বাঙালঃ মুখের ভাষা – ০১

তাপস শর্মা এর ছবি
লিখেছেন তাপস শর্মা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৬/০৬/২০১২ - ১০:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার কিচ্ছু হৈত না…… এইডা কি হুদাই আবেগের বশে বলা ? উঁহুঁ। আমি জানি যে আমার কিছুই হৈত না। বলা নাই কওয়া না এই ছোট্ট জীবনডাতেই যত ভুল সিদ্ধান্ত নিয়া ফেলছি এগুলি শোধ্রাইতেই বাকি জীবন শ্যাষ হয়া যাইব।

জাউজ্ঞা ফাউল কতা কয়া আর লাভ নাই। কাজের কতা কই। হুম। এতক্ষণে নিশ্চয়ই পাঠকরা ভাবতে বসেছেন যে আমি এই কোন ভাষায় লিখতেছি। আজ্ঞে এইডা আমার মুখের ভাষা। আইজ এই ভাষাতেই লেহুম। আসলেই মাথা আউলা হইয়া আছে। প্রমিত ভাষায় কতা কিংবা লেহালেহি কত্তেহৈব এই দিব্বি কি কেউ দিয়া রাখছে নাকি। আসলে আমি ঠিক কোন অঞ্চলের ভাষা কই আমি নিজেই জানিনা। ক্যান? হে হে এর কারণ অনেক গভীরে আছে। আমার দাদু, বাপ, কাকারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ, আমার ঠাম্মা বরিশাইল্যা, মা আমার কুমিল্লার মানুষ, আমার মায়ের বংশের অনেকেই আছেন সিলেট আর নোয়াখালির। এইবার হৈছেডা কিতা এই সব মিল্লা আমার এক্কেরে জগাখিচুড়ি হইয়া গ্যাছে।

পড়াশুনায়, কাজেকম্মে ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে প্রমিত ভাষা কইতে হয়, এইটা বাস্তব সইত্য! কিন্তু এরপরের যে দুনিয়াডা খোলা আছে আমার লাইগ্যা সেইখানে আমি প্রমিত এর গুল্লি মারি। আসলে এইখানে কইয়া রাখি যে প্রমিত ভাষার প্রতি কুনো রকম অবজ্ঞা কিংবা প্যাঁচাল পিডনের লাইগ্যা এই পুস্ট নয়। আর যারা প্রমিত কয় হগল সময় হেতাগ প্রতিও আমার কোন সমস্যা নাই। ওরা অগো মুখের ভাষা কয়। আমার কিয়ের আপত্তি। মূল কতা অইল এইডা আমার কথা আমি কমু, আমার মুহের কতা আমি কমু। এতে কেউ ব্যাঙ্গ কল্লেই মাথাডা গরম হইয়া যায়। আসলে এখনো আমি ভালো শুদ্ধ মানে প্রমিত কইতে পারিনা। আঞ্চলিক টানটা আইয়া পড়েই। এরজন্য অনেককে অনেক জায়গায় বিব্রত হৈতে হৈছে, এমনকি অপমানিতও হৈতে হৈছে। একটা ঘটনা কই...

