উত্তুরে গ্রীষ্মের এক দিন, আসলে গ্রীষ্মে তো সবসময়ই দিন, প্রায় ২২ ঘণ্টাই অরুণদেবের রথ তার উপস্থিতির জানান দেয় আকাশের নানা কোণে, যদিও বা চক্ষু সীমানার বাহিরে যায় ঘণ্টা দুয়েকের জন্য কিন্তু তার উপস্থিতির চিহ্ন দিগন্তরেখায় ছড়িয়ে থাকে সোনালী আবীর হয়ে। মধ্য দুপুরে ঝকঝকে আলোর বন্যায় রীতিমত সাঁতার কাটতে থাকে সারা মহাবিশ্ব , সেই সাথে বিশ্বচরাচর মুখরিত হয়ে থাকে পরিযায়ী পাখি ও তাদের ছানাপোনার কলরবে।
আসলে এই ছানাদের চরে বেড়াবার সুযোগ দিতেই প্রথমে ডিম পাড়তে ও পরে ডিম ফোটাতে হাজার জাতের পাখিরা দক্ষিণ থেকে হাজির হয় সূর্যময় উত্তরের গ্রীষ্মে, কেউ আসে দক্ষিণ ইউরোপ থেকে, কেউবা আফ্রিকা থেকে, কেউ আবার সুদূর এশিয়া থেকে, ক্লান্তিহীন ডানায় ভর দিয়ে। আবার ফিরে যায় সাথের সদ্যাগত অতিথিদের নিয়ে।
এমন দুপুরে ফোন দিয়েছে ফিনিশ-সুইডিশ পাখিপ্রেমী বন্ধু স্তেফান নপম্যান ( ফিনল্যান্ডের শতকরা ছয় ভাগ লোকের মাতৃভাষা সুইডিশ, এদের পূর্বপুরুষরা সুইডেন থেকে এসে বসতি স্থাপন করেছিল এই প্রতিবেশী দেশে), জানালো বিশ্বের সুন্দরতম হাঁস মান্দারিন হাঁস, Mandarin Duck (Aix galericulata),হাজির হয়েছে হেলসিংকিতে।
রঙধনুর সাত রঙতো বটেই আরও কত জানা-অজানা রঙ গুলে যে ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে একরত্তি এই হাঁসটির শরীরে। দূর প্রাচ্য থেকে আগত এই অতিথির দর্শন অতি বিরল উত্তরের ভূখণ্ডে ( বাংলাদেশেও এটি অতি বিরল, সিলেটের হাওড়ে একবার দেখা গিয়েছিল)। সেটা দেখা গেছে আমার বর্তমান আস্তানার অদূরেই সেওরাসারি দ্বীপে, যা আবার একটি ওপেন-এয়ার মিউজিয়াম (বাংলা কি হতে পারে—মুক্ত পরিবেশে জাদুঘর! )। সাথে সাথে ক্যামেরায় লেন্স এঁটে, পাখি চেনার বই, দূরবীন, ভিডিও ক্যামেরা ব্যাগে ভরে চললাম সেই সুন্দরের খোঁজে।
দুই বন্ধু যখন দ্বীপের সংযোগ রক্ষাকারী সেতুতে পৌঁছেছি তখন মাথার উপর দিয়ে আলতো উড়ে যাচ্ছে তরুণ গাঙচিলেরা (Common Gull, Larus canus), কি অপূর্ব ভাবে বিন্যস্ত তাদের চকচকে সাদা-কালো-ধূসর পালক। যেন রোদ ঠিকরে পড়ছে শূন্যে ভাসমান আয়না থেকে।
উপর দিকে লেন্স তাক করে ছবি তুলতেই ব্যস্ত, এমন সময় যেন অতল জলের গভীর থেকে সমস্ত বাঁধা ভেদ করে উঠে এল বড় খোঁপা ডুবুরি (Great Crested Grebe, Podiceps cristatus), ফণা তোলা সাপের মত বাঁকানো মাথার অধিকারী পাখিটিকে প্রথম বারের মত দেখেছিলাম এক শীতের পদ্মায়, যদিও এত কাছ থেকে পর্যবেক্ষণের সুযোগ সেখানে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। পাখিটির গাঢ় রক্তচক্ষু যেন তার সমস্ত শত্রুর বুকেও ঢাক গুড়গুড় শব্দ তোলে!
