কদিন আগে খেমোখাতায় সুরঞ্জনার লেখায় পড়লাম বর্তমান সময়ের একঘেয়েমির কথা, যাযাবর ব্যাকপ্যাকার তার সাথেই জানাল এখন মানুষ মূলত শেয়ার বাজার, সোনার দাম, রাজনীতি ছাড়া কথা বলা প্রায় ছেঁড়েই দিয়েছে ! কি সাংঘাতিক সব কথা বার্তা। এমনতর চলছে তো চলবেই! চলুক তবে, কিছু মানুষ, আমরা যারা মুক্ত বাতাসে জীবনের উদ্দামতায় ক্ষণিকের জন্যও স্বপ্নডানা মেলতে চায়, আমরাই চলি না বিরুদ্ধ স্রোতে।
কে দিব্যি দিয়েছে আমাদের, যে তাদের মতই হতে হবে ! কোন হিসেবে আমাকে অন্যের ঠিক করা লক্ষ্যকে নিজের জীবনের একমাত্র গন্তব্য মনে করে অন্ধভাবে এগোতে হবে, যদি তারা আমার জন্মদাতা বাবা-মাও হয়! আমাদের নিজের ইচ্ছের, রুচির, সুখের, আনন্দের, বাঁধ ভাঙা উল্লাসময় তৃপ্তির কোন দাম দেবে না এই সমাজ ?
সমাজ কিন্তু আমাদের নিয়েই তৈরি, আমি , আপনি ও সে। এখানে আমরাই নিয়ম ভাঙি, আমরাই গড়ি। আজ যেটা লোকের কাছে অনেক নিন্দনীয় মনে হয়, পরশুই দেখা গেল সেটা হয়ে যায় মহা পূজনীয়। আবদুল্লাহ আবু সাঈদের এক বক্তব্যে শুনলাম, এখনকার মা-বাবারা চান না তাদের সন্তানরা রবীন্দ্রনাথ বা সক্রেটিস হোক, তাদের কামনা সন্তানেরা যেন মোটা মাইনের বিদেশী কোম্পানির চাকুরে হয়, যেন বাড়ি গড়ে, গাড়ি হাঁকিয়ে গটগট করে জীবনে চলতে পারে।
আচ্ছা, ধরলাম চলল, তারপর !
আজব প্রশ্ন! তার আর পর কি!
হাঁ হাঁ, ঐখানেই ট শুভঙ্করের ফাঁকি, এখানেই কবি নীরব!
তারপরই তো, জীবনের সকল রহস্যের বীজ নিহিত!
অ্যালান কোয়াটারমেইন যেমন বলেছিলেন, যে যাই বলুক- জীবনে ভাল জিনিসটাই সব সময় সুখের! তাহলে আমরা, ভালটাই বেছে নিই না কেন? সেই ছোটকাল থেকেই, তোমার ভালর জন্যই বলছি, এই সংলাপ শুনতে শুনতে তো কান ঝালাপালা হয়ে গেল। আরে বাবা, নিজের ভালটা একটু বুঝি না নিজেই।
আজ নিজে ভাল থাকলে কাল পাশের জন, বন্ধুরা ভাল থাকবে, পরশু সমাজের মানুষেরা, একটু চেষ্টা করে দেখতে ক্ষতি কি! এটাকে স্বার্থপরতা বলে না, বরং মনের মত চলে একটা ভাল কিছু জীবন পথে পেয়ে গেলে সেটি দিয়েই আপনি সমাজ ও প্রকৃতির অনেক অনেক বেশি উপকার করতে পারবেন। বিশ্বাস না হলে, যাদের অনুকরণীয় বলে মনে করেন, প্রত্যেকের জীবন ঘেঁটে দেখুন, সেই একই কিচ্ছা, একই কাহিনী- যে তারা ভিন্ন ভাবে নিজের মত চলে এমনটিই হতে চেয়েছিল, আর চারপাশের সবাই এর বিরোধিতাই করেছে সবসময়।
আমাদের প্রজন্মও হয়েছে আজব, থ্রী ইডিয়টস দেখে আফসোসে জীবন ভাসাবে, কবিতার লাইনের ফেনা তুলে বলবে যার যেটা ভাল লাগে, যে যেটাতে শান্তি পাই, তার সেটাই করা উচিত, কিন্তু ঝুকি নেবার বেলায় অধিকাংশই আস্তে করে কেটে পড়বে! বলবে- থাক, এই বেশ ভাল আছি!
আরে বাবা, জীবনে সুখী হতে হলে Sacrifice ( এর বাংলা কি হবে-ত্যাগ ?) করতেই হবে, সব তো এই ক্ষুদে সময়ে একসাথে হয় না। এমনিই আমাদের দুর্নীতিগ্রস্ত, কুসংস্কারাচ্ছন্ন বেড়ে উঠবার পরিবেশ ( স্কুল, পাড়া, খেলার মাঠ) এর মাঝে যদি কেউ একটু গান গেয়ে আনন্দ পেতে চাই, দু ছত্র কবিতা লিখে, নিছক ফুটবল খেলে, ছবি এঁকে, গীটার বাজিয়ে, ঘাসের ময়দানে একটি হলদে ফুলের ছবি তুলে, স্রেফ সাহিত্য নিয়ে আড্ডাবাজি করে- হোক না ! আমরাও নিজস্ব সামর্থ্য মত চেষ্টা করি না কেন এমন কাজের, কিন্তু তা থেকে ভবিষ্যতে অর্থ সমাগম হতেই হবে বা এটাকেই পেশা হিসেবে নিতে হবে, এমনটা চিন্তা না করে!
