উনি এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। আবারও উদ্বেলিত হল এই পাহাড়ি রাজ্য। ভাসলো এক অপার সীমাহীন ভালোবাসার এবং আবেগের আলেখ্য নিয়ে। বাবা আসতে পারেননি স্বাধীনতার এই সূতিকা গৃহে, মেয়ে এলেন, এলেন দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশার অবসান ঘটিয়ে। হাজার হাজার মানুষ সবুজ পতাকা বুকে জড়িয়ে সালাম জানাল তাঁকে। দুই দিনের এই সফর গাঁথা থাকল ইতিহাসের পাতায়।
( আগরতলার বুকে নামলেন তিনি)
গত একমাস ধরেই সাজছিল আগরতলা। চারিদিকে শুধু একটাই বার্তা – তিনি আসছেন। শহরের এমন কোন অংশ নেই যেখানে সবুজ পতাকা লাগানো হয়নি। বোঝা যাচ্ছিল না আগরতলা কি ৭১ এ ফিরে গেছে নাকি ৭১ আগের জায়গাতেই যেন থমকে আছে।
১৯৭১ এর ৭, মার্চ রাজ্যের সংবাদ পত্রের শিরোনাম ছিল এইরকম- “বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা”
১৭, ডিসেম্বর, ১৯৭১- “অবশেষে শত্রু সেনা নতজানু”। আজন্ম লালিত সেই পবিত্র মুখ উদ্ভাসিতঃ বাঙলাদেশ শত্রুমুক্তঃ মিত্র বাহিনীর কাছে দখলদার পাক সেনা বাহিনীর নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ..................
লেখা ছিলঃ “প্রভাত সূর্যকে সৈনিকোচিত অভিবাদন জানাও” – ঢাকা মুক্ত/নতজানু শত্রু সেনাপতি/ সোনার বাঙলার শ্যামল প্রান্তরে মানুষের বিজয় বৈজয়ন্তী/মাতৃদেহে লক্ষ লক্ষ সন্তানের রক্তে কর্দমাক্ত করে, বাঙলার বাতাসকে কান্নায় ভরিয়ে দিয়ে যে সেনাবাহিনী সভ্যতার বিজয় রথকে পিছিয়ে দেবার চেষ্টা করেছিল তারা আজ ক্ষমাপ্রার্থী/আজন্ম লালিত স্বপ্নের সেই পবিত্র মুখ আজ উদ্ভাসিত/আজ আবার সেই নিঃশব্দ পাখীর কণ্ঠে গান/সেই পুণ্যতোয়া জীবনের আপ্লুত কলতান/কোটি প্রাণ আজ বাঙলার মুখ দেখেছে/আজ স্বজন হারানো শ্মশানে শত্রুর বহ্নিমান চিতা/বাঙলা আজ মুক্ত/ঢাকা আজ উন্মুক্ত।”
১২, জানুয়ারি, ২০১২ – “মুক্তিযুদ্ধের তীর্থভূমিতে মুজিব কন্যা......”
এরপরঃ
১২ জানুয়ারির বিকেল - বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বোন রেহানা সিদ্দিকী সহ ১০৬ জনের বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল নিয়ে আগরতলা বিমান বন্দরে বিকেল ৩টা বেজে ৪মিনিটে অবতরণ করল তাঁদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ মন্ত্রী কপিল সিব্বাল, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এবং মন্ত্রীসভার সদস্যরা।
আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা শেষে শেখ হাসিনাকে কুঞ্জবন টাউনশিপে রাজ্যের অতিথিশালায় নিয়ে আসা হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এসেছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী দীপুমনি, বেশ কয়েকজন সাংসদ, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিনিধি দল এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। টিএসআর-র এনএসজি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জওয়ানেরা গার্ড অফ অনার জানায়। রাস্তায় রাস্তায় হাজার হাজার মানুষের ঢল, হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।
* নতুন করে পুরোনো কথা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তবুও ৭১ এর সামান্য কিছু স্মৃতি এবং আগরতলাঃ
“...... এপ্রিলের মাঝামাঝি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র স্থানান্তরিত হলো আগরতলার অদূরে শালবাগানে। সেখান থেকে নিয়মিত যুদ্ধ সংবাদ প্রচার শুরু হলো। আমার উপর দায়িত্ব বর্তালো মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল উচ্চগ্রামে ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের দুর্বার প্রতিরোধের কাহিনী প্রতিদিন সংবাদপত্রে তুলে ধরতে হবে। ছোট ছোট অপরাজেয় শৌর্যের সে সব কাহিনী সম্পাদকের গোপন ব্যাবস্থাপনায় প্রতিদিন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হতে