হিমশীতল উচ্চতায় আন্দেজের ধূসর সন্ধ্যায় পুনো শহরের পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথের বাঁকে প্রথম বারের মত দৃষ্টিসীমায় আবির্ভাব ঘটল টিটিকাকা হ্রদের। সাগর পৃষ্ঠ থেকে প্রায় সাড়ে বার হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত বিশ্বের উচ্চতম বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহৃত এই হ্রদ দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম হ্রদতো বটেই সেই সাথে আমাদের গ্রহের ২১তম বৃহত্তম। বিশাল তার ব্যপ্তি, যে এবড়ো-থেবড়ো পাহাড় ঘুরে আমরা সবেগে নিচের দিকে চলেছি তার পাদদেশ থেকে শুরু করে দূরের আন্দেজের সুমহান তুষার ছাওয়া আকাশছোঁয়া পর্বতমালার প্রান্তসীমা পর্যন্ত তার অস্তিত্ব সেই মেঘময় গোধূলিতেও স্পষ্ট বোঝা গেল।
আমাদের আপাত গন্তব্য পেরুর পুনো শহর, ৩৮৬০ মিটার (১২,৪২১ ফিট) উচ্চতায় অক্সিজেনের বেশ ঘাটতি, গত কদিন ধরেই সমানে আমরা তিন বন্ধু ( বাকি দুজন মেক্সিকান ইসায়াস সেরণা এবং হুয়ান ভিদাল) আন্দেজ পর্বতমালার এই কম অক্সিজেনের রাজত্বে খাপ খাওয়ানোর জন্য সমানে কোঁকা পাতা চিবুচ্ছি । পেরুতে পা দেবার আগেই আমাদের সুহৃদরা বলে দিয়েছিল প্রচুর পরিমাণে কোঁকা পাতায় ব্যাগ বোঝাই করতে, আর সুযোগ পাওয়া মাত্রই মুখে চালান করতে( তবে কেবল চিবানোর জন্য, গিলে ফেলার জন্য নয় )। এই পাতার নির্যাস রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে অতি কার্যকরী, যা এত পাতলা বাতাসে টিকে থাকতে অপরিহার্য। সেই সাথে যাত্রাবিরতিতে চলছে কোঁকা চা, ইসায়াসতো এক ইনকা গ্রামের শামানের কাছ থেকে কোঁকা লিকার পর্যন্ত জোগাড় করে আনল, যদিও সেই সোমরস মাথা ব্যাথা তাড়াতে কোন ভূমিকাই রাখতে পারে নি ! সাধে কি আর ইনকা সাম্রাজ্যে কোঁকা পাতার মূল্য সোনা- রূপার চেয়ে বেশী ছিল ! অবশ্য উচ্চতাজনিত অসুস্থতার কারণে মাথা ব্যাথায় এযাত্রা আক্রান্ত হয়েছিল কেবল হুয়ান ভিদাল। যাই হোক, হোটেল ব্যাগবোঁচকা রেখে প্রথমেই ঠিক করতে যাওয়া হল পরদিনের গন্তব্যে পৌঁছানোর উপায়- গন্তব্য এই বিশাল হ্রদের মাঝেই!
হ্যাঁ, এই বিশাল জলসীমার মাঝেই, তবে কেবল নৌবিহার নয়, টিটিকাকার মাঝে অবস্থিত মানবসৃষ্ট নলখাগড়ার তৈরি কিছু ভাসমান দ্বীপে, যেখানে আদিম পদ্ধতিতে এখনো বসবাস করে আদিবাসী সম্প্রদায়রা! আমাদের যাত্রাতো কাল ভোরে, চলুন তার আগে শুনি সেই ভাসমান দ্বীপের কাহিনী-
আসলে আমাদের যাত্রা ছিল ইনকাদের প্রাচীন রাজধানী কুজকো থেকে সরাসরি বিমানে বলিভিয়ার রাজধানী লাপাজ, কিন্তু এই অপূর্ব হ্রদ আর সেই ভাসমান দ্বীপের অধিবাসীদের একবার চর্মচক্ষে দেখার জন্যই নিস্ফলা মস্তিষ্ক কুবুদ্ধি জোগাল- কুজকো থেকে ১০টি ঘণ্টা বাসে করে পুনো চলে যাও না বাপু, সেখানে টিটিকাকা দর্শন সেরে আরো ঘণ্টা ছয়েক গাড়ির চাকায়, না হয় রিকশায় চেপে, না হয় লামার পিঠে কষ্ট করে বসলেই তো সেই লাপাজই পৌঁছাবে, মাঝখান থেকে এই তীর্থ দর্শনটাও হয়ে গেল! ব্যস, এই উচাটন কুবুদ্ধি আমরা গিলে ফেললাম ক্ষুধাক্রান্ত হাঙরের মত, এখন বসে খাবি খাচ্ছি এই বিচ্ছিরি পাতলা বাতাসে!
ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায় ৫৮,০০০ বর্গ কিলোমিটারের এই জলক্ষেত্রের উর্বর তীরে অনেক জাতিরই বসত গড়ে উঠেছিল পেরু এবং বলিভিয়ার ভূখণ্ডে। তার মধ্যে কিছু গোত্র কোন সময়ই প্রবল প্রতাপশালী ইনকাদের বশ্যতা স্বীকার করে নি, ফলে প্রায়শই লেগে থাকত সংঘর্ষ , শক্তিশালী ইনকাদের বারংবার আক্রমণে টিকতে না পেরে এক কার্যকরী বুদ্ধি আবিস্কার করে অন্যান্য রেড ইন্ডিয়ান গোত্র- জলযান! এরপর থেকে আক্রমণের আভাস পেলেই তারা বিশাল ভেলা বা জাহাজে করে হ্রদের মাঝে চলে যেত, হানাদার ইনকারা জলসীমায় আক্রমণের ব্যাপারে ছিল চরম অপটু। কাজেই এক পর্যায়ে কিছু রেড ইন্ডিয়ান গোত্র পাকাপাকি ভাবেই জলের উপর আক্রমণমুক্ত ভাসমান জীবন বেছে নেই, তাদেরই কিছু বংশধর এখনো সেই জীবনযাপন করে চলেছে। এই ভাসমান দ্বীপদের বলা হয় উরোস।
পরদিন সকালে ভুট্টার রুটি আর নানা গাছপাকা ফলের ফলাহার শেষ করেই রওনা হয়ে গেলাম আগের রাতে ঠিক করে রাখা গাইডের সাথে। হ্রদের কিনারেই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল আধুনিক জলযান, সেখানে নানা দেশের নানা জাতির পর্যটকদের ভিড়। ইঞ্জিন চালু হবার প্রায় সাথে সাথেই শুরু হয়ে গেল গাইডের বিশাল ফিরিস্তি, কিছু ঐতিহাসিক সত্য, কিছু জনপ্রিয় বিশ্বাস আর কিছু বা মনগড়া! মিনিট দশেক পরে তার বয়ানের ঠেলা থেকে রেহাই পেতে এবং অপূর্ব এই জলাভূমিকে উপভোগের আশায় চলে এলাম ছাদের উপরে, খানিকপরেই দেখি যাত্রীদের অধিকাংশই আমার সঙ্গী!
সে এক অন্য ভুবন, দূর দিগন্তে মিলিয়ে যাচ্ছে লালচে ইটের পুনো শহর, চারধারে ভিড় বাড়ছে নলখাগড়ার দলের, থেকে থেকেই দেখা মিলছে স্থানীয় রেড ইন্ডিয়ান কোন বালক বা চওড়া টুপি পরা রমণীর , যারা নিপুন অভিজ্ঞ হাতে নৌকা চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সেই জলজ উদ্ভিদের দঙ্গলের মাঝেই জীবিকার তাগিদে।
পাখির কলকাকলির সাড়া মিলছে সর্বক্ষণই, যাদের কিছু আন্দেজের বুকের বাসিন্দা।
অবশেষে ঘণ্টাখানেক নলখাগড়ার দঙ্গল পেরোবার পর দূরে কিছু সোনালি কুটিরের আভাস মিলল, কোন কোন বাড়ি থেকে উঠছে ধোঁয়া, স্বপ্নের মত সাজানো গোছানো গ্রাম একটি, কিন্তু জলের উপরে!
