একটা সময় ছিল যখন কবিতায় মজে থাকাটাকেই ভবিষ্যৎ মনে হত। আনন্দ, দুঃখ, ক্ষোভ, হতাশা, বিদ্বেষ, প্রেম কিংবা ভালবাসার প্রকাশ মনে হয় এই পৃথিবীতে কবিতার মতো কেউ প্রকাশ করতে পারেনি। যদিও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কবিতা আমাকে প্রতারিত করেই পালিয়ে যায়। আমি ‘কেউ কেউ’দের দলে ছিলাম না। তবুও ভালবাসার অতলে ডুবসাঁতার দিয়েছি মাঝেমাঝে...
অনেক চেপে যাওয়া লবণাক্ত রক্তের বাড়ন্তে
স্মৃতি মজে গেছে ফেরারি মাঠে; হয়তো বিশ্রামে আছে শিরোনামহীন বাঁশবন
প্রেমিক হতে গিয়ে অভিমানী হয়ে যাই বার বার
চুমো খেতে গিয়ে কামড় বসাই নদীর বুকে
ততদিনে গোমতীর বুক গভীর থেকে হ্রস্ব হয়ে যায়
ততদিনে ডুম্বুর এর গহীন বনে গঙ্গা ফড়িং এর দল আত্মহত্যা করে দলে দলে
ততদিনে কন্ঠের লালিত্যে ভিড় করে উজানের সব ব্যথা
তবুও আমার প্রেমিক সাজা হয়ে উঠেনা
ততদিনে বিসমিল্লা’র পাগলা সানাই শুনে শুনে কেটে যায় মগজের ব্যস্ততা
ভুলে যাই নদীর নাম ভুলে যাই তোমার নাম
০২
দুঃস্বপ্নের হাতপাখা নাড়তে নাড়তে একদিন খয়েরি হয়ে যায় জংধরা অনামি মানুষ। আমি সেই মানুষদের দলে...যদিও আমার গল্পগুলি অনেক মসৃণ ছিল। স্বপ্ন বলতে যা ছিল সেগুলিতে বাঁচার ইচ্ছে ছাড়া খুব বেশী দুরহ কোন অঙ্ক ছিল না। কিন্তু তাই বলে এত সামান্য চাওয়া-পাওয়া পেয়ে যাবো? ধুর, তা হবে কেন? অতপর প্রতিবন্ধী এই জীবন-বায়োস্কোপে দিবাস্বপ্ন থেকে রাতজাগা দুঃস্বপ্ন কাঁধে বয়ে জীবনকে খুন হতে দেখি প্রতিটি অসমাপ্ত ঘড়ির টিক টিক টিক করা শ্লোগানে... এবং জীবনের রঙ দেখবো বলে নিজের মুখে রঙ মেখে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে থাকি। মাহবুব লীলেন বলেন – ‘যার মাথাই নাই; সে আবার মাথা নোয়ায় কেমনে?’
যদিও ভালবাসার কিংবা প্রেমময় কোনো আখ্যান লেখা হয়নি আমার। কিন্তু প্রিয় কোন লেখকের অক্ষরে যখন তা খুঁজে পাই তখন তাকে আপন করে নিতে সময় লাগেনা... অপ্রত্যাশিত জিজ্ঞাসা কখনো কখনো জীবন নিয়ে দিনলিপি প্রস্তুত করতে থাকে। এখানেও মাহবুব লীলেন বলেন –
“নেই প্রত্যাশা-নেই অভিমান
নেই জীবনে জীবন জড়ানো স্বপ্নের জাল
তবুও কি অদ্ভুত জড়িয়ে থাকা; বৃক্ষ ও মাটিতে বটের লতানো শেকড়
ভালবাসি বলেই ভালো না বেসেও কেটে যায় বহুদিন
ভালবাসি বলেই ভালবাসার কথাটাই বলা হয় না তোকে”
০৩
''অক্ষয় যৌবন কোনো কুমারীর কাছে আমার সালাম বিক্রি করে দিস
ভালো মতো খর্চাপাতি চলে যাবে
আগামীকাল কিংবা কিয়ামত পর্যন্ত '' – মাহবুব লীলেন
