জার্মানির প্রাচীনতম শহরে, কার্ল মার্ক্সের বাড়ীতে

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: শুক্র, ২৩/১২/২০১১ - ৩:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জার্মানি থেকে গাড়ী চালিয়ে বেলজিয়ামের দিকে যাচ্ছি, পথে মধ্যাহ্ন ভোজনের জন্য থামা হল গাছপালা ঘেরা, পাখির ডাক ভেসে আসা এক নির্জন মেঠো জায়গায়, যেখানে আমাদের মত ভবঘুরেদের যাত্রাপথে পেটপূজার সুবিধার্থে গোটা কয়েক কাঠের বেঞ্চি বসানো আছে। সেখানে বাক্স-পেঁটরা খুলে রুটির উপড়ে পুরু করে জ্যাম লাগাতে লাগাতে পরবর্তী গন্তব্যের সুলুক সন্ধানে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। যদিও ঠিক করাই আছে সীমানার ঠিক কাছেই ত্রিয়ের শহরে থামব, তারপরও ফুরসৎ মিললেই ম্যাপ দেখে রাস্তার নির্দেশনা ঝালিয়ে নেওয়াটা সবসময়ই অবশ্য কর্তব্য। বিশাল এক তরমুজ মুখসুদ্ধি হিসেবে ব্যবহার করে আবার চলল গাড়ী যাত্রাবাড়ী, গন্তব্য- ত্রিয়ের।

ত্রিয়েরকে বলা হয় জার্মানির সবচেয়ে পুরাতন শহর, রোম সাম্রাজ্যের যাত্রা শুরুরও কয়েকশ বছর আগে এই শহরটি বিশ্বের মানচিত্রে নিজস্ব স্থান করে নেয়, প্রত্নতাত্ত্বিকরা অনেক গবেষণার পরে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে ত্রিবেতা নামের এক আসিরিয়ান যুবরাজ ত্রিয়েরের গোড়াপত্তন করেন প্রায় ৪০০০ বছর আগে!

পরবর্তীতে রোমানদের প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে ব্যবহৃত হয় শহরটি, এখনো জনপদের বিভিন্ন স্থানে রোমানদের তৈরি নানা স্থাপত্য সগর্বে সেই দ্যুতিময় অতীতের কথা মনে করিয়ে দেয়, তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে সুপ্রসিদ্ধ হল পোর্টো নিগ্রা, শহরের একেবারে কেন্দ্রে অবস্থিত এক সুউচ্চ, অপূর্ব স্থাপত্যশৈলীর এক প্রবেশদ্বার, আল্পস পর্বতমালার উত্তরে অবস্থিত এটিই সর্ববৃহৎ রোমান প্রবেশদ্বার।

n608590496_2322209_5716

ত্রিয়েরে ঢোকার পরপরই অতি আকর্ষণী পোর্টা নিগ্রা চোখে পড়ার সাথে সাথে সময় যেন পিছিয়ে গেল দুই হাজার বছর, কালের অমোঘ নিয়তিতে সুবিশাল এই স্থাপত্যের অনেক জায়গায়ই মূল রঙ চটে কালো হয়ে গেলেও অটুট খিলানগুলি দেখে বোঝা যায় আরও অনেক দিন কালের করাল গ্রাস ও বর্তমান সভ্যতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তা টিকে থাকবে। পোর্টা নিগ্রা সহ ত্রিয়েরের বেশ কিছু রোমান স্থাপত্য ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব সম্পদ মানে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বলে ঘোষিত।

n608590496_2322108_9973

বেশ খানিকটা সময় এই বিস্ময়টি পর্যবেক্ষণ করে এগোলাম শহরের অন্য প্রান্তে একটি বিশেষ বাড়ীর উদ্দেশ্যে, মূলত যা দর্শনের জন্যই আমাদের আগমন এই প্রাচীন শহরে। হাতের ম্যাপ দেখে এই গলি, সেই গলি ঘুরে অবশেষে তেঁতলা সেই বাড়ীর সামনে দাঁড়ালাম বিমুগ্ধ চিত্তে,যার দরজায় ধাতব ফলকে লেখা কার্ল মার্ক্স হাউজ মিউজিয়াম!

