গ্রেগরি চুখারয়ের রূপোলী ফিতের অমর কাব্যগাথা ব্যালাড অফ এ সোলজার কে অনেকেই বিশ্বের সর্বকালের সেরা তিনটি চলচ্চিত্রের (অন্য দুটি সিটিজেন কেইন ও বার্থ অফ এ ন্যাশন) একটি বলে অভিহিত করে থাকেন। চলচ্চিত্রবোদ্ধা এবং বিশ্বের আপামর মানুষের কাছে এর সমান আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা। অথচ এটি ছিল সিনেমাটির মুখ্য দুই চরিত্র সৈনিক আলিওশা ও কিশোরী সুরার চরিত্রে অভিনয়কারী ভ্লাদিমির ইভাসোভ ও ঝানা প্রোখোরেঙ্কোর অভিনয় জীবনের প্রথম কাজ, সেই সাথে পরিচালক গ্রেগরি চুখারয়ের লেখা প্রথম ও পরিচালিত দ্বিতীয় সিনেমা মাত্র! কি আছে ১৯৫৯ সালে মুক্তি পাওয়া রাশান ভাষার সাদাকালো এই চলচ্চিত্রে, যেখানে আনকোরা সব মুখের সমাহার সত্বেও তা পেয়েছে এই বিপুল সাফল্য। এই বিষয়ে জানতে হলে আমাদের যেতে হবে কাহিনীর গভীরে—
প্রথম শট- রাশান এক গ্রাম, তার সীমানাতেই স্তেপের দিগন্ত ছোঁয়া প্রান্তর চিরে সুদূরপানে চলে গেছে এক মেঠোপথ, তার মুখে দাড়িয়ে আছেন এক মধ্যবয়সী রমণী, চোখে উদভ্রান্ত দৃষ্টি, বোবা চোখ দুটো মেলে দাড়িয়ে আছেন তিনি অন্তহীন অপেক্ষায়, নেপথ্য থেকে রুশী ভাষায় শুরু হয় ঘটনার ধারাবর্ণনা- জননী দাড়িয়ে আছেন তার সৈনিক ছেলের অপেক্ষায়, যে গেছে পিতৃভূমি রক্ষার মহান ব্রত নিয়ে এই গ্রাম থেকে অনেক অনেক দূরে দেশের যুদ্ধে।
সেই ছেলেই আমাদের আলিওশা, ১৯ বছরের তরুণ টগবগে প্রাণ যুদ্ধক্ষেত্রে অসীম বীরত্ব দেখিয়ে নিজে নিজেই লড়ে দু-দুটি জার্মান ট্যাঙ্ক উড়িয়ে দিল, মিলিটারির বড় কর্তা এই খবর ছাপার অক্ষরে দেখে নিজে ডেকে মেডেল দিতে চাইলেন আলিওশাকে, কিন্তু তরুণ সৈনিক খেতাবের বদলে চাইল ছয় দিনের ছুটি। খবর এসেছে তাদের বাড়ি জীর্ণ হতে হতে ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম, বাড়ীতে কেবল মা একাকী, তাই মেরামতকাজে নিজেকেই যেতে হবে তার। অনেক দূরের সে পথ, যেতে আসতেই দুই-দুই চারদিন আর মেরামতকাজে দুই দিন, মোট ছয় দিন। ছোকরা সৈনিকের কর্তব্যজ্ঞানে খুশিই হলেই কমান্ডিং জেনারেল, কিন্তু পইপই করে বলে দিলেন ছয় দিনই এর সীমা, এর বেশী একটি দিনও নয়। শুরু হল আমাদের সৈনিকের ব্যালাড। প্রতিটি সৈনিক যেমন মার্চপাস্টের সময় ঝকঝকে পোশাকে, বুরুশ দিয়ে তকতকে করা বুট পায়ে নিবিষ্ট মনে তালে তাল মিলিয়ে দলগত ছন্দা বজায় রাখে, আমাদের তরুণ সৈনিকও তেমন একের পর এক ঘটনার জন্ম দিয়ে সুচারুভাবে বাঁধার পাহাড় টপকে এগিয়ে যেতে থাকে অভীষ্ট লক্ষ্যে।
