বিদেশি মিডিয়া বা পত্রপত্রিকা যাদের বাংলাদেশে অফিস বা সংবাদদাতা নেই, তাদের বেশিরভাগই এখন নিউজ এজেন্সি এসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) বরাত দিয়ে বাংলাদেশের খবর ছাপছে। এদের মধ্যে রয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট, এবিসি নিউজ, মায়ামি হেরাল্ড ইত্যাদি। কিন্তু এপির ঢাকাস্থ সংবাদদাতা জুলহাস আলম তার সাম্প্রতিক রিপোর্টগুলিতে রাজাকারদের বিচার এবং শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে নানারকম মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পরিবেশন করছেন। ফলে, সারা বিশ্বের মানুষ রাজাকারদের বিচার এবং শাহবাগ আন্দোলনের আসল পরিস্থিতি সম্পর্কে ভুল তথ্য পাচ্ছেন।
উদাহরণস্বরূপ, ঢাকার রাস্তায় যখন গণমানুষের জোয়ার, কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবীতে শাহবাগে বিক্ষোভ-সমাবেশ হচ্ছে তখন ৬ ই ফেব্রুয়ারি জুলহাস আলম তার রিপোর্টে শুধু জামাত-শিবিরের হরতাল নিয়ে লিখেছিলেন। রিপোর্টে খুব চতুরতার সাথে শাহবাগ আন্দোলনের ছবি ব্যবহার করে শিরোনাম দেয়া হয়েছিলো- “Protest Hit Bangladesh After War Crimes Verdict”- যেন মানুষ রাজাকার কসাই কাদের মোল্লাকে বাঁচানোর জন্য বাংলাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে!
আজ ৮ই ফেব্রুয়ারি তার আরেকটা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে- “Bangladesh Protest Calls for Death for War Crimes” যেখানে তিনি লিখেছেন-
"The protesters in Dhaka urged Prime Minister Sheikh Hasina to review a verdict sentencing a senior leader of Bangladesh's largest Islamic party, Jamaat-e-Islami, to life in prison for killings and other crimes."
কী ডাহা একটি মিথ্যা কথা! ট্রাইবুনাল ছাড়া যেখানে আর কারো রায় পরিবর্তন করার এখতিয়ার নেই, সেখানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিক্ষোভকারীরা রায় পুর্নবিবেচনা করার আবেদন জানাচ্ছেন-এই দাবী হাস্যকর, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক।
রিপোর্টে তিনি জামায়াতকে বাংলাদেশের বৃহত্তম ইসলামী দল ও প্রাক্তন সরকারের অংশ বলে বারবার পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন এবং বর্তমান সরকারের সাথে শত্রুতার জের হিসেবে জামাতী নেতাদের এই বিচারের সম্মুখীন হতে হচ্ছে- এ ধরনের জামাতী প্রপাগান্ডামূলক বক্তব্য তুলে বিদেশী পাঠকদের বিভ্রান্ত করতে চেয়েছেন।
আমরা জুলহাস আলমের এই মিথ্যাচার ও অপপ্রচারণার নিন্দা জানাই। এসোসিয়েটেড প্রেসের ঢাকাস্থ এই সংবাদদাতার অপতৎপরতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে
এই ঠিকানায় ইমেইল করুন।
এছাড়া, এপি ওয়েবসাইটে ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি মাধ্যমে যোগাযোগের আরো তথ্য রয়েছে।
মন্তব্য
তানভীর ভাই, প্রতিবাদ মেইলের কোনো টেমপ্লেট থাকলে এখানে দিয়ে দিন প্লিজ।
এই পোস্টটার প্রয়োজন ছিলো। ছড়িয়ে দিন সবাই।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অভিযোগপত্রের খসড়া নমুনা-
Dear Editor,
The AP Dhaka Office reporter Julhas Alam is providing wrong and twisted information in his reports on the recent protest in Bangladesh. In his recent report on Feb. 8 “Bangladesh Protest Calls for Death for War Crimes” Mr. Alam wrote:
“The protesters in Dhaka urged Prime Minister Sheikh Hasina to review a verdict sentencing a senior leader of Bangladesh's largest Islamic party, Jamaat-e-Islami, to life in prison for killings and other crimes.”
