কিউবা পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের বৃহত্তম দ্বীপ, ইউরোপ থেকে ঔপনিবেশিকরা সবার আগে নতুন পৃথিবীতে যে ভূখণ্ডে আস্তানা গেড়েছিল অনাদিকালের জন্য, এটি তার অন্যতম। সবুজ অধ্যুষিত উর্বর এলাকাটি বারংবার পড়েছে দখলদারদের হাতে, চলেছে দাসদের নিয়ে ব্যবসা, তাদের শ্রমে তৈরি নগর-বন্দরগুলো আজও সেই সাক্ষী দেয়। বিশাল দ্বীপটির চারপাশের উপকূল জুড়ে গড়ে উঠেছিল মুখরিত জনপদ। তিলোত্তমা হাভানার কিছু স্মৃতিচারণ তো আগেই করেছি, এই লেখাতে। আজ বলব কিউবার অন্যতম তিন সাংস্কৃতিক নগরী ত্রিনিদাদ, সিয়েন ফুয়েগোস এবং মানতানজাসের কথা।
ঔপনিবেশিক স্থাপত্যকলার জন্য বিখ্যাত শহর ত্রিনিদাদের যাত্রা শুরু হয় ১৫১৪ সালে, এবং উপকূলীয় হ্যারিকেনের অগুনতি প্রবল ঝাপটা সহ্য করে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে থাকা নগরটি আজ পুরো ক্যারিবিয় অঞ্চলের সবচেয়ে চমৎকার ভাবে সংরক্ষিত মধ্যযুগীয় উপনিবেশিক শহর।
গত আগস্টের আইঢাই করা এক গরমের দিনের মধ্যাহ্নে বাসে চেপে পৌছালাম ক্রিনিদাদে, আগে থেকেই ঠিক করে রাখা কাসার মালিক সিনর লুকাস অকুলস্থলে উপস্থিত থেকে পথ দেখিয়ে নিয়ে চললেন তার নিবাসে। ৪০০ বছর আগে নির্মিত বাড়ীটির বিশাল দরজা দিয়ে ভেতরে ঢোকা মাত্রই মনটা পুলকে ভরে উঠল এর মাঝেই এক ফালি সবুজ বাগান দেখে। ছাদ অনেক উঁচু, সারি সারি খিলান, সুদৃশ্য মেঝে। লুকাস জানালেন ত্রিনিদাদের গোঁড়াপত্তনের সময়ই দখলদার স্প্যানিশরা এই ধরনের বাড়ী বা ভিলা তৈরি করেছিলেন দাসশ্রম দিয়ে আর এগুলো মূলত ব্যবহৃত হত চিনি উৎপাদনের লাভজনক ব্যবসার নানা কাজে।
লাল টালির ছাদ, পুরনো দেয়াল কিন্তু আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা বর্তমান। বাগানের চেয়ারে শরীর ছেড়ে দিয়ে মোহিতোর গ্লাসে চুমুক দিতেই দুটি স্থানীয় বাসিন্দার সাথে মোলাকাত হয়ে গেল অপ্রত্যাশিত ভাবেই, নজরকাড়া রঙের দুটি গিরগিটি, একটি রঙধনুর এক টুকরো উজ্জল অংশের মত, এই রোদেলা দিনে ঝকমকে আলো প্রতিফলিত করছে চকচকে আঁশ থেকে, অন্যটি ঘন সবুজ। আড়চোখে মানবজাতির উপস্থিতির দিকে তাকিয়ে থোড়াই কেয়ার করে তার নিত্যকার কর্ম পোকা মাকড়ের ঘরবসতি ধ্বংসের কাজ সমানে চালাতে থাকল।
ব্যতিব্যস্ত হয়ে ক্যামেরা খোঁজে ছুট লাগাতেই সিনর লুকাসের বাবা সিনর হোয়েল একগাল হেসে জানালেন- এরা আমাদের বাগানের স্থায়ী বাসিন্দা, প্রায় সময়ই দর্শন পাবে, তাড়াহুড়োর কিছু নেই। ভাঙ্গা ভাঙ্গা স্প্যানিশ, তারচেয়ে বেশী ইংরেজি, তারচেয়েও অনেক বেশী বডিল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে ভাবপ্রকাশ করে জানতে চাইলাম এত চিত্রবিচিত্র ধরনের গিরগিটি আপনা থেকেই বাগানে এসে ঘুরে বেড়ায়! উল্টো অবাক হয়ে বললেন- এই সরীসৃপরা পরিবেশের জন্য কত ভাল, পোকামাকড় খেয়ে সাফসুতরো করে রাখে ঝোপঝাড়, আমাদের কোন ক্ষতিকারক কীটনাশক কিনতে হয় না, তাই তো কেউ এদের ক্ষতি করে না, সাদরে থাকতে দেয় বাড়ী বা বাগানে!