নিঃস্বার্থ উপকারি আলিওশা স্টেশনের পথে যুদ্ধে পা হারানো এক সহযোদ্ধাকে এগিয়ে নিয়ে যায় ট্রেনের দিকে। যুদ্ধ চালাতে অক্ষম সৈনিক ফিরে যাচ্ছে তার পরিবারের কাছে, কিন্তু মন আচ্ছন্ন হয়ে আছে আশঙ্কায়- তার তরুণী স্ত্রী কি খুশি মনে গ্রহণ করতে পারবে তার এই পঙ্গুত্বকে, না তার অসহায় জীবনসঙ্গিনী হয়ে থাকবে একান্ত বাধ্য হয়ে? এমন জীবন বদলে দেওয়া প্রশ্নের বাঁকে দাড়িয়ে সৈনিক ষ্টেশন থেকে টেলিগ্রাম পাঠাতে চায় তার স্ত্রীকে, না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়ে, মিছে মৃত্যু সংবাদ জানিয়ে। কিন্তু সেখানে কর্মরত মহিলা তাদের কথোপকথন শুনে তীব্র ভৎসনা করেন সেই সৈনিককে। বলেন, স্ত্রীর কাছে ফিরে যেতেই হবে তার, যে নারী তার জন্য যুদ্ধের এই কঠিন সময়ে অপেক্ষায় আছে এতটা দিন। অবশেষে সম্বিত ফিরে পান যুদ্ধাহত সৈনিক, নির্দিষ্ট ষ্টেশনে অপেক্ষারত সহধর্মিণী দৃঢ় আলিঙ্গনে আবদ্ধ করে জানান যে তিনি বেঁচে ফিরে এসেছেন তাতেই তার বিশ্বখুশীতে মত্ত, আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই, শেষ হয়েছে ক্লান্তিকর সুদীর্ঘ অপেক্ষার।
আবার যাত্রাপথে একা আলিওশা। এক মালবাহী ট্রেনের গার্ডকে ভজিয়ে খানিকটা অবৈধ ভাবেই চেপে বসেছে সে এক খড় ভর্তি কামরায়। হঠাৎ নাটকীয় ভাবে একই কামরায় পাওয়া যায় আরেক প্রাণের অস্তিত্ব, অপরূপা কিশোরী সুরাও লুকিয়ে ট্রেনে চেপেছে অন্য শহরে তার বাগদত্তার সাথে মিলিত হবার আশায়। ট্রেনের চাকা ঘুরতে থাকার সঙ্গে সঙ্গেই সময়ের আবর্তে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে দুজনের, ট্রেন গার্ডের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েও নিজের বীরত্বের কাহিনীর প্রমাণ হিসেবে খবরের কাগজের কাটিং দেখিয়ে এবং সুরাকে নিজের প্রেমিকা পরিচয় দিয়ে এ যাত্রা বেঁচে যায় আলিওশা।
http://www.flickr.com/photos/28836329@N08/6348013054/in/photostream
পরবর্তী ষ্টেশনে যুদ্ধরত সৈনিক জীবনের এক কালো অধ্যায়ের সাথে পরিচয় ঘটে সদ্য কৈশোর পেরোনো আমাদের দুই মূল চরিত্রের। বাড়ি ফেরার পথে তার গোটা প্লাটুনের জন্য বরাদ্দ দুটি সাবান অনেক দেন-দরবার করে জোগাড় করে তার হাতে দিয়েছ সহযোদ্ধারা, এক সহকর্মীর স্ত্রীর হাতে পৌঁছে দেবার জন্য যে কিনা এই রেলজংশন শহরেই থাকে। স্ত্রী হাতে দুটো আস্ত সাবান পেয়ে ( যা কিনা যুদ্ধের বাজারে দুর্মূল্য) কি খুশিই না হবে, এই কল্পনাতেই চোখে জল এসেছিল কর্দমাক্ত ঘর্মাক্ত ঐ সৈনিকের। কিন্তু তার বাড়ি যেয়ে আলিওশা ও সুরা বুঝতে পারে স্বামীর অবর্তমানে স্বৈরিণী স্ত্রী পরকীয়ার লিপ্ত! তার গোপন প্রেমিকের উপস্থিতি এতটাই হতবাক করে দেয় সদ্য তারুণ্যের দরজায় টোকা