আমি তহন মাস্টার ডিগ্রী সেকেন্ড সেমেস্টার। আমাদের ভাইবা পরিক্কা! পুলাপান সব যে যার যেমনে বইয়া আছে! একটা একটা কইরা ডাকে, আর জবাই হৈয়া ফিরা আইয়ে। আমাগো গ্রুপ এর পোলাপান বরাবর ফাউল টাইপের। কুনো চিন্তা নাই লাড্ডু পাইলেও, এমন সব ভাব। সেদিনের ঘটনা। বন্ধু অনুপ, মানে অনুইপ্যা হঠাত সেই থানা ( সেই কক্ষডারে আমরা থানা কইতাম, আর আমরা কয়েদী ) থেইক্কা বাইর হৈয়া একটা গরম খিস্তি দিল পুরা ক্লাসের সামনে। আমি কইলাম, কিরে কিতা হৈছে, পুলাডার মন দেখি খারাপ। সে আমারে আরেকটা ডট দিল, এরপর, সেই সারের নাম এবং আরও তিনটা ডট, চতুর্থ ডটটা বলার মতো, হালারপুত... ইত্যাদি নানা পশুর পুত। কিন্তু ওর গালি থামেই না। অনেক্ষন পর দেখলাম আসলেই সেই খুব খারাপ পাইছে। নিশ্চয়ই ওরে সেই স্যার খারাপ কিছু কইছে। আমরা আর ওকে ঘাঁটলাম না। পরে নিজেই কইছে। আসলে ও নোয়াখালি মানুষ, প্রমিত কইতে ওর কোতানি ছুইট্টা যায়, ও একটা প্রশ্নের উত্তরে ‘চোর’ শব্দডারে ‘চুর’ কইছে। আর স্যার নাকি গম্ভীর গলায় সব স্যার ম্যাডামদের সামনে ওরে কইছে – ‘মাস্টার ডিগ্রী করছ, অথচ ঠিক মত একটা শব্দও উচ্চচাণ করতে শিখো নি।’ এরপর আরও গম্ভীর হৈয়া কয় – ‘ওটা ‘চুর’ নয়, ‘চোর’... এবং অবশ্যই স্যারের চোখেমুখে অনুপের প্রতি ভয়ানক অবজ্ঞা আছিল, বিদ্রুপ করেছিল ভয়ানক ভাবে। কেউ যদি একজনের প্রমিত ঠিক না করে কইতে পারার জন্য এহেন আচরণ করে তা মনে লাগে বৈকি, যতই হেই বেডা স্যার জাতীয় প্রাণী হৌক না কেন!! সেদিন অনুপের খিস্তির বন্যা সন্ধ্যার আড্ডা অবধি চলছিল। অবশ্যই এইডা তো আর কওন লাগেনা, অনুপের ইতাদিদের তালিকায় ছিল ওর জীবনেও না দেখা স্যারের সাত পুরুষ!

এমন আরও কত ঘটনা যে আছে জীবনে। তা কমুনে পরে। বরং আজকের ঘটনা কই...

আইজ দুপুইরা বেলা কি ভূতে পাইছিল আমারে সিনিমা দেখার ইচ্ছে হৈল। 'দেবদাস' দেখলাম। হিন্দি দেবদাস! ভাবলাম মদতিগো দেইখ্যা ইট্টু ইয়ে ইয়ে হমু! কই কিতা! শারুক্ষান এর ভয়ানক কে-কে-কে-কে দেইখ্যা পুরাই ফাউল হয়া গেলাম! ব্যাটা এত ওভার এক্টিং করে, বলদ! একবার উপন্যাসটা পইড়া নিতেন সঞ্জয় লীলা ভানশালি বাই! শরচ্চন্দ্র চাটুজ্যে বাইচ্যা থাকলে কাকু আমার শরমে কচু বনে যাইতেন!

মেজাজ খারাপ। ভাবলাম ইট্টু লুলালাপ করি বালিকার সনে! ওমা বালিকা দেখি কয় --
বালিকাঃ ঐ তুমি এত্ত ইয়ে ক্যান?
আমি ইট্টু ঢোক গিল্লা কই - ইয়ে মানে?
বালিকা দেখি ইতস্তত করে, ... আমিই কইলাম - কি? অ্যারিগেন্ট?
বালিকা কয়ঃ হ।
--লে হালুয়া। কই যে যাই। ইতিমধ্যে বালিকা গত মাসে, এই মাসে আরও কয়েকমাসের আমার সেই 'ইয়ে'র ফিরিস্তি দিতে লাগল।

আমি বিষম খাইলাম মনে মনে, হায় রে কি হৈত আর কি হয়! তাড়াটাড়ি ছাড়া পাওয়ার লাইগ্যা কইলাম - ইয়ে মানে, আমি ইট্টু হাগু’তে যামু। পরে কথা কই সুনা!

