ঠেলাকাকা ও একটি নোবেল

তাপস শর্মা এর ছবি
লিখেছেন তাপস শর্মা [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১৪/১০/২০১২ - ১১:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কোন এক মনোহর বৈকালের ঘটনা, হ্যাঁ; ঠিক কবেকার সংযোগ তাহা মনে নাই। তবে সেই দিনটি বড্ড মনোহর ছিল। আমাদিগের সহিত ঠেলাকাকার পরিচিতি ঘটিয়াছিল তাহা স্মৃতির পাতা ঝাড়িয়া বাহির করিতে পারি না আপাতত। তবে দিনটি মনোহর ছিল উহা মনে করিতে পারি। কেননা কাকার কুষ্ঠির নাম মনোহরপ্রসাদ বিশ্বাস এবং পরিচিতিকালে কাকা ঐ নামেই নিজের গুণকীর্তন করিয়াছিলেন। তবে সামান্য কাল অতিবাহিত হওয়ার পর কাকা আমাদিগের আড্ডায় থিতু হইলে স্কন্দ হইতে আসল পরিচিতি ঘুচিয়া গিয়া কাকার নব পরিচিত হইল এবং সেই নামের মাহাত্ম গায়ে মাখিয়া কাকা আমাদের একজন হইয়া গেলেন সেই ঘটনারও পাঁচ বৎসর গত হইয়াছে

মফস্বল হইতে বদলির চাকুরি নিয়া আগরতলা শহরে আসিয়া আমাদের পাড়ায় একখানা বাটি ভাড়া করিয়াছিলেন ঠেলাকাকা। এবং সেই বাটির মালিকপক্ষ এই পাঁচ বৎসরে কম করিয়া পঞ্চাশবার কাকাকে উঠিয়া যাইবার নোটিশ ধরাইয়া দিয়াছে। প্রত্যেকবার বচসার মুখে – তুমাদের ঘরের ইয়েতে ইয়ে করি, আমি কালকেই যামু গিয়া, বলিয়া রণে ভঙ্গ দিলেও আজ অবধি তিনি এই বাটি ত্যাগ করেন নাই। আর কেন ত্যাগ করেন নাই সেই কারণ অন্বেষণ খুব কঠিন কর্ম নহে। এ পাড়ায় আসিয়া তিনি আমাদিগের মতো চ্যাংড়া ছ্যাঁচড়া বালকদের সাথেই অবস্থান করিতেন ও আমাদের সহিত উহার বিশেষ সখ্যতা গড়িয়া উঠিয়াছে। পরিবার ও চালচুলোহীন এই মানুষটির কাছে আমরাই আপনজন হইয়া উঠিয়াছিলাম

আগরতলা শহর প্রত্যেকদিন বদলায়। বদলাই না কেবল আমরা। স্নাতকোত্তর ডিগ্রী গ্রহণ করিয়াও আমরা যে কত জন বন্ধু বিশেষ কিছু উৎপাটন করিবার অভিপ্রায়ে কর্ম বিসর্জন দিয়া এযাবৎ পিতার অন্ন ধ্বংস করিয়া রাম নগর চার নম্বর এলাকায় স্বপ্ন ফেরি করিয়া বেড়াই; এই আমরাই কাকার সুখ দুঃখের সঙ্গী। আমাদের পাড়ার শেষ প্রান্তরে নবীন আহমেদের ঠেক। সকালে প্রাতভ্রমণরত ব্যাক্তিবর্গ থেকে শুরু করে দিন মজুর, দুপুরে আপিসের ঝিমিয়ে নেওয়া বাবুরা, বিকেলে সান্ধ্যভ্রমণরত কমন পাবলিক নবীন দাদার ঠেকে চা এবং গোল গোল আকৃতির নামহীন বিস্কুট এর স্বাদ গ্রহণ করিয়া থাকেন। আর আমাদের আড্ডাও ঐ এলাকাকেন্দ্রিকই হইয়া থাকে। সন্ধ্যা নামিয়া আসিলে নবীন দাদার বিশেষ সম্ভার আমাদের জন্য হাজির হয়। গঞ্জিকাটা রেগুলার না পাওয়া যাইলেও চোলাই এর ভরপুর আয়োজন থাকে। আর চাকুরীরত ঠেলাকাকার বদান্যতায় আমাদের ভালোই কালাতিপাত হয়

সারাদিন আপিসে কেরানিগিরি করিয়া বৈকালে বাটিতে ফিরিয়া হাত মুখ ধৌত করিয়া কাকা কালবিলম্ব করেন না। নবীন দাদার ঠেকে হাজির হন। আমরাও সারা দিন যে যেখানেই যা উৎপাটন করিনা কেন সন্ধ্যা নেমে এলে পাড়ায় হাজিরা দিতে বসে যাই