n608590496_2322109_898

হ্যাঁ, বন্ধুরা, এই বাড়ীতেই জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বখ্যাত দার্শনিক, কম্যুনিজম ও মার্ক্সবাদের জনক কার্ল হাইনরিখ মার্ক্স, যার মতবাদ ও চিন্তাধারা অনুপ্রাণিত ও প্রভাবিত করেছে শত শত কোটি মানুষকে একটি শ্রেণীবৈষম্যহীন সমাজ গঠনের জন্য।
বর্তমানে বাড়ীটিকে দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে জাদুঘরে পরিণত করা হয়েছে, টিকেট কেটে ঢুঁকে পড়লাম সেই পুণ্য তীর্থে।
কার্ল মার্ক্স ১৮১৮ সালের ৫মে এই বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন, বিদ্যালয় জীবন শেষ করে উচ্চ শিক্ষার্থে যখন তিনি বন বিশ্ব-বিদ্যালয়ে গমন করেন ততদিনে এই ত্রিয়েরে অতিবাহিত হয়ে গেছে ১৭টি বসন্ত। সেই অর্থে বলা যায় অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজ বিজ্ঞান, ধর্ম, দর্শনসহ নানা সামাজিক কাঠামো নিয়ে তিনি যে বৈপ্লবিক তত্ত্বগুলো রচনা করেছেন তার বুনিয়াদ এই শহরটিতেই।

১৩ বছর বয়স পর্যন্ত মার্ক্স বাড়ীতেই পরিবারের তত্ত্বাবধানে অধ্যয়ন করতেন, এরপরে তার বিদ্যালয় গমন শুরু হয়। বাড়ীর প্রতিটি কক্ষই অত্যন্ত যত্ন নিয়ে সাজানো, চেষ্টা করা হয়েছে সেই সময়ের আসবাবপত্র দিয়ে অতীতের একটা আবহ ধরে রাখার। কয়েক জায়গায় আছে মার্ক্সের প্রথম প্রকাশিত নানা রচনা ও বইয়ের অতি দুর্লভ পাণ্ডুলিপি, সেই সাথে ছাত্রাবস্থায় রচিত কবিতাগুচ্ছ, পরিবার ও অন্যান্য কাছের মানুষদের সাথে তার আলোকচিত্র, ব্যবহার্য নানা ব্যক্তিগত জিনিসপত্র।

কিউরেটরের কাছে জানা গেল বছরে বত্রিশ হাজার পর্যটক আসেন বাড়ীটিকে দেখতে, এর মাঝে এক তৃতীয়াংশই চীনা। হিটলারের নাৎসিবাহিনী ক্ষমতা দখলের পরপরই এই বিশ্বখ্যাত বাড়িটি জবর দখল করে ছাপাখানার কাজে ব্যবহার করে বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিন পর্যন্ত! পরবর্তীতে ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু হয় জাদুঘরটির অগ্রযাত্রা।

মার্ক্সের নিজের হাতে লেখা কিছু চিঠিও আছে প্রদর্শনের জন্য, ভাবলে সত্যিই অবাক হতে হয় কি অতিমানবীয় দূরদর্শী ও সুদূরপ্রসারী চিন্তাধারার অধিকারী ছিলেন এই আত্নভোলা দার্শনিকটি, ভারতীয় উপমহাদেশে সাম্রাজ্যবাদের পতন ঘটার সম্ভাবনা তিনি দেখেছিলেন তা ঘটার শত বছর আগে, বর্তমান বিশ্বের টালমাটাল বিপর্যস্ত টালমাটাল অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলো যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থা গ্রহণের চিন্তা ভাবনা করছে তা মার্ক্সের চিন্তাপ্রসূত অর্থনীতিরই প্রতিফলন! যে কারণে সাম্প্রতিক টাইম ও নিউজউইকের মত ম্যাগাজিনে কার্টুন ছাপা হয়েছে কবর থেকে হাসতে হাসতে বেরিয়ে আসছেন কার্ল মার্ক্স!