বালিকারা যে কত কথা মনে রাখে রে বাপ!! এখানে মনেও থাকেনা গত সপ্তাহে কি হৈছিল। ওরা তো সব কিছু হাতিয়ার সিসেবে ইয়াদ রাখে। যুদ্ধক্ষেত্রে প্রয়োগ করব বুইল্লা।

কি কমু আর দুক্কের কতা! তয় দুক্কের কতা কমু বুইল্লা সেই সিরিজ খুইল্লা বৈছি। যুদ্ধক্ষেত্রে বালিকাগো লগে লড়াই করা আর খোলা মাডে আস্তা ইয়াব্বর বলদ ( অবশ্যই শিং’অলা ) এর সাথে কুস্তাকুস্তি করা একই! বিশ্বাস হয়না? সচল স্রেস্ট সাহিত্যিক দলছুট এর কসম, হাসা কতা কৈতাছি। অনেকে তো প্রমিত কতা না কওয়াটাকে মহাভারত অশুদ্ধ করার মত মনে করেন। হুম। প্রিয় পাঠক আসেন, আইজকা ‘মহাবারত’ ( আমরা ত ‘মহাভারত’ও ঠিকঠাক উচ্চারণ কত্তে পারিনা )...
"যক্ষ বললেন – হে রাজা, মোহ কী? গর্ব কী? আলস্যের থেকে কী জানা যায়? শোকের থেকে কী প্রকাশ পায়?

যুধিষ্ঠির বললেন – নিজের কর্তব্যকে না জানার নাম মোহ। নিজের কথা বেশি ভাবাই গর্ব। নিজের কর্তব্য সঠিকভাবে পালন না করাই আলস্য। অজ্ঞানই শোক। "
-----------------------------
অবশেষে জনৈক মহান মানুষ যুধিষ্ঠির এর ভুল শোধ্রাইয়া দিয়া কহিলেন – হৈছেনা বস! আমনে কি আমাত্তে বেশী জানেন?

মোহ হল পেমিকাকে অধিক ভালবাসার ফলে সৃস্ট একটা জৈবিক আস্তরণ।

গর্ব হল সুন্দরী পেমিকার রুপ দর্শনে বিমোহিত হৈয়া নিজের ভাগ্যের উপর প্রসন্ন হওয়া আর মনে মনে আবৃতি করা - হে হে হে দেইখছেন্নি আমার পেমিকা কত সোন্দর!

সেই পেমিকার সঙ্গোপনে দিনরাত আবিস্ট হৈয়া সমস্ত কাজকম্ম, অফিস কাছারি মায় প্রাতঃকৃত ভুলিয়া থাকাটাই হৈল আলস্য!

পেমিকা একদিন দেখা করতে না আসলে গার্ডেনে বসে পেমিকা জ্ঞান করে ঘাস খাওয়াটাই হচ্ছে শোক!

অবশেষে যুধিষ্ঠির প্রসন্ন হয়ে গদগদ চিত্তে কহিলেন - হে পরমপুজ্য, সুপুরুষ, লুঙ্গি পরহিত ঋষি নন্দন আপনার পরিচয় দিন। আমি কৃতার্থ হৈ।

সেই মহান মানুষটি বলিলেন - হে ধর্ম-পুত্র আমার নাম দলছুট। এবং আমি সচলায়তন নামক একটা ব্লগে দুরাচারীদের হাতে বহিষ্কৃত। সাহিত্য চর্চার নিমিত্তে আপনার রাজ্যে আসিয়াছি।

যুধিষ্ঠির তাহাকে আলিঙ্গন করিলেন এবং দ্রৌপদির সহিত সাক্ষাৎ করাইবার নিমিত্তে প্রস্থান করিলেন।

এবং তৎক্ষণাৎ যক্ষ বাবাজি টলিতে টলিতে মূর্ছা গেলেন।
পেছন থেকে উপস্থিত জনতা চিক্কুর দিয়া ধনি তুল্লেন – হেইল দলছুট। হেইল দলছুট। ঐদিকে দ্রৌপদি ভাবি লাল’চা বানাইতে বানাইতে সেই আওয়াজ শুনলেন।

হে হে, আজ এইটুকু থাক। মহাবারতের পরের কাহিনী আরও পরে কমু।
আমাগো দেশের নেতারা এখন ওয়ান ডে মেচ খেলতেছেন : রাষ্ট্রপতির চেয়ার নিয়া। সোনিয়া ম্যাডাম গো ধইরা বইয়া রইছে উনার লবি লইয়া। এদিকে বিজেপির বেইল নাই, তবুও ওরা ফাল পাড়ে। যদিও এবার বাম দলের কোন কথা নাই, ওরা নিরব দর্শক। এদিকে মমতা দিদি উইঠা পৈরা লাগছে কি কইরা কেন্দ্রীয় কংগ্রেসরে চিপি দিতি পারে। দুই চাইরডা বৈঠক সাইরাও ফালাইছেন দক্ষিনের পার্টিগুলার লগে। কোন এক আনকোরা হরিদাস পালরে উনি চেয়ারে বসাইতে চান। ভালা কতা!
কিন্তু আসল কতা অইল একে ত আমাগো রাষ্ট্রপতি হৈলেন কলাগাছ। এর উপ্রে এর আশেপাশে এতডি গরু ঘুরলে পাতা অবশিষ্ট থাকব কী??

