ভ্রমণ করতে খুব ভাল লাগে আমার, সেই যে এস এস সির পরপরই প্রথম বাড়ীর বাইরে অভিভাবক ছাড়া বন্ধু উদয় শঙ্করের সাথে বাহির হয়েছিলাম দক্ষিণ বঙ্গ দেখতে, দুচোখ ছাপানো বিস্ময় নিয়ে দেখেছিলাম খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, পিরোজপুর, পশুর নদীর জোয়ারভাঁটা, দক্ষিণ ডিহিতে কবিগুরুর শ্বশুরবাড়ি, ষাট গম্বুজ মসজিদ, দুর্গা সাগর, ভ্যান গগের হলদে তুলির পরশ বোলানো মাইলের পর মাইল বিস্তৃত পাকা ধানের ক্ষেত, অপূর্ব সুন্দর গ্রামগুলি। নিজেও জানি না কখন এই নেশায় আঁটকে গেছি আষ্ঠেপৃষ্ঠে।
না, রাহুল স্যাংকৃত্যায়নের ভবঘুরে আমার হওয়া হয় নি এখনো, হতে পারি নি মহা স্থবির জাতকও। কিন্তু নিজের যৎকিঞ্চিত ভ্রমণগুলোর আনন্দ বন্ধুদের সাথে ভাগাভাগি করে নেবার জন্য মাঝে মাঝে কাঁচা ভাষায় লিখে জানাতে ভাল লাগে। সেটাতেই যথেচ্ছ ভবঘুরে না হতে পারার অতৃপ্তি কমে হয়ত খানিকটা।
কিন্তু ভ্রমণ কাহিনীর নিবিড় পাঠক আমি, বিশ্বের আনাচে কানাচে যখন যেখানে যে ভ্রমণ কাহিনী সম্বলিত বই পেয়েছি চেষ্টা করেছি বইটিকে নিজের সম্পদের পরিণত করার জন্য ( বই পড়ার সময় বাহির করার চেয়ে কেনা অনেক সহজ, আগে কিনে রাখি, একসময় পড়া হবেই আশা করি—আপাতত এই নীতিতেই চলছি), বিশেষত দুর্গম জায়গাগুলোর বর্ণনা নিয়ে ব্যক্তিগত কাহিনীগুলো পড়া হয় বারংবার। এমন ভাবে প্রিয় ভ্রমণকাহিনী ও লেখকের তালিকা প্রতিনিয়ত হচ্ছে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর, কিন্তু অনেক বছর ধরেই এখন পর্যন্ত পড়া সেরা ভ্রমণ কাহিনী হিসেবে মনের মুকুরে শীর্ষস্থানটি দখল করে আছে দ্য ভয়েজ অফ দ্য বিগল ( The Voyage of the Beagle), সেই সুবাদে প্রিয় ভ্রমণ লেখক চার্লস ডারউইন।
দ্য ভয়েজ অফ দ্য বিগল সম্ভবত প্রথম বাংলায় পড়া হয় শ্রদ্ধেয় দ্বিজেন শর্মার অতি সংক্ষেপিত অনুবাদে, তাতে মূল ঘটনাগুলোর উল্লেখ থাকলেও আসল কাহিনীর রস আস্বাদন হয়ে উঠে না। এক পর্যায়ে ফ্রাঙ্কফুর্টের বইমেলায় মিলে গেল ৭০০ পাতার মূল বইটি ( কোন ছবি ছাড়া!), লেখকের মাতৃভাষাতেই প্রকাশিত। ১৮৩৯ সালে প্রকাশিত লেখকের ভ্রমণকালীন রোজনামচার আকারে বইটি পড়তে মনোনিবেশ করেই বেশ চমকে উঠলাম, আনন্দের হিল্লোল বয়ে গেল যেন মনে প্রাণে, অতি মনোহর, আরামপ্রদ, গতিশীল ভাষা! ভেবেই রেখেছিলাম এক জীব তত্ত্ববিদের খটমটে বাক্যে ভর্তি নিরস সব ঘটনা বিন্যাস হয়ত পড়তে হবে, তার বদলে এই স্বচ্ছ, মধুর, মন ছোঁয়া লেখনীর জাদুময় প্রভাবে আমিও চেপে বসলাম লেখকের সঙ্গী হয়ে বিগল নামের জাহাজে , ১৮৩১ সালের ২৭ ডিসেম্বর। উদ্দেশ্য বুড়ো পৃথিবীটাকে দেখার সাথে সাথে এর অধিবাসীদের নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করা।