কোন কোনটা থেকে ভেসে আসছে রূপকথার ময়ূরকণ্ঠী নাওয়ের মত অপূর্ব কিছু নৌকা আর প্রতিটি গ্রামের সামনেই রঙ ঝলমলে পোশাক পরে ঐতিহ্যবাহী সাজে স্থানীয় মহিলারা।
জানা গেল এখানে প্রায় পঞ্চাশটার মত গ্রাম আছে, প্রতি গ্রামেই আছে একজন মোড়ল। সেই সাথে এই এলাকার গ্রামের অধিবাসিরা কেচোয়া ভাষায় কথা বলে থাকে, আবার কোন কোন দ্বীপের বাসিন্দারা কথা বলে আইমারা ভাষায়। এখন পর্যন্ত আমরা পেরুর জলসীমানায় আছি, টিটিকাকা হ্রদের প্রায় ৬০ % পেরুর অন্তর্গত, বাকি ৪০ % বলিভিয়ার, সেখানে আবার রেড ইন্ডিয়ানরা স্থায়ী দ্বীপে বসবাস, চাষাবাদ সবই করে থাকে।
এমনই এক গ্রামে ভিড়ল আমাদের ইঞ্জিনের নৌকা, খুব সমাদর করে সবার সাথে হাত মিলিয়ে এক কুঁড়ের সামনে গোল করে বসতে বললেন মোড়ল। তার নিজের ভাষায় জানালেন তাদের ইতিহাস, প্রাচীন বিশ্বাস, লোকজ সংস্কৃতি, খাদ্যাভাস, যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে, গাইড সেখান থেকে ইংরেজিতে বলে গেল আমাদের জন্য। সেই সাথে হাতে কলমে আমাদের দেখালেন সেই তোতোরা নামের জাদুর নলখাগড়া, যাকে বিশেষ পদ্ধতিতে বেশ কয় স্তরে বেঁধে একেবারে শতভাগ জলনিরোধক প্লাটফর্ম তৈরি করা হয়, এরপরে এমন অসংখ্য ছোট ছোট খণ্ড একত্রে বেঁধে চলনসই আকারের দ্বীপ নির্মিত হয়। এরপরে আগুন জ্বালানোর ব্যবস্থা, কুটির স্থাপন ইত্যাদি শেষ হলে তা সুবিধামত স্থানে নিয়ে গিয়ে নোঙর ফেলে সেখানেই রাখা হয় আপাতত, আবার কোন সময় যুদ্ধবিগ্রহ দেখা দিলে যেন নোঙর তুলে গোটা দ্বীপ সরিয়ে নিয়ে যাবার ব্যবস্থা থাকে!
সেই সাথে আমাদের প্রত্যেকের হাতে একটি করে তোতোরা দিয়ে গোঁড়ার দিকটা অনেকটা ইক্ষুর মত ছিলে খেতে বললেন, খানিকটা পানসে হলেও খাওয়া চলে! আবার এই নলখাগড়া দিয়ে কপালে ব্যান্ডেজের মত জলপট্টি দেয় স্থানীয়রা জ্বর আসলে, মানে এর ভেষজ গুণও বর্তমান!
প্রতিটি গ্রামের মাঝে একটি করে ফাঁকা জায়গা, সেখানে হ্রদের টলটলে জল দেখা যায়, এক ধরনের জাল দিয়ে ঘেরা। জিজ্ঞেস করতেই জানা গেল এই তাদের জীবন্ত খাদ্য ভাণ্ডার, মাছের আড়ৎ! মানে মাছ ধরে জিইয়ে রাখা হয়, পরে ইচ্ছে মত রান্না চলে।
তাদের খাবার হিসেবে কিছু শুকনো মাছ আর পাখির ডিমও দেখা গেল।
শুনেছিলাম বিশ্বের সবচেয়ে বৃহদাকৃতির মিঠা পানির ব্যাঙ Telmatobius culeus কেবলমাত্র এই হ্রদেই থাকে, যার চামড়া শরীরের তুলনায় অনেক বড় কারণ চামড়া দিয়েই তার শ্বাসপ্রশ্বাস চালাতে হয়! কিন্তু তার দেখা মিলল না, মানুষের লোভের ও বোকামির স্বীকার হয়ে হ্রদে ছাড়া নতুন দ্রুত বর্ধনশীল মাছেদের দৌরাত্মে সেই অতিবিরল প্লবগ আজ নিজভূমে পরবাসী।
বিখ্যাত নল খাগড়ার নৌকার দেখা মিলল অবশেষে, জানা যায় অন্তত তিন হাজার বছর ধরেই এমন নৌকার ব্যবস্থা চালু ছিল এই অঞ্চলে, অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে প্রায় একই ধরনের নৌকার চল ছিল মিশরের নীলনদে, সেগুলো ছিল প্যাপিরাসের তৈরি। অভিযাত্রীথর হেয়ারডালতো প্যাপিরাসের তৈরি নৌকা ২য়-রা নিয়ে অতলান্তিক মহাসাগর পর্যন্ত পাড়ি দিলেন তার তত্ত্ব প্রমাণের আশায় যে কুয়াশা ঢাকা অতীতে এই দুই মহাদেশের নানা সভ্যতার মাঝে যোগাযোগ ঘটেছিল!