এই অঞ্চল আমাদের চিরচেনা, প্রায়শই পাখি পর্যবেক্ষণ করতে, মুক্ত বাতাসে হাটার জন্য, বনজ লতার ঝাঁঝালো গন্ধ সমৃদ্ধ পরিবেশে শ্বাস নেবার জন্য আসা হয়। চারিদিকে সমুদ্র, বিশাল দ্বীপের শেষ প্রান্তে স্বাদু জলের গোটা তিনেক ডোবা, সেইখানেই আপাতত বিশ্রাম নিচ্ছে আমাদের চিনে অতিথি। সেই পথে যেতে যেতেই দেখা হল বিশালকায় রাজহাঁসের সাথে, সদ্য পৃথিবীতে আসা ছানাদের সাঁতারের সাথে সাথে খাদ্য সংগ্রহের কলাকৌশল শেখাতেই সে ব্যস্ত। যে ছানা রূপকথার জাদুকর এই উত্তরেরই লোক হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসনের অমর গল্প কুচ্ছিত হাঁসের ছানা ( The Ugly Duckling)র মতই হতশ্রী দর্শন, কিন্তু কালের পরিক্রমায় তারা নিশ্চয়ই বাবা-মার মতই রূপের ডালি খুলে আবির্ভূত হবে ভবিষ্যতের গ্রীষ্মে।
সামনের কাঁকর ভরা সরু রাস্তা দিয়ে ঘেরা সবুজ মখমলের মত মাঠের উপরে প্রেমরত ইউরেশীয় সিঁথি হাঁস দম্পতির Eurasian Wigeon (Anas penelope) পুরুষটি ডানা ঝাপটে উড়াল দিল বটে কিন্তু স্ত্রীটি নুড়ি-কাঁকরের রাস্তায় সাহসী অবস্থান নিয়েই বোঝার চেষ্টা করতে থাকল আমাদের মতলব।
অবশেষে গোটা দ্বীপ পাড়ি দিয়ে প্রথম ডোবার ধারে পৌঁছাতেই অজস্র বার্নাকল রাজহাঁসের সাথে দেখা হল,
সবাই জোড়ায় জোড়ায়, তবে মিয়া-বিবির টকঝালমিষ্টি খুনসুটির সময় এখন নেই, তার ব্যস্ত ও ন্যস্ত ছানা পোনাদের নিয়েই। একটি পরিবার দেখেই মনে হল বাংলাদের পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরে এই ছবিটি পাঠিয়ে দেখি, শিরোনামে দিয়ে দেব ছোট পরিবার সুখী পরিবার।
আবার এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় মায়ের ডানার নিচে তার সন্তানদের দেখে অজানা ভাল লাগার আবেগে ভেসে গেল মন।
অবশেষে দেখা মিলল প্রার্থিত হাঁসটির, কিন্তু তার এমন দর্শন কেন! খুবই আকর্ষক দেখতে সে, কোনই সন্দেহ নেই, কিন্তু এমন ছোট পালকে সেই দ্বিগীজয়ী সম্রাটের রূপলাবণ্যের প্রায় সবটাই অনুপস্থিত।
সবজান্তার হাসি হেসে স্তেফান বলল, তুমি ভুলে গেছ এই হাঁসের প্রজননকাল এখনো শুরু হয় নি, কেবল মাত্র প্রজননকালেই তারা চিত্রবিচিত্র পালকে ভুবনমোহিনী অপরূপ সাজে সজ্জিত হবে বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণের জন্য। আসলেই তো, এই বিরল পাখি প্রকৃতিতে দেখার আনন্দে ভুলেই গিয়েছিলাম এই সাধারণ সত্যটি! কিন্তু তাই বলে এই প্রথমবারের মত এই হাঁসের ছবি তুলছি, এর রঙ ঝলমলে রূপ ফ্রেমবন্দী করব না !