ভাস্কর চক্রবর্তী বলেন - ''কবিতা আর মানুষ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখা, সে খুবই শক্ত একটা ব্যাপার। দিন এমনই এসেছে, পাশের বাড়ির লোকটা কীভাবে বেঁচে আছে আমরা জানি না, জানতেও চাই না। শুধু পৃথিবীর গুটি কয়েক কবি, যাদের আমরা অকাজের বলি, তারাই, আমি একশোবার বলব, এই অন্ধতা সরিয়ে, পৃথিবীকে প্রতিদিন আরো একটু সুন্দর করার কাজে মেতে আছেন। আমরা দেখেছি, দেশগুলো অনবরতই ভাগ হয়েছে, আর কবিরা সেইসব দেশ জোড়া দিতে দিতে চলেছেন।'' ... হয়তো এই কারণেই রোজ অজস্র তিক্ততা নিয়েও কোন কবিতার পাতায় নিজেকে ছেড়ে দেই। নিত্য দিনের ‘নেই’ আর ‘নেই’ শুনতে শুনতে, ভালবাসাহীন জমাট রুদ্ধদ্বারে কিংবা অজস্র দৈনি-কবিদের পরস্পর পিঠ চুলকে দেওয়ার ইতিবৃত্ত দেখতে দেখতেও এক টুকরো লীলেনপাঠ রোজ আমাকে নির্মোহভাবে বাঁচতে শেখায়, কখনো কখনো ভালবাসতেও শেখায়
০৪
“ভুলে যাওয়া যায়নি বলেই তাকে ভুলে যাবার এই সযত্ন ভান
তার প্রেমে প্রতারণা ছিল তাই তার লাগি এত টান”
উপরের লাইনগুলি ‘জাতিস্মর’ কবিতার, কাব্য – ‘মাংসপুতুল’। যখন মাহবুব লীলেনের নামও শুনিনি তখনই এই কাব্যের কথা শুনেছিলাম এক অগ্রজ এর মুখে। দুই হাজার তেরো সালে এসে বইটা হাতে পাই। সেখানে সেই সব কথাই আছে। কোন অলৌকিক কিছু নেই, নেই বাড়িয়ে বলা কোনো অতিমাত্রার হিসেবপত্র। আছে চাওয়া-পাওয়া, দেখা-অদেখা, বলা-না’বলা, ভালবাসা কিংবা প্রতারণা। আছে তোমার আর আমার কথা...
“তোমাকে একশ’বার বলেছি তোমার শাড়ির সবগুলো ভাঁজ আমি চিনি
সারাদিন ব্যস্ততায় কোন ভাঁজ কতটুকু বিধ্বস্ত হয়
কতটুকু এলোমেলো হয় যত্নে গোছানো চুল
আমি জানি
আমি জানি
উৎফুল্ল কিংবা বিষণ্ণতায় তোমাকে কেমন দেখায়
তোমার সবগুলো শিরার গতিপথ
তোমার প্রিতিটি নিঃশ্বাস আমি ভালো করে চিনি
আমি জানি বিব্রত হলে তুমি কী করো
কী অভিনয় করো কোনো কিছু লুকানোর বেলা
মিথ্যে বললে তোমার কন্ঠের স্বরলিপি কোন গ্রামে ওঠানামা করে
সব আমি জানি
তোমাকে কতবার বলেছি বিবাহিত পুরুষ কিংবা ব্যর্থ প্রেমিকের
কোন কথা বিশ্বাস করা যাবেনা মোটেও
কোন কোন দুঃখের গল্পে পাশ কাটিয়ে যেতে হবে আর
কিছুই ভাল্লাগে না বললে কেন গুটিয়ে নিতে হবে তোমার
তোমাকে কতবার বলেছি তোমার পায়ের শব্দ
তোমার ছায়া
এমনকি যে পথ দিয়ে তুমি হেঁটে যাও
তার গন্ধ আমি চিনি
গতকাল সন্ধ্যায় যে তোমাকে নামিয়ে দিলো
আমি নিশ্চিত সে তোমাকে তার কষ্টের গল্প শোনাতে নিয়ে গেছে কোথাও
তোমাকে লক্ষবার বলেছি আমাকে লুকাতে গিয়ে আমারই সামনে পড়ে গেছ তুমি”
০৫
মানুষটা নাকি কবিতা লেখা ছেড়ে দিয়েছেন। তাই হেঁড়ে গলায় একটা হাঁক দিয়ে গেলাম। 'বাগদত্তা' কবিতাটি আবৃত্তির একটা অপচেষ্টা করলাম...
