পাবলো পিকাসোর প্রদর্শনী

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: মঙ্গল, ০৭/০২/২০১২ - ১১:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

self-portrait-1901

ছুটির দিন সাত সকালে জানালার থার্মোমিটারে চোখ পড়তেই অবিশ্বাসে চোখ রগড়ে আবার ঠিকমত পরীক্ষা করলাম, যা দেখেছি তাই! তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে ২২ ডিগ্রী, ফারেনহাইট নয় সেলসিয়াস! এতো পুরোই জমাট বাধার যোগাড়, ঠান্ডার দেশ ফিনল্যান্ডেও এই সময় এতটা ঠান্ডা পড়ার কথা না।কিন্তু আগেই পরিকল্পনা করা আছে আজ যাওয়া হবে হেলসিংকি নাশন্যাল আর্ট গ্যালারী, আতেনিয়ামে, যেখানে গত দুই মাস ধরে চলছে পাবলো পিকাসোর বিশাল চিত্রকলা প্রদর্শনী, এটাই শেষ সপ্তাহ। কাজেই গরম কফির পরপরই কয়েক প্রস্থ ঠান্ডার কাপড় পরে, বরফ ঠেলে সকাল এগারটায় যখন আতেনিয়ামে পৌছালাম, সামনে ইতিমধ্যেই কয়েশ শিল্পানুরাগীর লাইন জমে গেছে!

অপেক্ষার হিম প্রহর শেষে ভিতরে ঢোকা গেল অবশেষে, টিকিটের দাম বেশ চড়া, ষোল ইউরো। বিশ্বের অন্যতম সেরা পিকাসো জাদুঘের প্যারিসের মুজে পিকাসো ন্যাশনাল থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছে অমূল্য অমর সব চিত্রকলা।প্রথমেই পিকাসোর সংক্ষিপ্ত জীবনী আর পুরো নাম দেয়াল জুড়ে লেখা-

Pablo Diego José Fransisco de Paula Juan Nepomuceno María de los Remedios Cipriano de la Santísima Trinidad Martyr Patricio Clito Ruiz y Picasso. !!!!

সেই সাথে দেয়ালে দেয়ালে পিকাসোর অমর বাণী লেখা- আমাকে একটি জাদুঘর দিয়েই দেখ , একে পূর্ণ করার দায়িত্ব আমার।

প্রদর্শনীর প্রথমেই তার ব্লু পিরিয়ডে আকা কিছু পোর্টেট, বিশেষ করে বার্সেলোনায় অবস্থানরত সময়ে আকা একমুখ দাড়িওয়ালা এক তরুণের প্রতিকৃতি আর একচোখের অধিকারী মহিলার দূর্দান্ত পোর্টেট মনের পর্দায় ভেসে থাকল অনেকক্ষণ, আর কি সে নীল! হালকা,গাঢ়,ফিকে,জমাট,উজ্জল,ফ্যাকাশে সব ধরনের নীলের সন্নিবেশন পিকাসোর ক্যানভাসে।

5887404960_159e98fdfb_z

এরপরেই ১৯০৬ সালে আকা তার আত্নচিত্র, মোলায়েম গোলাপী রঙে রাঙানো এই আত্নচিত্রটিই এই প্রদর্শনীর বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত হচ্ছে, বিশালাকার পোষ্টার ঝুলছে তার অ্যাতেনিয়ামের দেয়ালে।

Picasso-self-portrait-1906

এরপরে তার বিশ্ব কাপানো নতুন ধারার পেইন্টিং রাস্তার তরুণীদের কিছু খসড়া কাজ, তার পরের গ্যালারীতে ধাতব ভাস্কর্যের আর কাঠের কাজের সম্ভার, উল্লেখ্য পিকাসো জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে, বিভিন্ন ধরনের শিল্প মাধ্যম য়ে মেতেছিলেন, রঙ-তুলি থেকে, কাঠ, পাথর, ধাতু, কাচ, পুরনো গাড়ীর ভাঙ্গা অংশ পর্যন্ত! সেই প্রথম ভাস্কর্যের মাঝেও লক্ষ্য করা গেল পিকাসো প্রবর্তিত কিউবিজম।