উত্তর মিলল, কেন করবে না, কেবল কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করলেই তো এর সেই মনোহর পালকগুলো গজাবে, তখন পর্যন্ত উড়ে না গেলে আবার এসে ছবি তুললেই হবে। হায় মান্দারিন, তুমি কি ততদিন থাকবে ! ভাবছেন, কেন এমন হতাশ হয়ে পড়েছি? তবে দেখুন প্রজননকালীন সময়ে পুরুষ মান্দারিন হাঁসের আলোকচিত্র, তবে এই লেখায় এই একটি আলোকচিত্রই নেট থেকে সংগৃহীত। আশা করি, ভবিষ্যতে নিজের সংগ্রহেই এমন ছবি পাব যদি কেবল তার দেখা পাই।
হাঁস দেখতেই ব্যস্ত আমরা, এমন সময় ডোবার অন্য পারে বেশ দূরে এক ডালহীন বজ্রপাতে পোড়া ন্যাড়া গাছের মাথায় বিশালাকার এক প্যাঁচা এসে বসল জগৎ আলো করে, প্রথম দর্শনেই মনে হল হুতুম পেঁচা ( Bubo bubo) কিন্তু দূরবীনের চোখে দেখতেই ভুল ভাঙল, সেটি ছিল অপেক্ষাকৃত বিরল বড় কান পেঁচা (Long-eared Owl - Asio otus) , স্ত্রী পেঁচাটি মুহূর্ত কয়েক বসেই হয়ত গলিত স্থবির কোন ব্যাঙ খপ করে ধরার জন্য উড়াল দিল, কিন্তু তারপরও সে যদি ফিরে আসে, যদি বনের মাঝে পাওয়া যায় তার অপার্থিব ডানার কাঁপন তোলা বাতাসের মর্মর, সেই আশাতেই পোড়া গাছটির পানে গুটি গুটি এগোলাম আমরা।
কাছে যেতেই শুনি পেঁচার তীক্ষ ডাক, তবে কী পুরুষ পেঁচার আস্তানা এইখানে? না, দেখা মিলল অপূর্ব সুন্দর দুই বড় কান পেঁচার ছানার সাথে, একটি বেশ সাবালক হয়ে উঠেছে এরই মধ্যে, সদ্য উড়তে শেখা ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে আশা পাশের গাছগুলো দাপিয়ে বেড়াতে শুরু করল, সেই সাথে মাঝে মাঝে গাছের ডালে বসে বিচিত্র ভাবে আমাদের কাঁধ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখতে দেখতে যেন প্রমান করতে চাইল যে তার ইচ্ছা করলেই ২৭০ ডিগ্রী ঘাড় ঘোরাতে পারে, যেখানে আমাদের সামর্থ্য স্রেফ ৯০ ডিগ্রী!
অন্য ছানাটি বড়ই লাজুক, সে মায়ের খোঁজে অবিরাম দেকেই যাচ্ছে, হয়ত বা ক্ষিদে পেয়েছে বেশ, তাই সরব উপস্থিতি নিয়ে অপেক্ষা করছে ধেড়ে ইদুর মুখে মায়ের প্রত্যাবর্তনের।
সবুজ পাতা চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে নরম কোমল আলো, ঘোর লাগা চোখে হঠাৎ হঠাৎ মনে হচ্ছে পেঁচার ছানাটি স্বপ্নময় সবুজ পালকে আবৃত!
ডাকের সাথে সাথে তার চোখ খোলা-মেলা চলছে অবিরাম, এই সময়েই মাথার নিউরনে খেলে গেল এক দুষ্টু বুদ্ধি! আচ্ছা, সারা জীবনে যত বিখ্যাত প্যাঁচার আলোকচিত্র দেখেছি সবই তো প্যাঁচার পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকানো অবস্থায়, কিন্তু চোখ বন্ধ করা অবস্থায় কেমন লাগবে জাগ্রত পেঁচাকে দেখতে! নিশ্চয়ই ওত পেতে বসে থাকা কোন শ্বাপদের মত, কিন্তু ব্যাটা একসাথে দুই চোখ বন্ধ করতে চাই না কিছুতেই ! হয়ত বা আধা ঘণ্টাটাক আমাদের প্রবল চেষ্টা দেখে আধা সেকেন্ডেরও কম সময়ের জন্য খানিকটে কৃপা বরাদ্দ করল অভাগা মানুষদের জন্য!
