ইন্টারস্টেট হাইওয়ে I-10 ধরে লুইজিয়ানার ওপর দিয়ে বেশ কয়েকবার যাওয়া-আসা করেছি, কিন্তু কখনো একটু নিচে বাঁক নিয়ে নিউ অর্লিন্স যাওয়া হয় নি। এবার যখন সুযোগ এলো; হাতছাড়া করলাম না। নিউ অর্লিন্সের আরেক নাম নাকি ‘বিগ ইজি’- জীবন এখানে জ্যাজ সঙ্গীতের আনন্দময়তা নিয়ে ইজিভাবে চলে। কিন্তু আমার তো আর ইজিভাবে জীবন কাটানোর কোন সুযোগ নেই। তবু যেটুকু ঘোরাফেরার সুযোগ পেয়েছি, সময় মন্দ কাটে নি। ছবিগুলো আমার সস্তা পয়েন্ট এন্ড শুট ক্যামেরায় তোলা এবং আমি ঠিকমতো ছবি তুলতেও জানি না। কাজেই বিরক্তি উৎপাদন হলে মার্জনা করবেন।
আমরা যখন নিউ অর্লিন্স গিয়েছিলাম, তখন ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টার ফেস্টিভেল চলছিলো। ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টার এবং সংলগ্ন ডাউনটাউন ও এর আশেপাশে কোন হোটেল/মোটেল খালি পাই নি। অগত্যা ডাউনটাউন থেকে প্রায় ১০/১২ মাইল দূরে মিটেরি বলে এক জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করলাম। বেশ ছিমছাম জায়গা। নিচের ছবিতে হোটেলের জানালা থেকে মিটেরির চৌরাস্তা এবং দূরে দেখা যাচ্ছে নিউ অর্লিন্স ডাউনটাউনে অট্টালিকার সারি।
নিউ অর্লিন্সের ডাউনটাউন দেখে মনে হলো খুব ব্যস্ত, জমজমাট। অনেক বড় বড় হোটেল, কর্পোরেট অফিস, টুলেইন ইউনিভার্সিটি, আর পাশেই শহরের মূল আকর্ষণ ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টার। আমি ছোট শহরে থেকে অভ্যস্ত, যেখানে ডাউনটাউন অফিস আওয়ার শেষ হলেই ঘুমিয়ে পড়ে। কাজেই এ চাঞ্চল্য বেশ উপভোগ করলাম। বেশি উপভোগ করতে গিয়ে আবার একদিন মামুর তাড়াও খেলাম। নিউ অর্লিন্সের মামুরা দেখলাম বেশ সিনেম্যাটিক। টুলেইন ইউনিভার্সিটির কাছে আমাকে দুটো গাড়ি দু’দিক থেকে এসে ব্লক করে থামাল। সাধারণত মামু থামালে গাড়িতে বসে থাকা নিয়ম। আমি তাই গাড়িতে বসেই ছিলাম। কিন্তু এক মামু এসে হাঁক দিলো- ‘গাড়ি থিকা আস্তে আস্তে বারায়ে আসো’। আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে আসামীর মতো বের হলাম। মামু কয়- ‘তুমি কি জানো তোমারে আমরা কেনো থামাইসি?’ আমি ভেবেছিলাম হয়তো স্পিডিং করেছি। কইলাম ‘না, আমার তো মনে হয় কোন স্পিডিং করি নাই’। মামু তখন জিগায়, ‘তোমার হেডলাইট কই? হেডলাইট না জ্বালায়ে গাড়ি চালাইতেসো, তুমি কি নেশা করসো?’ ওহ হো, আমার তখন ধড়ে প্রাণ আসলো, বললাম- ‘আমি তো আসলে দুপুর থেকে ড্রাইভ করতেসি, সন্ধ্যা হবার পর তাই হেডলাইট জ্বালাতে ভুলে গেসি, আর এমন ভুল হবে না’।
আমার কনফারেন্স ছিলো ডাউনটাউনের কনভেনশন সেন্টারে। তার পাশেই মিসিসিপি নদী ঘেঁষে বানানো হয়েছে ‘রিভারওয়াক’ শপিং মল। একদিন সেই মলে গিয়ে নদী দেখে আসলাম। স্যান এন্টোনিও-তেও এমন রিভারওয়াক দেখেছি, তবে সেটা অনেক সুন্দর ছিলো।
নিউ অর্লিন্সের মূল আকর্ষণ ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টার নেইবারহুড। ডাউনটাউনে ক্যানাল রোডের ঐপারে। আমরা ডাউনটাউনে পার্ক করে হেঁটে হেঁটে ক্যানাল রোড আসলাম। ক্যানাল রোড ভীষণ জমজমাট, রাস্তায় ট্রাম বা ‘স্ট্রিট কার’ও দেখলাম। এর পাশেই কোন রাস্তায় দেখলাম ঘোড়ায় টানা গাড়ি চলছে।