থাকে। একদিন আমার এক ছোট্ট সংবাদ কাহিনী চারদিকে রীতিমত আলোড়ল সৃষ্টি করল। ঢাকায় ১৭ বছরের এক অসম সাহসী মেয়ে বুকে মাইন বেঁধে পাক ট্যাঙ্কার বাহিনীর ১৯ জন খান সেনাকে খতম করে দিয়েছে।............... দিকে দিকে গঠিত হয় রওশন আরা ব্রিগেড। আজ ইতিহাসের নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, রণাঙ্গনের প্রচার কৌশলের অন্যান্য অনেক সংবাদ কাহিনীর মতো রওশন আরার কাহিনিও ছিল প্রতীকী। রওশন আরা নামটি বাংলাদেশের বন্ধু আহমেদ ছফার দেওয়া। রওশন আরার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের অসংখ্য মা বোনের অমিত শৌর্যের স্বর্ণোজ্জ্বল স্মৃতিকে মুক্তিকামী লাখো মানুষের বুকে প্রোথিত করতে চেয়েছিলাম। আমাদের প্রয়াস ব্যর্থ হয়নি...” । (লেখক- বিকচ চৌধুরী। সুত্রঃ ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ রাইটার্স ফাউন্ডেশন এর সভাপতি ডঃ আবুল আজাদকে লেখা চিঠি)
“মুহূর্তে সহস্র জনতা উদ্বেল হয়ে উথলো-লক্ষ কণ্ঠে উচ্চারিত হল, ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা’। শুরু হল আনন্দের হোলি খেলা। হাজারো জনতা লাল আবিরে রাঙিয়ে দিল একে অন্যের মুখমণ্ডল। তারপর দীর্ঘ ৯ মাসের ইতিহাস আগরতলাকে করে তুলল বিশ্ব সংবাদ জগতের প্রাণকেন্দ্র হিসাবে।
সংবাদ ভবনে তখন তিল ধারণের জায়গা নেই। সারা বিশ্বের পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের রণাঙ্গন সংবাদদাতারা ভিড় করে আছেন সংবাদ ভবনে।” (লেখক- বিকচ চৌধুরী। সুত্রঃ ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ রাইটার্স ফাউন্ডেশন এর সভাপতি ডঃ আবুল আজাদকে লেখা চিঠি)
( নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান)
*একই সুত্রে গাঁথা
বাংলাদেশ তো আমাদের হৃদয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে জন্মলগ্ন থেকেই। সেই আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার কথা। স্বাধীন বাংলাদেশ বেতার বার্তার কথা। তখনও ত্রিপুরার ঘরে ঘরে টেলিভিশন ছিল না। ছিল শুধু বেতার ভরসা। ১৯৭১ সালে মার্চ মাসে শেখ মুজিবের সেই ঐতিহাসিক ভাষণ। বাংলাদেশে শুরু হয়ে যায় এক মহাকাব্যিক মুক্তিযুদ্ধ। জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বে খান সেনারা তখন সারা পূর্ব পাকিস্তানের দখলদারি নিয়েছে। আইনের শাসন উধাও। মানুষ পালাতে পারলে বাঁচে। ওই সময় বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে সাহসী ভঙ্গিমায় দাঁড়ালেন ভারতের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি। নয় মাসের ভয়ংকর যুদ্ধে স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশ। তখন ত্রিপুরা ও কলকাতা হয়ে ওঠেছিল বাংলাদেশের স্বাধীন সরকারের অঘোষিত মহাকরণ। সন্ধ্যার পরই ত্রিপুরার মানুষ উৎকর্ণ হয়ে থাকতো স্বাধীন বাংলাদেশের বেতারবার্তা শোনার জন্য।
ত্রিপুরার তিনদিকেই বাংলাদেশ সীমান্ত। অত্যাচারিত নির্যাতিত বাংলাদেশের নাগরিকরা কাতারে কাতারে এসে আশ্রয় নিয়েছেন ত্রিপুরায়। তখনও ত্রিপুরা পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পায়নি। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শচীন্দ্রলাল সিংহ। স্বাধীন বাংলাদেশ মন্ত্রীসভার তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজাউদ্দীন। পূর্ব পাকিস্তান থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ সেদিন আশ্রয় নিয়েছিল এই ছোট্ট ত্রিপুরায়। ত্রিপরা তখন যেন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বিতীয় ঘাঁটি। সিমান্ত সংলগ্ন ঋষ্যমূক, বিলোনীয়ার মতো এলাকায় স্কুলগুলোয় শরণার্থীদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় হালকা ছনের ছানি দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল অস্থায়ি সারি সারি অসংখ্য শিবির। চড়িলামে ক্যাপ্টেন চ্যাটার্জির তত্ত্বাবধানে চলছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ। আন্তর্জাতিক মহলকে পাশে নিয়ে আমেরিকার ভ্রুকুটিকে উপেক্ষা করেই ভারত জড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে। জেনারেল নিয়াজি ঢাকার রমনা ময়দানে আত্মসমর্পণ করে মিত্রবাহিনীর কাছে। এই ক্ষোভ পাকিস্তান ভুলতে পারেনি। জেনারেল মুশারফ আগ্রা সামিটে এসে ( বিজেপি সরকারের সময়) এই ক্ষোভের কথা জানাতে দ্বিধা করেন নি। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল ভুল দেশভাগ এবং পাকিস্তানি রাজনীতির অসাম্যের কারণে। পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তনকে মনে করতো তাদের উপনিবেশ। মাত্র ২৪ বছরে পাকিস্তান দ্বিখন্ডিত হয়। ত্রিপুরার মানুষ খুব কাছ থেকে ছিল এই মুক্তিযুদ্ধের শরিক। এই কথা মনে রেখেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং শান্তিনিকেতনে পৌষ মেলার আমন্ত্রণকে পেছনে ফেলে হাসিনা অনেকটা আবেগ ও ভালবাসার টানেই প্রথমে আসার জন্যে বেছে নেন ত্রিপুরাকে। বোন রেহেনাকে সঙ্গে করে মুক্তিযুদ্ধের অম্লান সেই দিনগুলির কথা মনে রেখেই হাসিনার এই ত্রিপুরা সফর। প্রায় চার দশক পর ত্রিপুরার মানুষও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আবেগের ঘন স্রোতে বরণ করে নিলেন...
আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। মুক্তিযুদ্ধের দেশে আমার জন্ম হয়নি। কিন্তু আমার দাদু, ঠাকুমা, মা, বাবা, কাকা সহ গোটা পরিবার এমনকি হাজারো সংখ্যক আশেপাশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধকে সামনে থেকে দেখেছেন। এদের কেউ বন্দুক হাতে হয়তো নেননি, কিন্তু তারাও সেদিন লড়েছিলেন শত্রুর সাথে। জানি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের পাতায় এদের ঠাই হবেনা কখনোই। এদের কেউ চেনেও না। কিন্তু এরা সবাই একদিন বাংলাদেশী ছিলেন। এদের অনেকেই আজ বেঁচে নেই। তবুও কিছু ধূসর স্মৃতি বেঁচে আছে আজও। এই দেশকে ওরা নিজের চোখের সামনে থেকে দেখেছিলেন। কিন্তু সেই দেশে তাদের শেষ স্বপ্ন পূরণ হয়নি। স্বাধীন বাঙলা দেখার সৌভাগ্য হলেও, স্বাধীনতার রক্তিম আকাশ কখনোই তাদের জন্য সবুজ হয়নি। তাদের রক্তও মিশে আছে বাঙলার মাটিতে। এই রক্ত নিজের শরীরে বয়ে আজও যখন ভাবি তখন...। তাই আজ যখন মুজিব কন্যা এই মাটিতে পা রাখেন তখন তিনি কোন বিদেশী রাষ্ট্রের বিদেশিনী থাকেন না। তার নামের পাশে কোন রাজনৈতিক দলের তকমা থাকেনা। কোন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েন নয়, তিনি হয়ে উঠেন বাঙলার মুখ... হাজারো ঘরহারা বাঙালির মতো যে মুখ আমি এখনো দেখিনি...
(চলবে)
====================================
* তথ্যসুত্রঃ সংবাদপত্র।
* ছবিঃ বন্ধু অভিষেক দেববর্মার সৌজন্যে।
মন্তব্য
উরি বাব্বা ! হাসিনা তো দেখি জামাই-আদর পেয়েছে তোমাদের ওখানে গো
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ম্যাডামজী যারা আদর করেছেন ওরা উনার পর নয়, ওরা আপনজন। বেশীদিন হয়নি বিচ্ছেদের, ক্ষত গুলিও তো এখনো ঠিকঠাক ভরাট হয়নি।
ডাকঘর | ছবিঘর
ঘ্যাচাং
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আপনার আবেগকে শ্রদ্ধা।
তবে লেখাটা কেমন স্তবের মত শোনাচ্ছে, আরেকটু বিশ্লেষণমূলক হলে ভাল লাগত।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ফাহিম ভাই... এই ব্যাপার গুলো ঘটে গেছেতো, মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে... তাই বলে দিলাম।
আমি বুঝতে পারছি আপনি বিশ্লেষণমূলক বলতে কি বুঝাচ্ছেন। কয়েকটা পর্ব লেখার ইচ্ছে আছে। কূটনৈতিক আলোচনা গুলি তুলে আনার ইচ্ছে রাখছি।
ডাকঘর | ছবিঘর
আমি কোনও মন্তব্য করে জেলে যেতে চাই না। বাংলার মাটিতে বাঁচিবার চাই।
মানে???? । ঘটনা কী, খুলে বলুন। আবার ভারত জুজুর হিড়িক দেখাবেন নাকি??
