তীক্ষ, জান্তব, পাশবিক এক রক্ত জল করা চিৎকারে চারপাশের শান্তিময় পরিবেশ যেন নিমিষের মাঝে নরকপুরীতে পরিণত হল। ডিএনএ-তে খোদিত আদিম আতঙ্ক আবারো তার নগ্ন রূপে খেলে গেল দেহের প্রতিটি শিরা-উপশিরায়। পা তুলে মুহূর্তের মাঝে পায়ে হরিণের গতি এনে হাওয়া হয়ে যাবার চিন্তা করছি, এই সময় সেই হিম চিৎকারে আবার ভরে গেল মহাবিশ্ব! ঠিক চিৎকার নয়, প্রচণ্ড রাগে বিচ্ছিরি ভাবে গর্জন করে খকখক করে কাশলে এমন আতঙ্কময় শব্দের উৎপত্তি হতেও পারে। এমন ভর দুপুরে, খাঁ খাঁ রোদের মাঝে পিলে চমকানো চিৎকার কোথা হতে আসতে পারে !
৩১ ডিসেম্বর, ২০১১, বছরের শেষ দিনে দাড়িয়ে আছি বিশ্বের সর্বপ্রথম মেট্রোপলিটান মেক্সিকো সিটির ( এই শহরই প্রথম জনপদ, যার জনসংখ্যা এক মিলিয়ন ছাড়িয়েছিল) অদূরেই অ্যাজটেক সভ্যতার টিকে থাকা সেরা নিদর্শন তেওতিহুয়াকান শহরে, এক পিরামিডের দোরগোঁড়ায়, সেখানেই এমন বিপত্তি!
ঘাড় ঘুরাতেই চোখে পড়ল বিশাল সমব্রেরো মাথায় দিয়ে এক জাঁকালো গোঁফের মেক্সিকান। দেঁতো হাসি দিয়ে হাতের ক্ষুদে বস্তুটির দিকে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করল, ছোট একটা পাথুরে খণ্ড, খানিকটা ক্রোধোমত্ত বাঘ্রের আদল। সেটা এই রদরিগেজ ব্যাটা মুখে পুরে ফুঁ দিতেই আবার বিশ্ব টলে উঠল সেই রক্ত জল করা প্রবল অজানা হুংকারে! বোঝা গেল সেটা একটা বাঁশি, জোরসে বায়ু সঞ্চালন করলেই আমাজনের রাজার ডাক শুনতে পাওয়া যায়! তাই বলে, এমন দিন দুপুরে এভাবে পিলে চমকে দিবে, আবার আমাদের কাছে সেই বাঁশি বিক্রি করতে চাচ্ছে গুঁফো ব্যাটা ! আস্পর্ধা! চটে মটে অগস্ত্য মুনির মত দৃষ্টি দিয়েই অগ্নিবাণ নিক্ষেপ করে রওনা দিলাম কাছের পিরামিডের সিঁড়ি ভাঙতে।
মেক্সিকোতে পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য প্রকৃতি, ইতিহাস, স্থাপত্য, সংস্কৃতি, মশলাদার খাবার কোন কিছুরই অভাব নেই। বিশেষ করে মায়া, অ্যাজটেক, টোলটেক, ওলমেক কত বিখ্যাত-অখ্যাত সভ্যতার প্রাচীন নিদর্শনগুলো দেখতে সারা বিশ্ব থেকে জমায়েৎ করে কোটি কোটি ভ্রমণপিপাসুরা, কিন্তু সবচেয়ে বেশী ভিড় কিন্তু ঘটে এই তেওতিহুয়াকানেই। প্রায় ২০০০ বছর আগে নির্মিত এই বিশাল নগরে যেখানে ঠাই পেয়েছে ল্যাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় পিরামিডগুলো কয়েকটা।
কিন্তু কারা তৈরি করেছিল এই আকাশ ছোঁয়া পিরামিড, বিস্তৃত রাজপথ, নিখুঁত ম্যুরাল, অজস্র দালান-কোঠা? উত্তর- এখনো জানা নেই। যদিও সর্ব সাধারণের কাছে তেওতিহুয়াকান অ্যাজটেক সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু বলেই পরিচিত ।
কিন্তু ইতিহাসবিদরা আজ পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না, এই নগর কি কেবলমাত্র যুদ্ধবাজ অ্যাজটেক গোত্রের তৈরি, যাদের রাজধানী ছিল এখানে থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে ( বর্তমানের মেক্সিকো সিটি) , নাকি নানা গোত্র, নানা সভ্যতার সম্মিলিত প্রয়াস এই বিস্ময়! আচ্ছা, এর উত্তর প্রাচীন ভাষাবিদ ও প্রত্নতত্ত্ববীদরা খুঁজে আরো কয়েক দশক গলদঘর্ম হতে থাকুক, আমরা সেই অবসরে শহরটা ঘুরে ফেলি। এবারের ভ্রমণ সঙ্গী হিসেবে জুটেছে আমার মেক্সিকান ভাই ইসাইয়াস সেরণা। তবে অ্যাজটেক ভাষায় শহরটির নামের একটি অর্থ--- যে শহরে মানুষ পরিণত হত ঈশ্বরে !!!