However, the truth is Sheikh Hasina does not have any authority to review verdicts given by the International Criminal Tribunal (ICT) and no one is requesting her to do so. People are protesting spontaneously against this verdict in the streets as they want no less than a death sentence to these war criminals.
Also, Jamaat-e-Islami is a “fundamentalist” Islamist party in Bangladesh, whose objective is to establish Sharia Law in the country. Most of their leaders are war criminals and acted as collaborators of the Pakistan Army in 1971, and involved in genocide, killing, rape and other heinous crimes. Although they were in coalition with the previous government, the argument Mr. Alam was trying to put in his article was not true.
He wrote another article on Feb 6- “Protests hit Bangladesh after war crimes verdict”, where the title and the images used in the article were totally misleading with respect to the content he provided. Mr. Alam mostly discussed about the fairness of the trail and the strike ordered by the Jamaat-e-Islami in his article, but most of the images used were from the Shahbag protest.
We appreciate if you would investigate his articles and take immediate action as these are giving wrong messages to public and the world media about this people’s protest in Bangladesh.
Sincerely,
এবিসি নিউজের মন্তব্যের জায়গার উপরে সম্পাদকদের কে খবর সংশ্লিষ্ট তথ্য দেবার লিঙ্ক আছে। যারা গুছিয়ে লিখতে পারেন তারা ওই লিঙ্কে ক্লিক করে মেইল পাঠাতে পারেন।
সাংবাদিক ভাইয়েরা এই জুলহাস আলমকে আপনাদের মাঝে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে আপনাদের পেশাগত সম্মান বজায় রাখুন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নিজে এবং আশেপাশের আরও কয়েকজনকে ধরে মেইল করালাম।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
জুলহাস আলমকে গন মেইল দিয়ে তার কপি এপি’কে দিলে কেমন হয়?
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
julhas.alam@gmail.com
****************************************
এএফপি'র এই রিপোর্টটাতেও কৌশলে মিথ্যাচার করা হয়েছে। এখানে বলছেঃ
ট্রাইবুনাল নিয়ে এই মিথ্যাচারের জন্য এএফপি'র স্থানীয় প্রতিনিধিকে ট্রাইবুনালে তলব করা যেতে পারে অথবা আদালত অবমাননার মামলা করা যেতে পারে। বাচ্চু রাজাকারের আসল পরিচয় না দিয়ে তাকে টেলিভিশনে ইসলাম প্রচারক হিসাবে দেখানোর মাধ্যমে সংবাদদাতার ছাগুত্ব স্পষ্ট হয়ে গেছে। এএফপি-কে এই ব্যাপারগুলোতে প্রতিবাদপত্র পাঠানো দরকার।
****************************************
গত কয়েকদিন ধরে বিদেশী সংবাদমাধ্যমগুলোতে জামায়াতবান্ধব প্রচারণার বিরুদ্ধে অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের যথেষ্ট ঘাম ঝরাতে হয়েছে (এখনো হচ্ছে)। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, মিডিয়াগুলোর বৃহদাংশ কি বাই ডিফল্ট ছাগুবান্ধব নাকি এদের সংবাদদাতাদের খুব সহজে কেনা যায়?