এরপরের প্রদর্শনী কক্ষে ১৯২৪ থেকে ১৯৩৪ ,এই এক দশকে আকা সুররিয়ালিজমের চিত্রমালা। গীটার, বেহালা নানা বাদ্যযন্ত্রের প্রতি দারুণ আকর্ষন ছিল এই বিশ্ব বরেণ্য শিল্পীর, নানা রেখায়, নানা আঙ্গিকে, নানা ভঙ্গিমায়, কখনো সরল,কখনো বিমূর্ত,কখনো কিউবিজমের নতুন ধারায়। নানা আকারের ফ্রেমে ঝুলছে তার গীটারের নিয়ে করা কাজ।

সবুজ শার্ট গায়ে দড়াবাজিকরের বিখ্যাত পেইন্টিংটির পাশে বিশাল ভীড়, এরপরেই ১৯২৫ সালের গ্রীষ্মের আঁকা চুম্বন,

lamm10-23-3

সব ধরনের রঙে রাঙানো ক্যানভাসে নানা ধরনের টানে ফুটিয়ে তোলা যুগল, জানা যায় কিউবিজমের উদ্ভবের পিছনে আফ্রিকার কিছু হাতে বানানো মুখোশ সবচেয়ে বেশী অনুপ্রাণিত করেছিল পিকাসোকে, এই চিত্রকর্মে তার প্রমাণ দেখা গেল।

এরপরে শিল্পী জীবনের নানা দূলর্ভ মূহুর্তের আলোকচিত্র,এর গুটিকেয়েক তার নিজের তোলা, ষ্টুডিওতে পিকাসো, মডেলের সাথে, ষাড়ের লড়াই উপভোগরত, সমুদ্র সৈকতে, সন্তানদের সাথে- এমনভাবে সাদাকালো প্রিন্টগুলো তার জীবনের নানা টুকরো টুকরো ঘটনা আমাদের সামনে রঙ্গীন কথামালার মত ফুটিয়ে তোলে। আর আছে তার করা বিভিন্ন বইয়ের ইলুষ্ট্রেশন।

pablo_picasso_1957

আবার পেইন্টিং-এর জগৎ, ১৯৩০-১৯৩৫ সাল পর্যন্ত, একটাতে দেখা যাচ্ছে বুলফাইটের অ্যারেনায় ক্রোধোমত্ত ষাড়, ভূলুন্ঠিত ম্যাটাডোর, আতঙ্কিত সাদা ঘোড়া, ষাড়ের লড়াই বড় প্রিয় ছিল পিকাসোর, হয়ত এই রক্ত ঝরানো নিষ্ঠুরতা থেকেই পেতেন নতুন শিল্পকলা সৃষ্টির উপাদান। পিকাসোর এক সময়ের প্রেমিকা ডোরা মার-এর ভুবন বিদিত প্রোটের্ট আসে আমাদের সামনে, চেয়ারে বসে আছেন ডোরা, রঙধনুর সাতরঙে রাঙানো তার পরিধেয় বস্ত্র, দুই চোখ পিকাসোর তুলির অনন্য কারুকার্যে মনে হয় দুই ভিন্ন দিকে তাকিয়ে আছে। পাবলো পিকাসো তার দীর্ঘ জীবনের নানা পর্যায়ের অসংখ্য প্রেমিকাকে নিজের ক্যানভাসে ঠাই দিয়েছেন, শিল্পকলার জগতে অমর করে রেখেছেন ব্যক্তিজীবনের প্রেমকে, তার অনন্য উদাহরণ ডোরা মারের এই প্রোর্টেট।

picasso-dora-maar-250

এরপরের কক্ষে অন্য পিকাসো,অন্য সৃষ্টি। যুদ্ধের বছর শিরোনামে প্রদর্শনী কক্ষটিতে ১৯৪১-১৯৫২ সাল পর্যন্ত আকা নানা যুদ্ধবিরোধী শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে, যার মধ্যমণি ১৯৫১ সালে আঁকা ম্যাসাকার ইন কোরিয়া বা কোরিয়ার গণহত্যা, কোরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর অনুপ্রবেশ আর অবাধ হত্যার প্রতিবাদে সাহসী তুলি দিয়ে বিশাল ক্যানভাসের এই ছবিটি আকেন তিনি, তাতে ফুটে উঠে যুদ্ধ নামের কলঙ্কের এক নিষ্ঠুর নগ্ন করাল চিত্র, একদল নগ্ন,রুগ্ন,পীড়িত নারী ও শিশুদের উপর আক্রমণে উদ্যত ভারী অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত একদল যান্ত্রিক সেনা। দূরে দেখা যায় যুদ্ধবিধস্ত এলাকা।