জয় হোক নেতাময় গাতার গণতন্ত্র!

ওহ! অনেক পেরপেরি দিছি। আমি হৈলাম পারফেক্ট বাঙালি। ঠিক কিনা। এক্কেরে জীবন, সংস্কৃতি, শাস্ত্রালাপ সাইরা রাজনীতিতে আইয়া ক্ষান্ত হৈছি।

যাইতে যাইতে কই। একবার এক মহামান্য ইয়ের সাথে আমার বেধুম লাইগ্যা গেছিল। আমারে অস্পষ্ট স্বরে গাইয়া ভুত কইছিল ব্যাটা। ঐদিন কইছিলামঃ
‘শুদ্ধ শব্দ বা বাক্যবন্ধে সম্পৃক্ত প্রমিত ভাষায়’ - কতা না কৈলে বুঝি মহাভারত অশুদ্ধ হয়া যায়! জন্মের পর যখন দুই চাইরডা ভাঙা ভাঙা কতা কই তহন থেইক্কাই এম্নে কথা কৈ! আমার মায়ে আমারে এম্নেই কথা কৈতে শিখাইছে, কথা এম্নেই কমু! সারা দুনিয়ার বাকি সব স্টাইলে কতা কওয়ার ক্ষেতা পুড়ি! আমি বাঙাল।

-------------------------
[ চইল্ব নি ? ]


মন্তব্য

মরুদ্যান এর ছবি

হেইল দলছুট!!! খাইছে খাইছে

হঠাৎ বেচারার উপ্রে এত ক্ষেপলেন ক্যান??? দেঁতো হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

তাপস শর্মা এর ছবি

হ। হেইল দলছুট দেঁতো হাসি

আরে চেতছি কুতায়! আমি ত মহামান্য দলছুটরে নিয়া এপিক লিখতেছি, মহাবারত। চোখ টিপি

কীর্তিনাশা এর ছবি

এই বাষায়ই লেহা চালাইয়া যায়ন বাইজান, পড়েত তো বালোই লাগে দেঁতো হাসি

আর দলচুডরে নিয়া মজা করছেন, এইর লইগ্যা আপনেরে দিক্কার !

চলুক

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

তাপস শর্মা এর ছবি

ইচ্চা আছে ভাইজান। দেঁতো হাসি

দলচুডেরে ইতিআস এর পাতায় ঠাই দিমুই দিমু খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

পইড়া মুনে অইলো- চাস্টলে বইয়া একখান রং চা(লালা চা না- খাইছে ) আতে নিয়া- আতি-গুরা মারতাছি...
আওয়া-বাসাত, ত্যাল বালো কইরা গারিতে বরুইন- চলবো...

কড়িকাঠুরে

তাপস শর্মা এর ছবি

হ। লালা চা খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্কে উপুকারী। গুরু দলছুড কইছে। খাইছে

ক্রেসিডা এর ছবি

"মহাবারত" ভালো লাগছে দেঁতো হাসি

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

তাপস শর্মা এর ছবি

থিঙ্কু। দেঁতো হাসি

সত্যপীর এর ছবি

মুখের কথায় লেইখা দিলেন এইবার প্রমিত বাংলায় সারাদিন কথা কন কালকে। উল্টাপুল্টা হউক শয়তানী হাসি

..................................................................
#Banshibir.

