রিও ডি জ্যানিরো, নামটিই যথেষ্ট ভ্রমণপিপাসুদের উম্মাতাল করে তুলবার জন্য। কি নেই সেখানে! আছে সাদা বালির রোদেলা সৈকত, সবুজ বন, আছে সাম্বার তালে তালে জীবনকে উপভোগের মদির আহ্বান, বিশেষ করে বিশ্বের সবচেয়ে জমকালো কার্নিভ্যালের কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। আছে হাত বাড়িয়ে দেওয়া যীশু আর আছে ফাভেলা !
ল্যাতিন আমেরিকা ভ্রমণের শেষ গন্তব্য হিসেবে রিওকে বেঁছে নেবার পর থেকেই চিন্তা করেছি ফাভেলা যেতেই হবে এক বেলার জন্য হলেও, কিন্তু ব্রাজিল যাওয়া যতটা সহজ ( মোটেও সহজ কিছু নয়, অন্য সব কিছু বাদ দিলেও মহা দূরে, সেই সুবাদে বিমান ভাড়াও চড়া) ফাভেলা ততটাই কঠিন। রিওতে এক উষ্ণ সন্ধ্যায় পদার্পণের পরে তিনটি মহামূল্যবান দিন ইতিমধ্যেই ব্যয় হয়ে গেছে অন্যান্য কাজে, কিন্তু ফাভেলা থেকেই গেছে সোনার হরিণ হয়ে।
ওহ, বলাই হয় নি- ফাভেলা কি ? বস্তি, আরো ভদ্র ভাষায় বললে ব্রাজিলের বস্তি শহর। কয়েক বছর আগেও ব্রাজিলের যাবতীয় অপরাধ বিশেষত মাদক ব্যবসা ও চোরাচালানের সবটুকুই নিয়ন্ত্রিত হত এই বস্তি বা স্ল্যাম থেকে।
তবে, ফাভেলার সাথে প্রথম বার পরিচয় কিন্তু মাইকেল জ্যাকসনের অমর গান দে ডোন্ট কেয়ার অ্যাবাউট আস- এর ভিডিও থেকে, রিওর এক বস্তিতেই শুটিং হয়েছিল গানটির।
তার উপর ফাভেলার নামে শুনতাম নানাবিধ গুজব, সেখানে নাকি পর্যটকদের যাবার কোন উপায় নেই, কারণ ছিনতাই সেখানের নৈমিত্তিক ঘটনা। তারচেয়েও বিপদজনক কথা- যে কোন সময়েই সেখানে লেগে যায় একাধিক মাস্তান দল বা মাফিয়া গ্যাংয়ের বন্দুকযুদ্ধ, সিনেমার পর্দায় নয়, বাস্তবে!
তাই এই স্থানগুলি সযত্নে এড়িয়েই চলে ভ্রমণপিপাসুসহ নির্বিবাদী নাগরিকেরা, কিন্তু বাড়তি কিছু পয়সা কামানোর আশায় একটি বিশেষ মহল ফেঁদে বসল অপূর্ব এক ফন্দী- পর্যটকদের পূর্ণ নিরাপত্তা দিয়ে কিছু কিছু ফাভেলা পরিদর্শন করানো, তারা জানত এই ব্যাপারে মানুষের অদম্য কৌতূহল, তারা নিজের চোখে দেখতে চায় কেমন আছে সাধারন বস্তিবাসী, কেমন তাদের জীবনযাত্রা, দিন-রাত্রির জীবন। ব্যস, প্রথম থেকেই হাউস ফুল এই পরিকল্পনা! চড়া দামে ( প্রায় ১০০ ডলার) টিকিট করেও সব দর্শনার্থীরা এক পায়ে খাঁড়া এই বিচিত্র জনপদগুলো দেখার আশায়।
উল্লেখ্য, ব্রাজিলের সব বড় শহরেই একাধিক ফাভেলা আছে, এবং দেশটির মত জনসংখ্যার শতকরা ৬ ভাগ অর্থাৎ ১১,৬ মিলিয়ন মানুষ এই বস্তি শহরগুলোতেই বাস করে।
