ভবন ধ্বসে পড়লে পরবর্তী করণীয়

তানভীর এর ছবি
লিখেছেন তানভীর (তারিখ: শুক্র, ২৬/০৪/২০১৩ - ৯:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাভারে “রানা প্লাজা” ধ্বসে পড়ে এ পর্যন্ত আড়াইশ’য়ের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং আরো অসংখ্য লোক এখনো ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। ভবন ধ্বসে পড়া বা এ জাতীয় দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকেই এগিয়ে আসতে হয় নাগরিকদের উদ্ধার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কী করণীয় বা কী করণীয় ছিলো তা আলোচনা করাই এ লেখার উদ্দেশ্য।

১. নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা বেষ্টনীঃ সাধারণত ভবন ধ্বসে পড়ার মতো ঘটনাগুলোতে দেখা যায় সাধারণ মানুষ নিজেরাই আগে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সাভারের ঘটনাতেও আমরা দেখেছি আশেপাশের মানুষরাই আগে এগিয়ে এসেছে ভবনে চাপা পড়া মানুষগুলোকে উদ্ধার করার কাজে এবং এখনো তাঁরা কাজ করে চলেছেন। তাঁদের এ ভূমিকা প্রশংসনীয় হলেও বাস্তবে তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ভবন ধ্বসে পড়লে সেকেন্ডারি কলাপ্স ছাড়াও বিস্ফোরণ, আগুন লাগা, গ্যাস, ইলেক্ট্রিক লাইন থেকে দুর্ঘটনা বা উপর থেকে ভাঙা টুকরা পড়েও হতাহত হবার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া অনেকে শুধু পরিস্থিতি দেখার জন্য ভীড় করেও উদ্ধারকর্মীদের কাজে অসুবিধা করে থাকে। এ ক্ষেত্রে করণীয় হলো উদ্ধার কাজে সংশ্লিষ্ট যে সংস্থা আগে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাবে সেখানে তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা এবং উদ্ধার কাজে সংশ্লিষ্ট নয় এমন সব লোকজনকে ঘটনাস্থলে ঢুকতে না দেয়া। দুর্ঘটনাস্থলের চারপাশে অন্তত ১৫০ ফুট পর্যন্ত বা কাছাকাছি এলাকা ঘিরে রাখা উচিত যেন এর মধ্যে অনাকাংখিত কেউ ঢুকে পড়তে না পারে। নিরাপত্তা বেষ্টনী দেয়ার পর সুবিধাজনক স্থানে একটা লবি এলাকা প্রতিষ্ঠা করা যায় যেখান দিয়েই শুধু দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়া-আসা করা যাবে- এতে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।



চিত্রঃ সাভারে দুর্ঘটনাস্থলে মানুষের ভীড়
(ছবিসূত্রঃ সাংসদ মুরাদ জংয়ের ফেসবুক)

২. সমীক্ষাঃ উদ্ধারকারী সংস্থার এরপরে কাজ হলো উদ্ধার কাজে তাদের তাৎক্ষণিক কী কী যন্ত্রপাতি ও লোকবল আছে এবং আরো কী কী লাগবে তা নিরূপণ করা। এছাড়া সাইটে যেন অন্য আরো দুর্ঘটনা না ঘটে (উপরে উল্লিখিত) তার ব্যবস্থা নেয়া। ভবন ধ্বসে পড়লে উদ্ধার বিশেষত ভাঙার কাজে যেসব যন্ত্রপাতি লাগে তা বেশ জটিল এবং ব্যয়বহুল। এক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে আগেই চুক্তি করে রাখা যেন এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে তারা তাদের সরঞ্জাম উদ্ধারকাজে ব্যবহার করার জন্য সরবরাহ করে। তবে ক্রেন বা প্রয়োজনীয় যন্ত্র যেগুলো ভবন ধ্বস ছাড়াও অন্য অনেক দুর্যোগে লাগে তা উদ্ধারকারী সংস্থার আগে থেকেই মজুদ থাকা প্রয়োজন, সাভারে দেখলাম তারও খোঁজ নেই। অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরি বলছেন, তিনি আট বছর আগে উদ্ধার কাজে ব্যবহার করার যন্ত্রপাতি সুপারিশ করার পর সেগুলোর কিছু কেনা হলেও সাভারে তা ব্যবহার হতে দেখেন নি!

