( জায়নামাজে বসে অঝোরে কাঁদা বৃদ্ধ মায়ের প্রতি,
মা, তাঁর অপমানিত কন্যা ও শহীদ সন্তানের প্রতি)
পঙ্গপালে ছেয়ে গেছে দশদিক
তবু তার মাঝ দিয়ে এখনো আকাশ দেখা যায়
অপমানে, ঘৃণায় চোখ বুজে আসছে
তবু, মাঝে মাঝে দুহাত উপরে উঠে আসে-
মুঠি পাকানো দূর্বল দুহাত;
শক্ত বুটের লাথি নেমে আসে তার'পর।
আঙুল ভেঙে গুঁড়িয়ে যায়।
রক্তাক্ত শরীর, পা, বুক চিরে বেয়নেট
নিচের মাটিতে গাঁথে।
আরেকটু, আরেকটু বাতাসের জন্য...
একাত্মবোধ, ভ্রাতৃত্ববোধ
ভেজা বেড়াল! ঢের শুনেছি তোমার ভাষণ
শুনতে-শুনতে ক্লান্ত মানুষ
জাগবে ক্রোধ, নেবেই শোধ।
উন্নয়নের জোয়ার আসবে, দেশও ভাসবে?
ইশতেহারের ধারায় ধারায় মিথ্যের জৌলুস।
রোসো! বেঁফাস মুখে ফাঁস পরাবে
ক্রুদ্ধ শুদ্ধ ক্লান্ত মানুষ।
বেশ তো আছো, ধর্মে নাচো কর্মে বাঁচো
অনুচরের ঢোলক বাজে, নিজেও বাজো
চোর-ছ্যাঁচোড়ের সম্প্রীতিতে হাতাহা...
সূর্য! সূর্য! সূর্য!
মেঘ-পাড়-আকাশ ভাঙা সোনালী রোদ্দুরে ধূসর কুয়াশা কেটে যাক। তুমি এসো, এসো দিগন্তে, এসো ভোরে, বিকেলে, সন্ধ্যায়, মধ্যরাতে। এসো যুবক ও যুবতীর ভালোবাসায়, হাসিতে, জামার আস্তিনে। কত বছর এই নগরে রোদ হাসে না। কত কত বছর বলো?
অথবা এসো না। বিবর্ণ, মৃত্যুময় শহরের পথে পথে দেশলাই বারুদে, ফুলকিতে আগুন জ্বলে উঠুক আরো আরো উজ্জ্বল হয়ে; এক একটা সূর্য হয়ে বিচ্ছুরণে রাঙিয়ে দিক পুরোটা শহ...
ঢাকা আন্তর্জাতিক বইমেলায় গিয়েছিলাম পরশুদিন। পত্রিকায় দে'জ পাবলিশিং হাউজ এসেছে এরকম নিউজ পড়ে ভেবেছিলাম ওদের কিছু বই সস্তায় কেনা যাবে। তাই মেলায় গিয়ে যখন টের পেলাম ওরা আসেনি মনটাই খারাপ হয়ে গেল। নিউজ করবার আগে তো আরেকটু কনফার্মড হয়ে নেওয়া উচিত, তাই না?
যাই হোক ঘোরাঘুরি করে শেষমেষ দুটো বই কিনলাম। তার একটা শঙ্খ ঘোষের লেখা "কবিতার মুহূর্ত।" শঙ্খ ঘোষ আমার প্রিয় কবি ও লেখকদের একজন। বই...
ভীষণ ঠান্ডা পড়েছে আজ। বাইরে কুয়াশার হিম... বিষণ্ণ, বিবর্ণ সকাল বোধহয় স্মৃতি উসকে দেয়। স্মৃতিমেদুর এই লেখাটা জিফরান ভাইয়ের ভাষায় "তীব্র সুনীলীয়"। আমার ও তাই ধারণা। কিভাবে, কখন যে কার ছায়া এসে ভর করে... মাঝে মাঝে এইসব প্রেতাক্রান্ততা (!!) উপভোগ করা যাক সদলবলে
এসো উনিশশো বিরানব্বুই
আট আনা দামের সাদা ভোকাট্টা ঘুড়ি
এসো একলা দুপুরের অভিমান,
ভাঙা নাটাই, ছেঁড়া সুতো, ভেঙে যাওয়া সাতচারা।
প...