আমরাও তক্কে তক্কে আছি এমন ট্যুরের অপেক্ষায়, একাধিকবার জায়গা পেলাম না অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে। আবার এত নিরাপত্তা থাকা শর্তেও পই পই করে বলে দেওয়া হচ্ছে, ফাভেলা ভ্রমণের সময় এমন কোন জিনিস সাথে নেওয়া যাবে না, যেটা হারালে নিজের খুব খারাপ লাগবে ! মানে, হারাতে বা ছিনতাই হতেই পারে।
এর মাঝে ইয়ুথ হোস্টেলে কাইপিরিনিয়ার আড্ডায় তাইওয়ানের জুজুৎসু চ্যাম্পিয়ন হুয়াং ইউ-জেনের সাথে পরিচয় জমে উঠতেই ( বিশ্বের সেরা জুজুৎসু স্কুল রিওতেই অবস্থিত ! ) আরো চমকপ্রদ সব তথ্য মিলল ফাভেলা নিয়ে। বেশ ক,মাস হল এই মহানগরীতে আছে হুয়াং, সেই সুবাদে আলো- অন্ধকার দুই জীবনের সাথেই বেশ একটা পরিচিতি আছে তার, বলল- এই খানে যা চাও, মিলে যাবে। সেই সাথে শোনাল তার একাধিকবার নানা ফাভেলা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা, আমাদের টুকটাক ছবি তোলার শখ আছে শুনে প্রথমেই সতর্ক করে বসল- ফাভেলায় কারো অনুমতি ছাড়া ছবি তোলা নিষিদ্ধ! বিশেষ করে নাইট ক্লাবে আর নাচের আড্ডায়!
আমরা তো অবাক, নাচের আড্ডাও বসে সেই আঁধার ছাওয়া বস্তিতে! চোখ টিপে হুয়াং গলায় নাটকীয় ভাব এনে জানালো- সেই নাচের আসরে যে কি ঘটে না দেখলে বিশ্বাস করবে না, ফাভেলার প্রতিটি রমণী নৃত্যপটীয়সী! অসাধারণ নিপুণ তারা এই শিল্পে, এবং মঞ্চের উপরে তাদের অঙ্গিভঙ্গী দেখে মনে হয় বাতাসের সাথে সঙ্গমরত তারা ( They are having sex with the air, ছোকরা ঠিক এই কথা বলেছিল) , প্রমাণও করে দিল সে মোবাইলে জমিয়ে রাখা ভিডিও দেখিয়ে। অদ্ভুত ছন্দময় তাদের দেহের আন্দোলন, কদর্য অশ্লীলতা নেই সেখানে, আছে শতভাগ পেশাদারিত্বের ছোঁয়া আর প্রাণপ্রাচুর্যের উচ্ছলতা।
ফাঁকে বলে বসলাম, ওদের সাথে যদি নাচে যোগ দিই? ( ট্যাঙ্গোর মত সুচারু নাচ শিখতে বাকী থাকলেও কবছর আগেও স্বর্ণকেশীদের সাথে জুটি বেঁধে স্থানীয় পাবে সেরা নাচের পুরস্কার পেয়েছি, অবশ্য কি পুরস্কার জিজ্ঞাসা করবেন না দয়া করে, নিজেরই মেজাজ খারাপ হয়ে পুরাই উদাস হয়ে যায়, ২ জনের বিগ ম্যাক! ) অবুঝ বালকের পরিবার সম্পর্কিত অবান্তর প্রশ্ন শুনলে বুড়ো ঝামা দাদু যেভাবে স্নেহের হাসি দেন, তেমন হাসি দিয়েই পূর্ব এশিয়ান ব্যাটা জানালো- নাচতে যেও তখনই, যদি বুঝতে পার তুমি তাদের চেয়ে ভাল নাচ !