দেওয়া যুগলকে যে স্রেফ কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে বেরিয়ে আসে তারা। আলিওশার তখন মনে পড়ে যায়, এই দুটো সাবানের পিছনে আছে পুরো প্লাটুন সৈন্যের নিঃস্বার্থ অবদান, তাদের ভালবাসার দান এভাবে জলাঞ্জলি দিতে মন না চাওয়ায় আবার সেই বাড়ীতে ঢুকে সাবান দুটি নিয়ে এসে হাসপাতালে অবস্থানরত সেই সহযোদ্ধার বাবাকে খুজে বের করে তার হাতেই সমর্পণ করে।
আবার ট্রেনে। এমন নানা ঘটনার আবির্ভাবে কিন্তু পথে ক্রমশই দেরি হতে থাকে আলিওশার, অর্থাৎ বাড়ীতে থাকার সময়ের মেয়াদ কমতে থাকে তার।
পরস্পরের সাথে এত সব ঘটনা আর আবেগময় মুহূর্ত পার করার এক পর্যায়ে প্রেমে পড়ে যায় আমাদের আলিওশা ও সুরা কিন্তু কেউই কাউকে মনের কথা মুখ ফুটে বলতে পারার মত সাহস অর্জন করতে পারে না, গভীর আবেগে আক্রান্ত হয়ে নির্বাক তাকিয়ে থাকে তারা পরস্পরের মনের দর্পণ চোখের পানে। পবিত্র কৈশোর প্রেমের এক অনন্যসাধারণ মুহূর্ত এখানে সেলুলয়েডের ফিতেয় চিরবন্দী হয়ে গেছে পরিচালক ও অভিনেতা-অভিনেত্রীর দক্ষ আবেগঘন ভূমিকায়।
এর মাঝে তেষ্টা নিবারণের জল জোগাড়ে গিয়ে ট্রেন চলে যায় আলিওশার, নানা বাঁধা অতিক্রম করে যখন সে পরবর্তী জংশনে পৌছায়, সুরা সেখানে তার আশায় অপেক্ষারত! দুজনে দুজনার প্রতি মোহাবিষ্ট কিন্তু বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না। অস্ফুট কণ্ঠে কম্পিমান ওষ্ঠে কেউই হৃদয়ের কথা বলতে সক্ষম হয় না।
গন্তব্যে পৌঁছানোর পর নত মুখে সুরা জানায়, আসলে তার বাগদত্তা বলে কেউ নেই, নেই কোন অপেক্ষমান প্রেমিক। কেবল ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সে আলিওশাকে মিথ্যাটুকু বলেছিল। সুরা প্রতিজ্ঞা করে তরুণ সৈনিককে সে কখনোই ভুলবে না, প্রতিশ্রুতি থাকে আবার দেখা করবার। লোকারণ্য ট্রেনে কোনোমতে চেপে আলিওশা চিৎকার করে সুরাকে বলতে থাকে তার বাড়ীর ঠিকানা। দমকা বাতাস ক্ষমার অযোগ্য শত্রুতা করে শব্দ পৌঁছাতে দেয় না সদ্য জন্ম নেওয়া পবিত্র প্রেমের অপর পক্ষের কর্ণকুহরে। চলমান ট্রেনের পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে প্ল্যাটফর্মের শেষ পর্যন্ত এসে হৃদয়ভাঙ্গা সুরা থেমে যেয়ে বাধ্য হলেও তার হাত নেড়ে বিদায় দেওয়া চলতে থাকে অবিরাম, তাতে মিশে থাকে আগামির উজ্জল ভবিষ্যতের স্বপ্ন। এদিকে সারা রুশ দেশের বন-আকাশ-মেঘে একটাই মুখ দেখতে পায় আলিওশা- সুরার অপরূপ মুখশ্রী। সুরার কণ্ঠ দখল করে থাকে তার সমগ্র সৈনিক সত্ত্বা।