হা গিরগিটি, ছোটবেলায় জেনেছিলাম রক্তচোষা নামের সরীসৃপ অনেক দূর থেকেই মানুষের রক্ত চুষে নিতে পারে, রক্ত চোষার সাথে সাথে তার শরীর হয়ে যায় টকটকে লাল! তাই, তাদের দেখা পেলেই মুখে আঙ্গুল পুরে চুষে ছিবড়ে বানিয়ে ফেলতাম সমানে, যাতে নিজের রক্ত শরীরের বাইরে যেতে না পারে! আর সেই সাথে হাতের কাছে ইট-পাটকেল, লাঠি যায় পাওয়া যায় তাই নিয়ে দলগত আক্রমণ চালানো হত সেই নিরীহ সরীসৃপদের উপরে। মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখাতেও দেখেছি এই কুসংস্কারের বর্ণনা, সেই সাথে অনেক বৃদ্ধের সাথে কথা বলে জেনেছি এমন ভ্রান্ত বিশ্বাস শিখিয়ে দেওয়া হয়েছিল নির্মল শৈশবেই।
যুগের পর যুগ চলে আসা এই ক্ষতিকর বিশ্বাসগুলোর রাজত্বের কারণে খুব কষ্ট পেলেও অবাক হব না যদি এখনকার স্কুলগামী শিশুরা বলে তারা কোন দিন রক্তচোষা নামের বহুবর্ণা গিরগিটিকে রঙ বদলে গাঢ় রক্তবর্ণ হতে দেখেনি, দেখেনি সোনালী গুইসাপ নামের অপূর্ব সুন্দর সরীসৃপকে, পানাপুকুরের পৃষ্ঠ ছুয়ে আলতো চলে যাওয়া জলসাপের কথা তাদের কাছে স্রেফ বইয়ের গল্পই হয়ে গেছে। দুর্ভাগ্য আমাদের। কিন্তু বুঝলাম কিউবার শিক্ষা ব্যবস্থার জোর কতখানি, সারা দেশের বয়স্ক থেকে শুরু করে শিশুদের প্রকৃতি রক্ষার আসল জ্ঞানে সুশিক্ষিত করে তুলেছে তারা মাত্র কয়েক দশকে। বাংলাদেশের মত সাক্ষর করলেই শিক্ষিত হয়ে, শিক্ষার তথাকথিত হার বাড়ানোর ভুল পথে পা বাড়ায় নি সেই দেশের রাজনীতিক আর সমাজ সংস্কারকরা।
খানিকক্ষণ বিশ্রামের পর টাটকা সামুদ্রিক মাছের সুস্বাদু রান্না দিয়ে উদরপূর্তি করে বেরোনো হল শহর চরতে, তখন সিয়েস্তার সময় (দুপুরকালীন বিশ্রাম বা দিবানিদ্রা ) রাস্তাঘাট বেশ ফাঁকা ফাঁকা, কেবল শিশুদের কোলাহল নানা আড়াল থেকে ছুটে এসে প্রাণস্পন্দনের ঘোষণা দিচ্ছে থেকে থেকেই।
সরু সরু সব গলির মত রাস্তা, ইট বিছান পিচ ঢালা নয় আর ত্রিনিদাদের সবচেয়ে বিখ্যাত দ্রষ্টব্য সেখানকার ঘরদোর, অদ্ভুত ঝকঝকে রঙে ডোবানো যেন! মাঝে মাঝে চোখ যেন ঝলছে আসে কটকটে হলুদ, টকটকে লাল, গাঢ় নীল, সবুজ, গোলাপি সব ধরনের জানা-অজানা রঙে। গোটা ত্রিনিদাদ শহরই ইউনেস্কোর বিশ্ব সম্পদের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে অনেক অনেক আগেই।
অনুসন্ধান চালালাম এই উজ্জল রঙের প্রতি স্থানীয়দের দুর্বলতার কারণ- জানা গেল বিষুবরেখার কাছাকাছি হওয়ায় ক্রান্তীয় এই অঞ্চলে সারা বছরই সূর্যদেব অবিরাম তার তাপ ও রৌদ্র সম্বলিত কৃপা বর্ষণ করেই যান, বিশেষ করে আগস্টের এই গরমে মনে হচ্ছে কোন দিনবিহীন মরুভূমির মাঝে হাঁটছি। তাই শুরুর দিক থেকেই অধিবাসীরা গাঢ় উজ্জল রঙ ব্যবহার করা শুরু করে যা সাদা বা কালো রঙের চেয়ে এই আবহাওয়ায় অনেক বেশী উপযুক্ত, যেহেতু এরা তাপ শোষণ করে। সেই সাথে জানা গেল সমুদ্দুরের এত কাছে হওয়া সত্ত্বেও নোনা জল-বাতাসের নির্মমতা সহ্য করেও নতুন রঙ করতে হয় তাদের খুব কম।