আজ আমার পৌঁছাইতে সামান্য লেট হইল। বাটিতে সামান্য ফরমাশ খাটতে হইয়াছে। এবং সেই সুবাদে বাজারে যাইতে হইয়াছে। পিতা আমার হুঙ্কার দিয়া বলিয়াছে – এইরুপে চলিতে থাকিলে অবিলম্বে তিনি আমাকে উনার গোলবাজাড় এর মুদির দোকানের গদিতে বসাইবেন। অবশ্য এই হুঙ্কার নূতন নহে। যদিও আমি উহাতে কক্ষনোই বিশেষ কর্ণপাত করিনা, তথাপি দিনকাল যা পড়িয়াছে, বাবার শাপ আমার হাত খরচ এবং ইন্টারনেটের বিল এর মধ্যেও আসিয়া পড়িতে পারে এই ভাবিয়া আমি সামান্য সতর্ক হইলাম

যাই হোক বাজার খরচ বাটিতে পৌঁছাইয়া আমি হাপাইতে হাপাইতে ঠেকে পৌঁছাইয়া দেখিলাম আজ আড্ডা এখনো বিশেষ জমে নাই। তবে ঠেলাকাকা যথা সময়ে উপস্থিত। চড়া আলোর একশ পাওয়ার এর বৈদ্যুতিন বাতিতে তিনি মনযোগের সহিত হ্যাপি-ব্যাজার পত্রিকায় বিগ-বাজার এর একটি বিজ্ঞাপনে স্বল্প বসনা মডেলকে অবলোকন করিতেছিলেন। আমাকে দেখিয়া পত্রিকা হইতে সামান্য মুখ তুলিয়া চাহিলেন এবং পুনরায় বিজ্ঞাপনে ডুবিয়া গেলেন। আমিও বাজার করিয়া এবং হন্যে হয়ে এই শেষ প্রান্তরে ছুটিয়া আসিয়া সামান্য ক্লান্ত ছিলাম। তাই একখানা মোড়া টানিয়া বসিয়া পড়িলাম এবং পকেট হইতে একটা চারমিনার ধরাইলাম

কিছুক্ষন পর ঠেলাকাকা পত্রিকা হইতে মুখ নামাইয়া হাতের নিভে যাওয়া হরিমোহন বিড়িটা ফিলিয়া দিয়া আমার সম্মুখে অঙ্গুলি প্রসারিত করিয়া দিলেন। প্রায় শেষ হয়ে যাওয়া চারমিনারটা উনার আঙ্গুলের মধ্যে গুঁজিয়া দিয়া চাহিয়া দেখিলাম ঠেলাকাকার চোখে খানিকটা রসবোধ জন্মিয়াছে। আমি রসের আভাস পাইলাম, যেহেতু কিঞ্চিৎপূর্বে তিনি বালিকার ছবি নিরীক্ষণ করিতেছিলেন। আমি কিছু বলিতে যাইব তার আগেই এতক্ষণের নীরবতা ভঙ্গ করিয়া ঠেলাকাকা আচমকা ঠা ঠা করিয়া হাসিয়া উঠিলেন

- আর কইয়া লাভ নাই। সব শালা এক্কেরে এখন উঠতে বইতে চিনা উড়াইতাছে, ঠেলাকাকা কহিলেন

আমি কিছুই অনুমান করিতে না পারিয়া কিছুক্ষণ আগের রস ভুলিয়া ফ্যাল ফ্যাল করিয়া কাকার মুখ মণ্ডলের দিকে তাকাইয়া রইলাম। সামনের দুটি বাঁধানো দন্ত জিভের অগ্রভাগ দিয়া ঠেলিয়া দিয়া কাকা মুখ খুলিলেন আবার – কি হইল কিছু বুঝ নাই?

আমি মাথা নাড়িয়া কহিলাম – না বুঝি নাই

কাকা আমাকে হ্যাপি-ব্যাজার পত্রিকার একটি পৃষ্ঠা ধরাইয়া দিয়া কহিল – নে পড়। আমি পৃষ্ঠা ধরিয়াই বিজ্ঞাপনের লাস্যময়ী স্বল্প বসনা ললনার দিকে দৃকপাত করিলাম। কাকা একটা ঝাড়ি মারিয়া কহিলেন – বলদের গাবুর মাইয়া না, মাইয়ার ঠ্যাঙের নীচে যে আর্টিকেল আছে ঐডা দ্যাখ।

লজ্জামুখে আমি তাড়াতাড়ি ললনার উপর হইতে নীচে নামিয়া আসিলাম। দেখিলাম হেড লাইনে বোল্ড অক্ষরে লেখা, একেবারে চার কলামে – চীনের বিজয় রথে নূতন পালকঃ মো ইয়েন/ সাহিত্যাকাশের ধ্রুব তারা। নিচে প্রাবন্ধিকের নাম দেখে চমকে উঠিলাম। লেখক – শাখামৃগ গাঙ্গুলী

কাকা বলিলেন – কি বুঝলি?

