অসংলগ্ন কথাবার্তা

তাপস শর্মা এর ছবি
লিখেছেন তাপস শর্মা [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০৬/০৭/২০১৩ - ৮:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'একাধিক শোকে অশ্রুর একাধিক ধারা বহে না' -- সৈয়দ শামসুল হক

অসংখ্য কথা জমে মেঘ হয়ে আছে...

অতএব প্লাস্টিকের হাসি দিতে দিতে খুচরা হিসেবগুলি নগদে সেরে ফেলার নাম নাগরিক সভ্যতা। আমি জানি আজকের এই রাতের চাঁদের বাহারি জৌলুস, এরপর বজ্রপাত সহ বৃষ্টি, আবার ভ্যাপসা গরম এবং দুইশোর উপরে বিপি; পরিত্যক্ত এই রাত্রিটাও কেটে যাবে আরেকটা সকাল হবে বলে। দুঃস্বপ্নের হাতপাখা নাড়তে নাড়তে একদিন খয়েরি হয়ে যায় জংধরা অনামি মানুষ; আমি সেই মানুষদের দলে...বছর কুড়ি আগের শৈশবটায় দেড় হাত লম্বা আমিটাই ভালো ছিলাম। কেন যে হুদামিছা বয়েস বেড়ে গেলো, আর জীবনের সীমানাটাও সাড়ে তিন হাত লম্বা হয়ে গেলো... কখনো কখনো ভাবি একটা মাত্রই তো জীবন, তাতেই যদি সব নিয়ম মেলে চলি তাহলে তো 'নাগরিক মানুষ' হয়ে যাবো। তারচেয়ে বরং চলুক না অনার্য জীবন...

০২

''প্রতিবেশী বিড়াল হাগু করে যায় আমার কপালে এসে
সামাজিক আতর গতরে মেখে আমরা তাকে ভদ্রতা বলি''
( মাহবুব লীলেন | ‎যথাপূর্বং | ‎ মাংসপুতুল )

আজকাল সময় থেকেই পালিয়ে বেড়াই। সভ্যতাকে বড্ড উদ্ভট মনে হয়। এখানে কেউ সমালোচনা নিতে জানেনা, এখানে কেউ দুর্বল পেলেই চেপে দেয়, এখানে কেউ সম্মানের বদলে সম্মান দিতে জানে না, এখানে আক্ষরিক অর্থেই সরলতাকে দুর্বলতা মনে করে একটা ইতর শ্রেণী কোপ মারে পেছন থেকে... আসলে এই উদ্ভট সভ্যতায় কেউ ভালো থাকতে চায় না... দুনিয়াজুড়ে এত সৌন্দর্য অথচ এই সভ্যতা কদর্যতার চর্চাই করে যায়। উদ্ভট, ভয়ানক উদ্ভট... সবকিছুই হঠাত করে নাই হয়ে যায়; অদ্ভুত এক গোঙানি বেরোয় তখন। সবকিছুই আলুর উপরের অংশে এবং এই বিশাল আলু-পৃথিবীর পাতলা চামড়ার অংশেই এত্ত আয়োজন। হায় এত্ত কাড়াকাড়ি, সবকিছুই হঠাত করে শেষ হয়ে যায়...

০৩

নিঃসঙ্গতার মাঝে তিনি ছিলেন চির অম্লান। তাঁর জীবনে এ হেন দুর্যোগ নেই যা ভর করেনি উনার উপর, অবশ্য সঙ্গত কারনেই। জীবনকে হেলায় উড়িয়ে দিয়ে কত অজানারে খুঁজে গেছেন তিনি। পেশায় অধ্যাপক হয়েও তাঁর যথেচ্ছাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠতেন সহকর্মীরা, কাছের লোকেরা, ছাত্রছাত্রীরা, এমনকি তাঁর স্ত্রী পর্যন্ত। তবুও এই খ্যাপা পাগলাকে ভালোবাসতেন না এহেন মানুষ দুর্লভ। লোকটাকে ভালো না বেসে পারা যায় না। কি যেন একটা সম্মোহনী শক্তিতে তাঁর দিতে হেঁটে চলে যেতেই ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে তাকে আঁকড়ে ধরে সেই গাঁয়ের খোঁজে যেতে যেখানে নীরবে বৃষ্টি ঝড়ে বারো মাস। ... তাঁকে ডাকতে ইচ্ছে করে ' অবনী, বাড়ি আছো ? ...'

''দুয়ার এঁটে ঘুমিয়ে আছে পাড়া

কেবল শুনি রাতের কড়া নাড়া

‘অবনী, বাড়ি আছো?’

