বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রামের নাম মনে হয় ভিঞ্চি। আসলে শুধু গ্রাম কেন, বরং সবচেয়ে বিখ্যাত জনপদের নামই ভিঞ্চি। বিশ্বের আনাচে কানাচে এমন কোন মানুষ আছে ইতালির তুসকানি অঞ্চলের এই একরত্তি গ্রামের নাম জানেন না! কিন্তু এই গোলাপ সুবাসের মত চতুর্দিকে ছড়িয়ে সুনামের পিছনে কিন্তু পাহাড়ের মাথায় অবস্থিত সবুজ বনানী পরিবৃত আর পাখির কূজনে ভরা অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অধিকারিণী গ্রামটির চেয়ে ট্রিলিয়ন গুণ বেশী কৃতিত্বের অধিকারী মধ্যযুগে এখানে জন্ম নেওয়া এক ব্যক্তির, যার নাম লিওনার্দো, কিন্তু বিশ্ব তাকে চেনে ভিঞ্চি গ্রামের লিওনার্দো বা লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি নামে।
সেই স্মৃতিকাতরতার ধূসর কুয়াশায় মোড়া রঙ ঝলমলে স্কুল জীবনের টুলবেঞ্চির দিনগুলোতে খসখসে পাঠ্য বইয়ের পাতায় জেনে ছিলাম চির সূর্যের দেশের ইতালির সোনালী আলোর প্রতিভূ উজ্জল কমলা বন আর জলপাই কুঞ্জ ঘেরা গ্রামাঞ্চলের কথা, কৈশোরের উম্মাতাল দিনগুলোতে সেই মাতাল করা টাটকা ফলের গন্ধ ভরা দমকা বাতাস সাত সমুদ্দুর পাড়ি দিয়ে সোজা এসে সর্বদাই হানা দিত মনের দরজায়,
ভাবতাম এমন গ্রামে বেড়ে ওঠে শিশু বালকটির কথা, যার নাম ছিল লিওনার্দো। যিনি সমস্ত কিছু লিখতেন উলটো করে যাতে কেবলমাত্র আয়নায় পড়া যায়, যিনি সরীসৃপ, কীটপতঙ্গের বাস্তব মডেল থেকে কল্পনার মিশেল দিয়ে ভয়াবহ এক তেজসৃপ ( ড্রাগন, বাংলাটি হিমুদার পেটেন্টকৃত) ভাস্কর্য গড়ে চমকে দিয়েছিলেন বাবাকে। স্কুলের পাঠ্য বইয়ে এমন নানা সত্য ও কল্পনার মিশেল দেয়া কাহিনী ছিল লিওনার্দোকে নিয়ে, আর তার মূল পরিচয় দেয়া ছিল বিশ্ব সেরা একজন চিত্রকর হিসেবে, যার সর্বোৎকৃষ্ট সৃষ্টি মোনালিসা নামের এক চিত্রকর্ম যেখানে এক নারী রহস্যময় মুচকি হাসি দিয়ে তাকিয়ে আছে সারা বিশ্বের দিকে।
বছর গড়ানোর সাথে সাথে অভিভূত হতে থাকলাম লিওনার্দোর একের পর এক পরিচয় পেয়ে, কি ছিলেন বলার চেয়ে বলা চলে কি ছিলেন না তিনি! বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী, চিত্রকর, ভাস্কর, সঙ্গীতজ্ঞ, স্থপতি, গণিতবিদ, যন্ত্র প্রকৌশলী, উদ্ভিদবিদ, প্রাণীবিদ, ভূতাত্ত্বিক, মানবদেহের শল্যবিদ, ম্যাপ আঁকিয়ে, লেখক , নদীর গতি শাসন প্রকৌশলী, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবক।