নানা বাড়ীর মাঝেই দেখি ছোট ছোট দোকান, কোনটা আবার আর্ট গ্যালারী, মনে হল মার্কেজের উপন্যাসে যেন ফ্রিদা কাহলোর চিত্রকর্ম আবির্ভূত হয়েছে এই অসাধারণ পরিবেশে।
কোথাও না পুরো রাস্তা জুড়েই চলছে হাতে বোনা বা নকশা করা কাপড়ের বিকিকিনি।
কিন্তু সবচেয়ে বেশী দোকানের দেখা মিলল শহর কেন্দ্রে, সেখানের সুউচ্চ টাওয়ারের গির্জাটি নিয়ে গেল সেই বুনো পশ্চিমের কোন রুদ্র শহরে, ঘণ্টার ধ্বনির সাথে সাথে মনে হল আসবে এখন ঘোড়সওয়ারের দল। আসলে আমাদের চারিপাশের পরিবেশ এক বৈদ্যুতিক তার আর গাড়ী বাদে তো খুব একটা পরিবর্তিত হয় নি গত ৫০০ বছরে !
দিন দুই শহর দাবড়ে বেরিয়ে, কাছেই প্ল্যায়া আঙ্কন নামের সৈকতে খুব রগড়ে স্নান করে এক বিকেলে বাসে চাপলাম কিউবার প্যারিস খ্যাত সিয়েন ফুয়েগোসের উদ্দেশ্যে। ত্রিনিদাদ যেমন স্প্যানিশ ধাঁচের স্থাপত্যে পূর্ণ তেমন সিয়েন ফুয়েগোস ভর্তি ফরাসী রূপ, রঙ, রসে। এখানে আগে উপনিবেশ গেড়ে ছিল ফরাসীরাই, পরে যুত মত কালের নোঙ্গরে আটকা না পড়ায় চলে যেতে হয়েছে।
এসে সোজা উঠলাম সিনর হেক্টর এবং সিনোরা ইলিয়ার ঝকঝকে বাড়ীতে,
পেশায় তড়িৎ প্রকৌশলী ভদ্রলোক তখনই আমাদের দারুণ সব উপাই বাতলে দিলেন এই সুদৃশ্য শহরটি ঘুরে দেখার জন্য, সেই সাথে তাদের বসার ঘরে উঁকি দিতে দেখলাম কিউবায় বেশ বিরল এক বস্ত- কম্পিউটার! এই ব্যাপারে কৌতূহল লক্ষ্য করে
সিনর জানালেন তার বড় ছেলে ডাক্তার, বর্তমানে ভেনিজুয়েলায় কর্মরত। উল্লেখ্য, ভেনিজুয়েলায় বেশ কয়েক হাজার কিউবান ডাক্তার চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত আছেন, সেই দেশের রাষ্ট্রপতি হুগো শ্যাভেজ সব কিউবান ডাক্তারকে একটি করে কম্পিউটার উপহার দিয়েছেন।
বিকেলের আবছা রোদে প্রথমেই দেখতে গেলাম এখানকার বিখ্যাত শহরকেন্দ্র, অপূর্ব সব কারিগরি, দূর থেকে দেখে ফ্লোরেন্সের ক্যাথেড্রালের কথা মনে হয়।
মাঝের চত্বরে কিউবান জাতির জনক বিপ্লবী কবি হোসে মার্তির বিশাল ভাস্কর্য,
আর চারপাশের স্থাপত্যে নীল রঙের আধিক্য। তবে সমগ্র ওয়েস্ট ইন্ডিজে এমন নিউ ক্ল্যাসিকাল ধারার স্থাপত্য সমৃদ্ধ শহর আর দুটি নেই।
চারপাশে একটু হেঁটে বেড়াতেই জনাব মিকাইলের মনে হয় বদখেয়াল চাপল, দিল ঝর ঝর মুখর বাদল ঝরিয়ে, কাকভেজা হবার আগে আগেই এক ঘোড়ার গাড়ীতে উঠে পড়লাম প্রায় টারজানের মত, বৃষ্টির মাঝে চলল সিয়েন ফুয়েগোসবাসীর বারিধারাস্নাত জীবন দর্শন, আমাদের শহরের মতই বৃষ্টি নামা মাত্রই ছেলেছোকরার দল নেমে গেছে রাস্তাতেই ফুটবল খেলতে, দোকানের ঝাপ বন্ধ করে দিচ্ছে দোকানীরা।