খ্যাতির শীর্ষে অবস্থানকালীন সময়ে এই শহরে দুই থেকে আড়াই লক্ষ অধিবাসী ছিল, তাও প্রায় ১৭০০ বছর আগে , এখান থেকেই আশা করছি বুঝতে পারছেন কি জমজমাট ব্যাপার ছিল সেই সময়ে। সমগ্র শহর এলাকায় নানা আকারের ১৫টির মত পিরামিড আছে, সবগুলোতে আরোহণের অনুমতি যেমন নেই, তেমন নেই সময়ও। তাই সবার আগে যাওয়া হল সেই সময়ের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ঈশ্বর পালকযুক্ত সরীসৃপের পিরামিড মন্দিরে ( যদিও অ্যাজটেকদের সবচেয়ে আরাধ্য দেবতা পালকাবৃত সরীসৃপের নাম ছিল কেটজালকোয়াটল, কিন্তু এমন দেবতার ধারনা আরো অনেক অনেক প্রাচীন। তবে লেখার সুবিধার্থে এখন থেকে কেটজালকোয়াটল নামটিই ব্যবহার করব)।
বিশাল এই পিরামিডটির ( এই শহরের ৩য় বৃহত্তম পিরামিড) অন্যতম বৈশিষ্ট্য চমৎকার বাঁধানো সিঁড়ির দুইপাশে এবং চারধারের দেয়ালের দেবতা প্রধান কেটজালকোয়াটল এবং বৃষ্টির দেবতা তিলালকের খোঁদাই করা ভাস্কর্য। ধারনা করা হয় এই বিদঘুটে ঈশ্বর বিশ্বাস ছিল অ্যাজটেকদের মত শক্তিশালী রণনিপুন জাতির পতনের অন্যতম প্রধান কারণ- সেই যে যুগে যুগে আগত সব ধর্মের মতই তাদের বিশ্বাসেও ছিল দেবতা কেটজালকোয়াটল একদিন ফিরে আসবেন এই ভূমিতে, মানুষের রূপেই, তার চামড়া হবে উজ্জল, চুল সোনালি বর্ণ। আর তাই তো স্প্যানিশ লুটেরা বাহিনীর প্রধান হার্নান কর্টেযের সাথে যখন অ্যাজটেক রাজাধিরাজ মক্টেজুমার সাক্ষাৎ হয়, রাজা নিজে থেকেই দেবতা ভেবে নীচ, লোভী, নিষ্ঠুর, বর্বর কর্টেযকে তার সিংহাসন ছেঁড়ে দেন, এর পরের ইতিহাসতো সবারই জানা। আর মীরজাফর, গোলাম আজমরাতো সব যুগেই, সব জাতিতেই বর্তমান!
