ধীরে ধীরে উঠছে চলচ্চিত্রের পর্দা, অপার্থিব সুর মূর্ছনায় ভেসে যাচ্ছে বিশ্ব চরাচর। দৃশ্যপটে আবির্ভাব ফুটফুটে পরীর মত এক ক্ষুদে মেয়ের কিন্তু সে রক্তাক্ত এলোমেলো পড়ে আছে মৃত্যুকে আলিঙ্গনের জন্য! সংগীতের সাথে তাল মিলিয়ে তার মুখমণ্ডলের রক্ত ফিরে যেতে শুরু করে উৎসস্থলে, সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে পিছনের দিকে, শুরু হয়ে যায় অতীত ঘটনার যাত্রা।
১৯৪৪ সালের মে মাসের ঘটনা, স্পেনের ফ্যাসিস্ট একনায়ক ফ্রাঙ্কোর নিষ্ঠুর শাসনের ৫ বছর পেরিয়ে গেছে ইতিমধ্যেই, আমাদের গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র ছোট্ট মেয়ে ওফেলিয়া তার সন্তানসম্ভবা মায়ের সাথে চলেছে সৎবাবার কাছে। ফ্রাঙ্কোর অত্যাচারী সেনাবাহিনীর এক প্রভাবশালী ক্যাপ্টেন সে, বর্তমানে ব্যস্ত তার এলাকার বিশাল বনে লুকিয়ে থাকা মুক্তিকামী বিদ্রোহীদের শায়েস্তা করার কাজে।
বড়দের এই জটিল জগতের বারুদের ঝাঁঝালো গন্ধময় পরিবেশ থেকে রক্ষা পাবার জন্যই ওফেলিয়ায় নিত্য আশ্রয় হয়ে ওঠে রূপকথার গল্প। নিজেকে এক রাজকুমারীর সাথে কল্পনা করে অজানা যাত্রায় মেতে ওঠে সে, যেখানে মিলে মিশে একাকার হয়ে যায় কল্পনা আর বাস্তব। মায়ের সাথে যাত্রাপথে এক অদ্ভুত দর্শন মথের সাথে সাক্ষাৎ ঘটে তার, উড়ন্ত সেই পতঙ্গের পিছু ছুটতে ছুটতে ওফেলিয়া হাজির হয় শতাব্দীপ্রাচীন নির্জনতায় ঘেরা এক পাথরের তৈরি গোলকধাঁধায়। পরবর্তীতে সে জানতে পারে এই জায়গায় নাম প্যানের গোলকধাঁধা ( Pans Labyrinth)।
পর্দায় হাজির হয় ওফেলিয়ার সৎবাবা দাম্ভিক নিষ্ঠুর ক্যাপ্টেন ভিদাল, নিরপরাধ দুজন গ্রাম্য শিকারিকে পৈশাচিক ভাবে কেবলমাত্র খেয়ালের বসে কাচের বোতল আর রিভলবারের গুলি দিয়ে হত্যা করে সে, বুঝিয়ে দেয় একনায়কদের পদ লেহনকারীদের সীমাহীন ক্ষমতার অন্ধ দম্ভ।
লৌহকঠিন বাস্তবতার সাথে সাথেই সমান্তরালে এগোতে থাকে আমাদের শিশুকন্যার কল্পকথার জগৎ। সেই মথের পিছনে একাকী রাতের আঁধারে গোলকধাঁধায় এক হাজির হয়ে এক অদ্ভুত রূপকথার জীব ফনের সাথে সাক্ষাৎ ঘটে তার ( এই ফনের চরিত্রটি বড় অদ্ভুত, গ্রীক পুরানের দেবতা প্যান নয় কিন্তু সে)।
ফন দাবি করে এক মাসের মধ্যে ওফেলিয়াকে ৩টি কাজ করে দিতেই হবে, তার মা ও অনাগত ভাইটির ভাল চাইলে! দিকনির্দেশনা হিসেবে সে দেয় একটি মোটা বই, যার পৃষ্ঠাগুলো সম্পূর্ণ ফাঁকা। কিন্তু ক্ষুদের মেয়েটি পাতা উল্টাতে থাকলেই একের পর এক আঁকিবুঁকি, রঙিন চিত্রকর্ম আর প্যাঁচানো লেখায় ভর্তি হয়ে উঠতে থাকে সেই বই। প্রাপ্ত নির্দেশনা মোতাবেক প্রায় মৃত শতাব্দী প্রাচীন এক গাছের গুঁড়ির মাঝে কর্দমাক্ত অবস্থায় প্রবেশ করে এক মহা শয়তান জাদুর ব্যাঙকে মেরে ( ব্যাঙটির অবস্থানের কারণেই গাছটির মুমূর্ষু অবস্থা) তার পেট থেকে উদ্ধার করে সোনার চাবি।