৩. তাৎক্ষণিক চিকিৎসাঃ আহতদের তাৎক্ষণিক শুশ্রুষা প্রদানের জন্য দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই নিরাপদ দূরত্বে একটা ট্রিটমেন্ট সেক্টর প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। এজন্য একটা মেডিকেল টিম আগে থেকেই সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখতে হবে যা দুর্ঘটনাস্থলে দ্রুত হাজির হবে। বিদেশে সাধারণত এ ধরনের পরিস্থিতিতে ইমার্জেন্সি মেডিকেল সার্ভিসেস বা ইএমএস তাৎক্ষণিক সেবা প্রদান করে। তাদের কাজই হলো আহত ব্যক্তি/রোগীকে হাসপাতালে পাঠানোর আগ পর্যন্ত জরুরী সেবা প্রদান করা এবং হাসপাতালে পৌঁছে দেয়া। সাধারণত প্যারামেডিক, নার্স এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে ইএমএস গঠিত হয়। বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজগুলো থেকে ইএমএস গঠনের উদ্যোগ নেয়া যায় যারা উদ্ধারকর্মীদের সহযোগী হয়ে আউট-অফ-হসপিটাল চিকিৎসা সেবা দেবে। সাভারের দুর্ঘটনায় এনাম মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ও ছাত্রদের ভূমিকা প্রশংসনীয় যারা সাইটে ও হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন।

৪. সার্চ ও রেসকিউ টিম গঠনঃ সার্চ ও রেসকিউ টিম আলাদাভাবে গঠন করা যায়। সার্চ টিমের কাজ হলো ভিক্টিম লোকেট করা এবং এ কাজে যেহেতু ঝুঁকি কম তাই ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা যায়। উদ্ধার কাজের জন্য অভিজ্ঞ ও ট্রেনিংপ্রাপ্ত লোকদের ব্যবহার করা উচিত। তবে দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানোর আগে সবাইকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি যেমন টর্চ, মাথা বাঁচানোর জন্য শক্ত হ্যাট ইত্যাদি সরবরাহ করে তবেই পাঠানো উচিত। উদ্ধারকর্মীদের জন্য উদ্ধারের যন্ত্রপাতি তো অবশ্যই সরবরাহ করতে হবে।

৫. রেসকিউ প্ল্যানঃ উদ্ধার কাজ যেন খুব কম ঝুঁকি নিয়ে করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রথমে যারা সারফেস ভিক্টিম অর্থাৎ ভবনের বাইরের দিকে আছে তাদের উদ্ধার করতে হবে। এদের উদ্ধারের পর যেহেতু সার্চ টিমের আর প্রয়োজন নেই, তাদের নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাইরে পাঠিয়ে দিতে হবে। এরপর যারা ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়ে আছে তাদের উদ্ধারের জন্য দ্রুততম পদ্ধতিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। স্ট্রাকচারাল কলাপ্স রেসকিউ অপারশনে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদির সমন্বয়ে একটা টেকনিকাল টিম থাকে। তারা বিল্ডিংয়ের কোন অংশে সবচেয়ে বেশি লোক চাপা পড়ে থাকতে পারে তা নির্ধারণ করার পর সে ভিত্তিতে অপারেশন পরিচালনা করা হয়। এছাড়া ভিক্টিমদের লোকেট করার জন্য সার্চ ক্যামেরা, একৌস্টিক লিসেনিং ডিভাইস ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। ভিক্টিম যেখানে আছে সে অংশ ক্রেনের সাহায্যে সরানো বা ভেঙে অপসারণের সময় যেন সেকেন্ডারি কলাপ্স না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। রেসকিউ প্ল্যান এবং ব্যাক-আপ প্ল্যান উপস্থিত উদ্ধারকারী টিমের লিডার এবং সদস্যরা মিলে সাধারণত ঠিক করা হয়।