এদিকে জানুয়ারির ১৭ তারিখের নির্ধারিত ফাভেলা দর্শন বিশেষ কারণে বাতিল ঘোষণা করা হল, তিতিবিরক্ত হয়ে তিন বন্ধু মিলে ( সাথে মেক্সিকান হুয়ান ভিদাল এবং ইসাইয়াস সেরণা) কাঁধে তোয়ালে ফেলে মিনিট তিনেক দূরের বিশ্ববিখ্যাত সৈকত কোপাকাবানা অথবা লেবননে যাবার উদ্দেশ্যে জোর কদমে হাঁটছি, এমন সময় দেখা ম্যারিলিনের সাথে। মহিলা আমাদের ইয়ুথ হোস্টেলেই রান্নাবান্নাসহ অন্যান্য কাজে নিয়োজিত। আগেও দেখা হলেও কথা হয়েছে, আর দশজন ব্রাজিলীয়র মতই চরম আড্ডাবাজ এবং উচ্ছল। আমাদের গন্তব্য শুনেই হৈ হৈ করে উঠলেন, বললেন- ব্যাটারা, ফাভেলা যাবা, আমাকে বলবে না? আমি নিজেই এক ফাভেলাতে থাকি, নিজের বাড়ীতে, আর আমার সাথে গেলে তোমরা সম্পূর্ণ নিরাপদ! এখন বাড়ীতেই যাচ্ছি, চাইলে আসতে পার সবাই।
আরেব্বাস, এত মেঘ না চাইতেই সুনামি! সাথে সাথে এক দৌড়ে সাথের তোয়ালে হোস্টেলে রেখে ক্যামেরা ব্যাগে পুরে ম্যারিলিনের সাথে এক জনাকীর্ণ বাসে সঙ্গী আমরা। ভিড়ের ঠেলায় কোনদিকে চলেছি কিছুই ঠাহর করতে পারছি না, কিন্তু মিনিট সাতেক পরেই বাস থামল, এক পাহাড়ের দোরগোড়াতে। সবগুলো দাঁত বের করে ম্যারিলিন বলল, আমার ফাভেলা ভিজিগালে স্বাগতম, বন্ধুরা!
ভিজিগাল! কি ছন্দময় একটা নাম! অবশেষে ফাভেলার প্রবেশের মুখে আমরা। দেখি, সেই পাহাড়ের পাদদেশ থেকে চূড়া পর্যন্ত সবখানেই ক্ষুদে ক্ষুদে বাড়ী। কিন্তু আমরা যাব কিভাবে এত উপরে? দেখা গেল, ফাভেলার মুখে বেশকটি মোটর সাইকেল দাড় করানো, স্থানীয় তরুণরা ব্যস্ত মোটর সাইকেলে করে উপরে যেতে ইচ্ছুকদের নিয়ে । সেই কারণেই প্রতি মোটর সাইকেলে ২টা করে হেলমেট। আধা ডলারেই ভাড়া রফা করে চেপে বসলাম প্রত্যেকেই, ছুটল সেই যান।
দারুণ রকমের অ্যাডভেঞ্চার, পাহাড়ি সরু রাস্তা বেয়ে মোটর সাইকেল উঠছে তো উঠছেই, একের পর এক বাঁক পেরিয়ে যাচ্ছে ড্রাইভার নিপুণ ভঙ্গীতে, সেই সাথে আছে উপর থেকে ধেয়ে আশা যানবাহনের ভিড়, মাঝে মাঝে ট্র্যাফিক জ্যামও বাঁধল কয়েক মুহূর্তের জন্য।
কিন্তু মূল উত্তেজনা জায়গাটি একটি ফাভেলার ভিতরে বলে, যেন জেনে শুনে প্রাণ হাতে বাঘের গুহায় ঢোকা নিছক রোমাঞ্চের খোঁজে, যদি কেউ জ্যামে আটকানো অবস্থায় কাঁধের ব্যাগ ছিনতাই করে ! কিংবা মোটর সাইকেল উল্টিয়ে গেলে সর্বস্ব ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায় ! এই ভয়েই কিন্তু কেউ-ই পথ চলা রত অবস্থায় ভিডিও ক্যামেরা কাজে লাগানো না, নয়লে কি চমৎকার ভিডিও হতে পারত সেই রোমাঞ্চকর পথের!