মা পেঁচার দর্শন অনেক অপেক্ষার পরও না মেলাই ফেরার পথে আমরা, পথে দেখি এক কাঠবেড়ালি অদ্ভুত কায়দায় কিছু ঘাসজাতীয় উদ্ভিদ একসাথে করে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে বল বানাতে ব্যস্ত! বুনো কাঠবেড়ালির মুক্ত পরিবেশে এমন আচরণ চোখে পড়েনি আগে কখনো ! এটা কি তার খাবার নাকি কোমল শয্যার প্রস্তুতি সেটুকু বোঝার সুযোগ না দিয়ে উদ্ভিদপিন্ড নিয়ে সোজা এগোল আপন আস্তানার দিকে।
এই বিরল মুহূর্তকে ফ্রেমে রাখার আনন্দে ফিরছি, সেই সময় দেখা হল দিনের শেষ আগন্তকের সাথে। রাজকীয় চেহারার ইউরেশীয় ঝিনুকমার (Eurasian Oystercatcher, Haematopus ostralegus) ব্যস্ত খাদ্য সংগ্রহে। বাংলাদেশে অতি বিরল এই রক্তবর্ণের চোখের পাখিটির দর্শন উপকূলে মাঝে সাঝে মিললেও উত্তরের ভুখন্ডে এর দেখা মেলে সহজেই। দেখে চমৎকার লাগল ঝিনুকের শক্ত খোল কাটবার জন্য তার ঠোটটি কিভাবে অসাধারণ সার্জিক্যাল ছুরিতে পরিণত হয়েছে কোটি বছরের বিবর্তনে।
এভাবেই পিছনে চলে গেল পাখি পর্যবেক্ষণের চমৎকার এক বিকেল। মনে আশা, ফিরে আসব এই স্থানে আবার মান্দারিন হাঁসের প্রজননকালীন সময়ের ঝলমলে ছবি তুলতে, সেই সাথে পেঁচার ছানাদের বাড়তে দেখার জন্য।
( লেখায় ব্যবহৃত পাখিদের বাংলা নামগুলো পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক সম্পাদিত এশিয়াটিক সোসাইটির পাখি জ্ঞানকোষ থেকে নেয়া হয়েছে, উনিই প্রথম বাংলাদেশের সকল পাখির বাংলা নামকরণ করেছেন। বর্তমানে বিশ্বের সবপাখির বাংলা নামকরণের কাজে ইনাম আল হক অত্যন্ত ব্যস্ত, আশা করা যায় তার এই মুল্যবান সময় ও গবেষণার ফলে এই অপ্রাপ্তিটি আমাদের দূর হবে।
পাখিদের নিয়ে এই লেখাটি আমার পেঁচা পাগল রমা দি (কল্যাণী রমা) এবং ব্লগার ফাহিম হাসানের জন্য, যাদের এই পালকময় বন্ধুদের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা আমায় সবসময় মুগ্ধ করে। )
—
মন্তব্য
ইনাম আল হকের পাখির বাংলা নামকরণের চেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। পাখির নামকোষ তিনি অনলাইনে শেয়ার করলে মন্দ হতো না।
পোস্টটা দারুণ হয়েছে।
ইনাম আল হক এই ব্যপারে কাজ তো করছেন অনেক বছর ধরে, দেরি জিজ্ঞেস করে অন- লাইনে পাওয়া যাবে নাকি সেই মূল্যবান তালিকা।
ধন্যবাদ।
facebook
এখন পাওয়া না গেলেও, অনলাইনে দিতে আগ্রহী কিনা সেটাও প্লিজ জানায়েন। যদি কোন সাহায্য লাগে আর কি।
জানাব। তালিকা জোগাড় করলে কি সাহায্য করতে পারবেন অনলাইনের দেবার ব্যাপারে?