ঘোড়ার গাড়ী চেপে শহরের অপর প্রান্তে সাগর তীরে নামলাম অবশ্য দ্রষ্টব্য অনেকটা রাজপ্রাসাদের মত এক স্থাপত্য দেখার আশায়,
ততক্ষণে বৃষ্টি খানিকটে থামলেও মেঘদূতের দল রাজত্ব ধরে রাখার শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অস্তগামী সূর্যের সাথে, কিন্তু মৃদুমন্দ বাতাসের কাছে ক্রমশই ফিকে হচ্ছে তাদের প্রতিরোধ। বিশাল অলস ডানায় ভর দিয়ে নীড়ে ফিরছে বাদামি পেলিক্যানরা।
এই সময়ে বিক্ষুদ্ধ সাগর পারের সুউচ্চ পাহাড় চোখে পড়ল মেঘের ফাঁক দিয়ে, মনে হল হকুসাই বা হিরোসিগের অপূর্ব কাঠের খোদাই কাজের জন্ম দেখা গেল চোখের সামনে। জয়তু সিয়েন ফুয়েগোস।
রাতে খাবার টেবিলে মিলল প্রায় থালার সমানই বড় এক স্টেক! সেই সাথে নানা চব্য চোষ্য লেহ্য পেয় তো আছেই, আর ডেজার্ট হিসেবে সুমিষ্ট সুপক্ক আম। সেই দম্পতি এমন আপন করে নিল অল্প কয় ঘণ্টার মাঝে যে অন্য কোথাও যাবার তাগিদ ক্রমশই ফিকে হয়ে আসছিল।
কিন্তু সময় বড় কম হাতে, বরাবরের মতই সে আমার বড় শত্তুর, তাই উনাদের বিদায় জানিয়ে চললাম দ্বীপদেশটির অন্য প্রান্তে। গন্তব্য স্থানীয় কবিদের জন্য বিখ্যাত কিউবার এথেন্স খ্যাত মানতানজাস।
সেই সাথে মানতানজাসের আরেক পরিচয় কিউবার ভেনিস হিসেবে কারণ একাধিক নদী ঘিরে আছে পুরো শহরটাকে, সেই সাথে এখানে যোগাযোগ রক্ষার জন্য নির্মাণ করে হয়েছে ১৭টি সেতু! কাজেই বলা চলে জলের উপরেই আছে মানতানজাস।
সেখানে চমৎকার নীল রঙের ট্রেন স্টেশনের কাছে নেমে
আগেই বরাদ্দ করে রাখা বাড়ী খুজে বের করতেই দেখা হল সেই কাসার মালকিন সিনোরা ইসাবেলের সাথে, সদাহাস্যরতা পেশায় প্রসূতিডাক্তার মহিলা জানালেন বাড়ীতে দুটি কক্ষ আছে তার অতিথিদের জন্য, একটি রাস্তার ধারে, অন্যটি সমুদ্রের ধারে, বিশাল জানালাসহ। পরেরটির ভাড়া সংগত কারণেই খানিকটা বেশী, এখন কোনটা নিব এটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। সমুদ্রের ধারের কক্ষটির সাথেই আবার দারুণ এক খোলা বারান্দা, সেখান থেকে দেখা যায় মন মাতানো প্রকৃতি।
আর কি, ব্যাকপ্যাক ফেললাম সেইখানেই। খানিকপরেই দেখা মিলল তার স্বামী, পুত্র, মা এবং পোষা জার্মান শেফার্ডের সাথে যে সারমেয়টির নাম কিলার! পরিবারের সবাই একগাল হেসে বলল, যতক্ষণ তুমি বাড়ীর
সামনের দরজা দিয়ে আসছ ততক্ষণে কিলার জানে তুমি বন্ধু, কিন্তু পিছনের খিড়কি দিয়ে ঢুকতে গেলেই হয়, কিলার বুঝিয়ে দেবে শত্রুদের সে কি ভাবে দেখে!