কবিতা : বাগদত্তা
কবি : মাহবুব লীলেন
কাব্যগ্রন্থ : মাংসপুতুল । প্রকাশকাল : ২০০৫
প্রকাশক : শুদ্ধস্বর
আবৃত্তি : তাপস শর্মা
মন্তব্য
আবৃত্তির সাথে লেখাটা একটু মিলিয়ে নিবেন। কয়েকটা শব্দে অমিল লক্ষ্য করলাম।
হুম। ঠিকই ধরেছেন দু'তিনটে শব্দে একটু ভুল হয়ে গেছে
ধন্যবাদ আপনাকে
ডাকঘর | ছবিঘর
ইসরাত
ধন্যবাদ ইসরাত
ডাকঘর | ছবিঘর
স্যালুট মাহবুব লীলেন
আর, আপনার হাঁকের সাথে আমিও একাত্মতা ঘোষণা করছি।
শুভেচ্ছা
থ্যংকস
আপনিও শুভেচ্ছা নিয়েন
ডাকঘর | ছবিঘর
তাপসের কাণ্ডে মাঝে মাঝেই তাজ্জব বনে যেতে হয়
আবার মাঝে মাঝে আশাও জাগে হয়তো কবিতায় ফিরতে পারব আবার
''ধর্ম আর গণতন্ত্র শান্তি আনেনি ইতিহাসে কোথাও
শান্তিপূর্ণভাবে লিখে গেছে দাসত্ব আর হত্যার কলাকৌশল
গণতন্ত্র কিংবা ধর্মে আস্থাবান হয়ো না পুষ্পিতা তুমি
আইনসিদ্ধ হত্যাকারীর দলে লিখিও না নাম
তুমি থাকো প্রেমে
আকন্ঠ কল্যাণ কামনার পরিশুদ্ধ নারী
ধার্মিক কিংবা গণতন্ত্রী হয়ে খন্ডিত ক’রো না নিজের হৃদয়
এমন কোনো ধর্ম নেই মানুষকে নরকে পাঠায়নি যারা মানুষকে বাতিল বলেনি যারা
এমন কোনো গণতন্ত্র নেই মানুষকে বন্দি করেনি যারা মানুষকে হত্যা করেনি যারা
এমন কোনো ধর্ম নেই নিজেকে গণতান্ত্রিক বলেনি যারা
এমন কোনো গণতন্ত্র নেই ধর্মের লালন করেনি যারা
সব ধর্মই মানুষকে পাপী বলে শেষ করেছে অলৌকিক বাণী
সব গণতন্ত্রই মানুষকে অপরাধী বলে শেষ করেছে ইশতেহার ওদের
মানুষ বিরোধী এই দুই পথে নির্ভর ক’রো না পুষ্পিতা তুমি
তুমি থাকো প্রেমে-থাকো মানুষের নির্ভেজাল দয়া ও মায়ায়
ধর্মে আস্থাবান হলে স্বর্গের লোভে আমাকে নরকে পাঠাবে তুমি
গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হলে আইনের নামে আমাকে অপরাধী বানাবে তুমি
ধর্ম কিংবা গণতন্ত্র
রাজনীতির দু’ধারাই তোমাকে ধরিয়ে দেবে আমাকে প্রত্যাখ্যান কিংবা
হত্যার অধিকার
এমন কোনো পথে যেও না পুষ্পিতা তুমি
যে পথে আমাকে তোমার পাপী কিংবা অপরাধী বলতে হয়
আর প্রায়শ্চিত্বে পোড়াতে হয় নির্ভেজাল আত্মার প্রেম''
[ মাহবুব লীলেন । শাশ্বতী । কাব্যগ্রন্থ – কবন্ধ জিরাফ ]
সত্য ও সুন্দরের এমন চিত্রকল্প এই পৃথিবীতে কয়টা মানুষ তুলে ধরতে পেরেছে? আমার জানা নাই। যে এই কবিতাটি লিখেছেন সেই মানুষ যদি কবিতাকে অবহেলার নামে নিজেকেই অবহেলা করে তা হলে ঐটা পাপ...
ডাকঘর | ছবিঘর
অনবদ্য। গালিব মনে পড়ে গেল।
আবৃত্তিটা আসছে না কেন? তাপসদা, আলোচনা তীব্র হয়েছে!
