পৃথিবীর যে কয়টি সত্যিকারের ঐতিহাসিক, সুবিশাল, জাঁকজমকপূর্ণ শহর শতাব্দীর পর শতাব্দী ব্যপী একইসাথে প্রাচীন ইতিহাসের ছোঁয়া ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে মিলান নগরী তার মাঝে অন্যতম । তার সাথে আবার কয়েক দশক ধরে যোগ হয়েছে ফুটবল উম্মাদনা, বিশ্বের আর কোন শহরে বিশ্বমানের এমন দুটি ফুটবল ক্লাব আছে!
ইতালির এই প্রাচীন শহরে পৌঁছালাম এক জুনের মাঝমাঝি প্রায় মধ্যরাতে। পাতাল রেল থেকে বের হয়ে হোস্টেলে যাবার দিক নির্দেশনা হাতে থাকলেও ইতালির ২য় বৃহত্তম এই মহানগরীর বিশাল আয়তনের কাছে হাবুডুবু খাওয়ার দশা, কোনমতে এক আলোকজ্জল বড় রাস্তায় পৌঁছে আরেক বিপদ, রাস্তায় পায়ে হাটা কেউ নেই, কেবল নিশিকন্যারা ইতস্তত দাড়িয়ে। তাদেরই একজন পথভ্রষ্ট পথিক দেখে আধা ইংরেজি আধা ইতালিয়ানে পথ বাতলে দিল। এবার সোজা ইয়ুথ হোস্টেলে, সেখানের টিভি কক্ষে তখন ইউরো কাপের চরম উত্তেজনাপূর্ণ খেলা চলছে। ফুটবলের মহা পাগল আমি নিজেও, কাজেই ঝাকের কই ঝাকে মিশে যেতে সময় লাগল না। আর সেই সাথে বান্ধবহীন শহরে মিলে গেল জনাকয়েক সহৃদয় বন্ধু। ইয়ুথ হোস্টেলে থাকার মজাই এইখানে, সমমনা ব্যাকপ্যাকাররা ছুটে আসে সারা গ্রহ থেকে, প্রায়শই মিলে যায় মনের মত ভ্রমণ সঙ্গী, মনে আসে রবি ঠাকুরের পংক্তিমালা—
কত অজানারে জানাইলে তুমি
কত ঘরে দিলে ঠাই,
দূরকে করলে নিকট বন্ধু
পরকে করলে ভাই ।।
পরদিন সাতসকালে এমনই এক নতুন বন্ধু পেরুভিয়ান-আর্জেন্টাইন কার্লোসের সাথে বেরোনো হল নগর পরিভ্রমণে, ঝকঝকে রোদ গায়ে মাখতে মাখতে আমাদের প্রথম গন্তব্য মিলানের প্রতীক, সেখানকার গর্ব চির উন্নত মম শির মিলান ক্যাথেড্রাল।
অবাক বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যেতে হয় এর আকৃতিগত বিশালতা আর সুষম স্থাপনার সৌন্দর্য দেখে, সারি সারি মিনার, শত শত নিপুন ভাস্কর্য কিনার ঘেঁষে দাড় করানো। যাজক, পুরোহিত, সিংহ থেকে শুরু করে কল্পকথার গ্রিফন, ফিনিক্স, ড্রাগন, গারগয়েল কি নেই সেখানে!
