কালাকমুল, বৃষ্টি-অরণ্যের মাঝে পিরামিড শহর

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: রবি, ০৫/০২/২০১২ - ৪:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

404941_10151137656905497_608590496_22668519_1398636207_n

পালেঙ্কে থেকে পথে নেমেই খানিকটা দোটানায় পড়লাম আমরা চার মূর্তি, পরদিনের গন্তব্য মেক্সিকো উপসাগরের ঝকঝকে তপ্ত বালুময় উষ্ণ রোদেলা সৈকত, কিন্তু হাতে মাঝে আছে পুরো একটি দিন। গন্তব্যের অভাব নেই, অভাব সময়ের, কারণ এই এলাকা ছিল মায়া সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। চারপাশে অসংখ্য মায়ান শহর যে আছে শুধু তাই নয়, এই চেয়ে বেশী সংখ্যক অপেক্ষা করছে ঘন জঙ্গলের দঙ্গলে পুনরাবিষ্কৃত হবার আশায়।

409423_10151148114450497_608590496_22708689_980598394_n

অনেক বেছে-কুছে ম্যাপ দেখে ঠিক করা হল পরবর্তী গন্তব্য, ঘন চির সবুজ বৃষ্টি অরণ্যের মাঝে, গুয়াতেমালার সীমান্ত থেকে মাত্র ২২ মাইল দূরের এক কালের জমজমাট মায়ান মহানগরী কালাকমুল।

এই প্রসঙ্গে বলতেই হচ্ছে গত মাসের ল্যাতিন আমেরিকার দুই মহাদেশের নানা দেশে ভ্রমণকালীন সময়ে আমাদের স্বপ্নময় অনেক জায়গায় দাঁড়াবার সৌভাগ্য হয়েছে- ইনকাদের মাচু পিচু, অ্যাজটেকদের তিওতিহুয়াকান, মায়াদের চিচেন ইৎজা, পালেঙ্কে, টলটেকদের শহর, আরো অনেক প্রাচীনতর সভ্যতার অবিশ্বাস্য সব নিদর্শন যোগ হবে তালিকায়। কিন্তু যাত্রার শেষ পর্যায়ে রিওর কাইপিরিনিওর আড্ডায় বসে সবাই মিলেই এই বিষয়ে একমত হয়েছিলাম- আমাদের ল্যাতিন ভ্রমণের মুকুতে সবচেয়ে ঝলমলে রত্নখন্ডটির নাম কালাকমুল! কেন জানতে হলে এখনই পায়ে কেডস পড়ে নিন-- ডিঙ্গোতে হবে পিরামিড, মাড়াতে হবে জঙ্গল, পড়তে হবে শ্বাপদের মুখোমুখি! আর যদি আমার মত স্রেফ চপ্পল পড়েই কাজগুলো করতে চান, ঝুঁকি আপনার!

কালাকমুলকে গন্তব্য হিসেবে বেছে নেবার আরেকটা কারণ ছিল কয়েক হাজার বছর আগে এই শহরের যাত্রা শুরু হলেও দেড় বছর আগে এর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী শহর ছিল তিকাল ( বর্তমানে গুয়াতেমালায় অবস্থিত, এইখানে থেকে খুবই কাছে), আর আমাদের মূল পরিকল্পনা ছিল তিকাল ছুয়ে যাওয়া, কিন্তু যাত্রা পথে হঠাৎ সঙ্গী হওয়া চিকো জানাল তার সাথে পাসপোর্ট নামের বস্তুটি নেই! কাজেই তাকে নিয়ে অন্য মুলুকে পা দেওয়া তখন আর সম্ভব ছিল না। তাই তিকাল না হলেও কালাকমুলই সই এমন একটা মনোভাব নিয়ে শুরু হল যাত্রা।

