“I am America. I am the part you won't recognize. But get used to me. Black, confident, cocky; my name, not yours; my religion, not yours; my goals, my own; get used to me.” ~Muhammad Ali
আমেরিকার কালো মানুষদের বেশিরভাগই জানে না কী তাদের ঐতিহ্য ও বংশপরিচয়। যে সাদা মনিবরা একসময় তাদের আফ্রিকা থেকে ক্রীতদাস হিসেবে ধরে এনেছিল, কালক্রমে মনিবদের ধর্ম, পরিচয়ই হয়ে গেছে তাদের ধর্ম, পরিচয়। কিছুটা ব্যতিক্রম শুধু দেখা যায় আমেরিকার পূর্ব উপকূলের ছোট্ট একটি অঞ্চলে যেখানে একসময় ক্রীতদাসভর্তি জাহাজ এসে ভিড়ত। ফ্লোরিডার জ্যাকসনভিল বন্দর থেকে নর্থ ক্যারোলাইনার উইলমিংটন পর্যন্ত ক্ষুদ্র একটি এলাকার কালো মানুষেরা শত বাধা, শত প্রতিকূলতার মধ্যেও আজো তাদের আফ্রিকান ঐতিহ্য ধরে রেখেছে, অন্তত আংশিকভাবে হলেও। এদের বলা হয় গালা/গিচি সম্প্রদায়। ধারণা করা হয় গালা নামটি এসেছে পশ্চিম আফ্রিকার রাষ্ট্র এঙ্গোলা থেকে এবং গিচি নামকরণ হয়েছে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ওগিচি নদী থেকে। ওগিচি নদীর আশেপাশে অর্থাৎ জর্জিয়া এবং ফ্লোরিডায় এদের সাধারণভাবে বলা হয় গিচি এবং ক্যারোলাইনায় এদের বলা হয় গালা।
জর্জিয়া উপকূলের সাপেলো দ্বীপে এই গিচিদের একটা ছোট্ট কমুনিটি আছে। নাম ‘হগ হ্যামক কমিউনিটি’। গত বছর শুরুর দিকে একবার সাপেলোতে গিয়েছিলাম। সাভানা শহর থেকে মাত্র ৬০ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত এই দ্বীপ। যাবার একমাত্র উপায় হলো ফেরি। সাপেলো একটি স্টেইট প্রটেক্টেড আইল্যান্ড অর্থাৎ আপনি চাইলেই এখানে বসতি স্থাপন করতে পারবেন না। মূলত দ্বীপটিতে সরকারী কিছু অফিস, ইউনিভার্সিটি অফ জর্জিয়ার মেরিন সায়েন্স ইন্সটিটিউট এবং গিচিদের এই সম্প্রদায় ছাড়া আর কোনো বসতি নেই। আমেরিকায় মহাকাশ নিয়ে রাষ্ট্রীয় যে সংস্থাটি কাজ করে তার নাম নাসা, যার পুরো নাম ন্যাশনাল এরোনোটিকস এন্ড স্পেস এডমিনিস্ট্রেশন। তেমনি পৃথিবীর অভ্যন্তরের আকাশ ও সমুদ্র নিয়ে কাজ করার দায়িত্ব যে সংস্থার ওপর ন্যস্ত রয়েছে তার নাম নোয়া। পুরো নাম ন্যাশনাল ওশেনিক এন্ড এটমোসফেরিক এডমিনিস্ট্রেশন। আমেরিকার গোটা উপকূলজুড়ে নোয়ার ২৮টি উপকূলীয় গবেষণা রিজার্ভ রয়েছে। আমি গালফ অফ মেক্সিকো এবং আটলান্টিক উপকূলের এরকম চারটি রিজার্ভের সাথে কাজ করি। সাপেলো দ্বীপেও নোয়ার একটি গবেষণা রিজার্ভ রয়েছে। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম মূলত নোয়ার রিজার্ভটি পরিদর্শনে।
