আবোল তাবোল

তারেক এর ছবি
লিখেছেন তারেক (তারিখ: বুধ, ০৪/০৭/২০০৭ - ১:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ সকাল থেকেই আমার খুব রোদ পোহাতে ইচ্ছা করছে। আর তাই বুঝি এমন উল্টো হতে হবে সবকিছু? রোদের ছিটেফোঁটাও দেখা যাচ্ছে না কোথাও... এমনিতে গত ক’দিনের জ্বরে মোটামুটি কাবু হয়ে আছি। সর্দির জন্য নাকে শ্বাস নিতে পারছি না ঠিকমত, মাথা ভার হয়ে আছে, মুখ বিস্বাদ, তিতকুটে।

সূর্য না থাকলেও বাইরে নরম আলো, হালকা ঝিরঝিরে বৃষ্টির সাথে জোর ঠান্ডা হাওয়া বইছে গতরাত থেকেই। মাথার পাশে জানালাটা খোলা ছিল সারারাত। শেষরাতে কাঁপাকাঁপি জ্বর এলো। আমার কাঁথা-লেপ সব লকারে তোলা। খাট থেকে নেমে আবার লকার খুলতে হবে, এত পরিশ্রম করতে ইচ্ছা করছিল না। অতএব সাধু কাঁপিতেই থাকি! ফলাফল, ভোরে জেগে দেখি, গলা দিয়ে ফাঁসফাঁস আওয়াজ বেরোচ্ছে, বুক জমে আছে কফে, আর টনসিলজোড়া পুরনো ব্যাথাটা নিয়ে তার অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে নির্ভয়ে।

আজকের আলো,বাতাস বৃষ্টি, মেঘ সবই দারুন। আমার এরকমটাই ভাল লাগে হয় ঝুম বৃষ্টি নয়ত প্রবল হাওয়ায় তুলোর মত ভেসে বেড়ানো মেঘের কণা, ঘাসপাতার গন্ধ, সবুজ চারদিক স্বপ্নের মত। অথচ এই আমি কিনা শীতের সকালে হাড় জিরজিরে বুড়োর মতন গনগনা সূর্যের আগুন চাইছি! ধুর! আজ পুরো দিন মনে হয় এমন আবোল তাবোল যাবে। বার কয়েক উঠে বসেও দাঁত ব্রাশ করতে যেতে ইচ্ছা করছিল না, মুখে ঠান্ডা পানি ছোঁয়াতে হবে ভাবতেই কাঁপুনি দিয়ে জ্বরটা ফিরে আসছিল বারবার। তার চেয়ে বরং এই ভাল, ঘুমাও বাউন্ডুলে, ঘুমাও আবার।

এখন দুপুর বারটা বাজে। আমি সকালের নাস্তা করতে বসেছি। পিসি অন করাই ছিল সারারাত। ঢুঁ মারছি এখানে ওখানে, মেসেঞ্জারেও কাউকে পাচ্ছি না। হাতে পাউরুটি নিয়ে ভাবছি তাতে আরেক কামড় বসাবো কিনা, চা খেতেও ইচ্ছে করছে খুব, ভোরবেলায় আব্বা ফোন করে কি যেন জরুরি কথা বলেছিলেন... খুব মনে করবার চেষ্টা চালাচ্ছি, পারছি না, ফোন করে জেনে নিতেও ইচ্ছা করছে না। তার চেয়ে পুরো দিন ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিলে কেমন হয়? একটা আস্ত দিনে মুছে দেই রোজকার খরচের পাতা থেকে? সেইটাও হবে না জানি... ধুর্‌..


মন্তব্য

সৌরভ এর ছবি

ভালো হয়ে ওঠো।
শুভ কামনা।

------ooo0------
বিবর্ণ আকাশ এবং আমি ...


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

আরশাদ রহমান এর ছবি

রোদ পোহানোর কথা মনে করিয়ে দিলেন। ছোট বেলায় আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগতো রবিবারের সকালের রোদ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।