বাড়ীটির অধিকাংশ কক্ষই একটির সাথে আরেকটি কক্ষ জুড়ে গ্যালারী মত করা হয়েছে, এমন কয়েকটি কক্ষে চারদিকের দেয়াল জুড়ে মার্ক্সবাদ গ্রহণকারী রাষ্ট্রনায়ক ও বিপ্লবীদের নানা ঐতিহাসিক মুহূর্তের আলোকচিত্র, আছে জনগণের ভোটে প্রথমবারের মত গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত মার্ক্সসিস্ট রাষ্ট্রপতি চিলির সালভেদর আয়েন্দে, কিউবান বিপ্লবের প্রাণপুরুষ ফিদেল কাস্ত্রো ও চে গুয়েভারা, গণচীনে কমিউনিজমের প্রতিষ্ঠাতা মাও সে তুং, কঙ্গোর নিহত বিশ্বনেতা প্যাট্রিস লুমুম্বা, স্বাধীন ভিয়েতনামের স্বপ্নদ্রষ্টা হো চি মিন।

n608590496_2322210_6652

n608590496_2322110_1744

তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন, আফ্রিকা, ল্যাতিন আমেরিকার বিভিন্ন রাষ্ট্রনায়ক ও জনপ্রতিনিধিদের ছবি, তাদের সম্পর্কিত অজানা তথ্যের সম্ভার, নানা স্মারক।
একটি কক্ষের মেঝেতে বিশালাকৃতির পৃথিবীর ম্যাপ যাতে এককালের কম্যুনিজম অধ্যুষিত দেশগুলো আলাদাভাবে চিহ্নিত করা আছে সেখানে দেখা যায় একসময় বিশ্বের অনেক দেশেই চালু ছিল সেই শাসন ব্যবস্থা,

n608590496_2322112_3584

তবুও বিশাল কিন্তু থেকে যায়-- স্ট্যালিনের রাশিয়া, চসেস্কুর রোমানিয়া, পলপটের কম্বোডিয়া, কিম জং ইলের উত্তর কোরিয়ায় চালিত শাসন ব্যবস্থাকে কি কম্যুনিজম বলা চলে ! যেখানে শ্রেণীবৈষম্যহীন সমাজ গড়ার বদলে বিশেষ কিছু ব্যক্তি বা শ্রেণী দণ্ডমুণ্ডের সর্বময় কর্তা হয়ে বসে ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করে!

কার্ল মার্ক্সতো কখনোই চান নি পারিবারিক ভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর, নেতাদের হাতে কুক্ষিগত ক্ষমতা ও অর্থনীতি, কিংবা মার্ক্সবাদকে ক্ষমতায় আরোহণের সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে। কিন্তু বিপ্লবের নামে অসংখ্যবার তা ঘটেছে এই বিশ্বে এবং ঘটছে। হয়ত সত্যিকারের শ্রেণী বৈষম্যহীন বিশ্ব আসলেই এক ইউটোপিয়া অথবা তা ঘটাবে ভবিষ্যতের মানুষেরা।

