'অমিতাভ দাশগুপ্তর শ্রেষ্ঠ কবিতা' থেকে সদ্য পড়েছি এরকম ভালো লাগা কিছু কবিতা দিলাম সচলের কবিতাপ্রেমীদের জন্য। আরো অনেক পছন্দের কবিতা ছিল। কিন্তু সেগুলোর কিছু কিছু এত বড় যে টাইপ করতে ইচ্ছে হল না আর...
আমার স্বপক্ষে/ আমি তোমাদেরই লোক
এইখানে চর ফুটেছিল। জ্যোৎস্না। হোগলার বন।
বানভাসি মানুষের বাধ্যতামূলক অরন্ধন
কিছুকাল বন্ধ ছিল। ঘর, শিশু, আউসের ক্ষেত,
পানের বরোজ বুকে অকস্...
ফয়সাল মারা গেল গতকাল।
বিকেলে মাইকে যখন বারবার বলা হচ্ছিলো- বাদ মাগরিব মরহুমের... আমার খুব খারাপ লাগছিলো শুনতে। ফয়সালকে কেন মরহুম বলছে ওরা?
ক্যাম্পাসে যখন পৌঁছুলাম আদিল তখন একটা চেয়ারে বসেছিল মাথা নিচু করে। ওর পিঠে হাত রাখতেই বাঁধ ভেঙ্গে গেল দু'জনেরই। আমি ওর কষ্ট টের পাচ্ছিলাম... ছুঁতে পারছিলাম না একবিন্দুও। আজ ফেসবুকে ওর স্ট্যাটাসের কথাগুলো পড়ার পর মনে হল একটা খুব ধারালো ছুরি ...
আমাদের বন্ধু আহমেদ আল ফয়সাল। হাশিখুশি ছেলেটা ছোট বোনের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার সাজেশন নিয়ে তাড়াহুড়ো করে বাড়ি যাচ্ছিলো গত বৃহস্পতিবার। কিন্তু যাওয়া হয় নাই আর। মাঝপথ থেকেই ওকে ফিরে আসতে হলো ঢাকায়, স্ট্রেচারে শুয়ে।
একটি অ্যাসিডবাহী ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ওদের বাসের। দূর্ঘটনায় চৌদ্দজন মারা যায় সেদিন। ফয়সাল প্রাণে বেঁচে যা...
প্রান্তরে লুটেরা জ্যোৎস্না চাঁদের রক্তপাত মুছে নেয় ঘাসে
নক্ষত্রেরা ম্রিয়মান
জোনাকিরা সব লুকিয়েছে ফসলের মাঠে
মৌনী পাহাড়ের গায়ে দূরের কুয়াশার ঢেউ
ভেঙে পড়ছে... ভেঙে পড়ছে যেমন
মেঘপুঞ্জের রোশনাই রূপোলী ঝিলের জলে
নরোম তরঙ্গের মত ভেঙে পড়ে ধীরে
জনপদ ও বনস্থলীর সন্তানেরা শোনো
আজ ষোড়শী চাঁদের নীরব দস্যুতা হবে
রক্তের ডাক এলে ছুটে এসো প্রান্তরে
শিরায় উপচে উঠুক জ্যোৎস্নার বিষ
মৃত...
যদি দেখ মরে গেছ তো খুন হয়ে যাও
মৃত্যুর অনেক উপায় আছে - তুমিও জানো
শুধু বেছে নেবে পছন্দমতো
নীরব মৃত্যু চাইতে পারো
নৈঃশব্দের ছন্দপতন ঘটাতে যে আসে
কিংবা দগদগে ক্ষতের মুখে নীল মাছি
ধমনী দিয়ে বেরিয়ে আসছে উড়ন্ত রক্ত
সাদামাটা দড়িতেও ঝুলে পড়তে পারো
ইচ্ছামৃত্যুর রঙ বাছাইয়ের স্বাধীনতা ঈশ্বর দিয়েছেন
আর স্বর্গীয় উদ্যানে মাতাল হবার রসদ
পৃথিবীটা অনেক পুরনো
শত শত বছর ধরে এখানে জন্মের প...
প্রতি ভোরে শিউলিরা ঝরে যায় যতটা ভোরে তুমি জাগো না... মঞ্জরীর বিচ্ছেদ দেখে তুমি অভ্যস্ত নও। হঠাৎ কখনো চোখে পড়ে কিভাবে বৃন্তচ্যূতি ঘটে ফুলের... উদ্বাস্তু হয়ে পড়ে থাকে রাস্তায় কিংবা ঘাসের উপর... যদি শিশিরে ভেজা থাকে ঘাস তবে খুব নরম নয়তো কেবলই নিষ্প্রাণ ভেবে পায়ে দলে একাকী কোন কাঠবিড়ালি হেঁটে যাবে এলোমেলো... অথবা তুমি খালি পায়ে ছুঁতে গিয়ে মাড়িয়ে দেবে কিছু রক্তিম বৃন্ত তবু হাতে ছোঁয়া কোম...
মাঝে মাঝে খুব মন খারাপ হয়। গভীর রাতে মৃদু বাতাসে এলোমেলো মেঘ পাখা উড়িয়ে চলে যায়। এই বিশাল শহরের বড় বড় দালানের আলোয় আকাশের ও নিভৃতি জোটে না। রাতের নিজস্ব ...
তবু আরেকবার এসো। প্রয়োজন ফুরোনো দিনে মৃত পাখির দেহ ছুঁয়ে যাওয়া রক্তাপ্লুত বাতাসের মতো। ভেঙ্গে যাওয়া হাত ছুঁয়ো না। কপালে ছোট্ট করে এঁকে দিয়ো তোমার চিহ...
সেই কখন থেকে একটা বিমর্ষ কাক ডেকেই যাচ্ছে
মরা পেয়ারা গাছটার ডালে বসে
দীর্ঘ, দীর্ঘ স্বরে উত্তরে, দক্ষিণে
গলা কাঁপিয়ে ডেকে যাচ্ছে
পথচলতি দু'একটা পাখি জব...
ভাইবোনদের মধ্যে মেজাপুর সাথেই আমার খাতির এবং শত্রুতা ছিলো সবচেয়ে বেশি। ছোটবেলায় কেউ যদি জিজ্ঞেস করতো তোমার সবচেয়ে অপছন্দ কাকে?আমার নিঃসংকোচ জবাব ছিল ...