সামনের বিশাল চত্বরে হাজারো মানুষের মেলা, সেই সাথে অসংখ্য কবুতর বাক বাকুম করতে করতে দর্শনার্থীদের দেয়া গম খুঁটে খাচ্ছে মনের সুখে। ১৩৮৬ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হওয়া ইতালীয় গথিক স্থাপত্যকলার প্রকৃষ্ট নিদর্শন এই ক্যাথেড্রালটির নির্মাণ কাজ চলে ৫৬৪ বছর ধরে, অবশেষে ১৯৫০ সালে সম্পূর্ণরূপে শেষ হয় তা। এই দীর্ঘ সময়ে বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন রাজা, স্থপতি ও শিল্পীর হাত ধরে ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গ অবয়ব পায় এই অমর সৃষ্টি। জনশ্রুতি আছে, এর ভেতর এক সাথে ৪০ হাজার লোক অবস্থান করতে পারে। সত্যিকারের এই মাস্টারপিসটির অন্যতম আকর্ষণ এর সিংহ দরজা আর সুউচ্চ মিনারগুলো।
অদুরেই এক গ্যালারীতে চলছে বিশ্বখ্যাত এক্সপ্রেসোনিস্ট আইরিশ চিত্রকর ফ্রান্সিস বেকনের চিত্রকর্ম প্রদর্শনী। কার্লোসও পেশায় চিত্রকর, আমার নিজেরও বেকনের কাজ নিয়ে প্রবল আগ্রহ, আসলে তার প্রদর্শনী এত কম হয় যে চর্মচক্ষে তা দেখতে পাবার সুযোগ অতি বিরল, কাজেই টিকিট কেটে ঢোকা হল ভিতরে। শিল্পীর সারা জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে সৃষ্টি দিয়ে সাজানো, দেখা আলো না দেখা রূপের সে এক অদ্ভুত জগৎ। কমাস আগেই বেকনের এই পেইন্টিং বিক্রি হয়েছে ৫০ মিলিয়ন ডলারে( প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা), প্রদর্শনীরগুলো আরে অনেক বিখ্যাত ও দামি কিন্তু বিক্রির জন্য নয়। উল্লেখ্য বিশ্বের সব পেইন্টারদের মধ্যে ফ্রান্সিস বেকনের ডাবলিনের কাজ করার স্টুডিও অতি বিখ্যাত।
নয়ন সার্থক করে বাহির হলাম বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত আরেক চিত্রকর্ম দেখতে যার নাম জেনে এসেছি হাইস্কুলের বইয়ের পাতা থেকে, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির দ্য লাস্ট সাপার। বছরের পর বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে লিওনার্দো মিলানের গির্জার দেয়ালে এঁকেছিলেন এই অমর শিল্পকলা। কিন্তু ভ্যাপসা বদ্ধ ঘর, স্যাতস্যাতে দেয়াল আর প্রত্যহ লক্ষ পর্যটকের নিঃশ্বাসের বাস্পের কারণে আসল রঙ হারিয়ে এই বিশ্ব সম্পদ আজ তার অস্তিত্ব নিয়ে হুমকির সম্মুখীন, যে কারণে এখন প্রতিদিন অতিমাত্রায় সতর্কতার দরুন মাত্র গুটিকয় দর্শক চর্মচক্ষে সেই রূপসুধা উপভোগ করতে পারেন। খানিকটা বেলা করে আসায় এযাত্রা আর আমাদের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ল না, ইতিমধ্যেই সেই দিনের কোঁটা তো পূরণ হয়েছেই, সামনে ভিড় করে আছে আরো হাজার ইতিবাচক মানসিকতার শিল্পপূজারী, কিন্তু ভেতরে ঢোকা যাবে এ আশায় সেদিনের মত গুড়ে বালি। রওনা হলাম মিলানের আরেক বিশ্বনন্দিত জাদুঘর পিনাকোটেকো অ্যাম্ব্রোসিয়ানা দেখার আশায়, যেখানে সংরক্ষিত আছে দ্য ভিঞ্চি, ক্যারাভাজ্জিও, তিনতোরেত্তো, রাফায়েলসহ অনেক কালজয়ী শিল্পীর চিত্রকর্ম।