খানিক পরেই গাইড প্রস্তাব দিল আমরা চাইলে সামান্য অর্থের বিনিময়ে এমন নৌকায় চেপে মিনিট চল্লিশেক ঘোরাঘুরি করে অন্য দ্বীপে যেতে পারি! এ তো সোনায় সোহাগা, এমন সুযোগ কি জীবনে ২য়বার আসে!
তরতর করে নৌকা চলল চকচকে জল চিরে অন্য গ্রামের দিকে। হঠাৎই মনে পড়ল অনেক পুরনো এক ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক পত্রিকার মলাটে ছবি দেখে ছিলাম এর চেয়ে ছোট এক নৌকায় একজন রেড ইন্ডিয়ান পুরোহিত একটি জ্যান্ত লামা নিয়ে চলেছেন! কিন্তু এখানের কোন গ্রামেই তো এমন কোন গৃহপালিত জন্তু চোখে পড়ল না! এই ব্যাপারে প্রশ্ন করতেই উম্মোচিত হল টিটিকাকার হ্রদের আরেক রহস্য! বিশেষ বছরে বিশেষ দিনক্ষণ বিচার করে সেই লামার রক্ত নৈবদ্য দেওয়া হত হ্রদের দেবতাদের, সেই নৌকা করে পুরোহিত পবিত্র এলাকায় যেয়ে বিশেষ ভঙ্গীতে ছুরি চালাত নিরীহ লামার গলায়, যেন অধিকাংশ রক্তই হ্রদের জলে পড়ে! কিন্তু সেই লামার মাংস! উত্তরে হে হে করে হেসে চোখ টিপে গাইড জানাল রক্ত দেবতার কিন্তু মাংস জনগণের, মানে ভুরিভোজের কাজে ব্যবহৃত হয়!
অপর গ্রামটিও একটি ধাঁচের, সেখানের মহিলারা কেবলমাত্র তাদের হাতে তৈরি চমৎকার সব পণ্য সাজিয়ে বসেছেন, রঙধনুর সাত রঙ যেন ঠাই নিয়েছে তাদের পরনের পোশাকে আর নির্মিত দ্রব্যে।
এইখানেও চোখে পড়ল সৌর বিদ্যুৎ তৈরির ব্যবস্থা! পেরু সরকার নাকি বছর পনের আগে এই সৌরপ্যানেলগুলী উপহার হিসেবে দিয়েছে। এমনকি এই গ্রামের সর্দারের ঘরে তো টেলিভিশন পর্যন্ত দেখলাম!
দুরন্ত স্বাস্থ্যবান শিশুদের চোখে পড়ল সর্বদাই, ওদের দেখিয়ে মোড়ল দুঃখী দুঃখী গলায় বললেন, আমরাই হয়ত এমন আদি জীবন ধারায় বসবাসরত শেষ প্রজন্ম, আমাদের শিশুরা চায় ডাঙ্গায় নামতে, শহরবাসী হতে, এই বিশাল টিটিকাকার বাইরেও যে বিশালতর জগৎ আছে সেটিকে জানতে।
দেখতে দেখতে বিদায়ের সময় হয়ে এল, আমাদের অবাক করে তিন জন রেড ইন্ডিয়ান রমণী অদ্ভুত সুরেলা গলায় বিদায় সঙ্গীত শুরু করলেন নাচের তালে তালে,
মনে পড়ে গেল চাবাগানের গান, একই সুর, যেন একই কথা! প্রকৃতির সন্তানেরা বুঝি সারা বিশ্বে একই ভাবে চিন্তা করে! ফেরার পথে কানের পর্দায় সারাক্ষণই বেজে গেলে সেই অপূর্ব সুরলহরী।
( সতর্কীকরণ- কয়েকজন ভ্রমণবিদ বন্ধু জানিয়েছেন, রেড ইন্ডিয়ানরা ইনকাদের কাছ থেকে রক্ষা পাবার জন্য জাহাজ ব্যবহার করত বটে, কিন্তু এই ধরনের দ্বীপের ব্যবহার ছিল কিনা কেউ বলতে পারে না। তারা জানাল, পেরু সরকার পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য স্থানীয়দের দ্বারা এই ব্যবস্থা হাতে নিয়ে ছিল বেশ ক বছর আগে এবং তা প্রচণ্ড ভাবে সফল! যদিও, কাদের দাবী ঠিক তা আমার জানা নেই )
মন্তব্য
ওয়াও! ছবিগুলা অপূর্ব।
love the life you live. live the life you love.
