এর আগে ভূমিকম্পে করণীয় সম্পর্কে কিছু টিপস দিয়েছিলাম যার বেশিরভাগ ছিল এক উদ্ধার কর্মীর লেখা একটি আর্টিকেল থেকে। আর্টিকেলটি বেশ কয়েক বছর আগে এক কলিগ মারফত ইমেইলে পেয়েছিলাম, পড়ে যুক্তিসংগত মনে হওয়ায় সেইভ করে রেখেছিলাম। তবে আজকাল মনে হয় সবকিছুই যাচাই করে নেয়া লাগে! পোস্ট দেয়ার পর দু’একটি পয়েন্ট বিশেষ করে ভূমিকম্পের সময় গাড়ী থেকে বের হওয়ার পয়েন্টটি নিয়ে খটকা লাগায় ইন্টারনেটে এটা নিয়ে খোঁজাখুঁজি করলাম। ইন্টারনেটে আর্টিকেলটি এবং এ বিষয়ে আমেরিকান রেড ক্রসের বক্তব্যও খুঁজে পেলাম।
তবে রেড ক্রস এই টিপসগুলোকে একেবারে উড়িয়ে দেয় নি। তাদের বক্তব্য হচ্ছে বিল্ডিং স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলায় আমেরিকায় খুব কম দালানই অন্যান্য দেশের মত ভূমিকম্পের সময় ধ্বসে পড়ে। তাই এ টিপসগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়। তবে মূলত তুরস্কে ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে লেখা উদ্ধার কর্মীর টিপসগুলো অন্যান্য দেশে যেখানে মাঝারি ভূমিকম্পেও বিল্ডিং ধ্বসে পড়ে, সেখানে হয়ত বেশি গ্রহণযোগ্য হবে। বাংলাদেশে যেখানে বেশিরভাগ বাড়িতে ভূমিকম্পরোধক ব্যবস্থা নেই এবং বিল্ডিং কোডও মেনে চলা হয় না, সেখানে মাঝারি ভূমিকম্পে দালান ধ্বসে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা আছে। তাই উদ্ধার কর্মীর টিপসগুলো বাংলাদেশের ক্ষেত্রে হয়ত বেশী প্রাসঙ্গিক হবে। কিন্তু সতর্কতার বিষয় হল- এগুলো কোন বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভিত্তিতে দেয়া পরামর্শ নয়। উন্নত বিশ্ব যেমন জাপান, আমেরিকা ইত্যাদি ছাড়া অন্য কোথাও এ বিষয়ে গবেষণা হয়েছে এমনটিও পাই নি এবং তাদের দেয়া সেফটি টিপসগুলো আসলে তাদের দেশের জন্যই বেশি প্রাসঙ্গিক। তবে আমেরিকান রেড ক্রস, ফিমা এদের পরামর্শগুলো খোদ আমেরিকার জন্য হলেও এগুলো প্রফেশনাল রেকমেন্ডেশন- রীতিমতো অনেক গবেষণা করে তৈরী।
বাংলাদেশের জন্যও আসলে বাংলাদেশের নির্মাণ প্রকৌশলী, ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ইত্যাদির সহায়তায় জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, আর্থকোয়েক সোসাইটি- এদেরই এগিয়ে আসতে হবে গবেষণার ভিত্তিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য পরামর্শ প্রণয়নে। ঘূর্ণিঝড় পৃথিবীর ক্রান্তীয় অঞ্চলের সব প্রান্তেই একরকম। তাই এ বিষয়ে সতর্কতা কম-বেশী সব জায়গায় একই রকম। কিন্তু দেশে দেশে মাটির গঠনে ভিন্নতা, টেকটোনিক প্লেট, বিল্ডিং কোড, বিল্ডিং স্ট্রাকচার ও মেটারিয়ালের পার্থক্য থাকায় ভূমিকম্পের প্রভাব দেশ ভেদে ভিন্ন। আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, রেড ক্রসের পরামর্শগুলো আমেরিকার জন্য প্রণীত হলেও যেহেতু এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি রয়েছে আগে সেটা মেনে চলুন। ব্যাক আপ হিসেবে উদ্ধার কর্মীর টিপসগুলো মাথায় রাখুন। আর যদি সম্ভব হয় আপনার বিল্ডিংকে রেট্রোফিটিং বা ভূমিকম্পরোধক করার ব্যবস্থা এখনই নিন। যদি ভাড়া বাড়ীতে থাকেন বাড়িওয়ালাকে পরিস্থিতি বোঝাতে এবং প্রয়োজনে ভাড়াটিয়ারা চাঁদা তুলে ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করুন। যে অর্থ খরচ হবে তা আপনার জীবনের তুলনায় সামান্যই।
নীচে আমি মোটামুটি আগের টিপসগুলোই উল্লেখ করছি। সাথে কোন পয়েন্টে রেড ক্রস বা অন্য বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য থাকলে সেটাও উল্লেখ করছি। এক্ষেত্রে নিজের বিবেচনাকেই প্রাধান্য দিন।
১। আমেরিকান রেডক্রসের পরামর্শ অনুযায়ী- ভূমিকম্পের সময় সবচেয়ে উত্তম পন্থা হল ‘ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন’ বা ‘ডাক-কাভার’ পদ্ধতি। অর্থাৎ কম্পন শুরু হলে মেঝেতে বসে পড়ুন, তারপর কোন শক্ত টেবিল বা ডেস্কের নীচে ঢুকে কাভার নিন, এমন ডেস্ক বেছে নিন বা এমনভাবে কাভার নিন যেন প্রয়োজনে আপনি কাভারসহ মুভ করতে পারেন। তাদের মতে, ভূমিকম্পে আমেরিকার খুব কম বিল্ডিংই কলাপস করে; যেটা হয় তা হল আশেপাশের বিভিন্ন জিনিষ বা ফার্নিচার গায়ের উপর পড়ে নেক-হেড-চেস্ট ইনজুরি বেশি হয়। তাই এগুলো থেকে রক্ষার জন্য কোন শক্ত ডেস্ক বা এরকম কিছুর নীচে ঢুকে কাভার নেয়া বেশি জরুরী। অপরদিকে সেই উদ্ধার কর্মীর মতে বিল্ডিং কলাপস করলে ‘ডাক-কাভার’ পদ্ধতি একটি মরণ-ফাঁদ হবে। সেটা না করে কোন বড় অবজেক্ট যেটা কম কম্পপ্যাক্ট করবে যেমন সোফা ইত্যাদির পাশে আশ্রয় নিলে যে void তৈরী হবে, তাতে বাঁচার সম্ভাবনা বেশী থাকবে। এখন রেড ক্রস কিন্তু এই ভয়েড বা ‘Triangle of life’-এর ব্যাপারটা অস্বীকার করে নি। কিন্তু যেহেতু আমেরিকায় বিল্ডিং কলাপ্স হবার সম্ভাবনা কম, তাই তাদের ‘ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন’ পদ্ধতিই বিভিন্ন বস্তুর আঘাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য সবচেয়ে উত্তম। দু’টো ব্যাপারই তাই মাথায় রাখুন।
