বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত কবরস্থান - পের লা শেজ্

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: শনি, ২৪/১২/২০১১ - ৮:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

111

২০১০ এর পয়লা দিন, প্যারিসের বাতাসে মৃদু হিমের আমেজ, সকালের দুধ-চিনি ছাড়া কড়া কফিও হাড়ে কাঁপন তোলা বাতাসের সাথে ঝুঝে উঠতে পারছে না, একগাদা শীতের পোশাক পড়ে জবুথুবু হয়ে আমরা দাড়িয়ে আছি পের লা শেজ্এর মূল ফটকের সামনে।

109

প্যারিসের সবচেয়ে বড় কবরস্থান পের লা শেজ্‌, তার চেয়েও বড় কথা সারা পৃথিবীতে এর চেয়ে বেশী দর্শনার্থী আর কোন কবরস্থানে দেখা যায় না। হবে নাই বা কেন? এত বিখ্যাত সব ব্যক্তি- দার্শনিক, চিত্রকর, সঙ্গীতজ্ঞ, লেখক, রাজনীতিবিদ, রূপালী পর্দার তারকা, সে ফরাসীই হোক কি ভিনদেশী, নানা ধর্মের নানা মতের- সবারই শেষ বিশ্রামস্থল হিসেবে পের লা শেজ্‌ পরিণত হয়েছে লাখো মানুষের অবশ্য গন্তব্যে আর সেই সাথে পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত কবরস্থানে।

115

প্রায় ১২০ একরের এই কবরস্থানে তিন লক্ষাধিক কবর আছে, আর আছে মাকড়সার জালের মত বিছানা অসংখ্য আঁকাবাঁকা পথ, কাজেই প্রথমেই মূল দরজায় ২ ইউরোর ম্যাপ কিনতে হল যাতে যেখানে যেখানে যেতে চাই যেন অল্প হয়রানির পরপরই পৌছাতে পারি।

110

বিখ্যাত সব ব্যক্তিদের শেষ আশ্রয়স্থল হবার সাথে সাথে পের লা শেজ্‌ প্যারিসের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন সবুজে ছাওয়া পার্ক আর সেই সাথে আকর্ষণীয় সব স্থাপত্যের সমাহার। আসলে, প্রতিটি কবরের এপিটাফ-ই তো অন্যটার চেয়ে আলাদা, আপন আপন বৈশিষ্ট্যে স্বকীয়।

119

প্রথমেই হাতের ম্যাপ অনুযায়ী কাছে হওয়ায় এগোলাম ফরাসী সাহিত্যে নতুন দিক উম্মোচনকারী বালজাকের সমাধির দিকে, সমাধির উপরে তার আবক্ষ ভাস্কর্য, ইতস্তত ছড়ানো কিছু ফুল।

120

পরের গন্তব্য অন্যতম সেরা ফরাসী চিত্রকর ইউজেন দেলাক্রয়ার সমাধি, যার আঁকা অসংখ্য অমূল্য চিত্রকর্ম শোভা পাচ্ছে ল্যুভ সহ অন্যান্য জাদুঘরে। জাঁকালো এক কালো রঙের কফিন সদৃশ্য এপিটাফ পেয়েছেন ভদ্রলোক, যার উপরে তার বিখ্যাত নাম সোনালী রঙে লেখা।

121

এরপর নানা সমাধির ভিড় থেকে খুঁজে খুঁজে বাহির করতে হল ফরাসী ভাষার অন্যতম সেরা ও জনপ্রিয় কবি গীয়ম অ্যাপোলোনীয়রের শেষ বিশ্রামস্থল,

127

যেখানে গ্রানাইটে খোদাই করা আছে তার অমর অক্ষয় পঙক্তিমালা, মনে পড়ে এই সমাধি দর্শনে এসে আবেগপ্রবণ হয়ে অ্যালেন গিন্সবার্গ লিখেছিলেন অ্যাপোলোনীয়রের সমাধি নামে এক অসাধারণ কবিতা।