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কেউ খবর রাখলে-তো! সাংবাদিক সমিতি’র কতজন জামাত-শিবির করে এই দেশে? জাবি’তে ১৯৯৫ এর শিবির আক্রমণের পর বের হয়েছিলো সাংবাদিক সমিতি’র সব ৯৫% সদস্য শিবিরের একটিভ কর্মী, একজন সাথী-ও ছিলো। আর এখন সাংবাদিক হতে চারিত্রিক সনদপত্র-ও লাগেনা!! কেন, সাংবাদিক’দের ভেতর জামাত-শিবির এর ইনফিলট্রেশন নিয়ে ব্লগে-ফেসবুকে কম আলোচনা হয়েছে গত চার-পাঁচ বছরে? শালার, দেশের মুরুব্বী সম্প্রদায় এবং সেইসব মুরুব্বীদের ভেতর যারা বিভিন্ন আমলে সুযোগ-সুবিধা নিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়েছে তাদের সব কয়টাকে ধরে ধরে প্রশ্ন করা উচিত এখন। এরা নিজেদের সুবিধা আদায় করেছে ষোল-আনা কিন্তু তার বিনিময়ে না করেছে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছু না করেছে দেশের উঠতি প্রজন্মের জন্য কিছু। উজ্জ্বল ব্যতিক্রম আছে, সংখ্যায় নগণ্য নয়; কিন্তু রোজদিন পতাকা ফাটানো যত বুদ্ধি-ব্যবসা-ও-হরি সমাজ চিন্তাবিদ সেলিব্রেটি সব কয়টার তলায় ঝামেলা আছে।
এই দেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগের বেলায় এমনকি আওয়ামী লীগ আমলে যে পরিমাণ জামাত-পন্থী লোকজন নিয়োগ দেয়া হয়েছে তার তুলনা মেলা ভার -- ঠিকমত খোঁজ-খবর নেয়ার মত সময় কোথায় আছে শিক্ষকদের? সব ব্যস্ত দলীয় সুযোগ-সুবিধা নিয়ে।
ছাকনী দিয়ে ছেকে-ও সব হিসেব মেটানো যাবেনা।
এইমাত্র মেইল পাঠালাম খসড়া অনুযায়ী। ধন্যবাদ ।
মেইল পাঠালাম। অন্যদেরও পাঠাতে অনুরোধ করছি।
আব্দুল্লাহ এ.এম.
ইমেইলে এপির কাছে প্রতিবাদ করলাম! টেমপ্লেটের জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ টেমপ্লেটের জন্য। সামান্য পরিবর্তন করে ইসলামিস্ট এর আগে "তথাকথিত" এবং উদ্দেশ্য এর জায়গায় "যে কোন তরিকায়" বাংলাদেশের পলিটিকাল ক্ষমতা "দখল" যোগ করে দিয়েছি। শাহবাগের ছবির সাথে "যেখানে হাজারো মানুষ জামাতের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে" এবং একদম শেষে এ সব রিপোর্টের কারণে "এপির রিপোর্টিং এর সততা ও মান সম্পর্কে অত্যন্ত নেতিবাচক ধারণা পাচ্ছে পাঠক" যোগ করা হয়েছে।
আশা করি কেউ কিছু মনে করবেন না। জামাতকে ইসলামিস্ট , ফান্ডামেন্টালিস্ট কিছুই বলতে রাজি না আমি। তারা নরঘাতক, এবং অরগানাইজড ক্রিমিনাল গ্রুপ। অবশ্য ফ্যানাটিক বলা যায় হয়ত।
সবাইকে ধন্যবাদ । ভালো থাকুন। শাহবাগেই থাকুন।
Dear Editor,
The AP Dhaka Office reporter Julhas Alam is providing wrong and twisted information in his reports on the recent protest in Bangladesh. In his recent report on Feb. 8 “Bangladesh Protest Calls for Death for War Crimes” Mr. Alam wrote:
“The protesters in Dhaka urged Prime Minister Sheikh Hasina to review a verdict sentencing a senior leader of Bangladesh's largest Islamic party, Jamaat-e-Islami, to life in prison for killings and other crimes.”
However, the truth is Sheikh Hasina does not have any legal authority to review verdicts given by the International Criminal Tribunal (ICT) and no one is requesting her to do so. People are protesting spontaneously against this verdict in the streets as they want no less than a death sentence to these convicted war criminals.