দুঃখজনক ভাবে এই অপূর্ব পিরামিডটির উপরের অনেকখানিই প্রাকৃতিক কারণে ভেঙ্গে পড়েছে, উপরে ওঠার অনুমতি নেই। এর মাঝেই জানা গেলে এর নিচে অন্তত শখানেক মানব কঙ্কালের সন্ধান মিলেছে, মানে দেবতার সন্তুষ্টির জন্য ধর্ম ব্যবসায়ীর দল, সর্বকালের সর্বযুগের বোঝা ঐ পুরোহিতরা বলি দিয়েছে নিষ্পাপ জনসাধারণকে আকাশ থেকে নেমে আসা দৈববাণীর কথা বলে। কাছের জাদুঘরেই শুনলাম সেইসব হতভাগ্য উৎসর্গকৃতদের কঙ্কাল রাখা আছে। কেমন একটা গা শিউরানো পরিবেশ। মনে হল এর মাঝেই সফেদ পোশাক পরে বলির পাঁঠার মত নত মুখে চলছে জনতা, উপরে রক্ত মাখা কালো পাথরের ছুরি হাতে বীভৎস মুখোশ পরা পুরোহিত, নিচে উম্মাদ জনতা, আর সব কিছুরই কেন্দ্রবিন্দুতে রাজামহাশয়।
সেই হত্যাযজ্ঞের স্থান থেকে চললাম দুই আমেরিকার সবচেয়ে বিখ্যাত কিন্তু আকৃতির দিক দিয়ে ২য় বৃহত্তম পিরামিড, পিরামিড অফ দ্য সান ( সূর্য পিরামিড ) দর্শনে (সর্ববৃহৎ পিরামিড ভ্রমণের কথা অন্য লেখায় জানাব)। বেশ চওড়া, বাঁধানো প্রাচীন রাস্তা ঘাট, এক পাশে রঙ ঝলমলে পসরা নিয়ে বসেছে স্থানীয়রা। তাতে নানা আকারের, নানা ধাঁচের মুখোশ, কাপড়, বাঁশি, অ্যাজটেকদের অস্ত্র আর অবশ্যই সেই পিলে চমকানো জাগুয়ারের ডাকের বাঁশি উপস্থিত।
তারমধ্যে এক ধরনের কচ্ছপের মূর্তিধারী বাঁশি বেজায় পছন্দ হয়ে গেল গোলাপি পোশাক পড়ে থাকা এক টুকটুকে দাদীমার পসার থেকে, কথা বলে জানা গেল উনার মাতৃভাষা নাহুয়াটল! উরেব্বাস, এ যে সাক্ষাৎ অ্যাজটেকদের বংশধর! এই প্রাচীন ভাষায় অবশ্য মধ্য আমেরিকায় এখনো প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ কথা বলে থাকে, কিন্তু চোখের সামনে এই প্রথম একজনের দর্শন মিলল। সাথে সাথেই আবদার করে বসলাম, দাদীমা, তোমার একটা ছবি আমায় তুলতেই হবে যে!
শুনেই মহিলা মিষ্টি ভাষায় যা একখান ঝাড়ি দিলেন, সোজা মুখের উপরে স্প্যানিশে বললেন, যা ছোড়া, আমার মুখের বলিরেখার সংখ্যা তোর বয়সের চেয়ে বেশী জানিস! রঙতামাসার আর জায়গা নাই, এসেছে আমার ছবি তুলতে এই বয়সে!
সেই সাথে মিনিটখানেক গজ গজ করার পরে রাগ একটু পড়লে, দুইজনে নানা কায়দা করে তাদের সুমহান সভ্যতার নানা কীর্তির কথা বলার পরে শত বর্ষের নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে দাদীমা বোবা দৃষ্টি মেলে চাইলেন ক্যামেরার দিকে।
সেখান থেকে সোজা সূর্য পিরামিডের পাদদেশে, বিশাল স্থাপত্য উঁচু হতে হতে এক সময় মনে হল আকাশেই মিলে গেছে, যেখানে আছে কল্পিত স্বর্গ, যেখানে থাকেন কল্পিত ঈশ্বর। আচ্ছা, অধিকাংশ ধর্মের ঈশ্বরেরা আকাশবাসী হয় কেন !
ধাপে ধাপে সিঁড়ি বেয়ে আমাদের যাত্রা এখন সেই স্বর্গ পানে, একটানা উঠে যাবার বোকামো না সাহস কোনটাই না দেখিয়ে খানিক পরপরই থেমে চারদিকের স্মৃতি ফ্রেমবন্দী করতে করতে ধীর গতিতে চলল আমাদের যাত্রা আয়তনের দিক দিয়ে সারা বিশ্বের ৩য় বৃহত্তমের এই পিরামিড শীর্ষে, যদিও মিশরের সর্ববৃহৎ পিরামিডটির চেয়ে এর উচ্চতা তার অর্ধেকেরও কম।
মিশরের পিরামিডের মত ফাঁপা বা গুপ্তকক্ষময় ছিল না এই পিরামিডগুলো, বরং প্রথমে ভিত্তি গেড়ে তার উপর স্টেপ পিরামিড নির্মাণের নিয়ম অনুসরণ করে একের পর এক স্টেপ নির্মাণ করে করা হয়ে ছিল দেবতাদের ভাঁড়ারে উঁকি দেবার এই চেষ্টা।