জায়গাটি অপূর্ব যে !
facebook
আরে অণু ভাই, আপনার কথাই ভাবছিলাম।
যথারীতি আগুন লেখা-ছবি।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
facebook
আপনার যন্ত্রনায় তো ঘরে থাকা দায়!
ঘর ভাঙলেই পৃথিবী!
facebook
এন্ড হি ইজ ব্যাক
এন্ড হি ইজ ব্যাক
আবার সে আসিছে ফিরিয়া--
facebook
অণু ভাই, আপনি লেখা দিলেই উদাস উদাস লাগে...
-স্বপ্নাদিষ্ট
=======================
যে জাতি নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তন করে না, আল্লাহ তার ভাগ্য পরিবর্তন করেন না।
কেমন উদাস! তাহলে বুঝেন আমার লিখতে কি পরিমাণ উদাস লাগে।
facebook
টিটিকাকা নিয়ে দীর্ঘদিন খুব আগ্রহ ছিল। সুযোগ পেলে যাবোও। টিটিকাকার উপর এমন চমৎকার ছবিব্লগ উপহার দিয়েছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগছে। এই প্রথম কোন বাঙালী টিটিকাকা গেছে বলে জানলাম। কুজকো থেকে ওই রুট ধরে বলিভিয়া ঢুকতে ইমিগ্রেশান কোথায় করাতে হয়? ইমিগ্রেশানে কি ঝামেলা করে?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
কুজকো থেকে পুনো বেশ দূরের রাস্তা, কিন্তু পুনো থেকে সীমান্ত এলাকা কাছেই। বলিভিয়ার সীমান্তে বাংলাদেশী পাসপোর্টে পোর্ট এন্ট্রি ভিসা দেয়, ৫৫ ডলারের বিনিময়ে। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখা আসছে--
facebook
ওহ! এত্তো দেরি করে মানুষ একটা লেখা দিতে? সেই কবে থেকে ফেসবুকে ছবি দেখছি আর নিজের হাত কামড়াচ্ছি।
চমৎকার ছবি এবং তার আনুসাঙ্গিক লেখা উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আরে ভাই, হাত তো আমিও কামড়াচ্ছিলাম! লেখার সময় না পাওয়ায়!
facebook
মানব রচিত সমাজ আপনার মধ্যে আপনি সম্পূর্ণ পরিতৃপ্ত নয়।
যে শক্তি সমাজের বাহিরের দিকে টানে, সেই সৌন্দর্য, সেই প্রেমের শক্তিকে অনন্ত মানসলোকে স্থাপন করিয়া কল্পনার দ্বারা উপভোগ না করিয়া মানব থাকিতে পারে না।
অপার সেই পার্থব টানই যে আপনাকে আপনার মধ্যে টানিয়া বাহির করিয়া লয়। এবং সেই সৌন্দর্য আস্বাদন করিতেই আপনার নিকট ছুটিয়া আসি পুনঃবার, বারবার।
যা বলেছেন---
facebook
লেখা শেষে সতর্কীকরণ দিয়েই তো মনটা খারাপ করে দিলেন। সবখানেই বাণিজ্য।
ছবিগুলো এক কথায় চমৎকার।
আরে, সেটা সত্যি নাও হতে পারে! আবার পর্যটন ব্যবসার একটা ভাল দিক হচ্ছে, এই কারণে কিছু সংস্কৃতি টিকে আছে আগের ধারায়।
facebook
কি হয়ল !