আমি কিছু বলিতে যাইব এমন সময় ঘণ্টু আর টুবলা ঠেকে প্রবেশ করিল। একটা ফচকে স্বভাব আছে টুবলা’র। ঠেকে ঢুকেই আমার হস্তে প্রায় আঁচড় মারিয়া কাগজটা কাড়িয়া লইল সে। নিয়েই সামান্য কটাক্ষ করিয়া অকস্মাৎ - অরিব্বাস! কি মাল। এতক্ষণ কলাচর্চা হইতাছিল নাকি কাকা?

কাকা একটা কাঁচা খিস্তি করিয়া উঠিলেন – বেলাজের বেলাজ, শুয়োর কোনহানের, মাইয়া ছাড়া আর কিছু দেখস না? এই বলিয়া তিনি পত্রিকাটি উদ্ধার করিয়া আমার হস্তে পুনরায় সমর্পণ করিলেন।

আমি বিজয়ী ভঙ্গিতে টুবলার প্রতি কটাক্ষ করিয়া হাসিমুখে ঠেলাকাকার দিকে একটা চারমিনার বাড়াইয়া দিলাম। ধোঁয়া ছাড়িয়া কুণ্ডলী পাকাইয়া আয়েস করিয়া বসিয়া কাকা বলিলেন – তোরা তো উচ্চ শিক্ষিত জীব। নাম শুনছত কুনু সময় এই চিনা বেডার?

আমি বলিলাম – কাল খবরে দেখলাম। তারপর নেট ঘেটে সামান্য যা উদ্ধার করলাম। এর বাইরে আর কিছুই জানিনা। এই বেডা নাকি আবার চীনের লাল পার্টির কোন পদেও আছেন

ভুগোল বিশারদ ঘণ্টা এইবার নাক গলায় – অ। বুজ্জি। এই নিয়া কথা হইতাছে। সব হালার ঐ আমেরিকার দাদাগো মেরামতি। হালার ফ্যাসিবাদীর দল। প্রথম দিন চীনে আইয়া ভারতের বিপক্ষে কথা কয়, আবার দুইদিন পর ভারতে আইয়া পিঠ বুলাইয়া কয় আমরা ভাই ভাই এরপর পঞ্চম দিনে পাকির দেশে গিয়া মুচরা দিয়া বন্দুক পাডায়। সপ্তাহের শেষে বাড়িত গিয়া বিবৃতি দেয় – এশিয়া খুব স্পর্শকাতর অবস্থায় ওখানকার দেশগুলি অর্থমন্দা আর দুর্নীতিতে জর্জরিত। বোকাচোদা পাইছ নাকি? সাপ, সাপ। হালার বিষাক্ত সাপ। সমস্ত শ্লেষ ও বিরক্তি ঢেলে দিয়ে নিজের বক্তব্য শেষ করে ঘণ্টা – এদের নিয়া আজাইরা সময় নষ্ট কইরা লাভ নাই। এরপর টুবলাকে বলে – বানা তো একটা

- বিড়ি নাই। টুবলা জানাইল

ঠেলাকাকা একটা হরিমোহন বিড়ি বাড়াইয়া দিলেন টুবলার দিকে। এই আলোচনায় টুবলার বিন্দুমাত্রও উৎসাহ নাই। সে গঞ্জিকার উপাদান বানানোর নিমিত্তে নিজেকে নিয়োজিত করিল। চারমিনায় আরেকটা টান মারিয়া ঠেলাকাকা বলিলেন – আরে উৎসাহ আমারও নাই। কিন্তু এই লেহায় যা লেখছে ঐডা পরে দ্যাখ। এরপর বাকি কথা কমুনে। হালার এইসব ফটকামি করতে করতেই বাঙালি... বজ্রমুষ্টি করিয়া পেছনের দিকে নাড়ানাড়ির ইশারা করিলেন কাকা

আমি প্রবন্ধ পাঠে নিজেকে নিমজ্জিত করিলাম। ঘণ্টা উৎসাহ পাইয়া বলিল – কাকা মোদ্দা কথাটা কও না

- খাড়া, খাড়া কইতেছি। এই বলিয়া তিনি সিগারেটে অন্তিম টান দিয়া হাঁক দিলেন, নবীন...

ডাক শুনিয়া নবীন দা একখানা পরিচিত সাদা বোতল এবং দুইখানা ফ্যাকাসে গেলাস দিয়ে চলিয়া গেলেন। আমি প্রবন্ধ পড়িতে লাগিলাম। একখানা বিড়ি ধরাইয়া কাকা এবং ঘণ্টা যখন এক রাউন্ড চোলাই আত্মসাৎ করিল তখন আমারও শাখামৃগ গাঙ্গুলীর প্রবন্ধ পাঠ শেষ হইল

আমি বলিলাম – শালা হিপোক্রেট

শুনিয়া কাকা দ্রুত গেলাসের ভেতর তরল চালান করিয়া আমার দিকে বাড়াইয়া দিয়া কহিলেন - মূলা যখন নুবেল পাইল সঙ্গে সঙ্গে বাংলায় তার পাঠক, অনুরাগী এমনকি অনুবাদকও গজাইয়া উঠল। প্রশ্ন হইতাছে এই 'মূলা' নুবেল পাওয়ার আগে এরা আছিল কই?