ডাকঘর | ছবিঘর
ধন্যবাদ রিমা
ডাকঘর | ছবিঘর
তাপসদা,
বলা হয়, বাঙালি আবেগপ্রবণ জাতি! আপনি যে বাঙালি, তার পরিচয় আপনার লেখার পুরো শরীর জুড়েই! আর আমরাও যে বাঙালি, তার পরিচয় পেলাম যখন দেখলাম আপনার আবেগ আমাদেরও আপাদমস্তক ছুঁয়েছে!
এই শিরোনামের পর যে অনবদ্য লাইনগুলো লেখা, তার রচয়িতা কে, জানতে মন চাইছে!
ভুলতে যে পারিনি, তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হল, বাংলাদেশে গত ৪০ বছর ধরে পাকিস্তানি ভাবধারার ব্যাপক আবাদ! দেখুন না, গোলাম আযমকে ধরার পর রাজপথে শিবিরের উল্লম্ফন! কোন সভ্য দেশের মাটিতে সেই দেশের জন্মের বিরোধীতাকারীর পক্ষে এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কল্পনা করা যায় কি?
আসলে ঠাঁই নেয়ার প্রত্যাশায় এরা লড়াই করেননি; মানবতার পক্ষে, শোষণের বিপক্ষে এদের লড়াই চিরন্তন, স্বতঃস্ফূর্ত আর সার্বজনীন! এরা আজ নেই ঠিকই, কিন্তু এদের সেই চেতনা রোপণ করে গেছেন নতুন প্রজন্মের মাঝে!
আপনাকে ধন্যবাদ মামুন ভাই... ঐ লাইনগুলি চল্লিশ বছর আগে লেখা। ঠিক কে লিখেছিলেন জানিনা। তবে এই দুই জনের মধ্যে একজন হতে পারে। ভুপেন দত্ত ভৌমিক , ভীষ্মদেব ভট্টাচার্য।
* সত্যি খুব ঘৃনা লাগে যখন দেখি একজন রক্তখোরের দুঃখে আজকের প্রজন্মও কাঁদে... পুরনো গু-আজমরাতো প্রায় ফুরিয়ে আসছে। কিন্তু এইসব নব্য রাজাকারদের সাথে লড়াই করবে কে???
জাত নিয়ে কথা উঠে অনেক সময়। বলি- আমি বজ্জাত আর নিজেকে বাঙালি বলতেই পছন্দ করি সবসময়। কোন দেশের কিংবা কোন জাতের হওয়ার আগে আমি একজন বাঙালি। আবেগের কথা জানিনা। যা মনে হয় তাই লিখে দেই...
ডাকঘর | ছবিঘর
দাদা, কিছু মনে করবেন না। একটা জায়গায় ঐতিহাসিক ভুল আছে। চেক করে নিন। নিয়াজীর পাক বাহিনী কখনোই ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেনি। করেছে মিত্রবাহিনীর কাছে। যা গঠিত হয়েছিল মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর সমন্বয়ে। ভাল থাকবেন।
না, মনে করার কি আছে। আপনি ঠিক বলেছেন। ঐ জায়গাটা ঠিক করে দিলাম।
ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
ডাকঘর | ছবিঘর
ভারতীয় বাহিনীই মিত্রবাহিনী হিসেবে পরিচিত ছিল । আসলে পাকিরা ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোরওয়ার্দি উদ্যানে ) আত্মসমর্পন করেছিল যৌথকমান্ডের অধিনায়ক জেনারেল অরোরার কাছে । দেখুন দলিল -
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
থ্যাংকস মাণিক ভাই ।
ডাকঘর | ছবিঘর
চমৎকার লেখা। যদিও যুক্তির চেয়ে আগেবপ্রবন, কিন্তু কোন সম্যাসা নেই তাতে, ত্রিপুরার সাথে যে আমাদের অন্তরের সম্পর্ক। ১৯৭১এ ত্রিপুরার অবদান ভুলবার নয়। আজকে কৃতগ্গতা প্রকাশ করছি।
/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।
ধন্যবাদ আপনাকে।
কৃতজ্ঞতা নয় ভাই... কমপ্লিট ।
ডাকঘর | ছবিঘর
ইতিহাস বর্তমান নিয়ে দারুণ একটা পোস্ট।
----------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...
ধন্যবাদ।
ডাকঘর | ছবিঘর
নতুন মন্তব্য করুন