. . voici le temps
Où l'on connaîtra l'avenir
Sans mourir de connaissance
I
I visited Père Lachaise to look for the remain of Apollinaire
the day the U.S. President appeared in France for the grand
conference of heads of state
so let it be the airport at blue Orly a springtime clarity in the
air over Paris
Eisenhower winging in from his American graveyard
and over the froggy graves at Père Lachaise an ill sory mist as
thick as marijuana smoke
Peter Orlovsky and I walked softly thru Père Lachaise we both
knew we would die
and so held temporary hands tenderly in a citylike miniature
eternity
roads and streetsigns rocks and hills and names on everybody's
house
looking for the lost address of a notable Frenchman of the Void
to pay our tender crime of homage to his helpless menhir
and lay my temporary American Howl on top of his silent
Calligramme
for him to read between the lines with Xray eyes of Poet
as he by miracle had read his own death lyric in the Seine
I hope some wild kidmonk lay his pamphlet on my grave for God
to read me on cold winter nights in heaven
already our hands have vanished from that place my hand writes
now in a room in Paris Git-Le-Coeur

ভক্তদের ভিড় বাড়ছে এই শুদ্ধতম কবির স্মৃতিসন্ধানে, সেই সাথে বাড়ছে রঙ ঝলমলে ফুলের সংখ্যা।

126

বিদায় নিয়ে এগোলাম সাহিত্যের আরেক দিকপাল মার্সেল প্রাউস্তের সমাধির দিকে, সেখান থেকে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ রূপকথার লেখক অস্কার ওয়াইল্ডের সমাধির পানে। সমকামের অভিযোগে জেল খাটা আইরিশ এই লেখক জীবনের শেষ আশ্রয় নেন মুক্তভূমি প্যারিসে, এখানেই মাত্র ৪৬ বছর বয়সে জীবনাবসান ঘটে তার। কল্পকথার নায়কদের মত জীবনের অধিকারী অস্কার ওয়াইল্ডের সমাধির উপর শোভা পাচ্ছে বিশাল এক চৌকাকার স্থাপত্য।
যার একপাশে পাথর কুঁদে বাহির করা হয়েছে উড়ন্ত দেবদূত, গাঢ় লাল লিপস্টিকে রমণীদের ঠোঁটের ছাপ, এক অন্ধ ভক্ত লিখে রেখেছে- এখানে শুয়ে আছেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষটি।

132

133

চারপাশের এত অসংখ্য সমাধির ভিড়ে বুঝতে পারলাম কেন প্যারিসের অধিবাসীরা পের লা শেজ্‌কে মৃতের শহর বলে অভিহিত করে। সূর্য ঘন মেঘের আড়ালে ঢাকা, তার উপরে ঠাণ্ডা বাতাসের অবিরাম চাবুক বর্ষণে সবগুলো গাছ পাতাশূন্য ন্যাড়া অবস্থায় দাড়িয়ে আছে, থেক থেক কুণ্ডলী পাকানো কুয়াশা- উপযুক্ত পরিবেশ বটে কবরস্থান পরিদর্শনের ( তিন গোয়েন্দার অন্যতম সেরা বই কাকাতুয়া রহস্যের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে)।

163

আর সেই সমাধিগুলোও একেকটা দেখার মত, হয়ত কবরে শায়িত ব্যক্তিটি বিখ্যাত কেউ নয় কিন্তু এপিটাফে আছে নয়ন জুড়ানো ভাস্কর্য, বিশালাকার মূর্তি বা স্তম্ভ, ছবি। সবতো আর একদিনে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা সম্ভব নয়! তাই বেছে বেছে চললাম নির্দিষ্ট কিছু স্থানের দিকে।

124

এরপরে শ্রদ্ধা ভরে দাঁড়ালাম এই শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ইতালীয় চিত্রকর, প্যারিসে বসবাসরত অ্যামোদিও মদিগ্লিয়ানির সমাধির সামনে। তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে লাল, গোলাপি, হলুদ, সাদা নানা বর্ণের গোলাপ রেখে যাচ্ছে ভক্তরা। আহা! নিজের অজান্তেই বুক চিরে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে, তার আঁকা ছবি দেখলেই বোঝা যায় এমন গোলাপরাঙা বর্ণের পাগলভক্ত ছিলেন মদিগ্লিয়ানি, কিন্তু তার জীবনটা এমন রঙিন হয় নি। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে কপর্দকহীন অবস্থায় রোগে ভুগে মারা যান তিনি। তার অকাল মৃত্যুর দিন দুই পরেই প্রেমিকা জেনও গর্ভে সন্তান নিয়ে অদম্য শোকে আত্নহত্যা করেন , এখন একই সমাধিতে তাদের আশ্রয়স্থল। নিয়তির কি নির্মম পরিহাস, শিল্পের শহর প্যারিসেও মদিগ্লিয়ানি জীবদ্দশায় মাত্র একটি প্রদর্শনী করতে সক্ষম হয়েছিলেন, অথচ আজ যেখানে বিশ্বের যে কোন জাদুঘর তার একটি চিত্রকর্ম সংগ্রহ করতে পারলেই বর্তে যায় !! পাবলো পিকাসোর সাথে অদ্ভুত এক দন্ধ ছিল মদিগ্লিয়ানির, জানা যায় পিকাসোর মৃত্যু শয্যায় শেষ উচ্চারিত শব্দটি ছিল মদিগ্লিয়ানি!