যাত্রার শুরুতেই ( বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে) বিলেত থেকে সরাসরি ব্রাজিলে পৌঁছালাম আমরা, বিশাল দেশ এটি। এখানকার বিভিন্ন বন্দর শহরে নোঙর ফেলবে বিগল, তখনই নৌকায়, পদব্রজে, খচ্চরের পিঠে চেপে ডাঙ্গায় ভ্রমণ করব আমরা। মূল সমস্যা হচ্ছে ডারউইন সাহেবকে নিয়ে, বিশ বছর পেরিয়ে গেছে তার কিন্তু মনটা দশ বছরের বালকের মত টগবগে কৌতূহলে ভরা- কিছু একটা দেখলেই হয়েছে সাপ, ব্যাঙ, গিরগিটি, আরশোলা, মাছ, পাখি, বেড়াল, কচ্ছপ- সবকিছুতেই তার সমান আগ্রহ! পারলে নমুনা সংগ্রহ করেন, না হলে ছবি আঁকেন, তার এই কাহিনী নাকি আবার লন্ডনে খবরের কাগজে ছাপা হবে! সেই সাথে আছে রাজ্যের যত গাছ- ফুল- মূলের প্রতি আকর্ষণ।
আচ্ছা সেও না হয় বুঝলাম, কিন্তু নিরস প্রাণহীন পাথরখণ্ড ঘেঁটে সারাদিন যে কি মজা পান উনিই জানেন, এমনকি সেই ভারি পাথরও মাঝে মাঝে ভেঙ্গে নিয়ে সঙ্গের ঝোলাতে ভরেন। একটু পাগলাটে হলে কি হবে, এলেম আছে ছোকরার, প্রকৃতির কোন ব্যতিক্রমী বস্তু তার নজর এড়ায় না শত ব্যস্ততার ফাঁকেও, ব্রাজিলের এক অরণ্যে ডাইনোসর আবিস্কারের আনন্দ নিয়ে এক প্রজাপতি দেখিয়ে বলল- এই একটাই প্রজাপতি দেখলাম যা কিনা দৌড়ানোর জন্য পা ব্যবহার করে!
রিও নদী ধরে বাহিয়া ব্লাঙ্কা যাবার পথে সে তো একগাদা পাখি, স্তন্যপায়ী জানোয়ার, মাকড়শা এমনকি সাপ ধরে বোঝাই করল জাহাজ, সবাই অতিষ্ঠ, কেবল ক্যাপ্টেনের প্রিয়পাত্র বলে তাকে কিছু বলা যাচ্ছে না, তাও মন্দের ভাল তার সংগৃহীত সমস্ত কিছু সুযোগ পেলেই ক্যাপ্টেন কোন মালবাহী জাহাজে বিলেত পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
ছোকরা আবার মানবতাবাদী, ব্রাজিলে তখনো দাসপ্রথার চল, সে খুব সরাসরি কিছু না বললেও বোঝা যায় তার দেশের উপনিবেশিক প্রভুদের চালিত এই ব্যবস্থাটি তার মনপ্রিয় নয়!
আর্জেন্টিনার তৃণভূমিতে জাহাজ ভেড়ার সাথে সাথে ডারউইন শুরু করল জীবাশ্ম সংগ্রহ, সেই কবে কার কোন বিশাল জানোয়ারের দল এই পাম্পাসের তৃণভূমিতে মরে শুকিয়ে পাথর হয়ে আছে এই নিয়েও তার উৎসুক্যের শেষ নেই! এদিকে বিরান প্রান্তরে সে উটপাখির মতই দেখতে বিশাল উড্ডয়নে অক্ষম এক পাখি দেখে যারপরনাই মোহিত হয়ে গেল, এই পাখিদের নাম রিয়া। কদিন পর ছোকরা বলল স্থানীয় গাউচোদের মতে এমন পাখি নাকি দুই ধরনের আছে, দেখতে এক হলে অনেক ভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্বলিত! আমরা হেসেই কূল পায় না, কিন্তু ডারউইন ঠিকই দুই জাতের পাখির প্রমাণ বিলেত পাঠিয়ে দিল, এদের একটির নামকরণ করা হল ডারউইনের রিয়া (Darwin's Rhea, Rhea pennata)!!!