সচলেই একজন অতিথি বার্বোন স্ট্রিটের কথা বলেছিলেন। তাই বার্বোন স্ট্রিটে ঢুঁ মারলাম। ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টার খুব বেশি পুরনো নয়, মাত্র ১৭১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। বার্বোন স্ট্রিটের কিছু বিষয় বাদে বাকীটা আমাদের কাছে দেখে মনে হলো অনেকটা পুরান ঢাকা আর বায়তুল মোকাররমের মিশেল। পুরান ঢাকাকে একটু রক্ষণাবেক্ষণ করলেই এরকম চেহারা দেয়া সম্ভব। পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য এখানে সারা বছর কোন না কোন উৎসব লেগেই আছে- মার্ডি গ্রা, ফেঞ্চ কোয়ার্টার ফেস্টিভেল, সি-ফুড ফেস্টিভেল, হাবিজাবি। আমাদের দেশে হয়তো মার্ডি গ্রা বা বার্বোন স্ট্রিটের মতো খোলামেলা কিছু করা সম্ভব না, কিন্তু পুরান ঢাকাকে কেন্দ্র করে সারা বছর দেশজ এবং লোকজ বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করে এখানকার বাণিজ্যকে চাঙা রাখার ব্যবস্থা করা যায়। পুরান ঢাকার খাবার, সঙ্গীত, কৃষ্টি এগুলো একেকটা থিম হতে পারে। ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টারের রাস্তাগুলো পুরান ঢাকার মতোই চিপা। তাই সবই ওয়ান ওয়ে- একটা দিয়ে ঢুকবেন, অন্যটা দিয়ে বেরোবেন। ট্রাফিক জ্যাম নিরসনে এটা করাও জরুরী।
নিউ অর্লিন্সের সি-ফুড নাকি পৃথিবীবিখ্যাত। এখানে এসে তাই এটাই বা বাদ যাবে কেন। নেটে আগেই ভালো রিভিউ আছে দেখে নিয়েছিলাম ‘রেড ফিশ গ্রিলে’র। কিন্তু তেমন আহামরি কিছু মনে হয় নি। ওয়েস্টার/এগপ্ল্যান্ট স্যুপ আর গার্লিক শ্রিম্পটা জটিল ছিল। শ্রিম্প/ক্র ফিশ আর ইয়েলোফিন টুনা ছিলো সাধারণ। তবে ভালো আইটেমগুলো বোধহয় অর্ডারই দিতে পারি নি পর্ক থাকার কারণে। এতো সি-ফুড আইটেমেও যে পর্ক থাকে এটা এখানেই জানলাম।
শেষ দিন গেলাম লেক পঞ্চারট্রেইনে। ২০০৫ সালে হারিকেন ক্যাটরিনা বিপর্যয় হয়েছিল আসলে এই লেকের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণেই। সমুদ্রের মতো বিশাল লেক। লেকের পাড়টা খুব সুন্দর লাগলো। সিঁড়ির মতো করে বানানো, অনেকেই সেখানে বসে মাছ ধরছে। লেকের পাড়ে একটা লাইটহাউসও দেখলাম।
একটা জিনিস না বললে হয়তো অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। নিউ অর্লিন্সের ডাউনটাউন, ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টার যেমন জমজমাট দেখলাম, শহরের বাকী অংশে তার ছাপ তেমন দেখি নি। কেমন যেন বিষণ্ন, মলিন। দেখেই বোঝা যায়, ২০০৫-এর সেই বিপর্যয় এখনো এ শহর সামলে উঠতে পারে নি। অনেক খালি, রুগ্ন বাড়ি দেখেছি যেখানে কোন লোক নেই, আগাছা বেড়ে উঠেছে, আবার দরিদ্র মানুষ আছে এমন বাড়ির সংখ্যাও প্রচুর। চলে আসার সময় এসব ভাবতে ভাবতে অবশ্য একটা কারণে খুশি হয়ে উঠলাম। আমার এ জীবনে দ্রষ্টব্যের একটা ছোট তালিকা করে রেখেছি, তালিকাটা এখন আরেকটু ছোট হলো- নিউ অর্লিন্স নামটা এখন থেকে আর সেখানে থাকবে না।
মন্তব্য
ছিমছাম নিরিবিলি শহর মনে হলো। বর্ণনা আরেকটু ডিটেইল আশা করেছিলাম। বিশেষ করে মামুর অংশটুকু সাইফের মতো একটি রসিয়ে যদি বলতেন!
