বইমেলার সাতকাহন। আগরতলা বইমেলা – ২০১২

তাপস শর্মা এর ছবি
লিখেছেন তাপস শর্মা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৭/০৩/২০১২ - ৯:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অবশেষে ফিরে এলাম। বই এর গন্ধ শরীরে জড়িয়ে। সেই কবে প্রথম দেখা বইমেলা। আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে দাদুর হাত ধরে। সেই সময় বইমেলার বয়সও শিশুর মত। আজ ২০১২-তে এসে বইমেলা ৩০ বছরের যুবক। উচ্ছল, প্রাণ চঞ্চল। আমার প্রিয় আগরতলা বইমেলা। এই বছর শুরু হল ২৯ ফেব্রুয়ারী থেকে।

সস্তা রাজনৈতিক বক্তব্যের কচকচানি, বসন্তের পাতা ঝরা উল্লাস, উত্তুরে হাওয়ার তীব্র আক্রমণ, রুখু-সুখু গাছের রঙ বেরঙের ফুলের ঘ্রাণ সব কিছুকেই ছাপিয়ে যায় বই এর গন্ধ। শুধু ভারতেরই নয়, মনে হয় এই পৃথিবীতে যতগুলি ছোট্ট পরিসরে বইমেলা হয় এর মধ্যে আগরতলা বইমেলা অন্যতম। এইবারের মেলায় স্টলের সংখ্যা মাত্র ১৪২টি। এই রাজ্যে প্রকাশকদের অবস্থা সত্যিকারের অর্থে সেই রকম নয়। প্রোফেশন্যাল লেখক ও প্রকাশক এর সম্পর্ক এখানে প্রায় নেই বললেই চলে। এটাই চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। লেখক লিখে যান, প্রকাশক ছেপে যান। কোন পাঠক বই কিনেন তো লেখক নিজেই তার বই পরিচিতদের মধ্যে বিলিয়ে দেন।

IMG_7465

ছোট্ট পাহাড়ি রাজ্য আমার ত্রিপুরা। ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের একেবারে দুর্গম অংশে এর স্থান। বলাই বাহুল্য যে দেশের অন্য সব বড় বড় বইমেলায় যেমন সব বড় বড় পাবলিশাররা স্টল নিয়ে যান এখানে তা হয়না। মূলত বাঙলা ভাষাভাষি অঞ্চল বলে বাঙলার ( ব্যাপক অর্থে পশ্চিমবঙ্গের ) প্রকাশকরাই এখানে বেশী আসেন। তবে সবাই নয়। প্রতিবেশী রাজ্য আসাম থেকে দু’একটি স্টল আসে। আর প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে বড়জোর একটি কি দুটি। এই নিয়েই আমার আগরতলা বইমেলা।

গত দশ বছরে এমন খুব কম দিনই গেছে যে আমি প্রতিদিন বইমেলায় যাইনি। এই বছর তার ব্যাতিক্রম। বইমেলা শুরু হয়ে গেছে। অথচ আমি যেতে পারছি না। বাড়িতে বসে বসে ভীষণ মন খারাপ হচ্ছিল। অবশেষে গেলাম, তিন দিন কাটালাম এবং ফিরে এলাম। চার এবং পাঁচ মার্চ বইমেলায় কাটিয়ে ছয় মার্চ ফিরে এলাম। আনলাম কিছু বই, হল অনেক আড্ডা। আজ প্রথম দিনের গল্প বলব।

IMG_435544

গাড়িটা আগরতলা পৌঁছাতেই মনটা যেন উড়ে বইমেলায় গিয়ে পৌছাল। ছোট এক ভাই বাসস্টেণ্ডে পিকাপ করতে এসেছিলো। তাকে সঙ্গে নিয়েই সোজা রওনা দিলাম মেলার দিকে। তখন বেলা চারটা। বইমেলা খুলে গেছে বিকেল দুটোর সময়ই। রাস্তায় বিশ্রী জ্যাম। মনটা কর্কশ হয়ে গেলো সামনের দিকে দেখে। জ্যামের কারণ মা-কালী। ভগবানকে নিয়ে বিসর্জন দিতে যাচ্ছেন তার ভক্তকুল, তাও মাঝ রাস্তা ধরে। ট্রাফিক নাজেহাল ভক্তদের সামলাতে। সব গাড়ি আটকে আছে। আর ভক্তরা নানা অঙ্গ ভঙ্গি করে নৃত্যায়নে ব্যস্ত এবং কালীর মূর্তি বাহক গাড়ি কচ্ছব গতিতে রাস্তায় মাঝ বরাবর চলছে। চুপচাপ ঝিম মেরে বসে রইলাম। মনের মধ্যে হাজার বোল্টের তিক্ততা নিয়ে আধ ঘণ্টার রাস্তা প্রায় পৌনে দুই ঘন্টায় অতিক্রম করে বইমেলায় পৌছালাম।