সেই সাথে জানা গেল মানতানজাসে পা দিয়েছি অপার সৌভাগ্য নিয়ে, সেদিন বিকেলেই এখান দিয়ে হেঁটে পার হবেন ( জনতার কাঁধে ভর দিয়ে আর কি) কিউবার অন্যতম জনপ্রিয় সেইন্ট সুদূর সান্তিয়াগো দ্য ক্যুবা থেকে আগত কুমারী মেরির ভাস্কর্য। গত কয়েক মাস ধরেই চলেছ এই যাত্রা, সারা দ্বীপ ঘুরে সে ফিরে যাবে আপন নিবাসে। এই কারণে সারা শহরে জুড়ে উৎসব উৎসব ভাব।
বিকেলে রাস্তার দুইপাশে জনতার সারি, সবাই এসেছে মেরী মূর্তিকে একনজর দেখতে। বুঝলাম কয়েক দশকের বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষাও জনসাধারণের মন থেকে ধর্ম নামের কুসংস্কারের মহিরূহটি সম্পূর্ণরূপে উপড়ে ফেলতে পারে নি, অথবা বিশ্বাসের চেয়েও সংস্কার অনেক গুরুত্বপূর্ণ এখনো মানব সমাজে।
প্রথমে ঘোড়ায় চেপে আসল সেবকের দল, এরপরে পদাতিক ধার্মিকরা, এরমাঝে সাথে জুটে গেছে বেশ কিছু স্থানীয়, মেরীর দর্শন মিলল এক আধুনিক বাহনের উপর, সে রাতটা এই মানতানজাসের গির্জাতেই কাটাবে সে এযাত্রা।
মেরীর দর্শনে আসা জনতার ভিড় থেকে কিছু মুখ, কিছু স্মৃতি চিরতরে খোদিত হয়ে গেল মানসপটে।
পরদিন যাওয়া হল কানিমার নামের নদী দেখতে।
মানতানজাস থেকে হাভানা মাত্র ৯৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, ভাবলাম শেষের এই যাত্রাটি ট্রেনেই করি, কারণ কিউবা আসা অবধি প্রায় সবধরনের যানবাহন ব্যবহার করা হলেও ট্রেনটা করা হয় নি। সেদিনের গাইড সিনর পিনিও জানালেন এই ৯৬ কিলোমিটার ট্রেনের যেতে লাগবে ৪ ঘণ্টা! যাত্রাপথ অবশ্য নজরকাড়া, সবুজ প্লাবিত গিরি উপত্যকার মধ্য দিয়ে। কিন্তু আসল কথা হচ্ছে এই ট্রেন মান্ধাতার আমলের বৈদ্যুতিক শক্তি চালিত, সে তো খুবই ভাল কথা! নতুন একটা অভিজ্ঞতা হল, সমস্যা কোথায়! মুখ পোড়া বেগুনভাজার মত করে পিনিও জানালেন- সমস্যা হবে যদি বিদ্যুৎ চলে যায়, আর গেলে যদি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে না আসে, তা হলে পুরো সময়টুকুই ট্রেনের নট নড়ন-চড়ন !
তারপরও নতুন অ্যাডভেঞ্চারের লোভে ট্রেনে যাওয়ায় সাব্যস্ত হল, কিন্তু ট্রেন ছাড়ার আগ পর্যন্ত পিনিও আমাদের গোটা শহর ঘুরিয়ে দেখালেন, খুব আমুদে লোক সে, সারাক্ষণ প্রেমের গান গাইছে, নয়ত খিস্তি খেউড় করেই যাচ্ছে অবিরাম, আবার বলে বসল তার দৃঢ় বিশ্বাস সত্যিকারের প্রেম আসতে পারে জীবনে মাত্র একবার !
তার সাথেই গেলাম শহরের গোটা কয়েক জাদুঘরে, গ্রন্থাগারে আর সবচেয়ে উঁচু পাহাড়ের মাথায় অবস্থিত গির্জায় যেখান থেকে গোটা শহর দেখতে পাবার কথা। চমৎকার সে দৃশ্য,
আরও ভাল লাগল গির্জা প্রাঙ্গণে আন্দালুসিয় কবি ফেদোরিকো গার্সিয়া লোরকাকে নিয়ে একটি স্মৃতিফলক দেখে, কবি তিরিশের দশকে এসেছিলেন এই শহরে, পরবর্তীতে কিউবায় অতিবাহিত করে কয়েক মাসকে তার জীবনের উজ্জলতম সময় বলে অভিহিত করেছেন।
সেখান থেকে এক প্রাচীন দুর্গে, যা ব্যবহৃত হত দাস ব্যবসার কাজে, যেখান বন্দী রাখা হত অসংখ্য কালো মানুষকে, ঠিক যেভাবে মাছ বা মুরগী গাদাগাদি করে রাখা হয়। গায়ে কাঁটার দিয়ে উঠার বিষাদময় অভিজ্ঞতা, যেন অভিশপ্ত হয়ে আছে পুরো এলাকা সেই উৎপীড়িত দেশোয়াল ভাইদের কান্নায়।
ট্রেনের সময় হয়ে এসেছ, তাই সোজা ষ্টেশনে। পিনিও বিদায় নিলেন, পইপই করে বললেই ট্রেনে না যাওয়ায় ভাল ছিল। যা হোক, প্ল্যাটফর্মে খানিকক্ষণ অপেক্ষার পরে আক্কেলগুড়ুম, পথে চিনিবাহী মালগাড়ীর সাথে কি
অদ্ভুত সমস্যা হয়েছে, ট্রেন আর আজকে আসবে না ! এখন?