ক্যারাভাজ্জিওর ফলভর্তি ঝুড়ির ছবিটিকে ধরা হয় জাদুঘরের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ, বলা হয়ে থাকে এর চেয়ে নিখুত ঝুড়ি সম্ভবত বাস্তবেও সম্ভব নয়। চিত্রকর্মটিতে কিন্তু কেবলমাত্র সুপক্ক, সুমিষ্ট সুস্বাদু ফলের সমাহার তা নয়, একটু খুঁটিয়ে দেখলেই পোকায় কাঁটা, দাগে ভরা ফলও চোখে পড়ে। ক্যারাভাজ্জিও হয়তো এভাবেই জীবনে ভাল ও মন্দের, আনন্দ ও বেদনার সহাবস্থান বুঝিয়েছেন
যদিও আমাদের দৃষ্টি বেশীক্ষণ আটকে থাকল লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির দ্য মিউজিশিয়ান চিত্রকর্মটির উপরে। কি অপরূপ ভাবে ছোট এক ক্যানভাসে তুলির পর তুলির নিপুণ আঁচড়ে তৈরি হয়েছে অমূল্য পেইন্টিংটি। শিল্পবোদ্ধা কার্লোস অনেকক্ষণ নিবিড় দৃষ্টিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে জানাল এইটে আসল চিত্রকর্ম, দর্শকদের বোকা বানাবার জন্য ঝুলিয়ে রাখা কোন কপি নয়,
তাই এর আর্থিক মূল্য নিরূপণের বৃথা চেষ্টা না করে চললাম প্রায় অন্ধকার এক বিশাল গ্যালারীতে সংরক্ষিত প্রিয় শিল্পী রাফায়েলের বিশ্বখ্যাত স্কুল অফ এথেন্সের মূল কাজটির খসড়া ড্রইং দেখার জন্য ( আসলটি জগৎ আলো করে আছে ভ্যাটিকান সিটিতে) বিশাল সেই ক্যানভাস থেকে আবছা আলোতে খুঁজে বাহির করলাম সক্রেটিস, প্লেটো, টলেমী, অ্যারিস্টটল, দ্য ভিঞ্চি, মাইকেল এঞ্জেলো, হেরোডটাস প্রমুখের সাথে মরণশীল ঈশ্বর বলে পরিচিত রাফায়েলকে।
এছাড়াও অ্যাম্ব্রোজিওর নারীর চিত্র, বত্তিচেলির প্যাভিলিয়নের ম্যাডোনা, অ্যাডোরেশন অফ ম্যাজাইসহ আরো অসংখ্য সুবিখ্যাত চিত্রকর্ম আর ভাস্কর্য দেখে আমাদের পরবর্তী গন্তব্য প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো এক গ্রন্থাগার, যা এই পিনাকোটেকো অ্যাম্ব্রোসিয়ানার একটি অংশে অবস্থিত। আমার মা বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম গ্রন্থাগার রাজশাহী বিশ্ব-বিদ্যালয় গ্রন্থাগারে চাকরী করেন প্রায় ৩৬ বছর ধরে, ছোট্টবেলার কত যে অমূল্য স্মৃতি সেই লাইব্রেরীর বইয়ের তাকগুলোতে লুকিয়ে আছে, এখনো চোখ বুজলে স্পষ্ট দেখতে পাই পাঁচ-ছয় বছরের এক বাচ্চা আকুল হয়ে অজানা আকর্ষণে বাংলা রূপকথার বই খুঁজে বেড়াচ্ছে। কাজেই এমন মন উতল করা গ্রন্থাগারের সন্ধান পেলে যে দুপুরের খাবারে মুলতবি দিয়ে তার খোঁজেই যাব তা তো জানা কথাই, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে রক্ষনাবেক্ষনের জন্য মূল গ্রন্থাগার ভবন বছরের প্রায় সবসময়ই বন্ধ থাকে, কেবল গ্রীষ্মকালে তিন থেকে চার সপ্তাহের জন্য খোলা! এবারে কিন্তু পুরোপুরি অব্যর্থ লক্ষ্যভেদ, সেই বিরলদিনগুলোর একটিতেই আমরা কড়া নাড়লাম বিবলিওটেক অ্যামব্রোসিয়ানায়, যার অর্থ অ্যামব্রোসিয়ানার গ্রন্থাগার। আহ, মহাকাল পর্যন্ত যেন থমকে গেছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এইখানে। রেনেসাঁ যুগে যাত্রা শুরু করা কত জ্ঞানীগুণীরা এসেছেন এখানে জ্ঞান অন্বেষণে। দেখলাম মেঝে থেকে শুরু করে ছাদ পর্যন্ত নানাকৃতির তাকে বইয়ের সাম্রাজ্য, কিন্তু অধিকাংশ বই-ই এত পুরনো যে স্পর্শ করা নিষেধ, এই বিপুল সংগ্রহে আছে নানা ভাষার বই, ল্যাটিন থেকে শুরু করে ইংরেজি পর্যন্ত। সেই স্বপ্নরাজ্যে বেশ কিছুক্ষণ অতিক্রম করে অবশেষে চললাম পেটপূজোর উদ্দেশ্যে।