v134

পের লা শেজ্‌ উদ্ধোধন করেছিল স্বয়ং সম্রাট নেপোলিয়ন ১৮০৪ সালে, কিন্তু এর নামকরণ করা হয়েছে পিয়েরে ল্য সেজের নামে, যিনি রাজা চতুর্দশ লুইয়ের রাজকীয় পাদ্রী, যার সমাধিও এখানে অবস্থিত।

বিখ্যাত ফরাসী গায়িকা এদিথ পিয়াফ ও গায়ক হেনরি সালভাদরের সমাধিতে ভিড় বেশী দেখে কাছে যাওয়া সমীচীন মনে হল না, তার বদলে খুজে খুজে বাহির করলাম নাদারের সমাধি।

136

কে এই নাদার? ফেলিক্স নাদার পরিচিত ছিলেন রূপকথার রাজপুত্র হিসেবে, ছিলেন একাধারে লেখক, আলোকচিত্রগ্রাহক, দুঃসাহসী অভিযাত্রী, বেলুন উড্ডয়ন বিশেষজ্ঞ। আর শিল্পী, সাহিত্যিক, অভিযাত্রী সমস্ত গুণী মানুষের সাথে ছিল তার অকৃত্রিম বন্ধুত্ব। ক্লদ মোনে নাদারকে উৎসর্গ করেছেন তার পেইন্টিং, ব্যোদলেয়ার তার অমর কবিতা। ১৮৬৩ সালে এক বিশাল বেলুন উড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন নাদার, সেখান থেকেই উৎসাহিত হয়ে সাইন্স ফিকশনের রাজা জুল ভার্ণ লেখেন তার প্রথম বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ। শুধু তাই নয়, জুল ভার্ণের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা চাঁদে অভিযানের কেন্দ্রীয় চরিত্র যে মাইকেল আদা, তার নাম নাদার থেকে নেওয়া। ( ফরাসী ভাষার আদা, ARDAN, কে উল্টালে নাদার হয়)। দেখে শান্তি পেলাম, সবুজে ঘেরা এককোণে শ্যাওলা আর ঘাসে ছাওয়া নিরিবিলিতে অনন্ত বিশ্রাম নিচ্ছেন এই অসম সাহসী মানুষটি।

139

দেখলাম পাশাপাশি দুই সমাধিতে ফরাসী সাহিত্যের অন্যতম পঠিত কবি ল্য ফন্টেইন ও হাসির রাজা খ্যাত মলিয়ের-এর সমাধিক্ষেত্র। প্রায় চারশ বছর আগে দুইজনেরই মৃত্যু হলেও পরবর্তীতে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে তাদের শবাধার নতুন করে আনা হয় পের ল্য সেজে।

141

এই বিশেষ কবরস্থানে এই এক জিনিস, কোন সমাধির আসে পাশে ভিড় দেখলেই বোঝা যাবে সেটা কোন না কোন সুপরিচিত ব্যক্তির চিরনিদ্রার স্থান অথবা ফুলের তোড়ার সমাহার দেখে।

129

তবে ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়, এপিটাফ হিসেবে সুউচ্চ এক মিশরীয় ওবেলিস্ক নিয়ে দাড়িয়ে আছে মিশরীয় হায়ারোগ্লিফিকসের পাঠোদ্ধারের জনক জ্য ফ্রাসোয়া চ্যামপোলিওনের সমাধি, সেখানে কোন ভিড় নেই, বা নাদারের সমাধিতে।