জানেন, প্রায় সবসময়ই আমার নিজেকে ওরহান পামুকের মত পাঠক মনে হয় ( লেখক না, উরিব্বাস, পাঠক!! ) , কারণ, সেই নোবেল জয়ী লেখকও দুঃখ করে বলেছেন তাদের দেশ তুরস্কের পরিবেশ নিয়ে যেখানে বই পড়াকে এক ধরনের অসুস্থতা বা আঁতলামি হিসেবেই গণ্য করা হয় এখনো ! আমাদেরও কিন্তু একই পরিবেশ। চিন্তা করে দেখুন, আমাদের প্রত্যেকের জীবনেরই স্কুল, কলেজ, বিশ্ব-বিদ্যালয়েরতো কত শত বন্ধুই হল, কিন্তু কজনা সত্যিকারের নিবিড় পাঠক! আমার ক্ষেত্রে সংখ্যাটি অতি লজ্জাজনক, নিজে বাদে মাত্র একজন , অথচ অসংখ্য সহপাঠী-সহপাঠিনীদের সাথে বন্ধুত্বের সূত্রপাতই হয়েছিল বই লেনদেনের মাধ্যমে! এখন জিজ্ঞেস করলে বলে- সময় হয় না ! অতি ব্যস্ততা!
ঠিক আছে, কিন্তু এত ব্যস্ততায় কোন লাভ নেই কিন্তু যদি না জীবনের সুখের দেখা পাও ! কেবল পড়া নয়, যে কোন শখের, সুখের ব্যাপারেই বলছি।
সুখ কিন্তু কোন রূপকথার সোনার হরিণ নয়, এর অবস্থান আমাদের ভিতরেই, কেবল নিজের চাওয়াটাকে একটু যাচাইবাছাই করে নিলেই তো হয়।
এই প্রসঙ্গ আমার ভ্রমণ গুরু ইনাম আল হকের একটি ক্ষুদে সাক্ষাৎকারের কয়েকটি লাইন বলে শেষ করছি, বিবিসি থেকে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনার যেহেতু বর্তমানে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা আছে সেই কারণেই আপনি এই ধরনের কাজ যেমন ভ্রমণ, পাখি দেখা, ছবি তোলা, পাহাড়ে চড়া এইগুলি করতে পারেন?
ইনাম ভাইয়ের উত্তর – দেখুন ঘোরাঘুরি তো আমি আজকে করছি না, যখন আমি ছাত্র ছিলাম, নিজস্ব সঞ্চয় ছিল না তখন থেকেই করছি। এখন বিমানে চেপে অনেক দূরে যাই , কিন্তু তখনো সুযোগ পেলেই পায়ে হেঁটে, বাসে, নৌকায়, ভ্যানে চেপে দূরের শহর, গ্রামে যেতাম। তখনো পাখি দেখতাম, কিন্তু দূরবীন, টেলিস্কোপ ছাড়াই, আনন্দটা কিন্তু পেতাম পুরোদমেই! আমাদের সমাজের অধিকাংশই মানুষকেই প্রশ্ন করুন জীবনের চাহিদা নিয়ে- সবাই বলবে চাকরি, বাড়ি, গাড়ি, সংসার। কিন্তু কয়জন বলবে, বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা আমার ঘোরা থাকতে হবে, পায়ে হেঁটে হলেও! কজন ভাবে বান্দরবানের পাহাড়গুলো আমার চড়া থাকতেই হবে! টেঁকনাফ থেকে তেতুলিয়ার সৌন্দর্য একবার হলেও দেখতেই হবে?
ভাল থাকুন সবাই, বন্ধুরা। সামর্থ্য মত মনের পছন্দের কাজটি করুন কোন সমালোচনার ভয় ছাড়াই, আর কেউ আমাদের সাথে না আসলে, আমরাই আমাদের বন্ধু। ¨
( ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোর রোদ, গরম, সঙ্গীত, সৈকতসহ আরো কিছু জিনিসের প্রভাবে মস্তিষ্ক ঝাউলা হয়ে আছে, তার প্রভাবেই এক টুকরো ব্লগর ব্লগর করে ফেললাম, আশা করি সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, এবং নিজস্ব মতামত জানাবেন। রিও থেকে শুভেচ্ছা।। )
মন্তব্য
এক্কেবারে আমার মনের কথা আসো ভাইটি আমার বুকে আসো ... আমার কিছু বন্ধু ছিলো ক্লাসে ১ম -২য় হতো আর বই পুরস্কার পেলে ফিতাটা পর্যন্ত খুলতো না, শুধু শেলফে সাজিয়ে রাখতো, আমাদের সমাজ এমনি, সব সাজানো, রাতের বেলা ঘরে ফিরে ফোস-ফোস করে দীর্ঘশ্বাস ফেলবে, কিংবা খোমাখাতায় লিখবে, কিন্তু জীবনে চলার ধরণ কেও বদলাবেনা, জীবনে সেই ছোটকাল থেকে বিভিন্ন জনের আশার ভার বইতে বইতে ক্লান্ত হয়েই যখন বলেছিলাম আর না, তখন সবাই নাক কুচকেছিলো, কিন্তু আমি তাকাইনি, জীবনে সব পেতেই হবে কে বলেছে, কিন্তু জীবনকে উপভোগ করতে খুব বেশি কিছু লাগেনা..