সেই সাথে আরও অনেক জানা-অজানা বিষয়ের পথিকৃৎ পণ্ডিত। মাতৃগর্ভে শিশুর অবস্থানকালীন অবস্থা থেকে শুরু করে জলের নিচে ডুবুরীর শ্বাসযন্ত্র, উড্ডয়নে সক্ষম যন্ত্র এগুলো নিয়ে কাজ করেছিলেন তিনি । তার আঁকা নকশাঁয় পাওয়া গেছে পৃথিবীর প্রথম হেলিকপ্টার , ট্যাঙ্ক, মেশিনগান ইত্যাদির ধারণা! এই অতিমানবিক জীবন নিয়ে বিবিসির তিন খণ্ডের তথ্যচিত্রের শেষে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ভিঞ্চি গ্রামের লিওনার্দোই আমাদের জানা মতে বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বুদ্ধিমান মানুষ, সর্বশ্রেষ্ঠ উদ্ভাবক।
তাই মনের মধ্যে সর্বদাই আঁকুপাঁকু করত এই মানুষটির জন্মস্থান, তার শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত স্থান দেখতে, তার সৃষ্টি দেখতে। যখনই সুযোগ মিলেছে, দেখে ধন্য হয়েছি তার অমর চিত্রকর্ম, যন্ত্রের নকশা। ইতালির যখনই যাওয়া হয়েছে, মনে পড়েছে ভিঞ্চি নামের পাহাড়চূড়োয় অবস্থিত গ্রামটি এই দেশেই! একটু ঘুরপথে গেলেই সেখানে যাবার অপার আনন্দ লাভ করা সম্ভব। একে একে মিলান, রোম, ভেনিস, ভ্যাটিকান এমনকি ফ্লোরেন্স দেখা হয়ে যায় কাল পরিক্রমায় কিন্তু ভিঞ্চি থেকেই যায় ধরা ছোঁয়ার বাহিরে! তাই পণ করেই ইতালি গমন হল গত সপ্তাহে , লিওনার্দোর জন্মস্থানটি দেখতেই হবে এ যাত্রা!
শিল্প এবং শিল্পীর নগরী ফ্লোরেন্স থেকে ভিঞ্চি গ্রাম মাত্র ৪২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হলেও সেই রাস্তা টুসকানির আর দশটা গ্রাম্য রাস্তার মতই ঘোরালো প্যাঁচালো, সেই সর্পিল রাস্তার বাঁক-উপবাঁক-তস্যবাঁক পেরিয়ে যেতেই বেলা গড়িয়ে যাবে অনেকখানি।
তার ওপর ৫ ডিসেম্বর ২০১১, সোমবার ভোর থেকেই তুসকানির আকাশ ম্লান হয়ে আছে ধূসর রঙা মেঘে, থেকে থেকেই সেই কপোলের জল ঝরে পড়ছে মর্ত্যবাসীদের উপর, সেই অবস্থাতেই পাহাড়ি রাস্তা ধরে এগোনো হল রেন্ট এ কার থেকে ভাড়ার গাড়ী নিয়ে। পথে নেমেই পড়া গেল মহা মুশকিলে, ভুলেই গেছি গাড়ী চালাচ্ছি ইতালিতে, অন্য কোন দেশে নয়, এখানকার স্থানীয়রা ভুলেও রাস্তা বা লেন বদলের সময় কোন রকম সিগন্যাল ব্যবহার করে না! ইচ্ছা হল তো গেল আরেক দিকে এমন আর কি, রাস্তায় যে অন্য লোক আছে, দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, এমন কোন দুর্ভাবনাই ভ্রূক্ষেপই নেই! এদের সাথেই পাল্লা দিয়ে যেতে হবে স্বপ্নগ্রামে। যাদের আন্ডার দ্য তুসকান সান চলচ্চিত্রটি দেখা আছে তারা খুব ভাল করেই জানেন কি ভয়াবহ সুন্দর আর বিপদজনক সেই সরু পাহাড়ি রাস্তাগুলি আর সেখানে দ্রুত বেগে গাড়ী চালানো!
এক ক্ষুদে গ্রামে কফিবিরতিতে নামতেই দেখা গেল ভিঞ্চির নামের মাহাত্ন্য, গোটা এলাকা বা কমিউনের নামই ভিঞ্চি, আর কফির কাপে খোদাই করা তার সুযোগ্য সন্তানের মুখ!