151

এরপরের গন্তব্য এখানকার সবচেয়ে বেশী দর্শনার্থী যে সমাধি দেখতে আসেন এবং যেখানে সবচেয়ে বেশী সময় অতিবাহিত করেন সেই জিম মরিসনের সমাধি। ১৯৭১ সালে মাত্র ২৭ বছর বয়সে প্যারিসের এক হোটেলে মারা যান বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা এক রকস্টার, যিনি ছিলেন বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড দ্য ডোরস-এর মূল গায়ক। আজো কোটি কোটি ভক্তের মনে উম্মাদনা জাগায় তার কণ্ঠ, তার সঙ্গীত, তার সৃষ্টি। কানে ধাক্কা মারেব্রেক ইন থ্রু দ্য আদার সাইড , লাইট মাই ফায়ার। প্রতি উইকএন্ডে উদাত্ত গলায় গেয়ে যাই হুইস্কি বার

155

বেঁচে থাকলে আজ জিম মরিসনের বয়স হত মাত্র ৬৬, তার সঙ্গী সাথীরা আজো জীবিত। বন্ধুদের কাছে শুনেছি মাঝে মাঝে এই একটি সমাধিতেই পাগল ভক্তদের ভিড় সামলাতে পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করতে হয়, একাধিকবার চুরি গেছে এই সমাধির সমাধিফলক। ফুলের সাথে সাথে এখানে শোভা পায় মরিসনের প্রিয় হুইস্কি জ্যাক ড্যানিয়েলের ফাঁকা বোতল।

156

এদিকে মেঘে মেঘে বেলা গড়িয়েছে অনেক, সেখান থেকে অতিপ্রিয় দুই ফরাসী ল্যান্ডস্কেপ চিত্রকর ক্যামিল করোট এবং ক্যামিল পিসারোর সমাধিতে ( উল্লেখ্য এই দুইজনই আছেন তাদের পারিবারিক সমাধিতে অর্থাৎ পরিবারের সবার দেহাবশেষ এক শবাধারে রাখা)।

147

162

শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে করে চললাম সে দিনের শেষ গন্তব্যে, বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সুরকার ফ্রেডরিখ শ্যপার সমাধিতে, সাদা মার্বেলের সমাধিটি ফুলে ফুলে ঢাকা, ঘোষণা করছে যেন- সব শেষ হয়ে যায়, টিকে থাকে কীর্তি, টিকে থাকে ভালবাসা, টিকে থাকে সৃষ্টি।

169

( এই লেখাটির কাঁটাছেড়া একটি অংশ ৩টি ছবি সহ এক সাপ্তাহিক ক্রোড়পত্রে ছাপা হয়েছিল বেশ আগে, এখানে পুরো লেখা থাকল।
লেখাটি সুদূর আইভরি কোস্টে অবস্থানরত সুমাদ্রি দার জন্য থাকল, যিনি কদিন আগেই এই কবরস্থান নিয়ে সচলে একটি চমৎকার পোস্ট দেবার পর থেকেই এই জায়গা নিয়ে লেখার জন্য আমার দিন মোটামুটি ভাজা ভাজা করে ফেলেছেন, সেই সাথে তার লেখায় আমার যমজ ভাইকে পর্যন্ত উপস্থিত করেছেন!! )


মন্তব্য

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
তাপস শর্মা এর ছবি

চমৎকার... চলুক

তারেক অণু এর ছবি
প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

উমদা।

তারেক অণু এর ছবি

চীজ !

সুমাদ্রি এর ছবি

আপনার যমজ ভাইও আছে? ভাগ্যিস উনি সচলে লিখেন না, পুরা ফ্যামিলি মানুষের বদদোয়া পাইত তখন। তোফা লেখা হয়েছে।

তারেক অণু এর ছবি

চোখ টিপি আপনের ঠেলাতেই তাড়াতাড়ি দিলাম, নইলে আগামী বছরের আগে হত না।

তারাপ কোয়াস এর ছবি

চলুক


love the life you live. live the life you love.

তারেক অণু এর ছবি
শামীমা রিমা এর ছবি

শেষ পর্যন্ত কবরস্থান ।নিজে তো গেলেনই আবার আমাদেরও নিয়ে গেলেন।

তারেক অণু এর ছবি

যেতে তো হয় মাঝে মাঝে ! কেমন লাগল?

শামীমা রিমা এর ছবি

অবশ্যই ভালো। হাসি হাসি

তারেক অণু এর ছবি
শামীমা রিমা এর ছবি

অবশ্যই ভালো। হাসি হাসি

তারেক অণু এর ছবি

গোরস্থানে সাবধান!!