যাচ্ছি ঘুরতে, ভারতের শেষ প্রান্তে যেখানে মিলেছে তিন সাগর-মহাসাগর, যাওয়ার আগে আপনার লেখা পড়ে মন ভালো হয়ে গেলো আবার...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বাহ, বছর দুয়েক আগে আমার মা গিয়েছিলেন, খুব প্রশংসা করেছিলেন ঘুরে এসে। আপনার কাহিনী সোনার আশায় থাকলাম।
facebook
কঠিন সত্য অণুদা।
ব্লগর ব্লগর বেশ লাগলো। ভ্রমণব্লগের ফাঁকে ফাঁকে মাঝেমধ্যেই ভ্লগর ব্লগর করবেন কিন্তু
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
সত্য যে কঠিন, আমি কঠিনেরে ভালবাসিলাম !
facebook
'সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালবাসিলাম..সে কভু করে না বঞ্চনা।'
রবিবুড়োটা ক্যামনে যে লিখে গেছে এরকম একেকটা লাইন!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
রবি যে !
facebook
খুব জটিল লেখা অণু, অসাধারণ হয়েছে। তোমার ঘুরাঘুরি আনন্দময় হোক।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আপনি কই মিয়াঁ! কিলির খবর ঠিক আছে তো !
facebook
ভ্রমন কেচ্ছার বাইরে এই ব্লগর ব্লগর ভালইতো লাগলো। টাইপ্ট না হয়ে গিয়ে মাঝে মধ্যে এমন ব্লগর ব্লগর চালিয়ে যান।
উমদা হয়েছে।
ধন্যবাদ। আপনের লেখা সবই পড়ে যাচ্ছি, নেট সমস্যা আর ভ্রমণের কারনে মন্তব্য করা হচ্ছে না, ভালো আছেন আশা করি।
facebook
আপনার এই কথাগুলো অনেকের সাথেই মিলে যাবে। যেমন আমার গিয়েছে
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
আমরা আমরাই তো !
facebook
কথাগুলি বোধহয় আমাদের বেশিরভাগের মনেরই। কিন্তু মায়া বড় কঠিন বাঁধন। সেইযে বুড়ো দাদু বলে গেছেন সেই কবে - 'দুর্বলরা বাঁধে আফিম খাইয়ে, মানে মায়া দিয়ে ভুলিয়ে। তাঁরা বাঁধেও আবার ভোলায়ও।' সেই বাঁধন থেকে যে বের হতে পারিনা শত প্রচেষ্টাতেও?
আপনি খ্রাপ লুক। খালি মনটারে কাঁদায় দেন একেকটা পোস্ট দিয়ে।
আরে, বাঁধন ছেঁড়ার কথা তো বলি নি, বলেছি ছিঁড়তে চাইলে তবে অবশ্যই ছিঁড়তে।
facebook
facebook
রিও-র ছবি ছাড়াই 'চিন্তাভাবনা' পোস্ট দিয়ে দিচ্ছেন!!
ব্রেশ! ব্রেশ! জনগণে আপনাকে আস্ত ছাড়লে ভালোই...
আমি অবশ্য রাজনীতির কথা বলিনি, জমির দামের কথা বলেছিলাম। বাংলাদেশের সবাই বাই ডিফল্ট রাজনীতি আলোচক এবং চিকিৎসক! আমি নিজেও যেহেতু এ ডিফল্ট ক্যাটেগরিতে পড়ি, এই দুইটা না, বরং শেয়ারবাজার, জমির দাম, সোনার দাম এই তিনের বাইরে আলোচনা শুনতে পেলে ইদানীং বর্তে যাই।
ভীষণভাবে সহমত!
মাঝেমাঝে বেড়ানোকুড়নো বাদেও এমন চিন্তাভাবনার লেখা পড়তে আগ্রহ প্রকাশ করে গেলাম।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আর বুইলেন নাখো , আপনাদের সেই মন্তব্য আর খুজেই পেলাম না সচল পাতায়! পরে একটু ভেজাল হয়ে গেছে দেখছি! দুঃখিত !
facebook
ব্যাপার নাহ্! আপনার সাউথ আমেরিকা ভ্রমণের বিস্তারিত বিবরণ আর ছবির অপেক্ষায় আছি।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
একটু সময় লাগবে, ব্যপক জায়গাতো, কিন্তু আসিতেছে।
facebook
facebook
আমার মনের কথা আপনি জানলেন কেমনে
আমারও মনের কথা যে !
facebook
তাই তো? চাকরি বাকরি, গাড়ি- বাড়ি করার পর কি হবে? মরে যাব? ব্যাস শেষ? যারা করে তাদেরটা দেখে আমরা শুধু আহা-উহু করি, নিজেরা কখনোই শখ আহ্লাদ মেটাতে গিয়ে কোন রিস্ক নিতে চাই না। যেমন ধরেন সবাই আপ্নেরে হিংসা করে, কিন্তু সময় পেলেই দুইন্যা গোল্লায় যাক বলে আপনার মত বেরিয়ে পড়ে কয়জন।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
হ, কেন যে সবার এত তাড়া!