এক পর্যায়ে ম্যারিলিনের বাড়ীর সামনে থামা হল, সেই মোড়ের কাছেই দুটি বিশেষ পুলিশের গাড়ী। জানা গেল, বিগত এক দশকেরও বেশী সময় ধরে লুলা সিলভার সরকারের সময় থেকে বিশেষ পুলিশ বাহিনীর হাজার হাজার অভিযান চালিয়ে ধীরে ধীরে কোনঠাসা করে ফেলে মাদকচোরাচালানীদের। এখনো সংঘর্ষ ঘটে, কিন্তু আগের সাথে তুলনা করলে অতি অল্পমাত্রায়। সেই সাথে ফাভেলাগুলোর ভিতরে শিক্ষা বিস্তার, চিকিৎসা, বিদ্যুৎ, সুপেয় পানীয় জলের সরবরাহ, পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ঘটেছে অনেক উন্নতি।
সেই সাথে যেহেতু এর পরের ফুটবল বিশ্বকাপ হবে ব্রাজিলেই মাত্র বছর দুই পরে, এবং ২০১৬ সালের অলিম্পিক হবে রিওতে, সরকার অতিমাত্রায় সতর্ক যেন সারা বিশ্ব থেকে আসা কোটি কোটি দর্শক যেন পূর্ণ নিরাপত্তা পায়, ফাভেলাগুলো যেন তখন অপরাধস্বর্গ হিসেবে কাজ না করে। তাই, অনেক আগে থেকেই তারা পরিকল্পনা মোতাবেক ব্যবস্থা নিয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অভাবনীয় উন্নতি করেছে।
প্রথমেই খানিকটা ধাতস্থ হবার জন্য ম্যারিলিনের বাড়ীতে ঢোকা হল, চমৎকার জায়গা, দুইতালার একপাশের জানালা দিয়ে অতলান্তিক মহাসাগর আর শিল্পীর পটে আঁকা ছবির মত কয়েকটা দ্বীপ দেখা যায়। অন্য পাশে দেখা যায় ফাভেলার কিছু বাড়ীঘর আর খানিক দূরের রিও মহানগরী।
মহিলার ইচ্ছে, আসছে বিশ্বকাপের আগেই এখানে একটা সস্তা হোটেল খুলবার, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল থাকলে ফাভেলার হোটেল রাত্রিযাপন করা হবে যে কোন পর্যটকের জন্য বাড়তি পাওনা। তার ছেলে ফ্যাবিয়ানো খুব খুশী স্কুলে শেখানো ইংরেজি অবশেষে আমাদের সাথে ব্যবহার করতে পারার জন্য।
নির্মাণাধীন তিনতলার ব্যালকনিতে দাড়িয়ে নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণের চেষ্টা চালালাম সেই অজানা ভুবনের বাসিন্দাদের। শুনেছি, কয়েক বছর আগেও যখন গোলাগুলি আর খুন ছিল এখানকার প্রতিদিনকার ঘটনা, তখনও কিন্তু স্থানীয়দের কোন সমস্যা হত না, সেই লড়াই সীমাবদ্ধ থাকত কেবল মাদক ব্যবসায়ীদের মাঝেই। কাজেই মাফিয়াদের চাপে পড়ে নিজের এলাকাকে বিসর্জন দিতে হয় নি কোন নির্বিবাদী পরিবারকে।
পৃথিবীর আর দশটি শহরের মতই কিশোররা হুল্লোড় করে ফুটবল খেলে বাড়ী ফিরছে, কিশোরীরা ব্যস্ত তাদের সান্ধ্য আড্ডায়, মধ্যবয়স্করা জমিয়ে বসেছে পানশালাগুলোতে। সারি সারি বাড়ী, কোথাও এক রত্তি ফাঁকা জায়গা নেই। এমন বস্তি শহর থেকেই কিন্তু একসময় বের হয়েছে পেলে, জিকো, রিভালদোসহ বিশ্ব ফুটবলের সেরা অনেক নক্ষত্র।
ঘণ্টা দুয়েক পর সদলবলে বাহির হওয়া গেল স্থানীয় এক রেস্তোরাঁয় খাবার জন্য। আশেপাশের লোকজন উৎসুক্যের দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে আমাদের দিক, কেউ কেউ আবার আগ বাড়িয়ে ম্যারিলিনকে জিজ্ঞাসাও করল এই ব্যাপারে। এই পুল খেলার জায়গায় দেখি ভিডিও চলছে মাইকেল জ্যাকসনের ব্যাড গানটির, বোঝা যায় নিজের গানে রিওর ফাভেলাকে উপস্থাপনের জন্য মাইকেল খুব জনপ্রিয় এখনো, তাকে নিজেদের লোক বলেই মনে করে স্থানীয়রা।