facebook
এই খানে পূর্ণ তালিকা আছে==
http://bangladeshbirdclub.org/Documents/Birds_of_Bangladesh.pdf
facebook
মনে করে জানানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পুরো ওয়েবসাইটটাই ঘুরে দেখলাম। প্রচুর তথ্য আছে পিডিএফ ফর্মে। তথ্য অন্য ফর্ম্যাটে আনতে চাচ্ছেন? আমি সাহায্য করতে আগ্রহী।
আপনার পোস্টের জন্য একটা ইমো দরকার। একই কথা বারবার বলতে কষ্ট হয়! এরপর থেকে,
[তারেকাণুপোস্ট:আর্কিছুব্লার্নাই] ইমো
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সেদিন এক সুন্দরী পাঠিকার সাথে লুলামো করতে গিয়ে শুনি, সে উদাস গলায় বলছে, তারেক অণু লোকটা দারুউউউণ লেখে! হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার হয়ে তারপর মাথা উঁচু করে (খারাপ অর্থে নিয়েন না কেউ) দাঁড়িয়ে (প্লিজ খারাপ অর্থে নিবেন না) অনুটপাখি হয়ে বল্লাম, আরে ধুর, কী সব লেখে না লেখে, যত্তোসব! তারপর ঠিক করলাম, তারেকাণুরে আরেকটা গল্প লিখে পিঠে ছুরি মারবো। এইরাম চলতে দেয়া যায় না।
এই তারেক নামের লোকগুলিই সুবিধার্না! তারেক জিয়া, তারেক মাহমুদ, তারেক অণু ... তারেক নামটা জামাল আর হাবিবের মতো পচায় ছাড়বে এরা।
হৈ দাদারা, আমার নামের আরবি অংশটা ছাড়েন তো আপনারা। এমনিই মাকে সারাদিন বলি, ভাল নাম রাখছ তারেক, যার বাংলা নক্ষত্র, এর বদলে বাংলায় নাক্ষত্রিক অণু রাখলে কত ভাল শোনাত! বাংলা কি একটা মধুর ভাষা! না, এখন নাম হয়ছে আরবি-বাংলার মেশানো খচ্চর!
facebook
ঐ অনার্য দা, আপনের এই কথা শুধু শুনেই গেলাম ৫ মাস ধরে! আপনি না স্বঘোষিত বা অঘোষিত মডু ! ক্ষ্যামতা দেখান মিয়াঁ
facebook
সচল হয়ে গলার জোর বেড়েছে দেখছি!
আমি আবার কি বললাম!
facebook
মুগ্ধ, বাকরুদ্ধ!
ছোটবেলায় আব্বু নানারকম চকচকে কাগজে ছবিওয়ালা বই এনে দিত। এর মাঝে একটা প্রিয় ছিল নামানুষী বিশ্বকোষ। আপনার লেখা পড়তে পড়তে সেই বইটার কথা মনে পড়ে গেল। কত বই যে মিস করি এই ছাতার বিদেশে!
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
সুন্দর লাগল আপনার মন্তব্য।
facebook
সুন্দর সুন্দর হাঁস দেখতে দেখতে পপ্পন খাচ্ছিলাম। হঠাৎ একজন প্যাঁচাকে দেইখা লাফ দিয়া সব ফালায়া দিলাম। প্যাঁচার মুখভঙ্গি দেখতে বড়ই ভালু পাই। আর ঐ বাচ্চা প্যাঁচাটা ভালো হইসে, আমি প্যাঁচা হইলে মুনায় আজকা পেডোফাইল হয়া পড়তাম!
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
আরে মিয়াঁ, পেঁচাদেরও বড় হইতে দেন !
facebook
ঘুমাইন্যা প্যাচার ছবিটা বেশী ভালা হইছে।
একটু অন্যরকমের।
facebook
সুন্দরম!!
সত্যম !!!
facebook
সুপার ডুপার। পেঁচার ছবি দেখে মুগ্ধ হলাম।
হিট না ফ্লপ !
facebook
আবার জিগায়
কী লেন্স ছিল? কত দূর থেকে নেয়া?
পেঁচারগুলো ৩০০ এমএম। দূরত্ব আমার উপরে না, পেঁচার উপরে নির্ভর করছিল !! হাঁসেরগুলো ৫৫-২০০ এম এম , অথবা ৩০০ এম এম
facebook
আরে কোন ফাঁক দিয়ে সচল হয়ে গেলেন। আগে তো বন্ধনী বলে একটি বিষয় ছিল যা দিয়ে বুঝা যেতো কে কখন সচল হলো। এখন হঠাৎ করে ভালো ভাবে খেয়াল করে দেখলাম আপনার নামের পাশে কুনু ছবি নাই। যাউকগা, সচলত্বে অভিনন্দন। আরেকটা ভালো পোলার মরণ হলো, এই আর কি।
তারেক অণু ভাই যেই পরিমাণ পোষ্ট দিসে, তাতেই মনে হয় কর্তৃপক্ষ ত্যাক্তবিরক্ত হয়ে তারে তাড়াতাড়ি সচল বানাইয়া দিসে। এতে যদি তার জ্বালাময়ী, হিংসাত্নক, ঘুমহরণকারী, অ্যাসিডিটি বৃদ্ধিকারী, ভ্রমণকাহিনী ভিত্তিক ফটুব্লগ দেওয়ার মাত্রা কমে। এ অনেকটা নিরব প্রতিবাদ। হা হা হা।
অনেক অনেক অভিনন্দন তারেক অণু ভাই।
শুভেচ্ছা শুভেচ্ছা।
facebook
অভিনন্দন হে সচল!