দেখি স্থানীয়রা সুড় সুড় করে বেরিয়ে যার যার ব্যবস্থা করে নিতে থাকল। এক মুশকো ঢ্যাঙ্গা জোয়ান যেচে এসে বলল তার হাভানা যাওয়াটা খুব জরুরি, চাইলেই আমরা সবাই মিলেই একটা গাড়ী ভাড়া করতে পারি, মানে হাভানাগামী গাড়ীতে উঠে পড়তে পারি নগদ নারায়ণের পরিবর্তে। খানিকক্ষণ দোনোমনা করে রাজি হতেই সেই প্লাটফর্ম থেকে এক বিরাট কাগজের বাক্স এক ঝটকায় তার হারকিউলিসের মত চওড়া কাঁধে বসাল, সেই বাক্স থেকে প্রথমে সন্দেহজনক নড়াচড়ার শব্দ ভেসে আসলেও খুব শীঘ্রই শুনলাম মোরগের কু কু রুক্কু ডাক ! কি ঘটনা! সোনা দিয়ে বাঁধানো দাঁত বের করে সে উত্তর দিল পয়ো ! পয়ো! মানে মুরগী!
বোঝ ঠ্যালা, মানে একদল জীবন্ত মুরগীর সাথে এখন হাভানা ফিরতে হবে! তবে সত্যি কথা বলতে বেশ একটা মজা পেয়ে গিয়েছিলাম এমন অদ্ভুত সব ঘটনায়। শেষে ব্যাটাকে এও বললাম একটা বড় মুরগীর দাম কত নিবে? দরকার হলে ওর ভাড়া দিয়ে দিব কিন্তু এমন সুখাদ্য চাই-ই চাই।
খানিক্ষনের মাঝে দারুণ ক্ল্যাসিক এক বিশাল গাড়ীতে সওয়ার হয়ে হাভানার পথে আমরা, সাথে একপাল জ্যান্ত মুরগী!!!
(মস্কো বিমান বন্দরে বিশাল লম্বা ট্রানজিটের ফাঁকে আটকা পড়ে তিতিবিরক্ত হয়ে বসে আছে, ভাল জিনিস বলতে ইন্টারনেট মুফতে ব্যবহার করতে পাচ্ছি সেখানে, খেমোখাতায় ঢুকতেই প্রথম মেসেজ পেলাম- কি প্রাণের শত্রুর সাথে কথা বলতে কেমন লাগছে?
এ আর কে রে বাবা, আর শত্রুই বা হতে যাবে কেন! দেখি কদিন আগেই নেটে পরিচয় হওয়া আশালতা দিদিভাই, বেশ মিঠেকড়া মানুষটি। এর পর থেকে কথা হলেই এমন স্নেহমাখা তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দেন সবসময়ই, আর দারুণ রসালো সব লেখা লেখেন মলা ঢ্যালা ব্লগারদের নিয়ে। গত সপ্তাহে শুনলাম আমার শহর রাজশাহীতে গিয়ে খুব মজাসে আড্ডা পিটিয়েছেন অন্যান্য ব্লগারদের সাথে। এই লেখাটি তার জন্যই। ভালো থাকুন, সুখে থাকুন।)
মন্তব্য
[তারেক অণু ইমো]
আর কিছু বলার নাই...
অতীত
facebook
আবার হিংসায় জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেবার জন্য ধন্নবাদ।
facebook
আবার হিংসায় জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ ।
facebook
হুমম ..
হুমম
facebook
কেউ মন্তব্য করতাছে না কেন -বুজলাম না!
কি জানি!
facebook
শেষ নাকি?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
না না, এবার সবচেয়ে বড়টা লেখব। এই বছরেই পোস্ট করব। নজু ভাই, আপনের নামে আজিব এক কথা শুনলাম, ঠিক কি না বুঝছি না !
facebook
কোন কথা? না জানলে কীভাবে বলবো ঠিক না বেঠিক?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমিও বলি শেষ নাকি?
...........................