ওবামা সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকারী নীতিমালায় সাধারণ মানুষের সাথে যোগাযোগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। নোয়াতেও তাই এখন যে কোনো প্রজেক্টে কমুনিটি ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে একটা অংশ থাকে এবং ট্যুরগুলিতে স্থানীয় কমুনিটির সাথে দেখা-সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়। সাপেলো ভ্রমণের সময় আমাদের ট্যুরেও সে ধারাবাহিকতায় গিচি কমুনিটির সাথে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো।
নোয়ার রিজার্ভে কাজকর্ম শেষে আমাদের প্রথম নিয়ে যাওয়া হয়েছিল গিচিদের পরিচালিত এক পাবলিক লাইব্রেরিতে। সেখানে লাইব্রেরির পরিচালিকা গিচিদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে আমাদের ব্রিফিং করলেন। জানতে পারলাম শুধু সাপেলোতেই একসময় প্রায় ৬০০ গিচি ছিলো। আজ তাদের সংখ্যা মাত্র ৫০-এ এসে ঠেকেছে। টমাস স্পালডিং নামে এক ব্যবসায়ী ১৮০০ সালের দিকে দ্বীপটি কিনে নেয়ার পর তার প্ল্যান্টেশনে কাজ করার জন্য পশ্চিম আফ্রিকা ও ক্যারিবিয়ান থেকে প্রায় ৪০০ ক্রীতদাস ধরে এনেছিল। এদের নেতার নাম ছিলো নাকি মোহম্মদ বেলাল এবং দাসরা প্রায় সবাই ছিলো মুসলমান। পরিচালিকা নিজেই বললেন বেলাল প্রতিদিন পাঁচবার নামাজ পড়ত এবং তার পঠিত কোরান শরীফের একটি ছবিও আমরা দেখলাম যা লাইব্রেরির সংরক্ষণে আছে। মিশনারিদের প্রভাবে একসময় ধীরে ধীরে এরা সবাই খ্রিষ্টান হয়ে যায়। তবে গিচিরা এখনও তাদের আদিভাষা থেকে উদ্ভুত এক ধরনের মিশ্র ক্রিওলে কথা বলে যেখানে প্রচুর আফ্রিকান শব্দমালা রয়েছে, যদিও ইংরেজির সংস্পর্শে এসে এখন প্রচুর ইংরেজি শব্দও ঢুকে গেছে।
গিচিরা বিখ্যাত তাদের ঐতিহ্যবাহী কুটিরশিল্পের জন্য। সুইটগ্রাস দিয়ে সেলাই করা ঝুড়ি প্রায় তিনশ বছরের গালা/গিচি ঐতিহ্যকে বহন করে চলেছে।
এছাড়া আফ্রিকা থেকে স্বতন্ত্র এক স্থাপত্যরীতিও তারা নিয়ে এসেছিলো। ‘ট্যাবি’ নামক ঝিনুক, বালি, লাইম ও পানির এক রকম মিশ্রণ দিয়ে তারা ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট তৈরি করত। নিচের ছবিগুলোতে সাপেলো দ্বীপে ট্যাবি নির্মিত ইউনিভার্সিটি অফ জর্জিয়ার মেরিন সায়েন্স ইন্সটিটিউটের একটি রাস্তা এবং জ্যাকসনভিলের এক প্ল্যান্টেশনে ট্যাবি নির্মিত স্লেইভ কোয়ার্টার দেখা যাচ্ছে।
এরপর আমরা গেলাম ‘SICARS’ নামক একটি সংগঠনের কার্যালয়ে। সিকারসের পুরো নাম- ‘সাপেলো আইল্যান্ড কালচারাল এন্ড রিভাইটালাইজেশন সোসাইটি’। সেখানে গিয়ে আমরা ভিন্ন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হলাম। সিকারসের তরুণ সভাপতি “Welcome to the Warzone” ঘোষণা দিয়ে দারুণ এক বক্তৃতায় সাপেলো দ্বীপে গিচিদের প্রতি শোষণ এবং বঞ্চনার ইতিহাস তুলে ধরলেন। আমেরিকার সিভিল ওয়ারের পর সাপেলো দ্বীপের ক্রীতদাসরা