মূলঃ নয়নিকা মূখার্জী
(আলোচ্য রচনাটি শর্মিলা বোসের বিতর্কিত নিবন্ধঃ "Anatomy of Violence: Analysis of Civil War in East Pakistan in 1971" (EPW, Oct 8, 2005) একটি পর্যালোচনা। বোসের নিবন্ধটির প্রথম সংস্করণ ডঃ বোস ২০০৫ সালের ২৮-২৯ জুন যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দফতরের ইতিহাস বিভাগ আয়োজিত দুই দিন ব্যাপী এক সম্মেলনে উপস্থাপন করেন। সম্মেলনের শিরোনাম ছিল “ সংকটে দক্ষিণ এশিয়াঃ যুক্তরাষ্ট্রের নীতি, ১৯৬১-১৯৭২”। এ সময় তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দলিলপত্রসমূহ জনসমক্ষে প্রকাশ উপলক্ষে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়)
একজন ভারতীয় হিসেবে বাংলাদেশে প্রায় এক দশক ১৯৭১ সালের যুদ্ধে যৌন নিপীড়ন বিষয়ে সাধারণ মানুষের স্মৃতিচারণ নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতায় শর্মিলা বোসের নিবন্ধে বাংলাদেশের যুদ্ধকে ‘গৃহযুদ্ধ’ হিসেবে উল্লেখ করায় আমি বিশেষভাবে আহত হয়েছি। অধিকাংশ বাংলাদেশীই বাংলাদেশের যুদ্ধকে ‘গৃহযুদ্ধ’ হিসেবে উল্লেখ করতে অস্বীকার করেন, যেহেতু এতে এর সাথে সংশ্লিষ্ট গণহত্যাকেও অস্বীকার করা হয়। পরিবর্তে তারা বাংলাদেশের যুদ্ধকে অর্থগত এবং রাজনৈতিকগতভাবে ‘মুক্তিযুদ্ধ’ বা ‘স্বাধীনতা যুদ্ধ’ হিসেবে আলাদা চোখে দেখেন।
এর সাথে এটাও উল্লেখ করা প্রয়োজন, ঠান্ডা যুদ্ধ সময়কার রাজনীতিতে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৯৭১ সালে পাকিস্তানকে এবং ভারত সরকার পূর্ব পাকিস্তানের গেরিলা যোদ্ধাদের সাহায্য করেছিল, তখন বাংলাদেশের যুদ্ধে যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল তাকে আজ পর্যন্ত স্বীকার করা হয় নি। শর্মিলা বোসের নিবন্ধটির শিরোনামে ‘গৃহযুদ্ধ’ শব্দের ব্যবহার তাই ১৯৭১-এর ঘটনাবলী সম্পর্কে পাক-মার্কিন সরকারের যে সংস্করণ প্রচলিত রয়েছে- তার প্রতিই সমর্থন ব্যক্ত করে। অথচ নিবন্ধটির দাবী এটি একটি ‘নিরপেক্ষ বিবরণ’। আমার কাছে এটি ধোঁকা মনে হয়েছিল।
বোস যেগুলোকে ‘কেস স্টাডি’ বলছেন তার সবগুলোতে তিনি মূলত এটাই হাইলাইট করতে চেয়েছেন- ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী এবং পূর্ব পাকিস্তানের মুক্তিবাহিনী উভয়েই নিপীড়নে যুক্ত ছিল। বাংলাদেশের যুদ্ধ সময়কালীন তার ‘কেস’গুলোতে তিনি কোন ধর্ষণের ঘটনা খুঁজে পাননি- এমন কথাও তার দীর্ঘ নিবন্ধের শেষে ক্ষুদ্র একটি প্যারাগ্রাফে উল্লেখ করেছেন। নিপীড়নে সব পক্ষই যুক্ত ছিল এধরণের একটি স্বীকার্যের মাধ্যমে তিনি সব পক্ষের মধ্যে পুনর্মিত্রতারও একটি পন্থা বাতলে দিয়েছেন।
ওয়াশিংটনের এক কনফারেন্সে শর্মিলা বোসের এ নিবন্ধটি উত্থাপিত হবার অব্যবহিত পর পাকিস্তানী পত্রপত্রিকাগুলোয় ত্বরিত এ বিষয়ে লেখা ছাপা হয়- দ্য ডেইলি টাইমস (হাসান, জুন ৩০, ২০০৫; সম্পাদকীয় জুলাই ২, ২০০৫) এবং ডন (ইকবাল, জুলাই ৭, ২০০৫)। দু’টো পত্রিকাই বোসের বরাত দিয়ে উল্লেখ করে- বাংলাদেশের যুদ্ধে সব পক্ষ দ্বারাই নিপীড়ন হয়েছে এবং কোন ধর্ষণের ঘটনা ঘটে নি। জনপ্রিয় ইন্টারনেট বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ায় শর্মিলা বোসের ওপর নিবন্ধেও যুদ্ধে ধর্ষণ সম্পর্কে শুধু সেই ছোট প্যারাগ্রাফটিকেই পুনরুল্লেখ করা হয়।
২০০৫ সালের ২ রা জুলাই ওয়েব মেইলভিত্তিক বাংলাদেশী গ্রুপ ‘উত্তরসূরী’র এক প্রশ্নের জবাবে বোস বলেন-“পাকিস্তানের ডেইলি টাইমস তাদের রিপোর্টে যে শিরোনাম দিয়েছে তা সঠিক নয় এবং এটি তার গবেষণার ভিত্তিতে পাওয়া তথ্য থেকে হয় নি”। শর্মিলা বোসের গবেষণা বাংলাদেশে সমালোচনার ঝড় তোলে এবং তার গবেষণা পদ্ধতি নিম্নমানের এবং পক্ষপাতদুষ্ট- এ অভিযোগগুলো উত্থাপিত হয়। কলিংউড (১৯৪৫) দেখিয়েছেন- ইতিহাস হচ্ছে আসলে ইতিহাসবিদের মননে অতীতকে পুনর্নিমাণ, যেখানে অতীত নিয়ে প্রত্যেকের নিজস্ব বাছাই ও ব্যাখা থাকে- কারণ ইতিহাস হল আসলে একটি নির্দিষ্ট বর্ণনাশৈলী বেছে নেয়া এবং সেটাও ঐতিহাসিকভাবেই নির্ধারণ করতে হয়।
ইকোনমিক এবং পলিটিক্যাল উইকলিতে (EPW) –তে বোসের নিবন্ধ প্রকাশের প্রায় দশ মাস পর আমার এ আলোচনা বোসের গবেষণা বিষয়ে বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়া, বোসের জবাব এবং গবেষণায় বোসের বর্ণনাশৈলীকে তুলে ধরার একটি প্রচেষ্টা যা অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিভিন্ন তথ্যের মাধ্যমে কোন বিশেষ উদ্দেশ্যসাধনে ব্যবহৃত হয়েছে।
এ আলোচনায় আমি মূলত বোসের বিবরণের তিনটি বিষয় পর্যালোচনা করব- ক) যুদ্ধে উভয় পক্ষ দ্বারা নির্যাতন করা হয়েছিল খ) তার ‘কেস’গুলোতে ধর্ষণের কোন ঘটনা না পাওয়া এবং গ) তার মীমাংসার প্রস্তাবনা যাচাই করা এবং উপমহাদেশীয় রাজনীতিতে এর প্রভাব বিশ্লেষণ।
উভয় পক্ষ দ্বারা নিপীড়ন
বোসের নিবন্ধে সব পক্ষের সম্পৃক্ত থাকা দেখানো হয়েছে এভাবে যে এরা সবাই “যুদ্ধে প্রচলিত রীতির বাইরে পাশবিক কাজকর্ম করেছিল এবং মানবিকতাও দেখিয়েছিল...বিশৃংখলার মধ্যে বাঙালী, বিহারী এবং পশ্চিম পাকিস্তানীরা একে অন্যকে সাহায্য করেছিল”। প্রমাণ হিসেবে দেখানো হয়েছে- পাকিস্তানী সৈন্যরা নারী ও শিশুদের বাদ দিয়ে শুধু পূর্ণবয়স্ক পুরুষদেরই টার্গেট করেছিল। পাকিস্তানী সৈন্যরা নয়; বরং স্থানীয় বাঙালী বিশ্বস্ত/সহযোগীরাই (রাজাকার) তাদের স্বজাতি বাঙালীদের ওপর অত্যাচার এবং বুদ্ধিজীবি হত্যার কাজে যুক্ত ছিল।
এসব বিবরণ অনুসারে পাকিস্তানী সৈন্যদের দ্বারা সব নির্যাতন হয় নি। বাঙালী সহযোগীদের এসব অপ্রাসংগিক বিবরণ- পাকিস্তানী সৈন্যরা যে নিজেদের সুবিধার জন্যই এদের উপস্থিতি ও সহযোগিতা তৈরী করেছিল- তা অস্বীকার করে। সব যুদ্ধেই প্রাতিষ্ঠানিক মিলিটারি যন্ত্রের অপরিহার্য দৈনন্দিন কাজের সহযোগী (foot-soldier) হিসেবে স্থানীয় কিছু লোক কাজ করে- এখানে এই বিশ্লেষণী পয়েন্টটিকে উপেক্ষা করা হয়েছে।
পাকিস্তানী সৈন্যদের দেখানো হয়েছে দয়ালু, কিন্তু শুধু আক্রান্ত হলেই এরা হিংস্র হয়; অপরদিকে বাঙালীরা ‘কোন কারণ ছাড়াই’ হিংস্রতা করে। একাত্তর সালে বাংলাদেশের পরিস্থিতি বোঝাতে এ ধরণের কিছু প্রবাদ ব্যবহার করা হয়েছেঃ “মার্চে বিস্তৃত বিশৃংখলা”, “আইন অমান্য করতে উৎসাহী”, “নগর সন্ত্রাস” এবং “বিদ্রোহী”। পাকিস্তানী সৈন্যদের প্রতি ব্যবহারকে উল্লেখ করা হয়েছেঃ “বাঙালীরা তাদের কাছে খাদ্য ও জ্বালানী বিক্রয় করতে অস্বীকৃতি জানায়...এবং গণহারে কারফিউ অমান্য করে, সেনাসদস্যকে নিহত করে,”- এগুলো কোন প্রতিরোধ ও বিরোধিতার উদাহরণ হিসেবে দেখানো হয় নি, বরং পাকিস্তানী সৈন্যদের ভোগান্তি এবং ‘উস্কানির মুখে সেনাবাহিনীর অসাধারণ ধৈর্য্য’ প্রদর্শনীর উদাহরণ হিসেবে এগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
“আইনের শাসন” পাকিস্তানী সেনাদের সাথেই ছিল যেহেতু তারা ভূ-খন্ডের “নিরাপত্তা” ও “নিয়ন্ত্রণ” প্রতিষ্ঠায় রত ছিল। সৈন্য প্রতিক্রিয়াকে দেখানো হয়েছে “আচ্ছন্ন বা অভিভূত”, অপরদিকে বিদ্রোহীরা ছিল “অসংগঠিত এবং অপেশাদার” যারা “কোন কারণ ছাড়াই...বাজারে আগুয়ান বাহিনীর প্রতি গুলি ছুঁড়েছিল যার ফলে সেনারা তাতে আচ্ছন্ন হয়ে প্রতিক্রিয়া ঘটায়”।
একাত্তরের বর্ণনা সম্পর্কে যে বিবিধ বিতর্ক বাংলাদেশে প্রচলিত আছে তার কোন বিবরণ এখানে নেই। ফলে, মুক্তিযোদ্ধা ইকবালের দৃষ্টিতেঃ “পৃথিবীতে এটাই বোধহয় একমাত্র দেশ, যার স্বাধীনতা নিয়ে দু’টো ভিন্ন মত রয়েছে”- এ কথার কোন বিশ্লেষণ এখানে পাওয়া যায় না। যুদ্ধ এবং হিংস্রতা নিয়ে বিভিন্ন সুগভীর যে পাঠ্য রয়েছে (বুটালিয়া, ১৯৯৮; দাশ ১৯৯৫; নর্ডস্ট্রম ২০০৪) তা দেখায় যে দেশে দেশে স্বাধীনতার বর্ণনা সব জায়গায় একই রকম নয় এবং যে যুদ্ধের ফলে কোন দেশ স্বাধীন হয় তা নিয়ে নানাবিধ বিতর্ক ও প্রশ্ন থাকে। দেশ বিভক্তি এবং স্বাধীনতার ক্ষত-বিক্ষত ইতিহাস নিয়ে বাংলাদেশও এর বাইরে নয়।
এছাড়া, নিক্সনের বাংলাদেশকে “ঈশ্বর-নিন্দিত স্থান” হিসেবে উল্লেখ করা সম্পর্কে কোন মন্তব্য করা হয় নি। এই নিবন্ধটি, যা যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র বিভাগ আয়োজিত একটি সম্মেলনে প্রথম উপস্থাপন করা হয়- সেখানে বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পাকিস্তানের ভূমিকায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন সম্পর্কে (ঠান্ডা যুদ্ধ সমীকরণ প্রসংগে) কোনরূপ আলোচনার অনুপস্থিতি বিশেষ করে চোখে লাগে।
এই নিবন্ধটি সৈন্যদের জাতীয়তাকে “পাঞ্জাবী” হিসেবে উল্লেখ করেছে এবং পাকিস্তানী সৈন্যদের মধ্য থেকে কিছু ভিন্নতা বের করে আনতে আমাদের সাহায্য করে। যুদ্ধকালীন সময়ে যে একই মানুষের মধ্যে হিংস্রতা, দয়ালুতা, কাপুরুষতা, দুষ্কর্মে সহযোগিতা, স্ববিরোধীতা ইত্যাদি সবকিছুর সমাবেশ হতে পারে- তা নতুন কিছু নয় এবং বিভিন্ন নারীবাদী, গবেষক, এবং ছবি নির্মাতারা তা আমাদের দেখিয়েছেন (আখতার এট আল, ২০০১, চৌধুরী ২০০১, কবীর ২০০৩, মাসুদ ১৯৯৯, ২০০০)।
তারা বাংলাদেশের যুদ্ধ নিয়ে নানাবিধ, স্ববিরোধী, আত্মমাত্রিকতা এবং নারী, বিহারী এবং আদিবাসীদের উপর নির্যাতন দেখিয়েছেন। আমার নিজের কাজেও আমি একই ধরণের বিষয়ের সমমুখীন হয়েছি। এসব উদাহরণকে অ-ঐতিহাসিক এবং অ-রাজনৈতিক “তথ্য” হিসেবে উপস্থাপন করার চাইতে, স্থানীয় এবং জাতীয় রাজনীতি ও ইতিহাসের সংযোগস্থলে এদের স্থান নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
কলিংউডের যে সূত্র আগে উল্লেখ করেছিলাম তা এখানে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বোসের অন্য লেখাগুলোতে তিনি ইন্দো-পাকিস্তানী দ্বন্দ্বের উর্দ্ধে উঠতে চেষ্টা করেছিলেন। তিনি পতাকার বিভিন্ন প্রতীকি ভূমিকা এবং ভারতে একটি পাকিস্তানী পতাকা রাখার সম্ভাব্য পরিণতি কী হতে পারে তা তুলে ধরেছিলেন (২০০৩)। ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটরে (বোস এবং মাইলাম, ২০০৫) তিনি পাকিস্তানের কাছে এফ-১৬ বিমান বিক্রির সমর্থনে লিখেছিলেন যে এটা পৃথিবী এবং উপমহাদেশীয় ভূ-রাজনীতির জন্য স্থিতিশীল নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে। কিন্তু EPW নিবন্ধে, তার বর্ণনাশৈলীর প্রকৃতি এবং ‘তথ্য’ উপস্থাপন তাঁর “কেইস”গুলিকে বাংলাদেশের সবার যুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতা হিসেবে তৈরী করেছে।
(চলবে)
মন্তব্য
তানভীর - খুব ভালো কাজ করলেন এটা দিয়ে, কিন্তু এবারেরটা এত অল্পেই শেষ করলেন কেন?
অনুবাদ এখনো চলছে- তাই দিতে পারি নি আপনার উৎসাহে আরো কিছু অংশ যোগ করে দিলাম।
= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।
ডেইলী স্টারের ফোরামে প্রকাশিত লেখাটির অনুবাদ এটি।
সব পর্ব পোস্ট করার পর আপনার অনুমতি পেলে এই অনুবাদটি গণহত্যা আর্কাইভে যোগ করে দেব।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
লিংক-এর জন্য ধন্যবাদ রেজওয়ান। অনুবাদ শেষ হলে লিংক দেবার ইচ্ছা ছিল যদিও। আর্কাইভে রাখার অনুমতি রইল।
= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।
ধন্যবাদ।
নিয়মিত লক্ষ্য রাখছি পরবর্তী পর্বের জন্য।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
প্রিয় পোস্টে রাখলাম, পরবর্তী পর্বগুলোর জন্যও অপেক্ষা থাকলো।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
অসাধারন!! চলুক চলুক!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তী পর্বের।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
পাকিস্তানিদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা গোলাপ নিয়ে আসে, তখনও। - হুমায়ুন আজাদ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
চলুক। নতুন কিছু জানলাম।
পরবর্তি পর্বের অপেক্ষায়...
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। শুধু স্বাক্ষর রেখে গেলাম।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
।। ধন্যবাদ ।।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
তানভীর ,
ভালো কাজ করেছো .
পরবর্তী পর্বগুলোর জন্য অপেক্ষায় আছি.
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
লেখাটা কোন এক ফাঁকে মিস হয়ে গিয়েছিল। শর্মিলা বোসদের মুখোশ উন্মোচনে আমাদের সবার এগিয়ে আসা উচিত। তানভীরের অনুবাদটি সেক্ষেত্রে বিশাল অবদান রাখবে। ধন্যবাদ অনুবাদককে।
এখন পরেরটা পড়ি।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
উইকিপিডিয়ার নিবন্ধের লিংকটা দিলে ভাল হয়। তাহলে সেখানে কিছু নতুন তথ্য যোগ করা যাবে। আমার তো মনে হয় শর্মিলা বোস এতো উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি নন যে তাকে নিয়ে উইকিতে নিবন্ধ থাকতে পারে। গুগলে সার্চ দিয়ে পেলাম না। উইকির নিবন্ধের লিংক পেলে তার উল্লেখযোগ্যতা নিয়েও সংশয় তোলা যাবে।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
উইকিপিডিয়ার বিষয়টা এখন বুঝতে পেরেছি। এই ব্লগে রাগিব ভাইয়ের মন্তব্য পড়ে জানলাম: শর্মিলা বসুর লেখাটা প্রকাশিত হওয়ার পর পাকিস্তানের উইকিপিডিয়ানরা ভুল তথ্য দিয়ে উইকিপিডিয়ায় বেশ কিছু নিবন্ধ লেখে। এসব দেখেই বোধহয় সে সময় বাংলাদেশী উইকিপিডিয়ানরা সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। এখন আর সে ভুল তথ্যগুলো নেই। ইংরেজি উইকিপিডিয়াতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখাগুলো এখন বাংলাদেশীদের হাতেই লেখা হচ্ছে।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
তানভীর , আমি দু'টো পর্বই পড়লাম মন দিয়ে। একটা ব্যাপার জানতে চাইছি। ৭১ এ গণহত্যার সঠিক সংখ্যা (৩০ লাখ বা এর বেশি বা কম) এর ব্যাপারে একাডেমিক রিসার্চ কোথায় পেতে পারি? আরেকটি প্রশ্ন, মুক্তিযুদ্ধ আরকাইভে অনেক রেফারেন্স আছে, কিন্তু এরকম কোথাও কি বলা আছে আন্তর্জাতিক ভাবে আমাদের গণহত্যার কোন্ সংখ্যাটি স্বীকৃত? যেমনটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জুয়িশদের ক্ষেত্রে বলা আছে ? আমাকে এব্যাপারে সাহায্য করতে পারলে প্রীত হতাম।
জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা
নতুন মন্তব্য করুন