মেক্সিকো সিটি এমনিই সাগরপৃষ্ঠ থেকে বেশ উপরে, তার উপরে এমন উঁচু পিরামিদে পাথরের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে অনেকেই বেশ গলদঘর্ম হচ্ছেন বটে কিন্তু নিরাশ হচ্ছে না কেউই, খানিকক্ষণ জিরিয়ে নিয়ে, বুকের হাঁপরে সুবাতাস ভরে, মুখে লেবুজল দিয়ে আবার সিঁড়ি ডিঙ্গানো।
পিরামিড শীর্ষে পোঁছে সবার আগে চোখ গেল এর চারিপাশের বিস্তৃত তেপান্তরের মাঠে, দূর পর্বতে যেয়ে ঠেকেছে যার এক সীমানা। আসলে, এই পিরামিড সহ অন্যান্য সব স্থাপনাই তো এক মহা জটিল নগরপরিকল্পনার অংশ। কেমন অতি ক্ষুদ্র মনে হয় নিজেদের অসীম শূন্যের নিচে দাড়িয়ে সেই হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসকে মনে করলে।
সূর্য পিরামিড নামটি অ্যাজটেকদেরই দেওয়া, এর পাদদেশ দিয়েই চলে গেছে মৃতদের রাস্তা ( অ্যাভিনিউ অফ দ্য ডেড ), শেষ হয়েছে শহরের অন্য মাথায় , তেওতিহুয়াকান নগরের ২য় বৃহত্তম পিরামিড, পিরামিড অফ দ্য মুন বা চন্দ্র পিরামিডের দোর গোঁড়ায়।
কি অসামান্য এই অনুভূতি, কতদিন রাত অবিরাম স্বপ্ন দেখেছি এই জায়গায় একটি বারের জন্য হলেও দাঁড়াব বলে, পুরনো ন্যাশনাল জিপগ্রাফিকের পাতা উল্টে বার বার মনকে প্রবোধ দিয়েছি- একদিন আমিও। আজ সেই সূর্য পিরামিডের শীর্ষে নিজেকে আবিস্কার করে কেবল অবাক বিস্ময় আর অপার আনন্দেই ভাসলাম না, বরং কৌতূহলী মন আরো অজস্র প্রশ্ন খাঁড়া করল এই সভ্যতা ও শহর, আর সর্বোপরি এর অধিবাসীদের নিয়ে।
আস্তে আস্তে আবার নিচের দিকে, গোটা শহরের প্রায় সবটুকুই যে বাকি পড়ে আছে এখনো!
আস্তে আস্তে সেই মৃতদের সড়ক পাড়ি দিয়ে আরো নানা অর্ধ সমাপ্ত পিরামিডজাতীয় স্থাপনা পাড়ি দিয়ে অবশেষে দোরগোড়াতে হাজির হল চন্দ্র পিরামিড, যার ভিত্তি সূর্য পিরামিডের চেয়েও প্রাচীনতর।
কিন্তু এই পিরামিডটিতে সংরক্ষণজনিত কারণে কেবলমাত্র অল্পদূর পর্যন্ত আরোহণের অনুমতি আছে, তারপর পথ বন্ধ! তাও সই , অন্তত উপরে উঠলে অদূরের সূর্যপিরামিডসহ শহরের বিশাল অংশের ছবিতো পাওয়া সম্ভব হবে, কারণ চন্দ্র পিরামিড শহরের অন্য প্রান্তে অবস্থিত।
এত পাহাড়সম সুউচ্চ পিরামিড দুপুরের খরতাপে ডিঙ্গালে যা হয়, পাকস্থলীস্থ দেবতা কুইকুই করে অস্তিত্বের জানান দিয়ে বললেন, আমিই সব, বাকি সব দেবতা মিথ্যে! আমাকে সন্তুষ্ট কর, নইলে খবর আছে ! আর কি, নগর সীমানার কাছেই স্থানীয় কিছু খাবারের দোকান চোখে পড়ে ছিল আগেই, তারই একটাতে যেয়ে আসন গ্রহণ করা হল তরিবৎ করে পেটপুঁজোর আশায়। মনের কোণে আশা যদি অ্যাজটেকদের কোন খাবার মিলে যায়, তাহলে এই প্রাচীন স্থানে সব মিলিয়ে সোনায় সোহাগা!
রেস্তোরাঁর যে ছোকরা খাবারের তদারকি করতে এল, সে অবিকল আমার খালাত ভাইয়ের মত দেখতে! আমার ভাঙা ভাঙা স্প্যানিশ শুনে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে নিশ্চয়ই ভাবতে লাগল- এ আবার কোথাকার মেক্সিকান! নিজের মায়ের ভাষা ভুলে খেয়ে আছে! চেহারার এত মিল দেখে তাকে অনুরোধ করলাম একটা ছবি তুলাবার জন্য, কিন্তু লাজুক ছেলে রাজি হল না! কিন্তু গরম গরম অ্যাজটেক খাবার এনে দিল পাত ভরে, আমরাও নিবিষ্ট ভাবে খেয়ে চললাম পেট পুরে। ভাত আর শিমের সাথে খরগোশের মাংস ( খবর নিয়েছি পোষা খরগোশ, বুনো প্রাণী এই জীবনে খেতে চাই না) সেই সাথে অসাধারণ এক চকলেট সস, এটি একেবারে অ্যাজটেক রেসিপি,প্রায় ৭০টি ভিন্ন ভিন্ন মশলার সমন্বয়ে তৈরি, কিন্তু মোটেও মশলাদার নয় !