টুসকানির পথে প্রান্তরে এখন শরতের রঙ বদলের ঝলমলে ছোঁয়া। পথের শোভার দিকে দৃষ্টিপাত না করে স্টিয়ারিং এক মনে ঘুরানো মহা মুশকিল, এর ফাঁকেই ঘণ্টা খানেক পরে চোখে আসল সবচেয়ে বিখ্যাত জনপদটির চিহ্ন। ইস, কত দিন স্বপ্ন দেখেছি ভিঞ্চি গ্রামে আসব বলে, ঘুরে বেড়াব লিওনার্দোর স্মৃতিচিহ্ন মাখা সবুজ পথে, আজ স্বপ্ন বাস্তব, আজ বড় খুশীর দিন।
আকাশ তার অনেক দিনের জমানো বেদনা যেন মাটিকে দিয়ে হালকা হচ্ছে ঝর ঝর মুখর জলধারার মাধ্যমে, এমন সময় পৌছালাম লিওনার্দো জাদুঘরের সামনে, চারিদিকে তাকানোর ফুরসৎ নেই বরুণ দেবের গুনাগুনতিহীন সুক্ষ বর্শার আক্রমণের মুখে, পিচ্ছিল সিঁড়ি বেয়ে, পা না হড়কে এক দমে তেতলায় জাদুঘরের মূল ফটকে সেধিয়ে তবেই খানিকতে স্বস্তি।
যদিও সেই স্বস্তি খানিক পরেই মহা বিরক্তিতে পরিণত হল, জাদুঘরে শিল্পীর কোন চিত্রকর্ম থাকবে এমন বোকাটে আশা করি নি, ঘুণাক্ষরেও ভাবিনি মানব বিশ্বের সবচেয়ে দুর্মূল্য রোজনামচার (নোট বুক) খানদুয়েক আসল পাতা বা ড্রয়িং এখানে উপস্থিত থাকতে পারে, কিন্তু এও ভাবিনি সেখানে থাকবে কেবল তার নকশাকৃত যন্ত্রের কিছু ক্ষুদে মডেল আর অল্প কিছু ভিডিওচিত্র, আবার বড় বড় করে লেখা ছবি তোলা নিষেধ!
তবে সেখানের তত্ত্বাবধায়কের কাছে জানা গেল লিওনার্দো জাদুঘরের দুটি অংশ, অন্যটি অদূরেই এক সুউচ্চ টাওয়ারের মাথায়, সেখানের সংগ্রহ অনেক বেশী সমৃদ্ধ। ততক্ষণে টুসকানির বিখ্যাত সূর্য তার আবছা অস্তিত্ব জানান দিয়েছে মেঘদলের পিছন থেকে, টাওয়ারে যাবার পথে এক ছড়ানো পাথুরে চাতালে তাই বেশ উপভোগ করা গেল ভিঞ্চির নিসর্গ-
সারি সারি উপত্যকা, প্রতি পাহাড়ের মাথায় জনবসতি, কিছু কিছু স্থাপনা এতই অপার্থিব নির্জনতায় মোড়া, কল্পলোকের প্রেক্ষাপট বলে ভ্রম হয়।
টাওয়ারের মাথা থেকেও মিলল মনমাতানো স্নিগ্ধ কিছু দৃশ্যকে মনের পর্দায় বন্দী করার সুবর্ণ সুযোগ, সেই সাথে ক্যামেরার ফ্রেমেও।
জাদুঘরের এই অংশ আসলেই অনেক গোছানো, লিওনার্দোর বিখ্যাত এক ধাতব আবক্ষ ভাস্কর্য, যার ছবি দেখে এসেছি নানা বইতে, তার নোটবুকের পাতার অনুলিপি, সেই সাথে সেখানে উল্লেখিত যন্ত্রের প্রতিলিপি। সবচেয়ে ভাল লাগল তার নকশাকৃত উড্ডয়ন যন্ত্রের মডেল দেখে, যেখানে একজন মানুষ হাতে ডানা বেঁধে, পা দিয়ে অবিরাম প্রপেলার জাতীয় কিছু ঘুরিয়ে উড়তে পারলেও পারে! ওড়া নিয়ে সারা জীবন অবিরাম গবেষণা ও নেশায় মেতে ছিলেন বিজ্ঞানী, এমনটাও জানা যায়, তার জীবনের প্রথম স্মৃতিটুকুই ছিল, দোলনায় শুয়ে শিশু লিওনার্দো, আর একটি বাজ বা চিল জাতীয় পাখি দোলনার ওপর ক্রমাগত পাখা ঝাপটে উড়ছে, এক পর্যায়ে শিশু মুখে পাখির লেজের লম্বা পালকের ছোঁয়া লাগে ( যদিও ফ্রয়েডীয় মতে একে তার মাতৃদুগ্ধ পানের প্রথম সুখস্মৃতি বা মায়ের প্রতি তীব্র আকাঙ্খার কথা বলা হয়েছে)। পরিণত বয়সেও প্রায়ই বাজার থেকে বন্দী কবুতর কিনে ছেড়ে দিতেন উদার উম্মুক্ত আকাশে, অবলোকনে মেতে থাকতেন তাদের উড়াল, নোটবুকের পাতার পর পাতা ভরিয়ে তুলতেন পাখির উড়ন্ত অবস্থায় গতিবিদ্যা নিয়ে। প্রশ্ন হচ্ছে, লিওনার্দো আবিষ্কৃত যন্ত্রে কি উড়তে সক্ষম হয়ে ছিল কেউ? উত্তর এখনো জানা নেই, কিন্তু চলছে ব্যপক গবেষণা, আর তার ফলে বেরিয়ে আসছে সুদূর অতীতের ধুম্রজাল ছিঁড়ে একের পর এক চমকপ্রদ তথ্য, এও জানা যাচ্ছে এক ভোজসভায় লিওনার্দো হাজির করেছিলেন তার নতুন আবিস্কার এক যন্ত্রমানব, যে নিজে থেকেই কিছু নড়াচড়া করতে সক্ষম ছিল, তার মানে কি আমরা বিশ্বের প্রথম রোবটের কথা বলছি?