0529-picasso

বিশ্বের নানা প্রান্তের পুরাণকাহিণী নিয়ে অপরিসীম উৎসাহ ছিল পিকাসোর, কাজ করেছেন নানা চরিত্র নিয়ে,এখানে স্থান পেয়েছে তার পেন্সিলের সৃষ্টি গ্রীক পুরাণের ষাড়মাথা দানব মিনোটরের স্কেচ,আছে তার আঁকা ধবধবে সাদা পায়রা, উল্লেখ্য পিকাসোর পায়রার ছবিই বিশ্ব শান্তি কংগ্রেসে শান্তির প্রতীক হিসেবে মনোনীত হয়।

পরের কক্ষে দীর্ঘ সময়ের প্রেমিকার ফ্রাসোয়া জিলোট আর তার সন্তান পালোমা পিকাসোর যুগল চিত্র, এরপরেরটা নীল,লাল,কালো,হলুদের সমন্বয়ে আকা হাত মুড়িয়ে বসে থাকা জ্যাকুলিনের পোর্টেট, লম্বা গলায় আর চোখের বিষন্ন দৃষ্টিতে জ্যাকুলিনে মিশরের স্ফিংসের মতো মনে হয়। পিকাসোর তৈরী ধাতব ভাস্কর্যগুলোর অন্যতম প্রমাণ আকারের ছাগীর ভাস্কর্যে চোখ বুলানোর সুযোগ হয় আমাদের

Picasso Goat,jpg

পরবর্তীতে সামনে আসে এদুয়ার মানের বিশ্বে ঝড় তোলা শিল্পকর্ম ঘাসের উপরে মধ্যাহ্ন ভোজ-এর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে পিকাসো আকা কিউবিজমের মিশেল দিয়ে একই ধরনের চিত্রকর্ম। ১৯০৯ সালে আকা আরেকটি ভিন্ন রঙের, ভিন্ন আঙ্গিকে চুম্বন, আগেরটির চেয়ে এটি অনেক বেশী মনে দাগ কেটে গেল শুধু সাদা, নীল আর নানা ধরনের কালোতে আকা এই যুগলচিত্রটি।

20100621_picasso_kiss

শিল্পী জীবনের শেষ ভাগের ( ১৯৭০-১৯৭৩) কিছু সৃষ্টি স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীর শেষ কক্ষে যার অন্যতম সমব্রেরো হ্যাট পড়া তুলি হাতে এক নবীন শিল্পীর পেইন্টিংটি মনে প্রশ্নের ঝড় তোলে, পিকাসো কি নিজেকেই কল্পনা করে একেছেন, বার বার, চির নবীন রূপে?

এই প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া সমস্ত কাজ-ই এসেছে হোটেল স্যালে খ্যাত প্যারিসের পিকাসো মিউজিয়াম থেকে, যার প্রায় সবগুলোই পিকাসোর সাথে ছিল আমৃত্যু, এবং পরবর্তীতে ফরাসী দেশের সরকার এইসব অমূল্য সংগ্রহ নিয়ে জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করেন(উল্লেখ্য, স্পেনে চলমান স্বৈরশাসন ও তার হোতা জেনারেল ফ্রাঙ্কোর নিষ্ঠুরতা প্রতিবাদে পিকাসো জন্মভূমি ত্যাগ করে ফ্রান্সে চলে আসেন,এখানেই শিল্প চর্চায় নিমগ্ন থাকেন আজীবন)।

পাবলো পিকাসো, তার মত এত ভিন্ন মাধ্যমে এত বেশী শিল্প কর্ম আর কেউই মুগ্ধ পৃথিবীকে দিতে সক্ষম হন নি, এই মহান অমর শিল্পী সৃষ্টির প্রতি অপরিসীম বিস্ময়বোধ নিয়ে বের হয়ে এলাম আতেনিয়াম থেকে।

Picasso by Man Ray

(লেখাতে ব্যবহৃত ছবিগুলো নেট থেকে নেওয়া, আর কৌস্তভদাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ অভ্রতে পুরো লেখাটি রূপান্তরের জন্য)


মন্তব্য

তাপস শর্মা এর ছবি

দারুন। আচ্ছা তুমি ছবি তুললেনা কেন?

