আয় বৃষ্টি টাপুর টুপুর আয় বৃষ্টি ঝেঁপে। মন খারাপের বৃষ্টি তোকে দুঃখ দেবো মেপে...

তাপস শর্মা এর ছবি
লিখেছেন তাপস শর্মা [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০৩/০৩/২০১২ - ১২:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চার মাস। পাক্কা চার মাস এই শহরে। দীর্ঘ পনেরো বছর পর এতটা সময় আমার এই শহরে। আজন্ম শৈশব এখানে কেটেছে আমার। তারপর সদ্য কৈশোর পেরিয়েই এই শহর থেকে অনেক দূরে। কখনো কোন নিরালা বসন্তের ছুটিতে খুব বেশী হলে এক সপ্তাহ কিংবা কখনো আরও দিন কতেক বেশী, বড় জোড় দিন পনেরো- এর চেয়ে বেশী গত দেড় দশকে কাটেনি এই শহরে একটানা।

আজ থেকে অনেক বছর আগে। যখন শুধুই রোদের ঘ্রাণ। মাঠের ধারে বসে বসে শালিখ দেখার দিন। ভরদুপুরে লুকিয়ে লুকিয়ে কানামাছি ভৌ ভৌ, গোল্লাছুট, লাটিম ঘোরানো , হারিকন এর আলোআঁধারি চোর পুলিশ। অচেনা বৈশাখে প্রথম প্রেম, লুকিয়ে সিগারেট। এসব খুঁজেছি অনেকদিন পর এখানে এসে। আলোর পথে কিংবা তপ্ত দুপুরের নির্জন আকাশে। আমার আমি , তোমার তুমি।

জানিনা কোথায় হারিয়ে গেছে রঙমশাল, জানিনা মানুষ কেন এত মিথ্যে কথা বলে, কেন অন্যায় করে। জানিনা ভাল হয়ে বেঁচে থাকতে অধিক শ্রম দিতে হয় কিনা? হৃদয় চিৎকার করে আপোষের কাছে। তারপর একদিন থমকে যায়। সিস্টেমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে সিস্টেম আমাকেই পাল্টে দেয়। কবি মল্লিকা সেনগুপ্তের প্রশ্ন ছিল কার্ল মার্ক্স এর প্রতি- আপনি বলুন মার্ক্স শ্রম কাকে বলে? কবীর সুমনের প্রশ্ন ছিল- এই পৃথিবীর ঘাতকেরা গান শোনে কিনা?

কমিউনিকেশন বিপ্লব হয়ে গেছে সভ্যতায়। কত সহজেই না মানুষ একে অপরের কাছে পৌঁছে যায়। অথচ সে আর এখন পারে না মানুষের কাছে যেতে। কারন সে জানে মানুষ বলে কেউ নেই। কিছু হয় না। কিছু অকৃতজ্ঞ ভদ্রতার মুখোশ শুধু ঘুরে বেড়ায়। ভালোবাসা পুড়ে গেছে। কিছু স্বার্থসিদ্ধির ভন্ডামি শুধু আদর্শের বুলি কপচায়। পথের নামে ওৎ পেতে থাকে আসলে কিছু ফাঁদ। ব্ল্যাকবেরির আড়ালে ঘুরে বেরায় দূরত্বেরা।

বড্ড বড় হয়ে গেছি। তাই দেখলাম সবই ঠিক আছে কিন্তু মাতাল হওয়া যায়না।

সকালঃ

ঘুম থেকে উঠার আগেই কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে। সকালটা আজ মেঘলা সুন্দর। তবে মনটা খানিক ব্যাজার হয়ে আছে। দুইদিন হল বইমেলা শুরু হয়েছে। অথচ আমি মেলায় যেতে পারিনি। গত দশ বছরে এমন হয়নি।

দুপুরঃ

অনেকক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম। আকাশ, নীল থেকে কালো হয়ে গেলো। বাতাস, কালবৈশাখীর আভাস। ফাগুণের উচ্ছ্বাস। সব মিলিয়ে একটা হারিয়ে যাওয়ার কোলাহল। এরপর সব স্তব্ধ করে দিয়ে দলছুট এর আগমন। মন মাধুরী তাকে আঁকড়ে ধরল। এটাই বোধহয় ভালোবাসা।