দোতলার যে ঘরটিতে কার্ল মার্ক্সের জন্ম গভীর শ্রদ্ধা নিয়ে একে একে তার ভিতরে গেলাম সবাই, এখানেই জন্ম নিয়েছিল সেই শিশুটি, নিয়েছিল তার প্রথম নিঃশ্বাস, পেয়েছিল প্রথম ঘ্রাণ, পড়েছিল দৃষ্টিপথে প্রথম আলো, শুনে ছিল প্রথম কলতান, বিকশিত হয়েছিল ধীরে ধীরে এক বিশ্ব মানবে।

n608590496_2322111_2661

মানব জাতির ইতিহাসে একমাত্র ধর্ম প্রচারকরা বাদে আর কেউই মার্ক্সের মত শত শত কোটি মানুষের উপরে এতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেন নি। আজো বিশ্বের মোট জনসংখ্যার বিশাল একটি অংশ মনে করে মার্ক্সের প্রদর্শিত পথই আমাদের মুক্তির একমাত্র উপায়, যদি তা সত্যিকারের সততার সাথে ব্যবহার করা হয়। এই মহামানব তীর্থ থেকে এক অসাধারণ অজানা ভাল লাগার অনুভূতি নিয়ে রওনা দিলাম ত্রিয়েরের কেন্দ্রের দিকে।

( এই লেখাটি হিমুদার জন্য, আমি জানি না উনি কার্ল মার্ক্সের মতবাদ পছন্দ করেন কি না, কিন্তু এটুকু জানি তিনি আমাকে জার্মানিতে পেলে হাত-পা বেঁধে সেলারে ফেলে রাখার ক্রমাগত ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন, তাই জার্মানির শহর নিয়ে লেখাটি তার জন্যই থাকল!!!

এই লেখার কিয়দংশ একটি ছবিসহ কার্ল মার্ক্সের জন্মদিন উপলক্ষে এক সাপ্তাহিক ক্রোড়পত্রে প্রকাশিত হয়েছিল।)


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

আমিও ফিনল্যাণ্ড যামু। হেলসিংকির পথেঘাটে ফটু তুল্মু। তারপর পোস্টামু। দেইখ্যেন খালি। হ।

ফাহিম হাসান এর ছবি

ছোট্ট কৌতূহল: জার্মানিতে বর্তমান প্রজন্মের যাদের সাথে আপনার মিলমিশ - তারা কার্ল মার্ক্সকে কিভাবে দেখে?

হিমু এর ছবি

মার্ক্সিস্ট ছাত্রদের সাথে আমার ওঠবোস কম। মার্ক্সকে নিয়ে তাদের সাথে তেমন আলাপও হয়নি। সুমন চৌধুরীর ইয়ারদোস্তোরা খুবই নিষ্ঠাবান মার্ক্সিস্ট, উনি ভালো বলতে পারবেন।

তারেক অণু এর ছবি

আইয়্যা পড়েন! কিন্তুক শীতে না আসিলেই ভাল!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

সচলেই একজন আছেন, আমাদের হাছিব্বাই। ট্রিয়ার ভ্রমন নিয়ে হাছিব্বাইয়ের একটা লেখা ছিলো মনেহয় অনেক আগে। পূর্ব ইয়োরোপীয় ললনাকুলের ঝুটঝামেলা শেষ করে নিশ্চয়ই তিনি মার্ক্সের ব্যাপারে আবারও লিখবেন, এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আজকের মতো অধিবেশন এখানেই শেষ করছি।

তারেক অণু এর ছবি
অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

যারা রাশান শাসনামলে বেড়ে উঠেছে তারা কার্লমার্ক্সকে যথেষ্ট অপছন্দ করে (কার্লমার্ক্স = কমিউনিজম = রাশিয়া)! কার্লমার্ক্স আমার ভার্সিটির অ্যালামনাই। শহরের একটা রাস্তার পাশদিয়ে ভার্সিটির/শহরের স্কলারদের মুর্তি আছে। কার্লমার্ক্সেরটা এখন নেই। রাশিয়ার উপর ক্ষেপে লোকে ভেঙে ফেলেছে! রাশিয়া মানে এই অঞ্চলের মানুষের কাছে দারিদ্র, অন্যায়, শোষন!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তারেক অণু এর ছবি