facebook
বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোই পূরণ হচ্ছে না। তারপরেও সাধারণ মা্নুষ মোটের উপর শিল্প-সাহিত্য অনুরাগী। গ্রামে গঞ্জেও একটা বাউল গান গাইলে মানুষ কান পেতে শোনে, মেলায় ঢল নামে। চিন্তা-ভাবনা করাটা তো খারাপ কিছু না, ঝুঁকিটা ক্যাল্কুলেটেড হলেই বরং বেশি ভাল।
আপনার লেখার পজিটিভ অ্যাপ্রোচকে সাধুবাদ।
হাল ছেড়ো না বন্ধু, ক্যামেরার শাটার টিপো জোরে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
যাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ হয়ে গেছে লেখাটি কিন্তু মূলত তাদের নিয়েই।
facebook
এইখানেই তো প্যাচ ভাই। মৌলিক চাহিদা পূরণ করতেই জান শেষ, বেঁচে থাকাই চ্যালেঞ্জ, সুখের চিন্তা বিলাসিতা ! ৬৪টা জেলায় যেতে হবে, প্রতিটা নদীবিলেহাওরে পা ভেজাতে হবে, প্রতিটা পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে হবে ভাবতে ভাবতে গিটে ব্যথার কাল চলে আসলো, ঘর থেকে বের হওয়া আর হলো না। সব গোল্লায় যাক বলে বের হতে অসুবিধা নাই, চেয়েছিও কয়েকবার। কিন্তু মৌলিক চাহিদা পায়ে শিকল হয়ে বসে থাকে , নির্দিষ্ট বৃত্তের বাইরে যেতে দেয়না।
বাহির হতেই হবে , এমন কথা নয়। আসল ব্যাপার হচ্ছে যেটা ভাল লাগে, সেটা করা।
আর বিলাসিতা স্বরূপ কিন্তু ভিন্ন, ছোট বাড়ীতেই যখন হয়ে যায়, বড় বাড়িও এক এক ধরনের বিলাসিতা নয়।
facebook
আমার মনের কথা আপনি জানলেন কেমনে
আমি তারেকাণুম্যান হইতে চাই, কোন হাল ছাড়াছাড়ি নাই
facebook
বাহ, ভিন্ন স্বাদের লেখা বেশ লাগলো।
রিওর সৈকতে নেংটি পড়ে অলসভাবে বসে বেশ ভালোই ফিলসফি আসে দেখি । কিছুদিন আগে মায়ামির সৈকতে বসে আমার দিব্যি মনটা উদাস হয়ে গেলো (চরম উদাসের মন আরও উদাস হইলে কি হতে পারে ভেবে দেখেন)।
সেই নিয়ে একটা ভ্রমণ লিখেই ফেলেন!
খবরদার আমার নাম নিবেন না, নিলে রিওর ছবি দিমু না !
facebook
আমিও সমুদ্রতীরে যাওয়ার আগে উদাস হয়ে যাচ্ছি, দেখি ওখানে গিয়ে কি অবস্থা দাড়ায়...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
facebook
চরম উদাসের মন আরও উদাস হইলে তখন মনে হয় মমিন সচেতন হয়ে যায়, মনিন আর উদাস থাকতে পারে না। একটা ব্যালেন্সের ব্যাপার আছে না!!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
রিওতে আপনি কেমন ছবি তুলছেন, সেগুলো কি পোষ্টানোর যোগ্য (আপার এইট্টিন দিয়েও মনেহয় পাড় হবে না )
facebook
গ্রামের সেই পরিবেশ আর নাই। এখন গ্রামে গেলে খেলার মাঠ খুঁজে পাওয়া যায় না, সাতার কেটে হৈ-হুল্লোর করার মত পুকুর দেখা যায় না। বর্ণহীন জীবন। গল্পের বই পড়া, বন্ধুদের সাথে কোথায় ঘুরতে যাওয়া, সর্বোপরি হঠাৎ ইচ্ছেহলে অন্যরকম কিছু করার মানসিকতা খুব কমই দেখা যায় আজকাল।
facebook
গ্রামে গিয়ে গ্রাম পাই না-
সবখানে শব্যতা
কড়িকাঠুরে
খুব খারাপ
facebook
ছবি চাই
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
কিসের !
facebook
'কিছুটা তো চাই- হোক ভুল হোক মিথ্যে প্রবোধ,
অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক, জ্যোৎস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই!'
#অভিমানের খেয়া : রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ
আশাবাদীদের ঈর্ষা হয়।
ধরনটা বেশ আলাদা লাগল, অন্যান্য লেখাগুলোর চাইতে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক, জ্যোৎস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই!'
আহ , কত প্রিয় শব্দাবলী।
facebook
ও আপ্নে ফিলসফিরও দেখি প্রফেসর!!
অনেকদিন বই পড়া হয়না লেপমুড়ি দিয়ে...
আসলেই সবাই স্লেভ হতে চায়...
খুব ভাল লাগলো...
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
নাকি সবাই বাঁধন ভাঙ্গার স্বপ্ন দেখে।
facebook
'সবাই স্বপ্ন দেখে-
দেখা স্বপ্ন খেয়ে যায় কে'?
