• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

অমর চলচ্চিত্র- ব্রাদারহুড অফ ওয়ার, থেগুগগি

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: বুধ, ৩০/১১/২০১১ - ৩:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

T-Brotherhood-of-War-2004-K-Movie

T-Brotherhood-of-War-2004-K-Movie

(সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ—এখানে প্রিয় কিছু চলচ্চিত্রের গল্প বলার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছি মাত্র, এটা কোন মুভি রিভিউ নয়, কারণ এমন চলচ্চিত্র নিয়ে রিভিউ লেখার জ্ঞান বা প্রজ্ঞা কোনটাই আমার নেই, এটি স্রেফ ধারা বিবরণী। কাজেই যাদের চলচ্চিত্রটি এখনো দেখা হয় নি, তারা আগে দেখে ফেললেই ভাল হয়, নতুবা সব ঘটনা জানলে হয়ত আগ্রহ কিছুটা কমে যাবে। এমন লেখার ব্যাপারে সকল ধরনের পরামর্শ স্বাগতম। লেখায় ব্যবহৃত আলোকচিত্রগুলো নেট থেকে সংগৃহীত )

১ম দৃশ্য-দক্ষিণ কোরিয়ার এক হারিয়ে যাওয়া বধ্যভূমি, ইতিহাসের প্রয়োজনে, রাষ্ট্রযন্ত্রের তাগিদে অতীতকে খুঁড়ে বাহির করার মহা তোড়জোড়। সন্ধানীরা কিছু আলাদা ধরনের স্মৃতি চিহ্ন পাবার পরে বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে, দৃশ্যপটে উদয় হন এক সৌম্য কান্তি বৃদ্ধ, যুগের পর যুগ মাটি চাপা পড়ে থাকা এক কঙ্কালের হাতের মুঠোয় ধরে রাখা জ্বরাক্রান্ত বিবর্ণ এক কলম পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন, খানিক পরেই বলতে শুরু করেন তার কাহিনী-

১৯৫০ এর সিউল, শান্ত সকালের দেশ কোরিয়ার প্রধান শহরে জনস্রোতে মিশে এক তরুণ মুচি, জিন-তাই লি, হাঁক দিয়ে জানতে চাচ্ছে কার জুতো পালিস করতে হবে, এর পরপরই তার স্কুল পড়ুয়া ছোট ভাই জিন-শিয়ক লির সাথে দেখা, প্রাণখুলে খুনসুটিতে মেতে উঠে দুই ভাই, বড় ভাইয়ের নুডলস বিক্রির ব্যবসা থাকলেও মুচির কাজ সে করে যাচ্ছে কেবলমাত্র ছোট ভাইকে বিশ্ব-বিদ্যালয়ে পাঠাবার জন্য অর্থ জোগাড়ের জন্য। তার বুক পকেটে গুজে দেয় রক্ত জল করা অর্থ দিয়ে কেনা অভিজাত এক রূপোলী কলম, বলে বেশ মানিয়েছে ভাইকে আমার!

রাতে পারিবারিক আহারে এক সাথে হয় লি পরিবার, নুডলসের দোকানে মা ছাড়াও কাজ করে বড় ভাইয়ের বাগদত্তা। এমন ক্লায়কেশে চলা সংগ্রামী জীবনে ছোবল দিল রাষ্ট্রনায়কদের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধ, ঘটনা চক্রে দুই ভাইকেই জোর করে ভর্তি করা হল একই সেনা প্লাটুনে। শুরু হল উত্তর কোরিয়া- দক্ষিন কোরিয়ায় প্রাণক্ষয়ী যুদ্ধ, কদিন আগের বন্ধু পরিণত হল চিরশত্রুতে, যে বিষ ছড়িয়ে পড়ল সাধারণ নাগরিকদের মাঝেও।

সেনাজীবনের প্রথম মুহূর্ত থেকেই বড় ভাইয়ের ধ্যান-জ্ঞান হয়ে দাড়ায় ছোটকে নিরাপদে বাড়ী ফেরত পাঠানো, সে জানতে পারে সম্মুখ যুদ্ধে বিশেষ কৃতিত্ব দেখালে এক বিশেষ সন্মানজনক পদক পাওয়া যায়, সেই পদক পেলে ফ্রন্ট থেকে বাড়ী ফেরার অনুমতি থাকে, কিন্তু সে পদক অর্জনের পথ বড় দুরূহ। তার জন্য একের পর এক ঝুঁকিপূর্ণ যুদ্ধাভিযানে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যোগদান করতে থাকে সে, সকল যোদ্ধা যেখানে পিছিয়ে যায়, রক্তের গন্ধ পাওয়া ব্লাড হাউন্ডের মত এগিয়ে যায় সে বিপুল বিক্রমে, প্রানের মহা ঝুকি নিয়ে খতম করে শত্রুদের, মনের কোণে আশা- একবার সেই পদক পেলেই হয়, সাথে সাথে ছোট ভাইকে ফেরত যাবে এই বিভীষিকাময় রণাঙ্গন থেকে শান্তির নীড় সিউলে।