অনেক জায়গাতেই এই ধারণা আছে, পোলিশরা তো নাৎসিদের চেয়ে সোভিয়েতদের এখনো বেশী ঘৃণা করে। স্ট্যালিন আর তার উত্তরসুরিরা যে কুকাম করে গেছে তার দোষ পড়েছে মার্ক্সের নামের ওপর। যে কারণে অনেকে মনে করেন কমিউনিজমের বিপ্লব হয়েছিল ভুল দেশে, ভুল জাতির মাঝে। মার্ক্স নিজেও আশা করেছিলেন এই বিপ্লব হবে ফ্রান্স, ইংল্যান্ড বা জার্মানিতে।

রু (অতিথি) এর ছবি

পড়ে কুল পাই না। আপনি এতো লিখেন কী করে!

খুব ভালো লাগলো, অসম্ভব সুন্দর বর্ণনা। ঘোরাঘুরি চালিয়ে যান।

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ, এত লিখলাম কই! লিখতে চাই, সময়, হা সময় !

শামীমা রিমা এর ছবি

এতো লিখার পরও যদি বলেন লিখলাম কই ? তা হইলে ভাই,যামু কই? চিন্তিত

তারেক অণু এর ছবি

কোথাও যাবার প্রয়োজন নেই, পাশেই থাকুন।
আসলেই লিখার সময় খুব কম পাই, বড় লেখাতে হাত দেওয়া খুব মুশকিল।

ফাহিম হাসান এর ছবি

ত্রিয়েরের গোড়াপত্তন করেন প্রায় ৪০০০ বছর আগে! উরেব্বাস।

লেখা ভাল হয়েছে, তবে ছবিতে আপনার মুখ স্পষ্ট নয় - ভিন গ্রহের বাসিন্দা বলে সন্দেহ হয়।

তারেক অণু এর ছবি
রু (অতিথি) এর ছবি

ফাহিম, আপনি মনে হয় ঠিক ধরেছেন। তারেক অণু আসলেই মনে হয় ভিন গ্রহের প্রাণী, নাহলে তেনাদের (জ্বীন, ভূত-প্রেত) একজন। নাহলে এতো ঘুড়ে কী করে? কার্ল মার্ক্সের প্রাচীন বাসায় অতি উত্তেজিত হয়ে আসল রুপ বের হয়ে পড়েছে।

তারেক অণু এর ছবি
শামীমা রিমা এর ছবি

তারেক অণু আসলেই মনে হয় ভিন গ্রহের প্রাণী, নাহলে তেনাদের (জ্বীন, ভূত-প্রেত) একজন। নাহলে এতো ঘুড়ে কী করে? কার্ল মার্ক্সের প্রাচীন বাসায় অতি উত্তেজিত হয়ে আসল রুপ বের হয়ে পড়েছে।

একদম খাঁটি কথা ।

তারেক অণু এর ছবি
সুমাদ্রি এর ছবি

স্তালিন না থাকলে রাশিয়ায় মার্কসবাদ সফল হত কিনা সন্দেহ প্রকাশ করেন অনেকেই। স্তালিনের মৃত্যুর সাথে সাথেই সোভিয়েতের সাম্যবাদী অর্থনীতির পতন শুরু হয় বলেও অনেক মার্কসবাদী মনে করেন। যা হোক, বরাবরের মতই সুলিখিত, ছবিগুলো এখনও দেখতে পেলাম না নেট স্লো বলে। যাত্রা অব্যাহত থাকুক। শুভকামনা।

তারেক অণু এর ছবি

স্টালিনের সময় কোন মার্ক্সবাদ ছিল বলে মনে হয় না! এগুলো সব প্রপাগান্ডা, যে লোক ক্ষমতায় থেকে নিজের দেশের প্রায় ৫ কোটি মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় সে কিসের মার্ক্সবাদী???

shafi.m এর ছবি

চলুক ঘোরা-ঘুরি চালু রাখেন।

শাফি।

তারেক অণু এর ছবি

আর ৬ দিন সময় দেন, শুরু হল বলে !