২। রাতে বিছানায় থাকার সময় ভূমিকম্প হলে উদ্ধার কর্মী বলছে গড়িয়ে ফ্লোরে নেমে পড়তে- এটা বিল্ডিং ধ্বসার পার্সপেক্টিভেই। রেড ক্রস বলছে বিছানায় থেকে বালিশ দিয়ে কাভার নিতে, কারণ সিলিং ধসবে না, কিন্তু ফ্লোরে নামলে অন্যান্য কম্পনরত বস্তু থেকে আঘাত আসতে পারে।
৩। দরজায় আশ্রয় নেবার ব্যাপারে উদ্ধার কর্মী এবং রেডক্রস উভয়েই নেতিবাচক। রেড ক্রস বলছে প্রায় এক দশক আগে থেকেই তারা এ পরামর্শ বন্ধ করেছে। (The American Red Cross has not recommended use of a doorway for earthquake protection for more than a decade)
৪। সিঁড়িতে আশ্রয় নেয়া উচিত না- এ ব্যাপারেও নিশ্চিত। এক বিশেষজ্ঞ যিনি ঐ উদ্ধারকর্মীর সবগুলো পরামর্শেরই সমালোচনা করেছেন, তিনিও বলেছেন একমাত্র এ পরামর্শটিই সবচেয়ে যৌক্তিক। এছাড়া ভূমিকম্পের সময় এলিভেটর/লিফট ব্যবহারও উচিত না।
৫। ভূমিকম্পের সময় ভেতরের দিকে না থেকে বাইরের দিকে ওয়ালের কাছে আশ্রয় নেয়া উচিত- এটা নিয়ে কোন বিরোধ পাই নি। যেটা পেয়েছি তা হল এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই এবং এর উলটো হাইপোথিসিসও নাকি আছে যে ভেতরের দিকে থাকাই ভালো।
ভূমিকম্পের সময় বাইরের ওয়ালের কাছে আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ মূলত বিল্ডিং ধ্বসে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বলা। ভূমিকম্পে যদি দালান ধ্বসে পড়ে তবে বাইরের দিকের ওয়ালের কাছে থাকলে ধ্বংসস্তুপ থেকে তাড়াতাড়ি উদ্ধার পাবার সম্ভাবনা বেশি। অন্যদিকেFEMA-র পরামর্শ হচ্ছে এসময় ভেতরের দিকে আশ্রয় নেয়া অর্থাৎ জানালা, কাঁচ, বাইরের ওয়াল, দরজা সবকিছু থেকে দূরে থাকা। এটা মূলত আমেরিকানদের জন্য পরামর্শ, যেখানে তারা ধরে নিয়েছে ভূমিকম্পে এখানকার বিল্ডিং ধ্বসে পড়বে না, কিন্তু বাইরের ওয়াল ধ্বসে বা জানালা, কাঁচ ইত্যাদি থেকে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অনেকে হতাহত হতে পারে। কাজেই বাংলাদেশের জন্য সমাধান হতে পারে- আপনি যদি নতুন, মজবুত কোন দালানে থাকেন, তবে FEMA-পরামর্শ অনুযায়ী ভেতরের দিকেই থাকেন- জানালা, কাঁচ, বাইরের ওয়াল সবকিছু থেকে দূরে; আর যদি পুরান ঢাকার বাড়িগুলোর মত ঝরঝরে কোন দালানে থাকেন তবে বাইরের ওয়ালের কাছে আশ্রয় নিন, দালান ধ্বসে পড়লে যেন কম জিনিসের মধ্যে চাপা পড়েন।
৬। উদ্ধার কর্মীর যেসব পরামর্শ রয়েছে তার মধ্যে একমাত্র গাড়ীরটাই সরাসরি বাদ দেয়া যায়। তিনি বলছেন ভূমিকম্পের সময় গাড়ী বন্ধ করে গাড়ী থেকে বের হয়ে বসে বা শুয়ে পড়তে। রেড ক্রস বলছে গাড়ী বন্ধ করে গাড়ীর ভিতরেই বসে থাকতে। গাড়ীর বাইরে থাকলে আহত হবার সম্ভাবনা বেশি। রেড ক্রসের এই পরামর্শ যথেষ্ট বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভিত্তিতে দেয়া এবং এটা সব দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হতে পারে।
৭। অনেকে জানতে চেয়েছেন ভূমিকম্পের সময় কোন ফ্লোর নিরাপদ, কিভাবে দালান ভেঙ্গে পড়ে- কাত হয়ে নাকি এক তলার উপর আরেকটা। এটা ঐ জায়গার মাটির গঠন, বিল্ডিং কিভাবে তৈরী- এটার ওপরই অনেকাংশে নির্ভর করে। সাধারণত ভূমিকম্পের সময় চারভাবে ফ্লোর বা দালান ধ্বসে পড়তে পারে (ছবি দেখুন)। এগুলো হল- top, middle and bottom floors এবং total building failure। (সূত্র) এখানে এ বিষয়ে কিছু আলোচনা ও নিবন্ধ (১, ২) আছে।
দালানের কোন তলা বেশি নিরাপদ- এক্ষেত্রে বেশিরভাগ মতামত যেটা পেয়েছি তা হল ভূমিকম্পের সময় উপরের দিকের তলাগুলোতে দুলুনি হবে বেশি, নিচের তলায় কম। কিন্তু দালান যদি উলম্ব বরাবর নিচের দিকে ধ্বসে পড়ে (৪নং-এর মতো) তবে নিচ তলায় হতাহত হবে বেশি, কারণ উপরের সব ফ্লোরের ওজন তখন নিচে এসে পড়বে। ১৯৮৯ সালে সানফ্রান্সিসকো এলাকায় এক ভূমিকম্পে এরকমভাবে অনেক দালান নিচের দিকে কলাপ্স করেছিল এবং তাতে নিচের ফ্লোর পুরো ধ্বসে গিয়েছিল উপরের তলাগুলোর চাপে। এছাড়া এ ভূমিকম্পে দেখা গিয়েছিল ব্লকের কর্ণারের বাড়িগুলোতে শক বেশি হয়েছিল ব্লকের মাঝামাঝি অবস্থানে থাকা বাড়িগুলোর চেয়ে।
৮। তবে যে ফ্লোরেই থাকুন- ভূমিকম্পের সময় বেশি নড়াচড়া, বাইরে বের হবার চেষ্টা করা, জানালা দিয়ে লাফ দেবার চেষ্টা ইত্যাদি না করাই উত্তম। একটা সাধারণ নিয়ম হল- এসময় যত বেশি মুভমেন্ট করবেন, তত বেশি আহত হবার সম্ভাবনা থাকবে। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অফ দ্য রেকর্ড একটা কথা- যদি গ্রাউন্ড ফ্লোরে একেবারে দরজার কাছে থাকেন, তবে এক দৌড়ে বাইরে কোন খোলা জায়গায় চলে যান। সিঁড়ি-টিঁড়ি পার হয়ে যেতে হলে না যাওয়াই ভালো।