কিন্তু ছোট ভাই জানতে পারে না এর কিছুই, তার অবাক হবার পালা সাধাসিধে বড় ভাইয়ের এতটা দুর্দম হওয়া, এতটা বদলে যাওয়া দেখে। একপর্যায়ে এক উপরয়ালার কাছে থেকে মূল ঘটনা জানতে পারে সে, বুঝতে পারে কেন তাকে প্রতিটি অভিযানেই ব্যারাকে রেখে যাওয়া হয়, অথচ বড় ভাই থাকে সম্মুখ সমরে। চোখের জলে বড় ভাইয়ের কাছ থেকে প্রতিজ্ঞা করিয়ে নেয় সে, দুই ভাই এক সাথেই বাড়ী ফিরে যাবে, স্বার্থপরের মত একা সে যাবে না কিছুতেই।

চলতেই থাকে যুদ্ধ নামের উম্মাদনা, মানুষের পাশবিক প্রবণতার জয়জয়কার সবখানেই, সুকোমল অনুভূতিগুলো গুমরে মরতে থাকে মনের গহনে, বাহিরের বিশ্ব যে ভয়ংকর কদাকাররূপে আবির্ভূত তখন। এক আক্রমণে উত্তর কোরিয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ ক্যাপ্টেনকে নিজ বীরত্বে জ্যান্ত আটক করতে সক্ষম হয় বড় ভাই, পদক মিলে তার বিনিময়ে। কিন্তু একই যুদ্ধে নিহত সহকর্মীর শেষ আর্তনাদ ভরিয়ে তোলে ছোট ভাইয়ের হৃদয়, এই পাগলামি আর খুনোখুনিতে বিষিয়ে ওঠে তার তরুণ মন, সৈনিক আর রাষ্ট্র যন্ত্রের উপরে।

এমন এক খণ্ড যুদ্ধে তাদের হাতে আটক হয় সিউলে এক সময়ে কর্মরত মুচি, যে ছিল তাদের দুইজনেরই শীর্ষস্থানীয় বন্ধু। জানায় সে, যুদ্ধে না আসলে তাদের খুন করার হুমকি দিয়েছিল উত্তর কোরিয়ার জান্তা, প্রাণের টানেই তারা এসেছে ফ্রন্টে , কোন বিপ্লব সফলের জন্য বা মাতৃভূমি রক্ষার যুদ্ধে নয়। কিন্তু যুদ্ধে অপরপক্ষে থাকলে যে পূর্বপরিচয়ের কোন দাম নেয়, তাই তো দলনেতা বড় ভাইসহ প্রতিটি সৈন্য চায় উত্তরের কম্যুনিস্ট লোকদের নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে, কথা কাটাকটি হয় দুই ভাইয়ের, জন্ম নেয় যুদ্ধ ও মানবতা নিয়ে অসাধারণ কিছু সংলাপের। দ্ব্যর্থ কণ্ঠে ছোটজন জানায়, এই যুদ্ধক্ষেত্রের প্রায় সব সৈন্যই এসেছে দায়ে পড়ে যুদ্ধ করতে, বড় বড় নেতাদের ক্ষমতার লোভের বলি তারা সবাই, এমন অমানুষিক আচরণ করলে তারা উত্তর কোরিয়ানদের চেয়ে কোন অংশে ভাল হল! তারা যদি খারাপ হয়, আমাদের কেন তাদের মত হতে হবে! এমন তীক্ষ তীক্ষ যুক্তি দেখিয়ে সে উদ্ধার

করে পুরনো বন্ধূকে সাক্ষাৎ মৃত্যু থেকে, সেই সাথে বড় ভাইয়ের এমন রক্তপিপাসু, প্রতিশোধপরায়ণ আচরণে সে হয় গভীর ভাবে দগ্ধ।