তারেক অণু এর ছবি

ছবি তোলা নিষিদ্ধ! যতো সব ফালতু, মনে হয় ছবি তুললে ক্ষয়ে যাবে !

সুমন এর ছবি

গ্যালারীগুলোতে অনেক সময়ই ছবি তোলা নিষেধ করা হয় চুরি হবার ভয়ে না, বরং ফ্ল্যাশ ছবির যে ক্ষতিটা করে তার ভয়ে। ছবি তোলার অনুমতি দিলে বহু চেষ্টা করেও মানুষের ফ্ল্যাশ মারা বন্ধ করা যায় না। এই উজ্জ্বল আলো পুরোন ছবির জীবতকালের জন্য খুব খারাপ।

তারেক অণু এর ছবি

আবার অনেক বিখ্যাত জাদুঘরেই ফ্লাশসহ ছবি তুলতে দেয়, যেমন ল্যুভ! কাজেই আসলে ঠিক জানি না কেন ছবি তোলা নিষেধ!
অনেক জাদুঘরে ফ্লাশ বাদে বলে , এটা অবশ্যই ঠিক আছে। আবার অনেক জাদুঘরে ছবি তুললে সামান্য টাকা বেশী দাবী করে, এটাও অনেক গ্রহণযোগ্য।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

অনেক গ্যালারিতেই ক্যামেরা নিয়ে ঢোকা নিষেধ। মোবাইলও রেখে দেয় যদি ক্যামেরা থাকে তাতে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তারেক অণু এর ছবি

বাজে নিয়ম। অনেক জাদুঘরেই সামান্য বেশী পয়সার বিনিময়ে ছবি তোলার অনুমতি মিলে, সেটা অনেক ভাল ।

জালিস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- কোলাকুলি

তারেক অণু এর ছবি

যাক ভাই, এইবার গুল্লি খেতে হল না !

উচ্ছলা এর ছবি

মুগ্ধ হয়ে লেখাটা পড়লাম।

তারেক অণু এর ছবি
ধূসর জলছবি এর ছবি

অসাধারণ চলুক হাসি

তারেক অণু এর ছবি
সত্যপীর এর ছবি

সচলের নতুন নীল থিমের সাথে পোস্টটা মারাত্মক খাপ খেয়েছে। চরম ম্যাচিং এ পাঁচতারা আর লিখার পাঁচতারা মোট দশতারা বুঝিয়া লউন।

..................................................................
#Banshibir.

তারেক অণু এর ছবি

আমিও দেখলাম, নীলে নীলে নীলাম্বরী !

হিমু এর ছবি

এইবার "সারভাইভিং পিকাসো" দেখে ফেলেন।

তারেক অণু এর ছবি

আর লাইফ উইথ পিকাসো !

তিথীডোর এর ছবি

চমৎকার।
অণুদা, আপনাকে যে কী হিংসে হয়! মন খারাপ

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তারেক অণু এর ছবি

তা তো হবেই, আক্যাইম্মাকে সবাই একটু অন্য নজরে দেখে দেঁতো হাসি

শাব্দিক এর ছবি

অসাধারন!!!!!!!! চলুক

তারেক অণু এর ছবি
পরী  এর ছবি

আহা! যদি প্রদর্শনীটা দেখতে যাইতে পারতাম মন খারাপ

তারেক অণু এর ছবি

পরেরটা-

আশফাক আহমেদ এর ছবি

আমাকে একটি জাদুঘর দিয়েই দেখ , একে পূর্ণ করার দায়িত্ব আমার।

বাব্বাহ! লোকটার কনফিডেন্স ছিল বটে।

ডোরা মার---এর ছবিটার বিশেষত্ব বুঝলাম না। পিকাসোর প্রেমিকা দেখেই এই খ্য়াতি?

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

তারেক অণু এর ছবি

ত্রিমাত্রিক মনে হয় ছবিটাকে।

দময়ন্তী এর ছবি

সাতরংগা মডুদের কাছে দুইদফা দাবী
১) লগিন করে তারেকাণুর পোস্টে ঢিকলেই যেন পাঁচতারা পড়ে যায়
২) নিজে নিজেই যেন বুড়ো আঙ্গুল উঁচানো পোস্ট হয়ে যায়|

একই কাজ রোজ রোজ করা সময়ের অপচয়, এর জন্য অটোমেশান চাই

চলুক

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

তারেক অণু এর ছবি

আরে দমু দি ,কি বলেন !
আপনার শীতের আর পোস্ট কই !