গঞ্জিকা বানানো শেষ করিয়া উহাতে অগ্নি সংযোগ ঘটাইয়া বেরসিক টুবলাও আলোচনায় যোগদান করিল – আর থাকব কই। এনারা এত্তদিন কনফুঁ-ফুঁ-ফুঁ শিখছিল। এইবার ইউটিলাইজ করব

গেলাসে লম্বা টান টানিয়া একটু ভিন্ন সুর নেয় ঘণ্টা – কিন্তু কাকা একটা ঘটনাও আছে। একদিক দিয়া দেখলে এটাডারে নেগেটিভ ভাবে না নিলেও চলে। নোবেল পাওয়ার আগে অনেকের লেখা পাওয়া মুশকিল হইয়া যায়, ইভেন যে নোবেল পান তার নামও জানা থাকে না। পরে তাকে অনুবাদ করাটা দরকার হইয়া পড়ে। সবাই তো আর মূলটা পড়তে পারে না। তাই এই দিকটাও খেয়াল রাখন দরকার

ঢেঁকুর তুলিয়া আমি বলিলাম – এই সব ফাও কথা। যারা বিশ্ব সাহিত্যের খবর রাখে ওরা সব জানে। তাছাড়া নোবেল পাওয়া মাত্রই এই যে শাখামৃগ গাঙ্গুলীর মতো প্রাণীরা বেলাজার মতো স্তুতি করতে উইঠ্যা পইড়া লাগছে এইডা হইল মূল কথা। এইগুলোরে কয় হিপোক্রেট। কেডা পাইছে কি পাইছে এইডা বড় কথা না। এরা এখন নোবেল ধুইয়া খাইব চীনের ঘোলা জলে

ঠেলাকাকা টানটান রাজনীতিবিদ এর মতো গম্ভীর হইলেন এবং টুবলার নিকট হইতে গঞ্জিকাসমৃদ্ধ ধুম্রশলা লইয়া একটানা বার কতেক টানিয়া কহিলেন - ক্যা? আমাদের তথাকথিত বিশ্ব-সাহিত্যের খবর রাখিয়েদের এত নুবেল-নির্ভর হইতে হয় ক্যা? নুবেলের আগে তাগো লেখা কি স্ব স্ব ভাষায় প্রকাশ হইছে না ? আর বাংলায় কি বহুভাষাবিদের অভাব আছে? আজ যারা মানে শাখামৃগ গাঙ্গুলীর মতো লেখকরা নোবেল প্রাপকের অনুবাদ নিজ প্রোফাইলে ভাসাইয়া তুলতাছেন এইজন্য যে হালায় কইতে পারব যে ও নুবেলের লেখকের লেখা অনুবাদ করছে। তাদের প্রোফাইল ঘাইট্যা দেখ দুইডার বেশি ভাষা জানেন না। একটা সোজা কথা, আমি এই লেখকের লেখা পড়ছি না, কিন্তু এখন নুবেল পাইছেন তো আমি পড়ুম। ঠিক আছে। এইখানেই কথা শেষ। এই শাখামৃগদের মতো ভণ্ডামি করার কী দরকার?

গঞ্জিকার অতলে তলাইয়া যাওয়া টুবলা কহিল – এই সব আর কিছু না কাকা সব তেলের তেলসমতি। এখন যা অবস্থা তাতে ইউরুপ আর আমেরিকার পক্ষে চীনেরে তেল দেওয়া ছাড়া গতি নাই

চুক চুক শব্দ তুলিয়া ঘণ্টা বলিল – আরে কোন বালে কোন বালেরে তেল দেয় এইডাতে কুনু সমস্যা না। মোদ্দা কথা হইল এইডারে কেন্দ্র কইরা বাঙালি এত্ত নাচে ক্যা?

ঠেলাকাকা ঘণ্টার মুখের কথা কাড়িয়া নিয়া কহিল – ইকজাক্লি। এইডাই কথা। সব হালায় ঘুলা জলে টাকিমাছ আর ব্যাঙ টুকায়। এইডা আর কিছু না এইডারে কয় রোগ

আমি কহিলাম – নিজেরে জাতে তুলনের লাইগ্যা মানুষ এত্ত নিচে নামে। আচ্ছা কাকা শাখামৃগ গাঙ্গুলীর মতো লোকেরা এত্ত হিপোক্রেট হয় ক্যা?

ঠেলাকাকা এখন একেবারে সপ্তমে চড়িয়া রহিয়াছেন । আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়া আমাকেই একটা প্রশ্ন করিলেন – আচ্ছা, ঐ পাড়েওতো এক্ষান নুবেলপতি আছেন? এই ব্যাপারে সেইখানের বাঙালি কিংবা ঐ নুবেলপতির কিছু প্রতিক্রিয়া শুনছত? এদের বুদ্ধিজীবিরাও কি শাখামৃগদের মতো দুই হাত তুইল্যা নাচতেছেন?