টিপ টিপ টিপ... ইয়া বড় এক ফোঁটা চোখের পাতায় গড়িয়ে পড়ল। তারপর ঝুপ করে গালের ওপ্রান্তে আরেকটা। বাতাস... তারপর সেই ক্ষণ। এলো ঝেঁপে। আমি একা। হাত তুলে দিলাম উপরের দিকে। চোখ বন্ধ। তীক্ষ্ণ ফলার মতো আছড়ে পড়ল সব বিন্দু।

তারপর কেটে গেলো আধ ঘণ্টা। নীরবে। একটু লাফালাম এদিক ওদিক। দু'একটা কাঠাল পাতা কুড়ালাম। এই কাঁঠাল পাতা দিয়েই দোকান দোকান খেলায় টাকা বানাতাম। আহ, কি ব্যবসা বাণিজ্যরে। দুরকি ( এর চেয়ে ভালো নাম জানিনা এগুলির) গাছগুলি হাহাহিহি করে হাসছে।

প্রাণভরে গন্ধ নিলাম মাটির উষ্ণতার। আনারস এবং কলা বাগানের দিকে একটু ছুটে গেলাম। একটা কাঠবিড়ালি টুপ করে গাছ থকে লাফ দিলো। কুটকুট করে কি জানি খাচ্ছে। ওকি আমার সাথে খেলবে? বলতে বলতেই বেহায়া পালিয়ে গেলো। আমি তো রেগে টঙ। মুখটা গোমড়া করে একটু এগুতেই একটা শালিখ। গা ঝাড়া দিচ্ছে। বেচারা ভিজে শেষ। একটু হাসি পেলো। কলা পাতাগুলি বাতাসে দুলছে। হঠাত একটা ঘাস ফড়িং আলতো দোলা দিয়ে গেলো আনারসের পাতায়। ইস, কাটাকাটা! লুকোচুরি খেলায় এই বাগানের আশ্রয়ে কত সময় গড়িয়ে গড়িয়ে কেটে গেছে।

অনেক হল। ভিজে ভূত হয়ে ফিরে এলাম চান ঘড়ে। মা চেঁচাচ্ছে – জ্বর আইলে আমারে কইতে পারতি না। চুপ মেরে গেলাম। খেপিয়ে লাভ নেই। চান করে ঘড়ে ঢুকতেই একটা হাচ্চু। এবার একটু চা দরকার। পে-পো করে পেলাম এক কাপ। খেয়ে আর ভালো লাগছে না। বিকেলে সৌরভরা আসার কথা। এখন ঘুম দরকার। ব্যস, কম্বল চাপিয়ে দে ঘুম। বৃষ্টি, আকাশ, স্বপ্ন...... আয় ঘুম। তারপর একটা শিশু হাত, খানিকটা খেয়ালী –

প্লীজ ফিরিয়ে দাও সেই শৈশব।

বিকেলঃ

হেমন্তের আগুন লাগার মতো ঝলমলে রোদ। বৃষ্টির ছিটেফোঁটাও নেই। তাজ্জব। একটু বাইরে গিয়ে দেখলাম পাতাগুলোতে এখনো জলের দাগ লেগে আছে। সবটা শুকিয়ে যায়নি! ইতিমধ্যেই বন্ধুরা এসে গেলো। আজ অনেকদিন পর আড্ডা দিলাম। মনটা ভালো হয়ে গেলো হাসি ঠাট্টায়...

রাতঃ

মফস্বলে যা হয়। মশার উপদ্রব এখানেও ভীষণ। রাত বাড়তে থাকলে উনাদের দলগত আক্রমণ আরও তীব্র হয়। ঝিঝি পোকার ডাক আজ বড্ড প্রবল। অনেক কিছুই মনের অলিন্দে ঘোরাফেরা করছে আজ। হঠাত একটা বিকট বাজ পড়ার শব্দ হল। হুট করেই বিদ্যুৎ গায়েব। কি হল? আবার বাতাস এর শব্দ। জালানাটা খুলে দেখলাম বাইরে ভীষণ অন্ধকার। আকাশে একটা তারাও নেই। চাঁদ গায়েব। তাহলে আবার আসছে...... মনটা আবারও প্রসন্ন হয়ে গেলো। জাস্ট দশ মিনিট। তারপর আবারও ঝুপ করে টাপুর টুপুর শব্দে জল নেমে এলো আমার শহরে। এখনো ঝরছে...