৯। সব বড় ভূমিকম্পের পরপরই আরেকটা ছোট ভূমিকম্প হয় যেটাকে ‘আফটার শক’ বলে। এটার জন্যও সতর্ক থাকুন, না হলে পচা শামুকেই শেষমেষ পা কাটতে পারে।
১০। প্রথম ভূমিকম্পের পর ইউটিলিটি লাইনগুলো (গ্যাস, বিদ্যুত ইত্যাদি) একনজর দেখে নিন। কোথাও কোন লিক বা ড্যামেজ দেখলে মেইন সুইচ বন্ধ করে দিন।
যা আগেই করণীয়ঃ
• পরিবারের সবার সাথে বসে এ ধরণের জরুরী অবস্থায় কি করতে হবে, কোথায় আশ্রয় নিতে হবে- মোট কথা আপনার পরিবারের ইমার্জেন্সি প্ল্যান কী সেটা ঠিক করে সব সদস্যদের জানিয়ে রাখুন।
• বড় বড় এবং লম্বা ফার্নিচারগুলোকে যেমন- শেলফ ইত্যাদি দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখুন যেন কম্পনের সময় গায়ের উপর পড়ে না যায়। আর টিভি, ক্যাসেট প্লেয়ার ইতাদি ভারী জিনিষগুলো মাটিতে নামিয়ে রাখুন।
• বিছানার পাশে সবসময় টর্চলাইট, ব্যাটারী এবং জুতো রাখুন।
• রেট্রোফিট, রেট্রোফিট আবারো বলছি রেট্রোফিটিং-এর ব্যবস্থা এখনই করুন।
ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়লে করণীয়-
১। ধুলাবালি থেকে বাঁচার জন্য আগেই সাথে রুমাল বা তোয়ালে বা চাদরের ব্যবস্থা করে রাখুন
২। ম্যাচ জ্বালাবেন না। দালান ধ্বসে পড়লে গ্যাস লিক হয়ে থাকতে পারে।
৩। চিৎকার করে ডাকাডাকি শেষ অপশন হিসেবে বিবেচনা করুন। কারণ, চিৎকারের সময় মুখে ক্ষতিকারক ধুলাবালি ঢুকে যেতে পারে। পাইপে বা ওয়ালে বাড়ি দিয়ে বা মুখে শিস বাজিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করতে পারেন। তবে ভাল হয় সাথে যদি একটা রেফারির বাঁশি বা হুইসেল থাকে, তার প্রিপারেশন নিয়ে রাখুন আগেই।
মন্তব্য
ইন্ডিয়ানা জোন্সের মত একটা খালি রেফ্রিজারেটরে ঢুকে পরা যায় না? কামেল নায়ক তো আস্ত একটা আণবিক বিস্ফোরণ থেকে বহাল তবিয়তে বেঁচে গেল ফ্রিজে ঢুকে।
দেশে পড়াতে হবে লেখাটা।
রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!
কি অদ্ভুত সমাপতন!! এই মিনিট পনেরো আগে আমার এখানে জবরদস্ত একটা ভুমিকম্প হয়ে গেল৷ আশেপাশের সমস্ত ফ্ল্যাট থেকে লোকজন ৬-৭ তলা সিঁড়ি বেয়ে নীচে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে৷ আমার স্রেফ আলসেমী লাগল এত রাতে হেঁটে হেঁটে নামতে, আমি তাই পাশের খোলা ছাদে দাঁড়ালাম কিছুক্ষণ৷ এখন আপনার লেখা পড়ে দেখছি সিঁড়ি বেয়ে নামার চেষ্টা নআ করাই ভাল৷৷
এই অত্যন্ত উপকারী লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
আপনি কি Los Angeles এ আছেন?
রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!
না: আমি পুণেতে ৷ তে ৫.৬৮ তীব্রতার হয়েছে, বন্ধুরা বলল ৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
স্বাগতম, দয়মন্তী। সচল থাকুন।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
কোন পরামর্শই আসলে পার্ফেক্ট নয়।
যেমন, ভূমিকম্পপ্রবণ জাপানে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যাবার পরামর্শ দেওয়া হয় না। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা তো আছেই, বাইরে ইলেকট্রিক পোল, গাছপালা উপড়ে পড়া সহ আরো অনেক বিপদ অপেক্ষা করে আছে।
টেবিল বা ডেস্কের নিচের জায়গাটুকু অনেক নিরাপদ।
বাড়ির গঠনকাঠামো অনুযায়ীই হুড়মুড় করে আস্ত বাড়ি মাথার উপরে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা খুব কম।
কিন্তু, আমাদের দেশের জন্যে, বাড়ির বাইরে বেরুনোর সুযোগ পেলে অবশ্যই বাড়ির ভিতরটা নিরাপদ নয় - এটা বলতে পারি। হুড়মুড় করে আস্ত বাড়ি মাথার উপরে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা খুব খুব বেশি। অন্তত, পাকিস্তানে বছর দুয়েক আগে ঘটা ভূমিকম্পের ছবিগুলো দেখে তাই মনে হয়েছে। দুর্বল কাঠামোর ইট-সুরকির দেয়ালের নিচে বেশি মানুষ চাপা পড়েছেন।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
তানভীর ভাইকে আবারো ধন্যবাদ!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
শুনলাম ভূমিকম্পের সতর্ক সঙ্কেত দেওয়ার ব্যবস্থা নাকি আবিষ্কৃত হইতেছে... তাতে খুশি... তা নাইলে আমার জন্য এইসব একেবারেই বেহুদা... ডাক্তার আসিবার পূর্বেই রোগী মারা গেলো টাইপ ভূমিকম্প বোঝার আগেই সব শ্যাষ...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দরজার নিচে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আপত্তির কারণ হিসেবে বলা হয়েছে: The problem is that many doorways are not built into the structural integrity of a building, and may not offer protection. Also, simply put, doorways are not suitable for more than one person at a time.