সবাই মুক্ত হয়ে সেখানেই বসতি স্থাপন করেছিল। প্রজন্মের পর প্রজন্ম তারা সেখানেই ছিলো। তাদের কারো কাছেই জমির মালিকানার কোনো কাগজপত্র নেই, কারণ তারাই এখানকার আদিবাসী। কিন্তু সরকার এই দ্বীপ দখল করে নেয়ার পর থেকে কাগজপত্র নেই এই অজুহাতে গিচিদের বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করা শুরু করেছে। বর্তমানে সরকার এই দ্বীপের ৯৭% জমির মালিক এবং গিচিদের মালিকানায় রয়েছে মাত্র ৩%। তারা আরো অভিযোগ করলেন গিচিরা যেন চলে যেতে বাধ্য হয় সেজন্য সরকার এই দ্বীপটিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার কোনো উন্নতি করে নি। একমাত্র যে ফেরিটির মাধ্যমে মূল ভূখণ্ডের সাথে যোগাযোগ চালু আছে সেটিও নাকি উদ্ভট সময়ে ছাড়া হয়। সকাল ৯ টায় একবার এবং বিকাল চারটায় আরেকবার। দ্বীপের সরকারি অফিসগুলোতে গিচিদের কোনো চাকরি দেয়া হয় না এবং উদ্ভট সময়ে ফেরি ছাড়ার কারণে কেউ যে মূল ভূখণ্ডে গিয়ে অফিস করবে তারো উপায় নেই। ফলে বাধ্য হয়ে গিচিদের অনেকে সাপেলো দ্বীপ ছেড়ে চলে গেছে। এ সময় দ্বীপে চাকরি প্রসঙ্গে একজন প্রশ্ন করায় আমাদের সাথেই বসা দ্বীপের সরকারি লোকজনদের দেখিয়ে সেই তরুণ বললেন, তারা স্বীকার করবে না যে তারা চাকরি দেয় না, কিন্তু আসল সত্য এটাই।
সরকারের এই ভূমিকার কারণ যেটুকু বুঝতে পারলাম যেহেতু এটি একটি গবেষণা রিজার্ভ, সরকারি পরিবেশবিদরা তাই এখানে কোনো বসতি হতে দিতে চায় না। লোকজন বাড়লে দ্বীপের পরিবেশ বিপন্ন হবে এই তাদের অজুহাত। কিন্তু মানুষের জন্য পরিবেশ, নাকি পরিবেশের জন্য মানুষ- এ নিয়ে ভাববার অবকাশ তাদের নেই। পরিবেশবিদরা অনেক ক্ষেত্রেই ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ভূমিকা পালন করেন। আজ যদি সাদা কোন সম্প্রদায় এভাবে বিপন্ন হতো তবে হয়তো ‘মানুষের জন্য পরিবেশ’ তাদের কাছে প্রাধান্য পেত।
পিএইচডির সময় আমি হেরিটেজ ম্যানেজমেন্টের ওপর একটা কোর্স নিয়েছিলাম। আমাকে একদিন কোর্সের শিক্ষক ক্লাসের মধ্যে দাঁড় করিয়ে বললেন, তোমার দেশে আদিবাসীদের রক্ষায় কী কী আইন আছে আমাদের বলো। আমি খুব লজ্জায় পড়েছিলাম। জন্মের পর থেকে আমি শুধু পাহাড় রক্তে রঞ্জিত হতে দেখেছি, নিজ স্বজাতিকে পাহাড়ের মাটি গ্রাস করতে দেখেছি। সেই পাহাড়ের আদিবাসীদের রক্ষায় আদৌ কোনো আইন আছে কিনা আমি তখনো জানতাম না, এখনো জানি না। আমি সেই দিন জানলাম আমেরিকায় দুর্দান্ত সব আইন আছে আদিবাসী ও ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীদের রক্ষায়। আমার মাথা হেঁট করে দিয়ে সেইসব আইনের কথা শুনিয়ে সেই শিক্ষক মনে হয় বেশ আত্মপ্রসাদ পেলেন। সাপেলোতে সিকারসের সেই গিচি তরুণের কথা শুনতে শুনতে