উত্তরের স্বর্গ- ল্যাপল্যান্ড

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: শনি, ১৯/১১/২০১১ - ১:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

IMG_1972

ল্যাপল্যান্ড, কি অবাক করা নাম! শুনলেই মনে হয় সুমসাম নীরবতার মাঝে ডুবে আছে প্রকৃতি, দিগন্ত ছোঁয়া সারি সারি বৃক্ষরাজি, ইতস্তত চরে বেড়ানো বলগা হরিণের পাল, শিকারের প্রচেষ্টারত তুষার পেঁচার উড়াল, এর মাঝেই মানবজাতির প্রতিনিধিত্বকারী সামি সম্প্রদায়ের প্রকৃতি ঘেঁষা জীবন।

IMG_1471

বিশ্বের সর্ব উত্তরের ৫ দেশের তিনটির ( সুইডেন, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে) সর্বউত্তরের ভূখণ্ড নিয়েই কিন্তু ল্যাপল্যান্ড, এর পূবেই আবার শুরু হয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বনভূমি তাইগা যা সমগ্র সাইবেরিয়া দখল করে ছুঁয়েছে জাপান সাগর। ল্যাপল্যান্ডে যাবার সৌভাগ্য একাধিকবার হলেও তা সবসময়ই ছিল হাড় কাঁপানো শীতে (যেখানে প্রায়ই তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে ৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস), যদিও সেখানকার সবচেয়ে বিখ্যাত দ্রষ্টব্য মেরু জ্যোতি (অরোরা বোরিয়ালিস) দেখতে হলে জমাট শীতকালের কোন বিকল্প নেই তারপরও ল্যাপল্যান্ডের আসল ভাষা তো বোঝা যায় কেবলমাত্র ভরা গ্রীষ্মে! যখন দুকুল ছাপানো সবুজ প্লাবিত করে রাখে হাজার হাজার বর্গমাইল, ফিরে আসে পরিযায়ী পাখির দল।

২০০৮-এর গ্রীষ্মে কেবল ফিরেছি আল্পস পর্বত ডিঙ্গিয়ে, তার পরের দিনই পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক গ্রীষ্মের ল্যাপল্যান্ডের রূপসুধা উপভোগের জন্য আমাদের নব যাত্রা শুরু, সঙ্গী বহু অভিযানের পোড় খাওয়া দুই সহযাত্রী সহোদর ভাই অপু এবং অসহোদর বড় ভাই শিপু ও শিপু ভাইয়ের গাড়ী।

IMG_1527

ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকি থেকে যাত্রা শুরু করে প্রথম দিনের বিরতি টানা হল হাজার হ্রদের দেশের লেকল্যান্ড বলে বিখ্যাত এক অঞ্চলে, যেখানে শুধুই হ্রদ আর অবারিত বনের প্রাচুর্য। ফিনল্যান্ডের দুই লক্ষ পাঁচ হাজার হ্রদের সবচেয়ে বড় হ্রদ সাইমার তীরেই বন্ধুর বাড়ীতে নিশিযাপন করা গেল এযাত্রা।

IMG_1265

বন্ধুর পরিবার আছে প্রকৃতি প্রেমে মজে, তাদের চিঠির বাক্স বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে, সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশীও মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে!

IMG_1304

পরের রাত্রিও আরেক বন্ধুর আস্তানায় কাটিয়ে আমরা পৌছালাম আর্কটিক বৃত্তের অভ্যন্তরে ( আর্কটিক সার্কেল হচ্ছে উত্তর মেরুকে কেন্দ্র করে আঁকা কল্পিত এক বৃত্ত বা অঞ্চল যার ভিতরে গ্রীষ্মকালে অন্তত একদিন পুরোপুরি ২৪ ঘণ্টা সূর্য ডুববে না এবং শীতকালে অন্তত একদিন সূর্য উঠবে না, আবার এর যত উত্তরে যেতে থাকবেন দিন ও রাত্রির পরিমাণ সমানুপাতে বাড়তে বা কমতে থাকবে, ফলশ্রুতিতে কেন্দ্রবিন্দু উত্তর মেরুতে ছয় মাস দিন, ছয় মাস রাত।)।

দেখা হল এই অঞ্চলের সবচেয়ে বিখ্যাত বাসিন্দা ফাদার ক্রিসমাস বা সান্তা ক্লজের সাথে, তার অফিসিয়াল আস্তানা কিন্তু এখানেই! সারা বছর কয়েক মিলিয়ন চিঠি আছে এইখানে সমগ্র বিশ্বের শিশুদের কাছে থেকে, সবাই সান্তা ক্লজকে জানায় তাদের ইচ্ছাপূরণের স্বপ্নের কথা। তবে এই বিশ্বাসকে পুঁজি করেই চলছে রমরমা সান্তা ক্লজ বাণিজ্য, ছবি তোলা থেকে শুরু করে চিঠি পাঠানো সবখানেই চড়া দাম রেখে আগন্তকদের পকেট হালকা করার ব্যবস্থা বরাবরের মতই।