কেমন একটা মিঠে কড়া আমেজ! সেই সাথে সবুজ সব্জিমত কি একটা যেন উপরে ছড়ানো, প্রশ্ন করতেই জানা গেল ক্যাকটাস!
ক্যাকটাসের কিছু মোলায়েম অংশ পরিষ্কার করে এভাবে খাওয়ার রেওয়াজ দুনিয়ার এই অঞ্চলে ! সেই সাথে অবশ্যই একাধিক রকমের সালসা থাকবেই টেবিলে, কারণ দেশটার নাম মেক্সিকো! মরিচের উদ্ভব এখানেই!।
খাবার পাট চুকলে যাওয়া হল এক ও অদ্বিতীয় তেওতিহুয়াকান জাদুঘর দেখতে, বিশাল তার সংগ্রহ। ইতিহাসের নানা পর্যায় গ্রন্থনার চেষ্টা করা হয়েছে যথাসম্ভব নিখুঁতভাবে প্রমাণসাপেক্ষে। নানা স্তরের সাহায্যে দেখানো হয়েছে কেমন ছিল তখনকার সমাজব্যবস্থা, মৃৎশিল্প, অস্ত্রনির্মাণ, বস্ত্র বয়ন, অপূর্ব সুন্দর সব ভাস্কর্য, মুখোশ,
আর সেই সাথে অতি অবশ্যই দেবতাদের প্রতিলিপি।
একপাশে রাখা ঈশ্বরের পিরামিডে পাওয়া কিছু নরকঙ্কাল, মানুষের দাঁতের বিশাল সংগ্রহ।
সেই সাথে সুবিখ্যাত ম্যুরালগুলি দেখা গেল আসল রঙে।
জাদুঘরে অনেক দর্শনীয় বস্ত থাকলেও বিখ্যাত অ্যাজটেক ক্যালেন্ডার বা বর্ষপঞ্জি চোখে না পড়াই খানিকতে খুঁতখুঁতে লাগছিল, কিন্তু বাহিরে এক দোকানির কাছেই মিলল এই সপ্তবর্ণা গাণিতিক বিস্ময়।
সকল আশার ষোলকলা পূর্ণ হওয়ায় অ্যাজটেকদের রাজ্য থেকে বিদায় নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হল দূরের মায়া সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দুর দিকে।
মন্তব্য
আপনার মত ঘুরতে মন চায়। ক্যাকটাস আর খরগোশ পেট ভরে খেয়ে সূর্য পিরামিডে উঠে বসতে মন চায়।
সচলে ফেসবুকের মত লিখা ব্লক করা যায়না? আপনের লিখা ব্লক করে দিতে হবে, দীর্ঘশ্বাস ফেলে ফেলে লাংস খালি করে ফেললাম।
আরো অনেক ঘুরেন অণু ভাইয়া।
..................................................................
#Banshibir.
মন চাইলেই হবে! আমার হয়েছে কিনা বলেন ?
facebook
এই লেখাটা পড়তে যেয়ে কেন যেন মনে হচ্ছিল তিন গোয়েন্দা পড়ছি। দারুণ একটা পোস্ট। খুব ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ। তিন গোয়েন্দা নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা লেখা জরুরী হয়ে পড়েছে আসলেই--
facebook
দেরি না করে লিখে ফেলেন। বরাবরের মত এবারের লেখা সুস্বাদু ছিল। খালাতো ভাই কে দেখতে পারলে ভাল লাগত।
আমারও, কিন্তু ছোকরা বেশী লাজুক ।
facebook
হায়! পিরামিড... পিরামিডকে নিয়ে এতো পড়ি তবু আমার মন ভরে না। আরও নতুন নতুন কিছু তথ্য জানা হল। ছবিগুলা অসাধারন আর লেখা (গুড়) হয়েছে।
চলতে থাকুক......