মনে হলো- আইন আসলে শুধু সবলের হাতিয়ার। না হয় পৃথিবীর সব শ্রেষ্ঠ আইন-কানুন সাথে নিয়েও এই তরুণ, এই গিচিরা কত অসহায়। আমাদের পাহাড়ের কোনো দলিত খুমি বা কোনো চাকমা তরুণ এবং এই গিচি তরুণের মধ্যে আসলে কোনো পার্থক্য নেই। কিংবা হয়তো আছে কোথাও। সিকারসের সেই উদ্ধত গিচি যুবককে দেখে মনে হলো যেন কোনো তরুণ মার্টিন লুথার কিং, বা তরুণ মুষ্টিযোদ্ধা মুহাম্মদ আলী যেন বিরোধী পক্ষকে সদম্ভে ঘোষণা দিয়ে বলছে “I am America”। পাহাড়ের কোনো দলিত তরুণ, কিংবা তীব্র হতাশায় দেশত্যাগ করতে চাওয়া আমারই কোনো স্বদেশী অথবা সীমান্তে কাঁটাতারে বিদ্ধ সেই ফালানী কি কখনো অধিকার নিয়ে বলতে পারে বা কখনো বলতে পেরেছিলো- আমিই বাংলাদেশ?
মন্তব্য
অসাধারণ লেখা
এদের সম্পর্কে কিছুই জানতাম না এই লেখা পড়ার আগে
ধন্যবাদ। সাপেলো ভ্রমণের আগে আমিও এদের সম্পর্কে বিস্তারিত তেমন কিছুই জানতাম না। কিন্তু আফ্রিকান আমেরিকানদের মধ্যে এরাই একমাত্র জনগোষ্ঠী যারা নিজেদের আফ্রিকান ঐতিহ্য আজো ধরে রেখেছে।
চমৎকার লাগল লেখাটা। জানলাম।
দুইটা চিন্তা মাথায় আসলঃ
১। আদিবাসীদের জন্য ‘আলাদা-আইন’ আমেরিকার ‘মেল্টিং পট’ ধারণার সাথে মিলল না বলে মনে হল আমার। আইনের বিষয়বস্তু না জেনেই অবশ্য মন্তব্য করছি, তবে আদিবাসীদের ‘আলাদা-আইন’ আমাকে অস্বস্তিতে ফেলল।
২। SICARS এর সোসাইটি মেম্বারদের প্রতি সম্মান রেখেই হঠাৎ মনে হলঃ ‘welcome to warzone’ আরকটা পর্যটন পণ্য নয়ত।
১। আলাদা আইন মানে বাড়তি আইন, বেশি প্রটেকশন দেয়ার জন্য। যেমন সেকশন ১০৬ এ বলা আছে- কোনো ফেডারেল স্থাপনা তৈরীর আগে বিবেচনা করতে হবে তা কোনো ঐতিহাসিক নিদর্শনকে হুমকির মুখে ফেলে কিনা, আদিবাসীদের এলাকাও যার মধ্যে পড়ে। এছাড়া প্রত্যেক স্টেটে স্টেট হিস্টোরিক প্রিজার্ভেশন অফিসার এবং ট্রাইবাল হিস্টোরিক প্রিজাভের্শন অফিসার আছে। আদিবাসীদের জন্য ডেজিগনেটেড এলাকার মধ্যে এদের অনুমতি ব্যতিত কিছুই সম্ভব নয়। যদিও কংগ্রেস ২০০৬ সালে জ্যাকসনভিল থেকে উইলমিংটন পর্যন্ত এলাকা 'গালা/গিচি কালচারাল হেরিটেজ করিডোর' বলে ঘোষণা করেছে এবং সাপেলো দ্বীপও তার মধ্যে পড়েছে, কিন্তু তারপরও অবস্থার উন্নতি হয় নি। আমেরিকার স্বীকৃত আদিবাসী তথা রেড ইন্ডিয়ানদের ক্ষেত্রে একটা উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো, আমেরিকার সংবিধান এদের সার্বভৌম জাতি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। হয়তো এদের দেশ দখল করে, মেরে-কেটে সাফ করে ফেলার প্রায়শ্চিত্তস্বরূপ এই স্বীকৃতি। কিন্তু এর ভালো, খারাপ দু'রকম এফেক্টই আছে। ভালো দিক হলো সার্বভৌম জাতি হিসেবে নেটিভ আমেরিকান এলাকায় কোনো স্টেটের আইন প্রযোজ্য হয় না। খারাপ দিক হলো আমেরিকার সব স্টেটে জুয়া খেলার ওপর বিধি-নিষেধ থাকলেও এ আইন প্রযোজ্য না হওয়ার কারণে ইন্ডিয়ান এলাকাগুলোতে অবাধে জুয়া খেলা হয়