বৃষ্টি পড়ে এখানে বারো মাস

এখানে মেঘ গাভীর মতো চরে

পরান্মুখ সবুজ নালিঘাস

দুয়ার চেপে ধরে

‘অবনী, বাড়ি আছো?’

আধেকলীন হৃদয়ে দূরগামী

ব্যথার মাঝে ঘুমিয়ে পড়ি আমি

সহসা শুনি রাতের কড়া নাড়া

‘অবনী, বাড়ি আছো?’''

তিনি ছিলেন উন্মাদ। তিনি ছিলেন অসম্ভব খামখেয়ালী রৌদ্দুর। নিজেকে নিয়ে ভাববার সময় পায়নি কোনদিন এই মানুষটা। এই মানুষটা কি পেয়েছেন, কি চেয়েছেন কিংবা কি দিয়েছেন তা নিয়ে কোনদিনও মাথা ঘামান নি। এই মানুষটা ছিলেন পাঁড় মাতাল। শান্তিনিকেতনের পথে রাতভোরে যখন তিনি হেঁটে যেতেন লোকে জানত শক্তি চট্টোপাধ্যায় যাচ্ছেন... গালিব বলতেন - 'আমি যদি একদিন মদ না খাই তাহলে আমাকে কাফের ডেকো।' ...তাহলে সুমনের ভাষায় 'কে বেশী পাগল, কবি না কবিতা?'

০৪

''মোজার দুর্গন্ধে নাক সিটকানি
এড়াতে
জুতার তলায় গজিয়ে ওঠা
পেরেকের খোঁচা নিয়ে হাঁটি

রক্ত দেখালেও ক্ষরণ দেখাতে নেই কাউকে
হাসিমুখ দেখানোই সমাজে নিয়ম ''
( মাহবুব লীলেন | ‎সদরপাট্টা | ‎তৃণতুচ্ছ উনকল্প )

সব পুড়ছে... আনন্দ,স্মৃতি,..বেদনা, বিশ্বাস, চিন্তা, ক্ষুধা, বিস্ময়,..কান্না, বিষণ্ণতা, ... সমাজ, মানুষ... আস্তে আস্তে সব একে একে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। নিজের অস্তিত্বের চেয়ে খাঁটি কিছুই নেই। নিজেকে বোঝার মতো সহজতর বোধগম্য জিনিষ আর কিছুই নেই। হারানোর ভয় যদি নাই থাকতো তাহলে অর্জনের খুশি থাকতই না। তাই মনে হয় মৃত্যু আছে বলেই জীবনকে এত্তো ভালো লাগে...

আবার পুরো জীবনটাই হুদা রাজনীতি, বাকিটা যা চোখে দেখি সেটা হল ভুসি মালের গণ্ডগোল। রাজনীতির গোল্লায় জন্ম, রাজনীতির পাল্লায় বড় হওয়া, রাজনীতির বেলুনে ফুঁ দিয়ে কন্ডমাচ্ছন্ন জীবনযাপন। আগায় রাজনীতি, গোড়ায় রাজনীতি, পেছনে রাজনীতি... আর সামনে? আরে ব্যাটা বুরবক সামনে থেকে বুকে টেনে নিয়ে পেছন দিয়ে আইক্কা ঢুকিয়ে দেয়াটাই তো ক্লাসিক রাজনীতি... তাই ভরা মজলিশেও যখন শূন্যতা ঢাকতে হয় তখন বড্ড অসহায় লাগে। দীর্ঘশ্বাস এর ঝড় একাকী এদিক থেকে ওদিকে ক্লান্ত পদচারণ করে...

০৫

'সাকিন সুন্দরবন'-এ মাহবুব লীলেন লিখছেন- '' বঙ্গোপসাগর আসোলে মানুষের সুন্দরবন ঢোকা ঠেকিয়ে রাখে। প্রতিদিন দুইবার করে যদি বঙ্গোপসাগর এই বনটাকে পানিতে ডুবিয়ে না রাখত তাহলে ততদিনে হয়ত পুরা বনই মানুষ বাড়িঘর আর দোকান পাট দিয়ে ভরিয়ে বাঘেদের নিশ্চিহ্ন করে দিতো। কিন্তু সেটা সম্ভব না। সুন্দরবন কোনদিন মানুষের পক্ষে বসতি বানানোও সম্ভব না সুন্দরবন থেকে বাঙাল বাঘদেরও নির্বংশ করা সম্ভব না ... ''