কিন্তু বাংলাদেশের কংক্রিটের বিল্ডিংগুলোতে সাধারণত দরজাগুলোর উপরে একটা লিন্টেল দেয়া হয়। এছাড়া দরজার ফ্রেমটিও এতে অতিরিক্ত শক্তি দেয়। তাই দরজার নিচের অংশটা নিরাপদ বলেই মনে হয়। যদিও পরীক্ষালব্ধ কোন তথ্য আমার কাছে নেই। তবে যেহেতু সকল বাড়ি একই স্ট্যান্ডার্ড মেনে তৈরী হয় না তাই এই পরামর্শকে সাধারণ পরামর্শ হিসেবে প্রচার করা যায় না।
এছাড়া আসি সিড়ির ঘরের ব্যাপারে। অন্য সকল ফ্লোরের চেয়ে সিড়ির ঘরকে বেশি মজবুত করে নকশা করা হয়। সাধারণ ফ্লোরে যেখানে ৪০ পি.এস.এফ. লাইভ লোড ধরা হত, সেখানে সিড়িতে ১০০ পি.এস.এফ. ধরা হত বলেই মনে হয় (আবছা ভাবে)। এছাড়া এধরণের ভূমিকম্প থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কিছু shear wall দেয়া হত, যেটা সাধারণত সিড়ির বিমগুলোর উপরেই থাকতো। কাজেই, আমার ধারণা ভূমিকম্পের সময়ে সিড়ির ঘর অন্য ঘরগুলোর চেয়ে অধিকতর নিরাপদ।
গত দুই ট্রাইমিস্টারে (সেমিস্টার = বছরে দুই টার্ম; ট্রাইমিস্টার = বছরে ৩ টার্ম) আমাদের এখানে সফট ফ্লোর নিয়ে কিছু স্ট্রাকচারাল এনালাইসিস মার্কা আন্ডারগ্রাজুয়েট থিসিস হচ্ছে। (সফট ফ্লোর হল সেগুলো, যেগুলোতে বিম-কলাম ফ্রেমগুলোর মাঝে তেমন কোন ফিলার দেয়াল থাকে না -- যেমন নিচতলার কার পার্কিং।) ওখানে দেখা যায়, ভূমিকম্পের সময়ে সফট ফ্লোরগুলোতে ডিফরমেশন বেশি হয় এবং ভেঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ দালানগুলোর ছবি দেখলে লক্ষ্য করবেন যে দেয়ালবিহীন কারপার্কিংগুলো বিধ্বস্থ, অথচ উপরে কাত হয়ে নেমে আসা ফ্লোরগুলো মোটামুটি অাছে - অর্থাৎ বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়লেও কারপার্কিং-এর ছাদ বাদে অন্য কোন ফ্লোরের ছাদ ভেঙ্গে কারো মাথার উপরে পড়েনি।
এরকম ডিফর্মেশন জনিত ভেঙ্গে পড়া থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এরকম ফাঁকা অংশগুলোতে ক্রশ ডায়াগোনাল দেয়া হয় - এমন দেখেছি জাপানের অনেক কারপার্কিং-এর জায়গায়।
একটা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হল, (জাপানের গাইডবুকে ছিল) ভূমিকম্প শুরু হলে দরজা বা জানালা খুলে দেয়া, কারণ ভূমিকম্পের ফলে ভবন ক্ষতিগ্রস্থ হলে ওগুলো কষে গিয়ে খুলতে অসুবিধা হতে পারে। ফলে বাইরে যাওয়া বা উদ্ধার করা অসুবিধাজনক হয়ে যাবে।
অপর যেই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার সেটা হল, এই ধরণের সতর্কতাগুলো অসাধারণ ভূমিকম্পের সময় কাজে লাগবে না। ভূমিকম্পের কেন্দ্রের ঠিক উপরে হলে কম্পনটা মূলত উলম্ব বরাবর হবে -- ওটা থেকে রক্ষা পাওয়ার কোন উপায় আধুনিক নির্মানশৈলীতেও নেয়া হচ্ছে বলে আমার জানা নাই। বরং কেন্দ্র থেকে দুরে যেখানে ভূমিকম্পের তরঙ্গগুলোর প্রভাবে সাধারণত আনুভুমিক কম্পন হবে সেখানের জন্য অধিক প্রযোজ্য হবে।
বাংলায় কিছু তথ্য
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
ধন্যবাদ শামীম ভাই। সিঁড়ির ব্যাপারটা রাগিবও বলেছিল। কিন্তু ঐ ব্যাটার আর্টিকেল পড়ে দেখেন সিঁড়ির 'মোমেন্ট অফ ফ্রিকোয়েন্সী' নিয়ে কী জানি বলছে। প্লাস আরো কয়েক জায়গায় চেক করে দেখেছি সিঁড়ির ব্যাপারে আপত্তির কথা। আপনার দেয়া লিংকটাও বেশ কাজের।
= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।
ওখানের বক্তব্য: (they swing separately from main part of the building). The stairs and remainder of the building continuously bump into each other until structural failure of the stairs takes place.
এটা তখনই সম্ভব যখন সিড়ির অংশ মূল অবকাঠামো থেকে আলাদা হবে। কিন্তু আমাদের এখানকার বাড়িগুলোর সিড়ি মনোলিথিক বা একই সাথে বানানো হয় - কাজেই ঐ ধরণের বিপদের আশংকা এখানে হবে না বলেই মনে হয়।
মূল কথা হল অবকাঠামোর ধরণের উপর নির্ভর করবে কী হবে বা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
ঢাকা শহরের ভূমিকম্প ঝুঁকি বিষয়ে আমি সামান্য কাজ করেছিলাম। সে কাজের উপসংহারে ঢাকা শহরকে ভূমিকম্পের ঝুঁকি অনুযায়ী ৪ ভাগে ভাগ করেছিলাম। কাজটির একটি ক্ষুদ্র রূপ এখান থেকে দেখে নিতে পারেন।
কী ব্লগার? ডরাইলা?
দেখতে পারি নাই
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
লিংক দেখতে পারি নাই।
দ্রোহী ভাই, ঝুঁকির ক্যালকুলেশনটা কিভাবে করলেন ? ঢাকার নিচ দিয়ে কি কোনও ফল্ট গিয়েছে ? ভূমিকম্প কতখানি ক্ষতি করতে পারে, সয়েল প্রোফাইলের উপর সেটা কিছুটা নির্ভর করলেও আসলে বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস আর ডিজাইন ব্যাপারটাই মনে হয় সামনে আসে। আপনার মানদন্ড কোনটা ছিল ?
অমিত ভাই, প্রথমেই বলি ভূতাত্ত্বিক সংজ্ঞানুসারে রিস্ক ও হ্যাজার্ডের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আমার বানানো ম্যাপটিকে আমি হ্যাজার্ড ম্যাপই বলবো।
আপনি প্রশ্ন করেছেন ঢাকার নিচ দিয়ে কি কোন ফল্ট গিয়েছে? উত্তরে আমি সরাসরি হ্যাঁ বলতে পারবো না। আমার বানানো মডেলগুলোতে দেখা যায় ঢাকা শহরের উত্তর দক্ষিন বরারব লিথোলজিক্যাল পার্থক্য বিদ্যমান। আরও ব্যাপক পরিমাণে ডেটা থাকলে এটাকে ফল্ট বলা যেতে পারে। আমার মডেলগুলোতে দেখা গেছে উত্তরে তেজগাঁও ও বনানীর মাঝখান দিকে আর দক্ষিনে ফুলবাড়িয়া ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়–বুয়েট ক্যাম্পাসের মাঝখান দিয়ে এই লিথোলজিক্যাল পার্থক্য বিদ্যমান।
এই ম্যাপটি তৈরিতে আমি বেশ কয়েক ধরণের ডেটার সাহায্য নিয়েছিলাম। তবে মূলত সাবসারফেস ক্যারেকটারাইজেশনের উপরই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে:
ধন্যবাদ দ্রোহী। দারুণ কাজ। দ্রোহীর লিংকে মনে হয় সবাই এক্সেস করতে পারছে না। নীচে তাই দ্রোহীর করা ম্যাপটা আপলোড করলাম।
মিরপুর আর খিলগাঁও দেখছি সবচেয়ে বেশী ঝুঁকির মধ্যে আছে, তারপর একে ঘিরে ক্যান্টনমেন্ট, গুলশান, বাড্ডা, সবুজবাগ ইতাদি এলাকা। সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ রমনা, তেজগাঁও, উত্তরা। মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ মোহমমদপুর, ধানমন্ডি, মতিঝিল, হাজারীবাগ, লালবাগ, তথা পুরান ঢাকা। পুরানো ঢাকা মোটামুটি কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মধ্যে দেখে ভালো লাগছে।
ঢাকার ভূমিকম্প ঝুঁকি ম্যাপ (ক্রেডিট-দ্রোহী)
= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।
অফটপিক:
আমি মিরপুরে থাকি বইলাই কি দ্রোহী ভাইজান আমারে বেশি বিপদে ফেলানোর পায়তারা কষছে !