এরপরে বিশাল আর্জেন্টিনার সমৃদ্ধ শহরগুলো আর নানা নিসর্গময় স্থানে চলতে থাকল তার অভিযান এমনকি নানা রেড ইন্ডিয়ান গ্রামেও! বিশ্বের সর্ব দক্ষিণের এই মানব বসতির বন্ধুর স্থানে প্রায় বছর খানেই কেটে গেল তার। মাঝে মাঝে অদ্ভুত সব কথা বলত সে জীবন নিয়ে- বলত জীবন পৃথিবী কোণে কোণে ছড়িয়ে আছে, প্রায় সব জায়গাতেই আছে এর সদম্ভ প্রকাশ, আপাত দৃষ্টিতে তা যতই বন্ধুর হোক না কেন। সেই সাথে বলে এখন পর্যন্ত বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া সেই বিশাল প্রাণীগুলোর সাথে নাকি বর্তমানের অনেক প্রাণীর অদ্ভুত মিল আছে, দেখে মনে হয় তারা নাকি আত্মীয়!
প্যাটাগোণিয়া, ফকল্যান্ড দ্বীপ, তিয়েরা দেল ফুয়েগো হয়ে ম্যাগেলান প্রণালী দিয়ে অন্য মহাসাগরে পড়ল আমাদের জাহাজ, ছোকরার ক্ষ্যাপামি যেন আরো বেড়ে গেল এখন সে ডাঙ্গা বাদ দিয়ে সাগরের বিশাল আগাছার জঙ্গলের মাঝে ( কেল্প) জীব-জন্তুর সন্ধানে থাকে, এবং পায়ও!
আবার দিন কয় দিন আগেই তার যাবতীয় আগ্রহ ছিল হিমবাহ কি করে তৈরি হয়, মহাসাগরের ভাসমান এই দানব হিমশৈলগুলোর জীবনচক্র কেমন- ইত্যাদি ইত্যাদি! আচ্ছা, একটা মানুষ কতগুলো ব্যাপারে উৎসাহী হতে পারে , সেই সাথে এত জ্ঞান রাখতে পারে!
চিলির ভালপারাইসো বন্দরে জাহাজ থামার পড়ে সে গেল আজব এক ব্যাপারে গবেষণা করতে, আকাশ ছোঁয়া আন্দেজ পর্বতমালার জন্মের কারণ এবং স্থানীয় জীবদের উপর তার প্রতিক্রিয়া ! আরে, পর্বত ছিল , আছে, থাকবে, এই নিয়ে এত মাথা ঘামাবার আছে টা কি!
আসলে ডারউইন যতই সুন্দর লিখতে পারুক সেই ছিল মহা তক্কোবাজ, কথাতেই বোঝা যেত খাঁটি খ্রিষ্টান নয় সে! জিজ্ঞেস করলেই, আমি এক ধরনের খ্রিষ্টান বলে এড়িয়ে যেত।
যাক, এইখানে হামিংবার্ডের ঝাঁকের দেখা পেয়ে তার মন সেই দিকেই ভিড়ল, যদিও মাঝখানে মহা সোরগোল তুলল যে এখানে নাকি বিশাল ঠোটের এক হামিং বার্ড থাকবার কথা, কারণ সে নাকি লম্বা এক ফুল খুঁজে পেয়েছে, যার পরাগায়ণ করতে তেমন পাখি না হয় অনেক লম্বা শুঁড়ের পতঙ্গ থাতেই হবে, জীব জগতের সবই নাকি এমন সব নিয়ম মনে চলে! বললেই হল, এমন লম্বা ঠোঁট হলে পাখি বসবে কি করে!
যাই হোক, চিলি- পেরুতে বেশ কিছুটা সময় অতিবাহিত করে আবার পাল তুলে যাওয়া হল গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জে, এখানে এসে ছোকরা কেবল পাগল হতে বাকী রাখল! প্রথমেই সে বলে দিল এখানে দ্বীপপুঞ্জগুলোর প্রতিটি দ্বীপের বিশাল কচ্ছপগুলো আলাদা আলাদা প্রজাতির, শুধু বলেই ক্ষান্ত নয় সে কচ্ছপগুলোর পিঠের ভিন্ন ভিন্ন খোলা দেখিয়ে সেই কথা প্রমাণ করেই ছাড়ল, এদের স্বভাব চরিত্রও নাকি আলাদা আলাদা!