সেই সাথে দারুণ লাগল তার আবিষ্কৃত পৃথিবীর প্রথম কৃত্রিম ডুবুরীর শ্বাসযন্ত্রের মডেল দেখে, ভেনিসে অবস্থানরত সময়ে একজন সমরযন্ত্রবিদ হিসেবে এই অসাধ্য সাধন করেছিলেন তিনি। নাসার বিশালকায় স্পেসষ্টেশনগুলোতে একাধিক বার ব্যবহার করা হয়েছে তার ধারণা ও নকশা, ভেবে থই পাচ্ছি না কেবল যদি সেই সময়ে জ্বালানী তেলের ব্যবহার থাকত, তাহলে উনি কি কি আবিস্কার করতেন!!!
বৃষ্টির অত্যাচার খানিকতে কমে আসায় ভিঞ্চির পথে ঘটে ঘুরঘুর করলাম খানিকক্ষণ, নগর কেন্দ্রে দেখা মিলল এক দারুণ তেজোদীপ্ত পেশল ঘোড়ার ভাস্কর্যের সাথে, ধারণা করা হয় মিলানে অবস্থানের সময় বিশাল একটি ধাতব ঘোড়ার ভাস্কর্য করার নকশা করেছিলেন সেই ভাস্কর, কিছু যুদ্ধের ডামাডোলে সেই স্বপ্ন আর বাস্তব হয় নি, কিন্তু গড়ে ছিলেন কাদার তৈরি প্রতিরূপ। এটি তারই এক ক্ষুদে প্রতিলিপি।
জানা গেল এখানের কোন বাড়িটি মালিক ছিল তার জমিদার পিতার বনেদি পুত্র (তার সৎ ভাই, লিওনার্দো মা ছিলেন কিষাণকন্যা, জমিদারের সাথে প্রণয়ের ফলে কোন সামাজিক সম্পর্ক ছাড়াই ভূমিষ্ঠ হন তিনি), কোন এলাকা তার পারিবারিক সম্পত্তি এমন সব হেজিপেজি ব্যাপার।
তাই গ্রাম বা মফস্বল দর্শন সেরে (আসলে গত পাঁচশ বছরে ভিঞ্চির এমন কোন পরিবর্তন ঘটেনি রাস্তায় গাড়ী আর ট্র্যাফিক লাইটের আগমন ছাড়া) রওনা হলাম আসল গন্তব্যে, লিওনার্দো আঁতুড়ঘরে, যার নাম কাসা লিওনার্দো।
ভিঞ্চি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে আঞ্চিয়ানো নামের এক স্থানে প্রাচীন সব জলপাইগাছ পরিবেষ্টিত এক মধ্যযুগে নির্মিত ঘরে মর্ত্যের সবচেয়ে বুদ্ধিমান মানুষটির আগমন ঘটেছিল ১৪৫২ সালের ১৫ এপ্রিল। ঘরটি আজও সেই ভাবেই রাখা আছে, অসংখ্যবার এর ছবি দেখেছি নানা বই, পত্রিকা, গবেষণাপত্রে।
আজ বৃষ্টিস্নাত অবস্থায় উদাত্ত প্রকৃতির মাঝে জলপাইবন ভেদ করে সেই চিরচেনা অবয়ব যখন চোখের সামনে সুন্দর বাস্তবে রূপ নিল, সেই আলোক ভরা তীব্র সুখানুভূতির কথা ভাষায় প্রকাশ করার ক্ষমতা আমার হারিয়ে গেল চিরতরে। তখন কেবল উপভোগের পালা, উপলব্ধির পালা। ধন্য তুমি লিওনার্দো, তোমার জন্যই আজ ধন্য ভিঞ্চি, ইতালি, সমগ্র মানবজাতি।
( এই লেখাটি আমার দুই পড়ুয়া, বিজ্ঞানমনস্ক, অনুসন্ধিৎসু বন্ধু নাভেদ ইকবাল ও কৌশিক দে ( ব্লগার খেঁকশিয়াল)র জন্য। আমার ক্ষুদে জীবনের সবচেয়ে গর্বের প্রাপ্তি আমার বন্ধুরাই)
মন্তব্য
তবেরে!