টপিক:
ঢাকা শহরের সিংহভাগ দালানকোডের যা হাল, তাতে করে শক্তসোমত্ত একটা ভূমিকম্পের পর এইসব করণীয়ের কল্যাণে কিংবা অলৌকিক কোন পদ্ধতিতে অগত্যা বেঁচে গেলেও তারপরের গ্যাসহীন, বিদ্যুৎহীন, পানিহীন, খাদ্যহীন, উদ্ধারতৎপরতাহীন, চারদিকের ধ্বংসস্তুপ পাহাড় ডিঙ্গিয়ে নড়ন-চরনহীন বেঁচে-থাকনেঅলাদের পরবর্তী করুণ মৃত্যুর দৃশ্যটা চোখের সামনে ভেসে উঠলে চোখ বন্ধ করে ভাবি, এর চেয়ে দালান-চাপা মৃত্যুও বুঝি ঝুঁকিহীন !
তাই আমি বলি কি, সেই বেঁচে থাকার মরণযন্ত্রণার চাইতে মরে গিয়ে বেঁচে যাওয়াটা হবে অনেক বেশি বুদ্ধিমত্তার নিদর্শন।
ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি :
আপনার এই পোস্টের চাইতে অনেক বেশি জ্ঞানগর্ভ ঘটনা হচ্ছে, অত্যন্ত স্বাভাবিক চলমান ঢাকা শহরের লক্ষকোটি মানুষের চোখের সামনে রেঙগস ভবনের দেয়াল চাপায় একজন শ্রমিকের পচা-গলা লাশের ভগ্নাংশ তিন তিনটি দিন উদ্ধারহীন ঝুলে থাকা। মূলত এটাই আমাদের নিয়তি-নির্দিষ্ট গন্তব্য।
[আমি কোন নৈরাশ্যবাদী নই, তবে অবাস্তব আশাবাদও পোষণ করি না]
নোট:
যে হারে পর পর ভূমিকম্প হচ্ছে, জানি না সামনে কোন্ আগামী অপেক্ষা করছে। আপনার এই অতি অতিগুরুত্বপূর্ণ পোস্টে পাঁচ তারা দাগাইয়াও মনে হয় আরো কিছু তারা দাগানো দরকার। খুব চমৎকার একটা কাজ !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমারো তাই ধারণা। ভূমিকম্পের আঘাতে যত না লোক মারা যাবে, তার চেয়ে বেশি যাবে এইসব উদ্ধারজনিত জটিলতা/অপ্রস্তুতির কারণে।
গতবছর এই পোস্টে আলোচনার সময় এই চিত্র দেখে ভেবেছিলাম এইটা ভূমিকম্প হওয়ার ঝুঁকি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এইটা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ঝুঁকি (ভবনগুলো ধ্বসে পড়া সংক্রান্ত ...)।
দ্রোহী ভাই কৈ? একটা পরিষ্কার করেন।
যদি আমার আশংকা/অনুমান সত্য হয়, তাহলে ভালভাবে তৈরীকরা ভবনে থাকলে মীরপুরেও অতটা আতংকিত হওয়ার কিছু নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
জ্বী, ম্যাপটা ক্ষতিগ্রস্থ হবার ঝুঁকি সংক্রান্ত।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হবার সম্ভাবনা নিতান্তই কম। বাংলাদেশে প্রবলভাবে অনুভূত ভূমিকম্পগুলো মূলত ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের সাথে ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থল ভারত-ভুটান সীমান্ত এবং বার্মিজ টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থল বাংলাদেশের পূর্বে ইন্দো-বার্মান রেঞ্জে উৎপত্তি হয়।
এই পোস্টটা সবারই পড়া দরকার, মন দিয়ে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
হ্যাঁ, দেশে রোজ ভূমিকম্প হচ্ছে। সামনে বড় একটা বিপদ আছে। নিজে পড়ুন, পরিচিত সবাইকে পড়তে দিন।
খোমাখাতায় বৃদ্ধাঙ্গুল-দৃশ্য বন্ধ হয়ে গেছে!...তাও পোস্টাইছি...
অতি দরকারী লেখা...যারা এনিয়ে কাজ করেছেন বা জানেন সবাই মিলে একটা বড় সিরিজ বানানো যায় না?
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
হ্যাঁ, গতকাল (ঈদের দিন ) দুপুরেও একটা ছোটখাটো হইসিলো- আজকাল প্রায়ই হয়।
কাজের পোস্ট এইটা... ---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
I am sharing this post on my facebook profile without your permission.Hope you would not find it offensive.
Thanks for the post.
সামনে বাংলাদেশের খবর আছে!!
ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।
এডিট করতে গিয়ে দেখি স্টিকি ছুটে গেল!