কড়িকাঠুরে
facebook
ব্লগর ব্লগরও ভালু পাইলাম।
facebook
সবই বুঝলাম, কিন্তু শুভঙ্কর লোকটা কে! তারে পাইলে দুইটা কথা জিগাইতাম হুমুন্দির পুতেরে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হালায় পুরাই ফাউল ! শুধুই ফাঁকি দেয় !
facebook
আমার মনের কথা আপনি জানলেন ক্যামনে ?
নিজেরে নিয়া বড়ই ভয়ে ছিলাম । আপনি সাহস দিলেন । এইবারে 'পাগলামি' বাড়ামু ঠিক করছি ।
জীবন একটাই! কাজেই---
facebook
দারুণ লাগলো।
যেটা বলেছিলাম "এপ্রেসিয়েশন অফ লাইফ" (বাংলাটা কি করা যায়?) হওয়া উচিত ফেব্রুয়ারি মাসের লেখার টপিক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বাংলাটা হতে পারে 'জীবনের জয়গান' বা 'বাঁচার মত বাঁচা' এরকম কিছু । আক্ষরিক বোধহয় সম্ভব নয় ।
করা যায়।
facebook
আপনি তাইলে এখন রিওতে ..... আমার আরাধ্য ভ্রমন এলাকায় ঘুরছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার এই যাত্রার পুরোটাই যেন আমার পরিকল্পিত রুটের সাথে মিলে যাচ্ছে। মায়া অ্যাজটেক আর ইনকাদের প্রাচীন সভ্যতাগুলো ছুয়ে এই ভ্রমণের অনেকদিনের স্বপ্ন আমার।
পরের পোষ্টে ছবির অপেক্ষায় থাকবো। এই ব্লগরব্লগরটা বিশেষ পছন্দ হলো।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হবে হবে, তবে খুব তাড়াহুড়োয় করতে হয়েছে, অনেক বড় ভূখণ্ড এইগুলো।
facebook
আমার জীবনের মূল ইচ্ছা গুলোর একটা হলো আগে এই বাংলাদেশটাকে ঠিকমতো দেখা তারপর এই আজীব দুনিয়াটার অন্ততঃ কিছু জায়গায় ঘুরাঘুরি করা। খুব ইচ্ছা ছিলো ৬টা ঋতুতেই বান্দরবান দেখবো, ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। এখন ইচ্ছা হলো, ৬ ঋতুতে সুনামগঞ্জকে দেখা। বাবা-মা'র তত্বাবধানে থাকার সময় বাসার বাইরে যাবার সুযোগ কম ছিলো কিন্তু এখন যখনই সময়-সুযোগ করতে পারি ... দে ছুট !
আমি বরাবরই আমার মতো, নিজের ইচ্ছাগুলোকে নিয়েই থাকি। চাকুরিটা শুধু সংসারের দায়ে, নইলে দুই টুনা-টুনি চাট্টি বাট্টি গোল করে কবেই ক্যাম্রা ঝুলিয়ে নিরুদ্দেশ হতাম !! আমি কোনো বড় অফিসের বড় বস হতে চাইনা ... আমি আমার মতো একটা জীবন চাই ... ব্যাস ...
পোস্টে পাঁচ তারা ... ...
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
আমি আমার মতো একটা জীবন চাই ... ব্যাস ...
বর্ষার সুনামগঞ্জ এখনো দেখা হয় নি, শুনেছি দারুন।
facebook
বাহ! পুরো অন্যরকম স্বাদের লেখা।
facebook
অণু তোমার এই চিন্তাকে লাল সালাম......( কমিউনিস্ট সালাম নয়) ... বুকের ভেতর থেকে পোর খাওয়া সালাম।
আর বলতে চাইঃ আকাশকুসুম স্বপ্ন দেখার অভ্যেস আমাদের আজও গেলোনা। তাই হাল ছেড়োনা বন্ধু বরং কন্ঠ ছাড়ো জোরে... তারপরই দেখা হবে তোমায় আমায় অন্যগানের ভোরে...
তাইঃ গদির লড়াই চলুক যেখানে চলে হৃদয় লড়াই স্বাধীনতা স্বাধীনতা স্বাধীনতা...
ডাকঘর | ছবিঘর
দেখা হবে তোমায় আমায় অন্যগানের ভোরে...
facebook
অনুদা আপনার লিখাটা পড়ে আবার রং তুলির বাক্সটা খুঁজতে ইচ্ছে হচ্ছে। আমাদের আনন্দগুলো আসলে আমাদের বেঁচে থাকার খোরাক। ধন্যবাদ আর একবার বেঁচে থাকার প্রেরণা দেবার জন্য।
আকোঁ , বসে আঁকো, একটা গান আছে না ! ।।
ধন্যবাদ
facebook
ছিলাম এক সময় এমন-ই। যখন যেদিকে মন চায় দে ছুট, অবশ্যই সপ্তাহান্তে। চাকুরীজীবী হয়ে যতটুকু পারা যায়। ছাত্র জীবনে অর্থ স্বল্পতা একটা ব্যাপার ছিল। তবুও যতটুকু পেরেছি মনের খোরাক জুগিয়েছি। শৈশব-কৈশোর কেটেছে মাঠে ঘাটে, পাহাড় জঙ্গলে ঘুরে বেড়িয়ে। এখনো আপনার এই লেখাটার মতই মন উড়াল দেয়। কিন্তু পারিনা যে ভাই....অত সোজা না। কার না মন চায়।
তবে আবার জাগায়া দিলা ভাই....তার জন্য ধন্যবাদ।
সহজ নয় বলেই তো উপভোগ্য বেশী !