আবার কি হল ! আপনার পেটেন্ট উল্লেখ করলাম তো !
facebook
facebook
অসম্ভব সুন্দর একটা পোস্ট। নিশ্চিত বলতে পারি আপনার বন্ধুরা আপনাকে পেয়ে অনেক বেশি গর্বিত।
ধন্যবাদ। আমি কিন্তু এতটা নিশ্চিত না, কিন্তু নিশ্চিত ভাবেই আমি মহা গর্বিত তাদের পেয়ে। ভালো থাকুন সবসময়।
facebook
অহো! এইভাবে এইভাবে অতর্কিতে আক্রমণ করিলি রে মাতুল পুত্র(মামুর ব্যাটা)! তুই কি ভাবিয়াছিস যে লেখা উৎসর্গ করিয়া আমার আর নাভেদের হিংসার বহ্নিশিখা হইতে পরিত্রাণ পাইবি!
ঘুরে আসলি তবে ভিঞ্চি?! তুই-ই ঘুরলি রে বন্ধু
আর শুন, মানস সরোবর যদি আমারে ছাড়া যাস তো টেংরি ভাইঙ্গা দিমু!
আরো শুন, অনেক ধন্যবাদ বন্ধু
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
দেখ মামুর বুটা, বেশী গিরিঙ্গি করবি তো হাটে মটকা ভেঙ্গে বলে দিব আমার কেন সচলে লিখতে এত দেরি হল আর বুদ্ধমূর্তির রহস্য !
মানস আর কৈলাস তো একসাথেই যামু বন্ধু, তুই শুধু মাঝে মাঝে বিড়ি ফুকা কমায়ে দৌড়াদৌড়ি করিস! নাহলে হিমালয়ে তোর মত গর্তবাসী ৫ মণ কে কে পরিবহন করবে! এমন শেরপার আজও আবির্ভাব ঘটে নাই !
ভালো থাক, সুস্থ থাক, মানস আমাদের হবেই হবে !
facebook
ভেনিস, ফ্লোরেন্স, ভিঞ্চি...এভাবে ইঞ্চি ইঞ্চি করে পুরা পৃথিবীটাই ত ঘুরে ফেললি! চালায় যা মোদের ডেভিড তারেকবুড়ো । এরকম আরো... আরো ভ্রমন উপাখ্যান পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম। আতর্কিত উৎসর্গের জন্য সলজ্জ ধন্যবাদ...
না হে গুহামানব, পৃথিবীটা আমাদের কল্পনার চেয়ে অনেক অনেক বড়! চালায়ে যায় , যতখানি পাড়ি থেমে যাওয়ার আগ পর্যন্ত। তুই একটা লিখে ফেল না লিওনার্দোকে নিয়ে!
facebook
(ব্রাশফায়ার করা ছাড়াতো আর গতি দেখতেছি না )
love the life you live. live the life you love.