৬. ট্রান্সপোর্টেশন করিডোরঃ রোগী আনা-নেয়ার জন্য এম্বুলেন্স এবং উদ্ধারকাজে ব্যবহারের জন্য ক্রেন ও হেভি মেশিনারিজগুলো যেন নির্বিঘ্নে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে সেজন্য দুর্ঘটনাস্থল সংলগ্ন রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ বা সীমিত রাখতে হবে। এক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনী সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।

৭. ভিকটিম তালিকাঃ উদ্ধারকৃত আহত, নিহতদের সংখ্যা, সম্ভব হলে নাম-ধাম-পরিচয়, ইত্যাদি লিপিবদ্ধ করে রাখতে হবে। উদ্ধারকাজ শেষে তালিকাটি গুগল পারসন ফাইন্ডারের মতো কোথাও আপলোড করা যায়, যাতে আত্মীয়-স্বজনরা নিখোঁজদের সন্ধান পেতে পারেন। এছাড়া উদ্ধারকাজে যেসব ভলান্টিয়ার অংশ নেবেন, তাদেরও নাম-ঠিকানা নিয়ে রাখতে হবে।

আপাতত এ পয়েন্টগুলোই গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। আপনারা মন্তব্যের ঘরে আপনাদের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শগুলো লিখে জানাতে পারেন। যেটা বেশি জরুরী তা হলো এধরনের পরিস্থিতির জন্য পূর্বপ্রস্তুতি থাকা। যুক্তরাষ্ট্রে ন্যাশনাল রেসপন্স ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় ন্যাশনাল ইনসিডেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম/ইনসিডেন্ট কমান্ড সিস্টেম নামক একটা প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা চালু আছে যার ফলে কোন এলাকায় ভবন ধ্বস বা কোন দুর্ঘটনা/দুর্যোগ হলে কার কী করণীয়, যন্ত্রপাতি, লোকবল কীভাবে যোগাড় হবে তা আগে থেকেই নির্ধারণ করা থাকে। উদ্ধারকাজ তাই দ্রুত আরম্ভ করা যায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রীসভার উচিত সাভারে দায়ী ব্যক্তিরা কোন দলের লোক আর ‘বিল্ডিং নড়াচড়ার’ তত্ত্ব বাদ দিয়ে দুর্যোগ প্রস্তুতিমূলক কোন ব্যবস্থা দেশে দ্রুত চালু করা।


মন্তব্য

শিশিরকণা এর ছবি

রাজনটীবিদরা কিছু করবেন এই আশা পুরাই বাদ এখন। এদের কে ভোট দিয়ে এইসব ফাইজলামি করার সুযোগ করে দিছি আমরাই। আমাদের ভাল মন্দ আমাদেরই দেখতে হবে এইটা এখন দিনের মতো পরিষ্কার। আর এইসব মাথায় উঠে নৃত্য করা বান্দরের গুষ্টি নিয়ে কি করব সেইটা পরবর্তী বিবেচ্য বিষয়। আগে মানুষ বাঁচুক।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

তানভীর এর ছবি

মন খারাপ

অতিথি লেখক এর ছবি

ভিকটিমস ডাটাবেস ব‌্যবহার করা যেতে পারে, যেখানে সকল ভিকটিমসের নাম-ধাম, সম্ভাব্য কাজের অবস্হান (কোন তলা, রুম) এবং এর সাথে যারা জীবিত বা মৃত অলরেডি উদ্ধার পাচ্ছে তাদের অবস্হানের সাপেক্ষে বাকীদের সম্ভাব্য অবস্হান ও অবস্হা নির্ণয় করার চেষ্টা করা। মূল নকশা ও ধ্বংসস্তুপের বাহ্যিক আবহ বা স্বরূপ পরীক্ষা করে ভগ্ন বিল্ডিং এরও একটা মোটামোটি আর্কিটেকচারাল ধারনা লাভ করা উচিৎ। এই অনুমিত স্ট্রাকচারের কোন অংশে কত জন, কী অবস্হায় (মৃত বা জীবিত বা আহত) থাকতে পারে সেইটা উদ্ধারকৃতদের ও অনুদ্ধারকৃতদের পারস্পরিক অবস্হানের রাফ-কাট এনালিসিসের উপর ভিত্তি করে করা যেতে পারে যা পরবর্তি কর্মপদ্ধতি নির্ধারনে একটা ভালো গাইড হতে পারে। এখন যেটা একটা অষ্পষ্ট ধারনার উপর করতে হচ্ছে
আর জানিনা আটকে পড়াদের জন্য তাৎক্ষনিক কোনো নির্দেশনা (যদি থাকে) পাঠাবার কোনো টেকনোলজিক্যাল কোনো ব্যবস্হা কি নেওয়া যায় না?
গোরা।