ইতালি খাবারের দেশ, কত শত রকমারি মজাদার রসনাতৃপ্তকারী খাবারের জন্ম ও ছড়াছড়ি এই দেশে, মুখে জল আনা পিজ্জা, পাস্তা, স্প্যাগেত্তি আর কত নাম বলব! সেই সাথে বিশ্বের সেরা মজ্জারেলা চীজটিও হয় এই দেশেই। তাই পাতে পড়ল দুপুরে, আহ, সে কি মখমলের নরম অথচ খাবার সময় কচি তালশ্বাসের মত কচকচ করে উঠল, সেই সাথে মাখনের মত গলে গেল মুখগহ্বরে কিন্তু মুখে সেই অমৃতের স্বাদ লেগে রইল বহুক্ষণ (এখনো আছে!), সেই সাথে সালাদ আর সেদ্ধ আলুর সাথে মাংসের সুস্বাদু এক ডিশ, আর আবশ্যকীয় ভাবে মিলানের জিলাটো ( আইসক্রিম)।
পেট ঠান্ডার পরে যাওয়া হল মিলানের বিখ্যাত শপিংমলগুলো একনজর দেখতে। শতাব্দী প্রাচীন অট্টালিকা আর টাওয়ারগুলো অক্ষত ভাবে ধরে রেখেও যে কি চমৎকার ভাবে আধুনিকতাময় প্রযুক্তিকে( বিদ্যুৎ, পাতাল রেল, টেলিফোন, পানির লাইন) স্থান করে দেওয়া যায় মিলান তার অন্যতম প্রকৃষ্ট উদাহরণ, মনে হল বাংলাদেশের সমস্ত নগরপরিকল্পনাবিদদের এখানে ঘুরিয়ে আনা দরকার, যাতে তারা কয়দিন পর পর উন্নয়নের ধুয়ো তুলে রাস্তা খুড়াখুড়ি আর অযথা ভাঙচুর বন্ধ করুন।
বলা হয় রাতের মিলান কখনো ঘুমায় না, প্রমাণ পেলাম হাতে নাতে সে রাতে ফুটবল দেখে বাহির হবার পর। দলেবলে আমরা বিশাল- এশিয়া, ল্যাতিন আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া- আমাদের গ্রহের প্রায় সবকোণের ভ্রমণপাগলরা মিলে এগিয়ে গেলাম মিলান কেন্দ্রের দিকে যেখানে বসেছে হাজারো পর্যটকের মেলা। যে কেউ-ই আড্ডায় বসতে পারে যে কোন দলের সাথে, গীটার বাজিয়ে চলছে দরাজ গলায় গান, কেউবা জুড়েছে উদ্দাম নৃত্য, কারও সাথী ওয়াইনের বোতল, সবই শালীনতা বজায় রেখে, জীবনকে উপভোগের আশায়।
মাথার উপর আশ্রয় হয়ে আছে ইতালির তারা জ্বলজ্বলে আকাশ, থেকে থেকেই ঝরে পড়ছে উল্কা,( কি একটা বিশেষ দিন ছিল মহাকাশে যেন) চিৎকার করে সবাই জানান দিচ্ছে তাদের ইচ্ছাপূরণের স্বপ্ন,কিন্তু মনের আকাঙ্ক্ষার কথা মুখে বলে না কেউ ই, পাছে পূরণ না হয় ! আমার ইচ্ছাটি মনের ভিতরে থাকলেও আজ বলি আপনাদের—এমন আনন্দের দিন যেন ঘুরে ঘুরে আসে আমাদের সকলের জীবনে।।
মন্তব্য
পোষ্ট নিয়ে তো কথা বলা যাবেনা। আপনি যা আরম্ভ করেছেন তার উপরে আমার আর কিছুই বলার নেই।
হে হে তবে একটা কথা । গোটা পোষ্টের ভেতর থেকে একটা ভালু জিনিষ খুঁজে বের করেছি , হে হে বলছিলাম কি ওই নিশিকন্যাদের ব্যাপারটা একটু বেশী করে বললে ভালো হতো না হে হে
না না ! এই ব্যাপারে কথা বলতে রাজি না, খুব কষ্টের জীবন এই পেশার মানুষদের। স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে অনেক কুঁকড়ে থাকে তাদের চেতনা, হয়ত গ্লানিতে, হয়ত অপমানে। যদিও যারা দেহের বদলে আত্মা বিক্রি করে তাদের গ্লানি ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন গুণ বেশী হওয়া উচিত, হচ্ছে কই?