এবার পড়ল পাখি নিয়ে, প্রথমে শুরু করল মকিং বার্ড দিয়ে, শেষ পর্যন্ত মেতে গেল ফিঞ্চ জাতীয় ক্ষুদে পাখিগুলো নিয়ে, তার মাঝে উদ্ভট এমন চিন্তাও উঁকি দিত যে ভিন্ন ভিন্ন জাতের পাখিগুলোর মাঝে মিল এত বেশী যে মনে হয় এক জাতের পাখি থেকেই কোন অজানা দৈব বলে এমন হরেক জাতের পাখির জন্ম হয়েছে!
সেই সাথে ছিল সাগর ইগুয়ানা, এরা নাকি আবার বিশ্বের একমাত্র ইগুয়ানা যারা সাগরে সাঁতরাতে পারে, ডারউইন একটাকে তার নিজের দ্বীপ থেকে বেশ দূরে সাগরে ছেড়ে দিলেও দেখি প্রবল স্রোতের সাথে বেশ ভাল ভাবেই ঝুঝে সে ডেরায় ফিরে গেল !
এমনকি এই এলাকাতেই সে ১৫ প্রজাতির মাছের সন্ধান পেল যা নাকি বিজ্ঞানের জগতে একেবারেই নতুন! এত বাহাদুরি আর কতই বরদাস্ত হয়, অবশেষে জাহাজ রওনা হল তাহিতি হয়ে নিউজিল্যান্ডের দিকে, সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়া নামের দ্বীপ-মহাদেশ।
সেই সাগরে যেতেই ডারউইনের নতুন পরিচয় পাওয়া গেল, মেতে উঠল সে প্রবাল নিয়ে! প্রবাল কিভাবে কোন জায়গায় জন্ম নেয়, কিভাবে রঙ ঝলমলে প্রবাল রীফ আর বিশাল দ্বীপগুলোর জন্ম হয়, সেখানের বাসিন্দা ইত্যাদি ইত্যাদি !
তাও ভাল যে বিগলের ৫ বছরের যাত্রা তখন প্রায় শেষের দিকে, এর পরে ভারত মহাসাগরের দ্বীপ মরিসাশে অল্প দিন থেকে আবার ব্রাজিলে ফিরে আসে বিগল, সেখান থেকে সোজা বিলেত!
আমাদের যাত্রা আপাতত শেষ।
দ্য জার্নি অফ দ্য বিগল বিশ্ব সাহিত্যের এক অমূল্য রত্ন, তা কেবল অজানা দেশের বর্ণনা সম্বলিত বলে নয়, লেখকের জাদুকরী ভাষার বর্ণনা ও ঘটনা বিন্যাসের কারণে। এমন বই আজ পর্যন্ত আর দুটি লেখা হয় নি। আফসোস, উনি ভ্রমণ নিয়ে আর কোন বই লেখেন নি!
( অনেক পরে আরেক জন প্রিয় লেখক, নমস্য জীবসংরক্ষণবীদ জেরাল্ড ডারেল দ্য জার্নি অফ দ্য বিগল –এ বর্ণিত ডারউইনের স্মৃতি বিজড়িত বেশ কিছু জায়গাতে ভ্রমণ করেন, এবং ডারউইনের রোজনামচায় ব্যবহৃত চমৎকার বাক্যগুলো নিজের একটি বইয়ের প্রতি অধ্যায়ের প্রথমে ব্যবহার করেন, অতি সুপাঠ্য সেই বইটির নাম দ্য হুইসপারিং ল্যান্ড।
এই লেখায় ব্যবহৃত আলোকচিত্রগুলো নেট থেকে সংগৃহীত)
মন্তব্য
ডারউইনের ভ্রমণ কাহিনীতে আপনি যেভাবে personification করেছে তা লেখাটিকে আরও সুখপাঠ্য করে তুলেছে। ব্যাপারটা অভিনবও বটে।
ডারউইনের জীবন-দর্শনের সার সংক্ষেপ হতে পারে উপরের বাক্যগুলো। খুব ভাল লাগল পড়ে!
এখন আমরা চাই আপনার জাদুকরী ভাষার কল্যাণে বাংলাদেশের অগণিত শিশু-কিশোর-তরুণ ডারউইনের অমর বইটি নিজের ভাষাতেই পড়ে নিতে পারবে আর সঙ্গে ঝালিয়ে নিতে পারবে তাদের মরচে ধরা স্বপ্নগুলি। জীবসংরক্ষণবীদ জেরাল্ড ডারেলের ''দ্য হুইসপারিং ল্যান্ড।'' এর অনুবাদও দাবী করছি আপনার কাছে, যদিও বুঝতে পারছি বেশী দাবী হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ভাল লাগার লেখকের কাছেই তো মানুষ বেশী দাবী করে।
টাইপোগুলো ঠিক করে নিয়েন অণু ভাই!