facebook
দিলেন তো সকালটা মাটি করে ।
এখন তো মনে হচ্ছে জীবনটাই বৃথা হয়ে যাচ্ছে ।
কিছু একটা করা দরকার ।
কোথাও না কোথাও তো এক্ষুনি যাওয়া চাই ।
যাই হোক, দারুণ ছবি আর দারুণ লেখা ।
আরো চাই ।
আরে না, জীবন কোন সময়ই বৃথা যায় না ।
facebook
facebook
অনু ভাই হিংসাই গা জ্বলে যাচ্ছে
বৃষ্টিতে ভিজুন ( তবে শীতকালে না ! )
facebook
এই ব্যাডা দেহি দুইন্না ঘুইরা বেড়ায়। ক্যামতে ? জনগণ তো ভিসা পায় না।
আমারো একি প্রশ্ন,এর এক একটা লেখা দেখি আর হিংসায় কলিজা জইলা যায়
ছবিগুলান দেইখা নিজেরে কামড়াইতে মঞ্চাইতাসে
কেন ভাই! নিজেকে কামড়ানো এত সহজ না !
facebook
ভিসা অফিসারের সামনে দাঁত বের করে হাসি ! এরপরে ভিসা না দিয়ে যাবে কুতি!
facebook
facebook
টিটিকাকা অসাধারণ,লেখা-ছবি অসাধারণ শুধু সতর্কীকরণটা একটু তাল কাটিয়ে দিল,পৃথিবীতে রূপকথার মতো কিছু বুঝি আর বাকী নেই,ফাঁকি ঢুকে গেছে।
অণু পরিব্রাজককে
আছে আছে, কিন্তু খুঁজে নিতে হয়।
facebook
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
facebook
আপনাকে হিংসা করা ছেড়েই দিয়েছিলাম, কিন্তু আজকে না করে পারছি না।
facebook
এত অল্পে হাল ছেড়ে দিলে কী হপে?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথী দেখি মহা ফিঞ্চুরাস !
facebook
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
(বাংলায়)
facebook
অসাধারণ
ডাকঘর | ছবিঘর
কোন ব্যাপার না তাপস দা, জাতিঙ্গা নিয়ে এইরকম একটা লেখা লিখে ফেলব সবাই মিলে!
facebook
হা হা হা । হুম।
ডাকঘর | ছবিঘর
কেবল সময়ই বাধা
facebook
facebook
নতুন কের বলার িকছু েনই।
অসাধারন।
আবারো অনেক ধন্যবাদ।
facebook
খুবই ভালো লাগল । ছবিগুলো সত্যিই অসাধারণ । আপনার তোতোরা খাওয়ার ছবিটাও দারুন অনু দা ।
ধন্যবাদ। তবে তোতোরা নেহাৎ ঠেলায় না পড়লে আর খেতে চাই না!
facebook
facebook
রূপকথার দ্বীপ দ্বীপান্তরে একা একা ঘুরে মানুষের মনে ক্রমাগত কষ্ট দেবার জন্য -
ঠাশ্...ঠাশ্ ! (দুই গালে দুইটা থাপ্পোর)
শপাং শপাং ! (দুই হাতের তালুতে দুইটা বেতের বাড়ি)
...আরও লাগবে?!
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
লাগবে তো বটেই---
facebook
ঘুরাঘুরি চলুক... সকল হিংসুকের মুখে ছাই দিয়ে
ছবি+লেখা=
facebook
ছোটবেলায় সাধারন জ্ঞানের বইতে পড়া এক একটি শব্দ মস্তিষ্কে খোদাই হয়ে থাকত শুধু কাল্পনিক ছবিতে; আপনার লেখাগুলো পড়ে কাল্পনিক ছবিগুলো আস্তে আস্তে বিলীন হচ্ছে; জায়গায় করে নিচ্ছে আসল ছবি!
রেড ইন্ডিয়ানদের নৃত্য, ময়ূরকন্ঠী নাও, নলখাগড়ার দ্বীপ- দেখে তো পাগল হবার দশা!