facebook
অনু তোমার পোষ্টে আমি কিন্তু মন্তব্যটা ও ভাবে করতে চাইনি। আমি স্রেফ দুষ্টুমি করেছিলাম। ভাই তোমার পোষ্টে গিয়ে মন ভালো হয়ে যায়। তাই সিরিয়াস কথা আর বলা হয়না। তাই একটু দুষ্টুমি করা। আর তাতে যদি তোমার বিবেক এবং বোধ ক্ষুণ্ণ হয়ে থাকে তাহলে আমি দুঃখিত।
একটা কবিতা রেখে গেলাম -
ভর সন্ধ্যে বেলায়
মেয়ে টা বের হোলো শহরে ...
ছটায় ট্রেন , বনগাঁ লোকাল !
বেশ লাগছিলো ওকে দেখতে , টকটকে লাল লিপস্টিক ঠোঁটে
ফ্যাশন খোঁপা শান্ত ভাবে মুখ গুঁজে পিঠে
গেরস্থালি নেই কাজলে , বৃষ্টি ধুয়ে মুছে গেছে
ইস্পাত - আঁচলে !
চিনতে পারি না , রঙ্গিণী নদী টা
সিঁড়ি দিয়ে নেমে গেলো ভারি বুকে ...।
আজ আমারো তাড়া নেই কোনো ।
দুদিন আগুন জ্বলেনি ঘরে ...
ওরে নির্লজ্জ চাঁদ , কি দেখিস আমায়
বেহায়া বটের ঝুরি নেমেছে শরীরে !
মেয়ে টা কে দেখলি তো ... ভাঙ্গা অলিন্দে কেমন জ্বলছিলো
নাগ কেশরের আলো !
দূর হ ! তুই মুখপোড়া চাঁদ !
তোর গায়ে বড়ো আঁশটে গন্ধ ,
কোলকাতার বাইজি পাড়া টা পুড়বেই
পূর্ণিমায় তোর যা হইহই আলো ...
অ্যাশ - ট্রে তে পুড়বে মেয়ে টাও আজ
ঘুমোবে না রাতভোর ! কাল সকালে
আগুন ফিরবে ঘরে,
জ্যোৎস্না দিয়ে ভাত মেখে খাবো ...... !
আসলে আপনি যে সিরিয়াসলি নেবেন ব্যাপারটা ভেবে বলিনি। আমি তো এমনিতেই একটু দুষ্টুমি করার জন্য বলেছিলাম। যাকগে খারাপ পাইয়েন না রে ভাই।
আর আমি লোকটা বেশী অসুবিধার না।
অবশ্যই না তাপস দা। আমি বুঝেছি সেটা। শুভেচ্ছা।
facebook
পড়তে পড়তে
facebook
পরজন্মে আপনের ব্যাকপ্যাক হৈতে চাই। কান্ধে নিয়া ঘুরবেন মজাই আলাদা।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
পরজন্মে অনু ভাই এর বউ বা বাচ্চা হিসাবেও জন্ম চাইতে পারেন
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ঐ কবি ভাই, এমন অভিশাপ দিচ্ছেন, কি ব্যাপার?
facebook
না না , ওরে বাবা। এই জন্মেই আসেন একসাথে কোন ট্যুর দিয়ে ফেলি !
facebook
আপ্নে ভাই মানুষ না
facebook
ভাই এইটা ফাঁকিবাজি, শিরোণামে লিখলেন দিন+রাত্রি, অথচ সব ছবি শুধু দিনের বেলার, নৈশ জীবনের কোন ছবি নাই। মাইনাচ
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
রাতের ছবি পরে ! আপনি তো পুরাই নিশি কবি দেখি !
facebook
আপনাকে আর কতো ঈর্ষা করবো রে ভাই?
দেশে আসবেন কবে? আমি তো অপেক্ষায় আছি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
জানাবো নজু ভাই, আসলে হিমালয় যাওয়া ছাড়া দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করা একটু মুস্কিল। দেখি সামনে বছর হয় নাকি
facebook
আমি নিশ্চিত আপনে দেশে গেলে মাইর খাইবেন।
.
লগে আমারটাও ফ্রি
হে হে ! আরে নজু ভাই পরিচালিত, প্রযোজিত ছাগু বিরোধী সচেতনতামূলক নাটকেও থাকতে পারি দেশে গেল, জানেন?
facebook
কি আর কমু!
facebook
আপনার লেখায় আর মন্তব্য করি না, কী মন্তব্য করব!!