==============================

০২। ০৩। ০১২।


মন্তব্য

গৌতম এর ছবি

আপনার শহর কোনটা? একবার দিন সাতেকের জন্য ত্রিপুরা গিয়েছিলাম। অনেকগুলো শহর ঘুরেছি। দেখি, আপনার শহরে গিয়েছি কিনা!

আমাদের বাড়ি টিনের চালের- লোডশেডিং করা ঝুম অন্ধকারে টিনের চালের বৃষ্টি- এমন মোহনীয় দিনযাপন সেই কবেই রেখে এসেছি নিজস্ব বাড়িটাতে!

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

তাপস শর্মা এর ছবি

অমরপুর। বর্তমানে এই শহর ভেঙে নতুন মহকুমা হল, আমি এখন করবুক মহকুমার লোক। আমি কবে এসেছিলেন? ইস তখন নিশ্চয়ই আমি জানিনা যে আপনি এসেছিলেন।

সেই দিনগুলি আজ আবারও ফিরে পেলাম। সত্যি।

গৌতম এর ছবি

সম্ভবত ২০০৮-এর শেষদিকে গিয়েছিলাম। যতদূর মনে পড়ে- আগরতলা, ধর্মনগর, মেলাগড়, কৈলাসহর, অমরপুর, সোনামুড়া, বিশালগড়, সিপাহীজলা, অমরপুর, তেলিয়ামুড়া, খোয়াই গিয়েছিলাম, কিন্তু অমরপুর জায়গাটা যে ঠিক কোনটা গুলিয়ে ফেলছি এখন। মেলাগড়ের দিকে কি?

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

তাপস শর্মা এর ছবি

নানা। মেলাঘর আলাদা জায়গা। উদয়পুর থেকে মেলাঘরের একটা রাস্তা চলে গেছে । আর অপর দিক থেকে উদয়পুর থেকেই থেকে অমরপুরের একটা রাস্তা চলে এসেছে। আপনি খেয়াল করলে হয়তো মনে করতে পারবেন। হাসি

আবার আসুন।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি
তাপস শর্মা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ রাজা। হাসি

উচ্ছলা এর ছবি

কী সুন্দর একটা আপন লেখা ! বৃষ্টি ভেজা সোঁদা মাটির গন্ধ পেলাম যেন।

পাঁচ তারা না দিয়ে উপায় নাই রে বাডি।

তাপস শর্মা এর ছবি

থাঙ্কু হাসি

অনিকেত এর ছবি

কী ভীষন হৃদয়স্পর্শী সব উচ্চারণ!
খুব ভাল লেগেছে তাপস'দা---
শুভেচ্ছা নিরন্তর।

তাপস শর্মা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ অনিকেতদা।

আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা।

তিথীডোর এর ছবি

'বৃষ্টি নামল যখন আমি উঠোন-পানে একা..
দৌড়ে গিয়ে ভেবেছিলাম তোমার পাব দেখা।
হয়ত মেঘে-বৃষ্টিতে বা শিউলিগাছের তলে,
আজানুকেশ ভিজিয়ে নিচ্ছো আকাশ-ছেঁচা জলে।
কিন্তু তুমি নেই বাহিরে - অন্তরে মেঘ করে...
ভারি ব্যাপক বৃষ্টি আমার বুকের মধ্যে ঝরে!'
#শক্তি চট্টোপাধ্যায়

এটা মাথায় ঘুরছে সকাল থেকে...