facebook
ছোটবেলায় বাবা আমাকে ধরিয়ে দিলেন বইয়ের নেশা ... আমি আর বাবা পাশাপাশি হেলান দিয়ে বসে, বাবার হাতে "সেই সময় " আমার ছোট্ট হাতে "ঠাকুরমার ঝুলি " আর সামনে ঝাল মুড়ির বাটি ... ধীরে ধীরে বাবার হাতে আর বই দেখতে পেতাম না , জিজ্ঞেস করলে বলতেন সময়ের অভাবে বই পড়ার আগ্রহ কমে গেছে । তখন কথাটা বুঝতাম না , বড় ( নাকি বুড়ো ? ) হবার পর বুঝি আমার কিশোর বয়সের বই পড়ার সাথিগুলোর এক্সকিউস( সময়ের অভাব ) শুনে । কিন্তু , আমিতো পারলাম না আমার প্রিয় কাজগুলো ছেড়ে দিতে ... তাই , এখন আমার পরিচিতি আঁতেল( এখনো বই পড়ি বলে ) আর অবাস্তব স্বপ্নবাজ হিসেবে ... তবে, মাঝে মাঝে মনে হয় আমারও কি অচিরেই সময়ের অভাব হবে ?
লেখা ভাল ।।
ভাল লাগল আপনার স্মৃতিচারণ। এমন অভাব আপনার হবে না কখনোই।
facebook
facebook
ব্লগরব্লগর খুবই ভালো পেলাম। এই নিয়ে গত কটা দিন ভাবছিলাম। সবখানে কেবল হতাশা, গাম্ভীর্য আর স্বপ্নহীনতা।
স্বপ্ন দেখাটা স্কুলে শেখায় না বলেই যত গেরো। না তো কেউ শেখায়, তার ওপরে স্বপ্ন দেখতে গেলে চোদ্দশ রকমের বায়নাক্কা করে পথটা আটকে দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
নিয়মিত ব্লগরব্লগর করেন কয়েকটা দিন। তবে রিওর ছবি দেখতাম চাই আগে।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
স্বপ্ন দেখার স্কুল তো আমরা নিজেরাই!
facebook
ভাইরে রোজগার করাটা তো শিখে জাই।বেচে থাকাটা অজান্তেই ভুলে জাই।।
মন খারাপ করে দিলেন।
মন ভাল করে ফেলেন।
facebook
হাল ছেড়ো না, বন্ধু!
বিশেষ পছন্দ হলো!
বরং কন্ঠ ছাড় জোরে---
facebook
এইরকম ভাবে বলেই না এই বাউন্ডুলেটাকে এত ভালো লাগে। বেঁচে থাক ভাই।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
....... বাউন্ডুলেটা সত্যিই মনের মানুষ...
ডাকঘর | ছবিঘর
facebook
খুব ভাল হয়েছে
ধন্যবাদ।
facebook
ইমো কই !
facebook
ঝাঊলা লেখা ভালু পাইসি
তয়লে বাউলা একটা লিখা দিই!
facebook
হাল ছাড়ি নাই। দোয়া রাইখেন, যেন ছাড়তে না হয়
দোয়া দিয়ে হইত না ! ইচ্ছেটারে ঠিক রাইখেন ---
facebook
যা করতে মন চায়, তা করতে প্রচন্ড সাহস আর সীমাহীন স্বপ্ন লাগে।
সাহস, স্বপ্ন অর্জন করতে তেপান্তরের মাঠের মত খোলা একটা মন লাগে।
(একটু কাব্য করতে ইচ্ছা হল আরকি)
তোমার এই মনখোলা লেখাটি মন ছুঁয়ে গেল।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
মন শুধু মন ছুয়েছে---
facebook
হাল না ছাড়াটা জরুরি! কিন্তু তার আগে জরুরি সাহস করে হালটা ধরা!
লেখাটা ভোলো লেগেছ।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমার খুবই ইচ্ছা ঘুরে বেড়ানো. তবে বই পড়া আমার ও ইদানিং কম হই. পড়ার চেয়ে আড্ডা দিতে বেশি ভালো লাগে. আচ্ছা তারেক অনু, আপনি যে এত ঘুরে বেড়ান আমাকে কি কোনো ভাবে আপনার দল এ নেয়া যায়? কারণ আমি দল ছুট হবার কারণে কোথাও যেতে পারছি না একা একা.