নজরুল ভাইয়ের মত বলতে চাই... আপনাকে আর কতো ঈর্ষা করবো রে ভাই?
আরে করবেন! মন্তব্য না করলে হবে, আপনিই বলেন !
facebook
অণু তোমার পোস্ট ভাল লাগে, সবসুমায় খালি এইরকম প্রশংসা করে কেটে পড়ি। আজকে কঠোর সমালোচনা।
তোমার পোস্টগুলা ঐতিহাসিক কিছু স্থান/অব্জেক্টের চিত্র ও তথ্য সমৃদ্ধ, কোন সন্দেহ নাই। জ্ঞান বৃদ্ধির সাথেসাথে দুনিয়া ভ্রমণ হয় তাতেও কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু তুমি খালি চালাকি করে ইতিহাস ঠুসে দিয়ে কেটে পড়ছ। উদাহরনঃ এই পোস্টের একেবারে শুরুতে তোমার ইয়ুথ হোস্টেলের ঠিকানা খুঁজে বের করা এবং ওই হোস্টেলে সবার সাথে মিলে খেলা দেখতে বসে পড়াটা পড়তে অনেক বেশি ভাল লেগেছে।
পয়েন্টটা হল তোমার ভ্রমণ কাহিনী শুধু ইতিহাসের বর্ননা পোস্ট হয়ে যাচ্ছে। কোন ভাস্কর্য কবে তৈরি হল সেটা জানতে ভাল লাগছে। কিন্তু দেখ ভ্রমণে তোমার যে অভিজ্ঞতা হচ্ছে সেগুলো অজানা থেকে যাচ্ছে। গুগল করলে ভিঞ্চির লাস্ট সাপারের উপর বিষেষজ্ঞ হওয়া যায়, এমন কি ছবিটাও দেখে নেওয়া যায়। যেটা পাওয়া যায় না সেটা হল তারেক অণুর নিজস্ব ভাবনা আর লাস্ট সাপার দেখতে পাবার পেছনের মহাযজ্ঞটা।
তুমি কিভাবে পরিকল্পনা করলে, কি কি পূর্ব প্রস্তুতি নিলে, ট্রেনে গেলে নাকি প্লেনে গেলে, পথে পরিচয় করে নিয়ে কোন মেয়ের সাথে রাত্রে থেকে গেলে, ঘটনার মাঝখানে সেই মেয়ের বর হঠাত বাসায় ফিরে তোমারে কিরাম দৌড়ানি দিল, কোন ঘটনা তোমাকে নাড়া দিল বা দিল না, অনাকাংখিত কি ঝামেলায় পড়ে গেলে, কেমনে সেইটা কাটায়া উঠলা, কি খাইলা, কোন খাবারটা খাইয়া কইলা ইয়াম্মি আর কোনটা হ্যাক থুঃ, মানুষের স্বভাবের কোন দিকটা নতুন করে দেখতে পাইলা, কোন দেশের মানুষের চরিত্রের কিছু একটা তোমাকে আকর্ষণ করল বা বিকর্ষণ করল, কোন অতি তুচ্ছ জিনিস তোমার কাছে বিশাল হয়ে উঠলো, কি কি ফাপরে তুমি বেদিশা হই ছিলা ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। যাকে বলে ইতিহাস দর্শনের পিছনের ইতিহাসটা না বলাই থেকে যাচ্ছে। সেইসাথে তোমার নিজের প্রতি একধরনের অবিচার হয়ে যাচ্ছে বলেই আমর মনে হচ্ছে।
অনেক কথা না বলা থেকে যাচ্ছে অণু, অ-নে-ক। না বলা গল্প গুলোও শুনতে চাই। সমালোচনা আশা করি তোমার শত্রু সংখ্যা বাড়াবে না।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
জানি দাদা, অনেক না বলা কথা থেকে যায়! আসলে বদভ্যাসটা এসেছে মনে হয় খবরের কাগজে লিখতে লিখতে, ৫০০ শব্দ, না হয় ৭০০ এর বাহির আর হত না, আর সেই সাথে গতানুগতিক ভ্রমণকাহিনী থেকে একটু আলাদা ভাবেই লিখতে চাই। লিখব, ডিল! ভাবছি মাপুতো দিয়েই শুরু করব, কিন্তু সেই আটকে পড়ার ঘটনা বাদ দিয়ে
facebook
তুমিতো এসেই একদিন থেকে হাওয়া। এতে কি পোস্ট দাঁড়াবে? আটকা পড়া বাদ দিলে সমস্যা নাই, থাকুক না কিছু হাতে, তোমারে মাঝ মধ্যে অইটা নিয়ে বেশ এক হাত নেওয়া যাবে কি বল ? তাছাড়া কোনটা রাখবা আর কোনটা বাদ দিবা ঐ লেখকের স্বাধীনতাতো তোমার আছেই। তোমার পোস্টের জন্যে কিন্তু অপেক্ষা করে থাকি সবসময়
অণুদা, পেছনের অজানা গল্পগুলো লিখবেন যেন.......