অতএব বিচিত্র সমুদ্র পতনের ইতিবৃত্ত শুনতে শুনতে আমরা ঘুমিয়ে গেলাম। জেগে থাকার মতো সাহস ছিলো না বলেই আমরা ঘুমিয়ে গেলাম। একটা একটা করে সব কিছুই, সব কিছুই পরিত্যক্ত হয়ে যায় একে একে... রাগ, ক্ষোভ, ভয়, অভিমান, সংশয়, জিজ্ঞাসা, মন, উপলব্ধি, ভালোবাসা ইত্যাদি ... পরিত্যক্ত হয়ে যায়।...অভিযোজনে নিজেদের নিংড়ে নিয়ে দাবাদহের কোলাহল শুনি বারংবার। এবং নিজের অক্ষম দোলাচলপূর্ণ শব্দমৈথুনকেও পরিত্যক্ত লাগে

০৬

''কপাল ভালো কুত্তার ভাষা বুঝি না; না হলে ঘেউ-দর্শন আর ঘেউধর্ম শুনতে শুনতে নিজেই কোনদিন একটা ঘেউ হয়ে যেতাম''
( মাহবুব লীলেন )

মহাকাব্যের অন্ধকারে সিসিফাসও কম ব্যস্ত মানুষ ছিলেন না,... তবে আমার কথা আলাদা। আজকাল মহাকাব্যিক চিন্তা আসে শুধু মাথায়। মনে হয় এই সভ্যতায় যদি মহা-বেজন্মা এবং মহা-অকর্মণ্য'দের ইতিবৃত্ত লেখা হয় তাহলে আমার নামটা সুবর্ণ অক্ষরে ঠাই পাবে সেখানে। কুত্তাও আমার দিকে তাকিয়ে 'ঘেউ ঘেউ' করার পরিবর্তে 'ভেউ ভেউ' করে রসিকতা করে। আর আমি চোখ রাঙিয়ে ঘেউউউউউউউ করে উঠি। কুত্তা ব্যাটা মুচকি একটা হাসি দেয় তারপর ন্যাজ নাড়াতে চলে যায়। ওরও এই পৃথিবীতে করার মতো অনেক কর্ম আছে, কিন্তু আমার নেই

০৭

আচ্ছা। কেউ যদি মরে যায় তারপরই বুঝি আমরা তাঁকে নিয়ে বেশী বেশী করে ভাবতে বসি? হুম, তাই হবে হয়তো। জীবিতকালে ঋত্বিক ঘটক কতটা পেয়েছিলেন? বুড়ো আঙুল। সেই লোকটা তাই হয়তো অবলীলায় বলতে পারতেন - ''আমার সিনেমা ফ্লপ করেনি, দর্শক ফ্লপ করেছে।'' আজও তাঁকে আমরা মূল্যায়ন করতে পেরেছি? আমরা হলাম পাতি মাল, শালা সময় থেকে শত বছর এগিয়ে থাকা মানুষদের চেতনাকে ধরে ফেলতে পারলে তো হতোই... আবার ঠিক যেমন মিলে যাচ্ছে সেই গল্পের সাথে, মাহবুব লীলেন এর 'নাটাঙ্গি' ( নিম নাখারা ) গল্পের শেষে হয়ে না উঠা নাটকটার জন্যে হাসান আজিজ এর দীর্ঘশ্বাস ''......হালকা একটা দীর্ঘশ্বাস শুনলাম। হাসান আজিজ তার প্রমাণিত বিশালত্ব নিয়ে তুচ্ছ এক তরুণের সামনে দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। তারপর প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস আর বোল্ডনেস নিয়ে মুখ খুললেন -- থাকুক, লীলেন। আমাদের নাটক আমরাই দেখব।''

ইদানিং ঋতুপর্ণ ঘোষ নামক একজন সিনেমাওলার মৃত্যুর ফলে তাঁর সৃষ্টিগুলির প্রতি যেন আরও বেশী করে ঝুঁকে গেছি। হায় কি সব অসামান্য কোলাজে ঢাকা Memories In March... কি অসামান্য এই গান

কাছের একজন বন্ধুর সাথে কথা হল। বললাম The Last Lear সিনেমাটার কথা, সদ্য দেখা সিনেমা। সে বলল - মুভি দেখার সময় নাই। আমি বললাম - আর আমার অফুরন্ত সময়। ... তারপর দুজনেই চুপ হয়ে গেলাম। 'সময়'টা দুজনের কাছেই কতটা আলাদা। একজনের জন্যে সময় কেটে নেয় জীবনের আনন্দগুলো, আর আরেকজনের জন্যে সময় সাজিয়ে দেয় প্রতিটি মুহূর্তের দমবন্ধকর দীর্ঘশ্বাস...