এর মাঝে দুর্ঘটনায় পড়ে শেষ গন্তব্যের মাত্র দশ কিলোমিটার আগে ট্রেন থেমে যায়। তরুণ সেনা কোন উপায়ন্তর না দেখে কাঠের নড়বড়ে ভেলায় নিজেই লগি ঠেলে নদী পার হয়ে হেঁটে-দৌড়ে- হিচহাইক করে এক মহাকাব্যের জন্ম দিয়ে পৌঁছাতে সক্ষম হয় নিজ বাসভূমে। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস- এমন অসাধারণ চরিত্রবান সৈনিকের আজই ছিল ফন্টে রওনা দেবার শেষ দিন! অল্প দেরি করে রওনা হলেও যথা সময়ে ক্যাম্পে রিপোর্ট করা হবে না তার, যা একজন যুদ্ধরত সৈনিকের জন্য চরম অবমাননাকর।
তার মা তখন শস্যক্ষেত্রে কর্মরত, প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পৌঁছে যায় মায়ের কাছে, অপেক্ষারত মাতৃহৃদয় দুর্বল পায়ে পাগলপারা হয়ে পৌঁছে যায় সেই মেঠোপথের ধারে, মাতা-পুত্রের মিলন শেষে স্নেহভরা আদ্র কণ্ঠে মা বলেন- এসো আলিওশা, বাড়ী ফীড়ে বিশ্রাম নিয়ে কিছু খাবে, চলো এগোই ।
মাথা নিচু করে অনেক কষ্টে পুত্রধন জানায় আসলে হাতে সময় মাত্র কয়েক মুহূর্ত, এখনই ফিরতে হবে তার। মা হতবাক হয়ে জানতে চান, বুঝতে চান সেই কয়েক মুহূর্তের মানে!
সেই মুহূর্তেই আমরা দেখি আমাদের কিশোর সৈনিকের রূপান্তর, বড়দের মত গাম্ভীর্যপূর্ণ কণ্ঠে বুকে বেদনার পাথর চাপা দিয়ে দায়িত্ববোধে উদ্বেলিত আলিওশা বলে ওঠে, এখন ফ্রন্টে যেতেই হবে তার! কাজেই এই অমূল্য মুহূর্তগুলো মায়ের সাথে কথা বলতে চাই সে। যে বাড়ি মেরামতের জন্য এত কষ্ট স্বীকার, সেই বাড়িতেই যাওয়া হবে না এযাত্রা।
বুঝতে পারেন মা পরিস্থিতির দাবি, অসীম মমতায় ছেলের মসৃণ কামানো গালে হাতে বুলিয়ে বলেন, তুমি আজকাল দাড়ি কামানো শুরু করেছ!
অনেক দিনের না দেখা আদরের ছেলে যে ক্রমশ বড় হয়ে যাচ্ছে, মায়ের একটি বিস্ময়বোধে আক্রান্ত বাক্যেই বলা হয়ে যায় যুদ্ধরত সৈনিকদের মায়ের অপেক্ষার কষ্টের কথা, বুকের ভেতরে ফেনিয়ে ওঠে আবেগের ঘূর্ণি, কিন্তু মুখনিঃসৃত বাক্যে রূপান্তর আর ঘটে না সেই অব্যক্ত বেদনার। সেখান থেকেই ফিরে আসে আলিওশা, মায়ের কাছে জমা থাকে তার প্রতিজ্ঞা- ফিরে আসব আমি।
সেই মুহূর্তে পর্দায় ভেসে ওঠে আবার প্রথম দৃশ্য, উদভ্রান্ত জননী দাড়িয়ে আছেন সেই মেঠোপথের ধারে, আলিওশা তো আসে না। সে যে হারিয়ে গেছে দূর দেশের যুদ্ধে, অসীম সাহসিকতায় জীবন বিসর্জন দিয়ে, কিন্তু মা আজও অপেক্ষারত।