শামীমা রিমা এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
রু (অতিথি) এর ছবি

জানা ছিল না। আপনার কল্যাণে আসলেই অনেক কিছু জানা হোল। আশা রাখি ভবিষ্যতে কখনো নিজের চোখে এই জায়গাগুলো দেখা হবে।

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই।

অলস ফানুস এর ছবি

জিম মরিসন

তারেক অণু এর ছবি

কি গলা ! শরীর কাঁটা দিয়ে ওঠে কিছু গানে।

অলস ফানুস এর ছবি

শ্রদ্ধা

তারেক অণু এর ছবি
মাহবুব লীলেন এর ছবি

আপনি কী খান ভাই? খালি ভাত খেয়ে তো ডেলি ডেলি সেইরাম একেকটা পোস্ট নামাতে পারার কথা না

০২

বারাক ওবামার যেমন বিবৃতি লেখার জন্য শয়ে শয়ে সহকারী আছে; আপনারও কি পোস্ট লেখার জন্য সেরকম সহকারী আছে? কতজন?

তারেক অণু এর ছবি

লইজ্জা লাগে কি যে বলেন লীলেন দা, আসলে সামনে সপ্তাহে ডুব দিব কিনা, তাই জন্য বেশী করে পোস্ট দিচ্ছি!

সহকারী আমিই হতে চাচ্ছি, তবে লেখালেখির নয়, ছবি তোলার বা তথ্যচিত্র নির্মাণের কোন গ্রুপের।

আপনের গল্প পড়ছি এখন, নিম নাখারার। ভালো থাকুন সবসময়।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আপনার জন্যে শ্রদ্ধা

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তারেক অণু এর ছবি

কেন রে ভাই! আমার আবার কি হল ! খানিক আগে মোমবাতি দেওয়ায় রিটন ভাই তো ভড়কে গিয়েছিলেন!

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

মডুরা যেহেতু নতুন ইমো বানাচ্ছে না, আমি ঠিক করছি তার আগ পর্যন্ত এটাকেই আপনার ইমো হিসাবে চালাব।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তারেক অণু এর ছবি

অনার্য দারে টোকা দেন !

ফাহিম হাসান এর ছবি

সুনীলের লেখা পড়ে আগ্রহ জন্মেছিল - আপনার তোলা ছবিতে তা কিছুটা মিটলো।

তারেক অণু এর ছবি

হুমম, ছবির দেশে, কবিতার দেশের এক জায়গায় এর বর্ণনা ছিল। বিশেষ করে অ্যাপোলোনীয়রের সমাধির।

দ্রোহী এর ছবি

মিয়া, সচল হইছেন, এখন একটু জিরাইবেন তা না দুই ঘন্টা পর পর একটা করে পিত্তি জ্বালানো পোস্ট! মন খারাপ

তারেক অণু এর ছবি

আরে দাদা, শীতনিদ্রায় যাচ্ছি, তাই আগে একটু বেশী বেশী পোস্ট দিচ্ছি !

মাসুম এর ছবি

আপনার পোস্টের মাধ্যমে একটা ভার্চুয়াল চক্কর হয়ে গেল, টেকা পয়সা হলে বাস্তবে চক্কর দিতে যামুনে হাসি

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তাইলে তো মনে হচ্ছে বিখ্যাত হলে সবার আগে এখানে একটা বুকিং দিতে হবে চোখ টিপি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তারেক অণু এর ছবি

আপনে তো বিখ্যাতই!

রানা মেহের এর ছবি

প্রিয় তারেক অনু
আপনার সবগুলো লেখাই পড়ার চেষ্টা করি। মন্তব্য বোধহয় এই প্রথম করা।

আমি আসলে আপনাকে দেখে অনেক অবাক হই। এরকম ঘুরে বেড়ানো কেউ কখনো দেখিনি আগে। সবসময় ভেবে এসেছি শুধু বিদেশের লোকজনই বোধহয় এরকম ঘুরে বেড়াতে পারে। আপনার সাথেও দেখা হয়নি। তবে সচলে আছেন তাই আপনাকে অনেক কাছের লোক মনে হয়। তাই অবাক হওয়া আরো বাড়ে। আমি যেখানে দুবছর ধরে চেষ্টা করে একটু পাহাড় দেখতে পারছিনা সেখানে একটা কাছের লোক এতোকিছু দেখে ফেললো?