Every Picture Tells a Story
না না, আসিতেছে ! কয়দিন সময় দেন-- আসল পোস্টটা এরপরে দিন ধীরে সুস্থে
facebook
অণু, ছেলেদের নামের আগে সিনর এবং মেয়েদের নামের আগে সিনোরা এর আলাদা কোন তাৎপর্য আছে কি?
ছবি ও বর্ণনার প্রশংসা আর করছি না। যথারীতি ............
দীপাবলি।
আমি সীমিত জ্ঞানে যদ্দুর জানি সিনোর/সিনোরা ইটালিয়ান সম্বোধন। সিনর হচ্ছে মিস্টার, সিনোরা মিসেস, আর সিনোরিনা মিস্ (অর্থাৎ অবিবাহিতা নারীর প্রতি সম্বোধন)।
সিনর পুরুষদের ক্ষেত্রে ( আসলে উচ্চারণ হবে সিনিওর) , সিনোরা (সিনিওরা) বিবাহিতা মহিলাদের ক্ষেত্রে, তরুণীদের জন্য সিনোরিতা। ইতালিয়ান আর স্প্যানিশ তো খালাতো ভাই, অনেক শব্দই এক !
facebook
G-রু.... G-রু ...... গুরু।
[ অটঃ বস এই যে সুন্দরীদের ফডু উঠাইলেন, রাস্তায় রাস্তায় , তাগো পারমিশন নিছিলেন ? ]
ডাকঘর | ছবিঘর
আপনি যে এত বেরসিক জানতেম না !
facebook
ক্যান ? । রসের তারতম্য কোথায় ঘটিল ভাইজান ...
সচলত্বের বিশেষ অভিনন্দন...
ডাকঘর | ছবিঘর
ঐ খানেই !
facebook
আপনারে আর কী বলার বাকি! হিংসা জানাতে জানাতে ঝুলি শূন্য হয়ে গিয়েছে। দাঁত কিড়মিড় করতে করতে ফোকলা হবার উপক্রম। তারপরেও আপনার পোস্ট এলেই ঘপাৎ করে ভেতরে ঢুকে পড়ি।
জানি না কেন, আপনার যত পোস্ট পড়েছি, এটা আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগলো। শুরুর সবুজ গিরগিটি, মাঝখানের দুই সুইট বুড়োবুড়ি, মিছিলে আসা মুখগুলো, শহরের অদ্ভূত সুন্দর বাড়ি আর অপূর্ব সুন্দর পাথরে বাঁধানো রূপকথা রাস্তা, আরও অনেক অনেক অনেক সুন্দর সব ছবি... সবকিছুই ভালো লাগছে অনেক বেশি।
তারেকাণু মিয়া, প্রশংসা শুইনা ভাইবেন্না রেহাই পাইলেন। ফিরা আসেন দ্যাশ, আপনে কৈলাম শ্যাষ্!
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
হা হা, ঠিক আছে।
এই জায়গাগুলো আমাদের চিরচেনা পৃথিবী থেকে অনেক আলাদা, একটা মায়া ঘেরা।
facebook
সচলাভিনন্দন!
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
facebook
তিনরঙা টিকটিকিটা সাংঘাতিক এ্যাডোরেবল; পুষতে মন চায়
বাকি ফটোস দেখে আর লেখা পড়ে প্রাণ ভরে গেল। তোমার জন্য 'বেম বেম বেম মারিয়া' উপহার
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
না পুষে, দারুণ একটা পরিবেশ বান্ধব বাগান করে ফেল। ওরা এমনিই আসবে।
facebook
উপরে পড়েছি, নিচের দিকে পড়েছি। মাঝখানটা লাফিয়ে পার হয়েছি। ভালো লেগেছে।
আহ, গিরগিটির জন্য ! হুম, আপনার প্রিয় প্রাণী কি জানান দেখি !
facebook
সরীসৃপ ছাড়া মোটামুটি আর সবকিছুই প্রিয়র মধ্যে পড়ে।
সচলাভিনন্দন!! আপনি কী রেকর্ড টাইমে সচল হলেন নাকি?
তা তো জানি না ! রেকর্ড আছে নাকি আবার ! অপেক্ষা করুন, পাখির ঝলমলে পোস্ট আসিতেছে।
facebook
অভিনন্দন!
মুর্শেদ ভাই, এইটা কী তারেক অণু ভাইকে শীতনিদ্রায় পাঠানোর ষড়যন্ত্র?
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
আহ, আহ, শীত নিদ্রায় যেতে এখনো দিন দশেক দেরি আছে ! ধন্যবাদ সবাই কে।
facebook
লুল পড়তাছে।
!!
facebook
লেখা, ছবি চমৎকার। সচলত্বের অভিনন্দন।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
facebook
love the life you live. live the life you love.
facebook
অভিনন্দন !
facebook
আরে, সচলাভিনন্দন
মিষ্টি উষ্টি কো?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বড়দা এইটা একটা কথা! টেকিলার দেশে যাচ্ছি, আর আপনি চাইলেন মিষ্টি!