হ্যাঁ, ডাউনটাউন বাদ দিয়ে বাকি শহর ছিমছাম, নিরিবিলি। মামুদের ঘটনা তো ঐটুকুই। যত গর্জন করে এসেছিলো, ভেবেছিলাম কী না কী করে ফেলেছি!
আর পোস্টটা প্রথমে শুধু ছবিব্লগ হিসেবে দেয়ারই প্ল্যান ছিলো, পরে ভাবলাম আমার আবার ছবিব্লগ! তাই হালকা কিছু বর্ণনা ঢুকিয়ে দিলাম।
ভাল্লাগ্লো ছবিব্লগ। এই মাসেই যাইতাছি।
-----------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
ধন্যবাদ। আপ্নে তো কাছেই থাকেন, ঘুরে আসেন।
নিউ অরলিন্স গেলেন, কিন্তু ক্যাফে ডু মন্ড এর বিখ্যাত চিকোরী কফি আর বালিশের মতো দেখতে চৌকোণা "বেনিয়ে" র (ফ্রেন্চ ডোনাট) বর্ণনা দিলেন না?
দেন না ছবি সহ একটা লেখা
আমি কফি/ডোনাটের তেমন ভক্ত না। তার উপর ক্যাফে ডু মন্ডের নামও শুনি নি। এরপর চোখে পড়লে ট্রাই করে দেখব, মাগার কফি খামু না
কইচ্চেন কী!!!
নিউ অর্লিয়েন্স গিযা মার্ডি গ্রা আর ভুডু মিউজিয়াম না দেখে ফিরে আসলেন?
মার্ডি গ্রা আরো আগে হয়ে গেছে সম্ভবত ফেব্রুয়ারি/মার্চের দিকে। তবে আমি মার্ডি গ্রায় গিয়েছি, গ্যালভেস্টনে, নিউ অর্লিন্সের চেয়ে অবশ্য সেটা বেশ ছোট আকারের
দিনে ছিলো কনফারেন্স, রাতেই যা করেছিলাম একটু ঘোরাঘুরি। কোন মিউজিয়ামে যাওয়ার মতো টাইম ছিলো না।
মার্ডি গ্রা উৎসবের কথা বলতেছি না, ওটা ১৬ ফেব্রুয়ারিতে হয়ে গেছে। আমি মিউজিয়ামটার কথা বলতেছি, যেখানে ফেস্টিভ্যালের কিং-কুইনদের কস্টিউম সংরক্ষণ করা আছে। দারুণ একটা দেখার জায়গা!
রাত বারোটায় একটা ট্যুর আছে, নাম ব্লাডি মেরী ট্যুর! গোরস্থানে নিয়ে যায় ভয় দেখানোর জন্য।
আমি মাত্র একদিন ছিলাম। ভোরে গিয়ে সন্ধ্যায় ফিরে এসেছি। একদিনে যতটুকু দেখা যায় দেখেছি।
দারুণ এক শহর।
সব এখন কইলে হপে? তবে মার্ডি গ্রা মিউজিয়ামের টাইম দেখলাম বিকাল ৫ টা পর্যন্ত আর ভুডুর ৬ টা। কাজেই এমনিতেও যেতে পারতাম না।
- সবাই তো দেখি খালি আপনার না করা জিনিসের তালিকাই বের করছেন নিউ অর্লিনস-এর। আমিও করি, কামটা কী করছেন তানভীর ভাই। নিউ অর্লিনস গেলেন অথচ কোনো সেইরকম বালিকার ফটুকই তোলেন নাই!
রিভারওয়াক-এ শপিং বুঝলাম, ফুডও বুঝলাম, কিন্তু ফান'টা বুঝলাম না! 'ফান' করার কি আসলেই সুবন্দোবস্ত আছে ওখানে?