মূল ফটকে টিকিট কেটে, খাতায় নাম ঠিকানা নথিবদ্ধ করে, মানে মাতৃভূমির নাম লিখে

423051_10151257859860497_1604238891_n

ঢুঁকে পড়লাম জঙ্গল ঘেরা শীর্ণ এক রাস্তায়, সেই পথ বাদে মানব সৃষ্ট আর কিছুই নজরসীমার ভিতরে চোখে পড়ে না। অবশ্য যেহেতু গহন জঙ্গল কেটে এই আশ্চর্য নগরগুলো তৈরি হয়েছিল, তাই বেশ খানিকটা পথ ঘন জঙ্গল ঠেলে এগোনোই স্বাভাবিক। অবশেষে প্রস্তর প্রাচীরের দেখা মিলল, প্রাচীর ভেদ করে কাল পরিক্রমায় গাছ ঠাই করে নিয়েছে বিভিন্ন ফাক ফোঁকরে, যেন মনে করিয়ে দেয় এই মহাবিশ্বে কোন কিছুই চিরস্থায়ী নয়, সময়ের আবর্তে গুটি পাল্টে যাবার সাথে সাথেই হার মানে আপাত দৃষ্টিতে অব্যয় অক্ষয় কঠিন পাষাণও।

428258_10151228447645497_608590496_22982678_2181866_n

এভাবে ছোট খাট কিছু জঙ্গলময় স্থাপত্য দেখার পর এক বিশাল চত্বরের ধারে দর্শন মিলল আকাশ আড়াল করে অটল আন্দেজ পর্বতের মত দাড়িয়ে থাকা মায়ান পিরামিডের। ব্যস, আর সব পরিকল্পনা ভুলে, পায়ে চপ্পল নিয়েই কোনমতে ক্যামেরা একহাতে সামলে ঠাস ঠাস করে আরোহণ শুরু হল।

407347_10151207360315497_608590496_22919320_1684207583_n

পিরামিডে ওঠা কোন কালেই সহজ কিছু ছিল না, পা ফেলতে একটু ভুলচুক হলেই ধরণী প্রপাত তরণী তল হয়ে যাবে, তার উপর বিশাল বিশাল পাথরের পালিশ করা মসৃণ চাইগুলো এই তিন হাজার বছরের রোদ-বৃষ্টির ও অত্যাচারে জায়গায় জায়গায় দাঁত পড়া ফোকলা মুখের মত গর্ত সমৃদ্ধ।

378479_10151142402945497_608590496_22683996_857995215_n

সঙ্গীরা তখনো সাথে যোগ দেয় নি, নিজেই মেসনারের মত একাকী পর্বতারোহণের সুখানুভূতি অর্জনের জন্য তরতর করে উঠে যাবার চেষ্টা করছি, অবশ্য গতি খানিক পরেই বেশ ধীর হয়ে আসল, এমনকি থেমেও গেলাম কয়েকবার বেশ ছড়ানো জায়গায়, পাথুরে চাতালে, বিশ্রামের সাথে সাথে ইতিহাসময় স্থানটির স্মৃতি ফ্রেমবন্দী করবার জন্য।

429140_10151251612840497_608590496_23056738_1133601987_n

একসময়ে আরাধ্য পিরামিড শিখর, সেখানে আরো কয়েকজন অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় পর্যটক দেখি বিরস বদনে সামনে দিকে তাকিয়ে হাত পা ছড়িয়ে বিশ্রামরত। সেদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেই দেখি জঙ্গল ফুঁড়ে কেবল আকাশ নয়, চেনা জানা মহাবিশ্বকে ঢেকে দণ্ডায়মান এক বিশাল প্রস্তরখণ্ড, রোদ সামলে ভাল মত তাকিয়ে দেখি সেটা বিশাল এক পিরামিড, আমি যেটাতে এত হাচড়েপাঁচড়ে উঠলাম সেটার অনেক অনেক বড়!

406493_10151251613000497_608590496_23056740_152221757_n

388412_10151137655260497_608590496_22668512_978226434_n

যাচ্চলে, শেষ পর্যন্ত এই জঙ্গলের মাঝে পথ ভুল করলাম! নিচে দেখি অতিকায় পোকার মত দেখতে আমার বন্ধু ইসাইয়াস হাত নেড়ে কিছু একটা ইঙ্গিত করছে, মনে হয় বলছে নেমে এস, আসল পিরামিড অনেক উঁচু, অনেক বড় এবং কিছুটা দূরে!