কিছু আপডেট করলাম।
স্টিকি পোস্ট সম্পাদনা করলে তা আর স্টিকি থাকে না। প্রয়োজনীয় যেকোন রকম সম্পাদনার পর স্টিকি ছুটে গেলে তা মডারেশনে ইমেইল করে জানাতে পারেন।
সচল থাকুন, সচল রাখুন।
বেগুনী-মডু ধন্যবাদ।
আরেকটা ছোট আপডেট। এখানেই দিচ্ছি। ১৯৮৫ সালে মেক্সিকো সিটিতে যে ভূমিকম্প হয়েছিল তার ওপর গবেষণা করা দেখা গেছে ভূমিকম্পে মাঝারি উচ্চতার ভবনগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ ৬০% ভবন ছিল ৬-১৫ তলার। কাজেই বাংলাদেশের এপার্টমেন্টগুলো তুলনামূলকভাবে নতুন তৈরী হলেও উচ্চতার কারণে (বেশিরভাগই এই রেঞ্জের মধ্যে) যে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে আছে তা ধরে নেয়া যায়।
ভূমিকম্পে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন
সূত্রঃ http://www.ngdc.noaa.gov/nndc/servlet/ShowDatasets?EQ_0=61&bt_0=&st_0=&EQ_1=&bt_1=&st_1=&query=&dataset=101634&search_look=2&group_id=null&display_look=4,44&submit_all=Select+Data
থিওরিটিক্যালি, শুধুমাত্র ভবনের উচ্চতা একমাত্র নিয়ামক হতে পারে না। বেশি উঁচু বিল্ডিংগুলোতেই কম্পনজনিত দুলুনি এবং ভেঙ্গে পড়ার আশংকা বেশি হওয়ার কথা। তবে বেশি উঁচু বিল্ডিংগুলোতে ভূমিকম্পজনিত নিয়মকানুন মেনে অপেক্ষাকৃত অতিরিক্ত সতর্কতার সাথে নকশা করা হয় ... তাই এগুলোর সেফটি বেশি হতে পারে।
বাংলাদেশের বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ভূমিকম্প হতে নিরাপদ ভবন নকশা করার সময় ভবনের ভিতে (ফাউন্ডেশন ... বেজমেন্ট সহ মাটির নিচে থাকা অংশ) ভূমিকম্পের জন্য একটা অতিরিক্ত আনুভুমিক বল কাজ করবে, এই ধরে নকশা করা হয়। আমার জানামতে, পৃথিবীর অন্যজায়গার কোডগুলোও একই মূলনীতিতে তৈরী। এতে নিচের দিকের ফ্লোরগুলোর উপর বলের ভ্রামক (মোমেন্ট) অনেক বেড়ে যায়, ফলে সেটা নেয়ার ক্ষমতা প্রদানের জন্য এই জোনের কলামগুলোতে অনেক বেশি রিইনফোর্সমেন্ট (=রড) দিতে হয়।
জাপানে অনেক ভবনের নিচে কলামগুলোর গোড়ায় ঝাকুনি নেয়ার জন্য স্প্রিং দেয়া আছে বলে শুনেছি ... অনেকটা গাড়ির চাকার স্প্রিং-এর মত। এছাড়া উঁচু টাওয়ারগুলোতে দুলুনি কমানোর জন্য উপরের দিকে কাউন্টার ওয়েট দেয়া হয় (ন্যাশনাল জিওগ্রাফি চ্যানেলৈর মেগা স্ট্রাকচার সিরিজের ভিডিওগুলোতে এটা সুন্দরভাবে দেখানো হয়েছে)।
এই সবগুলো প্রোটেকশন বা ডিজাইন-ই করা হয়, ভূমিকম্পের দুলুনি আনুভূমিক ভাবে আসবে ধরে। কিন্তু যদি কম্পনের কেন্দ্র খাড়াখাড়ি নিচে হয়, তবে এতসব আয়োজন সব ব্যর্থ হবে। কারণ কম্পন আসবে উলম্ব দিকে।
ভূকম্পনের দোলনের সাথে ভবনের দোলনের অনুরণন (বানান?) ঘটলে মারাত্নক ঘটনা ঘটবে .. পুরা ভবন ভেঙ্গে পড়বে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
ভূকম্পনের দোলনের সাথে ভবনের দোলনের অনুরণন (বানান?) ঘটলে মারাত্নক ঘটনা ঘটবে .. পুরা ভবন ভেঙ্গে পড়বে।
মেক্সিকো সিটির ভূমিকম্পে তাই হয়েছিল- এই ৬-১৫ তলা ভবনগুলোর দোলনের সাথে ভূকম্পনের সর্বোচ্চ মাত্রার দোলনের সমাপতন বা অনুরণন ঘটেছিল। তাই এগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। The resonance frequency of such buildings coincided with the frequency range amplified most frequently in the subsoils.
উচ্চতা তাই একমাত্র নিয়ামক নয়। এর সাথে মাটির গঠন, ভূকম্পনের প্রকৃতি, বিল্ডিং ডিজাইন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। তবে সাধারণভাবে আমাদের দুই-তিন তলা বাড়ির চেয়ে উঁচু এপার্টমেন্ট ভবনগুলো যে একটু বেশি ঝুঁকিপূর্ণ তা বলাই যায়। তবে ভূমিকম্পরোধক ব্যবস্থা কিছুটা হলেও হয়তো এগুলোতে আছে যদি নির্মাণের সময় কোন দুই নাম্বারি না করে
নিচের এই ম্যাপটা দেখতে পারেন। ম্যাপটা পুরোপুরি সঠিক নয়। তবে সঠিকের কাছাকাছি বলা যেতে পারে।
এক তলার উচ্চতা = ১০ ফুট ধরা হয়েছে
থাকি বসুন্ধরা সিটি মার্কেটের পেছনের গলিতে। এই এলাকাটা অনুরণন (বানান ঠিক আছে: রেফারেন্স) মানচিত্রের ৬ ও ৭ তলার কনটুরের মধ্যে পড়েছে .... .... যাক বাবা; যেই বিল্ডিং-এ আছি সেটা ৯ তলা।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
তানভীর ভাই, মূল্যবান সব তথ্যে ঠাসা আপনার এই পোস্টটা খোমাখাতায় ঝুলাইলাম, অসংখ্য ধন্যবাদ।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভূমিকম্পের সময় নৌকা বা লঞ্চে থাকার ব্যাপারে কিছু জানাবেন? আমাদের এলাকায় মুরুব্বিরা বলেন- ভূমিকম্পের সময় নৌকায় থাকাটা সবচেয়ে নিরাপদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
সুনামি বা সমুদ্রের তলদেশে সৃষ্ট ভূমিকম্প ছাড়া সাধারণ ভূমিকম্পে পানির ওপর থাকা বাহনে শক অনুভূত হয় না, হলেও তা অতি সামান্য। মুরুব্বিরা তাই ঠিকই বলেন।
আমার ধারণা, ঢাকা শহরে ভূমিকম্প হলে দালান ধ্বসে যে পরিমাণ মানুষ হতাহত হবে, তার চেয়ে বহুগুণ হবে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট আর গ্যাস লিকেজ থেকে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডে। তার পরের ঘটনা হবে আরো ভয়াবহ। উদ্ধার-তৎপরতার অপ্রতুলতার শিকার হয়ে বীভৎস মৃত্যু হবে আরো অনেক মানুষের। কাজেই, নিজে সচেতন হওয়া আর অন্যকে সচেতন করা ছাড়া আর কোনো উপায় আপাতত দেখছি না।
খুবই সময়োপযোগী পোস্ট, তানভীর। মূল রচনাটি ফটোকপি করে বিলির ব্যবস্থা করছি। এছাড়াও নেট-সংযুক্ত যতজনকে পারি, লিংক পাঠাচ্ছি।
.......................................................................................
Simply joking around...
.......................................................................................
Simply joking around...