মিসিসিপি নদীর কথায় মনে পড়লো, ছোটবেলায় যে কয়টা নদী মাথার ভেতরে দিয়ে কুলকুল করে বয়ে যাচ্ছে, এটা তার একটা। মারে ডার্লিং সেই তালিকা থেকে দেখা প্রথম নদী। দেখেই ফিদা হয়ে গিয়েছিলাম। সে বিরাট কাহিনি এক।
ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টারের রাস্তার বর্ণনা শুনে আমস্টার্ডামের রাস্তার কথা মনে এলো। শহরের ভেতরের রাস্তাগুলোও বেশ চিপা চিপা। একেবারে পুরান ঢাকার মতোই। তবে পার্থক্য হলো, এইসব রাস্তায় সবাই পায়ে হেঁটে চলে, কেউ রিক্সা কিংবা গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়ে না। পুরান ঢাকাকে রক্ষণাবেক্ষণ করে বার্বোন স্ট্রিটের মতো বানাতে হলে এটা একটা বিশাল অন্তরায় হবে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হে হে...আপনার জন্য স্পেশাল ফটুক দিলাম...একটু জুম করে দেখা লাগবে...এর চেয়ে ভালো তুলতে পারি নাই...ওই যে সামনে টাই পরা কালো লোকটা দেখসেন? ব্যাটা হলো পিম্প...সে না থাকলে আরেকটু জুম করে তুলতাম আর এইসব জায়গায় 'ফান' করার ভালোই সুবন্দোবস্ত আছে মনে হয়, রীতিমতো রাস্তা থেকে ডাকাডাকি, অঙ্গভঙ্গি করতেসিলো...নাউজুবিল্লাহ
ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টারে গাড়ি ঢুকতে দেয়, তবে লিমিটেড। ফেস্টিভেলের সময় বন্ধ রাখে। এসব জায়গায় গাড়ি নিয়ে ঢুকাই বরং ঝামেলা।
- তানভীর ভাই, ফটুক তো ঝাপসা। এমনিতেই চোখে সমস্যা, এই ফটুক দেখলে তো চোখ একেবারেই নষ্ট হয়ে যাবে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দারুণ!
বড় হয়ে একবার হাইওয়ে ৬১ ধরে যেতে হবে- দ্য ব্লুজ হাইওয়ে- একেবারে মিনেসোটা থেকে নিউ অর্লিন্স
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
মিসিসিপি নদী দেখতে দেখতে যেতে চাইলে যেতে পারেন। আমার ইচ্ছা ক্যালিফোর্নিয়ার [url=http://en.wikipedia.org/wiki/State_Route_1_(California)]হাইওয়ে ১ [/url]ধরে একবার যাবো প্যাসিফিক দেখতে দেখতে। অনেক দিন আগে একবার কাছাকাছি ১৭ মাইল ড্রাইভ ধরে গিয়েছিলাম, পুরাই স্বর্গীয় জায়গা- হিমালয়ের মতো। ফোল্ডারে ১৭ মাইল ড্রাইভের একটা ছবি খুঁজে পেলাম
ফ্লোরিডা এ১এ (A1A Coastal Highway florida A1A ) মনে হয় ১৭ মাইল ড্রাইভের মতই সুন্দর। বিশেষ করে কোকো বিচ (কেপ ক্যানার্ভাল) থেকে একটানা সাউথ ফ্লোরিডা চলে যেতে পারবেন ... কি ওয়েস্টেও (পাম বিচের পর নাম অবশ্য বদলে যাবে) ... অসাধারন !!
আপনার দেখি ব্যাপক অভিজ্ঞতা। একটা পোস্ট দিয়ে ফেলুন, আমরাও পড়ি। সামারে সেন্ট অগাস্টিন যাওয়ার ইচ্ছা আছে। তখন দেখি A1A ট্রাই করে দেখবো। জানানোর জন্য ধন্যবাদ
সেন্ট অগাস্টিনের অংশটা খুব একটা সুন্দর না, কারন সেদিকে এটা ভিতর দিকে, ঠিক বিচসাইড ড্রাইভ না। ফ্ল্যাগলার বিচের পর থেকে সুন্দর। সেন্ট অগাস্টিন জায়গাটা অবশ্য এমনিতেই সুন্দর, খুব নিরিবিলি।
সময় থাকতে গালফ বীচগুলো ঘুরে আসেন, তেলের কারনে বেশ কিছুদিনের জন্য সেদিককার মূল আকর্ষনটই নষ্ট হতে পারে, অবশ্য আপনি সবসময়ই গালফের পাশেই থেকেছেন যদিও। আপনার তো এইবার এমনিতেই এই বিষয়ে (ডিপওয়াটার হরাইজন অয়েলস্পিল) দৌড়ের উপর থাকার কথা।
যাইহোক, ভালো থাকবেন।
তানভীর ভাই এখন ফ্লোরিডায় থাকেন না? আপনার তো রাজ কপাল। ঘুরে বেড়ানোর জন্য সবচাইতে সুন্দর স্টেট।