থ্যাঙ্কস নির্ঝর ভাই। মাহবুব লীলেনের 'মাংসপুতুল' কিংবা 'কবন্ধ জিরাফ' এই কাব্যগ্রন্থগুলি সংগ্রহ করতে পারেন। অনবদ্য দুটি কাব্যগ্রন্থ
০২
কেন আবৃত্তিটা দেখতে পাচ্ছেন না বুঝতে পারছি না। এই লিঙ্কে গিয়ে শুনতে পারেন কিনা দেখেন তো। নাইলে লিঙ্কটা অন্য ব্রাউজারে কপি পেস্ট করেও দেখতে পারেন। আপনি যদি ফায়ারফক্স একেবারে লেটেস্ট ২৫ ভার্শনটা ইউজ করেন তাহলে এই সাউন্ডক্লাউড এর ইউজেট কোড শো করবে না, আমার নিজের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তাই আমি এর আগের ভার্শনটা ইনস্টল করতে বাধ্য হয়েছি। কেননা ফায়ারফক্সের লেটেস্ট ভার্শন সাউন্ডক্লাউড নিচ্ছেনা কোন অজ্ঞাত কারণে
ডাকঘর | ছবিঘর
বাগদত্তা কবিতাটা সত্যি অসাধারন। এই এক কবিতা পড়েই আমি মাহবুব লীলেন ভাইয়ের কবিতা পড়ার গভীর আগ্রহ বোধ করছি। বইটা অবশ্যই সংগ্রহ করে ফেলবো।
তাপস দা আপনার লেখার মধ্যে একটা মন্ত্রমুগ্ধতা আছে, কেমন জানি একটা দু:খবোধ আছে। আপনার লেখাকে আমার তাই ভীষন নিজের মনে হয়। এরচেয়ে বেশি কিছু বলার নেই
মাসুদ সজীব
শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানবেন
ডাকঘর | ছবিঘর
আহাহা, দারুণ হয়েছে !
ধন্যবাদ কবীর'দা
ডাকঘর | ছবিঘর
আবৃত্তি ভালো লেগেছে। কবিতাটাও দারুণ।
থ্যাংকস
ডাকঘর | ছবিঘর
আবৃত্তি দারুন লাগলো বিশেষ করে এই প্যারাগুলো
আবৃত্তি টা আমার কাছে একটু বেশি গতিশীল মনে হয়েছে, আরেকটু মন্থর আর শেষ প্যারার মতো আবেগী হলে আরো অনেক বেশি ভালোলাগতো। এটা সম্পূর্ণ আমার দৃষ্টিভঙ্গি, অন্যজনের কাছে হয়তো এমনটাই ভালো লাগবে।
কবি মাহবুব লীলেন ভাইকে বলছি, কবি যদি কবিতা থেকে সরে যায় তাহলে আর কি থাকে। আপনার কবিতা আমার দারুন লেগেছে, হেলাল হাফিজের পর আপনাকে আমার নিত্যদিনের জীবনের সহজ ভাষার কবি মনে হলো। তাই আশা করছি আরো কবিতা পাবো আপনার কাছ থেকে। কবিতা ছাড়া তো চারিদিকে অসুন্দর সব কিছুর জয়োৎসব চলছে এখন, এই নষ্টের মিছিলে চোখ না রেখে চোখ রাখতে চাই কবিতায়। কবিতাই তো আমাদের মতো মানুষের কাছে ভালোথাকার,ভালোলাগার শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। কবি আর কবিতা ছাড়া জীবনটা বড় ক্লান্তিকর লাগে। ভালোথাকবেন কবি।
মাসুদ সজীব
মাসুদ সজীবের সাথে আমিও একমত--
আমিও একমত।
অনিকেত'দা ও তানিম ভাই - ঠিকাছে। মাথায় রাখলাম, পরবর্তীতে খেয়ালে রাখব
ডাকঘর | ছবিঘর
ওয়েলকাম ব্যাক
আমি কোথাও যাই নাই কিন্তু
থেঙ্কু দাদাভাই
ডাকঘর | ছবিঘর
গঠনমূলক আলোচনার জন্যে ধন্যবাদ জানবেন মাসুদ সজীব। পরবর্তীতে যদি কোন সময় আবৃত্তি করি মাথায় রইলো আপনার মতামত
০২
চমৎকার বলেছেন
ডাকঘর | ছবিঘর
দুর্দান্তিস হয়েছে তাপস বস--লেখাটা তুমুল----আবৃত্তিটা আরেকটু ধীর-লয়ে হলে ভাল হত মনে হয়---এম্নিতে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক সহ আবৃত্তিটা শুনতে খুব ভাল লাগল!