চাবি হাতে পেয়ে রহস্যময় ফন তাকে দেয় পরের কাজের দিকনির্দেশনা আর সঙ্গী হিসেবে লিলিপুট আকৃতির তিনটে পরী। এদের সাথী করেই নিজ ঘরের দেয়ালে কল্পিত দরজা এঁকে তার মধ্য দিয়েই ওফেলিয়া প্রবেশ করে এক ভয়ানক জগতে, সেখানে থরে থরে সাজানো টেবিলের সামনে বসে অপেক্ষারত এক ভয়ালদর্শন লোলচর্ম দানব, যার চোখের মণি দুটো খোলা অবস্থায় পড়ে আছে সামনের টেবিলে কিন্তু অবস্থাবিশেষে হাতের তালুতে সেই চোখ লাগিয়ে তা দিয়ে দেখার কাজ চলে আঁধার জগতের এই নৃশংস এই রাজাধিরাজের।
তার নাকের ডগা দিয়েই মন্ত্রপূত এক ছুরি উদ্ধার করে ফেরার পথে ফনের নির্দেশ ভুলে কয়েকটি টসটসে লোভনীয় আঙ্গুরে কামড় দিয়ে ফলে ক্ষুধার্ত ছোট্ট মেয়ে, মুহূর্তের মাঝেই জেগে ওঠে দানব! কামড়ে মেরে ফেলে সঙ্গী দুই পরীকে, শেষ জনকে নিয়ে অল্পের জন্য পালাতে সক্ষম হয় ওফেলিয়া। কিন্তু তার লোভকে জয়ের ব্যর্থতায় ক্রোধোমত্ত ফন পরিত্যাগ করে তাকে।
বাইরের বাস্তব জগতে তখন চলছে সত্যিকারের নরদানবদের বীভৎস তান্ডব, সারি বেঁধে খাবার নিতে আশা এলাকাবাসীর সামনে মন্ত্র কপচানোর মত বলেই চলেছে দখলদারি তাবেদার সেনা দল- এমন সফেদ সুগোল রুটি কেবল জেনারেল ফ্রাঙ্কোর রাজ্যতেই মেলে, এমন চমৎকার খাদ্যদ্রব্যের নিশ্চয়তা দণ্ডমুণ্ডের অধিকর্তা জেনারেল ফ্রাঙ্কো ছাড়া আর কেউ-ই দিতে পারে না। এমন ঝুড়ি ঝুড়ি হাস্যকর মিথ্যা প্রচারণাই নয়, জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা মুক্তিকামী বিদ্রোহীদের নাগাল পেলেই পাশবিক নির্মমতায় খুন তো করছেই আর জীবিত পেলে স্যাডিস্ট ক্যাপ্টেনের অত্যাচারে তথ্য ফাসের ভয়ে দেশপ্রেমী তরুণ নিজেকেই মৃত্যুর কোলে সপে দিচ্ছে।
এক পর্যায়ে জানা যায়, ক্যাপ্টেনের খাস পরিচারিকা মার্সেদেজ আসলে বিদ্রোহীদের গুপ্তচর, তাদের দলনেতার বড় বোন, সে আরেক দেশপ্রেমী ডাক্তারের সাথে মিলে খাবার, ঔষধ, খবরের কাগজ প্রাণের ঝুকি নিয়ে পৌঁছে দেয় বিদ্রোহীদের ক্যাম্পে।
এমন সময় সন্তান প্রসবকালে চরম অসুস্থ হয়ে পড়েন ওফেলিয়ার মা। আত্নপ্রেমী চরম স্বার্থপর ক্যাপ্টেন ডাক্তারকে সরাসরি বজ্রকঠিন নির্দেশ দেন, তার বংশরক্ষার জন্য শিশুটিকে রক্ষা করতেই হবে, দরকার হলে মায়ের মৃত্যুর বদলে হলেও। ফলে জননীর প্রাণের বিনিময়ে ধরাধামে আসে শিশুপুত্র, ওফেলিয়ার নতুন পৃথিবী গড়ে ওঠে তাকে ঘিরেই।
পরবর্তীকালে মার্সেদেজের সাথে পালাতে গিয়ে সৈন্যদের হাতে বন্দী হয় তারা দুজন, অসমসাহস দেখিয়ে ক্যাপ্টেনকে ছুরিকাহত করে বন্দী অবস্থা থেকে পালাতে সক্ষম হয় মার্সেদেজ, যখন সে বিদ্রোহী সৈন্যদের নিয়ে ফেরৎ আসে ততক্ষণে ওফেলিয়ার কল্পনায় পুনরায় হাজির হয়েছে ফন, আগের ক্রোধ ভুলে সে বলে তার গোলকধাঁধায় শিশুভাইটিকে নিয়ে আসার জন্য, কিন্তু সেখানে পৌঁছেই ওফেলিয়া দেখে ফনের আসল উদ্দেশ্য কোন বিচিত্র মোক্ষ লাভের আশায় সেই নিষ্পাপ শিশুকে বলি দেওয়া!