আমি খায়েশ মিটিয়ে ফ্লোরিডায় ঘুরেছি। শুধু পয়সার টানাটানিতে ডিজনীর অ্যানিম্যাল কিংডমে রাত কাটানো হয়নি। এই খায়েশটা পুরণ করার জন্য আবার যেতে হবে ভবিষ্যতে।
- দুনিয়াজোড়াই দেখি পাম বিচের ছড়াছড়ি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তাই তো দেখি। আমি অবশ্য ওয়েস্ট পামের কথা বলছিলাম, সেইরকম সুন্দর, পরিস্কার পানি; মনে হয় সিনেমাতে দেখছি।
- নিউ সাউথ ওয়েলস (অস্ট্রেলিয়া)'র পাম বিচের বৈশিষ্টও এক। বেশ রোমান্টিক একটা জায়গা মনে হৈছে আমার কাছে।
সিডনীর যতোগুলা বিচ আছে, সবগুলার পানিই টলটলা পরিষ্কার। খালি পায়ে হাঁটতে গিয়া প্রবালে পা কেটে গিয়ে আস্তে আস্তে রক্ত বের হৈছে সরু ধারায়, সেইটাও দেখা গেছে উরু সমান পানির উপর থেকে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পরপর তিন বছর মার্ডি গ্রা তে গেলাম। দেখার মতন জিনিশ একমাত্র তুলনা করা যায় গ্যাসপারেলা বা কেন্টাকি ডার্বির সাথে।
খাবারের ব্যাপারে নিউ অর্লিয়েন্স এর উপরে কথা নাই। গ্যালাটোরির খাবার ভালো লেগেছে। আর একমি অয়েস্টার বার তো বিশ্বখ্যাত। সেখানে তো যেতেই হয়। মার্ডি গ্রা এর সময় সেখানে দাড়িয়ে খেতে হয় অবশ্য।
নোলায় এবারে যাবার সুযোগ ছিল, হারাইলাম। আসছে বছর আবার হবে। আপনার ছবিগুলান খাসা, সেই কথা মনে পড়ায়ে দিল।
কৌস্তুভ
ধন্যবাদ কৌস্তভ। নোলার চেয়ে বোস্টন অবশ্য আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। নোলায় বৈচিত্র্য বেশি এই আর কী।
ছিমছাম বর্ণনা, বাহুল্য নাই- ভাল্লাগসে...
আচ্ছা, একটা প্রশ্ন আছে। 'ডাউনটাউন' বলতে আসলে কী বোঝায় ?? কারণ অনেক থ্রিলার বা বিদেশী বইতেই যখনতখন এই টার্মটা ব্যবহার করা হয়। প্রতিটা শহরের একটা নির্দিষ্ট অংশকেই কি ডাউনটাউন বলে ?? নোজল/ অরিফিসের আপারস্ট্রিম, ডাউনস্ট্রিমের মত ??
_________________________________________
সেরিওজা
থ্যাংকু।
আমাদের দেশে যাকে আমরা বলি CBD বা সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট, সেটাকেই এখানে ডাউনটাউন বলে। বছর দশেক আগেও হয়তো মতিঝিলকে ঢাকার ডাউনটাউন বলা যেত; এখন হয়তো গুলশান, বনানীর বাণিজ্যিক এলাকা তার জায়গা নিয়ে নিয়েছে।
বিদেশী পোস্ট... এগুলা দেখলে খালি হুতাশ হয়...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনাদের সচলাড্ডা, খানাপিনার পোস্ট দেখলে আমাদেরও হতাশা বাড়ে...একদিন আমরাও...
নোলায় গেছিলাম এক কনফারেন্সে। দুপুর বেলা কনফারেন্স অলারা খাওয়া না দিয়ে বল্লো বুরবন স্ট্রিটে গিয়া খাও। অ্যাডভাইসর ( উনি বাংলাদেশি) এর সাথে আমরা ৪ জন বাঙ্গালী ছাত্র এবং ছাত্রী মিলে গেলাম বুরবন স্ট্রিটে খাওয়ার জায়গা খুঁজতে। উপরের ছবির মত দু পাশের দোকান থেকে যখন পিম্প রা আর সুন্দর আপামনিরা আদর করে ডাক ছাড়তে লাগলেন, তার এক পর্যায়ে অ্যাডভাইসর বলতে বাধ্য হলেন, " এটা মনে হচ্ছে দুষ্ট লোকদের জায়গা, অন্য রাস্তায় যাইতে হবে।"
-- শিশিরকণা --
হা হা। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টার ফেস্টিভেল উপলক্ষে হয়তো এতো ডাকাডাকি। পরে বুঝলাম এনারা সেই কুইন অফ নিউ অর্লিন্স - শো টাইমের বাইরে রাস্তায় খাড়ায়ে কাস্টোমার ডাকাডাকি করেন
নতুন মন্তব্য করুন