facebook
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
facebook
আপনার সাথে পাল্লা দেয়া আমার কম্মোনা, আপনার পোস্ট পড়ে আমার কেবলই মনে হতে থাকে এই জায়গায় না গেলে আমার জীবনটাই বৃথা, এই বৃথা জীবনকে একটু অর্থপুর্ণ করার লিস্ট দেখছি ক্রমশি লম্বা হচ্ছে।
হতে থাকুক না, সমস্যা কোথায় ! আস্তে আস্তে সব দেখে ফেলবেন।
facebook
ধুস্। দিমুই না আর আমার লেখাগুলি।
এটা একটা কথা হল ! অবশ্যই দিবেন
facebook
যাব্বাবা! ভিঞ্চির গ্রামও দেখে ফেললাম আপনার সাথে? বিনে পয়সায় কতোগুলি শহর গ্রাম দেখা হয়ে গেল তাই ভাবছি।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
facebook
তারেক অণুর ভ্রমণবাতিক মডারেট করা হোক!
facebook
লাইপ সাকস, বিগ টাইম
আবার কি হল !
facebook
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
facebook
তারেক অণুর পা যিনি লোহার শিকল দিয়ে বাইন্ধা রাখতে পারবেন তাঁর পা আমি সোনা দিয়া বাঁধায় দিব।
কিন্তু মন !
facebook
আমি অনেক দেখেছি শুনেছি অনেক ।আমি আরো দেখতে চাই শুনতে চাই । গুড়ি ফিরি খুজে ফিরি বসন্তের হাওয়ায় কখন গাইব বিজয়ের গান।এই বিজয়ের মাসে আপনাকে ভিঞ্জি বিজয়ের শুভ কামনা ।
একদিন কেহ রবেনা থাকবেনা কিছু সুধু তার দেয়া,করা কাজ গুলি রয়ে য়াবে।
ধন্যবাদ।
facebook
ইতালী গেলেও ভিঞ্চির গ্রাম দেখা হয়নি, এই ফাঁকে সেটাও হয়ে গেলো।
...........................
Every Picture Tells a Story
আসলে মূল দর্শনীয় জায়গা গুলো থেকে বেশ দূরে তো ! একমাত্র ফ্লোরেন্স থেকেই খানিকটে কাছে !
facebook
অণু ভাইএর একটা ইমো অত্যাবশকীয় হয়ে পড়েছে... লেখালেখি তো পারিই না, মন্তব্যকারী হিসেবে যাও দু'একবার ঢু মারি, সেই ক্ষমতাও অক্ষম হইয়া যাইতেছে...কীভাবে মন্তব্য করবো তাও এখন আর খুজে পাই না
-অতীত
কেমন ইমো !! এইগুলা আবার ইস্কান্দার ভাই দারুণ চালান দেয়---
facebook
তারেক অণু ইমো -
দারুণ তো !
facebook
আমার বিবিসির মত একটা চ্যানেল থাকলে তারেক অণুকে আটেন বুড়োর পোস্ট দিতাম
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আপনার মুখে ফুলচন্দন পড়ুক, জয় গুরু অ্যাটেনবোরোর জয়।
facebook
আইচ্ছা। আমি কিন্তু তোমার লেখা একদম পড়িনা, একটা ছবিও দেখিনা......
facebook
facebook
আপনের কি পেলেন (উড়াল জাহাজের কথা কই)আছে? নাইলে এত্ত জাগায় যান কেমতে?
ঘুরতে মুঞ্চায়।
আছেই তো, কিন্তু নিজের না, মানে ভাড়া নিই আর কি, মানে টিকেট কেটে উঠি !
facebook
ও ভাই! ও ভাই !! ও ভাই !!!
আপনি অ্যাটম বুম বানাইয়া ফালান। আমারা মনে হয় হা কইরা তা ও গিল্লা ফালামু।
আর কি কমু, আইসসা সত্যি কন তো আপ্নের জামার ভিতরে কি দুই/ চাইরটা ডানা আছে। মিছা কইয়েন না প্লিজ।
ভিঞ্জি ভ্রমণের শুভ কামনা ।
মনের ডানা অনেক! সেইগুলোই ভরসা!
facebook
ভাই সত্য কইরা কোন ত আপনি কি করেন।এত সময় কই পান আর থাকেন কই ??