P1170141

সেখান থেকেই আমাদের প্রবেশ মূল ল্যাপল্যান্ডে, যেখানকার জনবসতি সারা গ্রহের মধ্যে সবচেয়ে কম ঘনত্বের একটি, মানুষের দেখা মেলে না বললেই চলে, কেবল আদিগন্ত বিস্তৃত উচুনিচু পাহাড় আর বনের সাম্রাজ্য, অবশ্য মাঝে মাঝেই রাস্তা আটকে আমাদের অশেষ করুণার করল যেন পোষ মানা বলগা হরিণের পাল! গাইড বই থেকে জানলাম এরা প্রায়শই এভাবে রাস্তা আটকে ট্র্যাফিক জামের সৃষ্টি করে। তাদের প্রত্যেকের কানে আলাদা আলাদা ট্যাগ লাগানো যাতে পশুপালকদের নিজের হরিণ চিনতে সমস্যা না হয়, তবে এখনো কানের কাছে বিশেষ চিহ্ন দিয়ে চামড়া কেটে নেবার পদ্ধতিই বেশী জনপ্রিয়। ল্যাপল্যান্ডের অধিবাসীদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান তো বটেই আরও অন্যান্য জিনিসের জন্য তারা আদিকাল থেকে বলগা হরিণের উপর নির্ভরশীল।

P1170114

প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত গাড়ী চালিয়ে পৌঁছানো হল সমগ্র ল্যাপল্যান্ডের সবচেয়ে বড় হ্রদ ইনারির পাড়ে, গ্রীষ্মের সূর্য তখনো সাথী আমাদের, অবশ্য তার নিষ্ক্রান্ত হবার কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

IMG_1359

আজ থেকে আমাদের তাবু বাস শুরু। সবই ঠিক আছে, তাবুর ভিতরে গেলে নিশীথ সূর্যের আলো আর হ্রদের তীরের ধারালো বাতাস দুইকেই ঠেকানো যায় কিন্তু আমাদের দুই ভ্রমণসঙ্গী যে বিশ্ব নাসিকাগর্জন প্রতিযোগিতায় গেলে পালাক্রমে সোনা ও রূপা জিতবে সেই ধারনাই বদ্ধমূল হতে থাকল প্রতি পলে। আগের অভিজ্ঞতা থেকে সাথে কানের গোঁজার জন্য সবসময় বিশেষ বস্তুটি সাথেই থাকে কিন্তু প্রয়োজনের সময় সাধারণত যা হয় তাই হল।

IMG_1354

ফিনিশ ল্যাপল্যান্ডের এই অঞ্চলে অসংখ্য অগভীর নদীতে ভরা। এদের আরেক নাম স্বর্ণ নদী, কারণ এই নদীতে প্রাপ্ত সোনার উপর ভিত্তি করেই বেশ কজন স্বর্ণ অনুসন্ধানী জীবিকা নির্বাহ করেন। পথে পড়ল ছোট্ট শহর ইভালো, শুনেছিলাম অনেক সময় দরকারি খাদ্য পানীয়ের দাম মেটাতে প্রকৃতি ছেড়ে লোকালয়ে এসে পড়া স্বর্ণ অনুসন্ধানী টাকার বদলে সোনার গুড়ো ব্যবহার করে থাকে, সেই বুনো পশ্চিমের দিনগুলোর মত!

IMG_1386

সেইদিনই আমরা নরওয়ের ল্যাপল্যান্ডে প্রবেশ করি। দৃষ্টিসীমায় আসে বরফ ছাওয়া পর্বতমালা আর অতল জলের ফিয়র্ড।

IMG_1457

নরওয়ের এই প্রাকৃতিক বিস্ময় সারা বিশ্বের ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে সবচেয়ে দর্শনীয় স্থান হিসেবে নির্বাচিত হয় প্রায় ফি বছরই, জাদুময় সম্মোহনী আহ্বান এর। পর্বত আর মহাসাগরের মিলন, সেই সাথে গাঢ় সবুজ উপত্যকা, গভীর খাড়ি, অফুরানে বনের সমন্বয় যে আর কোথাও নেই বললেই চলে।

IMG_1568

IMG_1546

ভ্রমণের এক পর্যায়ে আমাদের গন্তব্য নর্ড ক্যাপ, জনপ্রিয় ধারণা এটি আমাদের গ্রহের উত্তরতম ভুখণ্ড, এর পরপরই উত্তর মহাসাগরের হিম রাজ্যের শুরু। সেই হিসেবে কোন স্থল যানে চেপে যাত্রা করলে এটিই সবচেয়ে উত্তরে গন্তব্য। এক কুয়াশা ঘেরা বিকেলে ভূভাগের উত্তুরে বিন্দুটি অক্ষিগোচর হল, ধাতব একটা অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ নির্দেশ করা গোলক এর চিহ্ন, তাকে ভিড়েই পর্যটকদের রমরমা ভিড়।

IMG_1586

শিপু ভাই আর অপুর হাসি দেখে মনে হল আমরা মঙ্গলে না হলেও চাঁদে পৌঁছেছি নির্ঘাত!