একটা মুভি কিংবা সেই মুভির কিছু কাটা কাটা দৃশ্য কিংবা সেই মুভির কিছু সংলাপ কিংবা চিত্রায়ন কখনো কখনো মনে ভয়ানক দাগ তৈরি করে দেয়। 'দ্য লাস্ট লিয়ার' মুভিটাও তাই করল। কি জানি থেকে থেকেই কেমন একটা অস্থিরতা অনুভব করছি মঞ্চের প্রতি; কি সেটা জানিনা। তবে হটাত করেই কেন জানি থিয়েটারকে মিস করছি ভীষণ... ভীষণ। চির পরিচিত মঞ্চ শুধু চোখে ভাসছে। হায় রে নানা রঙের সেই দিনগুলি.. ভীষণভাবে জুবুথুবু হয়ে থাকা এই অসংলগ্ন মুহূর্তে Robert Frost যেন গুনগুন করেন ''TWO roads diverged in a yellow wood , / And sorry I could not travel both''... 'দ্য লাস্ট লিয়ার' ছবির প্রতিটি ফ্রেম, প্রত্যেকটা দৃশ্য, প্রতিটি সিকোয়েন্স এত্ত এত্ত নিখুঁত... ছবির পরতে পরতে শেক্সপিয়র এর ছায়া। আবার একদিকে মঞ্চের প্রতি প্যাশন আবার অন্য ধারায় চলচ্চিত্রের প্রতি প্যাশন...অমিতাভ বচ্চন এর অভিনয় যেন নিজেকেই বিনির্মাণ করে যাচ্ছেন। আর ঋতুপর্ণ ঘোষ আপনার শৈলী নিয়ে কোন শব্দই যথেষ্ট নয়। আসলে মৃত্যুই যেন প্রমাণ করে দিয়ে যায়, 'Life is but a walking shadow...'

কিছু ছবি বাদ ছিল দেখার। সব দেখা শেষ হল শেষ পর্যন্ত। ঋতুপর্ণ ঘোষ আপনাকে ভীষণ মিস করব। হিরের আংটি দেখার পর সেটা আরও বেশী করে পরিস্ফুট হল...ঋত্বিক ঘটক ঠিকই বলতেন যে, ''কটা শুয়োরের বাচ্চা ছবির ব্যাপারটা বোঝে''... আপনি একজন ট্রু আর্টিস্ট ঋতুপর্ণ ঘোষ। 'হিরের আংটি' আরও অনেক আগেই দেখা উচিত ছিল... ধারণা পাল্টে গেলো। আসলেই 'হিরের আংটি'ই আপনার শ্রেষ্ঠ ছবি। সকল কন্ট্রোভারসির মায়েরে বাপ বলে এবং কারোর সঙ্গে তুলনা না করেই বলতে চাই রে-সেন-ঘটক এর পর আপনিই বাংলা চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার। আর অন্যভাবে বলতে গেলে আপনার চলচ্চিত্রের গহীন অরণ্যে আপনিই অনন্য

০৮

''পরিচয়হীনতার প্রজন্ম-সংকটে
নিজেকে ছাড়াই
নিজেকে কুড়াই
তবুও দেখা হয় না নিজের অখন্ড মুখ''
( মাহবুব লীলেন )

আজকাল নিজের দেহের উপরে যে মাথা নামে কোন একটা জিনিষ আছে সেটা টের পেতে খুব কষ্ট হয়। খুব একটা কাজটাজ করেনা ওটা। শুধু মধ্যরাতে উঠুনে চক্কর মারতে গিয়ে দেখি আকাশে চাঁদ নেই, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ঝিঁঝিঁদের সমবেত কোরাস এবং ঝুপ অন্ধকার। আঁধার জিনিষটা বড্ড মায়াবী। আঁধার সব ঢেকে রাখতে জানে… জেগে জেগে ঘুমের গান ধরি —- আয় ঘুম আয় ঘুম আয় ঘুম আয় ঘুম আয় ঘুম আয় ঘুম ঘুম আয়

ডিলান বলেন, ”I have heard ten thousand whispers and nobody listening……”

কিছু কিছু স্বপ্ন এমন থাকে যা ভেঙে যাওয়ার পর আবারও নূতন করে দেখতে ইচ্ছে করে। মনে হয়, যদি আবার ঘুমিয়ে গিয়ে সেই স্বপ্নের প্লটে ঢুকে যাওয়া যেতো। যদি..