রহস্যের কেন্দ্র যে--
facebook
অণুদা তো অনেক সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দুই ঘুরে আসলেন।
পার্টিকুলার কোন সভ্যতা নিয়ে একটা সিরিজ চালু করুন না
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
করব, দেখি আগে হাতের লেখাগুলো শেষ করি।
facebook
এটা তো সেই জায়গা যেখানে নরবলি দেয়া হত। "Apocalyptoepic-- action-adventure film directed by Mel Gibson. Set in Yucatan, Mexico, during the declining period of the Maya civilization" ছবিটা দেখে এর ব্যপারে বেশ একটা আগ্রহ ছিল। অনেক ধন্যবাদ অণুদা চমৎকার লেখার জন্য। তবে সভ্যতার বিবরণ আর নরবলির তথ্যগুলো আরো বিস্তারীত হলে ভালো হত। ছবিটা দেখা আছে নাকি? দেখে নিবেন, অসাধারন একটা ছবি।
দেখেছি, কিন্তু সেটা মায়ান দের উপরে, তাদের নিয়েও লেখা আসিতেছে।
facebook
facebook
অতীব চমৎকার ... মায়া সভ্যতার বিবরণ জলদি দেন ।
দিব্ দিচ্ছি !
facebook
। মাস্টার পিস।
ডাকঘর | ছবিঘর
ধন্যবাদ তাপস দা। চিন্তা কর না, আমাদের আসাম যাত্রা নিয়েও মাস্টারপিস হবে !
facebook
বরাবরের মতই দারুন!
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
facebook
আপনি এত ব্যস্ততার মধ্যেও সময় করে পোস্ট দেন দেখে খুব ভাল লাগে। ইনকা আর আজটেকদের সাথে স্প্যানিশদের মোলাকাতের ইতিহাস অনেকটা একইরকম। তবে ইনকারা যেমন মাচু-পিচু তৈরী করেছিল, স্প্যানিশদের তেমন নেই। আজটেক মেক্সিকোর জনসংখ্যা এক মিলিয়ন ছুঁইয়েছিল খ্রীষ্টের জন্মের সময়, যখন পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল আনুমানিক পাঁচ কোটি। ভাবতেও কেমন লাগে যে সেই সভ্যতার উত্তরাধিকার আমাদের সভ্যতা থেকে হারিয়ে গেছে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ঠিক বলেছেন, মেক্সিকো আর পেরুতে স্প্যানিশদের বর্বরতার নিদর্শন এখনো চোখে মারাত্মক পীড়া দেয়। কর্টেযের বজ্জাতি নিয়ে লিখব মেক্সিকো নিয়ে এক পোস্টে।
facebook
হায়রে !! ১৩ নং ছবিটাই তো সেই জায়গা যেখান থেকে মানুষ মানুষ কেটে কেটে দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হতো !!!
ডাকঘর | ছবিঘর
হুম্ম, মায়ানদের সিনোতেগুলোও ভয়াবহ।
facebook
মায়া, অ্যাজটেক ইত্যাদি সভ্যতা সম্পর্কে শুনেছি অনেক অল্প-বিস্তর পড়েছিও বটে। কিন্তু আপনার ক্যামেরার লেন্সের মাধ্যমে আর আপনার অপূর্ব সুন্দর বয়ানে আরও অনেক অনেক কিছু দেখা ও জানা হল। ভালতো লেগেছে বটেই। সুস্থ থাকুন আর আমাদেরকে বিভিন্ন নূতন নূতন বিষয় সম্পর্কে জানান।
অনেক ধন্যবাদ সব সময় পাশে থাকার জন্য।
facebook
(তারেকাণু পোস্ট: কিস্যু বলার নাই! -ইমো)
(দ্যাশে আহেন, খপরাছে! -ইমো)
কৈশোরে মাসুদ্রানা পড়তে পড়তে অ্যাজটেক যোদ্ধার পদচিহ্ন খুঁজতে যাবার ইচ্ছে হোত। আজকে আপনার চোখ দিয়ে দেখা হোল তাদের। আপনার অসাধারণ বর্ণময় অভিজ্ঞতার ঝুলি ধার নিলাম, পড়ে পড়ে যতখানি সম্ভব আরকি!
অনেক অনেক ভালো থাকেন, অণু ভাই।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
হ, আমার ত শখ জাগছিল তিন গোয়েন্দা থেকে!
facebook
facebook
আমার একটা জাগুয়ারের ডাকের বাঁশি লাগবে।
আপনার মাধ্যমে পৃথিবীর অনেক কিছু দেখা হয়ে যাচ্ছে । আপনি শতবর্ষী হন, আপনার মাধ্যমে ঘরে বসেই সমগ্র পৃথিবী (সাথে মঙ্গল, চন্দ্র , বুধ গ্রহ )দেখা হয়ে যাবে নিশ্চিত ।
সে ভয়ানক জিনিস, বিন্দুমাত্র বাড়িয়ে বলি নি কিন্তু!
