ছোটবেলায় তাঁর নাম ছিল ‘রাণী’। আমার আব্বার কাছে পরিচিত ছিলেন ‘রাণী খালা’ হিসেবে। শহরের আসকারদীঘির পাড়ে ‘তুংফং’ নামে এক চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ছিল তাদের। বাসাও ছিল ওই একই জায়গায়। চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকেরই তখন আসা-যাওয়া ছিল সে বাড়িতে। তবে তখন তাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন রাণীর বড় বোন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী কুমুম হক- হেমন্তের কাছে যিনি গান শিখতে গিয়েছিলেন......
বড় বোনের খ্যাতিকে ছাড়িয়ে যেতে রাণী বেশি সময় নেন নি। কুমুম হকের পরিচিতি ছিল মূলত চট্টগ্রামে। রাণীর খ্যাতি একদিন ছড়িয়ে পড়ল সারা দেশে......‘নভেরা আহমেদ’ নামে......বাংলাদেশের প্রথম মহিলা ভাস্কর......আরেক প্রতিভাবান ভাস্কর হামিদুর রহমানের সাথে মিলে যিনি একুশের ‘শহীদ মিনার’ ডিজাইন করেছিলেন।
আমার মেজ চাচী (আব্বার খালাতো বোন; পরে ভাবী) কৈশোরে নভেরা আহমেদের সাথে অনেকদিন ছিলেন এক বাড়িতে। তাঁদের কাছে নভেরা আহমেদ এখনো আইডল- এক বিশাল অনুপ্রেরণার নাম......সময়ের চেয়ে যিনি ছিলেন প্রাগসর।
হাসনাত আব্দুল হাই দীর্ঘদিন পর তাঁর জীবনী-নির্ভর উপন্যাসে নভেরাকে তুলে এনেছিলেন। আমি বোধহয় তখন কলেজে পড়ি। কাহিনীগুলোর কতটা সত্যি, কতটা ফিকশন তা বলতে পারব না; তবে পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম। আমার মনে হয় নভেরা যতটা না তাঁর ভাস্কর্যের জন্য বিখ্যাত, তাঁর চেয়ে বেশি বোধহয় আলোচিত ছিলেন তাঁর বৈচিত্রময় জীবনযাপন আর বেশভূষার কারণে। এখনো অবাক হয়ে ভাবি কী দুর্দান্ত সাহস ছিল তার; কল্পনায় বারে বারে ভেসে ওঠে সেই ছবির মতো মুখ......রুদ্রাক্ষের মালা গলায়, উঁচু খোপার জটা মাথায় পঞ্চাশ-ষাটের রক্ষণশীল সমাজকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন চট্টগ্রাম কিংবা পুরান ঢাকার রাজপথে।
নভেরা আহমেদ অনেক দিন হলো স্বেচ্ছা নির্বাসনে আছেন, ফ্রান্সে। বেঁচে কি আছেন? হয়তো; জানি না। কেন তার এতো অভিমান? তাও জানি না। অনেকে বলেন তাঁর অভিমান পরিবারের সাথে, আবার কেউ বলেন সেটা দেশের মানুষের সাথে। হাসনাত আব্দুল হাই তাঁকে চিত্রিত করেছিলেন জীবনের চেয়ে বড় এক চরিত্র হিসেবে...লার্জার দ্যান লাইফ......জীবনের কোন ফ্রেমে যাঁকে ধরা যায় না......আমাদের ফ্রেম থেকে তাই হয়তো তিনি নিভৃতে সরে গেছেন দূরে।
শুনেছি প্যারিস নাকি শিল্পীদের জন্য স্বর্গ। হয়তো তিনি সে স্বর্গে, তাঁর আপন ভুবনে ভালোই আছেন।
নভেরা, আপনি ভালো থাকুন। আমাদের প্রতি আপনার অভিমান যতই থাকুক, আমরা তবু আপনাকে মাঝে মাঝে মনে করব। আমার নিজেরও মাঝে মাঝে ভাবতে ভালো লাগবে......আমার এক দাদী ছিলেন......বাংলাদেশের প্রথম মহিলা ভাস্কর.........লার্জার দ্যান লাইফ.........পিরিয়ড
মন্তব্য
অসাধারন। নভেরা আহমেদের জীবন ও কর্মের জন্য আবারো শ্রদ্ধা রইল।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই।
আহ, তানভীর - ধন্যবাদ! তাঁর ভাস্কর্য আর সেই উপন্যাসের মধ্য দিয়েই যতটুকু জানা, আসলেই কী ভীষণ সাহসী আর প্রথাভাঙ্গা একটা মানুষ, সৃষ্টিশীলতার কথা আর নাইবা বললাম!