অনেক ধন্যবাদ আপনার বিশ্লেষণী মন্তব্যের জন্য।
facebook
হুম বইটা পড়তে হবে। স্কুলে থাকতে জেরাল্ড ড্যুরেলের "এ জু ইন মাই লাগেজ" পড়েছিলাম- এরকম মজার বই আর দ্বিতীয়টি পড়ি নাই।
আহ, এ জু ইন মাই লাগেজ যে কি চমৎকার! অবশ্য উনার সব বইই আমার ভাল লাগে। সেবার অনুবাদে ড্যুরেল বলা হলেও আসলে তার নাম কিন্তু ডারেল। তপন রায় চৌধুরীর বইতেও ডারেল আছে।
facebook
ডারউইন বললেই তার ব্দ্ধকালের ছবিটা ভেসে ওঠে চোখে।
লোকটার যৌবনের ছবি দেখে মুগ্ধ।
বিগলের পর কি উনি বড় কোণ জার্নি করেছিলেন কোথাও?
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
না সারা জীবন কেন্টের বাড়ীতে বসে গবেষণা করেছিলেন।
facebook
facebook
আবার কি হল !
facebook
বর্তমান কালের ভ্রমণ-কাহিনি লেখকদের মধ্যে আপনার সবচেয়ে প্রিয় লেখক কে?
আমার ভ্রমণ-কাহিনি খুব একটা পড়ার সুযোগ হয়নি, মানে এখন আপনারগুলি বাদে আরকি। শিভা আর ভিয়েস নাইপল দুর্দান্ত লাগত একসময় - তবে তারা বোধহয় ঠিক বিশুদ্ধ ভ্রমণ-কাহিনি লেখক ছিলেন না। পল থরোর দুএক'টি বই আমার বেশ ভাল লেগেছে - বিশেষ করে দক্ষিন আমেরিকা নিয়ে দ্য প্যাটাগনিয়ান এক্সপ্রেস। তবে পাশ্চাত্যের লেখকদের নাক-সিঁটকানো ভাবটা অনেকসময় ভাল লাগে না।
****************************************
অনেকের অনেক লেখাই মনে দাগ কেটেছে কিন্তু সার্বিক ভাবে কারো নাম বলতে পারছি না, জেরাল্ড ডারেল বাদে।
পল থরোর ঐ বইটা সহ অন্যান্য কিছু পড়েছি আর প্রায় সব কিনে ফেলেছি, কিন্তু কবে পড়ব বলতে পারি না!
নিসর্গ নিয়ে লেখা বেশী ভাল লাগে বিশেষ করে পর্বত নিয়ে !
facebook
facebook
অসাধারণ। ডারউইনের ভ্রমণ পুরো মানব জাতির ভ্রমণ। ডারউইনের প্রতি মানুষের কৃতজ্ঞতা কখনো শেষ হবার নয়।
আপনার লেখাটিও জোস। বইটা কিনে ফেলব।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অসাধারণ একজন মানুষ !
facebook
ভাইয়া, আরও কিছু ছবি কি দেয়া যেত না?
লেখাটা কিন্তু বেশ লিখেছেন।
দেয়া যেত, আসলে লেখা শেষ হতে ভোর হতে গিয়েছিল তাই হাতে কাছে যা ছিল দিয়ে ফেলেছি।
facebook
লোভ লাগিয়ে দিলেন দেখছি! পড়তেই হবে।
_________________
[খোমাখাতা]
facebook
এই বইটা পড়ব চিন্তা করে রেখেছি বহুদিন। ভিক্টরিয়ান ইংরেজির কথা ভেবে পড়বো পড়বো করেও ভয়ে পড়া হয়নি। আসলেমি ঝেড়ে পড়তে হবে, দুর্দান্ত কিছু হবে সেটা তো একেবারেই নিশ্চিত
ব্লগটার জন্য ধন্যবাদ
এইটাই আমাকে মূলত অবাক করেছে, একেবারে আধুনিক গদ্য ইংরেজি! মধুময়।
facebook
পড়তেই হৈবো
facebook
ডারউইনের বিবর্তন ঘটেছে মনে হয়
ঘটছে তো সবারই! কেউ বুঝে কেউ বুঝে না !
facebook
(বাংলায়)
facebook
অ আ ই ঈ উ ঊ ... ক খ গ ... ঃ চন্দ্রবিন্দু
facebook
অ তে- তারেক অণু ওই আসছে তেড়ে
আ তে - আইক্কা অলা বাঁশ দে ওরে
- আরও লিখবো বাংলায়??