আবার নামলাম পা টিপে টিপে, নামতেই ইসাইয়া জানাল সেখানের ম্যাপ দেখে সে বুঝতে পেরেছিল এটি সবচেয়ে উঁচু পিরামিড নয়, তাই আর খামোখা ঘামে জর্জরিত হবার চেষ্টা করে নি! কত্তো বড় ফাজিল! যা হোক আবার খানিকক্ষণ সেই বিশাল শহরের নানা পথ ঘুরে পৌঁছালাম সেই বিশাল পিরামিডের সামনে। ধাপে ধাপে এত উঁচুতে উঠে গেছে যে পাদদেশ থেকে চূড়া দেখা বিষম দায়। এটি সমগ্র মায়ান সভ্যতার উদ্ধারকৃত সর্ববৃহৎ স্থাপনার একটি। উচ্চতা প্রায় ১৫০ ফুট!

383210_10151142403525497_608590496_22683999_945804450_n

386564_10151144854570497_608590496_22692359_636989117_n

407990_10151144853880497_608590496_22692355_786298992_n

উন্নতির শীর্ষে অবস্থানের সময় এই নগরের জনসংখ্যা ছিল ৫০ হাজার, ঐ আমলেই, দেড় হাজার বছর আগে , বিশ্বাস করা যায়! তখন অবশ্য এর মায়া নাম ছিল Ox Te' Tuun, যার মানে তিন পাথরের শহর। কালাকমুল এর আধুনিক নাম, অর্থ- দুই পিরামিডের নগরী।

সেই সাথে মায়ান প্রথা অনুযায়ী পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা ছিল সমগ্র নগরীতে। হিসাবমতে দেখা যায় সেই জল সংরক্ষণ ব্যবস্থা দিয়ে প্রতিদিন ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ মানুষের সমস্ত চাহিদা মেটানো হত। সমগ্র মায়ান রাজত্বের সবচেয়ে বড় জল সংরক্ষানাগারটি এইখানেই অবস্থিত, ৭৯৪ ফুট দীর্ঘ এবং ৬৯৬ ফুট প্রশস্ত এই বিশাল চৌবাচ্চাটিতে একটি ছোট নদীর মাধ্যমে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের সময় জল আনা হত, সারা বছরের ব্যবহারের জন্য। এটি এখনো বর্তমানের প্রত্নতাত্ত্বিকরা ব্যবহার করে থাকেন।

আবার শুরু হল চড়াই উৎরাই, এবার অনেক সময় নিয়ে, জায়গায় জায়গায় থেমে প্রকৃতি উপভোগের সাথে সাথে ছবি তোলা আর জলপান চলতে থাকল। খালি যে সিঁড়ি তা কিন্তু নয়, প্রায়ই বড় বারান্দা মত ছড়ানো জায়গা, কি কাজে ব্যবহৃত হত জানা যায় নি।

395505_10151140407685497_608590496_22676973_1064399295_n

কিছু কিছু জায়গায় বেদী, হয়ত পূজা অর্চনার কাজে ব্যবহার হত। এমন এক জায়গায় ইসাইয়াসের শখ হল খানিকক্ষণ সূর্য বন্দনা করার।

403138_10151140408280497_608590496_22676976_1308879151_n

আগের রাতেই নিজেদের মধ্যে এই নিয়ে কথা হচ্ছিল, আমাদের যদি নিজেদের ঈশ্বর বেছে নিতে বলা হত, তাহলে হয়ত সবাই সূর্যকেই বেছে নিতাম, যেমন নিতে চেয়েছিল হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের নেশা ( অ্যালান অ্যান্ড আইস গড) বইটির নাস্তিক জ্ঞানী নেকড়ে মানব প্যাগ।

393648_10151139706770497_608590496_22674657_718437603_n

আগে গেলে বাঘে খায় কথাটি ভুলে সবাইকে পিছনে ফেলে একাই উঠলাম পিরামিড শীর্ষে, এবং সাথে সাথেই স্থাণু হয়ে দাড়িয়ে পড়লাম সামনে দৃশ্য দেখে, একই সাথে মনের মধ্যে ফেনিয়ে উঠল ক্লান্তি, দুঃখ, ক্ষোভ, আনন্দ, হতাশা, উচ্চস্বরে হেসে উঠলাম আপন মনেই। কারণ সামনের দৃশ্যপটটি ছিল স্রেফ এমন—