নানা যুদ্ধে কৃতিত্ব দেখিয়ে পদান্নতি ঘটে বড় ভাইয়ের, সার্জেন্ট পদে অভিষিক্ত হয় সে। কিছু দিনের জন্য দুই ভাই বাড়ী আসে আলাদা আলাদা ভাবে, কিন্তু সিউলে তখন চলছে অন্য নাটক। কম্যুনিস্টদের সাথে যে কোন ধরনের যোগাযোগের অপরাধে নির্বিচারে গ্রেফতার ও হত্যা করা হতে থাকে অগণিত মানুষ, তার স্বীকার বড় ভাইয়ের বাকদত্তা ইয়ং- শিন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ কম্যুনিস্ট পার্টিতে যোগদানের, তরুণী জানায় কেবল মাত্র ক্ষুধা মেটাতে এই কাজ করেছিল তারা, দক্ষিণ কোরিয়ান সরকার যুদ্ধ চালাতে এতটাই ব্যস্ত যে সাধারন নাগরিকদের অনাহারে মরার দশা হয়েছিল প্রায়।

ঘটনাচক্রে দুই ভাই-ই উপস্থিত হয় তাকে উদ্ধার করতে, তার সামনে অ্যান্টি-কম্যুনিস্ট দলের পাণ্ডারা বলে এই মহিলার সাথে প্রতিটি উত্তর কোরিয়ান সেনা অফিসারের অবৈধ সম্পর্ক ছিল, এই মিথ্যে কালিমা লেপনের কথা চালাচালির সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় ইয়ং-শিন, দুই ভাইকেই রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা দানের অভিযোগে আটক করা হয়, পদকপ্রাপ্ত বীর সেনা হলেও যে শৃঙ্খলাভঙ্গের কোন স্থান নেয় এই অদ্ভুত রাষ্ট্রে।

মুহূর্তের জন্য হলেও বাকদত্তাকে অবিশ্বাস করায় তার মৃত্যুর জন্য বড় ভাইকে সরাসরি দায়ী করে ছোটজন, আলাদা আলাদা কক্ষে বন্দী রাখা হয় তাদের অন্যান্যদের সাথে। এই সময় আক্রমণ করে অপরপক্ষ, ( কোরিয়া যুদ্ধ ক্রমশ আন্তর্জাতিক রূপ নিচ্ছিল, আমেরিকা এক পক্ষে সেনা পাঠায়, তো চীন অন্য পক্ষে)। পুড়িয়ে দেয় তারা বন্ধি শিবির। বড় ভাই যখন উদ্ধারকাজে উপস্থিত হয় ততক্ষণে সেখানে কেবল পুড়ে যাওয়া বীভৎস মৃতদেহের স্তূপ, ঘরের মেঝেতে তার চোখে পড়ে সেই স্মৃতিময় রূপোলী কলম, তার মানে আদরের ছোট ভাইটি আর বেঁচে নেয়, এতটা কষ্টের সবই বৃথা! বিফল মনোরথে কলমটি সাথী করে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যায় সে।

কিন্তু ঘটনা ছিল অন্য, আগুন লাগবার সাথেই সাথেই কিছু বন্ধীকে উদ্ধার করে হাঁসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যে দলে ছিল আমাদের ছোট লি। কিন্তু ভাইয়ের উপর বিষিয়ে আছে তার অন্তর, এমন সময়ে এক পূর্বপরিচিত তার হাতে তুলে দেয় মা কে লেখা বড় ভাইয়ের চিঠি, যেখানে ছত্রে ছত্রে আছে ছোট ভাইয়ের প্রতি তার নিঃস্বার্থ ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ। মন আদ্র হয়ে আসে তার, মনে পড়ে কত দিন বড় ভাই নিজে না খেয়ে তাকে খাইয়েছে, একদিন মানুষের মত মানুষ হবে, বিশ্ব-বিদ্যালয়ে পড়বে এই আশায়। সেই নিরীহ মানুষটি আজ যুদ্ধের চাপে পড়ে কতটা বিপর্যস্ত।

এই সময় কিছু দক্ষিণ কোরিয়ান মিলিটারি অফিসারের সাথে ইন্টারোগেশন চলে তার, জানতে পারে বড় ভাই বেঁচে আছেন, কিন্তু সে এখন উত্তর কোরিয়ান কম্যুনিস্ট বাহিনীর এক নামি কমান্ডার! সেনা কর্মকর্তারা জানতে চাই, কিসের আশায় সেই লোক কম্যুনিস্টদের সাথে যোগ দিল। ছোট ভাই সোজা সাপটা বলে- আমার ভাই এক জুতো পালিস করা মুচি, অতি সাধারণ মনের মানুষ, তার পক্ষে কম্যুনিস্ট কে আর ক্যাপিটালিস্টকে এই কথা কোন অর্থই প্রকাশ করে না, সে স্রেফ অবস্থার শিকার, তার কাছে সবাই-ই সমান। ভাইয়ের খোজ পেয়েই স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সে সেনাদলে যোগ দেয়, রওনা দেয় আবার ফ্রন্টে।