শেষ মুহূর্তের এই বাস্তবতাপূর্ণ আবেগঘন দৃশ্যে কেউই চোখের জল আটকে রাখতে পারেন না। সোভিয়েত আমলে নির্মিত অন্যান্য অনেক চলচ্চিত্রের চেয়ে বাস্তবতাপূর্ণ কিন্তু প্রোপাগান্ডামুক্ত হওয়ায় ব্যালাড অফ এ সোলজারের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। শীতল যুদ্ধের আশঙ্কায় সেই থমথমে সময়েও তা মুক্তি দেওয়া হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে। জিতে নেয় মর্যাদাপূর্ণ বাফটা পুরষ্কার, অস্কার মনোনয়ন, কান চলচ্চিত্র পুরষ্কার সহ সবচেয়ে মূল্যবান ও সেরা পুরষ্কারটি- সারা বিশ্বের আপামর জনসাধারণের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা, সৈনিকের ব্যালাডের প্রতি।
(ব্যবহৃত আলোকচিত্রগুলো নেট থেকে সংগৃহীত, এই লেখাটি ব্যালাড অফ এ সোলজারের অন্যতম অন্ধ ভক্ত আমাদের সাহিত্যপ্রেমী আসলাম কাকার জন্য(আসলাম সাঈদ) খেমোখাতায় যার নাম দাদা পরাগ। )
মন্তব্য
বাহ! আপনার সিনেমালোচনাও ভ্রমণকাহিনীর চেয়ে কম নয়। দারুণ লাগল। চলুক।
ও হ্যাঁ, জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা অণু'দা।
_________________
[খোমাখাতা]
facebook
দেখার সৌভাগ্য হয়নি আজো। তবে আশা করি আগামী শুক্রবার দেখব। আজ ডাউনলোড দিলাম।
অনেক সুন্দর লিখছেন।
কেমন লাগল জানিয়েন।
facebook
অসাধারন রিভিউ লিখেছেন ভাই
facebook
facebook
সেই-ই কবে মনে নেই `নাজ' কিম্বা `গুলিস্তানে' সিনেমাটি দেখেছিলাম। সিনেমার পুরো কাহিনীও ঠিক মনে ছিলনা। শুধু মনে পড়ে সিনেমাটি হৃদয়ে দাগ কেটেছিল।
এত্তসব লেখার কি দরকার ছিল! আপনারতো মিঞা তখন জন্মও হয় নাই। দিলেনতো স্মৃতিমেদুরতায় আক্রান্ত করে।
বর্ণন অসাধারন। সিনেমাটি দেখেও তখন এতকিছু বুঝিনি। আপনার বর্ণনায় নতুন করে সিনেমার দৃশ্যগুলোই চোখের সামনে ভেসে উঠলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
বলেন কি মুরব্বী, বিগ ব্যাং তো জন্মের আগে, তাই বলে সেটা নিয়ে কাজ করব না , একটু মস্করা করলাম। একটু অপেক্ষা করুন, আপনার আরো প্রিয় সিনেমাগুলো হাজির করব একে একে।
facebook
শুভ জন্মদিন অণু'দাদা। হাজার বছর বাঁচুন আর পৃথিবীর পথ হাঁটুন... (এক গোছা প্রিয় ফুলের ইমো হইবে)
ধন্যবাদ আপা, ইস, যদি শত বছরও কেবল দেখার উদ্দেশ্যে হাঁটতে পারতাম।
facebook
facebook
অনু ভাই এতো সুন্দর রিভিউ লিখেছেন যে মুভিটা দেখার আগ্রহ তৈরী করে দিলেন।
, দেখে জানান কেমন লাগল।
facebook
শিশুকালে একবার দেখেছিলাম। এখন আবার দেখতে হবে।
অণুর বর্ণনা খুব মনকাড়া, হৃদয়স্পর্শী।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
facebook
আমার সবচেয়ে প্রিয় ছবিগুলির একটা। বহুবার দেখেছি। শেষ দৃশ্যে এসে সত্যি চোখ ভিজে যেত।
****************************************
সত্য।
facebook
অপুর্ব সুন্দর একটা সিনেমা। অনেক আগে দেখা। একটা দৃশ্য আছে, আলিওশা আর সুরা ট্রেনে দাঁড়িয়ে একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসছে। মাঝে মধ্যে দৃশ্যটা আমার চোখে ভাসে।