যাই হোক, সেদিন যখন সেই শিক্ষক আমাকে আইনের ফিরিস্তি দিচ্ছিলেন আমি মনে মনে বলছিলাম, হু হু বাবা, আমরা তো তোমাদের মতো সব আদিবাসীদের মেরেকেটে সাফ করি নি, তাই আমাদের আদিবাসীদের জন্য আলাদা আইন-কানুনও নেই। এখন অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আমরাও পাহাড়ে ধ্বংসযজ্ঞ সম্পূর্ণ করার পর আদিবাসীদের রক্ষার জন্য সুন্দর সুন্দর সব আইন-কানুন তৈরী করব। যুগে যুগে সবখানে তাই হয়ে এসেছে।
২। আপনার ধারণা ঠিক হতেও পারে। SICARS সাপেলোতে গিচিদের নিয়ে বিশাল এক প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে যার মূল উদ্দেশ্য হলো পর্যটক আকৃষ্ট করে দ্বীপে অবস্থানরত সব গিচিদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। কিন্তু প্রতিকূল যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে সেটা কতটুকু সম্ভব হবে তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।
। অনেক ধন্যবাদ আপনার ব্যাখ্যার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
চমৎকার লেখা। এই জায়গাটা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না।
আদিবাসী এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের আমরা কেবল উপহার দিতে পেরেছি মৃত্যু এবং হতাশা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সব সরকারই দেখি একি রকম!!
এই বৈষম্য দৃষ্টিভঙ্গি যে আমরা কবে দূর করতে পারব?
ভাইয়া অসামান্য একটি পোস্ট দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমিও এই জনগোষ্ঠী সম্পর্কে অজ্ঞাত ছিলাম। এদের অধিকার তথা আমাদের আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে এই স্বপ্ন দেখি।
বেশী জোশ! নোয়া সম্পর্কে একবার কী কারনে জানি সামান্য পড়াশুনা করেছিলাম। কিন্তু গিচিদের সম্পর্কে ধারনাই ছিলোনা একেবারে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
চমৎকার লেখা। একদমই জানতামনা এটি নিয়ে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অত্যন্ত চমৎকার একটি আর্টিকেল। আমি মুগ্ধ।
ধন্যবাদ।
অসাধারণ লেখা।
আমাদের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা যদি বাঙালিদের ক্ষমা না করে তাহলে কিছু বলার নেই আমাদের! ভাবতেই বড্ড অসহায় লাগে!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
গালা (Gullah)সম্প্রদায় নিয়ে জুলি দাশ(Julie Dash) একটি নিরীক্ষাধর্মী চলচিত্র নির্মান করেছেন-“Daughters of the Dust”http://www.imdb.com/title/tt0104057/.