_____________________
Give Her Freedom!
_____________________
Give Her Freedom!
মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
না না ! চলবে না !
facebook
আমি আপনার পোস্টে সাধারনত কমেন্ট করি না। কি কমেন্ট করবো বলুন, আপনি তো স্রেফ মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন সবার। তাই বাক্যহারা মুগ্ধতায় শুধু পড়েই যাই!
****************************************
না রে ভাই ! অবশ্যই মন্তব্য করবেন!
facebook
বিখাউজ-অণু রে.....!!!
আম্রিকায় পাড়া দেয়া মাত্র তোমাকে তিল তিল করে সুদে-আসলে টর্চার করা হবে; কথা দিলাম
বাই দ্য ওয়ে, পোস্ট বরাবরের মতই 'ছাম্মাক ছাল্লো' হয়েছে
Hugs.
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আম্রিকা অনেক বড় দেশ জানু, মন্টানার কোন পাহাড়ে লুকিয়ে থাকব না ওইয়াইমিং-এর বনে, খুজেই পাবা না!
facebook
খাইছে...জানু (!!??)
অ্যালা অফ যান, দাদা!
facebook
না না না হুমকি দিয়ে জাতীর মুখ বন্ধ করা যাবে না, বিপ্লব চলবে
জানু! জানু!! জানু!!! অনু ভাই কি কাহিনী কোন সুসংবাদ নাকি!!!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এইবার ম্যাডামজীর আগমন আশা করছি, উত্তর পাইবার আশায়। কই গো উচ্ছলা
মাইনষে কী কয় না কয়!
খায়া দায়া মাইনষের কি আর কাম নাই? :-@
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ইটালীতে একবার যাবই
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
অবশ্যই! বার বার যাবার মত! আমি যাচ্ছি সামনে মাসে সেই টানে আবার
facebook
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
facebook
চমৎকার। আমার যে ক'টা জায়গায় যাবার ইচ্ছে আছে তার মধ্যে এটি একটি। লেখাটা যাবার ইচ্ছে আরো বাড়িয়ে দিলো।
_________________
[খোমাখাতা]
অবশ্যই! মিলানে আরো অনেক দর্শনীয় স্থান আছে।
facebook
তারেক ভাই, আপনার লেখাগুলো পড়ে দারুণ মজা পাচ্ছি। আসলে এই শহর বা ঐতিহাসিক স্থাপনা সম্পর্কে জানার সুযোগ খুব কম। আপনার বর্ণনা এবং ছবি দুটোই অসাধারন। যদি আপনি লুভ্যর মিউজিয়ামে গিয়ে থাকেন তাহলে ঐ মিউজিয়াম সম্পর্কে একটু লিখবেন...............
চালিয়ে যান।
দীপাবলি।
শুনে ভাল লাগল দীপাবলি, আমি মাঝে বিশ্ব সেরা জাদুঘরগুলো নিয়ে একটা সিরিজ লেখায় হাত দিয়েছিলাম। সেগুলো আস্তে আস্তে এখানে পোস্ট করব আশা রাখি, কিন্তু এক ল্যুভ নিয়ে কম পক্ষে ৩ টা পোস্ট দিতে হবে তার ৩ গ্যালারী নিয়ে! শুভেচ্ছা, আর আমাকে অণু বললেই হবে।
facebook
খুব ভালো লাগলো। আর উপরে কল্যানF এর সাথে সহমত, পিছনের ঘটনা অজানা থেকে যাচ্ছে।
হে হে ! আর সব কিছু কি জানার মত হয় ! বলেন?