428998_10151251613405497_608590496_23056744_342151760_n

মানে মানে ঐটাই আসল মায়ান পিরামিড! অবস্থানগত কারণে চোখের আড়ালে থাকায় কেউই বুঝতে পারি নাই, এখন আবার নিচে নেমে কেচে গণ্ডূষ করতে হবে। একে একে বাকি ৩জন উঠে এল শীর্ষে, চিকো তো আরেক ভিম দর্শন পিরামিড দেখে কেবল মূর্ছা যেতে বাকী রাখল।

কিন্তু চারপাশের অপূর্ব দৃশ্য আমাদের মনের ক্ষেদ আর ক্লান্তি হাওয়ায় মিলিয়ে দিল মাত্র কয়েক মুহূর্তে, কি যে সুন্দর, মন মাতানো সেই ঘন সবুজ বন, নীল আকাশকে দূর দিগন্তে আবছা আলিঙ্গনে বাঁধার আগ পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে চলে গেছে, সামনেই দেখা যাচ্ছে গুয়াতেমালার ভূখণ্ড, অন্যদিকে মেক্সিকোর ইয়ুকাটান রাজ্য। এর মাঝে অরণ্যের ক্যানোপির অনেক অনেক উপরে আমরা। মাঝে মাঝে বনের সবুজ চিরে আভাস দিচ্ছে ধ্বংসপ্রাপ্ত ধূসর মায়া স্থাপত্য( পরে জেনেছিলাম এইখানে ৬৭৫০টি নানাকৃতির স্থাপত্য পাওয়া গেছে!)

401975_10151203273630497_608590496_22902185_2104090455_n

402411_10151253803940497_608590496_23062169_1434646257_n

কেন জানি নিজেদের বুনো স্বাধীন পাখির মত মনে হচ্ছে। হুয়ান যেন আমাদের মনের কথাটি বলে বসল—চিন্তা করে দেখ, এখানে অবস্থানরত মায়ান শাসক বা পুরোহিত প্রতিদিন এই দৃশ্য দেখতেন! হয়ত এই সময়ে মনের মাঝে ফেনিয়ে ওঠা নানা চিন্তাকেই মনে করতেন প্রকৃতির মাঝে কোন ঈশ্বর তার কাছে নির্দেশ পাঠিয়েছেন! ইস, যদি একটা পূর্ণিমার জ্যোৎস্না থৈ থৈ রাতে এখানে থাকতে পারতাম, কিংবা অমাবস্যার তারা জ্বলজ্বলে আকাশের নিচে নগর সভ্যতার সমস্ত দূষণ থেকে দূরে অনন্ত নক্ষত্র বিথীকে সাথী করে। নিশ্চয় রাতের অরণ্যের পরিবেশ অনেক আলাদা।

431632_10151251613495497_608590496_23056745_1747771446_n

মন জিতে নেয়া জায়গাটিতে বেশ কিছুক্ষণ থেকে আবার নিচের পথে চললাম আমরা দুইজন, বাকিদের সাথে কড়ার হল- আমার অপর পিরামিডের শীর্ষে আরোহণ করলে তারা আমাদের ছবি তুলবে, আমরাও সেখান থেকে অন্য পিরামিডের মাথায় তাদের ছবি তুলব! যেমন কথা, তেমন কাজ।

পরের পিরামিডে উঠতে উঠতে ইসাইয়াস জানাল মায়ান অনেক শহরেই এখন আর পিরামিড উঠতে দেয় না ( যেমন পালেঙ্কে, চিচেন ইৎজা) সেই দিক দিয়ে কালাকমুল এখনো হয়ত পর্যটকদের মূল আকর্ষণে পরিণত হয় নি বলে সেই নিষেধাজ্ঞা জারি হয় নি। আমাদের সাথেই আরোহণরত এক ডাচ দম্পতি জানালেন, তারা মায়ানদের সবচেয়ে বৃহত্তর নগরীগুলোর সব খানেই গিয়েছেন, এবং তাদের মতে কালাকমুল সবার সেরা, কারণ এটা আসলেই গহীন অরণ্যের মাঝে! মায়াদের যে কেন বৃষ্টি-অরণ্যের রাজা বলা হত তা এই অরণ্য বেষ্টিত নগরে আক্ষরিক ভাবেই বোঝা যায়।