পোস্টে, ছবিতে যথারীতি ঈর্ষা রেখে গেলাম।
facebook
সচলাভিনন্দন বাংলার বতুতা (আসলে মনে হয় আরও বেশী)
আর লেখা নিয়ে কিছু বলবো না, যথারীতি [তারেক অণু ইমো]
অতীত
ধন্যবাদ।
facebook
প্রতিটা ছবি অ...সা...ধা...র...ণ...
facebook
মন ভরে গেল। এতো বেশি ভালো লেগেছে, বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা। ভালো থাকবেন।
খুশী হয়েছেন দেখে ভাল লাগল! কোন গিরগিটি দিই নি তো এবার !
facebook
love the life you live. live the life you love.
facebook
সচলত্বে অভিনন্দন।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ। আপনার নতুন লেখার অপেক্ষায় আছি।
facebook
ছবিগুলো একটু বেশী বেশী জীবন্ত। দেখছি তো দেখছিই। আর লেখা বরাবরের মতই (গুড়)
পাখিগুলো জীবন্ত যে !
facebook
কালারফুল মান্দারিনকে দেখে তো আমিই প্রেমে পরে গেছি
facebook
আর সব পাখি ছাড়ান দিলাম। কিন্তু এরকম রূপবতী পেঁচা আমি জীবনেও দেখি নাই।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আসলেই, পেঁচা যে সুন্দর একটা পাখি! দাঁড়ান একবার শুধু তুষার পেঁচার ছবি তুলে নিই, দেখবেন তার সৌন্দর্য।
facebook
সিঁথি হাঁসের ছবিটা অসম্ভব সুন্দর।
সচলত্বের অভিনন্দন।
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ। বাদাবনের লেখা আবার কবে পাব?
facebook
এই প্রথম চোখবোজা প্যাচা দেখলাম। সৈরম লাগলো।
ওরা তো সবসময়ই চোখ পাকিয়ে রাখে !
facebook
facebook
অনু ভাই, আপনার পোস্টে আর মন্তব্য করি না, শুধু দেখে যাই। মডুদের কাছে আমিও একটা ইমোর দাবী জানাইলাম।
সচলত্বের অভিনন্দন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
মন্তব্য না করলে হবে! হবে না ----
facebook
প্রিয় অণু অসাধারণ তোমার লেখা এবং ছবি। তোমার জয় হোক।
ধন্যবাদ জামী ভাই, কিউবার লেখাগুলো পড়েছেন আশা করি। বড় একটা লিখব এই বছরই সমগ্র পরিস্থিতি নিয়ে।
facebook
কোন ছবি দেখতে পাচ্ছি না। শুধু লিঙ্ক দেখা যাচ্ছে।
বলেন কি, এখন?
facebook
খুবই সুন্দর একটি পোস্ট।
লেখা ও ছবিতে > পূর্বের ন্যায়।
facebook
আমি আপনাকে... :|
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
উনারে ধরে বিয়ে দেওয়া ছাড়া আপাতত আর কোনো উপায় নাই এসব থামানোর
হৈ দিগন্ত মামুর বুটা ( চাচার ছেলে), এক্ষেবারে গ্যারাজ করে লিব, কাখে লাড়তে কাখে লাড়েছ।
facebook
সোনা বন্ধু তুই আমারে-----
facebook
ধুর মিয়া
facebook
দারুণ সব ছবি, সাথে চমৎকার বর্ণনা....পেঁচার ঘাড় ঘুরানো ছবিটা বেশী ভাল্লাগছে....
ধন্যবাদ।
facebook
হ। সাফি ভাই। আমিও কই - ধুর মিয়া......