IMG_98764

IMG_9876

IMG_634432

IMG_98762

IMG_63443

রবিবার, তাই ভীড় প্রচন্ড। রাজধানীর শিশু উদ্যানের এই অংশটি বইমেলার পক্ষে আদর্শ স্থান। গেটের মুখেই অনেক পরিচিতদের সঙ্গে দেখা হয়ে গেলো। সন্ধ্যা প্রায় নেমে এসেছে। সারা দিনের সফর এবং একটু আগের তিতা অভিজ্ঞতায় একটু চা এর দরকার ছিল। তাই লিটল ম্যাগ চত্বরে চা’আড্ডায় মশগুল হয়ে গেলাম। একটু পরেই সব বন্ধু এবং পরিচিতরা একে একে আসতে শুরু করলেন। ঠিক করেই এসেছিলাম যে আজ বই কিনব না, আজ শুধু আড্ডা। কেননা একে রবিবার, তাও এসেছি সন্ধ্যার পর, তাই এই হুজুগে বই কিনব না। আড্ডা দিতে দিতে মোটামোটি অনেক সময় কেটে গেলো। সবার সাথে হাই-হ্যালো এবং কুশল বিনিময় করতে করতেই অনেক সময় কেটে গেলো। এই ফাঁকে একবার গোটা বইমেলার চক্কর মেরে এলাম। দু’একটি নতুন স্টল চোখে পড়ল। হথাত এক দাদা বলল, উনি একটি বই কিনেছিলেন গতকাল। বললেন সেই বইটি যেন আমি কিনি। কি আর করা যায়। যদিও ঠিক করেছিলাম আজ বই কিনব না, তবুও সেই বইটি কিনে ফেললাম। সেইদিন আমার একমাত্র কেনা বইঃ ‘এতোয়া মুন্ডার যুদ্ধজয়’ – মহাশ্বেতা দেবী [ প্রকাশক - এন.বি.টি]। এইভাবেই ধীরে ধীরে নয়টা বেজে গেলো এবং কয়েক দফা পান আড্ডা, চা আড্ডার শেষে ছোট ভাই এর ফ্ল্যাট এর দিকে রওনা দিলাম। ততক্ষণে বইমেলার আলো এবং ঝাঁপ পরতে শুরু করেছে।

------------------------

প্রথম কেনা বইটিই প্রথম পড়ে শেষ করলাম আজ। মহাশ্বেতা দেবীর ‘এতোয়া মুন্ডার যুদ্ধজয়’। সম্পূর্ণ বাস্তব এবং তথ্য নির্ভর এর বইটি আমাদের নিয়ে যায় অন্য এক ছায়ার জগতে। পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার হাতিঘর গ্রামের এক হতদরিদ্র কিশোরের যুদ্ধজয়ের কাহিনী ‘এতোয়া মুন্ডার যুদ্ধজয়’। কাহিনীর নায়ক এতোয়া দুই বছর বইয়েসেই এতিম। মা বাপ হারা এই শিশুটিকে আপন করে নেয় তার দাদু মঙ্গল। কাহিনীর মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল সাঁওতাল, ডোম, মুন্ডা – ইত্যাদি শ্রেণীর আদিবাসীদের জীবনযাত্রাকে তুলে ধরা। প্রতিটি অধ্যায়েই তাদের জীবনসংগ্রামের চিত্রপট পাওয়া যায়। তাদের সংস্কার, পরম্পরা পাশাপাশি দুর্গম অঞ্চলে তাদের জীবন সংগ্রাম এবং শোষণ – সবই বইটিতে ক্ষুদ্র পরিসরে তুলে ধরেছেন লেখক। গাছ তাদের মা, জঙ্গল তাদের বাপ।