ভাইয়ের খোঁজে শত্রুশিবিরে এসে ঢোকে সে, কমান্ডারের ভাই বলে পরিচয় দিয়ে তার সাথে দেখা করতে চায়, কিন্তু ফোনের অপর প্রান্তে বড় ভাই জানায়, তার কেবল একটি ভাই ছিল , যে মারা গিয়েছে! এরপর ভয়াবহ সম্মুখ যুদ্ধে মুখোমুখি হয় তারা, ক্রোধোমত্ত বড় ভাই চিনতে না পেরে মরণপণ লড়াইয়ে মেতে ওঠে আপন ভাইয়ের সাথেই। অবশেষে কর্দমাক্ত রক্তাক্ত অবস্থায় দুই ভাইয়ের মিলন ঘটে, আনন্দের অশ্রু লেপটে যায় গালের কাদার সাথে, বড় ভাই সেই স্মৃতি বিজড়িত কলম বের করে দেখায়, দিতে চায় ছোটকে, বলে বিশেষ কিছু কাজ সেরে শে রওনা হবে সিউলের পথে, অগত্যা রাজি হয় ছোট, কিন্তু কলমটি নেয় না সে, দাবী করে নিরাপদে বাড়ী ফিরে তার হাতে তুলে দিতে হবে এই স্মারক। প্রতিজ্ঞা করে বড় ভাই।

চলচ্চিত্রের শেষ দৃশ্য, সেই ক্ষয়ে যাওয়া কলম হাতে বিলাপ করে চলেছেন বৃদ্ধ, তুমি তো প্রতিজ্ঞা রাখলে না ভাই, ফিরে আসলে না আর কোন দিনই !!

জে-গু ক্যাং এর পরিচালনায় ২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া কোরিয়ান ভাষার এই চলচ্চিত্রকে বলা হয় কলঙ্কময় যুদ্ধ ও মানবতার এক অনন্য দলিল, বিশেষ করে মানুষের দ্বৈতসত্ত্বা ও সেনা জীবনের বীভৎস দিক এখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে চরম বাস্তবতার সাথে। দুই ভাইয়ের মাধ্যমেই তুলে আনা হয়েছে নানা জাতি গোষ্ঠীর অতি অপ্রয়োজনীয় যুদ্ধের কথা, যার ভয়াবহতা পাকাপাকি ভাবেই স্থান করে নেয় মানব মনে।


মন্তব্য

উচ্ছলা এর ছবি

চলচ্চিত্রের শেষ দৃশ্য, সেই ক্ষয়ে যাওয়া কলম হাতে বিলাপ করে চলেছেন বৃদ্ধ, তুমি তো প্রতিজ্ঞা রাখলে না ভাই, ফিরে আসলে না আর কোন দিনই !!

চোখের সামনে যেন দেখতে পেলাম দৃশ্যটা (Y)

তারেক অণু এর ছবি

সাব-টাইটেল সহ দেখে ফেল, চোখের জল আটকানো মুস্কিল।

চিলতে রোদ এর ছবি

আসলেই... এই সিনেমা দেখে চোখের জল আটকানো মুশকিল। সে যত শক্ত মনের মানুষই হোক না কেন... :(

তারেক অণু এর ছবি

আসলেই

তারাপ কোয়াস এর ছবি

রেটিং ৮.১!! দেখতেই হবে। তবে আপনার সর্তকবাণী ফলো করে মূল পোষ্ট চলচিত্রটি দেখার পর পড়বো বলে বুকমার্ক দিয়ে রাখলাম। তবে ধন্যবাদটি আগেই দিয়ে রাখি।

অট: একটা ওয়ার মুভির কাহিনী মনে পড়ছে কিন্তু নাম ভুলে গেছি। যদি আপনার বা কারো জানা থাকে তবে তা জানালে বাধিত হবো। কাহিনী এরকম: ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্র পক্ষের এক তরুণ সৈনিক তার মার সাথে দেখা করতে যায়। পরো সিনামাটি তার সেই যাত্রার বিবরণ। অনেক কাঠখড় পুরিয়ে যখন তার মার সাথে দেখা করতে পারে ঠিক তখনই আবার যুদ্ধক্ষেত্রের উদ্দেশ্যে রওনা হতে হয়।


love the life you live. live the life you love.

