মহীনের ঘোড়াগুলির সাথে পরিচয় আমার এস এস সি পরীক্ষা পরবর্তী বন্ধে। মাথা খারাপ করে দিছিল ব্যাটারা। মাঝে অনেকদিন হালকা পাতলা শুনতাম। কিন্ত ইদানিং কি হইছে বুঝতেছি না। ঘোড়াগুলি আবার আমার উপর ঝাপাইয়া পড়ছে। ডাকে তো ডাকে... দিন নাই রাত নাই। আমি টেবিলে বসি, ভাত খাই, ঘুমাই,পড়ি... ঘোড়া খালি ডাকে, তার ঘুম নাই কিছু নাই।
এই গানটার ভয়াবহ স্যাক্সোফোনিক মিউজিকের জন্যে গৌতম চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ভুতেরে লাখো নমস্কার। যুগ যুগ জীয়ে গৌতমজী।
যাও ছেড়ে চলে ভাবনা আমার
চাই না কাছে পেতে তোমাকে আর
কেনো আসো ফিরে
বারে বারে রাত গভীরে
না পারি যেতে স্বপ্নে ভেসে চলে দূরে
এখনও যে এরকমই কেন আছি তবু জেগে
কাটে কত রাত এভাবেই
না যে পারি সামলাতে নির্ঘুম রাতকে
চাই দিনরাত্রি, হয়ে যায় যে কত কি তা জানি না
নেই সময় তোমার, নেই সময় আমার এত ভাবনার
যাব যে কোন পথে কে আজ আমায় বলে দেবে?
যাও ছেড়ে চলে ভাবনা আমার
চাই না কাছে পেতে তোমাকে আর
কেনো আসো ফিরে
বারে বারে রাত গভীরে
না পারি যেতে স্বপ্নে ভেসে চলে দূরে
এখনও যে এরকমই কেন আছি তবু জেগে
|
নামাইতে চাইলে ক্লিক করেন এইখানে।
শুইনা শুইনা লিখলাম। লিরিকস এ ভুলভাল থাকতে পারে। সেরকম মনে হইলে জানাইয়েন।
মন্তব্য
মহীনের ঘোড়াগুলির গান শোনার জন্য আমি কৃতজ্ঞ অঞ্জন দত্তর কাছে। পরশ পাথর আর অঞ্জন-নীমার "গানে গানে ভালোবাসা" শুনে আমার ইচ্ছে হয় ওদের গান শুনতে। তারপর তো...চলছেই। "তোমায় দিলাম" আমার সবচেয়ে প্রিয় গানগুলোর মধ্যে একটা।
"মহীনের ঘোড়াগুলি" নিয়ে কোথাও কথা হচ্ছে শুনলেই আমি উঁকি মারি। এই গানটা শোনা হয় নি। আমি একটু গাধা আছি, ইস্নিপস থেকে গান নিতে পারি না। কনফু নিয়ে রাখুক, আমি শুনব পরে।
--তিথি
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
এটা আছে আমার কাছে। এলেই শুনতে পাবি।
-যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
এইটা মহীনের ঘোড়াগুলির অন্যতম সেরা গান আমার মতে। আরেকটা ভীষণ ভাল লাগা গান হচ্ছে আকাশে ছড়ানো মেঘের কাছাকাছি পরের পোস্টে সেটার লিরিকস দিমু। কেউ যদি এর মধ্যেই সেইটা দিয়ে ফেলে তাইলে কিন্তু খেলুম না!
কি আছে আর
গভীর রাতে নিয়ন আলোয়
আলোকিত যত রেস্তোঁরা
সবথেকে উঁচু ফ্ল্যাটবাড়িটার সবথেকে উঁচু ছাদ
তোমায় দিলাম আজ।
আপু, আর মাথা কইরেন না এইটার কথা বইলা। আমার জীবন পুরা ঘোড়াময় হইয়া যাইতেছে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
কই শুনছিলাম প্রথম ভুলে গেছি। কিন্তু ভালো লাগছিল সেইদিনই।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
এই ঘোড়া, ঘোড়া মজিদ, তুই গান খাস কেন? তুই তো ঘোড়া, তুই খাবি ঘাআআস!
--তিথি
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
নজমুল ভাই, ভাল লাগছিল বলে বেঁচে গেলেন। নাইলে আপনার খবর আছিল।
কনফুদা,আপু আমারে কি বলে দেখেন! আমি মজিদ নাআআআ
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
হ, আপনার জন্যে রইলো জাঝা । -যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
যা বুঝতাছি, আইজ সচলায়তনে আরেকখান জা-ঝা বিপ্লব হইতে যাইতেছে।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
আর্মী স্টেডিয়ামে অঞ্জনের কনসার্ট। অঞ্জন বললো - একটা গৌতমের গান গাই।
পাবলিক বলে - না না না।
অঞ্জন বললো - মহীনের ঘোড়াগুলোর গান। তখন সবাই বললো - হ্যাঁ।
সেদিন প্রথম শুনেছিলাম - 'তোমায় দিলাম আজ'।
_________________________
'আজকে না হয় ভালোবাসো, আর কোন দিন নয়'
গৌতম ছাড়া মহীনের ঘোড়াগুলি? অসম্ভব! আসলে পুরা লাইনআপটাই দুর্দান্ত ছিল। ব্যাটারা সেই যুগে যা গাইয়া গেছে, মারাত্মক!