IMG_64550

এতোয়া মুন্ডার দাদু মঙ্গল তার ছেলেকে স্কুলে পড়াতে পারেনি বলে নিজের নাতির মধ্যে সেই স্বপ্ন দেখে। এতোয়া তার দাদুর কাছ থেকে শুনে বীর সাঁওতাল বিদ্রোহের কথা, যুদ্ধের কথা, এবং তাদের মুন্ডা সম্প্রদায়ের নায়ক বীরসা মুন্ডার কথা। যাকে এই সমাজ ঈশ্বরের মর্যাদা দেয়। সাত বছর বয়েসে স্কুলে যেতে শুরু করে এতোয়া। সে জঙ্গল ভালোবাসে, ভালোবাসে তার আপনজনদের। মোষের পিঠে চড়ে এতোয়া যখন বাঁশি বাজাতে বাজাতে বনে বাঁদরে ঘুরে বেরায় তখন সে বাতাসের সাথে কথা বলে। ওর পিঠে সবসময় একটা বস্তা থাকে। যা কুড়িয়ে পায় তাই এটার মধ্যে জমা করে সে। এটাই তার অবলম্বন। শীতের সময় এই বস্তা তাকে উষ্ণতা দেয়। গরীবী মানুষের প্রতিটি স্বপ্নকে কিভাবে কুঁড়ে কুঁড়ে খেয়ে ফেলে তার নিদারুণ বর্ণনা আছে এই আখ্যানে।

এতোয়া যুদ্ধের স্বপ্ন দেখে। কিন্তু সেই যুদ্ধের কথা স্কুলে বলা হয়না। কিন্তু এতোয়া জানে যুগ যুগ ধরে তাদের জাতি এই সমাজ ও সভ্যতার সাথে যুদ্ধই করে যাচ্ছে। সমাজ তাদের ‘অভদ্র, ‘অসভ্য, ‘মূর্খ-জংলি’ সম্বোধন করে। এভাবেই একদিন এতোয়ার সকল স্বপ্ন মাটিতে মিশে যায় যখন তার দাদু মঙ্গল ভয়ানকভাবে জখম হয়ে যান। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। আর এতোয়াকে ছাড়তে হয় স্কুলের স্বপ্ন। সে গ্রামের বড় লোক (যে নিরীহ আদিবাসীদের কর্তা) মোতিবাবুর জন্য কাজ করতে শুরু করে। এই ভাবেই জীবনযুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রাম করে যায় এই ক্ষুদ্র বালক। দাদু ফিরে এসে নাতিকে এই অবস্থায় দেখে নিজেকে ধিক্কার দেন। কিন্তু কি করবেন, নিজেও এতটা বৃদ্ধ হয়েছেন যে বাঁচতে গেলে যে দানার ব্যবস্থা করতে হবে তাও করতে পারেন না। এভাবেই দিন কেটে যায়, এতোয়া তবুও স্কুলে যাবার স্বপ্ন দেখে, কালো অক্ষর তাকে ডাকে। এইভাবেই একদিন স্কুলের সাঁওতাল মাস্টার গ্রামের মধ্যে জানান যে একমাত্র অশিক্ষার জন্যই তাদের এই হাল। তিনি নিরন্তর অনুরোধ করেন ছেলেমেয়েদের বেগার খাটার কাজ থেকে এনে স্কুলে পাঠাতে। কিন্তু এটা কি করে সম্ভব। স্কুলে গেলে খাবে কি? কিন্তু এতোয়া প্রতিজ্ঞা করে সে যাবেই যাবে। এবং মোতিবাবুর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সে স্কুলে যেতে শুরু করে এবং বৃত্তি পায়। এখানেই কাহিনী শেষ। অনেক বিস্তারিত আছে কাহিনীতে। একটা কাহিনী যা এতোয়াকে টানত তা হল তাদের জাতির মহান নেতাদের যুদ্ধ। তীর ধনুক নিয়ে ওরা বন্দুক কামানের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। কিন্তু এতোয়া কোন হাতিয়ার ছাড়াই একটি যুদ্ধে জিতে গেলো।

বইটির অন্যতম বিশেষত্ব হল আলোকচিত্র। কাহিনীর পাশাপাশি এতোয়া মুন্ডার ছবি, তার দাদুর ছবি, পাশাপাশি সেই গ্রামের নানা হালচিত্র ক্যামেরা বন্দী করেছেন রবিকান্ত দ্বিবেদী। লেখিকাকে সাধুবাদ দিতে হয় এমন একটি সরল কাহিনিকে সরলভাবে উত্থাপনের জন্য। ভাষা একেবারেই ঝরঝরে। বিশেষত এখনকার সমাজ ব্যবস্থায়ও এই শ্রেণীর মানুষদের জীবন কোন জায়গায় থমকে আছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। ...... আর ফলশ্রুতি মাওবাদ, উগ্রপন্থা – এইগুলি আর আলোচনায় নাইবা আনলাম কেননা এগুলি এই বইএর বর্ণিতব্য বিষয় নয়।