IMG_1575

আমাদের বুড়ো পৃথিবীর ডাঙ্গার এই শেষ, নিচে তাকালেই বরফ মহাসাগরের হিম অস্তিত্ব চোখে পড়ে, মনে পড়ে যায় সেই বরফ সাগরের মাঝেই উত্তর মেরুতে অভিযানের কথা, আবার দেখা হবে কি কোনদিন সেই ভয়ংকর সুন্দর বন্ধুর স্থানটির সাথে?

IMG_1581

সেদিনের রাত্রিবাস নিয়ে সবার উৎকণ্ঠা চরমে, অপুর যুক্তি যে রকম গাঢ় কুয়াশা ফেনিয়ে উঠছে, নিজের হাতই দেখা মুস্কিল, এই অবস্থায় সরু পাহাড়ি রাস্তা বেয়ে নিচে নেমে ক্যাম্প এলাকার খোঁজ করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না, তাবু খাটিয়ে আজকের মত সেখানেই থাকা যাক। আসলেই রাস্তা অস্তিত্ব বোঝাই মুস্কিল, তার উপর আসার সময়ে দেখেছি মুখবাদ্যান করে থাকা বিদঘুটে সব খাঁদ, একবার পিছলালে আর দেখতে হবে না!

IMG_1477

যা হোক, আলাপ আলোচনার পরে নিচের নামারই সিদ্ধান্ত হল, মূল কারণ নর্ড ক্যাপের ঠাণ্ডা ধারালো চাবুকের মত বাতাস। সেই রাতের আস্তানা ছিল বিশ্বের উত্তরতম ক্যাম্পিং এলাকা, এখানে এই উত্তর বাণিজ্য মহা জমজমাট, যেইখানেই যায় সেটিই বিশ্বের উত্তরতম কিছু একটা- দোকান থেকে শুরু করে ম্যাকডোনাল্ডস, সব!

পরদিন আমাদের গন্তব্য ছোটকাল থেকে বইয়ের খসখসে পাতায় পড়ে আসা কিংবদন্তীর এক জনপদ, যার নাম সেই তখন থেকে ভবঘুরে হবার জন্য ফিসফিস করে অনুপ্রেরণা যোগাত, সেই বদ মতলবে বইয়ের চারপাশের জগৎ পরিণত হত অদ্ভুত মায়াময় এক ভুবনে। এককালের তিমি শিকারিদের প্রাণকেন্দ্র হ্যামারফেস্ট!

IMG_1763

হ্যামারফেস্ট নামটি যেন সবসময় হ্যাঁচকা টান মেরে এক অন্য পৃথিবীতে নিয়ে যায় আমাদের, এক রহস্যময় জগতের অংশ যেন সে আর তার অধিবাসীরা। নামের চেয়ে কোন অংশেই কম নয় সাগরের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠে এই প্রাচীন শহর।

শহরের ঢোকার অল্প আগেই নয়নাভিরাম এক ক্যাম্পিং-এর ১৯ নং কেবিনে স্থান হল আমাদের, সেখান থেকে সারা শহর যেমন দেখা যায়, তেমন উপভোগ করা যায় সমুদ্রের কান্তিময় রূপ।

IMG_1767

দূর সমুদ্রে আগুনের চিহ্ন প্রমাণ করছে তেলের খনির অস্তিত্ব, ঘোষণা করছে নরওয়ের বিশ্বের অন্যতম ধনী ও ব্যয়বহুল দেশ হবার কারণ।

IMG_1771

যাত্রাপথের ক্লান্তিতে সেদিন আর শহরে বেশী ক্ষন না ঘুরে নিজেদের কুটিরেই ফেরা হল, অতিরিক্ত প্রাপ্তি অপুর হাতের সুস্বাদু খিচুড়ি। সেটাই পেট পুরে খেয়ে সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের মত সন্ধ্যা নামা দেখতে জাকিয়ে বসলাম কাঠের পাটাতনে।

IMG_1779

হ্যামারফেস্টে টো টো করে ঘুরবার এক পর্যায়ে স্থানীয় জাদুঘরে দেখা হল আর্কটিক প্রাণী লেমিং-এর সাথে, যার দল বেঁধে আত্নহত্যা করা নিয়ে অদ্ভুত সব গল্পের ফানুস তৈরি করেছে মানব জাতি, বাস্তবতা থেকে সম্পূর্ণ বিবর্জিত সেই গল্পগাথা।

IMG_1744

এমন ভাবেই দেখা হল নরওয়ের সবচেয়ে বিখ্যাত অধিবাসি গর্তবাসী ট্রোলের সাথে। দেখেই মন হল, এই লোককথার চরিত্রের সঙ্গ বাস্তবে এড়িয়ে চলাই ভাল হবে।

IMG_1595

শহর থেকে ফেরার পথে আগের রাতের খিচুড়ির জাদুতেই হবে অপুর শখ হল মেরু ভালুকের কান ধরে ছবি তোলার, তার শখ মেটাতে হ্যামারফেস্টের প্রতীকের সামনে যাত্রা বিরতি করতে হল।