কিছুই না করার চেষ্টা করি ! আছি আপাতত হেলসিংকিতে, সময়টাই নাই রে ভাই, ইস এই ব্যাটাকে যদি পাইতাম।
facebook
আমি পড়িনি
facebook
আগের লেখাটা এখনো পড়া হয়ে উঠে নি। অনেকটা বলা যায় হিংসা করেই। কিন্তু এই লেখাটা যাদুমন্ত্রের মতো আমাকে টেনে নিয়ে গেছে। লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি-র আমি কঠিন ফ্যান, এসি, পাংখা । অনেক অনেক ধন্যবাদ অনু ভাই। সব হিংসা ভুলে আপনাকে একা একা এতো কিছু দেখে ফেলার জন্য মাফ করে দিয়েছি আপনি আমাকে ভিঞ্চি গ্রাম দেখার সুযোগ করে দিলেন বলে। দেখুন ভাইয়া আরো দেখুন আমাদের দেখান নতুন জনপদ। আজকে ছবির চেয়ে আপনার বর্ণণা বেশী অসাধারণ ছিলো। খুব আগ্রহ নিয়ে পড়েছি। অসাধারণ অসাধারণ অনু ভাই।
শুভেচ্ছা, সেদিনটা এমন মেঘলা ছিল যে ছবি তোলা হয়ে উঠেছিল মহা মুশকিল, পর্যাপ্ত আলো কোন সময়ই পাই নি, তার উপর ক্যামেরার লেন্সের সাথে সাথে নিজেকেও ভিজতে হয়েছে বারকয়েক।
লিওনার্দোকে নিয়ে একটা বড় লেখা লিখতে চাই, সেটা কত বড় হতে পারে এই চিন্তা করেই আর লেখা এগোচ্ছে না!
facebook
পার্ট পার্ট করে দেন।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
তইলেই হয়েছে, আমার লেখা হচ্ছে ধর তক্তা, মার পেরেক, এক বসাতেই সব শেষ। এর অন্যথা করলেই বছর গড়াবে! টাঙ্গুয়ার হাওড় নিয়ে এক লেখায় এমন দেরি করতে যেয়ে ৮ বছর লেগেছে !
facebook
অসাধারন হয়েছে !!!!!, ঘুরে বেড়ানো আপনার সখ না পেশা , এত সনয় পান কোথায়। ৪ বছর ধরে ইতালী থাকি, ২ বছর পড়তে গেল, এখন চাকুরী থেকে সময় পেলে না যাব। আপনি আমার থেকে অনেক ইতালী দেখে ফেলছেন। আপনার রোড সাইন এ আর একটা মজার বেপার আছে। ভিঞ্চি এর পাশে লিখা 'চিত্তা দি ভিনো দেল ইউরোপা' মানে ইউরোপের ওয়াইন এর শহর ।
আপনার এক পোস্ট এ পরেছিলাম আপনি রাজশাহী থেকে, আমিও। আবার ইতালী আসলে দেখা হবে,আমি মিলান এই থাকি।
নেশা রে ভাই নেশা।
সামনে বছর পাভিয়া যেতে পারি, সেটা তো মিলানের কাছেই, আগেই জানিয়ে রাখব।
facebook
সবাই কেন এমন সুযোগ পায়না !!!!!!!!!!!!
পাই তো !
facebook
আরও একটা তীর্থযাত্রা শেষ হল। ধন্যবাদ।
আপনিও খুব শীঘ্রই যাবেন আশা করি ভিঞ্চিতে।
facebook
অসাধারণ!!!
facebook
তারেক অণু ,আপনার পোস্ট খুব ভালো লাগলেও আপনাকে আমার খুব হিংসে হয় ।
যা বাবা, আবার কি করলাম! আমাকে অণু বললেই হবে, শুভেচ্ছা
facebook
facebook
হিংসা হিংসা!
_________________
[খোমাখাতা]
facebook
ফটোস, বর্ণনা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নাই।
তারেক 'অসাম' অণু আনন্দে থাক, এটাই আমি চাই।
(পদ্য লিখছি দুই কলম )
তোমরা যখন পড়তে বস মানুষ হবার জন্য,
আমি না হয় পাখিই হব পাখির মত বন্য।
facebook
facebook
তেব্র হিংসা জানাই.........