facebook
এজন্যই তো লাগবে। আমার বেকুব মার্কা চেহারা দেখে কেউ ভয় পায় না, দেখলেই সবাই মাথায় কাঁঠাল ভাঙ্গতে চায় , তাই ওরকম কিছু হাতে থাকলে সুবিধা ।
facebook
ভাল্লাগছে বস
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ত্রিমাত্রিক ভাল লাগা না কি
facebook
বরাবরের মতই হিংসার ইমো এবং বিরাট বিরাট মাইনাস ।
আরো বিস্তারিত কিছু কি জানা যাবে জানি না ,দেখি গুগল এ সার্চ দিয়ে লিপ্সা না মিটলে আপনি তো আছেন ই
মোদ্দা কথা পুরো পোষ্ট পড়ে দিলাম
শোধ বোধ, মাইনাসে মাইনাসে প্লাস !
facebook
জনাব, আপনার নতুন নামকরণ করিলাম ভ্রম্যাণুয়াক (ভ্রমণ+অণু+ম্যানিয়াক) কিংবা ভ্রম্যানিয়াক।
জটিল !
facebook
আমিই যেন ঘুরে এলাম তেওতিহুয়াকান থেকে।
অবশ্যই।
facebook
অমানুষ!
facebook
facebook
শনিবার সাত সকালে মাথা গরম হয়ে গেল এই লেখাটা পড়ে, আর মাথা খারাপ করা সব ফটোস দেখে !
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
তয়লে আর বাকি কি রয়ল!
মাথা গরম আবার খারাপ! এখন চা বানানোর সসপ্যানটা মাথার উপরে খানিকক্ষণ রেখে ছুটির দিনের চা টা বানিয়ে ফেল !
facebook
গত কিছুদিন ধরে সচলের নীড় পাতায় আপনাকেই খুঁজছিলাম। আজ পেলাম। যথারীতি অসাধারন।
দীপাবলি
ধন্যবাদ, বেশী ঘোরাঘুরির উপরে থাকায় লিখার পোস্টের সুযোগ মিলছিল না, আশা করি এখন কদিন নিয়মিত লিখতে পারব।
facebook
আর ইয়ে... ওগুলো মানুষের দাঁত!!!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
অধিকাংশই। তবে কিছু মানুষের দাঁতের আদলে মসৃণ করা জন্তুর হাড়।
facebook
এই পোষ্টের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এখানেই নতুন বছরের সূচনা করেছেন! দারুণ!!!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
facebook
দাঁড়াও, এইত আর কটা দিন পরেই মরে ভূত হব, তখন বিনি মাগ্নায় দুনিয়াটা গোটাই ঘুরে ফেলব এক নিমিষে! হুঁহুঁ বাবা !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হুমম, সেই ঝুকি না নেওয়ায় ভাল! মানুষ মলে না হয় ভূত হয়, কিন্তু ভূত মলে !
facebook
আপনি লিখেন ভালো। ছবিও তোলেন ভালো।
তো একই সাথে যে যা্য়গা গুলো ঘুরছেন - ভিডিও করলে খুব সহজেই ট্রাভেল ডকুমেন্টারি করতে পারতেন।
ফিনলান্ড থেকে ষ্টকহোল্ম আসলে দাওয়াত রইল।
ধন্যবাদ। ভিডিও করা হয়, কিন্তু সে রকম ভাবে নেটে দেওয়া হয় নি।
ওখানে তো যাওয়া হয়ই, আপনার ফেসবুক নামটা লিখে দিন, আপনি যাবার আগে জানাবো।
facebook
আরে গুলি কিছু বাকি রাইখেন!
facebook
অশ্লীশ ছেলেটা আবার পোস্ট দিসে!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
পোস্টতো অশ্লীশ না !
facebook
আমরাতো আমাদের সুবিধাজনক সময়ে ধীরে-সুস্থে আয়েস করে আপনার পোস্ট পড়ছি, ছবি দেখছি, মন্তব্য করছি। ভাবছি, শত বাধা পেরিয়ে, শত ঝামেলা মিটিয়ে নির্দিষ্ট স্থানটিতে পৌঁছবার ঠিক আগ-মূহুর্তে আপনার মাঝে কি ধরনের উচ্ছাস, উত্তেজনা কাজ করে!
যাহোক, আগামীতে আরও বিস্তিরিত আশা করছি।
ভাল থাকবেন।
সেটা আসলেই আমার ভাষার অতীত !
facebook
দারুণ লাগলো!
facebook
আহা! আপনার পোস্টে মন্তব্য করার তো আর কিছু নেই! মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কিন্তু ইমো !
facebook
কিতু কুশ্চেন হচ্ছে দুই হাজার বারো সালের একুশে ডিসেম্বার অপরাহ্ন তিন ঘটিকা জিএমটিতে দুনিয়া ধ্বংস হচ্ছে কি না... অ্যাজটেক দাদুরা কি বললেন এই বিষয়ে?