IMG_1818

এরপর আমাদের যাত্রা কেবলই দক্ষিণে, পিছনে পড়ে রইল যত ঠাণ্ডা, মেঘলা, গুটিসুটি প্রকৃতি। এখন সামনে কেবলই রোদেলা দিন। গম্ভীর পাহাড়ও যেন হেসে উঠেছে উদ্ভাসিত আলোকে।

IMG_1912

IMG_1893

IMG_1860

আর ফিয়র্ড ! আহা, সে রূপ কি ভাষায় বর্ণনা করবার! কত অপরূপ রঙে যে সাজে সে দিন ভর, মাঝে মাঝে মনে হয় সাগরে নীল গুলে দেওয়া হয়েছে, কখনো সবুজের মেলা আবার ধূসর বিষণ্ণতা।

IMG_1901

IMG_2016

কিছু কিছু স্থান দেখে মনে হল আমরা পিটার প্যানের বন্ধু, এসেছি নেভারল্যাণ্ডে, বয়স বাড়ে না এখানে কোনমতেই। চির সবুজের, চির তারুণ্যের দেশে।

IMG_1868

নারভিক শহরে প্রস্তাব মিলল সাগরে তিমি দর্শনের, বিফলে মূল্য ফেরত মানে ঠিক ফেরৎ না দিলেও তিমি না দেখানো পর্যন্ত নিয়েই যাবে আমাদের ক্রমাগত। সময়ের অভাবে এযাত্রা সেটা করা হল না কিন্তু ভাবলাম মহাসাগরের পারেই আছি, তিমির সাথে মোলাকাত হতেই পারে।

অবশেষে দেখা মিলল আটলান্টিকের, কি দারুণ, কি স্বচ্ছ!

IMG_1954

থেকেই থেকেই দেখা গেল একই জলে ভিন্ন ভিন্ন রঙের স্রোতের অপূর্ব মিলন।

IMG_1984

পথের অন্যতম অভিজ্ঞতা ছিল প্রায় ভাইকিংদের আদলে তৈরি এক জেলে গ্রাম দর্শন, সেখানকার ছাদগুলো দেখেই সবুজ ঘাসে আবৃত। জেলেগ্রাম বিধায় সারি সারি স্যামন মাছের শুঁটকি ঝুলছে যত্রতত্র। এমন বুনো বাতাসে সবার হজম শক্তি গেছে কয়েকগুণ বেড়ে, তাই নিশীথ সূর্যের আলোতেই চলল শুঁটকি সংগ্রহ, রন্ধন ও ভোজন পর্ব। দারুণ খেতে! অনেক সময় মনে হল মাংসের জার্কি খাচ্ছি এমন পুরু!

IMG_1931

যাত্রা বিরতি দিতে হচ্ছে দিনে অসংখ্য বার- খরস্রোতা নদীর উপরের ঝুলন্ত সেতু, ভীম বেগে বয়ে চলা জলপ্রপাত, কল্পলোকের ফিয়র্ড, যেখানেই দুদণ্ড থামতে, দেখতে, জানতে মন চায়।

P1170082

P1170015

IMG_1886

IMG_1827

এভাবেই বার কয়েক দেখা হল আসল ল্যাপল্যান্ডের অধিবাসি সামি সম্প্রদায়ের সাথে, তারা ব্যস্ত তাদের মূল সম্পদ বলগা হরিণের চামড়া, হাড়, ক্ষুর, মাংস ইত্যাদির প্রক্রিয়াজাত বস্তুর বিপণন নিয়ে। আমাদের আধুনিক বিষাক্ত যন্ত্রসভ্যতা এই নিষ্পাপ নিভৃতচারীদেরও করে ফেলেছে মুদ্রারাক্ষসের উপর নির্ভরশীল।

P1160877

বেশ কবার ফেরি পেরোতে হল সামনে চলা পথ হঠাৎ শেষ হয়ে আসায়, কখনও বা পাহাড় ফুঁড়ে চলা সুড়ঙ্গই আমাদের ভরসা, এমন ভাবেই আগমন সুইডিশ ল্যাপল্যান্ডে। এটিই আমাদের শেষ গন্তব্য, এর মাধ্যমেই তিন দেশের ল্যাপল্যান্ড গ্রীষ্মে ভ্রমণের স্বপ্নে দোরে হানা দিতে পারলাম সবাই। পটে আঁকা ছবির মত কিছু কটেজে স্বপ্নের মত উম্মুক্ত আকাশের নিচে ঠাই হল আমাদের। কি অপার্থিব নির্জনতা ঘিরে ধরত আমাদের দিবা-রাত্র। যদিও ল্যাপল্যান্ডের কুখ্যাত মশাবাহিনীর কনসার্ট চলতই ক্রমাগত, তারপরও।

IMG_2089

গ্রীষ্মে উত্তুরে দেশগুলোতে ভ্রমণের এই এক মহা সুবিধে, অনেক সময় পাওয়া যায় দেখার এবং সামনে এগোনোর। মধ্য রাত পেরিয়েও আমাদের যাত্রা চলতে থেকে অবিরাম, সঙ্গী হয় সূর্যের সাথে সাথে মৌসুমির কিন্নরী কণ্ঠের সৃষ্টি, আমি শুনেছি সেদিন তুমি---

