভর (ঢাকায়ও) ব্যাচেলর পোলাপানের খাওয়া মজুত। এই সচলেও দুই-একজন তার সাক্ষী পাওয়া সম্ভব।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
খাইছে!!
আবারও প্যাঁচ লেগে গেল। এতদিন জানতাম তানভীর আই আর থার্ডআই একই ব্যক্তি - আজ দুজনকে একসাথে পেয়ে বিভ্রান্তি দুর হয়েছিল। গল্প পড়ে মনে করেছিলাম গল্পের জুবায়ের ভাই আর মুহম্মদ জুবায়ের ভাই একই ব্যক্তি।এখন আবার প্যাঁচ লেগে গেল।
কি মাঝি? ডরাইলা?
প্যাঁচের মধ্যে প্যাঁচ
-----------------------------------------
মৃত্যুতে ও থামেনা উৎসব
জীবন এমনই প্রকান্ড প্রচুর ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আহারে! ...আমারও মনে পইড়া গেল সেই দিনগুলার কথা ... তবে জাপানের বাংলাদেশী ভাই-ভাবীরা খুবই উদার ... কত যে 'ভাবী, খাওন আছে?' ফোন করে মানুষের বাসায় হানা দিছি ... নস্টালজিক লেখা ,,,চালিয়ে যান ,,,
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আররে, ভালই প্যাঁচ লাগছে দেখি...কতক্ষণ আগে থার্ড আই আড্ডাঘরে 'বিচার চাই, বিচার চাই' বলে কিচির-মিচির করল, আমি নাকি তার আই নিয়া গেছি। বেচারার জন্য ঠিক করছি লেজ কেটে ফেলব। এরপর থেকে আর আমার নিকে 'আই' থাকবে না, শুধু 'তানভীর'। মডুরাম হিমু ঠিক করে দেবে কইছে।
জুবায়ের ভাই, ডালাস তো অনেক বড়। অনেক জুবায়ের থাকতে পারে। তানভীর-ও মেলা আছে। আমি এখানে University of Texas-Dallas অর্থাৎরিচার্ডসন এলাকার কথা বলেছি। আমি ডালাসে খুব অল্পসময় থাকলেও ঐ জুবায়ের ভাই অনেক দিন ছিলেন, প্রথমে UTD এবং পরে SMU-তে। আপনি এই দুই ইউনিভার্সিটির কাউকে জিজ্ঞেস করলেই ওনার কথা জানতে পারবেন। গত বছর অবশ্য উনি মেরিল্যান্ডে মুভ করেছেন। আর আমি এখন আছি হিউস্টনের কাছে। আপনারে তখন পাইলে তো ভালই হইত। নেক্সট টাইম ডালাসে গেলে একটা ছোট সচল আড্ডা দিয়ে দিব। এম আর জালাল ভাই-ও তো ডালাসে থাকেন, আরভিং-এ বোধহয়। অনেক আগে উনি আমাকে একবার ফোন দিয়েছিলেন স্থপতি লুই কান সংক্রান্ত ব্যাপারে। ওনার সংগ্রহশালা দেখার শখ আমার অনেকদিনের।
জ্বীনের বাদশা, জাপানের দেশী ভাই-ভাবীরা শুনছি আসলেই ভাল। জাপান যামু গা।
========
"পুনরায় রৌদ্রহীন রৌদ্রে আমি, পথহীন পথে"
আমি সম্ভবত নিউ ইয়ার এবার হিউস্টনে করবো। আর কোন সচল আছে নাকি কাছে-পিঠে? ডালাস বেশি দূর হয়ে যায়। পরের বার ঐ দিকেও যাবার ইচ্ছা আছে।
খুব বেশি না, মাত্র ২৫০ মাইল। আসবেন নাকি?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
গ্যালভেস্টনের দিকে আসলে আওয়াজ দিয়েন।
========
"পুনরায় রৌদ্রহীন রৌদ্রে আমি, পথহীন পথে"
গ্যাল্ভেস্টনে যাবো হয়তো। আমার এক মামা থাকে ওখানে। ডালাসের দিকে যাবার একটা ৫০-৫০ সম্ভাবনা আছে। তেলের দাম আর ক্রেডিট কার্ডের লিমিটের উপর নির্ভর করছে বাকিটা। রওনা দেবার আগে নাম্বার নিয়ে বের হব।
জার্মানের দেশী ভাই-ভাবীরাও ভালো। বদ্দা/হিমু'কে জিজ্ঞেস করেন।
আরে লেজ ছাঁটা হয়েছে দেখি...এখন একটু হাল্কা লাগছে
========
"পুনরায় রৌদ্রহীন রৌদ্রে আমি, পথহীন পথে"
এই প্রসঙ্গে গ্লাসগোর নওশাদ ভাই আর রুমা ভাবীরে সারা জীবন মনে রাখবো। প্রায় একটা বছর আমারে ওনারা কোন প্রশ্ন ছাড়াই খাওয়াইছে, নিজেদের প্রচুর আথিক আর অন্যান্য কষ্ট থাকা সত্ত্বেও। বাঙ্গালীদের অনেক সেলফিশ আচরণ দেখছি বাইরে, কিন্তু এদের মতন দিল-দরিয়া খুব বেশি দেখি নাই...