চলে আসেন এলোমেলো মেঘ, সিট খালি !
facebook
আপনি কই গো ভাইডি !
facebook
আপনার কথা ষোলোআনাই সত্যি। কিন্তু সাধ আর সাধ্যের সমন্নয় করাটা খুব শক্ত, যদি কেউ বাংলাদেশ এর মত জায়গায় জন্মে এবং বিশেষভাবে মেয়ে হয়ে জন্মে। আমি ময়মনসিংহ থাকার সময়গুলোতে খুব সাধ হত ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে গিয়ে একা কিছুক্ষন উদাস মুখে সব ভুলে বসে থাকব। মাঝে মাঝে ইচ্ছেটা অসহনীয় আকার ধারন করত । সাহস করে কয়েকবার গিয়েছিলামও, কিন্তু লোকজনের অদ্ভুত দৃষ্টির কারনে ১০ মিনিটেই উঠে আসতে হয়েছে। যতবার রিকসা নিয়ে একা ঘুরতে বের হয়েছি মন্তব্য শুনতেই হয়েছে। গায়ে মাখব না মাখব না ভেবেও অনেক সময়ই গায়ে লেগে যায়। পায়ে হেটেই যে পথ গুলোতে হাটা যায় সে পথেও থাকে অজস্র বাধা। আমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে কি চাও আমি সবসময়েই বলে এসেছি অদৃশ্য হয়ে যেতে চাই, যাতে দূরে কোথাও না যেতে পারি অন্তত বাসার পাশের রাস্তাটা ধরে ইচ্ছেমতন হাটতে পারব, যেখানে ইচ্ছে একা চুপ করে কিছুক্ষন বসে থাকতে পারব , এবং এজন্য কারো ভ্রুকুটি সহ্য করতে হবে না, বাজে মন্তব্য শুনতে হবে না। আমার মত নিশ্চয়ই এরকম অনেকেই ভাবে। আশা করে থাকি কোন একদিন হয়ত সপ্ন পূরণ হবে ।
আপনার লেখাটা খুব ভাল লেগেছে ।
ঠিকই বলেছেন, আপনার মতো এমন অভিজ্ঞতা অনেকেরই নিশ্চয় দুঃখজনক ভাবে হয়েছে। আমাদের সমাজ থেকে এটা দূর করতে পারলে খুব ভাল হল। হয়ত এটি আমাদেরই করতে হবে।
facebook
এক্কেবারে মিলে গেলো।
facebook
আমাদের মেয়েদের জন্য এটা একটা বড় সমস্যা। এই অদ্ভুত চাহনিগুলো। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে এই সব অবাক চাহনির মানুষগুলোর সাথে পরিচিত হয়ে যাওয়া। দেখবেন এরাই অনেক সময় বন্ধু হয়ে যাবে। নিজের অভিগতা থেকে বলছি...বাংলাদেশের সাধারন মানুষ অনেক অনেক ভাল, তাদের উপর নিশ্চিন্তে ভরসা করতে পারেন।
তবে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ কিন্তু এদের সঙ্গে না, পরিচিত পরিবেশের সাথে। ছেলেদের ক্ষেত্রে পরিবার যেটাকে ছেলেমানুষী বা পাগলামি ভাবে, মেয়েদের জন্য তা অপরাধ। এখান থেকে বের হতে পারলে, বাকীগুলো তেমন সমস্যা না।
আমার পরিবার থেকে আমি স্বাধীনতা পাই সবসময়ই,নিজের বুদ্ধি, বিবেক খাটিয়ে যেটাকে সঠিক মনে হয় সেটা করার স্বাধীনতা আমার আছে। কিন্তু আপনার এই একটা কথা মানতে পারলাম না, অবাক চাহনির মানুষগুলোর সাথে পরিচিত হয়ে যাওয়া সমস্যার সমাধান না। সাধারন মানুষ অবশ্যই ভাল,আমিও একমত, কিন্তু ব্যাপারটা ভাল মন্দের না, মানসিকতার, আমাদের দেশে অনেক বেশী শিক্ষিত মানুষও মেয়েদেরকে রাস্তায় একা দেখলে ভ্রু কুঁচকায়। তবে এটা সত্যি পরিচিত পরিবেশ অবশ্যই অনেক বড় বাধা অনেকের জন্যই। মেয়েরাই অনেক সময় মেয়েদের জন্য বাঁধা হয়ে দাড়ায় , যেটা সবচেয়ে বেশী দুঃখজনক ।
আপনাকে সহ্য করতে পারা দিনে দিনে কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কই আমি ভাবলাম আজকে একটা হেস্ত-নেস্ত করেই ছাড়ব পোস্ট লিখে জয়-জয়কার করেই ফেলবো, দিলেন তো আমার আগেই লিখে!
দাড়ান, শিজ্ঞির এর শোধ তুলবো! খালি দাড়ান!
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
সহ্য করার দরকার নাই
দাঁড়ালাম তো, এখন কি গীতবাদ্য শুরু করব-- এক পায়ে নূপুর তোমার, অন্য পা খালি
facebook
কার্যকরী একটা প্রবন্ধ লিখেছেন অণুদা!!!
_____________________
Give Her Freedom!
আপনি কই গো দাদা, কোন পাত্তা নাই !
facebook
মার্চে ঝামেলা(গ্রাজুয়েশন) শেষ হয়ে যাবে হে কিংবদন্তি!!! তখন ফাটায়ালামু.........
_____________________
Give Her Freedom!