রেস্তোরাঁয় ঢুঁকে এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা হল, চমৎকার স্বাদের খাবার, বিশেষ করে মুচমুচে করে ভাজা মাংসটা যেন এখনো মুখে লেগে আছে, কিন্তু দাম দিতে হল খাবারের ওজন হিসেবে! মানে যা ইচ্ছা নিতে পারেন, ভাত , শিম, মাংস, ডিম, সব্জি- কিন্তু দাম দিতে হবে ওজন মোতাবেক।
ম্যারিলিনের অভয় পেয়ে ফেরার পথে ক্যামেরা প্রকাশ্যে বাহির করে গোটা কয়েক ছবি তোলবার চেষ্টা করলাম সেই স্বল্প আলোতে।
তবে এলাকাটি বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, বাংলাদেশের অনেক বস্তি শুনলেই অথবা সিটি অফ জয় বইটি কিংবা স্ল্যাম ডগ মিলিওনিয়ার চলচ্চিত্রের সুবাদে ভারতের পুতিগন্ধময় বসবাসের অযোগ্য যে স্থানের কথা আমাদের মনে ধাক্কা মারে, তার চেয়ে অনেক আলাদা বর্তমানের ফাভেলা। কিছুদিন আগেই বারাক ওবামাও এসেছিল রিওর এক ফাভেলাতে।
যদিও সেখানে অবস্থানের পুরোটা সময়ই বেশ উৎকণ্ঠায় ছিলাম আমরা তিনজনই, কিন্তু ফাভেলা দর্শনের আশা পূর্ণ হওয়ায় সেই আনন্দ নিয়েই ম্যারিলিনকে কোটি কোটি ধন্যবাদ দিয়ে ফিরে চললাম রিওর দিকে।
গোধূলির আলো মিলিয়ে যাচ্ছে সন্ধ্যার বুকে, এমন সময় ঘাড় ঘোরাতেই চোখে পড়ল আটলান্টিকের পাড়ে অন্য রূপে মূর্ত রাতের ভিজিগাল ।
( শেষের ছবিটি উইকি থেকে নেওয়া)
মন্তব্য
নাচের ছবি কৈ?
ছবি ক্যান চরম উদাস ভাই, বলেন নাচের ভিডু কই?
অতীত
হ। নাচের ফটুক কো? এইসব ফুলপাখিফলমূলমিঠানদীরপানির ফটুক দেখায়া ভুলোনের তালে মোরা নই। আসল ফটুক দেখান, নাইলে খবরাছে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হক কথা!
-স্বপ্নাদিষ্ট
=======================
যে জাতি নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তন করে না, আল্লাহ তার ভাগ্য পরিবর্তন করেন না।
আমার কি দুষ, নাচ হয় শুধু উইকএন্ডে!!! আমরা গেছি অন্য দিনে।
তয়,আপনেরা পেরেশানে উদাস হয়ে গেলে হুয়াং ব্যাটাকে বলতে পারি ওর ক্লিপটা ধার দেবার জন্য, যদিও সে এটাকে যক্ষের মতই আগলে রাখে।
facebook
আপনার ফাভেলা নিয়ে এই লেখাটা পড়েই ব্রাজিলিয়ান মুভি "সিটি অফ গড" আর "সিটি অফ মেন" এর কথা মনে পড়ে গেলো। দেখেছেন নাকি? খুব ভাল লেগেছিল। যারা অণু ভাইয়ের ফাভেলার বর্ণনা পড়ে আরো জানতে বা ফাভেলার ড্রাগ এবং মব ফাইট দেখতে চান, তাদের জন্য জোরেসোরে রেকমেন্ড করলাম।
অণু ভাই আপনার মুভি রিভিউ সিরিজে লিখবেন নাকি এই মুভি দুইটা নিয়ে?
উদাস ভাইয়ের প্রশ্নের প্রতিধ্বনি তুল্লাম---- কৈ? কৈ? কৈ?
সেই, আর রিও কার্টুনটাতেও ফাভেলার কিছু দৃশ্য আছে।
facebook
হ্যাঁ, আমি এটাই বলতে চাচ্ছিলাম। পড়তে পড়তে "রিও" কার্টুনটার কথা মনে হচ্ছিল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
facebook
ফাস্ট ৫ মুভিতেও কিছুটা আছে।
শুনেছিলাম ফাস্ট ৫ এর কিছু অংশ রিও ফাভেলাতেই শ্যুট হয়ে ছিল।
facebook
২ নম্বর ছবি টা দারুণ! ওদের ও দেখি রাস্তায় তারের ছড়াছড়ি..