এখনও বেঁচে থাকার ব্যাপারটা নিয়ে বেশ কিছুদিন আগে মুক্তাঙ্গন নির্মাণ ব্লগে একটা লেখা পড়েছিলাম, কেউই বোধহয় ঠিক নিশ্চিত নন।
হুম, নির্মাণ ব্লগের লেখাটা পড়েছি। ধন্যবাদ।
শ্রদ্ধা হইল। সাহসী, সৃষ্টিশীল মানুষটির প্রতি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
------------------------
দুঃখিত। একটা ভুল হয়ে গেছে। "শ্রদ্ধা হইল" নয়, হবে ''শ্রদ্ধা রইল"।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
- প্যারিস, প্যারিস— বাড়ির কাছেই তো তানভীর ভাই। চলে আসেন, দাদীকে দেখে আসি। শহীদ মিনারের ভাস্করকে ছুঁয়ে দিয়ে আসি! এই সুযোগ হারানো ঠিক না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হা হা। প্যারিস যাওয়ার ইচ্ছে আছে একসময়, তবে তাঁর সাথে দেখা করার তেমন কোন ইচ্ছা নেই। বরং আপনার সান্নিধ্যই আমার বেশি ভালো লাগবে। আপনি এর মধ্যে কোন শালী ম্যানেজ করে ফেলুন আমরাও তখন এসে পড়ব।
এই নামটি শুনলেই বেশ কিছু শ্রদ্ধা-মিশ্রিত প্রশ্ন জেগে ওঠে মনে। কিন্তু এসবের উত্তর হয়তো কোনদিনই পাওয়া যাবেনা।
প্রশ্নগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করে ফেলুন। সব প্রশ্নের কি আর উত্তর হয়?
মন ছুঁয়ে গেল লেখাটা। আশা করি উনি ভালই আছেন।
কৌস্তুভ
ধন্যবাদ কৌস্তুভ।
আপনার যেহেতু দাদী, সর্বশেষ আপডেট জানতে মনে হয় বেশ সুবিধাই হবে। একটা উদ্যোগ নিন না!
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
ওনাকে নিজের মতো থাকতে দেয়াই মনে হয় ভালো। আর ওনার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আছে অনেক। তারা শুনেছি কয়েকবার উদ্যোগও নিয়েছিলেন তাঁকে নিয়ে আসার। আমি মোটামুটি দূরের একজন। তারওপর অসামাজিক জীব।
ভালো লাগলো লেখাটা।
ধন্যবাদ রউফ সাহেব।
ধন্যবাদ লেখাটির জন্যে। বাংলা উইকিপিডিয়ায় নভেরা আহমেদের এন্ট্রিটি অসম্পূর্ণ। আর ইংরেজীতে একদম নেই। তার প্রতি শ্রদ্ধা স্বরূপ এই কাজটি করা যায়। হাসনাত আবদুল হাইয়ের 'নভেরা' বইটি পড়েছিলাম। ওইটি আবার কাছে পেলে হয়ত নিজেই এন্ট্রিটি আপডেট করার চেষ্টা করব।
আচ্ছা, সবখানেই নভেরার এই ছবিটি দেখি। আর কি কোন ছবি নেই?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
নভেরার আরো দু'একটা ছবি আছে। গুগলে ইমেজ সার্চ করলে পাবেন।
হাসনাত আবদুল হাই এর লেখা "নভেরা" -- ভীষণ মুগ্ধ হয়েছিলাম পড়ে!!