গ্রেগরীয়ান বালক এর ছবি

মনে হলো আমিও কিছু সময় প্রদর্শনীতে ছিলাম। ভালো লেগেছে কাকা। চলুক

তারেক অণু এর ছবি

কাকা , হুম কাকা

অন্ত আফ্রাদ এর ছবি

পোস্টটা পড়া শুরু করতে করতে "নতুন মন্তব্য করুন" জায়গায় এসে মনে পড়ল, পোস্টটা তো অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। অনুদা, আপনি যা শুরু করছেন, কন্দিন যে ঘরের চাইর দেয়াল ভাইঙ্গা ফালাই ঠিক-ঠিকানা নাই।

অস্থির একখান পোস্ট হইছে। আর কিছু কওনের নাই। গুরু গুরু

তারেক অণু এর ছবি

সুজিত সরকারের এই ধরনের একটা কবিতা আছে না-
দেয়াল তুললেই ঘর, দেয়াল ভাঙলেই পৃথিবী!

ভালো মানুষ এর ছবি

হাততালি জটিল ।।।।।।।।।।।।।।।

তারেক অণু এর ছবি
নিঃসঙ্গ পৃথিবী এর ছবি

আহা , যদি আপনার মত ঘুরতে পারতাম!!

তারেক অণু এর ছবি

সিট খালি, সিট খালি

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

অণু যা-ই লেখে, চমৎকার! আজব তো!!

তারেক অণু এর ছবি

আমার তো মনে হয় সব গুলিয়ে ফেলি !

তানিম এহসান এর ছবি

কবে যে চাকর জেবন ছেড়েছুড়ে আশৈশব স্বপ্ন দেখা ‘বোহেমিয়ান’ হয়ে যাব! এই সাধ চাপা দিয়ে রেখেছিলাম, আপনার কারনে মাঝেমাঝে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে মন খারাপ

তারেক অণু এর ছবি

জ্বলে উঠুন, তেলেবেগুনে !

দুর্দান্ত এর ছবি

বাহ। পিকাসোর কথা এলেই যয ব্রাক (Georges Braque)এর কথা চলে আসার কথা ছিল, কিন্তু সেটা আসেনা। এরা দুজনে একই সাথে মনমাত্র এ কিউবিজম নিয়ে মেতেছিল। পিকাসোর অনুপ্রেরনা ছিল গগাঁ আর আফ্রিকা, ব্রাক মেতেছিল সেজান আর বহুমাত্রিকতা নিয়ে। 'প্রশান্তি'র চাইতে 'গতি'র কাটতি সবসময়ই বেশী। কিন্তু গগাঁ আর সেজান এর মধ্য়ে কে উত্তম, সেটা কে বলতে পারে?

কিন্তু কিউবিজমের পিতা দুজন। পিকাসো পরিচিত। ব্রাক এখনো অতটা প্রচারিত নয়।

হিমু এর ছবি

জনস্বার্থে ব্রাকের উপর একটা পোস্ট দ্যান্না।

দুর্দান্ত এর ছবি

এইটা দেখ।

তারেক অণু এর ছবি

ভাল বলেছেন।

ন এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আগেই বলেছি, আপনার লেখার হাত ভাল। ব্যাতিক্রমি পোস্টগুলোও খুব ভালভাবে উঠে আসে।
খুউব ভাল লেগেছে। ভাল থাকবেন।

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ, চেষ্টা করব আরো ভাল, বিস্তারিত লেখার।

শামীমা রিমা এর ছবি

আপনার লেকায় আর কোনো মন্তব্য করব না । সব ভালো ভালো কথা বলে ফেলেছি তাই স্টক শেষ ।
ইদানিং বাজে কথা ছাড়া মুখে আর কিছু আসে না ।
খুবই সামাজিক চাপের মধ্যে আছি ।সবাই টেনে আমাকে জাতে উঠানোর চেষ্টা করছে কিন্তু নিজেই উঠছি না ।এবার বুঝেন ........

তারেক অণু এর ছবি

জাতে উঠার দরকার নাই্‌ হে হে, জাত পাত সব ফাউল কথা !

শামীমা রিমা এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তারেক অণু এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।