405327_10151137655995497_608590496_22668515_417903675_n

এক পর্যায়ে আবার নিজেদের পিরামিড শীর্ষে আবিস্কার করি আমরা, আবার চারপাশের সেই পাগল করা সবুজ সৌন্দর্য, বনজ এক মুক্ত গন্ধ যেন আচ্ছন্ন করে রাখে আমাদের। আচ্ছন্নতা কাটে না মোটেও কিন্তু হাতঘড়ি জানান দেয়, নিচে নামার সময় প্রায় হয়ে এসেছে, অন্য পিরামিড থেকে আমাদের ফ্রেমবন্দী করাও শেষ, অগত্যা একরাশ মুগ্ধতা রেখে আবার অবরোহণের পথে।।

397094_10151203274395497_608590496_22902191_1896843573_n

কি ভাবছেন, কালাকমুলের কাহিনী শেষ?

না, আসল কাহিনী কেবল শুরু!

পিরামিড থেকে নামতেই অদ্ভুত এক জীবের চিৎকার অনুসরণ করতে গিয়ে কি করে জীবনে প্রথমবারের মত গহন বৃষ্টিঅরণ্যে সত্যিকারের মত পথ হারিয়ে ফেলল হুয়ান ভিদাল আর তারেক অণু, চকিত দেখা মিলল রহস্যময় শ্বাপদের, বলা যায় বাঘের মুখ থেকে কি করে বেঁচে ফিরল তারা এই কাহিনী শোনাবার জন্য , সেটি জানতে হলে টান টান রোমাঞ্চময় নিসর্গঘন পরিবেশে সাথেই থাকার জন্য আগাম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম আগামী পর্ব না লেখা পর্যন্ত--- স্বাগতম !

403230_10151137657745497_608590496_22668524_1911634886_n


মন্তব্য

সত্যপীর এর ছবি

লিখায় পাঁচতারা। ফতুয়াতেও পাঁচতারা। টোটাল দশতারা দিলাম।

..................................................................
#Banshibir.

তারেক অণু এর ছবি

তারা প্রতি ট্যাকসো বসালে মনে হচ্ছে আবার পথে বেরোতে পারি !!
খাঁটি বাংলার ফতুয়া যে, কিন্তু চপ্পলটা মেক্সিকোর হো হো হো

সত্যপীর এর ছবি

নেক্সট টাইম নিউমার্কেট ব্রিজের নিচের চপ্পল পরে বাইর হয়েন চপ্পলেও পাঁচতারা পাইবেন চিন্তিত

..................................................................
#Banshibir.

তারেক অণু এর ছবি

কিন্তু ট্যাঁকসো !

সত্যপীর এর ছবি

ভাইয়া চালু আসেন। তারা কমায় দিমু কইলাম।

..................................................................
#Banshibir.

তারেক অণু এর ছবি
চরম উদাস এর ছবি

ম্যাঁও

তারেক অণু এর ছবি

আবারো সেই ম্যাও! আরে বড় ভাই, আপনার রসঘন বুদ্ধিদীপ্ত মন্তব্যগুলো আমি একা না, সবাই মিস করেছে ! একটু কাশুন দাদা---উদাস হয়েই কাশুন !

হিমু এর ছবি

আপনার চালচলন দেখে বলতে বাধ্য হলাম, মায়া আছে এ জীবনে আপন হয়ে ...

তারেক অণু এর ছবি

হো হো হো গতকাল উজ্জীবন, আজকে মায়া! কত পুরনো কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন! ডাঙকে হিম্ভাই!

অন্যকেউ এর ছবি

হাততালি

শেষটা পড়ে রেগে টং রেগে টং । জলদি ছাড়েন। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

তারেক অণু এর ছবি
জাবেদুল আকবর এর ছবি

অসাধারন ! এক নিশবাসে পড়ে ফেললুম। শ্রদ্ধা
উত্তম জাঝা!