সৃষ্টিশীল,ব্যতিক্রমী মানুষটির জন্য শ্রদ্ধা।
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ।
হাসনাত আবদুল হাই এর লেখা সেই উপন্যাসটা পড়ে অভিভূত হয়েছিলাম। আরও চমৎকৃত হয়েছিলাম সৃষ্টিশীল মানুষটির যাপিত সেই অসাধারন জীবনের কথা জেনে। তারপর যেখানেই নভেরা আহমেদের তথ্য পেয়েছি, জানতে চেষ্টা করেছি।
অনেক আশায় থাকি নতুন প্রজন্মের কেউ নিশ্চয়ই এই সৃষ্টিশীল মানুষটির কাছাকাছি যেতে পারবে...... কোনও একদিন...।
(অফটপিক, যাদের কাছে হাসনাত আবদুল হাইয়ের ‘নভেরা’ উপন্যাসটা ভাল লেগেছে, কিন্তু ‘সুলতান’ উপন্যাসটা এখনও পড়েননি, পড়ার জন্য অনুরোধ রইল)।
নভেরা প্রকাশের পরের বছর বোধহয় সুলতান প্রকাশিত হয়েছিল। দুটোই পড়েছিলাম বিচিত্রা ঈদ সংখ্যায়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
'নভেরা', 'সুলতান' দু'টোই দুর্দান্ত উপন্যাস হাসনাত আবদুল হাইয়ের। 'সুলতানে' আহমদ ছফার কথাও কিছু আছে। ওখানেই আসলে ছফা সম্পর্কে কিছুটা জেনেছিলাম।
হাজার মানুষের ভীরে নভেরা ব্যতিক্রম। উনাকে শ্রদ্ধা।
জাতীয় যাদুঘরের সামনে উনার একটা কাজ সম্ভবত এখনও আছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই।
এমন অনেক "নভেরা" বাংলাদেশে লুকিয়ে আছে। যাদের আমরা প্রাপ্য সম্মান দিতে পারিনি। ব্যতিক্রমি এই মানুষটার প্রতি রইল অনেক শ্রদ্ধা ।
------------------
শুভ্রসাদা
শুভ্রসাদা ধন্যবাদ আপনাকে।
নভেরার কিছু ভাস্কর্য পাবলিক লাইব্রেরীর বাগানে আর গুদামে অবহেলিত অবস্থায় দেখেছিলাম অনেক বছর আগে। হাসনাত আবদুল হাইয়ের উপন্যাসটা পড়ার পর বেরিয়েছিলাম নভেরার ভাস্কর্য অনুসন্ধানে। ঢাকার নানান জায়গায় খুঁজেছি উপন্যাসের সুত্র ধরে। নভেরার নামটা মুছেই যেত যদি ওই উপন্যাসটা লেখা না হতো।
নভেরার মতো আধুনিক মানুষ(নারী বলছি না, কারন তিনি পুরুষ নারীর উর্ধে ছিলেন) ওই যুগেও যথেষ্ট বিরল ছিল। অজানা অভিমানে প্যারিসে স্বেচ্ছা নির্বাসন বেছে নিয়েছিলেন।
নভেরা একটা বিস্ময়, একটা রহস্য। কিন্তু শহীদ মিনারের স্থপতির নাম থেকে তাঁকে সযত্নে সরিয়ে রাখা কেন সেটা আরো বড় বিস্ময়। কোন পাঠ্য পুস্তকে নামটা দেখা যায়না। শহীদ মিনারের সামনে ছাপড়া ঘর বেধে হামিদুর রহমানের সাথে দিনরাত খেটে পাকিস্তানী আমলে এই শহীদ মিনার তৈরী করেছিলেন, তার সম্পর্কে এই প্রজন্ম কিছুই জানে না। কিছু কিছু বিশেষ তথ্য গোপন রাখতে পছন্দ করে আমাদের সরকার, প্রশাসন।
নভেরাকে নিয়ে মুক্তাঙ্গনব্লগে একটা তথ্যবহুল আলোচনা আছে। সাম্প্রতিক তথ্য পাবেন বেশকিছু ছবি সহ -
http://www.nirmaaan.com/blog/sumon/4428
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ নীড়সন্ধানী। তাঁর নিকট পরিজনদের সাথে অভিমান যদি থাকে, তাদের যেমন জানি আমার তা অস্বাভাবিক মনে হয় না। দেশের সাথে অভিমানটা ঠিক ধরতে পারি না। হয়তো এটা দেশের শিল্পীসমাজের প্রতি অভিমান। তারা হয়তো কেবল পদে পদে বাধাই দিয়েছে। পরিবার, পেশাগত জীবন সবকিছুর ওপর বীতশ্রদ্ধ একজন মানুষ হয়তো এসব কিছু থেকে একসময় দূরে থাকাই ভালো মনে করেছেন।
নভেরা আহমেদকে শ্রদ্ধা। তানভীর ভাইকে অনেক ধন্যবাদ এই মহিয়সীকে নিয়ে লেখার জন্য।
ধন্যবাদ।
শ্রদ্ধা। যদি তাঁর ঠিকানা জানতাম, দেখা করার চেষ্টা করতাম।
ধন্যবাদ।
ভালো লাগলো লেখাটা।
ধন্যবাদ ভূতোদা।
ওরে বাপ্স। আপনে তো অসম্ভব সৌভাগ্যবান। এই রকম একটা মহান মানুষের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। লেখা পড়ে ভাল্লাগ্লো।