P1170131

অবশেষে পাঁচ হাজার কিলোমিটার ব্যপী যাত্রার শেষ প্রান্তে এসে ফিনল্যান্ডে পুনরাগমন, চোখে পড়ল পরিচিত ভূপ্রকৃতি আর জানালার পাশ দিয়ে ছুটে যাওয়া অপূর্ব দৃশ্যমালা।

IMG_2109

মনে হচ্ছিল সবসময় প্রিয় কবি রবার্ট ফ্রস্টের কবিতা—

I often see flowers from a passing car

That are gone before I can tell what they are.

I want to get out of the train and go back

To see what they were beside the track.

I name all the flowers I am sure they weren't;

Not fireweed loving where woods have burnt--

Not bluebells gracing a tunnel mouth--

Not lupine living on sand and drouth.

Was something brushed across my mind

That no one on earth will ever find?

Heaven gives its glimpses only to those

Not in position to look too close.

কিন্তু সেই সাথে এটাও মনে হল আমরা কি আসলেই বিশুদ্ধ সৌন্দর্যকে ছুতে পারি না! কেন নয়, গত দুই সপ্তাহ যে অপরূপ স্বর্গরাজ্যে ছিলাম আমরা প্রতিটি মুহূর্ত, এর বেশী কি ছুয়ে, ছেনে দেখতে পারি আমাদের এই অপরূপ গ্রহটাকে?

( ব্লগার যাযাবর ব্যাকপ্যাকারের জন্মদিনে দূর থেকে পাঠানো উপহার হিসেবে থাকল কেবলমাত্র শেষ করা এই টাটকা স্মৃতিচারণটি, সচলে ছবি ইমবেড থেকে শুরু করে অনেক কিছুই প্রায় হাতেকলমে শেখানোর জন্য তার কাছে আমার অশেষ ঋণ।

সেই সাথে এই ভ্রমণের অন্যতম সঙ্গী এনামুল হক শিপু ভাইয়েরও জন্মদিন আজ, চিরতরুণ মানুষটির জন্য অজস্র শুভকামনা ও বারংবার এমন ভাবে ভ্রমণ করার আহ্বান থাকল।)


মন্তব্য

তিথীডোর এর ছবি

আপনি মইরা যান!
ভর দুপুরে এমনি-ই আমার 'হুদা' ভাব আসে, তার ওপর আবার এই পোস্ট! রেগে টং

যাযাবর ব্যাকপ্যাকারের জন্মদিনে শুভেচ্ছা। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তারেক অণু এর ছবি

আমি বেঁচে আছি নাকি !!!

তিথীডোর এর ছবি

আপনার আসলেই মরা উচিত! ম্যাঁও
ঘর থেকে 'শুধু দুই পা ফেলিবার' সুযোগ পাই না, আর আপনি ত্রিভুবন চষে বেড়ান.. আর দুদিন পর পর সেসব নিয়ে পোস্ট দেন।
রাগে গা কিটকিট করে!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তারেক অণু এর ছবি

ম্যাঁও
আমি কি আদৌ বেঁচে আছি নাকি !

সুমাদ্রি এর ছবি

সুন্দর সব ছবি! আপনারা দুভাই কি যমজ?

তারেক অণু এর ছবি

প্রায় জমজ! আমি দেড় বছরের ছোট !

তাপস শর্মা এর ছবি

বস। মন্তব্য করার মতো কি আর আছে। বলি তোমার জঙ্গলে আমরা মশা হয়েই আছি । তবু এসো ভাই একখান কোলাকুলি দিয়া যাই ওঁয়া ওঁয়া

তারেক অণু এর ছবি
নীড় সন্ধানী এর ছবি

জন্মদিনে এরকম উপাদেয় অভিনব উপহার, চমৎকার! দেঁতো হাসি
আপনাকে হিংসা না করার মহান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। চলুক

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তারেক অণু এর ছবি

মহান চেষ্টার ধন্যবাদ দেঁতো হাসি

জয়ন্তী এর ছবি

আপ্নের আসলেই মইরা যাওয়া উচিত।
ও আরেকটা কথা ছবিগুলো সেইরাম হইসে।

তারেক অণু এর ছবি
প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

কোথাও আমার হারিয়ে যেতে নেই মানা।

নীল জলরাশির কথা শুনেছি শুধুই। এ পোড়াচোখে তাও দেখলাম।

অদ্ভুত সুন্দর।

তারেক অণু এর ছবি

যাহ্‌, কিউবার এত নীল নীল সমুদ্দুরের ছবি দিলাম !

সুপ্রিয় দেব শান্ত এর ছবি

এসব অমানবিক পোস্ট দেয়া বন্ধ হউক।

তারেক অণু এর ছবি
নিবিড় এর ছবি

ছবিগুলা দেখে মনটা উদাস হয়ে গেল মন খারাপ
আর যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এবং এনামুল হক শিপু দুইজনের জন্যই রইল জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

তারেক অণু এর ছবি

চরম, গরম না শরম উদাস চোখ টিপি , জানলে ভালা লাগে !