তারাপ কোয়াস এর ছবি

বস ওইখানে বড় এক তেজসৃপের ডিম্বক হস্তে কাউকে ইতঃস্থত ঘুরতে দেখেন নাই? কপাল ভালা আপ্নের(বাসায় আইসা দুইটা টার্কি সদকা দিয়েন দেঁতো হাসি )


love the life you live. live the life you love.

তারেক অণু এর ছবি

দেখছি তো, কিন্তু গায়ে হলুদ পাঞ্জাবি বা খালি পা ছিল না !

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

আপনার চোখ দিয়ে বেশ ভালোই দেশ-বিদেশ ঘুরছি কিছুদিন যাবত। আপনার অনান্য পোষ্টের মতো আরো ছবি আশা করেছিলাম। বিশেষ করে, "বাড়ীর প্রতিটি কক্ষই অত্যন্ত যত্ন নিয়ে সাজানো, চেষ্টা করা হয়েছে সেই সময়ের আসবাবপত্র দিয়ে অতীতের একটা আবহ ধরে রাখার।" এসবের ছবি। কখনো তো আর যাওয়া হবে না, তাই বর্ণনা পড়ে আর ছবি দেখেই ভ্রমনটা সেরে ফেলা যেত। ভেতরে ছবি তোলা কি নিষেধ নাকি?

--------------------------------------------------------------------------------

তারেক অণু এর ছবি

ছবি হারিয়ে গেছে বেশ কিছু ! আচ্ছা, পরের পোস্টে অনেক ছবি দেওয়ার চেষ্টা করব।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য।

তাপস শর্মা এর ছবি

পোস্টটা খুবই চমৎকার লাগল। আসলে আমাদের বর্তমান প্রজন্ম কেমন ভাবছে মার্ক্সবাদ নিয়ে সেই আলোচনাও আসুক চলুক

যেমন আমি একটা প্রসঙ্গ তুলে দিয়ে যেতে পারিঃ- তৃতীয় বিশ্বের দেশেই এখন মার্ক্সবাদ সীমিত হয়ে যাচ্ছে। আর অন্যত্র বিকল ? আর এই শতাব্দীতে এসে মার্ক্সবাদের ধারণা কেন বদলে যাচ্ছে ? কমিউনিজম মানের সর্বহারার কথা বলার সোপান ? যদি তাই হয় তাহলে ধনতন্ত্রই কেন শেষ কথা বলে? তাহলে কি বলা যায়না পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে সমাজতন্ত্রের কথা বলাটা এই সময়ে এসে একটা পরিহাস মাত্র ?

তারেক অণু এর ছবি

অপেক্ষা করেন, কোন যে শেষ কথা, সময়ই বলে দেবে।

তাপস শর্মা এর ছবি

তা ঠিক। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে, তার উত্তর খোঁজা কিন্তু প্রয়োজন। তাই নয় কী ?

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই। কিউবা নিয়ে বড় পোস্টটাতে কিছু আলোচনা করার চেষ্টা করব এই নিয়ে।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

সার্থক এ জনম তোমার !
সর্বাত্মক মঙ্গল কামনায়...।

তারেক অণু এর ছবি
মুস্তাফিজ এর ছবি

ভালো লাগলো

...........................
Every Picture Tells a Story

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ।

সাফি এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
দুর্দান্ত এর ছবি

পরের পরবের নাম গেস করিঃ লুক্সেম্বুরগ!

তারেক অণু এর ছবি

হতেও পারে চোখ টিপি না, পরের পোস্ট অন্য জায়গা নিয়ে, লুক্সেমবার্গ নিয়ে অন্য সময় লেখব.