তারেক অণু এর ছবি
আশফাক আহমেদ এর ছবি

আজকের ছবিগুলো একটু অন্ধকার অন্ধকার মনে হচ্ছে
ছবিতে ৫, লেখায় ৫---মোট ১০ তারা দিলাম হাসি

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

তারেক অণু এর ছবি

তাই ! এখানে তো ঠিক দেখাচ্ছে !

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

তাড়াতাড়ি লেখেন না ভাই। এম্নে ঝুলায় দেন কেন? নাহয় এট্টু হিংসাই করি, তাই বলে কি আমরা আপনার পর?

লেখা - ছবি, দুটোই মন কাড়া। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

তারেক অণু এর ছবি

আমিই ঝুলে আছি রে ভাই!

মরুদ্যান এর ছবি

বাঘের বাচ্চা

তারেক অণু এর ছবি
ডাইনোসর এর ছবি

বাঘের বাচ্চা ইয়েস বাঘ মামা, ইয়েস!!!

তারেক অণু এর ছবি
কৌস্তুভ এর ছবি

এখানের বোটানিকাল গার্ডেনের এমনই উঁচু টিলাগুলোয় খাড়া খাড়া পাইনগাছের ফাঁক দিয়ে বেয়ে বেয়ে উঠে দূর থেকে বসন্তের দিনে বস্টন শহর দেখতাম হাসি

তারেক অণু এর ছবি
মন_মাঝি (অফ্লাইন) এর ছবি

ড্রাড়ুন!

পিরামিডে তো মহানন্দেই চড়লেন, ভিতরে ঢুকেন নাই? এগুলার ভিতরের কিছু ছবি থাকলে ভাল হৈত। মিশরেগুলাতে ঢুকতে দেয় কিন্তু উঠতে দেয় না।

তারেক অণু এর ছবি

ল্যাতিনের পিরামিডগুলো নিরেট, মিশরের মতো ফাঁপা নয় ভিতরে। উপরে অনেক সময় একটা বড় কক্ষ থাকত।

মন মাঝি এর ছবি

আপনি এখন কৈ? এইবার মিশরের পিরামিড দেখে যান। নভেম্বর-মার্চ ভাল সময়, তবে ফেব্রুয়ারি মনে হয় বেস্ট।

****************************************

তারেক অণু এর ছবি

ফিনল্যান্ডের শীতের মাঝে রে ভাই ! জমে যাচ্ছি। মিশর যেতে পারলে খুব ভাল হত, এখন অবস্থা কি !
গত বছর আমার ভাই ভিসা নিয়েও যেতে পারল না উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য। আপনি কোথায়?

মন মাঝি এর ছবি

আমি দ্যাশে। মিশরেও এখন ঠাণ্ডাই হবে - অনভ্যস্ত বাংলাদেশীদের বিচারে ম্যালা ঠাণ্ডা। তবে সেটা ফিনল্যান্ড বা আপনার হিসাবে 'কিছুই না' হওয়ার কথা। আসলে ওদেশে ঘোরার জন্য এই সীজনটাই যেকোন বিদেশির জন্য আইডিয়াল - মার্চের পর থেকে গরম পড়া শুরু করে - যা দ্রুতই ভয়াবহ রূপধারন করে। বেড়ানোর জন্য সেটা একেবারেই অনাদর্শ। এই সীজনে এমনকি ইউরোপিয়ান উইক-এণ্ড টুরিস্টেও শার্ম-আল-শেখ আর দাহাবের বীচগুলি সাধারনত একদম ভরে উঠে - ওদের অনেকের জন্য এটা মনে হয় চিপার অপশন।

ফেব্রুয়ারির কোন একসময় মিশরে মনে হয় জাতিয় ভাবে বসন্ত উৎসব জাতীয় কিছু একটা পালিত হয়। এসময় কায়রো, নীলনদ, সবকিছু নতুন সাজ নেয় - চারিদিকে একটা উৎসবের আমেজ থাকে। এজন্যেও সময়টা চমৎকার। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষিতে কি হবে জানি না। গেলে, আগে থেকে ভাল করে জেনে এবং প্ল্যান করে যাওয়াই ভাল যাতে ঝামেলায় পড়তে না হয় এবং সময়টাও নষ্ট না হয়।