ওজন হিসেবে খাইতে গেলে ফতুর হয়ে যাব। বেড়াতে বের হলে আমার আবার রাক্ষুসে ক্ষুধা পায়
-স্বপ্নাদিষ্ট
=======================
যে জাতি নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তন করে না, আল্লাহ তার ভাগ্য পরিবর্তন করেন না।
তারে তার সব জায়গাতেই, ছবি তোলা এক মহা ঝামেলা!
না না, ওজনে হলে সব দিকেই লাভ।
facebook
এই আরেকটা জায়গা আমার 'হিট-লিস্টে' আছে।
১,২ মন্তব্যের সাথে সহমত।
পুরাই হিট জায়গা !
facebook
নৈষাদ'দার নাম্বারিং-এ কারচুপি হৈছে। এই নির্বাচন কমিশনার মানি না।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
facebook
facebook
ইসসস, খালি ঘুরাঘুরি
ছবিগুলো দারুন, তবে ২য় ছবিটা অসাধারণ হয়েছে
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
facebook
তারেক ভাই,
আপনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা ব্রাজিলের ফাভেলা ঘুরিয়ে আনার জন্য।
ব্রাজিলের বস্তি সম্পর্কে জানার অদম্য আগ্রহ নিয়েই আপনার এই পোস্টটাতে ঢুকেছিলাম; কিন্তু যা বুঝলাম, তাতে এগুলো আমাদের চেনা-জানা ঢাকার বস্তি নয়। আপনি অন্যত্র বলেছেন, বাড়িগুলোর ভিতর কোন ফাঁকা জায়গা নেই। সেই হিসবে, ব্রাজিলের ফাভেলার সাথে ঢাকার কিন্তু অদ্ভুত মিল; কংক্রিটের জংগলের মাঝে কোন ফাঁকা জায়গা পাবেন না! তাই পোলাপাইনগুলারে রাস্তাতেই খেলতে হয়।
যখন প্রথম রাঙামাটি যাই, একটি জীর্ণ-শীর্ণ রেস্টুরেন্টের জানালা দিয়ে আমিও স্বর্গীয় সৌন্দর্য দেখেছিলাম। ছবির মত লেক, পাহার; সূর্যের প্রথম আলো পড়ে মায়াবী পুরী তৈরি করে রেখেছে তা!
আর আমাদের দেশের প্রধান শিকার নিরীহ মানুষ!
তার মানে ভাত আর মাংসের দাম সেখানে সমান??
হ, বাংলাদেশ খুব খ্রাপ জায়গা। ব্রাজিলের ফাভেলা বাংলাদেশের তুলনায় স্বর্গসম
মারহাবা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাই,
ভুল বুঝতাছেন, ভাই! আমি কিন্তু বাংলাদেশের রাঙ্গামাটির দৃশ্যরে স্বর্গসম কইছি। আমার চোখে তাই লাগছে! আর ফাভেলা যে ঢাকার বস্তিগুলার মত না, তা তো লেখকই কইছেন! আমি ঢাকাতেই বড় হইছি; তাই ঢাকার লাইগগা আমার মন কম পোড়ায় না! আমার কথাখান আছিল যে, ঢাকায় বস্তি তো আছেই; কিন্তু ঢাকায় যে হারে বিল্ডিং হইতাছে এমনকি পোলাপাইনগুলোর খেলার মাঠ না রাইখ্যা, তাতে এইডা ফাভেলার সাথে তুল্য, যেহেতু লেখক বলছেন, সেখানেও বাসাগুলির মধ্যে কোন ফাঁকা জায়গা থাকে না। মনে হয় এইবার বুঝাইতে পারছি!
ওজন হিসেবে দামের ব্যাপারটা একটু আলাদা, যেহেতু সবাই সব খাবার মিলিয়েই নেয় তাই গড়পরতা পুষিয়েই যায়।
আরে না নজু ভাই, ঢাকা হচ্ছে ঢাকা, পুরাই অন্য ব্যপার।
facebook
নাচের ভিডিও কো?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বদের বদরা উইকএন্ড ছাড়া নাচের আসর জমায় না, আমরা ছিলাম অন্য দিনে।
facebook
আমিও নাচের ভিডিও আর ছবি দেখার আশায় থাকলাম। ঢাকার শিয়া মসজিদের কাছে অবস্থিত জাপান গার্ডেন সিটিরে ওই এলাকার সাধারন মানুষেরা নাম দিয়েছেন বড়লোকের বস্তি। এবং নামকরনটা বেমানান হয়নাই মোটেও।
তাই নাকি !
facebook
কবে যাবো ব্রাজিলে- আহারে!!!!!!