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

আশালতা এর ছবি

গেলো তো আমারও মাথায় ঢুকে ! আসলেই, কবি- কবিতা- কবিতাখোর খুবই বিপদজনক ! মন খারাপ

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

তিথীডোর এর ছবি

সবচেয়ে বিপদজনক হলো কবিতাখোরেরা। চোখ টিপি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তাপস শর্মা এর ছবি

ঠিক ঠিক। লাইনগুলি সত্যিই মাথায় ঢুকে গেছে।

অনেক ধন্যবাদ তিথী।

বন্দনা এর ছবি

'টিপ টিপ টিপ... ইয়া বড় এক ফোঁটা চোখের পাতায় গড়িয়ে পড়ল। তারপর ঝুপ করে গালের ওপ্রান্তে আরেকটা। বাতাস... তারপর সেই ক্ষণ। এলো ঝেঁপে। আমি একা। হাত তুলে দিলাম উপরের দিকে। চোখ বন্ধ। তীক্ষ্ণ ফলার মতো আছড়ে পড়ল সব বিন্দু।'
অসাধারন আর ও কিছু লাইন আছে লিখাটায়
খুব, খুব ভালো লেগেছে তাপসদা।

তাপস শর্মা এর ছবি

ধন্যবাদ বন্দনা। হাসি

হুম। একটা কথা শুনলাম, বইমেলা থেকে আপনি এত্ত বই কিনেছেন যে অনেকেই কান্নাকাটি জুড়ে দিয়েছে।
একদিন তো খোকাও( কৌস্তভ) কান্নাকাটি করছিল। দেঁতো হাসি

আশালতা এর ছবি

সুন্দর লেখা। চলুক

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

তাপস শর্মা এর ছবি

তুমি ধইন্যাপাতা নেও। এরপর আর তোমার লগে কথা নাই। তুমি তোমার সব নাতি নাতিনরে বই কিনে বিলিয়ে যাচ্ছ। আর আমি বললেই তোমার মুখে রা'ও নেই। মন খারাপ

কাজি মামুন এর ছবি

কত সহজেই না মানুষ একে অপরের কাছে পৌঁছে যায়। অথচ সে আর এখন পারে না মানুষের কাছে যেতে।ডড পথের নামে ওৎ পেতে থাকে আসলে কিছু ফাঁদ। ব্ল্যাকবেরির আড়ালে ঘুরে বেরায় দূরত্বেরা।

অসাধারণ এই কথামালা! কবিতার মতই আমাদের বোধকে নাড়া দিয়ে যায়! বিশেষ করে 'ব্ল্যাকবেরির আড়ালে ঘুরে বেড়ায় দুরত্বেরা' আমার কাছে অদ্ভুত সুন্দর লাগল!

ঝিঝি পোকার ডাক আজ বড্ড প্রবল। অনেক কিছুই মনের অলিন্দে ঘোরাফেরা করছে আজ। হঠাত একটা বিকট বাজ পড়ার শব্দ হল। হুট করেই বিদ্যুৎ গায়েব। কি হল? আবার বাতাস এর শব্দ। জালানাটা খুলে দেখলাম বাইরে ভীষণ অন্ধকার। আকাশে একটা তারাও নেই। চাঁদ গায়েব। তাহলে আবার আসছে...... মনটা আবারও প্রসন্ন হয়ে গেলো। জাস্ট দশ মিনিট। তারপর আবারও ঝুপ করে টাপুর টুপুর শব্দে জল নেমে এলো আমার শহরে। এখনো ঝরছে...

ওহ! ঘুম পাড়িয়ে দিবেন দেখছি! মফস্বল শহর, বাজ, অন্ধকার আর টাপুর টুপুর জলের শব্দ- মনকে নিয়ে যাচ্ছে সুদূর অতীতের দেশে!
অসাধারণ পোস্ট!

তাপস শর্মা এর ছবি

জীবন এভাবেই বয়ে যায়।

শুভেচ্ছা। হাসি

ফাহিম হাসান এর ছবি

বেশ নাড়া দিল লেখাটা

তাপস শর্মা এর ছবি

শুভেচ্ছা রইলো ফাহিম ভাই। হাসি

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

[/qপ্লীজ ফিরিয়ে দাও সেই শৈশব।uote] স্মৃতিগুলি বড্ড জ্বালাতন করে।

তাপস শর্মা এর ছবি

সব কেমন করে জানি পাল্টে যায়। খুব দ্রুত। মন খারাপ

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

গুরু গুরু কতদিন এইভাবে বৃষ্টি দেখিনা। মন খারাপ

তাপস শর্মা এর ছবি

এবারের বৃষ্টিতে ভিজবেন নিশ্চয়ই। হাসি

শুভেচ্ছা।

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

ঝুপ করে টাপুর টুপুর শব্দে জল নেমে এলো আমার শহরে। এখনো ঝরছে...