উচ্ছলা এর ছবি

এক কথায় চমৎকার চলুক
বর্ণনা, ছবি যথারীতি নাইস হয়েছে হাসি
আর...ব্লু টি-শার্টে তোমাকে দারুন ছাম্মাক-ছাল্লো দেখাচ্ছে হাসি হাসি হাসি

তারেক অণু এর ছবি

সবুজ কোট, কালো চশমা হবে নাকি চাল্লু

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ভাল আবার কইতে হইব? অল্টাইম তো সেইডাই কই। অন্য কিছু কওনের সুযোগ দিলেন কই?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তারেক অণু এর ছবি

দিব দিব! দাঁড়ান , উধাও হবার সময় আসিতেছে---

দ্যা রিডার এর ছবি

বেড়ানতে চলুক যতদূর জানি , কার্ল মার্ক্স এর শেষ দিকের জীবন সন্তানদের মৃত্যু ,প্রচণ্ড দুঃখ , কষ্ট এবং অভাব অনটনে কেটেছে ... ভুল জানি কি ?

তারেক অণু এর ছবি

সত্যিই। উনি লন্ডনে সমাহিত হন।

সাদরিল এর ছবি

লেখাটি দারউন লাগলো।পড়ে মনে হলো,আপনার সাথে আমিও মার্কসের বাড়িতে ঘুরছিলাম

তারেক অণু এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ। এর চেয়ে বেশী কি চাওয়া সামান্য লেখা থেকে।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আপনার যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে আপনাকে সচল করা হল! আর পারা গেল না! আমার পাঠিকাও সব ভাগিয়ে নিচ্ছেন! মন খারাপ

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তারেক অণু এর ছবি

সচল করলে হয়ত ন, ইমো কই! খাইছে

ধুসর গোধূলি এর ছবি
তারেক অণু এর ছবি

মানে কি!

মাসুম এর ছবি

চমৎকার পোস্ট

masum14

তারেক অণু এর ছবি
সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই পোস্টে ফাঁকী দিছেন
আরো বিস্তারে দেন

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তারেক অণু এর ছবি

দিলাম একটু ফাঁকি ! জীবনই তো ফাঁকি রে ভাই !

দ্রোহী এর ছবি

আপনে মানুষটা বহুত খ্রাপ!

জার্মানীতে বসবাসরত ব্যাচেলর সচলদের ভাগের বালিকাগুলোও হাতানোর মতলব করে বসে আছেন!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আপনে তীরুদা, বদ্দা, হাছিব্বাই আর ময়নারে ব্যাচেলর কন! ঠাডা পড়বো, ঠাডা।

তারেক অণু এর ছবি

হ, আমার তো আর খ্যায়া দ্যায়া কাম নাই !
দখলের কি আছে শুনি, যার যার তার তার!

আশরাফুল কবীর এর ছবি

#প্রিয় তারেক অনু ভাই,

আমি মনে করি আপনি এসময়ের "ইবনে বতুতা" বা তার চেয়েও বেশী.....আপনার মাধ্যমে অনেক অনেক সুন্দর পোষ্ট ও ছবি পড়তে পারছি, দেখতে পারছি। গন্ধরাজ ফুলের শুভেচ্ছা ও ভালবাসা।

>সুন্দর থাকুন সবসময়, এ প্রত্যাশায়..

তারেক অণু এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকুন সবসময়।

মুহিত হাসান এর ছবি

চোখ টিপি

তারেক অণু এর ছবি
holudhimu এর ছবি

দারুন পোস্ট ! আপনার লেখা সবসময়ই ভাল পাই !

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ উৎসাহ দেবার জন্য।

জালিস এর ছবি

তারেক অণু চলুক চলুক চলুক চলুক চলুক

তারেক অণু এর ছবি
আউটসাইডার এর ছবি

বরাবরের মতো অসাধারন। তবে আরো বিস্তারিত চাই অণুদা। আর কোন এক ভ্রমনে আপনার সঙ্গী হওয়ার আশা রাখি।

ভাল থাকুন। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই। আপনি আছেন কোথায় জানান, ডেরার দরজায় ঠোকা দেব যে কোন দিন!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।