Also, Jamaat-e-Islami is a “fundamentalist”, so called Islamist party in Bangladesh, whose objective is to gain political power by any means, aka using common people’s respect of religion, in Bangladesh. Most of their leaders are war criminals and acted as collaborators of the Pakistan Army in 1971, and involved in genocide, killing, rape and other heinous crimes. Although Jamaat had been in coalition with the previous government, the argument Mr. Alam was trying to put forward in his article was not true.
Mr. Alam wrote another article on Feb 6- “Protests hit Bangladesh after war crimes verdict”, where the title and the images used in the article were totally misleading with respect to the content he provided. Mr. Alam mostly discussed about the fairness of the trail and the strike called on by the Jamaat-e-Islami in his article, but most of the images used were from the Shahbag protest where thousands gathered against Jamaat-e-Islami.
We appreciate if you would investigate his articles and take immediate action as these are giving wrong messages to public and the world media about this people’s protest in Bangladesh. It is also causing considerable damage to the authenticity and standard of AP in Bangladeshi people’s eye.
Sincerely,
অজ্ঞাতবাস
পাঠানো হইল।
অজ্ঞাতবাস
Here is what I have sent to AP.
=====================================
Dear Editor,
I am writing this letter to protest the wrong and misleading information being reported by your Dhaka office reporter Julhas Alam. Bangladesh is now at a crossroads where the perpetrators of crimes against humanity during the 1971 war of independence are being prosecuted in special tribunals.
The people particularly the younger generation of Bangladesh are demanding tougher punishments for the convicted war criminals proportionate with the atrocities committed by these individuals. An unprecedented movement has recently been initiated by our youth in protest of the apparently soft sentencing received by an accused (Abdul Quader Mulla) who has been convicted of crimes as grave as genocide.
Mr Alam has written a report on Feb 8 titled “Bangladesh Protest Calls for Death for War Crimes” focusing on this movement. He wrote “The protesters in Dhaka urged Prime Minister Sheikh Hasina to review a verdict sentencing a senior leader of Bangladesh's largest Islamic party, Jamaat-e-Islami, to life in prison for killings and other crimes.” Although the protesters are demanding tougher sentencing for all the accused they are not asking the PM to review the judgement as it falls outside her prerogative. As a matter of fact, no PM of any democratic country is able to alter a verdict of any court of law. The Bangladeshi government however needs to amend the International Crimes Tribunals Act to permit appeal against any unsatisfactory sentencing. Protesters believe that without a provision of appeal justice will not be served at least in the case of Kader Mulla. In view of this I assume the aforementioned statement by Mr Alam is extremely unfortunate attempt to distort the truth and undermine the credibility of the trial process.
Mr Alam’s characterization of Jamaat-e-Islami (JI) is also incomplete to say the least. It may well be the largest Islamist party of Bangladesh but it still enjoys a marginal level of support in the country. Most of its top rank leaders are infamous for their role during the independence war and are widely known for collaborating with the Pakistani Army in committing heinous crimes including genocide. Protesters are therefore demanding a ban on JI and its affiliated organizations that the reporter has failed to highlight. Furthermore, the lack of any description of the serious charges against Mulla in the report is another glaring omission.
In a previous article on Feb 6 titled “Protests hit Bangladesh after war crimes verdict”, Mr Alam had solely focused on the strike called by JI to protest sentencing of Qudar Mulla. However, in the same article he had included several photographs of the protesters from Shahbag who are fighting for an entirely opposite cause, demanding death penalty for Mulla. Such a report is not only misleading but also reveals a complete disregard for the facts.
I have found the recent reporting by Julhas Alam to be biased which is against the acceptable journalistic norms and obviously does not meet AP’s standard. Therefore, an investigation on his articles followed by prompt actions to stop feeding misleading information to the World media will be highly appreciated.
Sincerely,
Zahid Husain
পাঠিয়ে দিলাম।
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
এই যে বদলাইশটার ওয়েবসাইটঃ
http://julhas-ap.blogspot.com/
জুলহাস আলম কে বলেন শাহাবাগে যেতে......পাবলিক ডলা দিয়ে বুঝিয়ে দেবে কি করে রিপোর্ট লিখতে হয় !!
নতুন মন্তব্য করুন