P.S. আমিও যুবায়ের কিন্তু অন্য পাড়ার।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
অ্যাঁ, কয় কি? আরো আছে/ছিলো?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
জীবনানন্দ চরিত্রের আসল নাম তাইলে যুবায়ের
========
"পুনরায় রৌদ্রহীন রৌদ্রে আমি, পথহীন পথে"
আপনার অবগতির জন্য বলছি ..' বিচার চাই,বিচার চাই ' এর সাথে কিচির মিচির শব্দ যায় ক্যামুন করে??
রীতি মত আমার নাম নিয়া আপনি আরজুর সাথে পর্যন্ত লাইন মারা শুরু করছিলেন....!! যাউগ্গা এতকিছু ব্লগে কইয়্যা আপনের ইজ্জ্বতের উপর হামলা করমুনা। শান্তি শান্তি শান্তি.....
ওয়াখেরি দাওয়ানা আনিল হামদুলিল্লাহে রাব্বুল আল আমিন......
যাদের সুন্নত পড়া বাকী আছে ৪ রাকাত নফল নামাজ পড়ে নেন। একটা শুভ কাজ হইছে।
---------------------------------------
জল ভরো সুন্দরী কইন্যা, জলে দিছ ঢেউ।
হাসি মুখে কওনা কথা সঙ্গে নাই মোর কেউ।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
বস, ভুল হয়া গ্যাছে। ভাষায় দুব্বল। কিচির মিচির শব্দ প্রত্যাহার করে নিলাম। ওই জায়গায় 'বজ্রকন্ঠে দাবী করলেন' পড়তে হবে
আরজুর লগে কেডা লাইন মারে ওইটা জনগণ জানে...আমার মুখ বন্ধ রাখলেও পাব্লিকের মুখ বন্ধ রাখবেন ক্যামনে?
========
"পুনরায় রৌদ্রহীন রৌদ্রে আমি, পথহীন পথে"
ইউ এস নিউজ রেংকিং এ এই তথ্যটা রাখা উচিত যে শহরে ব্যাচেলরদের দাওয়াত দেয়ার চল আছে কিনা। আগে জানলে ইলিনয়ে এপ্লাই করার আগে ২ বার চিন্তা করতাম...হে হে
আর বাঙ্গালি যে বউ নিয়ে এসেই রান্নাঘরে ঢুকায় এই জন্য হলেও বাংলাদেশে এফ-২ ভিসা দেয়া বন্ধ করা উচিত।
আমি জানি, মজা করে বলা কথাটা, কিন্তু তবুও খচখচ করে...
ইয়োরোপ বা নর্থ আমেরিকার কোন্ কোন্ এলাকায়, কোথায় কোথায় ব্যাচেলরেটদেরকেও দাওয়াত দেয়/দেয়না এইটা জানালেও একটু সুবিধা হয়! পুরনো প্রবাসী সচলেরা জানালে বাধিত থাকব!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন