আমেরিকার রেড ইন্ডিয়ানরা বিশ্বাস করে- এ পৃথিবীকে আমরা পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে নয়, বরং পরবর্তী প্রজন্মের কাছ থেকে ধার হিসেবে পেয়েছি। পৃথিবীটাকে তাই যথেচ্ছ ভোগ করা নয়, যেমন পেয়েছি তার চাইতে আরো বাসযোগ্য করে তোলাই হওয়া উচিত আমাদের দায়িত্ব, আমাদের ঋণশোধ। রেড ইন্ডিয়ানদের পৃথিবী থেকে প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছি আমরা, তাদের মূল্যবোধের কি মূল্য থাকতে পারে আমাদের কাছে? নেইও। আমরা তাই বাপ-দাদার কাছ থেকে পাওয়া সম্পত্তির মত পৃথিবীটাকে উপভোগ করি, উন্নয়নের নামে বনভূমি উজাড় করি, নদী-নালা-জলাভূমি-ফসলের ক্ষেত ভরাট করি। আজকেই পত্রিকায় দেখলাম লেক ভরাট করে সেখানে সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তাদের জন্য হবে ৩৩৬০ ফ্ল্যাট! আহা কী সুন্দর। এই না হলে উন্নয়ন!
অথচ দেরীতে হলেও এ সরকারই ২০০০ সালে জলাভূমি সংরক্ষণ আইন করেছিল যাতে বলা হয়েছে ঢাকা শহরের সবরকম জলাভূমি যে কোন প্রজেক্টের আওতার বাইরে থাকবে। তবে এটা তো শেষ পর্যন্ত শুধু একটা আইন-ই। এমন কাজীর গরু আমাদের দেশে কিতাবে আরো অনেক আছে। শুধু বাস্তবে কোন প্রয়োগ নেই।
ঢাকা শহরের মতো একটা বন্যাকবলিত স্থানে জলাভূমিগুলোর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। একটা জলাভূমি ভরাট হয়ে যাওয়া মানে বন্যা ও জলাবদ্ধতা আরো বৃদ্ধি পাওয়া, এ জলাভূমিকে কেন্দ্র করে যে গাছপালা, প্রাণী ও কীটপতংগের আবাস গড়ে উঠেছিল অর্থাৎ বাস্তুসংস্থান ধবংস হয়ে যাওয়া, সর্বোপরি ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকা শহর থেকে একটা খোলা জায়গা বা মুক্ত নিঃশ্বাসের জায়গা কমে যাওয়া। হুম, ৩৩৬০টা ফ্ল্যাটের গুরুত্বের কাছে এগুলো আসলে কিছুই না।
খোলা জায়গার কথা বলছিলাম। খেলার মাঠ, পার্ক, খোলা চত্বর, লেক, জলাভূমি, কৃষিজমি- এসব কিছুই খোলা জায়গা বা ওপেন স্পেসের অন্তর্গত। একটা আদর্শ শহর তাকেই বলে যেখানে স্থাপনা ও বাঁধানো জায়গার (building/pavement) সাথে খোলা জায়গার ভারসাম্য থাকে। যে শহরে খোলা জায়গা যত কম, বলা যায় নিজের কবর সে ততটা তাড়াতাড়ি খুঁড়ে ফেলেছে। কারণ, একটা সময় এর প্রভাব শহরের ওপর পড়তে বাধ্য। প্রকৃতি তার ওপর অবিচারের প্রতিশোধ কোন না কোনভাবে নিয়ে থাকে। কতটা খোলা জায়গা তাহলে থাকা উচিত? এর কোন নির্দিষ্ট মাপকাঠি নেই। কারো মতে মোট জমির শতকরা ২৫ ভাগ, কারো মতে প্রতি ১০০০ লোকের জন্য ১০ একর, আবার কারো হিসেবে ৭৮ একর। তবে যে কোন হিসেবেই আমাদের অবস্থা যে সংকটজনক তাতে কোন সন্দেহ নেই। তারওপর যেটুকু আছে, সেটুকু রক্ষা করতেও আমরা উদাসীন।
একবার একটা ডকুফিল্ম দেখেছিলাম- Whatever befalls the Earth. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকায় প্রচুর সাব-আর্ব বা শহরতলী গড়ে ওঠে। আমেরিকার কোন এক কাউন্টি এইসব সাব-আর্ব ডেভেলপারদের খপ্পরে পড়েছিল। তারা কাউন্টির কৃ্ষি জমি, খোলা জমি, ঐতিহাসিক স্থান সব কিছু দখল করে বিশাল সব হাউজিং প্রজেক্ট গড়ে তোলে। এক সময় কাউন্টির জনগণ তাতে রূখে দাঁড়ায়। তারা প্রথমে বিভিন্ন পেশাজীবিদের সমন্বয়ে একটা কমিটি করে। সে কমিটি সব খোলা জায়গার একটা তালিকা করে সেগুলো সংরক্ষণের জন্য আদালতে পরিকল্পনা পেশ করে। এ পরিকল্পনার মধ্যে ছিল তালিকার জমিগুলো কঠোরভাবে সংরক্ষণ করা, খোলা জমিগুলোতে বিনোদনের সুযোগ-সুবিধাসহ পার্ক তৈরী করা, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্থানগুলো সংরক্ষণ করা, ব্যাপক প্রচারণা ইত্যাদি।
এরপর সবাই কাজে নেমে পড়ল। জনগণই ব্যানার আর পোস্টার নিয়ে খোলা জায়গাগুলোতে খুঁটি গেড়ে দিল সংরক্ষণের জন্য, এলাকাবাসীর ঘরে ঘরে প্রচার করল তাদের এলাকার খোলা জমি সংরক্ষণে সহায়তার জন্য। জনগণ এবং স্থানীয় প্রশাসণ মিলে এসব জমিতে উদ্যানের নেটওয়ার্ক ও খেলার মাঠ গড়ে তুলল। যেসব বাচ্চারা এতদিন ঘরের কোণে খেলত, তারা মাঠে এবং পার্কে নেমে পড়ল। ব্যাপক প্রচার এবং সংরক্ষণের ফলে তারা তাদের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্থানগুলোতে আবার ভীড় করল।
ছবিটা দেখতে দেখতে ভাবছিলাম আমরা কবে এমন তৎপর হবো? আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, আমাদের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই, তবু আমরা নির্বিকার। আমাদের শহরে ঐতিহাসিক স্থানগুলো কী, কোথায়, কী অবস্থায় আছে আমরা কি তা জানি? জানি কি আমাদের অতীত? সেগুলো কি আমরা সংরক্ষণ করেছি? আমেরিকায় ৫০ বছর পুরনো হলেই একটা বাড়ি ঐতিহাসিক মর্যাদা পায় এবং সেটা সংরক্ষণের জন্য কত তোড়জোড়। অথচ আমাদের পুরান ঢাকার বাড়িগুলোর পড়পড় অবস্থা! আর খেলার জায়গা? যখন ছোট ছিলাম তখন পাড়ায় খেলার মাঠ ছিল। সেখানে সারা বছর ফুটবল, ক্রিকেট খেলা হতো। কলেজে উঠতে উঠতে দেখলাম সেখানে বাড়ি হয়ে গেছে। আমাদের জুনিয়ররা পাড়ার মোড়ে হল্লা করে, নাহয় বাসায় বসে থাকে। এগুলোর একটা সুদূরপ্রসারী সামাজিক প্রভাবও আছে।
ছবির শেষে কমিটির একজনকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল- এ পরিকল্পনা থেকে আপনারা কী পেলেন, মানুষ কী পেল? উত্তর এল- দু’টো আশা আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে রেখে যাচ্ছি- এক হলো তাদের শেকড় বা অতীত যার সন্ধান আমরা তাদের দিয়ে যাচ্ছি; অন্যটা হলো ওড়ার জন্য ডানা (Wings to fly) – আমরা শৈশবেই তাদের মজবুত ডানা দিতে চেষ্টা করেছি, একদিন তারা নিজেরাই ডানা মেলে উড়ে তাদের সোনালী ভবিষ্যত খুঁজে নেবে।
হা ঈশ্বর। আমরা তাহলে কী রেখে যাচ্ছি? শেকড় ও ডানাহীন এক প্রজন্ম? এই তবে ঋণশোধ?
মন্তব্য
আপনার কথাগুলো বেশ নাড়া দিলো। আমাদের দেশ-পরিবেশ রক্ষায় রুখে দাঁড়াতে হবে আমাদেরই।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ধন্যবাদ ভুতুম।
কথাটা আসলেই দামী। রেড ইন্ডিয়ানরা চিন্তাভাবনায় ছিল অনেক অগ্রসর। শুধু কূটচিন্তায় পিছিয়ে ছিল বলেই অন্যদের হাতে মারা পড়তে হয়েছে।
সেদিন এক ডেভেলপার কোম্পানির বড়কর্তা বাড়িতে এলো। আড্ডায় আড্ডায় জানা গেলো কক্সবাজারে তাদের বিরাট সব প্রজেক্ট শুরু হচ্ছে। তারপর জানলাম শুধু তারা না, অনেকে মিলে সেখানে বেশ একটা প্রতিযোগিতা শুরু করে দিয়েছে।
আলাপে যা বুঝলাম, সেভেন ওয়ান্ডার্স নামক প্রতিযোগিতায় শীর্ষে থাকার সুবাদে কক্সবাজার এখন আপনা মাসে হরিণা বৈরী অবস্থা। সবাই মিলে এখন কক্সবাজারকে খুবলে খাওয়ার বেশ একটা মহোৎসব শুরু করে দিয়েছে। এবং এই প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতিতে কোনো নন্দনতত্ত্ব নাই, কোনো পরিকল্পনা নাই।
আর সবশেষে যা বুঝলাম অচিরে একবার কক্সবাজার ঘুরে আসতে হবে। এর পরে সেটা বস্তি হয়ে যাবে।
রেড আমেরিকানদের কথাটা মুখস্ত করে নিলাম।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বাংলাদেশে এই মুর্হূত সবচেয়ে বেশি ইনভেষ্টমেন্ট হচ্ছে কক্সবাজারে।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
দরকারী লেখা। যদিও এই অচলাবস্থার আদৌ কোন পরিবর্তন হবে এমন আর আশা করি না। ecological disaster সম্পূর্ণ হবার পরেই হয়তো এরা বলবে - না রে কামটা ভূল হইসিলো।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
খুবলায় খাইতে ক্যানজানি খুব মজা!!!
নিজেদের ধ্বংস না করা পর্যন্ত শান্তি নেই। আমরা হলাম নিয়ে শিবের অনুসারী।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
বাড়বে নগরে বাড়ি কমবে আকাশ
জাদুঘরে ঠাঁই পাবে ঘুড়ির বাতাস...
উদ্বাস্তু নগরে হাঁটতে হাঁটতে প্রায়ই বহু আগে লেখা একটা গানের কথা মনে পড়ে যায়
আচ্ছা, অপ্রাসংগিক হলেও একটা চিন্তা সেদিন মাথায় আসলো, আমাদের পাঠ্যপুস্তকে কি আদৌ বলা হয় প্রতিবেশগত কতটা ঝুঁকির মুখে আমরা আছি ?
আমি মনে করতে পারি না।
আমার মনে হয় আমাদের সবারই জানা উচিত আমাদের যথেচ্ছাচার আমাদের কোন ভাগাড়ে নিয়ে যাচ্ছে...
লেখাটা ভালো লাগলো। বিশেষত রেড ইন্ডিয়ানদের কোটটা পছন্দ হলো।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
জানালার ওপাশে আকাশ
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
যেভাবে ফ্ল্যাটগুলো তৈরী হয় একটির গর্দানের উপর একটি। আশপাশে এক ইঞ্চি জমি নেই, নেই ফুলের গাছ, বাচ্চাদের খেলার জায়গা, বিকেলে বসার লন। কিছুই নেই। মুরগীর খোয়ারের মতো ফ্ল্যাটে ঢুকো আর বের হও। যারা ফ্ল্যাট বানান আর যারা কিনেন তারা কখনোই কি ভাবেন না তাদের সন্তানেরা কোথায় একটু নিঃশ্বাস নিবে? ভীষন কষ্ট লাগে। ঢাকা শহরের একমাত্র বিনোদন হলো বাইরে কোথাও খেতে যাওয়া।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
সো ট্রু! সবাই কে দেখি খেয়ে খয়ে শুধু মোটা হচ্ছে আর নানা অসুখ বিসুখ, কোনো রকমের হাঁটা চলা নেই, অন্য কোনো বিনোদন নেই, কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক বিনোদন বা নিছক খেলাধূলাও নেই। খুব অবাক হয়েছি, আজ থেকে দশ বছর আগেও বাচ্চারা কলোনীর মাঠে টাঠে খেলতে যেতো এখন নাকি সেগুলোতে ড্রাগখোর বদমাশ আর মাস্তানরা দখল নিয়েছে। খুব বড়লোক হলে হয়তোবা বাড়িতেই প্লে গ্রাউন্ড সুইমিং পুল থাকবে, তা ছাড়া একটু ব্যায়াম করবার সাঁতার কাটবার একটু নিঃশ্বাস নেবার একটা শান্ত নির্জন জায়গা নেই। কি ভয়ঙ্কর, এই লেখাটি পড়ে আবার জানলাম।
৩৩৬০ ফ্ল্যাটের খবরটা চোখ এড়িয়ে গেছিলো। এখন শুনে একটা কথাই মনে হচ্ছে, আহা রে ঢাকা শহর!
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
- খুব ঘনবসতিপূর্ণ একটা শহর আর কতোদিনই বা খোলামেলা থাকতে পারে! ঢাকা শহর তো আরও অনেক আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করার দরকার ছিলো, কিন্তু এখনও তো হয়-ই নি। সারা দেশ যখল কেবল একটি শহর কেন্দ্রিক হয়ে পড়ে তখন তার অবস্থা ঢাকা শহরই হওয়া বাঞ্ছনীয়। প্রবল চাপে ঢাকা শহর এখন অন্তঃস্ফোটনের মুখে কেবল...!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
খুব ঘনবসতিপূর্ণ একটা শহর আর কতোদিনই বা খোলামেলা থাকতে পারে!
খোলামেলা থাকে না। খোলামেলা রাখতে হয়। মানুষের বাসস্থানের কথাই চিন্তা করেন। একটা শোয়ার আর হাগার জায়গা থাকলেই তো হয়, হোটেলগুলাতে যেমন থাকে। কিন্তু মানুষের বাসায় তারপরও বিভিন্ন রুম থাকে আর থাকে একটা বারান্দা বা উঠান। বারান্দা নাই যে বাসায়, সে বাসায় বাসিন্দারা কেমন হাঁসফাঁস করে। একটা শহরও তেমনি। খোলা জায়গাগুলো হল বারান্দার মত। না থাকলে শহরও হাঁসফাঁস করে।
তানভীর ভাই, ঢাকার জন্য একটা এসকেইপ রুট (রোডম্যাপ ফর পিস এর মতো) সাজেস্ট করেন। ঢাকাকে একটা বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করতে হলে কী করা জরুরি? প্রয়োজনে গুগল ম্যাপের সাহায্য নিতে পারেন।
চমৎকার লাইনটা!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
রেড ইন্ডিয়ান দের বিশ্বাস কতই না মূল্যবান!
ওরা তো প্রকৃতির সন্তান ।
বিশ্বাস ঘিরেই তো আমাদের কর্মচাঞ্চল্য ।
আমাদের বিশ্বাস কী 'সভ্যতার' সন্তান!?
কড়িকাঠুরে
নতুন মন্তব্য করুন