****************************************

হিমু এর ছবি

ফুটবল মাঠে খুনাখুনি নিয়ে রায়ট চলছে পোর্ট সাইদ, কায়রোসহ আরো দুয়েকটা জায়গায়। এখন গেলে তারেকাণুরে বল খেলাটা তওবা কইরা ছাড়তে হৈতারে।

তারেক অণু এর ছবি
মন মাঝি এর ছবি

চিন্তার বিষয়ই বটে। আমার মিশরীয় বন্ধুও জানালো এই সময়টা না যাওয়াই ভাল। কয়েক সপ্তাহ পরে পরিস্থিতি উন্নতি সাপেক্ষে ভাবা যেতে পারে। তবে শীতে ভুগলে বীচ, দ্বীপ (জলপথে) বা ডেজার্ট সাফারি খুউব উপাদেয় লাগে আমার। মিশরে থাকলে নির্ঘাৎ একটা লম্বা ডেজার্ট সাফারিতে ট্রাই নিতাম এবার - হোয়াইট ডেজার্ট, গিল্‌ফ আল-কবির, জেবেল উন্‌ওয়েইনাত, গ্রেট স্যান্ড সী হয়ে সিওয়া পর্যন্ত। ফাটাফাটি। অনেক দিনের ইচ্ছা, আগের বার টাকা আর বেরসিক সঙ্গিদের কারনে হোয়াইট ডেজার্ট পর্যন্ত গিয়েই ক্ষ্যামা দিতে হয়েছে।

তবে এখন দেশে যেহেতু - হয় আন্দামান আর তা না পারলে নিদেনপক্ষে সেন্ট মার্টিন্স হাসি
তবে সেন্ট মার্টিন্সের ক্রুজটা খুবই পিচ্চি আর গিয়ে এক্টিভিটিরও খুব বেশি কিছু নেই সাগর দেখা ছাড়া। তবে কদিন আগে হাকালুকি হাওরের কাছে টিলার উপর থাকা আর হাওরের ভিতর মোটর সাইকেলে করে গিয়ে ক্যাম্পিং করাটা জোস্‌ লেগেছে। আপনার লেখা পড়ে গায়ে 'বদ্‌ হাওয়া' লাগতেছে মনে হয় - দুর-দূরান্তে না পারি, কাছেপিঠে হলেও ঘুরতে মঞ্চায়।

****************************************

হিমু এর ছবি

দেশের মধ্যে সুন্দর কোথাও বেড়াতে গেলে দয়া করে গোপন রাখবেন। ফিরে এসে স্পিক্টিনট হয়ে থাকবেন। ছবি আপ করবেন না ভুলেও। একবার যদি লোকে জেনে যায় দেশের মধ্যে সুন্দর কোনো জায়গা আছে, এক বছরের মাথায় সেখানে গিয়ে হেগেমুতে জায়গাটাকে ঢাকাশহর বানিয়ে আসে।

মন মাঝি এর ছবি

তা অবশ্য ঠিক! দেঁতো হাসি

****************************************

তারেক অণু এর ছবি

হ, কথা সইত্য। আমার যে বন্ধু কেউকারাডংকে মানুষের কাছে জনপ্রিয় করেছিলেন এখন প্রায়ই আফসোস করেন।

তাপস শর্মা এর ছবি

পুরাই সেরাম অইছে হাসি । আমরাও চেরাপুঞ্জির চূড়ায় উইঠা ফুডুক তুলুম দেঁতো হাসি

তারেক অণু এর ছবি

আর বলতে!

জালিস এর ছবি

গুল্লি গুল্লি গুল্লি
পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম
কোলাকুলি

তারেক অণু এর ছবি
স্যাম এর ছবি

তারেক অণু অবশ্যই একজন রোলমডেল - ক্যারি অন ম্যান

তারেক অণু এর ছবি
যুমার এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

তারেক অণু এর ছবি
ধূসর জলছবি এর ছবি

চলুক পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

তারেক অণু এর ছবি
মিলু এর ছবি

(অ)সাধারণ ! চলুক চলুক চলুক

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ।

পৌঢ় ভাবনা এর ছবি

উত্তম জাঝা!