আমি কহিলাম – হ, ঐ তো উনি শান্তির অর্থনীতি করিয়া নোবেল পাইছেন। আমি কাল দেখলাম খুব একটা নিউজ টিউজ চোখে পড়ে নাই তবে সম্মানিত মতিকন্ঠ একটা নিউজ ছাপছে যাতে বলা হইছে – ‘ইনি’ ‘উনা’কে ভাই বলিয়া ঘোষণা করছেন। এছাড়া আমার আর বিশেষ কিছু চোখে পড়ে নাই

কাকা কহিলেন – অ, আইচ্ছা

ততক্ষণে টুবলা মোটামোটি চিত হইয়া পড়িয়াছে। আর ঘণ্টাকে খানিকটা উত্তেজিত দেখাইল, মনে হচ্ছিল এই বুঝি শ্লোগান টোগান কিছু দিয়া উঠে – হালার হালা এই পুরুস্কাররে বৈধতা দেওয়ার লাইগ্যা বাঙালিই উইট্যা পইড়া লাগছে মনে লয়। কাল নিউজে বুদ্ধিজীবীদের যা গদগদ ভাব দেখলাম তাতে মনে হইল ...

কথাটা শেষ করতে পারেনা সে। ঠেলাকাকা মাটিতে সপাটে গেলাস ঠুকিয়া বলিয়া উঠে – হুজুগে বাঙালি এখন টুটাল মুডে আছে। এখন তার অনুবাদ অইব। সামান্য মান্দারিন বা আধুনিক চাইনিজ শব্দের সঙ্গে পরিচয় নাই এমন অনুবাদক, সাহিত্যিক আর বুদ্ধিজীবিরা ঐ তোদের ইন্টারনেট, ব্যক্তিগত যোগাযোগ এবং আহা তাহা, ইহাঁ, বাহাঁ কইরা নানা অনুবাদ ছাপব, বিক্রি হইব, আন্তর্জাতিক নাম অইব... শত হইলেও নুবেল... আমাগো কবি পাইছিল, কবিগুরু। এখন যিনিই পাইলেন ইনি গুরু না হোক বিরাট পাণ্ডা তো জরুর। নুবেল আর নুবেল ... শান্তিতে মহাদেশ পায়, আর সাহিত্যে দেশ

অতপরঃ আমি ঠেলাচরণকে বলিলাম - কাকা, আমরা বড়ই পিচ্ছিল

কাকা কহিল - তা আর কইতে হয়। আমরা কদমে কদমে পিছলাই

আমি কহিলাম – বরাবর আমরা পিচ্ছিল জাত। পটাশ গোটার মতো অবস্থা। ফাটতেই ফুস। আমরা উঠতে পিছলাই, বইতে পিছলাই, জেগে জেগে পিছলাই, হুইত্যা হুইত্যা পিছলাই, মনে মনে পিছলাই, খাড়ায়া পিছলাই, জাইত্যা ধইরা পিছলাই, উবুত্তৈয়া পিছলাই, চিত্তৈয়া পিছলাই, স্বপ্ন কিংবা দোষে পিছলাই, আগায় পিছলাই, গোড়ায় পিছলাই, ঝুইল্লা পিছলাই, গড়ায়া গড়ায়া পিছলাই, বিছানায় পিছলাই, অফিসে পিছলাই, অলিতে গলিতে পাকস্থলীতে পিছলাই, লাউয়ের ডুগায় পিছলাই, বৌ এর মুগুরে পিছলাই, রাইতে পিছলাই, দিনে পিছলাই, পৃথিবীর সব ইয়েতে ইয়ে করে পিছলাই এমন কি হাগতে বইসাও পিছলাই

সব শুনিয়া ঠেলাচরণ কহিলেন – হ। ভয়ানক পিচ্ছিলতার দুষে দুষ্ট। বালু ফালা আর ঢাইক্যা দে। ঘেন্না ধইরা গেছে

১৪.১০.১২


মন্তব্য

পুতুল এর ছবি

শীরনাম দেখেই একটু হেসে নিয়েছি। স্যাটায়ার দুর্দান্ত। অনেক সত্যকথা এভাবেই বলা যায়।
বর্তমান সময়ের কোন ব্যাপারই দৃষ্টি এড়িয়ে যায় নি। পৃথাবীটা উপভোগ্য হয়ে উঠেছে।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

তাপস শর্মা এর ছবি

হ। এইডাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সত্য হইয়া গেছে গা দাদা। পিথিমিতে বিনুদনের অভাব নাই। আসলে দেখি তাই উপভোগ করি মনে হয় এখন। আর অনুভূতি টনুভুতি হয়না

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ইকজাক্লি, দাদাবাবু!

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

তাপস শর্মা এর ছবি

জ্বী দিদিমণি হাসি

কিন্তু আপনার পাত্তা নাই কেন অনেকদিন ?