যাবেন তো বটেই, কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসে রিও গেলে সাবধান, কার্নিভ্যালের সময় হোটেল ফাঁকা পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
facebook
ফাবেলার সাথে ঢাকার তো অনেক মিল।
তাই নাকি !
facebook
facebook
Fast five মুভিটা দেখেছিলে? ব্রাজিল……………..
ডাকঘর | ছবিঘর
দেখা হয় নি, শুনেছি রিওর এক ফাভেলাতেই কিছু অংশ শুটিং হয়েছিল।
facebook
facebook
অণু'র পোস্টে ঢুকলেই মাথার ভেতরের মন্তব্যের কোঠাটা কেমন ফাঁকা হয়ে যায় ! যতই হাতড়াই, কোন লাভ হয় না ! অতএব এবারও মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
না, দাদা, আপনার ফিডব্যাক না পেলে হবে !
facebook
রণদার মন্তব্যে ডিটো। আপনার পোস্টের মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। ব্রাজিলে বিশ্বকাপের খেলা দেখার ইচ্ছে আছে। দেখি কপাল কোনদিকে নেয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ইচ্ছে ছিল, মানে প্রতি বিশ্বকাপেই তো থাকার চেষ্টা করছি ইউরোপ আসার পর থেকে, কিন্তু এখন ব্রাজিলেরটা নিয়ে সন্দিহান, বিশাল দেশে স্টেডিয়ামগুলোও হবে অনেক দূরে দূরে, তবে টিকিট মিললে কোন বাঁধায় বাঁধা না! ( রিও পাগল করা ব্যয়বহুল শহর, আমেরিকার তিন থেকে সাড়ে তিন গুণ বেশী, বিগ ম্যাকের দামই ২০ ডলারের কাছাকাছি! )
facebook
আমারওতো!
আপনি বেশী স্নেহের চোখে দেখেন, তাই এই অবস্থা !
facebook
বরাবরের মতই দুর্দান্ত! এর বেশি আর কিইবা বলব?
বলেন হতক্লান্ত !
facebook
পড়েছি। নতুনকরে আর কিছু বলার নেই।
শুভেচ্ছা।
facebook
ভাই, এত পারেন কেমনে?
কবে যে আপনার মত সুযোগ আসবে?
সুযোগ কি আর রে ভাই !
চেষ্টা করে যায়, জীবনরথ তো থামতেই পারে যে কোন মুহূর্তেই !
facebook
সিটি অফ গড দেখে ব্রাজিলের এই স্লামগুলোকে দেখার আগ্রহ জন্মেছিল। আপনার লেখা পড়ে কিছুটা মিটল। ওদের রাস্তাঘাট গুলো তো তাও আমাদের দেশের চেয়ে পরিস্কার মনে হচ্ছে ।
হুমম, আমিও বেশ অবাক হয়েছিলাম।
facebook
facebook
আবার কি হল !
facebook
ঢাকার শুধু বস্তি না, পুরো ঢাকাটাই তো এরকম।
facebook
@তারেক অণু,
ভাই আপনার ভ্রমন কাহিনী বরাবরের মতই অসাধারণ। ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। এক কথাই দারুণ। আচ্ছা, কোন সময়টা সবচেয়ে ভাল রিও তে যাবার জন্য? লোভ সাম্লাতে পারছি না আপনার ভ্রমন বর্ণনা পড়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
@কাজি মামুন,
অফ টঃ আচ্ছা, মুক্ত মনা সাইট এর কি কোন সমস্যা হয়েছে? আজ সারাদিন ঢুকতেই পারিনি। দয়া করে কি জানাবেন? ধন্যবাদ।
রিও সবসময়ই ভাল ! ফেব্রুয়ারিতে গেলে কার্নিভ্যাল পাবেন কিন্তু দামে খবর হয়ে যাবে !
facebook
রিও মুভির কথা মনে হল পুরোটা সময়। অনেক পরিচ্ছন্ন মনে হল শহরটাকে ছবিতে। ভাল লাগলো
facebook
নতুন মন্তব্য করুন