আমি একটি শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি।
বারান্দার আলো চিরে ক্রন্দনরত শিশুটির চিৎকার
কুয়াশার ঘের ভেঙে
একটানা বেসুরো শব্দে ভেসে আসছে...
সাথে যুক্ত হচ্ছে বিভিন্ন ধ্বনি;
শব্দের গোপন উৎসগুলো মিলিত হয়ে
রচনা করছে শর্বরীর আবহসঙ্গীত
অবিশ্রান্ত বর্ষণের মত।
কান্নার শব্দ কি বলে, মানুষ কেন কাঁদে?
কেমন হয় ক্রন্দনের স্বরলিপি যে খুব আপন না হলে
কেউ বোঝে না ত...
শেকড়ের ছিন্ন পায়ে বিন্দু বিন্দু রক্তের ফোঁটা
এই পরিযায়ী যাপন, 'অস্থানে ঝরে যাওয়া বেদনা'রা
বহুকাল পাশাপাশি থেকেছে, মেনেছে এই সহগামিতা
অভিশপ্ত পৃথিবীতে টিকে থাকবে অনন্তকাল।
নিদ্রিত ভূমি তবু জানে
একদিন
শেকড়েরা উঠে আসবে, উঠে আসবে
যেন অভিন্ন উদ্গমকালে শেষ অভ্যুত্থান।
আমাদের হাতে এক অনন্ত বিস্ময়; নীরব সত্যের রেখা আমাদের চোখে... সে অবিরাম শিকার খুঁজছে।
So why do we keep up this charade
How do we tell apart the time to leave from the time to wait
শিখা ও ছায়ার নাচে রচিত হয় অশ্রুত কবিতা । অথচ শেকলবদ্ধ পাখির মতো, একাকীত্বের ভার বয়ে যাচ্ছ তুমি।
The dance of flames and shadows in the street
Make poetry nobody's ever heard
The weight of loneliness stands on your feet
The cage already there around the bird
আমি হারিয়...
বাসার সামনের অংশটাই আমার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা। দরজা খুললে ছোট্ট টিনশেড বারান্দা। তারপর উঠোনের মত একচিলতে ছাদ। তাতে দু'টো চেয়ার পাতা থাকে সবসময়। কিছু করার না থাকলে প্রায়ই ভোরে, সন্ধ্যায় বা বিকেলের মরা রোদে মগভর্তি চা হাতে সেখানটায় এমনি বসে থাকা হয়। কোন একটা বই নিয়ে বসলেও সময় কেটে যায়।
হেমন্তের কোন এক বিকেলে আকাশ জুড়ে রঙের মেলা বসেছিল মেঘেদের... সন্ধ্যের আকাশ এমনিতেই বিষণ্ণ; দলবেঁ...
আমার অবিশ্বস্ত রাত সন্ধ্যার পরে লুকিয়ে আসে যেন
অভিসারে প্রেয়সী কাকতাড়ুয়া শুধু হাওয়ায় ছড়াতে পারে
উড়ন্ত চুম্বন- খড় গোঁজা ঠোঁটে নিয়ে কাঠকয়লার দাগ;
মাঠের উপরে নিথর আকাশ। অমারাতের নক্ষত্রমালা
নিঝুম খাঁড়ির জলে সবুজ আলো হয়ে পোড়ে
জলজ মুখোশ ছাই হয়ে পোড়ে জলের শব্দে
যুবকের হাতে সেই জল ভেঙ্গে উঠে আসে অজস্র বুদ্বুদ
শিরায় সবুজ রক্ত, বনবিড়ালির মত চকিতে সরে সরে যায়
নৌকা দোলে। সাথে দোলে
স...