এবার বেকে বসে আমাদের ছোট্ট মেয়ে, ফলশ্রুতিতে চিরবিদায় নেয় ফন কিন্তু হাজির হয় যমদূতরূপী ক্যাপ্টেন। শিশুপুত্রকে কেড়ে নিয়ে এক বুলেটে ওফেলিয়ার জীবন স্পন্দন চিরতরে নিস্তব্ধ করে ফেরার পথে নিজেই বিদ্রোহী স্বাধীনতাকামী তরুণদের হাতে বন্দী হয়। তার শেষ ইচ্ছে ছিল, তার পুত্রকে যেন অন্যরা বলে সে কি করে মৃত্যুবরণ করেছিল। এর প্রেক্ষিতে বিদ্রোহীদের মুখপাত্র মার্সেদেজ জানায়, তার ছেলে কোন দিন তার জনক সম্পর্কে জানতে পারবে না।
কিন্তু কি হল ওফেলিয়ার! থেমে গেলে তার বাস্তব জীবন ধাতব বুলেটের রূঢ় আঘাতে। কিন্তু তার অন্য জগতের জীবন সুখী ভাবে বহমান, স্বর্গে অত্যন্ত উঁচু স্থানে আসীন হয় সে। তার আসল বাবা, মা ও সে ফন জানায় শিশুকে ভাইকে বলি দেবার ব্যাপারটা ছিল নিছক একটি পরীক্ষা, সেখানে কৃত হয়ে তার অবস্থান আজ স্বর্গের অমরদের মাঝে।
শেষ দৃশ্যে দেখা যায়, সেই মৃতপ্রায় বিশালাকার গাছে ফুটছে আগামির ফুল।
এই ছিল ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বিশ্বখ্যাত মেক্সিকান পরিচালক গুয়েরমো দেল তোরোর প্যানস ল্যাবিরিন্থ চলচ্চিত্রের ঘটনাপ্রবাহ। তিনি অদ্ভুত মুন্সিয়ানায় অপশাসনে পিষ্ট এক জাতি ও সমাজের শিশুদের মানসিক অবস্থা ফুটিয়ে তুলেছেন বড়দের নিষ্ঠুরতাকে অবহেলায় এড়িয়ে চলার মানসে। আর দেখিয়েছেন, একনায়কের অপশাসন কি নিষ্ঠুরই না হতে পারে ক্ষমতার লোভে, সেই সঙ্গে এই প্রবল অত্যাচারীর বিরুদ্ধেই ন্যায়ের সুবাতাস আনার স্বপ্ন দেখে একদল মুক্তির পূজারী।
ওফেলিয়া চরিত্রে ইভানা ব্যাকেরো এবং ক্যাপ্টেন ভিদালের ভূমিকায় সার্গিও লোপেজের অনবদ্য অভিনয় সত্ত্বেও এই সিনেমার মূল আকর্ষণ কিন্তু কম্পিউটারের সহায়তায় সৃষ্ট বিশালাকার মথ, ক্ষুদে পরী, লোলচর্ম দানব আর সেই ফন। ফলে সেরা মেকআপসহ তিনটে বিশেষ ক্ষেত্রে অস্কার জিতে নেয় এই অবশ্যদর্শনীয় রূপোলী ফিতের মহান সৃষ্টি।
(ব্যবহৃত আলোকচিত্রগুলো নেট থেকে সংগৃহীত)
মন্তব্য
রিভিউ ভাল লেগেছে, সিনেমাটাও খুব প্রিয়
ধন্যবাদ।
facebook
সিনেমার কাহিনী সমস্তটা বলে দিলে যারা সিনেমা দ্যাখেননি, তারা তো ঠকবেন ।
প্যান'স ল্যাবিরিন্থ দেখে ভালো লেগেছিলো, গিয়েরমো দেল তোরোর ডোন্ট বি অ্যাফ্রেইড অফ দ্য ডার্কও ভালো লেগেছে, দু'টোর মধ্যে "কথনভঙ্গি"র সাদৃশ্য প্রচুর।