আজকে আপনার জন্মদিন নাকি? শুভেচ্ছা থাকল।
জন্মদিন তো প্রতিদিনই! ধন্যবাদ।
facebook
জন্মদিন নাকি! শুভেচ্ছা থাকল
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আমার প্রিয় সিনেমা। ছিয়াশির দিকে এই সিনেমাটি প্রথম দেখি। আরেকটি সিনেমাও প্রিয়--কাম এন্ড সি। ভয়াবহ।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
একদম মনের কথা
জন্মদিন তো প্রতিদিনই! শুভেচ্ছা।
facebook
আমার কাম এন্ড সি ছাড়া আরেকটা সিনেমা মনে পড়ে, টোরা টোরা টোরা
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
দেখতে হবে।
facebook
কাকতালীয় হলেও আমার এক বন্ধু আজই বলছিল ছবিটার কথা। ছবিটা দু'বার দেখে দু্'বারই কেঁদে বুক ভাসিয়েছে- সেই গল্প করছিল। আপনার লেখা পড়ে আমারও সেই দশা প্রায়; ছবিটা না জানি কত হৃদয়স্পর্শী। নেট থেকে কিভাবে দেখা সম্ভব বলতে পারেন?
ইউটিউব বেশ কিছু রুশ চলচ্চিত্র হালাল তরিকায় হোস্ট করেছে। এটাও পাবেন।
facebook
তোমার ওই বন্ধু তোমার জন্য লিংক খুঁজতে গিয়ে, নিজেই একবার দেখে আবারো কেঁদে বুক আর ল্যাব ভাসিয়েছে। তোমাকে আর লিংক পাঠাতে পারে নি। হা হা হা.........
facebook
সেইসাথে
facebook
শুভ জন্মদিন অনু।
লেখা পড়ে দারুন লাগল। ম্যুভিটা দেখিনি, শীঘ্রই দেখে ফেলব ।
অবশ্যই।
facebook
শুভ জন্মদিন অনু ভাই। সিনেমাটা দেখতে হবে....
ভালো লেগেছে রিভিউ।
অবশ্যই।
facebook
এখানা তো দেখা হয়নাই এখন ও, দেখতে হবে, কোন লিংক দেয়া যাবে অণু ভাই। রিভিউ খুব ভালো হয়েছে, দেখার জন্য এখন আমার মন আকুলিবিকুলি করছে।
লিঙ্ক উপরে হিমু ভাই দিয়েছেন একটা। সবসময় সাব টাইটেল দেখে নিয়েন।
facebook
অনেকদিন আগে দেখেছিলাম মুভিটা। রিভিউ পড়ে আবার দেখতে ইচ্ছে করছে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আসলেই বার বার দেখার মত।
facebook
মুভিটা আগে দেখা হয়নি, আপনার পোস্টের কয়েকলাইন পড়ে বাকীটুকু পড়ার আগে ডাউনলোড করে দেখে ফেললাম। অস্বাধারন!! শেষ দৃশ্যটা এত আবেগঘন ছিল কী বলব।
সুরা'র একটা সংলাপ উল্লেখ করতে ইচ্ছে করছে- "when I told you I didn't have anyone else, I was admitting that I love you. Why didn't you say anything?"
অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টের জন্য এবং জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা রইল।
facebook
ফাটাফাটি ।
সিমেমা দেখিনি। দেখব শিওর ।
এন্ড
শুভ জন্মদিন স্যারজী। ট্রিট টা জমা রইলো হিসেব খাতায়। দেখা হবার পর হে হে, একেবারে উসুল .........