আমি শিপলু এর ছবি

তারাপ কোয়াস ভই, আমার যতদূর মনে পরে নামটা হল “বালাড অফ এ সোলজার”

পাঠক! এর ছবি
তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই দেখে ফেলুন। সেই সিনেমাটি গ্রেগরি চুখারয়ের ব্যালাড অফ এ সোলজার, এইটার আলোচনা দিয়েই সচলে চলচ্চিত্র নিয়ে লেখা শুরু করেছিলাম। নিচে লিঙ্ক আছে--

দ্রোহী এর ছবি

ধুর্মিয়া!

সবকিছু বলে দিলে ক্যামনে কী! :S

তারেক অণু এর ছবি

সিনেমাটা দেখলে বুঝবেন ভাই, যে আসলে কিছুই বলতে পারি নাই।

রিফাত ফারজানা (অতিথি লেখক) এর ছবি

পোস্ট টা অসাধারন হয়েছে। কোরিয়ান ভাষা নিয়ে ৮/৯ বছরের পড়াশোনা আমার কিন্তু এই মুভিটা দেখা হয়নি। এবার আশাকরি দেশে ফেলব। মুভির নামটা একটু ঠিক করে দেন। "তাইগুকগি" না হয়ে এর উচ্চারন হবে "থেগুগগি"।

তারেক অণু এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। আপনি কিছু ভাল কোরিয়ান সিনেমার নাম জানাতে পারেন , বিশেষ করে লোকগাথা নিয়ে।

রাসেল আশরাফ এর ছবি

ফাটাফাটি একটা সিনেমা।

তারেক অণু এর ছবি

জবের!

নুভান এর ছবি

থেগুকগি হোয়ানালরিমেয় , আমেরিকান সৈন্যদের গুণগান বিবর্জিত এক অসাধারন চলচ্চিত্র। আরেকটি যুদ্ধের চলচ্চিত্র ভালো লেগেছিলো, চৈনিক, "সিটি অফ লাইফ এন্ড ডেথঃ নানজিং! নানজিং!"।

তারেক অণু এর ছবি

ঐটা দেখা হয় নাই, সুযোগ পেলেই দেখব, অনেক ধন্যবাদ।

মোজাম্মেল হোসেন ত্বোহা এর ছবি

এই মুভিটা আমার খুবই প্রিয়।

যুদ্ধের বাস্তবতাকে নিঁখুতভাবে ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে এটা সেভিং রায়্যানের প্রায় কাছাকাছি সফল। সেই সাথে এতে যুক্ত হয়েছে মানবিক সম্পর্কের দিকগুলো, যা রায়্যানে অনুপস্থিত।

আগে এই মুভিগুলো দেখে মুগ্ধ হয়েছি ঠিকই, কিন্তু লিবিয়া যুদ্ধের বিশেষ করে মাসব্যাপী সংঘটিত হওয়া সিরত যুদ্ধের সম্পূর্ণ ভয়াবহতা নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করার পর বুঝতে পারছি এই পরিচালকরা কত অসাধারণ কাজ করে গেছেন।

সিরত, লিবিয়া থেকে মোজাম্মেল হোসেন ত্বোহা

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ আপনের মন্তব্যের জন্য। এখনো কি লিবিয়াতে আছেন? ওখানকার অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু লিখুন আমাদের জন্য।

চিলতে রোদ এর ছবি

বস্‌... ^:)^

এমন আরেকটি হৃদয়স্পর্শী চলচ্চিত্র 'লেটার্স ফ্রম আইওজিমা'... দেখেছেন নিশ্চই...? :)

তারেক অণু এর ছবি

দেখেছি, ওটার অন্তত ২টা ভার্সন আছে, জন ওয়েনের ক্ল্যাসিক আর ক্লিন্ট ইস্টউডের পরিচালনায় নতুনটা।

তৃষা এর ছবি

(Y) দারুণ!! দেখতে চাই সিনেমাটি।

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই!

কল্যাণF এর ছবি

ভাইরে, তুমি পড় কখন, কাজে যাও কখন আর ঘুমাও কখন :O ?

লেখা ভালু চলুক (Y)

তারেক অণু এর ছবি

হয়ে যায়! সময়ের অভাব রে দাদা, জীবন এত দ্রুত চলে !

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।