তাপস শর্মা এর ছবি

এ হে হে হেহ। দরকার না ঐলে কইনা। ফাপরে না পড়লে কুনু প্রশ্নই নাই। হাসি

kanu  এর ছবি

ভালো লাগলো।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।লিখে জাও''''''''''''''''''''''''এবারের শারোদি্য়া সনখা বের কোরবো;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;

তাপস শর্মা এর ছবি

আরে কানু মিয়া দেহি। অ্যাঁ কিতাঔ কৈত্তেইক্কা!!
কোলাকুলি আসো ভাইডি।

হ। একটা চেষ্টা দিমুনে। দেঁতো হাসি

শাব্দিক এর ছবি

দেঁতো হাসি

তাপস শর্মা এর ছবি

দেঁতো হাসি
আরে ইডা কিডা। কত্ত দিন পর য...... থাকেন কো??

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

লেখা ত হইছে জব্বর।
আর ওই কলা গাছ নিয়া যেইটা কইছেন না, ঐডা অ্যাক্কেরে ফাডাফডি।

হাততালি

তাপস শর্মা এর ছবি

থিঙ্কু ভাইডি। দেঁতো হাসি

উচ্ছলা এর ছবি

প্রাণের শহর বগুড়া গেলে আশেপাশে হরহামেশা 'মায়ের ভাষা' শুনতে পাই। আমি নিজেও অনর্গল আমাদের ডায়ালেক্টে সগৌরবে কথা বলতে থাকি হাসি যেমন ধরঃ "ট্যারাকেত্ কোর‍্যা ড্যারাম লিয়্যা জাচ্ছে" - (ট্রাকে করে ড্রাম নিয়ে যাচ্ছে)
অথবা,
"আলু ত আলু, অক্ ক্যা লিয়্যা আলু?!" - ( এলি তো এলি, ওকে কেন নিয়ে এলি?!)

তোমার পোস্ট পড়ে মজা পেলাম চলুক হাসি

তাপস শর্মা এর ছবি

থ্যাঙ্কস ম্যাডামজী। দেঁতো হাসি

তুমার কওয়া পতম কতাডা বুঝতাতছি কিন্তু। কি সুন্দর ভাষা!! হাসি

সাবেকা  এর ছবি

মজা পেলাম পড়ে । এই নিন আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তাপস শর্মা এর ছবি

আইচ্ছা! ধইন্যাপাতা নিয়া নিছি। হে হে দেঁতো হাসি

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

সিলেট এবং বরিশালে থাকাকালীন সেসব ভাষা ভাল ভাবেই বলতে পারতাম। ছোটবেলা থেকে যখন যে শহরে থেকেছি তখন সেখানকার ভাষাই রপ্ত করেছি। যেমন, রংপুর, বগুড়া, কুষ্টিয়া, যশোর, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং শেষমেষ ঢাকা। সেসব জেলার বন্ধুবান্ধব এখনও দু-চারজন করে আছে। তাদের সাথে দেখাসাক্ষাৎ হলে এক আজব ভাষায় কথা বলি। কারন সে সব অঞ্চলের ভাষা এখন আর ঠিক মত বলতে পারিনা তাই ভাষার ককটেল হয়ে যায়। জীবনে প্রমিত ভাষার ব্যবহার কতখানি ? যৌবনে এক মেয়ের সাথে প্রমিত ভাষায় কথা বলাতে, মেয়েটি উক্তি করেছিলো, 'ও বাব্বা, এযে দেখি বইয়ের ভাষায় কতা কয়।'
যাইহোক লেখেন, অনেক অনেক লেখেন তা সে যে আঞ্চলিক, কথ্য যে ভাষাতেই হোক, লেখা বোধগম্য ও সুখপাঠ্য হলে আর কোন কথা থাকেনা।

তাপস শর্মা এর ছবি

হ দাদা, হেইডাই আসল কতা! হাসি

কৌস্তুভ এর ছবি

এই পোস্টের বিষয় যে বিতর্ক তার সবচেয়ে উপযুক্ত মন্তব্য: "সাইলেন্স, আই কিল ইউ!"

তাপস শর্মা এর ছবি

ঐ পোলা। তুমি আমারে মারবা ক্যান? চোখ টিপি

kanu  এর ছবি

কতা কইমু সময় আছে নি।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;

তাপস শর্মা এর ছবি

তো?? কথা কইবা তো এইখানে প্রেস রিলিজ দিয়া জানাইতেছ নাকি? ধুর মিয়া! আজব'রে ভাই। কতা কইলে ফোন দিও, এই তো!!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।