তাহলে ঘটিবাটি বেচে দিয়া ভেনেজুয়েলার অ্যাঞ্জেল ফলস দেখতে যাওয়ার প্ল্যান শুরু করে দেই। ওইটা দেখে মরার শখ আমার
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আমারও যাবার খুব ইচ্ছে, তবে মূলত রোরাইমা পর্বতে চড়ার জন্য।
দেখে মরবেন, চিন্তা করেন না ! পৃথিবী ধ্বংস হচ্ছে না। আপনি না জ্ঞানী দেবতা ওডিন , আপনের তো জানার কথা !
facebook
সুন্দর
_____________________
Give Her Freedom!
facebook
##ইবনে বতুতা ভাই, কেমন আছেন? ১০০ দেশ না ঘোরা পর্যন্ত থামবেননা, এ আশা
আছি খুব ভাল, দেশতো ভাই একটাই !
facebook
আসিতেছে !
facebook
আপনার কিউবা নিয়ে লেখা পড়ার পর কিউবা কিউবা করে সবার মাথা খারাপ করে দিচ্ছি।
এখন এই জায়গার কথা বলে মাথা খারাপ করে দিতে হবে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
পুরোটাই খারাপ করে দিয়েন না! এমন আরো বেশ কিছু জায়গা নিয়ে লেখা দিব এই বছরেই !
facebook
পোষ্টে প্লাস । আ্যজটেক খানা খাইতে মুন্চায়। প্লেটে ভাতের পাশে পলিথিনের প্যাকেটে উহা কি খরগোশের মাংস না সস?
কিরে ভাই নতুন লেখা কই? আপনে কয়দিন লেখা না দিলে কেমুন যেন ঘরে বসে আছি মনে হয়, আইলসা লাগে। তাড়াতাড়ি লেখা দ্যান মিয়া!
মাংস, তার উপরে সস!
হা হা, দিব। না লিখলে নিজেও অস্বস্তিতে থাকে, কিন্তু আপাতত নাচার !
facebook
আমার জন্য একটা বাঁশি আনতে পারতেন তো!
এই লেখাটা অতি চমৎকার হয়েছে।
ঐ ভয়াবহ বাঁশি দিয়ে করবেন টা কি !
facebook
দারুন!
আচ্ছা, কোন কোন লেখক / বিশেষজ্ঞরা বলেন দক্ষিন আমেরিকার পিরামিড নির্মানজ্ঞান নাকি বহু আগে মিশর থেকেই গিয়েছিল - মিশরের সাথে দঃ আমেরিকার সাগর পথে যোগাযোগ ছিল। আপনার কি মনে হয়? এটা কি সম্ভব?
****************************************
অনেকেই এইটা নিয়ে সারা জীবন গবেষণা করে গেছেন, বিশেষত মিসরীয় আর মায়াদের মধ্যে যে যোগাযোগ ছিল এইটা প্রমাণের জন্য, প্রায় একই পিরামিড, একই ঈশ্বর, একই বিশ্বাস!
কিছুই বলা যায় না, কিন্তু দরকার অকাট্য প্রমাণ !
facebook
ইসস আমার স্বপ্নের সব জায়গাতেই চলে যাচ্ছেন ... হিমালয় বা তিব্বত যাওয়ার প্ল্যান থাকলে আওয়াজ দিবেন একবার দয়া করে, এই দুটো জায়গায় যাওয়ার আমার চূড়ান্ত ইচ্ছা...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
দেশে গেলেই হিমালয় যাওয়া হয়। লেখা আছে তো সচলে হিমালয় যাত্রা আর তিব্বত নিয়ে।
পরের বার তিব্বত গেলে শিশুবেলার স্বপ্নের জায়গায় যেতেই হবে--- মানস সরোবর।
facebook
খোঁজ দেবেন তাহলে, যাওয়া যাবে আপনার সাথে, তবে শুনেছি তিব্বতে যেতে হলে কোনো বিশেষ পারমিশন লাগে, আমার ইচ্ছে মানস সরোবর যাওয়া সাথে তিব্বতী লামাদের জীবন দেখা..
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
হুম, ভালো ঝামেলা হয় সেই পারমিট পেতে, কিন্তু চেষ্টা করতে ক্ষতি কি !
facebook
শুধু বলতে পারি-- অসাধারণ!
-এস এম নিয়াজ মাওলা
নতুন মন্তব্য করুন