--------------------------------

[আগামী পর্বে দ্বিতীয় দিনের গল্প বলে শেষ করব]

==============================================

আমার শহর।

মার্চ। ০৭। ২০১২ ।


মন্তব্য

কাজি মামুন এর ছবি

কিন্তু সেই যুদ্ধের কথা স্কুলে বলা হয় না

কিন্তু এইসব যুদ্ধের এক অক্লান্ত ধারাভাষ্যকার মহাশ্বেতা দেবী। সমাজের একেবারে অবহেলিত মানুষের দ্বারপ্রান্তে আধুনিক পাঠককে নিয়ে যাচ্ছেন উনি; চিনিয়ে দিচ্ছেন এক অচেনা দুনিয়াকে! এইসব কালজয়ী লেখার জন্যই মহাশ্বেতা দেবী বাংলা সাহিত্যের জন্য দ্বিতীয়বারের মত বয়ে আনতে পারেন নোবেল সন্মান, অনেকের মতে।
তাপসদা, ভাল লেগেছে পোস্ট। আর মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ কিছু লিখলে খুশী হব।

তাপস শর্মা এর ছবি

ধন্যবাদ।

লিখব পরের পর্বে। একটি মাত্র প্রকাশনী এসেছিল। তাদের বইগুলিও খুব বেশী ভালো লাগেনি আমার। তবে আমি যা বই কিনেছি তাদের নিজস্ব প্রকাশনার নয়, ওরা এনেছিল।

তারেক অণু এর ছবি

চলুক (গুড়)

তাপস শর্মা এর ছবি

ধন্যবাদ ভায়া। কোলাকুলি

সত্যপীর এর ছবি

পোস্ট উত্তম জাঝা!

..................................................................
#Banshibir.

তাপস শর্মা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ পীর ভাই।

শুভেচ্ছা। হাসি

পুেপ এর ছবি

আপনার লেখা বরাবর ই ভালো পাই।
আজ আপনি ত্রিপুরা থাকেন জেনে বেশি ভাল লাগলো।
ত্রিপুরার প্রতি আমার অদ্ভুত রকম ভাললাগা কাজ করে,
প্রথম আলো পরার সময় মনে হত আমি ত্রিপুরা রাজবাড়ির কেউ,
রাজবাড়ির লোকজন হতে শুরু করে স্বামিজি,নিবেদিতা সবাইকে আমার পরিচিত মনে হত।
আজব রকম অনুভুতি বুজানো যাবেন।

তাপস শর্মা এর ছবি

আপনার ভালো লাগে জেনে আমারও ভালো লাগল।

আর অনুভূতিগুলি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ত্রিপুরায় এসেছেন কখনো?

শুভেচ্ছা। হাসি

পথিক পরাণ এর ছবি

পুরো লেখাই সুন্দর, বিশেষ করে মহাশ্বেতা দেবীর বইয়ের পাঠটুকু। বই মেলার কথা শুনলেই নতুন নতুন বই কিনতে আর পাইতে মুঞ্চায়---

-----------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ---

তাপস শর্মা এর ছবি

মনের কথা বললেন। পুরোটা বইমেলাই উঠায়া নিয়া আইতে মঞ্চায়।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

ভাল লাগলো, পান আড্ডা, চা আড্ডা আর বই মেলা।

তাপস শর্মা এর ছবি

এই তো বইমেলা।

ধন্যবাদ কবির দাদা। হাসি

তৌফিক জোয়ার্দার এর ছবি

এত ঝরঝরে লেখা, হিংসা হয় এমন লিখতে পারিনা বলে। অনেক ভাল লাগল। ত্রিপুরা আমার কাছে কেমন যেন রহস্যময় আলোআঁধারির অঞ্চল হয়ে রয়েছে। ওটা যে বাঙ্গালিপ্রধান রাজ্য তা-ই জেনেছি অনেক দেরিতে (৫/৬ বছর আগে)। আপনার লেখার মধ্য দিয়ে ত্রিপুরাকে দেখার চেষ্টা করছিলাম- বালকরা যেমন উঁকি ঝুকি মেরে ডানে বামে কাত চিৎ হয়ে রাস্তার পাশের সাপুড়ে বা বানরের খেলা দেখার চেষ্টা করে সেভাবে। ঘুরতে যেতে হবে কখনো।

তাপস শর্মা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।

চলে আসেন যেকোন দিন। ত্রিপুরা আপনাকে নিরাশ করবে না হাসি

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি
তাপস শর্মা এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।