ক্যাপ্টেন ভিদাল চরিত্রের ভেতরে কিন্তু জেনারেল ফ্রাঙ্কোকেই খুব নিরুচ্চারে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, খুব ছোটো ছোটো কিছু ইঙ্গিতে। যেমন ফ্রাঙ্কোর স্ত্রীর নাম ছিলো কারমেন, ভিদালের স্ত্রীর নামও সিনেমায় থাকে কারমেন। ভিদাল একাধারে ভিদাল এবং ফ্রাঙ্কোর ছায়া।
সিনেমা নিয়া নিয়মিত লিখতেছেন দেখে ভাল্লাগল।
প্যানস ল্যাবিরিন্থ দেখব দেখব কইরাও দেখা হয় নাই।
স্পয়লার বিষয় হিমুর সাথে একমত।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
হুমম, কথা ঠিক। দেখি---
facebook
প্যান্স ল্যাবিরিন্থ একটা দুর্ধর্ষ সিনেমা! ভাবতেই অবাক লাগে যে লোক প্যান্স ল্যাবিরিন্থ বানাইছে সেই একই লোক হেল বয়, ব্লেড বানাইছে।
হ, কত কিছু হয় দুনিয়াতে।
facebook
ইয়ে মানুষ হেলবয় পছন্দ করেনা কেনু?
ব্লেডই বা কি দুষ করলো? নাহয় ব্যাটা একটু কালো। কালো বলে কি ভ্যাম্পায়ার হইতে পারবে না?
কে বলছে লোকে পছন্দ করে না, হেল বয়,ব্লেড তো বাচ্চাদের প্রিয় মুভি
এইটা একটা অচাম মুভি।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অচাম! অচাম !
facebook
নাম শুনেছিলাম, দেখি নাই। লেখা অতি চমৎকার।
দেখে ফেলেন, ভাল লাগবে।
facebook
এই ছবির নাম শুনলাম না কেন আগে? মুভির কাভার দেখে ডরাইছি
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ব্যাপার না, এখন দেখে ফেলেন।
facebook
সহমত ।
তবে লিখেছেন খুব ভালো।
facebook
সম্ভবত অস্কারপ্রাপ্তির কারনেই নামটি জেনেছিলাম। কিন্তু ভয়ালদর্শন এসব দানবের উপস্থিতির কারনে সিনেমাটি দেখার আগ্রহ জন্মেনি। তাছাড়া অন্তর্নিহিত বক্তব্য সম্পর্কেও ধারনা ছিলনা। আপনার লেখা পড়ে আগ্রহান্বিত হলাম। ভাল সবকিছু নিয়েই অনেক অনেক লিখুন।
ধন্যবাদ।
দেখুন, ভাল লাগবে।
facebook
রিভিউ পড়ে মজা পেলাম। মুভিটা দেখার আগ্রহও জেগেছে। দেখি, যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব সংগ্রহ করব।
_________________
[খোমাখাতা]
facebook
আরেকটি ঝরঝরে সিনেমালোচনা।
ইহাও কি তবে 'ইব্রাহিমের ছুরি'?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
হাঁ হাঁ, যা বলেছেন !
facebook
রিভিও ব্যাপুক অইছে।
এই সিনেমা কি মিস করা যায়। আমি ৩ বার দেখেছি, হা হা হা
facebook
রিভিউ ভাল লাগল। দেখা হয়ে উঠেনি... হয়ত আর দেখতে হবে না ।
এই উইকএন্ডেই বসে পড়েন!
facebook
সাস্পেন্স, ড্রামা সব কিছুই পাঠক-কে বলে দিলা যে!