নূপুরের ছন্দ এর ছবি

মনটা বড়ই খারাপ হইল।

জনমদিনের শুভকামান।।

তারেক অণু এর ছবি

যা বাবা, মন খারাপ কেন ! আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

আহ!!! চলুক


_____________________
Give Her Freedom!

তারেক অণু এর ছবি

বাহ !

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

এটা কেমন হলো ? ৪ ঘন্টা আগে মন্তব্য করেছিলাম। হারিয়ে গেছে।

নীল জলরাশি খু-উব ভাল লাগলো। তার সাথে সবকিছুই।

তারেক অণু এর ছবি

কেন, উপরে আসল যে ! আসলে আজ মন্তব্য গুলো অনেক পরে পরে আসছে !

রু (অতিথি) এর ছবি

জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই যাযাবর ব্যাকপ্যাকারকে এবং এনামুল হককে।

একটা জিনিষ বুঝলাম। আপনি আসলে পিটার প্যান, চিরসবুজ আর শুধু দৌড়াদৌড়ি।

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ। শুধু যে দৌড়াই না সামনে বছর তার প্রমাণ পাবেন চোখ টিপি

নিটোল এর ছবি

ছবিগুলো দেখে স্রেফ পাগল হওয়াই বাকি আছে! এমন জায়গায় কি কখনো যাওয়া হবে?? মন খারাপ

_________________
[খোমাখাতা]

তারেক অণু এর ছবি

হবে হবে, হতেই হবে। দরকার হলে এক সাথে যাবে, আমি জীবনের প্রতি গ্রীষ্মে নরওয়ে যেতে চাই।।

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

ধুর মিয়া আপনে লুক্টা খুউপ খ্রাপ ... চ্রম খ্রাপ ... আপনার বুলুগেরে ধইরা মাইনাচ ... এইসন বুলুগ আমি পড়ি না, এইসব সন্দর সন্দর জাগার ছবি আমি দেখি না ... খাইছে

যাযাব্যাক & এনামুল হক শিপু দুইজনারেই কইশ্যা শুভেচ্ছা ... ...

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

তারেক অণু এর ছবি

আরে পড়লেন একটু! ক্ষতি কি !

অরফিয়াস এর ছবি

এমন করলে হয় ?? আপনার লেখা দেখলে জীবনের মোহমায়া হাওয়া হইয়া যায় ....

লেখাতে "অছাম শালা".... গুরু গুরু

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারেক অণু এর ছবি

মায়া, সবই মায়া !

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

নরওয়ে, নীশিথ সূর্যের দেশ! আব্বা আর্কটিক সার্কলে গিয়েছিলো '৯৩-এ, জুন-জুলাইয়ের দিকে। কিন্তু তার ছবিতে খালি বরফ আর বরফ, গ্রীষ্মের এত রঙ তো নাই! একটা কনক্রিট ইগুলু ছিলো, সেটা একটা হোটেল স্ল্যাশ রেস্তোরা স্ল্যাশ গিফট শপ, উপরে বরফ জমে নিজেই কেমন বরফের সত্যিকারের ইগলু হয়ে গেছে! আর আব্বা গল্প করতো যে গায়ের রঙ আর চেহারা নিয়ে অনেক গবেষণা করছিলো স্থানীয়রা। তেমন একটা বাইরের মানুষ যায় না নাকি তখনো। তবে এখন মনে হয় যোগাযোগ ব্যবস্থা, রাস্তা, আর টুরিস্টদের জন্যে সুবিধা অনেক বেড়েছে? বেশ অনেক পর্যটক আর ক্যাম্পার তো মনে হলো আপনার ছবি দেখে, টুরিজমকে কেন্দ্র করে বেশ জমে উঠেছে সবকিছু! হাসি

এত নীল হয় গ্রীষ্মের আটলান্টিক! এমনটা কখনো দেখিনি! তাও আবার অমন ভাইকিংদের শীতের দেশে! একদম স্বচ্ছ আর কী শান্ত লাগছে!! নর্ড ক্যাপ-এর পাহাড় চুড়া থেকে নিচের উত্তাল সাগর, ঝুলন্ত ব্রিজ, ঝরণা, লেক সব ছবিই দারুণ! আর শেষের ফিনিশ সর্ষে ক্ষেতের ছবির পরে ফ্রস্ট!