- মুক্ত বয়ান
ধন্যবাদ মুক্ত বয়ান।
‘নভেরা’ উপন্যাসটি পড়ে প্রবল আকর্ষণ অনুভব করেছিলাম তাঁর প্রতি।
রইলো শ্রদ্ধা।
লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।
-------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
আপনাকেও ধন্যবাদ। সিগনেচার লাইনটা পছন্দ হলো।
কিছু কিছু মানুষ থাকেন তাদের সময়ের চেয়ে নিযুতগুন এগিয়ে- নভেরা আহমেদ তাদেরই একজন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এইরকম একজনকে নিয়ে লেখার জন্য।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ধন্যবাদ ওডিন।
হাসনাত আবদুল হাইয়ের নিজের হাতে সই করা একটা কপি ছিলো বইটার আমাদের বাড়ীতে, এখন কোথায় হারিয়ে গ্যাছে কে জানে! সেদিনই খুঁজছিলাম কনফুসিয়াসের বইয়ের পোস্টটাতে, আবার কেনার জন্য। কতকগুলো মানুষ আছে ভুল সময়ে ভুল জায়গায় জন্মায়। নভেরাকে আমার ঠিক সেই রকম মনে হয়। বাংলাদেশ হয়তো তার জন্য অনুকূল হতোনা। এখনও নয়। যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন। তিনি শিল্পচর্চা আর করেন কি'না জানতে বড্ড ইচ্ছে করে। পৃথিবীকে তাঁর আরো অনেক কিছুই দেবার ছিলো বোধ হয় ।
নভেরা আহমেদের বয়স এখন প্রায় আশি বছর। অনেক আগেই তাঁর শিল্পচর্চা করার সময় পার হয়ে গেছে। এখন শুধু দিন যাপনের, প্রাণ ধারণের গ্লানি......
আশ্চর্য এই যে, অনেকবার হাতের কাছে পেয়েও 'নভেরা' উপন্যাসটা পড়া হয়নি- ফস্কে গেছে। 'সুলতান' ও তাই...
উনি যে বেঁচে আছেন- স্বেচ্ছা নির্বাসন নিয়ে ফ্রান্সে আছেন- এইসব তথ্য অজানাই ছিলো। ধন্যবাদ তানভীর ভাই, আগ্রহ জাগিয়ে তুললেন ওনার সম্পর্কে জানার জন্যে...
_________________________________________
সেরিওজা
'নভেরা', 'সুলতান' বই দুটো সংগ্রহ করে পড়ে ফেলুন। আমি অবশ্য প্রথম বিচিত্রা ঈদ সংখ্যায় পড়েছিলাম।
নভেরার মত মানুষেরা সময়ের চেয়ে এগিয়ে । তাঁর সময়তো ছিলই বাধার পাহাড় । এখনো কি প্রস্তুত সময় জানতে স্বাগত এমন নভেরাদেরকে? কেন যেন বিশ্বাস পাই না মনে ।
.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
হুমম।
ঠিক কোন কারণে জানি না। নভেরা পড়া হয়নি। আপনার লেখাটা পড়েই খুঁজলাম। নেই! এখন আবার জোগাড় করতে হবে।
তাঁর জন্যে অনেক শ্রদ্ধা।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ধন্যবাদ।
লেখাটা খুব ভালো লাগলো, তানভীর ভাই। "নভেরা" বইটা পড়া হয়নি। পড়ার প্রচণ্ড আগ্রহ হচ্ছে।
ধন্যবাদ প্রহরী। পড়ে ফেলো তাড়াতাড়ি।
তানভীর ভাই,
আপনার সৌভাগ্যে রীতিমত ঈর্ষান্নিত বোধ করছি!
আমাদের দেশের কিছু মানুষ সময়কে পরাজিত করার গোপন ক্ষমতা নিয়ে এসেছিলেন। নভেরা নিঃসন্দেহে তাঁদের একজন।
এই অভিমানী শিল্পী যেখানেই থাকুন, ভাল থাকুন। দেশ তাঁকে হয়ত প্রাপ্য সম্মান দেয় নি---কিন্তু দেশের মানুষ তাই বলে তাকে ভুলে যায় নি।
নভেরা, আপনাকে আমরা ভুলিনি! যদি কখনো মনে হয় অভিমান ভুলে ফিরে তাকাতে---তাহলে দেখতে পাবেন, আমরা সবাই হাত বাড়িয়ে আছি, আপনার দিকে---
শুভেচ্ছা নিরন্তর
তাই নাকি? আমি তো আপনেরে আরো বেশি ঈর্ষা করি। আমারে তাত্তারি মিউজিক কম্পোজিশন করা শিখায়ে দেন; আপনার মতো গাইতে তো আর পারব না, বাজনা শিখে যদি ঈর্ষাটা এট্টু কমাতে পারি
শুভেচ্ছা অনেক।
পড়া হয় নি উপন্যাসটা। আপনাকে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
নতুন মন্তব্য করুন