এখনো সময় আছে !!
facebook
পয়ো! পয়ো! আরেকটি নতুন শব্দ শেখা হল। লেখা অতিশয়
শব্দটি POLLO বাংলা উচ্চারণ হবে পয়ো !
facebook
অনু ভাই...
আর পড়তে পারছি না.........
মাফ কইরেন......
পড়েই কুলিয়ে উঠতে পারছি না......
আগে তো পরীক্ষার রাতেও তিন গোয়েন্দা পড়তা, এখন কি হল। !
facebook
facebook
সচলাভিনন্দন!! শীতের দেশের বাসিন্দা আপনি। তাই শীতনিদ্রায় যাওয়া আপনার জন্য নিষিদ্ধ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ, শীতনিদ্রাতেই তো আছি !
facebook
অভিনন্দন।
এত্ত ছবি। 'মানতানজাস' স্টেশনটি একটা অন্যরকম অনুভূতি ছড়ালো।
যেখানে ট্রেন এসে থামে,
আম নিম ঝাউয়ের জগতে!
আসলে এখানে তো ৩ শহরের কাহিনী, তাই ছবি বেশী এসেছে।
facebook
অভিনন্দন
facebook
ছবিগুলো ভাল লাগলো, সচলত্বে অভিনন্দন
facebook
কিউবার এই পর্বটিও মুগ্ধ করলো অনু!
আর সেই সাথে সচলত্বের অভিনন্দন
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অনেক ধন্যবাদ, আসলে পর্বটা এর পরে আসবে।
facebook
দারুণ। ছবিগুলো দেখতে দেখতে কিউবা চলে গিয়েছিলাম। মানুষ বোধ হয় খুব কম। আপনার ছবিতে তো মানুষ নেই বললেই চলে। আমাদের দেশে সুন্দরবনের ছবি তুলতে গেলেও মানুষ পাবেন ভুরি ভুরি।
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।
মানুষ কমের ছবিগুলো সিয়েস্তার সময় তোলা কিনা !
facebook
এরে থামাইতে পারে এমন কেউ নাই? বিষ বিষ লাগে
নেক্সট লেখা যদি আবার এগেইন এইরাম উথাল-পাতাল ভ্রমণ কাহানি হয় তাইলে সচল থিকা বাইর কইরা দিমু। কসমসে
একটা কথা, হলুদ রং আমি ব্যপক পছন্দ করি।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আমিও, তারমানে আপনি ভ্যান গগের ভক্ত !
facebook
_____________________
Give Her Freedom!
facebook
ওহ্ কিংবদন্তিকে সচলাভিনন্দন দেওয়া হয় নি!!! আচ্ছা তারেক অণু কি দ্রুতসময়ের কোন রেকর্ড করলো, কেউ কি বলতে পারেন?
_____________________
Give Her Freedom!
facebook
সচলত্বের অভিনন্দন। লেখা আর ছবি নিয়া কথা না বলাই উত্তম।
(ভাই বরকন্দাজ। আপনার কালেকশানে কপাল চাপড়ানোর কোনও ইমো নাই? আমার হয়ে একটু দিয়ে দেন প্লিজ।)
facebook
অহ নো, আর সয়া যাচ্চে না।।। মন চাচ্চে সেই দেশে যেতে।।।
ঘুরে আসেন, এত ভাল লাগবে থেকেই যেতে চাইবেন হয়ত!
facebook
যাব্বাবা ! আমাকেও নাকি লোকে পোস্ট উপহার দেয় !!! অ অণু , তোমার মতলব তো ভালো ঠেকে না । কথা নাই বার্তা নাই, হটাত দুম পটাশ করে সক্কলের সামনে আমাকে কাঁদানোর তাল কর কেন ? দাঁড়াও বাগে পেয়ে নিই কেবল। ঝাল ঝাল তন্দুরি চিকেন রান্না শিখেছি নতুন। সেইটা খাইয়ে নাকের পানি চোখের পানি এক করে না দিয়েছি তো দেখো !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
, পপ্পন আমি খাই না, কিন্তু ঝাল ঝাল তন্দুরি চিকেন ! ওয়াও !
facebook
ইস! কি চমৎকার সব ছবি !
-আহমেদ সাব্বির
facebook
ছবি গুলো দেখে মনে হয় সবকিছু ক্যামন ধোয়া মোছা করা । লেখা আর ।
facebook
নতুন মন্তব্য করুন