এনামুল হক শিপু ভাইকে অনেক শুভেচ্ছা। আর আমি অভিভূত এমন সুন্দর পোস্ট উপহার পেয়ে। পড়তে আর দেখতে দুইটাই দুর্দান্তরকমের ভালো লেগেছে ভাইয়া। আমিও যেন আপনার মতন এত ঘোরাঘুরির সুযোগ পাই! আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

তারেক অণু এর ছবি

ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। নরওয়ের মত সুন্দর দেশে আমি ইউরোপে দুইটা দেখি নাই, একেবারে অবারিত বুনো সৌন্দর্য, মানুষ হিন্দি সিনেমা দেখে খালি সুইজারল্যান্ড সুইজারল্যান্ড বলে অজ্ঞান!
তবে ওদের ঐখানে টুরিস্টের ছড়াছড়ি, উত্তরে তো ১০টা গাড়ী দেখলে ৭ টায় হয় জার্মান নয় ডাচ।
আপনার বাবা কোন শহরে গিয়েছিলেন? এই পোস্টটা কিন্তু আপনার জন্যই ছিল, কিন্তু জন্মদিন চলে আশায় তাড়াহুড়ো করে পোস্ট হয়ে গেল ! আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আব্বা গিয়েছিলো Mo i Rana থেকে, আর্কটিক সার্কল ঠিক যেখানে শুরু হচ্ছে সেই জায়গাটা ছাড়িয়ে আর কিছুদূর, নর্ড ক্যাপ পর্যন্ত যায় নাই।

তখন বলতে ভুলে গেছি, ছবিতে সান্তার দুইপাশে অপু ভাই আর আপনাকে দেখে লাগছে সান্তা আপনাদেরই সাদা দাঁড়ি আর ভুঁড়িওয়ালা ভার্শন, চোখ-মুখের হাসি তিনজনের একই রকম! দেঁতো হাসি বলগা হরিণের ছবি দেখে আবারও মনে হলো সত্যিকারের বলগা হরিণ ছোটবেলার রুশীগল্পের হরিণের হাতে আআঁকা ছবির মতন অত সুন্দর নয়, সান্তার রেইনডিয়াররাও অনেক কিউট করে আঁকা হয়। সত্যিকারেরগুলো কেমন যেন পাগলা লটপটে ধরনের। হাসি আর জামাকাপড়বিহীন ট্রোলের প্রতিকৃতির গলায় শুধু নরওয়েজিয়ান ফ্ল্যাগের অনুরূপ টাই ঝুলছে! দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

তারেক অণু এর ছবি

বলগা হরিণের কিছু সিজন আছে, বিশেষ করে শীতে ফুলো ফুলো লোম গজিয়ে দারুণ কিউট হয়ে যায়, গ্রীষ্মে আবার সব খসে ন্যাড়া ন্যাড়া! সান্তা তো আমরা সবাই-ই!

সপ্তর্ষি এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু

তারেক অণু এর ছবি
বন্দনা কবীর এর ছবি

সবার আগে একটা প্রশ্ন,
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার আর তারেক অণু কি এক মানুষ?

আর পোস্ট? ভাইরে, কাহিল হয়ে গেলাম আপনাকে ঈর্ষা করতে করতে। ঈর্ষার স্টক ফুরিয়ে গেছে। আর তো পারিনা মন খারাপ

ছবিগুলো দেখিয়ে ধন্য করার জন্য ধইন্যা...

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

নারে ভাই! 'তারেক অণু' হইতে হলে এলেম লাগে! (কোলন দীর্ঘশ্বাস)
আমার খালি নামই 'যাযাবর' আর 'ব্যাকপ্যাকার', কাজেকর্মে তো 'কূয়োর ব্যাঙ' না হলেও 'কুনোব্যাঙ' অবশ্যই হয়ে গেছি মনে হয়! মন খারাপ

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

বন্দনা কবীর এর ছবি

আহা থাক দিদি, আর মন খারাপ করতে হবেনা। কুনো ব্যাং কি কূয়োর ব্যাঙ্গের নিশ্চই কাজ আছে ম্যালা। ওই ব্যাটা অণুর ত কোনো কাজ নেই খেয়ে দেয়ে টো টো করে বেড়ানো ছাড়া তাই ওটা ঘুরেই মরুক।
আমরা বরং মনের আশ মিটিয়ে ঘর সংসার করি। কি দরকার ছাতার যাযাবর অথবা ব্যাকপ্যাকার হওয়ার ? (আঙ্গুর ফল টক খাইছে )

ওহ,

শুভ জন্মদিন দিদি যা-যা-ব-র ব্যা-ক-প্যা-কা-র। দোওয়া করি আর জন্মে সত্যিকারের যাযাবর হন আর ব্যাগপ্যাক টানাটানি করেই জীবন কাটুক।
অনেক শুভেচ্ছা ।

তারেক অণু এর ছবি

প্রায় এক ! একই স্কুলে পড়তাম যে !

উজানগাঁ এর ছবি

আপনার পোস্টে মন্তব্য করতে ইচ্ছে করে না। সবকিছুরই একটা সীমা-পরিসীমা থাকা দরকার! চোখ টিপি

ছবিলেখা ভালো হয়েছে। চালিয়ে যান।

তারেক অণু এর ছবি

আরে না, যে মহাবিশ্বে আছি তাই আজ পর্যন্ত সসীম না অসীম জানতে পারলাম না, আর আপনে আছেন সীমা পরিসীমা নিয়ে ! আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

 ‍Shiplu এর ছবি

ভাই খালি বিদেশ নিয়া পোস্ট দেন। নিজের দেশটাও একটু ঘুইরা যান। এই দেশটাও ত অনেক সুন্দর ভাইজান।

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ ভাই। জীবনের অধিকাংশ সময় বাংলাদেশের আনাচে কানাচেই ঘুরেছি, কিন্তু তখন ক্যামেরা না থাকায় ছবি তোলা হয় নি, তবে দেশ নিয়ে পোস্ট দিব শীঘ্রই।

সাফি এর ছবি

দেক্লাম, তয় আর কিছু কমুনা। আর যাযাপুরে হ্যাপি বাড্ডে

তারেক অণু এর ছবি

আরে কন না ! না কইলে হইব !