তথ্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। উইকি ও অন্যান্য তথ্যসূত্র বলছে জুলি গালা সম্প্রদায়ভুক্ত আফ্রিকান আমেরিকান এবং তাঁর স্বামীর নামও Dash নয়। লাস্ট নেইম তাই সম্ভবত তাঁর পূর্বপুরুষ ব্রিটিশ ড্যাশ মনিবের কাছ থেকে পেয়েছেন, এটা আমাদের উপমহাদেশীয় দাশ নয়। এখানে দেখতে পারেন।
খুব ভালো লিখা। অনেক কিছু জানা গেল।
কিন্তু আফ্রিকানদের (মূলত ব্ল্যাক আফ্রিকান) সম্পর্কে আমার কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিনই আমরা কয়েকজন মিলে ইউনিভার্সিটির জিমে ব্যাডমিন্টন খেনতে যাই। ব্যাডমিন্টন কোর্টের পাশেই বাস্কেট বল খেলার জায়গা। দেখা যায় যে যখনই আমাদের পাশের বাস্কেট বল কোর্টে কোন আফ্রিকান টিম খেলে, তাদের সাথে আমাদের তর্ক হবেই, মাঝে ব্যাপারটা অনেকদূর চলে যায়।
এরা খুবই গোয়ার টাইপের, অন্যকে সম্মান করার ধার ধারে না। গায়ের জোরে সবকিছু করে ফেলতে চায়।
মার্টিন লুথার কিং বলেছিলেন, "Being a Negro in America means having your legs cut off, and then being condemned for being a cripple.." যাদের জাতিগতভাবে শত শত বছর ধরে খোঁড়া করে রাখা হয়েছে, তারা যদি আপনার-আমার সাথে মাঝে মাঝে সেরকম আচরণ করে তবে তাদেরকে তো দোষ দেয়া যায় না, যায় কি?
(গুড়)
গুড় দিলেন? মিষ্টি খাইতে মঞ্চায়...এবার দেশে গিয়ে খেয়ে আসলাম ক্ষীরমোহন, চমচম, ছানার সন্দেশ ...আহা আবার কবে যে খামু
চমৎকার লেখা।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
অসাধারণ একটা লেখা পড়লাম আজ, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি পোস্টের জন্যে...
অ সা ধা র ন !
ভাল লাগল লেখাটা
চমৎকার এবং তথ্যবহুল একটা লেখা। আগে এই সম্পর্কে কিছুই জানতাম না।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, এরকম একটি লেখার জন্য।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
পৃথিবীর সব জায়গায় শাসক গোষ্ঠির চরিত্র কি এক!!
হ
অসাধারণ! তাঞ্জানিয়ার জাঞ্জিবার নিয়েও এমন লোমহর্ষক কাহিনী আছে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
অসাধারণ। এতদিন এই দেশে থেকেও এদের সম্বন্ধে কিছু জানতাম না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই।
কী অসাধারণ একটা লেখা!!!
লেখাটা স্রেফ অছাম।
কিছু কমেন্ট দেখি মিসপ্লেইসড হয়ে গেছে
আপনার লেখাটা পড়লাম, যেন কালো মানুষ গুলোর আটলান্টিকের এপাড়ে নেয়ার পরের গল্প, এতদিন পরেও যারা নিজের স্বকীয়তা বিসর্জন দিতে পারে নাই! সভ্যতা বলুন আর সভ্য দেশের আইনই বলুন, কোনটাই দুর্বলদের জন্য নয়! আমিও কালোদের উগ্রতার জন্যে একতরফা এদের দায়ী করতে পারিনা, শত শত বছর ধরে তাদের প্রতি যে বর্বরতা হয়েছে, এরপর এদের কাছ থেকে আমরা এর চেয়ে বেশী কি আশা করতে পারি!
নতুন মন্তব্য করুন