কিন্তু একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম আপনার লেখা পড়তে গিয়ে। আপনার লেখা দুতিনটা টানা পড়ার পর লেখার ওপর আগ্রহ ধরে রাখা মুশকিল।কারণ আপনি লিখে যাচ্ছেন একজন অনুষ্ঠান উপস্থাপকের মতো করে। কোথাও যাচ্ছেন। ছবি তুলছেন। জায়গার বর্ণনা দিচ্ছেন। লেখা শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে আমি একটা সাজানো গোছানো অনুষ্ঠান দেখছি। যা খারাপ লাগেনা দেখতে। কিন্তু মনে দাগ কাটেনা।

আপনার লেখা থেকে আমি বুঝতে পারিনা ঐ দেশের মানুষগুলো কেমন। চলতে গিয়ে হঠাত কোন ঘটনা আপনাকে থমকে দিলো। অনেক অনেক বিখ্যাত জিনিসের পাশাপাশি কোন একটা অখ্যাত কিছুর দিকে কেমন করে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকলেন আপনি।কিংবা কিঊবাতে একগাদা মুরগীর সাথে এক শহর থেকে আরেক শহরে যাওয়া আসলে কেমন অভিজ্ঞতা ছিল। সেই জার্নি নিয়েই অন্তত একটা প্যারা পড়তে ইচ্ছে করে।

কিউবা কিংবা প্যারিসের কোথায় কী আছে সেটা তো আমাকে গুগলও বলতে পারে। তারেক অনু এতো ভালো লেখেন। তিনি কেন আমাকে ভূগোলকের মতো করে সবকিছু চিনিয়ে একটা সুশীল লেখা পড়তে দেবেন?

একটা জিনিস পরিষ্কার করে দেই। আপনি কীভাবে লিখবেন সেটা সম্পূর্ন আপনার অধিকার। আমি পাঠক হিসেবে আমার প্রতিক্রিয়া জানালাম। আপনি চাইলে এককথায় খারিজ করে দেবেন আমার মতকে। অবশ্যই লিখে যাবেন যেভাবে লিখলে আপনি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন।

মন্তব্যের বিষয় কিংবা ভাষা আপনাকে আহত করে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

মুস্তাফিজ এর ছবি

যেভাবে লিখলে স্বাচ্ছন্দ বোধ হয় সেভাবেই মনে হয় লেখা উচিত। লেখালেখির শুরুটা সম্ভবত এভাবেই হয়।

...........................
Every Picture Tells a Story

তারেক অণু এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার বিশ্লেষণধর্মী চমৎকার মন্তব্যের জন্য। সমস্ত যুক্তি স্বীকার করে নিচ্ছি, আসলে খেয়াল করে দেখবেন আমার কিছু লেখা কয়েক বছর আগের, কিছু নতুন। আগেরগুলো সাধারণত খবরের কাগজের কথা চিন্তা করে লিখতে হত, সেখান অতি বিখ্যাত জিনিসগুলি ছাড়া নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দের বর্ণনার সাধারণত জায়গা থাকত না। ব্লগে লিখছি মাত্র ৫ মাস, এখনো সেই জায়গার ভীতি যায় নি !!
আশা করি, এমনভাবেই ভবিষ্যতে লিখতে পারব, যাতে কেউ পড়লে সমগ্র এলাকার একটি পরিষ্কার ছবি পান, সেখানকার অধিবাসীদের চালচিত্রসহ।
তবে তথ্য দেওয়া নিয়ে একটা কথা হচ্ছে, নেটে আমরা সব প্রায় জানা সব তথ্য পেলেও কজনা আপনা থেকেই সেই গুলি খুজে খুজে বাহির করে এই খামোখা ব্যস্ততার জীবনে! তাই, চেষ্টা করি তথ্য দিতে যাতে পড়ার ছলে সেই সন্ধানটাও মিলে যায়।
এখন আসল কথা বলুন, আপনার পরবর্তী গল্প কবে পড়তে পারব? শুভেচ্ছা

আশরাফুল কবীর এর ছবি

প্রিয় তারেক অনু (ইবনে বতুতা) ভাই,

#আসলে কোন উন্নতমানের বিশেষন খুঁজে পাচ্ছিনা যা দিয়ে ব্যাখা করবো....ভাল লাগা জানাব, যে শব্দটাই ধরি মনে হয় ওটা ক্লীশে।

# আপনার পুরো লেখাটি ও ছবিগুলো কপি করতে চাই। ছবি না হয় ডাউনলোড করলাম কিন্তু সাথের লেখাগুলো কিভাবে সাথে রাখবো তা জানালে কৃতার্থ হই। কারন সচলেতো আমরা পুরোই অচল...