বুয়েটের পুরোকৌশল বিভাগের মেহেদী আহমেদ আনসারী স্যার (ansaryএট ce.buet.ac.bd ) এবং তাহমিদ আল হোসাইনি স্যার(htahmeedএট yahoo.com ) ভুমিকম্প নিয়ে গবেষনা করেন । ইমেইল এড্রেসগুলো আমি পেলাম বুয়েটের পেইজ থেকে। ভুমিকম্পে করণীয় নিয়ে উনাদের কোন লেখাও থাকতে পারে যা আমি নিশ্চিত নই। আমি লেখককে অনুরোধ করবো স্যারদের সাথে যোগাযোগ করে আমাদের দেশের প্রক্ষাপটে করণীয় কি কি হতে পারে সে সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য নেওয়া। আমি মনে করি রেড ক্রস বা ফিমার করণীয় গুলো সরাসরি আমাদের দেশের প্রক্ষাপটে কাজে নাও লাগতে পারে। উন্নত দেশে যত সুযোগ সুবিধে আছে তার দশ ভাগও আমাদের নেই বললেই চলে। এ কারণেই বলছি লেখাটি যেহেতু খুব সময়োপযোগী একটি লেখা এবং অনেকেই হয়তো শুধু এই লেখা পড়েই সত্যিকারের ভুমিকম্পের সময় নিজেকে বাঁচানোর প্রচেষ্টা করতে পারেন তাই আসল গবেষনাকৃত করণীয়গুলো দিতে পারলে তা খুবই উপযোগী হবে। বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য তানভীর ভাইকে বিশেষ ধন্যবাদ।
মেহেদি সাহেবের সম্পাদনায় ভূমিকম্পের উপর দু'টি বইয়ের কথা জানি (তবে সাধারন আমপাঠকের জন্য এগুলি কতটা কাজে আসবে জানি না ) :-
১। ভূমিকম্প-প্রতিরোধক ডিজাইন ম্যানুয়াল/Earthquake Resistant Design Manual. এটা একটা ইংরেজি-বাংলা দ্বিভাষিক বই। প্রকাশকঃ বাংলাদেশ আর্থকোয়েক সোসাইটি/এপিপিএল ।
২। ভূমিকম্পরোধী অপ্রকৌশলিত নির্মানকাজের গাইড (বা প্রায় এরকম কিছু একটা নাম)। প্রকাশক কে জানি না - বোধহয় আর্থকোয়েক সোসাইটি।
Dhaka university earth observatory - http://sha.dueo.googlepages.com/
লেখক- প্রীতম সাহা
ফেসবুকে শেয়ার করলাম।
নীড়পাতার সৌর্ন্দয্য রক্ষার্থে এই পোস্টটিকে প্রথম পাতা থেকে সরানো হলেও খুব গুরুত্বপূর্ণ এই পোস্টটিকে বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবার অনুরোধ রইল।
দরকারী পোস্ট। তাইওয়ানে থাকার সুবাদে ভূমিকম্পে অনেকটা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। কিন্তু ঢাকা শহরে ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে ভাবলে গায়ে জ্বর চলে আসে। বিষয়টা নিয়ে সরকারী উদ্যোগে কিছু প্রচারনা চালানো প্রয়োজন বলে মনে করি।
আশা করি হাইতির পর আবারো আগ্রহ আসবে এই পোস্টটায়।
এতোকিছু ভাববার সময় পাওয়া যাবে কিনা- সেটিই বড় জিজ্ঞাসা! ধন্যবাদ লেখার জন্য।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
অসাধারণ ভাই, কিন্তু একটা জিনিস বুঝলাম না,সোফার পাশে কিভাবে আশ্রয় নিব?ছাদ যদি মাথায় ভেগে পড়ে? একটা ছবি দিয়ে পজিশনটা বোঝালে ভাল হত।
ঘরের কর্নার কি সবচেয়ে ভাল না? কারণ ছাঁদ ভেগে সাধারণত খাড়া নিচে পরে না।তাই ঘরের কোনায় একটা ট্রায়াঙ্গেল তৈরি হবে যেটাতে থাকলে আঘাত কম লাগতে পারে।
আজ ঢাকায় যে দুইটা কম্পন হলো তা কি আরো বড় কম্পনের সংকেত? তাই যদি হয় তো ঢাকা শহরের কী হবে আমি সেটাই ভাবছি
খুব... খুবই গুরুত্বপূর্ণ লেখা।
সময়োপযোগী, বাস্তবধর্মী ও তথ্যবহুল লেখা। অনেক ভালো লাগলো।
রোমেল চৌধুরী
আজ বিকালে (৫টায়) রাজশাহীতে হলো...
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
খুবই গুরুত্বপূর্ণ লেখা।
ধন্যবাদ আপনাকে।
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
তানভীর ভাইয়ের পোস্টটি বছর দুয়েক আগে লিখিত হলেও আজকের প্রেক্ষাপটে মহা গুরুত্বপূর্ণ।
মেম্বরকে অনুরোধ করবো তাঁর গবেষনালব্ধ অভিজ্ঞতা নিয়ে এই নাজুক সময়ে একটি ব্লগ লিখতে। যেকোনো সময়েই আঘাত হানতে পারে প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্প। তার আগেই সবাইকে সচেতন করে দেয়াটা জরুরী।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ঢাকা শহরের অধিকাংশ বাড়ির কাঠামোগত দৃঢ়তা ভূমিকম্পের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য পর্যাপ্ত নয়। আবার ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কাজের যথাযথ প্রস্তুতি ও জনবল নেই বললেই চলে। সেক্ষেত্রে ভূমিকম্পকালীন সময়ে ভবন থেকে না বেরিয়ে কেউ যদি ধংসস্তুপের নিচে অক্ষত অবস্থায়ও চাপা পড়ে তবে তাকে কি বের করার সম্ভব এই উদ্ধারকর্মীদের? স্পেক্ট্রাম অথবা র্যাংগস ভবন থেকে আমরা কি কিছু শিখেছি? অনেক সময় অধিক জনসংখ্যার ভবনে সকলে একসাথে বের হতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে আহত হবার ভয় থাকে। আবার হাইরাইজ ভবনের দীর্ঘ সিড়িপথ বেয়ে নামতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে যেয়ে পারে। কিন্তু ৫/৬তলা উচ্চতার ভবনগুলো(বিশেষত আবাসিক) থেকে ব্যবহারকারীরা অতিসহজেই সিড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারবেন।
অফটপিক একটা গপ্পো বলি।