২০১৩. ০৭.০৬..


মন্তব্য

কল্যাণ এর ছবি

০২=হ

চলুক

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

তাপস শর্মা এর ছবি
কল্যাণ এর ছবি

পাস্টিক = প্লাস্টিক ?

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

তাপস শর্মা এর ছবি

হুম। স্পেল-মিস্টেক হয়ে গেলো দাদা

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ব্যাপক পড়া আর দেখার মধ্যে আছেন মনে হচ্ছে। এতো টাইম পান কোথায়?
লেখা ভালো লাগছে

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তাপস শর্মা এর ছবি

এই টুকটাক পড়া আর দেখা হচ্ছে আর কি। আর সময়ের কথা কি বলব কর্মহীন থাকলে যা হয় আর কি, অফুরন্ত সময়...

ধন্যবাদ নজরুল ভাই

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

অসংলগ্ন কথাবার্তা ভালইতো লাগলো।

তাপস শর্মা এর ছবি

কষ্ট করে হাবিজাবিগুলি পড়েছেন বলে ধন্যবাদ জানবেন

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

ওরে বাবা! ব্যপক পড়াশোনা করেছেন দেখছি! খুব ভালো লিখেছেন।

তাপস শর্মা এর ছবি

ঐ সামান্যই। পড়তে আর পারি কোথায়

থ্যাংকস

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখার হাত যথেষ্ট ভালো, আবেগী। কিন্তু এই লেখাগুলোতে অনেকটা অগোছালো মনে হলো। অনেক কিছুই একসাথে বলতে চেয়েছেন যা নিজের মাঝে অস্থিরতাকে সামনে নিয়ে এসেছে, মনে হলো আপনার চিন্তাগুলো কোনখানে স্থির হচ্ছে না। যেকোন একটাকে কেন্দ্র করে লিখলে সেটার বক্তব্য অনেক বেশি প্রাধান্য পায়। সমাজ সভ্যতা, রাজনীতি, শক্তি চট্রোপাধ্যায়, শামসুর রহমান, চলচ্চিত্র, মঞ্চ, ঋতুপর্ণ ঘোষ সবকিছুকে নিয়ে একলেখায় আলোচনা করলেন ফলে আপনার লেখার মূল বক্তব্য কি সেটা দুর্বেধ্য হয়ে গেছে। তবু যেটুকু বুঝলাম ঋতুপর্ণ ঘোষ ই আপনার লেখার বিষয় ছিলো বোধহয়, সেটা লিখতে গিয়ে অনেক প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। সেটা না করেও বোধহয় লেখাটাকে আপনার আগের লেখাগুলোর মতোই অসাধারন করা যেত। আর মাহবুব লীলেন এর প্রভাব আপনার উপর অনেকটাই পড়েছে সেটা আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারলাম। উনাকেই কিংবা উনার কবিতাকে আশ্রয়স্থল করে ফেলেছেন পুরোটা হো হো হো । ভালোথাকবেন, শুভেচ্ছা নিরন্তর।

মাসুদ সজীব

তাপস শর্মা এর ছবি

পুরোনো লেখা কেউ ঘেঁটে পড়ছে দেখলে ভাল লাগে

০২

ঠিকই ধরেছেন এই লেখা কোন একটা বিষয়ের রিফ্লেকশান নয়। তাই এই লেখা এলোমেলো। যথেষ্ট অস্থিরতা কিংবা মাথা মোটা অবস্থা থেকেই এইসব কথার জন্ম। তাই বোধহয় লেখার শিরোনামটাও খেয়াল করেছেন - অসংলগ্ন কথাবার্তা। অসংখ্য অসংলগ্নতা থেকেই এগুলি লেখা তাই স্থিরতা নেই এখানে

মাহবুব লীলেনকে শুধু কবিতায় ধরা যাবে না, উনার সমস্ত সৃষ্টি ( কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, সাহিত্যধর্মী ও ইতিহাসশ্রয়ী নানা লেখা, রম্য রচনা ইত্যাদি ) দিয়েই উনাকে দেখতে হবে। সমস্ত বিষয়াদি নিয়েই তিনি সম্পূর্ণ। প্রভাব কিনা জানিনা, তবে উনি আমার অভ্যেস
ধন্যবাদ জানবেন। এবং শুভেচ্ছা নেবেন

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রভাব কিনা জানিনা, তবে উনি আমার অভ্যেস

দারুন বলেছেন, চলুক

শুভেচ্ছা আপনাকেও।

মাসুদ সজীব

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।