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

সাঁতার জানি না বলে ডুব দিয়ে থাকি। হাসি

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

তাপস শর্মা এর ছবি

হইল ক্যামনে? এইটাতো এমন যে আমি আলো দেখি কিন্তু হারিকেন জ্বালানোর ভয়ে অন্ধকারে ডুবে থাকি। উত্তর দিতে গিয়া পিছলাইয়া গ্যালেন ম্যাডাম, নট ফেয়ার চোখ টিপি

আলোকিতা এর ছবি

কিংবা বলতে পারেন আমরা পিছলাতে পিছলাতেও পিছলাই!

পুতুল এর ছবি

সেটাই, আমরা পিছলাতে পিছলাতেও পিছলাই।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

তাপস শর্মা এর ছবি

তা আর বলতে। পিছলাইতে গিয়াও একমাত্র আমরাই পিছলাইতে পারি

অরফিয়াস এর ছবি

লাইনের শেষে যতিচিহ্ন আসছেনা কেন দাদা?

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তাপস শর্মা এর ছবি

ইচ্ছাকৃত দিচ্ছি না। এই ভুত আমার মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে এই দাড়িওলা বেডা । উনি বলেন - বলতে বলতে কথার শেষ হয়না তাই যতিচিহ্ন উঠিয়ে দেয়া। আমিও তাই ভাবলাম শেষে তো আরও বলার ছিল শেষ করতে পারলাম কই? এমনিতেই তো আমরা বাক্যকে কত টুকরোও করে ফালাফালা করে ফেলি। শেষে না হয় একটু শ্বাস নিতে দেই। আসলে এটা বিশেষ কিছু নয়। জাস্ট একটা মনের প্রতিফলন আর কি

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

লেখা বিয়াপক... গড়াগড়ি দিয়া হাসি

শাখামৃগ... গড়াগড়ি দিয়া হাসি

তাপস শর্মা এর ছবি

হ। তোর শাখামৃগ। ঠিকাছে? খাইছে

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

ঠেলাকাকা ঠেলে যা... চলুক

তাপস শর্মা এর ছবি

বলছেন যখন ঠেলে নিয়ে যাওয়াই যায় দেঁতো হাসি

সাফিনাজ আরজু  এর ছবি

চলুক
বড্ড খাসা হইয়াছে !!! উত্তম জাঝা!

তাপস শর্মা এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে

অনিকেত এর ছবি

জটিল হয়েছে।
আমার প্রস্তাব হল ঠেলাকাকা এবং তার আড্ডাধারীদের নিয়মিত আসর বসুক---

ঠেলাকাকার পরবর্তী ঠেলা দেখার অপেক্ষায় রইলাম

শুভেচ্ছা নিরন্তর

তাপস শর্মা এর ছবি

থেঙ্কু বদ্দা

বলছেন? দেখি কাকা কদ্দুর ঠেলতে পারে খাইছে

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

স্যাটায়ার চরম হয়েছে। চলুক

তাপস শর্মা এর ছবি

ধন্যবাদ রাজা হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

সব দেখা যায় আর সবকিছুই চোখে পড়ে আপনার এই স্যাটায়ারে তার কিছু বাদ যায়নি। অনেক ভালো লাগলো বিশেষ করে সাধু ভাষায় আপনার প্রকাশ।

অমি_বন্যা

তাপস শর্মা এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ অমি_বন্যা। আচ্ছা একটা কৌতূহল, নিকটা নিয়ে ?

অতিথি লেখক এর ছবি

তাপস দা, এই নিকটার ক্ষেত্রে দুটো নাম এক করে দেয়া হয়েছে। এই নিকে আমি আর আমার স্ত্রী অনেক প্রেম পত্র লিখেছি যেন ধরা না খায় সেই ভয়ে। বিয়ের পরও আমরা দুজনকে অভ্যাসবশত ওই নিকেই এখনও লিখি ।
সচলে লেখা পাঠানোর আগে ওকে দিয়ে একবার দেখিয়ে নেই। সচলের মন্তব্যের আগে আমি আমার স্ত্রীর মন্তব্য প্রথমেই পেয়ে যায়। বানান ভুল হল কিনা, নতুন কিছু যোগ করতে হবে কিনা এই সব পরামর্শও থাকে। লেখা ভালো হলে ওর কৃতিত্বও অনেক। আর তাই এক্ষেত্রে দুজনার নিকটা এক করে দেয়া এই আর কি।

অমি_বন্যা

তাপস শর্মা এর ছবি

লেখা -গুড়- হয়েছে

দারুণ লাগল আপনাদের কাহিনী। শুভেচ্ছা রইলো

পুতুল এর ছবি

কালকে স্যাটায়ারের মজায় অনেক কথা বলতে ভুলে গেছি।
এই পিছলানো কিন্তু শুধু আঞ্চলিক না, বৈশ্বিক। ৯/১১ এর পরে বুশ-ব্লেয়ার পক্ষে শুরুডারের পিছলানো দেখে লাফনথিন এসপিডিই ছেড়ে দিল। এখন জার্মান বাম (এসপিডি) লাল রং ছেড়ে পিংক বেছে নিয়েছে। সব ধরণের আইন/নিয়ম বদলানোর বা না বদলানোর এক মাত্র কারণ শেয়ার বাজার নার্ভাস হয়ে যাবে।