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
ব্যাটার কিন্ত এখনো আমার মাথা খারাপ করে দেয়। তাই মন বিষন্ন হলেই-
'শহরের উষ্ণতম দিনে
পিচগলা রোদ্দুরে
বৃষ্টির বিশ্বাস তোমায় দিলাম আজ' -ই
ভরসা।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
চমৎকার কমবিনেশন! ভোকাল+ স্যাক্সোফোন (না ভায়োলিন?)
গৌতম মিয়া স্যাক্সোফোনিস্ট ছিল। ভায়োলিনের সুর এরকম না মনে হয়।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
আহ্!
এই কথাটা লিখে দুইটা বিরাট দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। মহীনের ঘোড়াগুলির কথা উঠলেই কেমন একটা উদাস ভাব উড়ে আসে কোথ্থেকে যেন।
তিথির মত আমিও প্রথম শুনি অঞ্জনের 'গানে গানে ভালবাসা'য় পরশপাথরের কন্ঠে 'তোমায় দিলাম'। অ্যান্ড দ্য রেস্ট ইজ হিস্টরি। এরপর তোমার মতই ঘোড়াগুলি আমাকেও তাড়া করে যাচ্ছে সবখানে, সব সময়।
তোমায় দিলাম, যাও ছেড়ে চলে, যখন ধোঁয়া মেঘে, আমার দক্ষিণ খোলা জানলা, কথা দিয়া বন্ধু, আকাশে ছড়ানো, আমি ডান দিকে রইনা - কোনটা ছেড়ে কোনটার কথা বলব? সবগুলো সেই যে কবে তাড়া শুরু করল, এখনো পিছু ছাড়েনা।
ধন্যবাদ। মহীনের ঘোড়াগুলির তাড়া খাওয়া এরকম কাউকে পেলে খুব ভাল লাগে।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
অঞ্জনের 'গানে গানে ভালবাসা' কি খুব ফেমাস ছিল নাকি? তিথি আপুও দেখি ওইটার কথা বললেন। আমি কখনও শুনি নাই। আমাদের বাসায় ক্যাবল টিভি ছিল না কখনও। মিস করছি অনুষ্ঠান টা।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
ওটা তো কেবল টিভির শো না। অঞ্জন দত্ত ঢাকায় এসেছিল ১৯৯৮-এ মনে হয়। তখন নিমা রহমানের সাথে একটা চিঠি আদান-প্রদানে কথোপকথন টাইপ করেছিল, ওর মাঝে মাঝে ওর গান। জাতীয় যাদুঘরে বোধ হয়। ওদের সাথে এসেছিল কলকাতার পরশপাথর ব্যান্ডটা। তো ওদের এই গানসহ চিঠির কবিতাটাইপ ব্যাপারটার 'গানে গানে ভালবাসা' নামের একটা ক্যাসেট বের হয়েছিল। ঐটাতে পরশপাথরের গাওয়া মহীনের ঘোড়াগুলির 'তোমায় দিলাম' ছিল। আমি ওদের গান সেই প্রথম শুনি। তিথিও তাই মনে হয়।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
৯৮ তে আমরা চিটাগাং এ, ক্লাস এইটে পড়ি। এই খবর জানতাম না আসলে। আমি তো নাম শুনে ভাবলাম কোন টিভি শো টো হবে।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
--কবে যাচ্ছে? শুভকামনা।
বিখ্যাত ব্যাপার নিয়ে নতুন করে কি আর বলবো?
কি মাঝি? ডরাইলা?
দারুন পছন্দের গান ।
ছোটদের অনেকেই গানে গানে ভালোবাসার খবর জানেনা।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ছোট, না? পাইছি আপনারে... মিয়া বুইড়া। আপনে আইজ থেইকা আমার নানা।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
যাহ! তারেক দেখি একদম বাবু ক্যাটাগরির ছেলে!
-যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
শেষ পর্যন্ত বাবু? এও ছিল কপালে? ব্যাঙ্ক বাবু না তো আবার? তাইলে তো পুরা বরবাদ!
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
ভালোবাসি জোছনায় কাশবনে ছুটতে
ছায়াঘেরা মেঠোপথে ভালোবাসি হাঁটতে..
সবগুলা গানই ভালোর ঘরে।।
চাই দিনরাত্রি, হয়ে যায় যে কত কি তা জানি না
.. হয়তো যায় হবে।
____________________________
বিকৃত সময়ে বিকৃত মনোভাবে
বিকৃত মানুষগুলোর রুচি
চিৎকার করি জ্বলেপুড়ে ছারখার
তবুও আমি নাকি অশুচি
'
=========================================
নিজেকেই নিজে চিনি না, পরকে চেনার মিছে বাহানা
নতুন মন্তব্য করুন