তবে অনু মিয়া আমিও প্যাঁচায় পেচাম্বিত হয়ে পেচিয়ে পেলাম
ডাকঘর | ছবিঘর
আপনের প্যাঁচানো মন্তব্যে আমিও খানিকতে পেঁচিয়ে গেছি!
facebook
facebook
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
বুনো চাঁদ গেছে বুঝি বেনো জলে ভেসে---
facebook
কি যে ছবি আর বর্ণনা! হিংসা আগে লাগত, এখন আর লাগে না।
ভাই, প্যাঁচাটা যে ২৭০ ডিগ্রি কোণে মাথা ঘুরায় রাখছিল, ওইটা দেখে যে কি চমকে গেছি। চোখে বিভ্রান্তি লাগছিল। মনে হচ্ছিল ঠিক দেখছি তো?
২৭০ হতে তখনো বাকী ছিল ! এর পরে পেলে চেষ্টা করে দেখব।
facebook
অসাধারণ! সচলত্বে অভিনন্দন!
facebook
অভিনন্দন...মেক্সিকো আসার সময় ফিনল্যান্ডের সবচেয়ে ভাল মিষ্টির দোকান থেকে মিষ্টি আনবা এবং ডালাসে ফেডেক্স করবা, কেমন?
প্যাঁচা খুব সুন্দর, কোলে নিতে মন চাইলো
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
শেষ পর্যন্ত মিষ্টি! তার চেয়ে সান্তা বুড়োকে পাঠিয়ে দিই!
পেঁচারা তো সুন্দরই হয় !
facebook
আপনাকে দেখলেই হিংসা লাগে।
facebook
এই ছবিগুলি ফেইসবুকে দেইখাই কাইত হইয়া গেছিলাম। মাথাই নষ্ট!!
অভিনন্দন বন্ধু!! ফাটাইয়া লেখতে থাক এখন খালি!!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
লিখুম, লিখুম। শুধু জানুয়ারিটা যাইতে দে!
facebook
মনে পড়লো। একবার ছোটবেলায় গ্রামের বাড়িতে গেছিলাম শীতকালে। একদিন খুব ভোরে বাবা ঘুম থেকে জাগাইলো। কুয়াশায় ভালমত দেখা যায় না। বাবা কইলো, চল খাটি পুকুরপাড় এর দিকে যাই, গেলেই দেখবি! আমাদের কাঠের তৈরী দোতালা ঘর ছিল। ওইখানেই থাকতাম গ্রামে গেলে। কাঠের মই এর মত সিড়ি ছিলো। আমি আর বাবা জাম্পার মাফ্লার টাফ্লার জড়াইয়া সেই সিঁড়ি ভাইঙ্গা বাইর হইলাম । আমাদের বাড়ির পিছন দিকটায় ছিলো খাটি পুকুর, আসলে খাটো মানে ছোট পুকুর তো সবাই বলে খাটি পুকুর। তারপর সেদিন গিয়া যা দেখলাম তা আমি এই জন্মে ভুলতে পারুম না। আমার মনে হইতাছিলো আমি কোন অদ্ভুত সুন্দর জায়গায় আইসা পড়ছিলাম। একসাথে এতো বিচিত্র পাখি আমি আর আগে দেখি নাই। কিছু পুকুরে সাঁতার কাটতাছিলো, কেউ পাখা ঝাপটায়, মানে চারিদিকে একটা মেলা! আমি শুনছিলাম, দেখি নাই আগে। বুঝলাম এগুলিই অতিথি পাখি! আমি আর বাবা চুপ কইরা দেখতাছিলাম সব।
এই দিনটার কথা আমি জীবনেও ভুলুম না।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আহা, ভোলার ঘটনা না কি ! কি দারুণ! আমাদের পাখিশুমারির কথা খুব বেশী মনে পড়ছে।
facebook
অস্বাধারন সব ছবি আর বর্ণনা.......
সচলত্বে অভিনন্দন...