অবশ্য তার আগেই, ক্লিনটন গ্লোবাল এবং মুক্ত বাজার অর্থনীতির বীজ বপন করে গেছে। এবং সেটা ভাল জাতের বীজ তা প্রমান করার জন্য এর পক্ষে কল্যানকামী কিছু অর্থনীতিবিদ জোগাড় করার দরকারছিল। আমাদের ইনুস নবী তখন উদয় হয়েই ছিলেন। শুধু তার পালে বাতাস দিতে হল একটু। দুনিয়া দেখল, সম বন্টন বাদ দিয়ে শোষণ করেও দারিদ্রতা দূর করা যায়। সেটাই প্রচার হল। বাংলাদেশে দুনিয়ার সব থেকে সুখি মানুষ বাস করে, সেটা লণ্ডন স্কুল অব ইকনোমিক সরজমিনে জরিপ করে প্রমান করে ছেড়েছে। এই সামাজিক অর্থনৈতিক বৈসম্যহীন শান্তিরে একটা নোবেল দিয়ে পোক্ত করা ছাড়া আর কী উপায় থাকতে পারে! দাও নোবেল।

সেভাবেই চীনের একনায়কতন্ত্রের হোতাদের কিছু ভাল কীর্তণও করতে হবে, সমালোচোনা তো পশ্চিমা জনগনই করছে। আমরা তাকে এবার নোবেল দেই। দিল নোবেল। কিন্তু উইরোপের শেয়ার বাজার শান্ত হচ্ছে না। স্পেন-গ্রীসের বেকাররা রাস্তায় নেমে আসছে। শেয়ার বাজার আরো চটে যাচ্ছে। স্পেন-গ্রীসের সূদ গেল বেড়ে। আর এর পেছনে কে ছিল? কিছু ব্যাংক বীমা কোম্পানীর ম্যানাজার। যারা এখনো জনগন ক্ষেপে গেলে চড়াসূদের খড়গ নিয়ে আসে।

আমার মনে হয়না এই চোখরাঙ্গানী আর নিসাপোসা খুব কাজে লাগবে। ইটালী-স্পেন-গ্রীস বেশ সমাজবাদী টাইপের দেশ। ব্যক্তিসার্থ যে কোন সামাজিক সমস্যার উপড়ে ভাবতে পারে না আমাদের দেশের মানুষের মতই। কতদিন তারা তথাকথিত দাতা দেশের মানুষের চোখ রাঙ্গানী সহ্য করবে বলা কঠিন। কিন্তু এক সময় অসহ্য হবে, সেটা প্রায় নিশ্চিৎ। যত তাড়াতাড়ি হয় ততই ভাল।

পিছলানো কোন সমাধান নয়।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

তাপস শর্মা এর ছবি

দাদা মন্তব্যে উত্তম জাঝা!

০২
এটাকে নোবেল না বলে নো-বেইল বলতে হয়

০৩

প্রথম বিশ্বের দেশগুলি আর্থিক মন্দায় ভুগছে এখন এর থেকে উত্তরণ একমাত্র প্রোপ্যাগান্ডা ছড়ানো আর বৈষয়িক ফায়দা লুটা ব্যাস। ফকিন্নির মতো তেল দেওয়া আর এটা সেটা করা, নেতৃত্ব দিচ্ছে আমেরিকার দাদারা। ইরাক আফগানিস্তান কিংবা পাকিস্তান করে আবার কাশ্মীরে সমস্যা জীবিত করে রাখা এর কারণ সুদূর প্রসারিত। নোবেল যায় ( গচ্ছিত ) চীনের বাদামে আর প্রভাব পড়ে আমেরিকার স্টক একচেইঞ্জে

০৩

একটা মিশর যেমন হয়েছে, ইররায়েল, ইরান, ফিলিস্তাইন যা হচ্ছে চীনের ঘরেও লাল দাগ পরা এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র

সব কিছুর শেষে একটা থার্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ার এখন শুধু লালায়িত হচ্ছে, সব সরঞ্জাম মজুদ একমাত্র শুরু হবার বাকি। সময়টা আরও ভয়ংকর কিছু দেয়ার জন্যে তৈরি হচ্ছে। ভাবতেই শিউরে উঠি