তারেক অণু এর ছবি

শুভেচ্ছা।

অমিতাভ এর ছবি

সেই কিশোর বয়সে ফিরে গিয়েছিলাম। অসাধারণ। আপনাকে ফলো করছি দক্ষিন আমেরিকার শুরু থেকেই। চালিয়ে যান। আরো এডভেঞ্চারের অপেক্ষায়। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ। আসিতেছে---

তানিম এহসান এর ছবি

উড়ন্ত ঘুড়ি - এই নামে আর কাউকে কোনদিন ডাকা হবেনা আমার!

তারেক অণু এর ছবি

লইজ্জা লাগে বিপদে ফেললেন দেখি, সুতো কেটে গেলে কি হবে !

অরফিয়াস এর ছবি

যেতেই হবে একদিন ... এবং যাবই ...হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই ! শুধু হাতে সময় নিয়ে যেয়েন--

আশালতা এর ছবি

চলুক

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

তারেক অণু এর ছবি

কোথায় হারালেন !

কালো কাক এর ছবি

ফতুয়া সুন্দর। জঙ্গল সুন্দর। পিরামিড সুন্দর। এই পিরামিডগুলোর আকৃতি অন্যরকম , মিশরের থেকে। এগুলোর কাজ কী ছিল ?

তারেক অণু এর ছবি

কাজ দেবতার সন্তুষ্টি।
আকৃতি খানিকটা আলাদা, কিন্তু আবার মিশরের আদি পর্বের স্টেপ পিরামিডগুলোর সাথে খুবই মিল, শুধু এখানের ভিতরে তেমন ফাঁপা কামরা পাওয়া যায় নি।

আমি শিপলু এর ছবি

বুক জ্বলে গো প্রাণ জ্বলে....ঈর্ষা না গো গ্যাসটিক..গুরু তোমার জন্য একটা পিড়ামিড বানাইতে মন চায়। গুরু গুরু

তারেক অণু এর ছবি

মরে যাব তাহলে=== গড়াগড়ি দিয়া হাসি

উচ্ছলা এর ছবি

লেখা আরে ফটোস নিয়ে মন্তব্য নিষ্প্রয়জন। (আমি ক্লান্ত এ ব্যাপারে)
তবে তোমার ব্রেসলেটগুলো খুব সুন্দর। ফতুয়াটাও বেশ।

তারেক অণু এর ছবি

থ্যাঙ্কু! এগুলোর প্রতিটার পিছনে আলাদা আলাদা ইতিহাস---

স্বপ্নাদিষ্ট এর ছবি

লিখে ফেলেন ভাইয়া হাসি

-স্বপ্নাদিষ্ট
=======================
যে জাতি নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তন করে না, আল্লাহ তার ভাগ্য পরিবর্তন করেন না।

তারেক অণু এর ছবি

চিন্তিত আরেকটু চিন্তা করে দেখি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

পিরামিডের ছবি দেখে আমারো মনে হচ্ছিলো আপনার মতোই, চান্নিপসর রাইতে ঐখানে থাকতে না জানি কেমন লাগবে! এইটা পারলে খোঁজ নিয়েন তো বিটে, সম্ভব কিনা, সিরিয়াসলি। অমাবস্যার খোঁজ নেয়ার দরকার নাই। অমাবস্যায় ডর করে। ঐখানে থাকলে কইলজা ফাইট্যা মইরা যামুগা।

তারেক অণু এর ছবি

লুকায়ে থাকতে হবে ! নাহলে বাহির করে দিবে, ইউনেস্কোর বিশ্ব সম্পদ যে !

নীড় সন্ধানী এর ছবি

প্রথম ছবিটার পিরামিডের চুড়ায় ভরা পূর্নিমায় দাঁড়িয়ে মানসচক্ষে দশ দিগন্ত দেখার চেষ্টা করছি। অদ্ভুত অশরীরি একটা অনুভুতি!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তারেক অণু এর ছবি

আহা--

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।