তবুও দেখব; এত সুন্দর বর্ণনা পড়ে এটা না দেখে পারা যায়? ( আমার আবার ভূত, পেত্নি, ডাকিনী, পৌরাণিক রাক্ষসের হাউকাউ খুব ভাল লাগে)
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
দিলাম বলে, আমি তো গল্প বলতে চেয়েছি, আর কিছু নয়!
facebook
সিনেমাটা আমার খুব প্রিয়...
কিন্তু, উম- মানে পুরো সিনেমাটার গল্পই যদি বলে দ্যান- ওফেলিয়ার মৃত্যু সহই- তাহলে বদ্দা দর্শকের জন্যে কিছুই রইলো না তো। রিভিউতে আপনার পছন্দের দৃশ্য, বা কোন দৃশ্যে গিয়ে প্রাসঙ্গিক আর কী মনে পড়ে যায়- সেগুলো আসলেও দারুণ হয়।
আসলে, আমি তো রিভিউ লেখার চিন্তা করি নাই, কেবল কিছু প্রিয় সিনেমার গল্প করতে চেয়েছি!
facebook
অনেক দিন ধরেই দেখার ইচ্ছের তালিকায়, কিন্তু দেখা হয় নাই।
আপনি তো পুরা গল্পই বলে দিলেন!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বার বার দেখা যায় ! সমস্যা নাই, দেখে ফেলেন।
facebook
ছেলেদের আগ্রহেই ছবিটা দেখা হয়েছিল। এম্নিতেই ভাল লেগেছিল পেছনের ইতিহাস না জেনেই। আজকে ইতিহাস জানার পর আরেকবার দেখার আগ্রহ হচ্ছে। দেখবো দেখি।
অণূ'দাদা জম্মদিন কিরাম হল???
সুন্দর পোস্টএর জন্য ধইন্যা
ধন্যবাদ আপা, প্রতিদিনই তো জন্মদিন!
facebook
ভাই, আপনি কি মানুশ নাকি ভালো লাগা গুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ?
ভালো লেগেই চলেছে, চলুক অবিরাম।
facebook
চমৎকার লিখেছেন! তবে গল্পটা বলেই দিলেন
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
হ
facebook
নটেগাছটিও যদি মুড়ে যায় তবে কোমনে কি? সিরিজ কিন্ত থামানো চলবেনা বলে দিলাম। মন্তব্য করি আর না করি চলচ্চিত্র ভ্রমনেও আপনার সাথে থাকতে চাই
facebook
প্যান্স ল্যাবিরিন্থ (El Laberinto del Fauno) আমার অত্যন্ত প্রিয় ছবি। অসংখ্যবার দেখা একটি ছবি। প্রথমবার যখন দেখেছিলাম তখন ওফেলিয়ার মৃত্যূদৃশ্য ( সেই দৃশ্যের সাথে ব্যাক্গ্রাউন্ড মিউজিক) আমার হৃদয় ছাপিয়ে দিয়েছিল।
প্রিয় চরিত্র অবশ্যই ওফেলিয়া ও তার সৎবাবা আর্মি অফিসার।
আমি এখন পর্যন্ত আর কোন ছবিতেই বাস্তবতা ও কল্পজগতের এমন অপূর্ব সম্মিলন দেখিনি। একটি বইপোকা নিঃসঙ্গ বাচ্চা মেয়ের অদ্ভুত কল্পনা ও বাস্তব পৃথিবীর নিষ্ঠুরতা ও আবেগ একসাথে করার মত শৈল্পিক ক্ষমতা সকল পরিচালকের নেই। দেল তোরো'র অসামান্য কীর্তি প্যান্স ল্যাবিরিন্থ।
আমি ছবির শেষ লাইনটি প্রায়ই ব্যবহার করি..."visible only to those who know where to look"
আপনাকে ধন্যবাদ রিভিঊর জন্য।
"visible only to those who know where to look"
খুব ভাল লাগল আপনার মন্তব্য। ভালো থাকুন।
facebook
facebook
নতুন মন্তব্য করুন