facebook
অনেকদিন থেকে একটা ভ্রমন পোস্ট দিব দিব করতেছি, কিন্তু ভয়ে দেই না যে, সচলে লগিন করে দেখব আমার আগে আপনি ঐ জায়গা নিয়ে পোস্টায়ে দিছেন। আপনি কই কই যান নাই তার একটা আপডেটেড লিস্ট দিলে একটা পোস্ট দিতে পারি।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
না না, আপনি দেন, আর আমি ভ্রমণ বাদেও তো অন্য লেখা পোস্ট করি, আচ্ছা অন্য ধরনের লেখা আরো বেশী করে দিব এখন থেকে, কিন্তু আপনের ভ্রমণ কাহিনী পড়তে চাই !
facebook
আমার আর কিছুই বলার বাকী নাই।
আছে , আছে ! দেখবেন অনেক বাকী এখনো!
facebook
দেশে কবে আসবেন। আমার পক্ষ থেকে খাওয়া পাওনা রইলো।
জানাবো আসার আগে। আপনের সাথে খেমোখাতায় বন্ধু আছি তো!
facebook
দীর্ঘশ্বাসের একটা ইমোর প্রয়োজন বোধ করিতেছি..........
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আরে না
facebook
পরমানু হলে কি অনুর চেয়ে বেশি ভ্রমন করা যাবে?
তাইলে আমি পরমানু হতে চাই।
অণু আর অনু কিন্তু আলাদা জিনিস! আপনি বরং ফোটন হয়ে যান! অনেক সুবিধে, সুযোগ পেলে আমিও হব!
facebook
এইটা ভাল আইডিয়া।
facebook
মিলান ক্যাথেড্রালটা কি গথিক আর্কিটেকচার নাকি? আমার কাছে গথিক আর ব্রুটালিস্ট আর্কিটেকচার অসাধারণ লাগে, যদিও আর্কিটেকচারে আমার তেমন আগ্রহ নাই। গথিক আর্কিটেকচারের পূণ্যভূমি ইউরোপে কবে পা রাখব, সেই আশায় দিন পার করছি.....
ক্যাথেড্রালের ছবিটা দেখলেই কেমন গা শিরশির করে উঠে।
হ্যাঁ। তবে এটি বিশাল আকারের, এর ছাদে উঠলে মনে হয় একটা বিশাল রাস্তা বা প্রান্তরের মাঝে দাড়িয়ে আছি।
facebook
চলুক, ভোলগা থেকে গঙ্গা।।
ধন্যবাদ। আপনি কি এখন আইভরি কোস্টে !
facebook
আপনার পোস্টে ঢোকা, পড়া, দেখা বাদ দিতে হবে। আর তো সহ্য হয় না... (দীর্ঘশ্বাসের ইমো)
facebook
যথারীতি যেমন হয়, তেমন..........
_____________________
Give Her Freedom!
facebook
অণুদা, ঢাকায় আসলে আপনার খবর আছে
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
মানে খাবার
facebook
আপনিতো প্রতি মুহূর্তেই আমার জ্ঞান বাড়িয়েই চলছেন। এত জ্ঞান হজম করব কীভাবে!!!
মূর্তালা রামাত
তাই নাকি!
facebook
দ্যা লাস্ট সাপার দেখার জন্য আমি ও স্লট খালি পাইনাই :(।
পরের বার !
facebook
আপনার পোস্ট পড়ি ঠিকই কিন্তু মন্তব্য করতে আলসি লাগে। এক কথা আর কত বলে মানুষে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হে হে ! অন্য কথা বলেন না ! আমি ভাবলাম কই গেলেন আবার !
facebook
অণুর পোষ্টের সাথে এবার উপরি পাওনা ক্যারাভাজ্জিওর ফলভর্তি ঝুড়ির ছবি, দুই-ই মনকাড়া!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আসছে রোমেল ভাই, এমন আরো ঝুড়ির ছবি! ইস, বেইজিং যাচ্ছেন, খুব মজা হত যেতে পারলে! কবে থেকে প্ল্যান করেই যাচ্ছি ট্রেনে যাব, এই কারণেই আর দেখা হচ্ছে না।
facebook
ভালো লাগলো,,,,
নতুন মন্তব্য করুন