facebook
হুম... বেড়ানি কুড়ানি নিয়ে আর কিছু না বলি... টাইটেল প্রদান হলো, ভাবছি এবার একটা সংঘ টংঘ খুলে ফেলি, 'তারেক অণু পাঙ্খা কিলাব'।
যাই হোক, এবারে লেখাটা নিয়ে দুইটা কথা -
যতদূর মনে পড়ছে ক্লাস সেভেনের 'আমার বই'-এ লিওনার্দোকে নিয়ে লেখাটা ছিলো। কার লেখা ছিলো মনে নাই, আর বইটা আমার কাছে থাকা উচিত হলেও আসলে কোথায় আছে জানি না! তবে সেখানে লিওনার্দোকে শুধুই শিল্পী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছিলো বলে কিন্তু আমার মনে পড়ছে না। বরং তার বৈজ্ঞানিক পরিচয়টাই অনেক বেশি তুলে ধরেছিলেন লেখক। তার ডিজাইন করা উড়বার যন্ত্রের কথাও মনে হচ্ছে সেখানে উল্লেখিত ছিল... যাই হোক আমি দেখবো খুঁজে পাই কিনা বইটা।
কিন্তু... আপনি মাঝে মাঝে খুবই বেশি রকমের পাঠ্য বইয়ের মতন একঘেঁয়ে বিশেষণ আর উপমা ব্যবহার করে ফেলেন। এই লেখাটা এই জন্যে এবার আমার মনোযোগ সেভাবে ধরে রাখতে পারেনি। দ্বিতীয় প্যারাতেই দেখেন,
এখানে পুরাটাই কেমন যেন ক্লিশে! বোঝাতে পারলাম কিনা... আসলে বইয়ের মতন করে না, বরং আপনার নিজের সাধারণ বর্ণনাটাই বেশি আবেদনময়ী, যেমনটা ইস্তাম্বুলের পোস্টটাতেই আছে। আর এত বড় বাক্য না লিখে ভেঙে ভেঙে দিলে বেশি ভালো লাগে পড়তে। যদিও আমি নিজেই দেখেছি মাঝে মাঝে এই কাজটা করি!
এভাবে বললাম বলে কিছু মনে নিয়েন না। পাঠক হিসেবে এরকমের থেকে সেরকম লেখা পড়ে আমি বেশি আরাম পাই আরকি।
আচ্ছা, একটু মনে হয় টাইপো আর বানান ভুল আছে কয়েক জায়গায়, খানিকতা > খানিকটা হবে দুই স্থানে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হুম, বইটাতে নদী শাসন নিয়েও কথা ছিল মনে আছে।
ক্লাব খুলে ফেলেন ঘোরাঘুরির, পাঙ্খা হবার দরকার নাই !
কিছু কিছু শব্দের প্রতি আমার প্রবল পক্ষপাতিত্ব আছে, সে কারণেই হবে বারবার ঘুরে আসে সেগুলো ! চায়ের আড্ডা কেমন হল জানিয়েন, কল্যাণ দা দেখি পুরাই উধাও!
facebook
আপনে বুইড়া হইবেন না কোনোদিন? তখন দেইখা লমু! এখন যতো পারেন ঘুইরা লন।
আর শঙ্কর'দা তো আছেনই, থ্রিডি-ফোরডি-আর নানা শক্তিযোগে সৃষ্ট পরিবেশস্রষ্টা নামের সেই অভূতপূর্ব জিনিস উপহার দেয়ার জন্য। তখন দেইখেন খালি...। এই আমি, ঘরে বইলাম হাত্তি মার্কা ফেভিকল সাঁটায়া, নট নড়নচড়ন একদম।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মন বুড়া হইতে চাই না !!
চিন্তা কইরেন না মুরব্বি, আমিও আপনার লগে আছি।
facebook
সূর্যের ছবিটা অসাধারণ হয়েছে।
ভালো থাকেন আর ঘুরতে থাকেন।
জায়গাটাই অসাধারণ ছিল।
ঘুরতে আছি, ভালো থাকুন সবসময়
facebook
facebook
অসাধারণ ছবি
facebook
ব্যাপক চাপে ছিলাম ভাইডি, তাই আমারে কিছু দিন দেখতে পাও নাই। ইমোগুলা সব গেলু কোই!!!
(অটঃ রাগ কর আর যাই কর, এইবার কিন্তু তোমার লেখার দিকে কিঞ্চিৎ মনোযোগ দেওয়ার টাইম হইছে)
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
facebook
অসাধারণ ভ্রমন কাহিনি। তৃষ্ণা বেড়ে গেল। অপেক্ষায় থাকলাম আরও পড়ার জন্য।
ধন্যবাদ
facebook
দারুণ দারুণ !!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
আপনি কুতায়?
facebook
নতুন মন্তব্য করুন