লীলেনের কথা আর কী বলব--লোকটা অমানুষিক লেখে, কিন্তু আলসেমি (নাকি অভিমান?) তার হাত দুটো ধরে বসে আছে---ভারী অন্যায়---
ফিরে আসুন লীলেন--- গদ্যে পদ্যে আগুন জ্বেলে--
অফুরান শুভ কামনা--
হ। খালি ফাঁকি দেয় লীলেন'দা। সেই মহাভারত করে করে লোকটার মাথা গেছে। তাছাড়া 'কথাকলি'রে কবে থেইকা ঝুলাইয়া রাখছে
এত্তডি থেংকু দাদা। খুব তাত্তারি গান শুনতে চাই। শুভেচ্ছা জানবেন
ডাকঘর | ছবিঘর
তাপস, আপনাকে অফুরান শুভেচ্ছা আর ধন্যবাদ আমাদের মত সচলের নুতন পাঠকদের এই অসামান্য গুণী মানুষটির কাব্য প্রতিভার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। আশা রাখি আবার তাঁর কাছ থেকে কবিতা পাব আমরা।
আপনার লেখা খুব ভাল লেগেছে।
আপনার হাঁক শুনলাম। ভাল লাগল। আমি নিজে করলে একটু অন্যরকম হত। তবে তাতে আপনার পরিবেষণার রসগ্রহণে কোন অসুবিধা ঘটেনি। আপনার কাছ থেকে এরকম আরো হাঁক শোনার অনুরোধ জানিয়ে রাখলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
মাহবুব লীলেনের প্রোফাইল ঘুরে আসতে পারেন এই লিঙ্কে গিয়ে, সেখানেই উনার অসংখ্য লেখা খুঁজে পাবেন এবং সচলেই উনার প্রকাশিত একটি ছোটগল্পের বই- এর পিডিএফ ভার্শন পেয়ে যাবেন। পড়ে নিতে পারেন
০২
অবশ্যই। আপনি নিজেও আবৃত্তি করুন না। আমরাও তাহলে শুনতে পারব। আরও আবৃত্তি করব কিনা জানিনা, তবে দেখি চেষ্টা হয়তো অবশ্যই করব
ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানবেন
ডাকঘর | ছবিঘর
আপনার ভাবনাগুলো সশ্রদ্ধ সালাম।
ভাল থাকুন অবিরত, শুভকামনা সতত।
তুহিন সরকার।
আপনাকেও ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা
ডাকঘর | ছবিঘর
____________________________
ধন্যবাদ
ডাকঘর | ছবিঘর
আপনি তো বেশ ভালো আবৃতি করেন।নেপথ্যের মিউজিক ও বেশ ভালো হয়েছে।
থেংকু ম্যাডাম
ডাকঘর | ছবিঘর
ফিরে আসুন কবি
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
হুম। ফিরে আসুন কবি
আপনার বিজ্ঞানধর্মী লেখাগুলো নিয়মিত পড়া হয়, ছড়াও পড়া হয়। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানবেন
ডাকঘর | ছবিঘর
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
অনেক ধন্যবাদ, তাপসদা! লীলেনদাকে এভাবে চেনানোর জন্য। হয়ত লীলেনদাকে চেনানোর দরকার পড়ে না। তবু আমার মত অনেক অধম পাঠক আছে, যারা হয়ত এই পোস্ট পড়েই লীলেনদাকে জানতে পেরেছে।
ধন্যবাদ
ডাকঘর | ছবিঘর
অনেক দিন পর সচলে ঢুঁ মারতেই আপনার এই লেখাটা চোখে পড়ল। সব মিলিয়ে দারুণ হয়েছে তাপস।
আর মহামতী লীলেন এর কথা বলে লাভ নাই। উনি আমাদের মতো সাধারন পাঠকদের পাত্তা দেন না ভাই। এবার আপনার মতো পাঠক কাম লেখক এর কথায় যদি কবিতা লেখা শুরু করেন
'পাঠক' অবধিই ঠিক আছে 'লেখক' হয়ে আর 'কাম' নাই। নিজের ভাবনাগুলি প্রকাশের জন্যে দুই চার লাইন বকবক আর কি
যাই হোক, উনি ফিরে এলেই মঙ্গল
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
ডাকঘর | ছবিঘর
আহা তুমুল!!!
দারুণ এক কাজ করছেন তাপস'দা। লীলেন'দা ডাক শুনেছেন- সাড়াও দিলেন। এখন ফিরে এলেই হাঁকডাক প্রাণ পায়...
হুম। ঠিক তাই
ডাকঘর | ছবিঘর
ভাল লেগেছে
নতুন মন্তব্য করুন