ত তে তারিক আনাম== থামলে ভাল লাগে !
facebook
দারুণ লিখেছেন। প্রজেক্ট গুটেনবার্গ থেকে বইটা ডাউনলোড করেই ফেললাম। অল্প অল্প করে পড়তে হবে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
পড়ে জানিয়েন কেমন লাগল।
facebook
কত কিছু যে এখনও অ-দেখা, অ-পড়া
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
জানার কোন শেষ নাই, জানার চেষ্টা বৃথা তাই
facebook
আপনাকে যে আমি কি বলব সেইটাই তো বুঝতে পারছি না
হুম, বলেন কিছু একটা !
facebook
অণু দা, আপনি এত সুন্দর লেখেন সময় পেলে ডারউইনের বইটা অনুবাদ করে ফেলেন না
করতে পারলে খুব ভাল একটা কাজ হবে, কিন্তু সেই রকম রূপ রস গন্ধময় শব্দ ভাণ্ডার নেই যে আমার!
facebook
facebook
নতুন স্বাদের লেখা। বইটার শুধু নামটাই জানা ছিল, আপনার কল্যাণে বিশদে জানা হলো। আপনার লেখার হাত ভাল। এ ধরনের লেখা আরও লিখুন।
অনেক ধন্যবাদ, চেষ্টা করব।
facebook
প্রতিদিন পড়ার লিস্টে কয়েকটা করে বই যোগ হয়, সাথে যোগ হয় পেপার বইগুলো আর শেষ পর্যন্ত পড়া হয়ে ওঠে না
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
facebook
লিখা এত ছোট কেন??? আরও বড় করা চাই, পপকর্ন শেষ হয়নাই তো
হা হা, আমারও শেষ হয় না!
facebook
আপনি বস মানুষ। খামাখা প্রসংসার কোন দরকার নাই।
প্রশংসা বাদ থাক, ফিডব্যাক দিয়েন !
facebook
ডারউইন দাদুর এই অসামান্য ভ্রমণ কাহিনির টুকুন সংযোজন খুবই চমৎকার।
চার্লস ডারউইন সভ্যতার গর্ব।
ডাকঘর | ছবিঘর
হৈ মিয়াঁ, ডারউইন চিরতরুণ! দাদু হতে যাবে কেন !
facebook
আপনে ভ্রমন কাহিনি পেয়ার করেন? আগে কবেন না কোবি! মানব ইতিহাসের (বৃক্ষে ঝুলন্তাবস্থার ইতিহাসও ধর্তব্য) সেরা ভ্রমন কাহিনির বইয়ের কথা এইখানে আছে, টোকা দিয়ে দেখেন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
facebook
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
কোথায় ছিলেন এত দিন !
facebook
আপনার লেখাটি অসাধারণ হয়েছে । এই বইটি অনেকদিন ধরে পড়ার ইচ্ছা, কিনে ফেলব আমাজান থেকে । অনেক বই জমে আছে পড়ার অপেক্ষায়, একটা সময় ছিল শুধু বইই পড়তাম । ইন্টারনেট এসে সেসব দিন কোথায় যে হারিয়ে গেল এখন পড়ার গতি এতো শ্লথ, ওদিকে বই কেনা চলছেই, কোন একদিন পড়ব বলে জমানো আর মনকে শান্তনা দেওয়া ।
প্রায় একই অবস্থা, বই কিনছি প্রতি সপ্তাহেই একাধিকবার, কবে যে পড়ব, চারপাশে না-পড়া বইয়ের হিমালয়! তবুও ভাল লাগে। চলছে এইভাবেই
facebook
ক্যামব্রিজে ডারউইনের যে প্রানী সংগ্রহশালা আছে, তা একবার স্যার ডেভিড এটেনবোরা'র এর একটা ডকুমেন্টারিরে (চার্লস ডারউইন অ্যান্ড দা থিওরী অভ ইভালুয়েসন) দেখেছিলাম। হিউজ!!!
লেখার জন্যে
পথের দাবি
facebook
নতুন মন্তব্য করুন