আসলেই, অপূর্ব জায়গা, কি অদ্ভুত জীবনযাত্রা !
facebook
আরে খাইছে কই কই যে যান! দাঁড়ান সাতার শিখতে লেক টিটিকাকাই যাব
আমার গ্রামের বাড়ি ভাটি অঞ্চলে, বছরের ছয়মাস ওই দিকের গ্রামগুলিকেও ভাসমান দ্বীপের মতই লাগে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
হে হে, আমি তো ছোট থাকতে ভাবতাম ডেড সী ছাড়া বোধ হয় আর সাঁতার শেখা হল না !
তবে টিটিকাকার জল হিমশীতল, সাতারের জন্য ঝাঁপাবার আগে মানস সরোবরে অবিনাশ বাবুর ঘটনাটা মনে করে নিয়েন !
facebook
বই ছাপান বই ছাপান। এভাবে ব্লগ পড়ে আর পোসাচ্ছে না। গায়ে তেল মেখে রোদ্দুর মাখা উঠানে পাটি বিছিয়ে পৃষ্ঠা উল্টাতে চাই...
আর ভাবতে চাই একদিন আমিও...
প্রকাশক !
facebook
তারেক অনু'র আইপি সহ ব্যাঞ্ছাই ... ( আর কিছু বলা লাগবো? )
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
facebook
গজব পড়ব কইলাম, আমি লুল ফালাইতে ফালাইতে শেষ... কবে যামু??
লেখাতো সবগুলোই অছাম....
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
গজব জিনিসটা কই পাওয়া যায় !
facebook
সেই লেখা বস...
হায় হায় কয় কি??? আমাগো দেশে তো হালি হালি বিক্রি হয়..
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
দেন তো দুই ডজন গো আজম আর নিজামীর উপরে ফেলে!
facebook
পড়ব পড়ব একেবারে আসমানী গজব....
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
facebook
ইনকাদের সম্পর্কে আমার জ্ঞান খুবই কম। গোস্তাখি মাফ করবনে অণুদা
ইনকারা কি মানুষখেকো ছিল?
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ল্যাতিন আমেরিকার উল্লেখযোগ্য প্রায় সব সভ্যতায়ই নরবলির রেওয়াজ ছিল, কিন্তু তা দেবতাদের উদ্দেশ্যে। পূজার অংশ হিসেবে পুরোহিত অনেক সময় হৃৎপিন্ড চিবাতো বটে, কিন্তু ঢালাও নরমাংস ভোজনের প্রমাণ যতদূর জানি পাওয়া যায় নি!
facebook
ও ভাই, ভিডিও করেন নাই কিছু?
করেছি! চিন্তা কইরেন না, একটু সময় লাগছে শীতের সাথে যুদ্ধ করে সব ঠিক করতে !
facebook
ভাইরে আপনাকে আবার লেখা শুরু করার জন্য। সমানে দাগিয়ে যান।
নলখাগড়ার নৌকায় তো অণু ভাইরে টিটিকাকার রাজার মতো দেখা জায়
এমন একটা ফিলিংস হয়ছিল বটে !
facebook
লেখা পড়ে ভালো লাগলো। পেরু ভ্রমনের ইচ্ছা আছে জুন মাসে।
আপনার নেক্সট ভ্রমন পরিকল্পনা কোথায়?
ভালো থাকুন।
পেরু অনেক বড় দেশ, তারচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছে- বৈচিত্র খুব বেশী। আগে থেকেই চিন্তা করে নিয়েন কি কি দেখতে চান।
পরিকল্পনায় হাবু ডুবু খাচ্ছি! জানাবো---
facebook
আপনাকে মেইলে জানাবো। কিছু প্যাকেজ ট্যুর আছে কিন্তু তেমন মিলছে না আমার ভ্রমন পরিকল্পনার সাথে। বেশি কস্টলি।
আপনি কি কোন ট্যুরিজম প্যাকেজে গিয়েছিলেন ?
না, নিজেরা মিলেই গেছিলাম, কিন্তু কুজকো নেমে স্থানীয়দের সাথে বার দুই প্যাকেজ নিতে হয়েছিল।
চিন্তা করেন না, ওখানে গেলেই অনেক পাবেন, আর দামাদামি কইরেন!
facebook
অদ্ভুত! ঈর্ষনীয়! পথে-প্রবাসে পড়ার সময় প্রথম জেনেছিলাম, এখন দেখলুম, আপনার ছবি গুলি, আপনি লিখেনও ভালো।
ধন্যবাদ।
facebook
নতুন মন্তব্য করুন