#আপনার চোখকে নিজের মনে করে অবিরামভাবে দেখছি...ভালবাসা আপনার প্রতি...গত সংখ্যায় আপনার হ্যাট পড়া ছবিগুলো সেরকমস! হয়েছে...ভাল থাকুন সর্বদা বাঘের বাচ্চা বাঘের বাচ্চা

তারেক অণু এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ। সচলের লেখাগুলি তো ব্লগের গেলেই পারেন, এর বাহির খেমোখাতায় যোগাযোগ রাখলেই ভাল। শুভেচ্ছা।

মুস্তাফিজ এর ছবি

আহ্‌ জিম মরিসন।

...........................
Every Picture Tells a Story

তারেক অণু এর ছবি

আহ, ডোরস !

উচ্ছলা এর ছবি

চলুক চলুক চলুক

জীবনের প্রথম ক্রাশ হয়েছিল জিম মরিসনের উপর...সে যে কী ইন্টেন্স ক্রাশ রে বাবা, বাবলা গাছের আঠার মতো !! এখনও আঠা ছাড়লো না !!!

তারেক অণু এর ছবি

একটা লোক সঙ্গীত ছিল না-
পিরিতি কাঁঠালের আঠা !

বন্দনা এর ছবি

ইস এই জায়গাটা মিস হয়ে গেলো, আফসোস লাগছে এখন।

তারেক অণু এর ছবি

পরের বার দেখবেন, কোন সমস্যা নেই। প্যারিসে আরো দুটি গোরস্থান আছে খুব বিখ্যাত।

জালিস এর ছবি

বাহ । দারুন লিখেন আপনি সবসময় চলুক

তারেক অণু এর ছবি

অনেক অনেক শুভেচ্ছা , আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

ভাই, আপ্নে তো নিজেও বেশ বিখ্যাত। আসলে কি বুকিং দিতে গিয়েছিলেন? আপ্নে যে নামগুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন তাঁর অর্ধেকেরও নাম জানতাম না। মন খারাপ খালি প্রশ্ন জাগে। আপ্নে এতো কেমনে ঘুরেন / জানেন / পরেন ? হা জীবন।

লেখায় উত্তম জাঝা!

তারেক অণু এর ছবি

হাসি না না, আমি মারা গেলে দেহ ভস্ম করে উড়িয়ে দেওয়া হবে, নতুবা বিজ্ঞানের কাজে দান করে দিব। আর পর্বতে পা পিছছালে সেখানেই রয়ে যাব।

নিশা এর ছবি

অনুদা, চমত্কার লেখা, বরাবরের মতই।

আমার ছেলের নাম ও অনু রাখবো ভেবেছি লইজ্জা লাগে

মুহিত হাসান এর ছবি

চোখ টিপি

মুহিত হাসান এর ছবি

চিন্তিত

তারেক অণু এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- অণু, রেখেন। অনু না, বাংলা নামের মাধুর্যই আলাদা।

পরী  এর ছবি

চলুক

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

লিখেছেন পরী (যাচাই করা হয়নি)

যাচাই করেন দ্রুত। ভয় লাগ্তেছে।

মুহিত হাসান এর ছবি

চিন্তিত

পরী  এর ছবি

ডরায়েন না ডরায়েন না, আপ্নেরে আমি মারব না শয়তানী হাসি

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

ডরায়েন না ডরায়েন না, আপ্নেরে আমি মারব না

কি করে
বিশ্বাস করি,
আপ্নি পরী।
তাই
আপ্নাকে স্মরি,
আমি ডরি। People Watching

তারেক অণু এর ছবি
তারেক অণু এর ছবি
আমি শিপলু এর ছবি

হায় অনু হায় অনু----- শ্রদ্ধা

তারেক অণু এর ছবি

ঐ মিয়াঁ, নামের বানান ভুল হলে অর্থ বদলে যায়!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।