সেদিন স্থানীয় মসজিদে ইফতার করলাম। মাগরিবের নামায শেষে এক পাকি পাকিস্তানের বন্যাদুর্গতদের জন্য সাহায্যের আহবান জানালো। এমনি জানালেই হতো। কিন্তু ইনিয়ে বিনিয়ে বলা শুরু করলো পাকিস্তানের মতো এমন একটা গড-ফিয়ারিং কান্ট্রিতে (!) কেনো আল্লাহ এতো দুর্যোগ দেয়। এর আগে পাকিস্তানের ভূমিকম্পে নাকি এটা নিয়ে নাকি তার মন খুব খারাপ ছিলো। আল্লাহকে সে প্রশ্ন করেছিলো- পাকিদের মতো পরহেজগার লোক দুনিয়াতে নাই, তবু এসব ভূমিকম্প কেনো পাকিস্তানে হয়? আল্লাহ নাকি তাকে সাথে সাথে জবাব দিয়েছিলো। তার সামনে তখন কোরান শরীফ রাখা ছিলো। সে খোলার সাথে সাথে যে পৃষ্ঠা অটোমেটিক আসলো তাতে নাকি লেখা ছিলো- কমুনিটির সম্পদশালীরা যখন দান-খয়রাত করা বন্ধ করে তখন আল্লাহ সেখানে ভূমিকম্প, বন্যা ইত্যাদি দেয়। সেই পাকি আবার পদার্থবিদ্যার প্রফেসর! এদের মিথ্যা কথা বলার কোনো সীমা-পরিসীমা নাই। মসজিদে বসেও পটপট করে মিথ্যা বলতে পারে।
প্রতিবাদ করেন নাই?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
লোকটা খুবই রুড। একবার একজনের সাথে প্রায় হাতাহাতিই লাগিয়ে দিয়েছিলো। আর আমি পাকিদের সাথে যেচে কথা বলি না। অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছি
এই লেখাটি শেয়ার করলাম...সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ
ভুমিকম্পের সময় কতটা সময় পাওয়া যায়। মানে ভুমিকম্পের মাত্রা আনুযায়ি ঘর বাড়ি ভেঙ্গে পরার আগে কতটা সময় পাওয়া যায়। আর আমি শুনেছি ভুমিকম্পের সময় সাধারনত দুই ধরনের wave (longitudinal & transverse) আসে। দুইটা wave এর মাঝে কিছুটা সময়ের ব্যবধান থাকে। সময়ের ব্যবধান কতটা হয়ে থাকে।
আপনার প্রশ্নের জবাব দেয়ার জন্য সিজমিক ওয়েভ নিয়ে একটু পড়াশুনা করলাম। যতটুকু বুঝেছি মোটামুটি চার ধরনের ভূকম্পন তরঙ্গ আছে- ১. প্রাইমারি ২. সেকেন্ডারি ৩. লাভ (লাভ সাহেবের নামে) ৪. রেলেই (Rayleigh-এর নামে)
এর মধ্যে প্রথম দু’টো হলো বডি ওয়েভ বা পৃথিবীর অভ্যন্তরে যেখানে ভূমিকম্পের উৎপত্তি সেখান থেকে এটি ছড়ায়। বাকি দু’টো হলো সারফেস ওয়েভ বা শুধু পৃথিবীর উপরিভাগে এর কম্পন সীমাবদ্ধ থাকে। (চিত্র)
নিচে ওয়েভগুলো আরেকটু ব্যাখা দিলামঃ
১. প্রাইমারি ওয়েভ
এ ওয়েভের নাম প্রাইমারি, কারণ এটা সবার প্রথমে আসে এবং সবচেয়ে দ্রুত গতিসম্পন্ন। এর গতিবেগ ১-১৪ কিমি/সে পর্যন্ত হতে পারে। পানিতে গতিবেগ কম, পৃথিবীর উপরিভাগের কাছে বেশি। আপনি যেমন বলেছেন এটি longitudinal wave- পার্টিকেল মুভমেন্টের সাথে তরঙ্গ একই দিকে প্রবাহিত হয়। মূলত কম্প্রেশন বা পুশ-পুল এফেক্টের কারণে এটা হয়। তাই একে কম্প্রেশনাল ওয়েভও বলে।
প্রাইমারি ওয়েভ মূলত সাউন্ড ওয়েভ। কিন্তু আমাদের শ্রবণসীমার বাইরে থাকায় আমরা কোনো শব্দ শুনতে পাই না। কুকুর এবং আরো কিছু প্রাণী এর শব্দ শুনতে পায়। ভূমিকম্প আঘাত হানার ঠিক আগে কুকুররা তাই ঘেউ ঘেউ করে। মানুষ শুধু এর কম্পন বা ঝাঁকি টের পায়। ব্যাপারটা অনেকটা বাজ পড়ার শব্দে, ঘরের জানালাগুলো যেমন কেঁপে ওঠে সেরকম। কিন্তু আমরা এখানে শব্দটা শুনি না। মূলত ভূমিকম্প প্রস্তুতি নেয়ার জন্য মানুষকে এটুকু সময়ই শুধু দেয়।
২. সেকেন্ডারি ওয়েভ
প্রাইমারি ওয়েভের পরেই আসে সেকেন্ডারি ওয়েভ বা Shear wave। এর গতিবেগ ১-৮ কিমি/সে। কাজেই বুঝতেই পারছেন এটা একটু পরে আসলেও এই ওয়েভেও খুব দ্রুতগতির। আমরা ভূমিকম্পে যে ঘরবাড়ি, অবকাঠামো ধ্বংস হতে দেখি তার জন্য মূলত দায়ী এই সেকেন্ডারি ওয়েভ এবং সারফেস ওয়েভগুলো। এটা transverse wave কারণ এতে তরঙ্গ পার্টিকেল মুভমেন্টের সাথে উলম্বভাবে প্রবাহিত হয়।
লাভ ও রেলেই, সারফেস ওয়েভ এবং এগুলো বিচ্ছিন্নভাবে পৃথিবীর উপরিভাগে আঘাত হানে। রেলেই সবচেয়ে শ্লথগতিসম্পন্ন ১-৫ কিমি/সে গতিবেগ। আলাদা করে এগুলো আর ব্যাখা করলাম না। আসলে ওয়েভের তত্ত্বগুলো জানা থাকলেও বাস্তবক্ষেত্রে কোনো কাজে আসবে বলে মনে হয় না। কারণ, পুরো ভূমিকম্প মাত্র কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সম্পন্ন হয়। প্রাইমারি ওয়েভের সাথে সাথেই আসলে যা করার করতে হবে। এর জন্য অবশ্যই আগে থেকে পরিবারের সব সদস্যদের নিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা জরুরি যেন ওই সময় ডিসিশন নেয়ার পিছে সময় নষ্ট না করে আগে থেকে নেয়া প্রস্তুতি অনুসারে ত্বরিত ব্যবস্থা নেয়া যায়।
সিজমিক ওয়েভ নিয়ে আরো জানতে চাইলে নিচের লিংকগুলো দেখতে পারেন।
http://www.geo.mtu.edu/UPSeis/waves.html
http://en.wikipedia.org/wiki/Seismic_wave
http://eqseis.geosc.psu.edu/~cammon/HTML/Classes/IntroQuakes/Notes/waves_and_interior.html
ভাই তাহলে তো প্রাইমারি ওয়েভ আসার পর সেকেন্ডারি ওয়েভ আসার আগে যে সময় থাকে তাতে বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়াই ভাল।
দরকারী পোস্ট।
ম্যাচ জ্বালাবেন না। এটি কখনোই শুনি নি।
কিছু কিছু জানতাম। সমস্যা হচ্ছে ভূমিকম্পের সময় মাথা শান্ত রাখতে পারব?!
শেষবার টের পাবার সময় অন্যদের ডাকতেই তো সময় পার করে ফেললাম!
আমাদের দেশে যে কত মানুষ মারা যাবে
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
তানভীর ভাই,
এই পোস্টের সাম্প্রতিকীকরণ করা সম্ভব? একটা সংক্ষিপ্ত ডু'স এন্ড ডোন্টসের মত করলে বেস্ট - যেটা চট করে চোখ বুলিয়ে মুখস্ত করে ফেলা এবং বিতরন করা যাবে।
তিনটা থেকে চারটা পয়েন্ট করে দিয়েন। মানুষ একবারে চারটা জিনিসের বেশী মনে রাখতে পারে না।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
হ্যাঁ, একটু সময় পেলে করে ফেলবো। এই পোস্ট আসলে বেশি তথ্যের ভারে আক্রান্ত হয়ে গেছে।
নতুন মন্তব্য করুন