শুভেচ্ছা।
facebook
তুমি জানোনা তারেক অণু আমি তোমার লেখা আর ফটোগ্রাফির কী বিশাল ফ্যান। সেদিন তোমার সঙ্গে দ্যভিঞ্চির গ্রামটাও ঘুরে এলাম। আজকের হাঁস আর পেঁচাগুলোর ছবিও যথারীতি সুন্দর। তোমার দেখার চোখ এবং লেখার হাত দুটোই চমৎকার। শুভ কামনা।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
অনেক অনেক ধন্যবাদ রিটন ভাই। খুব ভাল লাগল আপনার উৎসাহ পেয়ে। লেখক আলী ইমামের বাড়ীতে আপনার ও আলী ইমামের সাথে সত্যজিৎ রায়ের সেই বিশাল ছবিটি সবসময় চোখের সামনে ভাসে।
( আমি ফটোগ্রাফির কিছুই জানি না রে ভাই, কেবল মনের মত দৃশ্য দেখলে ক্লিক ক্লিক করি)
facebook
সচলত্বের অভিনন্দন।...
ভাইরে, শেয়ার না দিয়াও পারলাম না। ধুর...
আরে, আমরা আমরাই তো !
facebook
<তারেক অণু ইমো>
পেঁচা খুব্বি কিউট একটা পাখি। পেঁচার মাথা ঘুরিয়ে এদিকসেদিক তাকানোর ভঙ্গিটা দারুণ।
ছবিগুলো অনেক বেশি জীবন্ত !
ধন্যবাদ। পরে একবার এই ভঙ্গিগুলোর ভিডিও করতে হবে.
facebook
এই পোস্টটা কিন্তু আপনার নাম দেখে পড়িনি। পেঁচার জন্য পড়া।
পেঁচা কে কেন জানিনা খুব ভাল লাগে। আদুরে। ঘাড় কাত করে কি সুন্দর তাকিয়ে আছে।
আসলেই, কি যে চমৎকার একটা পাখি!
facebook
অণু ভাই, এই পোস্টে দুইটা মন্তব্য করলাম - প্রথমে একটা ছোট মন্তব্য, তারপরে একটা বিশাল সাইজের - কোনটাই দেখি নাই।
যাই হোক, এই পোস্টে আমার নাম দেখে খুব খুশি লাগছে। সেই সাথে গর্বিত ও কিঞ্চিৎ লজ্জিত।
একটা অনুরোধ - আপনি তো পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে, বিশেষ করে পাখি নিয়ে অভিজ্ঞ, আনার লেকখায় একটু বেশি করে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের মেসেজটা আসুক।
চরকির মত বন বন করে ঘুরতে থাকুন - এটাই প্রত্যাশা।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আজিব, এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতে হবে।
এই দুই বিষয়েই আমি আসলেই বিশেষজ্ঞ, মানে বিশেষ ভাবে অজ্ঞ। কিন্তু জানতে খুব ইচ্ছে করে ভাল লাগে।
ঘোরা শুরু হবে সামনে সপ্তাহে, ইস, যদি খালি গুয়াতেমালার বৃষ্টি অরণ্যে কেটজাল পাখির একটা ছবি পেতাম !
facebook
রাবির পুকুরপাড়ে অনেকগুলো পাখি দেখলাম। একটা পাখি কেউই চিনতে পারল না। পাখির নাম না জানলে কেমন যেন অসস্তি লাগতে থাকে। এত সুন্দর পাখিটা। কল্যাণ ভেবে টেবে বলল, বোধ হয় বক। তখন হটাত মনে হল, আহা অণু থাকলে বেশ হত। নামটা জেনে নিতাম, টকাটক কতক ছবিও তুলিয়ে নিতাম। তারপর নিজের নামে পোস্ট দিতাম ! বেশ হত না ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কল্যাণ দা একটা ফাজিল , বক বললেই হবে, দেশে অন্তত ৩০ ধরনের বক আছে তাও নিশাচর নিশি বল ছাড়াই! দাঁড়ান , রাজশাহী গেলে আমরা পদ্মায় পাখি দেখতে যায় সবসময়, আপনিও দলবল নিয়ে চলে এসেন।
facebook
ওহো অবান্তর হলেও বলি, পোস্টটা দুর্দান্তিস লাগল। পেঁচা আমি ব্যাপক ভালু পাই। আর... সচলাভিনন্দন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
facebook
ঘাড় বাঁকা করে তাকিয়ে থাকা পেঁচাটা কী আদর আমি নিবো ওইটা পেঁচা খুব সুন্দর একটা পাখি। দেখলেই আদর লাগে।
তারেক অণু ইমো চাই
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
নেওয়ার দরকার নাই! বরং তাদের বাড়ী করে দিও তোমাদের বাড়ীর গাছে
facebook
নতুন মন্তব্য করুন