 ‍Shiplu এর ছবি

অনুদা,আপনার লেখা পড়তে পড়তে অনুপ্রানিত হয়ে একটা ভ্রমন কাহিনী পোস্ট করে ফেললাম। (সবুজ নগরী সিলেট) কিন্তু ছবিগুলো প্যারায় প্যারায় দিতে পারলাম না? সংরক্ষণের পর সব একসাথে নীচে দেখাচ্ছে। কিভাবে প্রতি প্যারার নীচে দেওয়া যায়? উদ্ধার করেন ভাইজান। প্যারায় প্যারায় ছবি না হওয়ায় কাহিণী ঠিক ঝমছে না।

তারেক অণু এর ছবি

দাঁড়ান, পড়ি আগে। তবে প্রতি প্যারার ফাকে ছবির লিঙ্ক দিলেই কাজ হবার কথা।

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকারকে Birthday Banner

তারেক অণু এর ছবি
আশালতা এর ছবি

নীল নীল ছবি স্বপ্নের মত সুন্দর ঠেকল।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

তারেক অণু এর ছবি

আর সবুজগুলো? তবে শরতে কিন্তু আগুন ঝরানো রঙের মেলা--

শাব্দিক এর ছবি

কি আর বলব? নিজের জন্য দীর্ঘ শ্বাস!

তারেক অণু এর ছবি
উচ্ছলা এর ছবি

অণুর মত ইবলীশ জীবনেও দেখি নাই !

এইসব নীল-সবুজ স্বপ্নময় ফটোস্ দেখলে আমার মাথা ঠিক থাকে নাকি রে ইবলীশ?!

তারেক অণু এর ছবি

একটি গন্ধমের লাগিয়া, আল্লাহ্‌য় বানাইল দুনিয়া,
আদম খাইল আর হাওয়ায় খাইল
ইবলিস শয়তান তার আশা পুরাইল !
ইবলিস শয়তান তার আশা পুরাইল !

তিথীডোর এর ছবি

একেকটা পোস্টের কমেন্ট পড়তে পড়তে হো হো হো আছি...

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তারেক অণু এর ছবি
কল্যাণF এর ছবি

চরম চলুক

তারেক অণু এর ছবি

নাকি গরম !

কল্যাণF এর ছবি

হ, দুইটাই

তারেক অণু এর ছবি

শরম না তো !

কল্যাণF এর ছবি

আর নাই? দেঁতো হাসি

মুহিত হাসান এর ছবি

নরম দেঁতো হাসি

তারেক অণু এর ছবি

পরম শয়তানী হাসি

অলস ফানুস এর ছবি

"পার্থেননের মন্দিরে থেকে আফ্রিকার বুনো প্রান্তরে, উত্তর মেরুর যাত্রী, বাঁশিওয়ালার হ্যামিলন, নিশীথ সূর্যের দেশে, আল্পস্ শিখরে, হিমালয়ের অন্নপূর্ণায়, যাপাতার ম্যানগ্রোভ বনে,আক্রোপোলিসের চূড়োয়, পোপের দেশ ভ্যাটিকান সিটি, ওয়াটার লুর যুদ্ধক্ষেত্রে, ক্যারিবীয় সাগরতলে, অপরূপা স্টকহোম" দেখে চোখ দুটোতে অদ্ভুত তৃপ্তির চাহনি দিয়ে যাচ্ছেন। ভালো লাগার সাথে গরম অনুরোধ রইল- সুন্দরবন, বান্দরবান, সেন্টমার্টিন না হোক আমাদের স্বর্গ থেকে অন্তত শহুরে একটা কড়কড়ে দুপুর আপনার লেখায় চাই।

তারেক অণু এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ। সুনামগঞ্জের হাওড় নিয়ে একটা লিখেছি বটে, কিন্তু ছবি নাই ! দেখি--

khalid এর ছবি

আপনার পোস্টে মন্তব্য করতে ইচ্ছে করে না। জোসসসসসসসসসসসসসসসস। আললাহর ইছছাই আমিও আশবো। দোআ কোরবেন ভাই। শুভ কামনা আপনার জননো।

অর্ফিউস এর ছবি

সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশীও মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে!

সাবাশ এই না হলে দেশ।এমন দেশেই থেকে মজা!!!

বাংলাদেশের বেশিরভাগ শহরে প্রতিবেশীদের দুরত্ব মাত্র ৫ ফুট আর ঢাকায় তো ৫ ইঞ্চি পর পর মাশাল্লা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।