তানভীর এর ছবি

ভালো পয়েন্ট বলেছেন। ভিকটিম তালিকা মূল পোস্টে যোগ করে দিলাম। স্ট্রাকচারাল কলাপ্স রেসকিউ অপারশনে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদির সমন্বয়ে একটা টেকনিকাল টিম থাকে। তারা বিল্ডিংয়ের কোন অংশে সবচেয়ে বেশি লোক চাপা পড়ে থাকতে পারে তা এনালাইসিস করে রেসকিউ টিমকে জানায়। রেসকিউ প্ল্যানে এটাও যোগ করে দিলাম। অনেক ধন্যবাদ।

তানভীর এর ছবি

আরেকটা জিনিস মনে পড়লো রিসোর্স মবিলাইজেশন। সাভারে সাহায্য আসছে নানাভাবে। কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটর করার কোন ব্যবস্থা নেই। কী লাগবে, না লাগবে সেটাও সঠিকভাবে কেউ বলতে পারছেন না। এই কাজগুলো সাধারণত করা হয় ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার (EOC) থেকে। এই ইওসিগুলো নর্মালি ইনএক্টিভ মোডে থাকে। কোনো দুর্যোগ বা ইমার্জেন্সিতে এগুলো এক্টিভেট হয়। সাধারণত কোন সরকারী সংস্থা কোন এলাকার ইওসির দায়িত্বে থাকে। ধরা যাক সাভার পৌরসভা সাভার এলাকার ইওসির দায়িত্বে আছে। এখানে ভবন ধ্বসে পড়ার মতো কোন দুর্যোগ হলে এর কাজ হবে উদ্ধার কাজে কী রিসোর্স লাগবে সাইটের টিমের সাথে যোগাযোগ করে ব্যাকএন্ডে সবকিছু ঠিক করা। যে সাহায্যগুলো এখন সরাসরি দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হচ্ছে সেগুলো তখন পাঠানো হতো এই ইওসিতে এবং তাদের মাধ্যমে উদ্ধারকর্মীদের কাছে পৌঁছাতো। ইওসি থেকে তখন জানিয়ে দেয়া যেত কী কী সাহায্য প্রয়োজন এবং কত সময় পর্যন্ত। উদ্ধারকর্মীদের আরো লোকবল, যন্ত্রপাতি লাগলে ইওসির দায়িত্ব হলো সেগুলো যোগাড় করা। সাধারণত বিভিন্ন ইওসির মধ্যে মিউচুয়াল এগ্রিমেন্ট থাকে। কোন ইওসির রিসোর্স সংকট থাকলে তারা অন্য ইওসির রিসোর্স সাহায্য নেয়। এভাবে ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টারগুলো কাজ করে। রিসোর্স মবিলাইজেশন, ইমার্জেন্সি সিচুয়েশনের বিভিন্ন সিনারিও তৈরি করার জন্য এখন WebEOC নামে একটা ওয়েববেইজড সফটওয়্যারও ব্যবহার করা হয়।

স্যাম এর ছবি

লেখাটা বুকমার্ক করে রাখলাম - আগামীর রানা প্লাজা ধ্বসে কাজে দেবে মন খারাপ মন খারাপ

অতিথি লেখক এর ছবি

গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আমাদের দেশে এর প্র্যাকটিস কবে হবে??

সিরাজুল লিটন

মরুদ্যান এর ছবি

এই প্র‌্যাকটিসে যাইতে বাংলাদেশের সাত সমুদ্র পাড়ি দিতে হইব! ইয়ে, মানে...

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।