এহন তো জুন, আর কবে ফাডাবেন!
facebook
-----------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...
facebook
এইটা আমিও লোকজনকে বুঝাইতে পারি না, ঘর ছেড়ে বের হওয়ার জন্য ইচ্ছাশক্তিটাই আসল। টাকাপয়সা সুযোগ সবই সেকেন্ডারি। আরে মিয়া, সবাই আমার মতো প্রত্যেকদিন দশবিশপঞ্চাশএকশোপাঁচশো টাকা জমাইলে ঘুরোঘুরির পয়সা এম্নিতেই হয়ে যাবে। খালি নিয়ত করেন- যে পথে বের হবেন।
লেখা দুর্দান্ত! দেখা হবে অণু'দা, অচিরেই। আর দুই হাজার ষোলতে তো হেমিস ফেস্টিভ্যাল আছেই
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
দেখা হবে বন্ধু, খেঁকশিয়ালরে গর্ত থেকে বাহির করেন। দরকার হলে ধুঁয়া দেন।
facebook
নিজের দেশ ঘুরে দেখা প্রায় শেষ .... শৈশবের এই একটা স্বপ্নপূরণ করতে আর মাত্র কয়েকটা জায়গা বাকি। আরো কিছু স্বপ্ন পূরণের মাঝপথে আছি, এই পোস্ট আমাকে অনুপ্রাণিত করলো।
প্রিয় উড়ন্ত ঘুড়ি, “বন্ধু তোমার লাল টুকটুকে স্বপ্ন বেঁচোনা ....”
http://www.youtube.com/watch?v=P2qNCiJnFVQ
facebook
খুব তো বললেন চলে আসেন. এদিকে মেল বক্স এ ক্লিক করলে লেখা আসে এক্সেস নাই.. কেমন করে কি করে যোগাযোগ করব বুঝতে পারছি না. নাকি কথা টা শুধু বলার জন্যই বললেন তাও জানি না. হয়ত এরকম কথা অনেক কে বলে থাকেন. তাও হতে পারে. সে যাই হোক আপনার কিউবা ভ্রমন কাহিনী আমি পড়েছিলাম খুব মন দিয়ে. নিজের দেখা কিউবা এর সাথে মেলানোর চেষ্টা করেছিলাম. আমি ছিলাম কিউবা তে দুই মাস পড়াশুনার কাজে . খুব ভালো লেগেছিল আপনার ভ্রমন কাহিনী টা . সেটাতে মন্তব্য করা হয়নি.এখানেই সেটা সেরে দিলাম. আরেকটা কথা. বাংলাদেশের মেয়েদের বেড়ানো বা নিজের মত ঘুরে বেড়ানোর স্বাধীনতা এত কম সেটা নতুন করে বলার কিছু নাই. তবে আপনি লিখলেন এটা বদলাতে 'হয়ত' আমাদের ই এগিয়ে আসতে হবে. আপনি এই 'হয়ত' টা কেন যোগ করলেন বুঝলাম না.
আরে না, এমনি এমনি বলব কেন! বেশী ঘোরাঘুরি উপরে আছি কিনা, নেটে সবসময় আসা হচ্ছে না,
আপনি চাইলে ফেসবুক সবচেয়ে সহজ মাধ্যম যোগাযোগের জন্য।
হয়ত, বিয়োগ করে ফেলুন, ভুলে বসে গেছে, আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।
facebook
ঠিক তাই।
facebook
আসলেই! এখনই ক্যামেরা নিয়ে বের হতে ইচ্ছে করছে। ইচ্ছেকে সুযোগ দিতে পারি না জন্য কত কিছু হতে গিয়েও হয় না।
বাহির হয়ে পড়েন !
facebook
অণুভাই, into the wild সিনেমাটা দেখেছেন? এরকম কয়েকটা ভ্রমণ বিষয়ক সিনেমা নিয়ে একটা পোস্ট দেন, প্লিজ।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
হুম, বইটাও কিনেছি।
দেবার ইচ্ছে আছে, আপনিও দিতে পারেন কিন্তু !
facebook
অন্যরকম লেখা। ভালো লাগলো।
facebook
তারেক ভাই আপনার অনেক সব চমৎকার লেখা শেষে অনেক পাঠকের একটা কমন জিজ্ঞাসা চোখে পড়ে মাঝে মাঝে " অনুদা র পেশা কি? কিভাবে দুনিয়া জুড়ে ঘুরে বেড়ানো টা ম্যানেজ করেন? ব্লা...ব্লা... এই লেখার পর আশা করি আপনাকে কেঊ আর অইসব হাবিজাবি জিজ্ঞেস করবেনা ।
হা হা, আশা করি !
পেশা তো মানুষ যেটা করে, সাধারণত জীবিকার তাগিদে, সেটা তো মানুষটা না !
facebook
ম্যারি মি, তারেক অণু!!
ভালো লিখেছেন, ভালো থাকবেন।
এটা কি মস্করা!
ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা।
facebook
আপ্নের পোস্ট আর তোলা ছবি দেখলে মনে হয় দুনিয়াদারি ছেড়ে ব্যাকপ্যাক নিয়ে বের হয়ে যাই... কিন্তু অই যে বললেন, সাহসটা করা হয়ে উঠে না। ভবিষ্যত কেম্নে চলবে, নানাবিধ ভাবনা চলে আসে। তাও প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাই স্বপ্নগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার...
"দেখিস একদিন আমরাও..." (পোয়েটিক তুইতুকারি )
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
একদিন আমরাও---
facebook
আকাশভরা পাঁচ তারা লেখা---
কড়িকাঠুরে
অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
facebook
খুব ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন।
-কামরুজ্জামান পলাশ
আপনিও
facebook
নতুন মন্তব্য করুন