ভালো থেকো, সুস্থ থেকো ভাই
facebook
মুভিটার নাম শুনেছি অনেক কিন্তু দেখা হয়নি,এই শুক্কুর বারের আবশ্যক কাজের লিস্টিতে টুকে রাখলাম।
শুভ জন্মদিন,অণুদা।
আগামি বছরগুলোতে আপনি যেন আরো চরকিবাজি করতে পারেন-এই শুভ কামনা
রইল।
চলছে চরকিবাজি !
facebook
ফাটাফাটি ।
সিমেমা দেখিনি। দেখব শিওর
এন্ড
শুভ জন্মদিন স্যারজী। ট্রিট টা জমা রইলো হিসেব খাতায়। দেখা হবার পর হে হে, একেবারে উসুল .........
ভালো থেকো, সুস্থ থেকো ভাই
facebook
শুভ জন্মদিন অণুভাই
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ কবি ভাই।
facebook
আহা, কি অসাধারণ আবেগঘন বর্ণনা। তারেক অণুর লেখনীতে ছবিটার নব্বইভাগ যেন উঠে এসেছে।
কর্তব্যবোধ ও আত্মমর্যাদা রক্ষার বিরল দৃষ্টান্ত খুঁজে পাই, 'দি ব্রিজ ইন দ্য রিভার কাওয়াই' ছবিটিতে। সেখানে যুদ্ধবন্দী দৃঢ়চেতা ব্যাটালিয়ান কমান্ডারের চরিত্রটি মনে গেঁথে আছে। জাপানীদের কাছে আত্মসমর্পণকারী অধীনস্ত ব্যাটালিয়নের মর্যাদা রক্ষার জন্য তার চারিত্রিক দৃঢ়তা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত বলে মনে হয়। সেইসাথে কর্তব্যবোধের কাছে পক্ষ-বিপক্ষ জ্ঞানের তুচ্ছতাও মনের মাঝে গভীর বোধের সঞ্চার ঘটায়।
এরিক মারিয়া রেমার্কের 'অল কোয়াইট ইন দ্য ওয়েষ্টার্ণ ফ্রন্ট'-এর কথা আর কিইবা বলবো!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধন্যবাদ রোমেল ভাই, সেগুলোও আসছে, আস্তে ধীরে!
facebook
অসাধারণ বর্ণনা,ভাই!ছবিটার কথা অনেক শুনেছি,এখনও দেখি নি!দেখে ফেলব শিগগির,কিন্তু আপনি দেখার ষাট শতাংশ কাজটা করে দিলেন যে!!
না না ০,০০০০০০০০০০০০০০০০১ % ও করতে পারি নি, আপনি দেখলেই বুঝতে পারবেন।
facebook
গ্রেট।
facebook
ভেতরের গল্প তো দারুন। দেখার ইচ্ছা থাকল।
facebook
অণু ভাই, আমি এই সিনেমার নামটা অনেক দিন থেকে মনে মনে খুঁজছিলাম। এই সিনেমাটা ভীষণ সৃতিবহুল ২৪ বছর আগে মস্কোতে দেখেছিলাম, তখন আমি অনেক ছোট কেঁদে কেতে জামা ভিজিয়ে একাকার করেছিলাম। কিছু কিছু দৃশ্য এখন মনে আছে। অনেক ধন্যবাদ।
বলেন কি ! মস্কোতে শৈশব কেটেছে নাকি আপনার?
facebook
না শৈশব কাটেনি তবে জীবনের একটা উল্লেখযোগ্য সময়ের সাক্ষী এই শহর, তাই সে সময়ের কথা মনে হলেই আবেগআপ্লুত হয়ে যাই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এক ঝলক বাতাস বইয়ে দিলেন।
অসম্ভব প্রিয় একটা মুভি। অনেক ছোটবেলায় দেখা, এখনো অনেকগুলো দৃশ্য চোখে ভাবসে - বিশেষ করে ছেলের আসার খবর পেয়ে মায়ের সব কাজ ফেলে মাঠ-ঘাট পেড়িয়ে দৌড়ে ছুটে যাবার দৃশ্যটা। ভালো লিখেছেন।
ধন্যবাদ।
facebook
ভাই,রিভিউ করতে গিয়ে গল্পটাই বলে দিচ্ছেন। ভালো লাগলো না।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আমি কিন্তু রিভিউ করি নি, স্রেফ গল্পটা বলতে চেয়েছি।
facebook
facebook
নতুন মন্তব্য করুন