পুতুল এর ছবি

নো বেইলই মনে হচ্ছে সঠিক

অফগান যুদ্ধে বাংলাদেশের অংশগ্রহন নিয়ে একটা লেখা লেখিছিলাম। সেখান সম্ভবত কৌস্তুবদা লিংক দিয়েছিলেন; পারভেজ মোশারফ রাষ্ট্রীয় খরচে কাশ্মীর সন্ত্রসীদের মদদ দিচ্ছে সেটা একরকম গর্বের সঙ্গেই বলেছে। এই ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের পীররা হচ্ছে আমেরিকার বন্ধু। এবং যুদ্ধে লাভবান কারী হয়ত ০'১ ভাগ মানুষ। অথচ অস্ত্র ক্রয়-বিক্রয়ের সব টাকা দিচ্ছে দুনিয়ার সব মানুষ। উপহার হিসাবে পাচ্ছে যুদ্ধের বিভীষিকা।

সব রেসেশন/অর্থমন্দা একটা যুদ্ধের সূচনা। আশাকরি আমাদের এই ধারণা ভুল হবে।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

তাপস শর্মা এর ছবি

আর পাকিদের কথা কি বলব। লাস্ট কার্গিল ওয়ার এর পর শয়ে শয়ে যে পাকি জঙ্গিদের লাশ উদ্ধার হল এরা কারা? সব পাকি সেনাবাহিনীর সিপাহী

০২

যুদ্ধ বরাবর নষ্ট এর বার্তাই বয়ে আনে। এর ক্ষতি যে কেবল রক্ত নয়, একটা যুদ্ধের হিসেব একটা দেশ কিংবা জাতিকে বয়ে যেতে হয় দশকের পর দশক এটা কে কাকে বুঝায়

০৩

এই ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের পীররা হচ্ছে আমেরিকার বন্ধু।

একদম। সবটাই খেলা আর কিছুই নয়

০৪

আমিও সেই আশাই করি। আমাদের ধারণা ভুল হোক, সত্যিই ভুল হোক

শাব্দিক এর ছবি

এটাকে নোবেল না বলে নো-বেইল বলতে হয়

হো হো হো

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

তাপস শর্মা এর ছবি
তাপস শর্মা এর ছবি
ধুসর জলছবি এর ছবি

হো হো হো দুর্দান্ত হয়েছে। উত্তম জাঝা!

তাপস শর্মা এর ছবি

থেঙ্কু হাসি

আপনি আজকাল লিখছেন না যে ম্যাডাম? থাকেন কই ?

মণিকা রশিদ এর ছবি

বেশ, বেশ!

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

তাপস শর্মা এর ছবি

আচ্ছা আচ্ছা দেঁতো হাসি

দিদিভাই এর প্রথম মন্তব্য আমার ব্লগে। একটু খুশি হই প্রথমে। থ্যাঙ্কস দিদি হাসি

কৌস্তুভ এর ছবি

ভাল হয়েছে। কিছু কিছু বাক্যের স্যাটায়ার ধরতে পারিনি অবশ্য।

অনেক সময় হাস্যরসের খাতিরে সাধুভাষার প্রয়োগ করতে গিয়ে লোকে বাড়াবাড়ি করে ফেলে। এটায় সে সমস্যা হয়নি।

তাপস শর্মা এর ছবি

হুম। কিছু বাক্য একেবারেই আঞ্চলিকঘেঁষা। সেগুলি মনে হয় ধরতে পারনি তাইনা ? মানে ঐ বাঙাল কিছু লাইন

০২

থেংকু হাসি

কৌস্তুভ এর ছবি

বাক্যগুলোর বাহ্যিক অর্থ ধরতে পারিনি তা নয়, তবে ভেতরের অর্থটা ধরতে পারিনি তাই ব্যঙ্গটা উপলব্ধি করতে পারিনি ওসব ক্ষেত্রে।

তাপস শর্মা এর ছবি

ঠিকাছে হাসি

শাব্দিক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি হাসতে হাসতে পিস্লায় গেলাম, জোশ স্যাটায়ার।

ভুগোল বিশারদ ঘণ্টা এইবার নাক গলায় – অ। বুজ্জি। এই নিয়া কথা হইতাছে। সব হালার ঐ আমেরিকার দাদাগো মেরামতি। হালার ফ্যাসিবাদীর দল। প্রথম দিন চীনে আইয়া ভারতের বিপক্ষে কথা কয়, আবার দুইদিন পর ভারতে আইয়া পিঠ বুলাইয়া কয় আমরা ভাই ভাই এরপর পঞ্চম দিনে পাকির দেশে গিয়া মুচরা দিয়া বন্দুক পাডায়। সপ্তাহের শেষে বাড়িত গিয়া বিবৃতি দেয় – এশিয়া খুব স্পর্শকাতর অবস্থায় ওখানকার দেশগুলি অর্থমন্দা আর দুর্নীতিতে জর্জরিত।

চলুক
পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

তাপস শর্মা এর ছবি

একটু আস্তে পিছলান। হাত পা ভেঙ্গে গেলে আমি দায়ী নই স্যার খাইছে

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক

তাপস শর্মা এর ছবি

থ্যাঙ্কস স্যাম ম্যান হাসি

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

দারুণ হয়েছে হো হো হো
চলুক

তাপস শর্মা এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।