ঝরছে বৃষ্টি, মিষ্টি আবেশ ছড়িয়ে...
ঝরুক। চলুক

তাপস শর্মা এর ছবি

ঝরুক। আসুক নতুন ডাক নিয়ে। হাসি

শুভেচ্ছা।

guest writer এর ছবি

ধূসর গোধূলি আপনাকে যেভাবে কুৎসিত ভাষায় আপনাকে আক্রমণ করেছে তার পরও আপনি এই ব্লগে আসছেন,লিখছেন সেজন্যইতো আপনাকে কোটি কোটি প্রণাম।
আর এত সুন্দর লেখা তখনিই লেখা যায়,যখন সেই সুন্দর মনটা থাকে।এই মনটা নিয়েই বেঁচে থাকুন আমদের মাঝে।
লেখায় পাঁচ তারা।
ভাল থাকুন।

তাপস শর্মা এর ছবি

মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ - guest writer ।

প্রথমেই বলে নেই, অনেকটা অফ টপিক মন্তব্য করেছেন আপনি। তবুও যেহেতু বলেছেন তাই এত উত্তর দিচ্ছি। সচলায়তন একটা বৃহৎ পরিবার। এখানে অনেক হাসি কান্না জড়িয়ে আছে। গত এক বছরে এখান থেকে এত ভালোবাসা পেয়েছি, এত ভালো সময় কাটিয়েছি যে একজনের কোন কথায় এতটা ভাবিনা। যদিও এখনো আমি উনার লেখা পড়ি। কেননা উনি যা আমাকে ব্যাক্তি হিসেবে বলেছিলেন তা ভুল ছিল। উনি আমাকে যাই বলেছেন, তাতে কি আমার খারাপ লাগেনি? লেগেছে বৈকি। খুবই খারাপ লেগেছিল। কিন্তু তাই বলে সচলায়তনে লিখব না , তা কি হয়। এই ব্লগে প্রথম দিকে আমার একটা মাত্র কমেন্টকে নিয়ে আমার অনেক খারাপ সময় কেটেছে। আমি বলছি যে সেটা সত্যিই আমার ভুল ছিল। কিন্তু আমি তখন যে এপ্রোচ এ মন্তব্যটা করেছিলাম সেটা ছিল আমার তখনকার অবস্থান। পরে অনেক অনেক বার আমি এর ব্যখ্যা দিয়েছি। হয়তো কেউ বুঝেছে, হয়তো কেউ বুঝেনি। হয়তো উনিও একদিন বুঝবেন ঠিকই।

সচল আমার ভালো লাগার জায়গা। এখানে আছি।

আপনাকে শুভেচ্ছা।

তারেক অণু এর ছবি

চমৎকার লাগল তাপস দা, শুরুটা এত মনছোঁয়া আপন আপন হয়েছে !
আসব তোমার শহরে, কিন্তু বাপু আমার হাফ প্যান্টের পিছনে লাগা বাদ দাও দিকি দেঁতো হাসি

তাপস শর্মা এর ছবি

থ্যাঙ্কু।

আসবে বৈকি, অবশ্যই আসবে। হাসি

আচ্ছা। হাফ প্যান্টের জায়গায় লুঙ্গি হলে চলপে? আমার কোন দোষ নাই, উদা ভাই হুদাই আইডিয়া দিয়া দিছে। নইলে আমি কি আর হে হে খাইছে

মৌনকুহর এর ছবি

প্লীজ ফিরিয়ে দাও সেই শৈশব।

নস্টালজিয়া বড় খারাপ জিনিস রে ভাই মন খারাপ

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

তাপস শর্মা এর ছবি

হুম। ঠিক।

দময়ন্তী এর ছবি

বেশ লাগল|

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

তাপস শর্মা এর ছবি

ধন্যবাদ দিদি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।