পেরু নামের সাত সমুদ্র তের নদীর পাড়ের মায়া ঘেরা জাদুরাজ্যের কথা আসলেই সবার আগে যে শব্দটি মাথায় আসে তা হল মাচু-পিচু। পেরু আর মাচু-পিচু যেন হরিহর আত্মা, একটি ছাড়া আরেকটি কল্পনা করা যায় না, ইনকাদের তৈরি এই রহস্যময় পাহাড়ি শহর এতটাই বিখ্যাত। কিন্তু মূল সত্য হচ্ছে, পেরুতে এমন বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থাপত্য আছে যার গুরুত্ব কোন অংশেই মাচু-পিচুর চেয়ে কম নয়, কিন্তু এরা বিচিত্র কোন কারণে বিশ্বমিডিয়ায় বিপুল পরিসরে নিজেদের স্থান করে নিতে পারে নি, যদিও পর্যটকদের কাছে এদের আবেদন সবসময়ই অটুট। গতমাসে কোমর বেঁধে বিশাল দেশ পেরুতে অল্প কয়েকদিনের অবস্থানের সময় এমন কিছু স্থাপনা দেখে আমাদের মাথা কেবল নুইয়েই গেছে প্রাচীন সেই সভ্যতার কারিগরদের প্রতি, নিখাঁদ শ্রদ্ধায় ও বিস্ময়ে। তেমন এক জাদুনগরীর নাম ওয়্যানটাইটামবো। চলুন না ঘুরে আসি খানিকের জন্য আন্দেজের উত্তাল বাতাসে ইতিহাস ঘেরা ইনকা শহরে।
প্রাচীন ইনকা রাজধানী কুজকো থেকে আমাদের বাসে যাত্রা শুরু, সারা দিন বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য স্থান ঘোরার পরে দিনের শেষ গন্তব্য ওয়্যানটাইটামবো, সেখান থেকেই বিখ্যাত ইনকা রেলে চেপে আমরা যাব মাচু-পিচুর উদ্দেশ্যে। সেই হিসেবে ওয়্যানটাইটামবোর রেল ষ্টেশনটিও ভুবনবিদিত।
অতীত ও বর্তমানের মিলনস্থান পেরুর এই শহরগুলি, ফসলের যে ক্ষেতগুলি ভুট্টা, আলু নানা ধরনের শস্যে ঝলমল করছে এগুলো প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো! সেই সময়ের ইনকারা পাথররের প্রাচীর দিয়ে স্তরে স্তরে ধরে রেখেছিল মাটির উর্বরতা, আর তাদের বংশধরেরা সেই ধারাতেই, একই জমিতে করে যাচ্ছে চাষাবাস। কিছু বাসস্থানও দেখলাম শতাব্দী প্রাচীন, নানা বর্ণের মাটির তৈরি। এখনো মানুষ বাস করে সেই জীর্ণ কক্ষগুলোর অভ্যন্তরে।
আধুনিক ওয়্যানটাইটামবোর সীমানা নির্ধারণ করেছে এক খরস্রোতা পাহাড়ি নদী, এরপরে বেশ কিছু দোকান নিয়ে রঙ ঝলমলে এক ইনকা বাজার, তার পরপরই সেই প্রাচীন নগরী।
গাইডের কাছে জানা গেল, ইনকা সম্রাট পাচাকুটি এই জনপদটি বিশেষ কারণে দখল ও বিস্তার করেছিলেন, এটি এক অর্থে বলা চলে দুর্গ নগরী, কারণ অনেক সৈন্য থাকত এখানে, আবার শহরটি মূলত ব্যবহৃত হত সমগ্র অঞ্চলে উৎপাদিত খাদ্যশস্য সংরক্ষণের হিমাগার হিসেবে।
ইনকা সম্রাট তার প্রজাদের কাছ থেকে কর হিসেবে আদায় করতেন কোঁকা পাতা! এত উচ্চতায় পাৎলা বাতাসের সাথে খাপ খাওয়াতে এই পাতার কোন বিকল্প তখন ছিল না (ওয়্যানটাইটামবো প্রায় দশ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত) , তাই ইনকা রাজ্যে এই সবুজ পাতার মূল্য ছিল সোনা, হীরা, পান্নার চেয়ে অনেক অনেক বেশী। কর হিসেবে আদায়কৃত কোঁকা পাতাও এইখানে সংরক্ষণ করা হত।
মূল নগরীর তোরণে পৌঁছে খানিক ক্ষণের জন্য থমকে দাড়াতে হল এক অকুতোভয় অসম সাহসী জীবন নামের যুদ্ধে জয়ী লড়াকু যোদ্ধাকে দেখে, অন্ধ একজন ইনকা গায়ক অদ্ভুত সুরেলা গলায় মেঠো গান গেয়ে যাচ্ছেন প্রাণ খুলে, সাথে বাজিয়ে যাচ্ছেন এক বিশাল হার্প জাতীয় বাদ্যযন্ত্র। এমন মানুষ দেখলে ভীষণ শ্রদ্ধা হয় আমার, যারা অন্ধত্বের কাছে হার না মেনে নিজের সহায় সম্বল নিয়েই জীবনে এগিয়ে চলে। তাদের মত আত্নবিশ্বাসী আর সাহসী কোনদিনই হতে পারব না, তাই সেই ঘাটতিটুকু পূরণ করি এমন মানুষদের সাথে দুদণ্ড অতিবাহিত করে।
মূল ফটক পেরিয়ে সামনে দৃষ্টি যেতেই শত শত বছর আগের ইনকা শহর যেন অবিকল আগের রূপ নিয়েই আমাদের সামনে মূর্ত হয়ে উঠল আন্দেজের বুকে। কি অসাধারণ সেই স্থাপত্য, যেন কল্পলোকের সিঁড়ি বেয়ে নিয়ে আসা হয়েছে বাস্তবের মর্ত্যে। পাথর বাঁধানো সারি সারি ফসলের ফালি ফালি ক্ষেত ক্রমশ উঠে গেছে উপরের দিকে, দুই পাশেই চওড়া বাঁধানো সিঁড়ি। উপরে আবার শুরু হয়েছে বিশালকায় সব পাথরের প্রাচীর ও নানা সুরক্ষা ব্যবস্থা।
জানা গেল, এই শহরে একবার ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে বিশাল খাদ্যভাণ্ডারের প্রায় সবটুকুই পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়, তখন খোদ সম্রাটের হুকুমে শহরের অদূরেই কিন্তু সীমানার বাহিরে উঁচু পাহাড়ে আলাদা আলাদা কয়েকটি খাদ্যগুদাম নির্মাণ করা হয়, সেখানে প্রহরীদেরও থাকার সুব্যবস্থা ছিল বলেই প্রমাণ পাওয়া যায়।
দক্ষ কৃষক ছিল ইনকারা, জমি তৈরিতেও ছিল তাদের অপরিসীম দক্ষতা। প্রথমেই বড় বড় পাথর খণ্ড, তার উপর বিশেষ ধরনের ছোট পাথর খণ্ড, তার উপর কয়েক ধরনের কাঁকর, এমন বেশ কিছু স্তরের পরে সবার উপরে উর্বর মাটি দিয়ে নির্মাণ করা হত নগরীর মাঝেই কৃষিক্ষেত্র। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির কৃষিকাজ তারা উদ্ধাবন করেছিল হাজার বছর আগেই, সেই সাথে দিয়েছিল সারা পৃথিবীকে এক নতুন খাদ্যের সন্ধান- আলু।
ইনকারাই প্রথম আন্দেজের উর্বর উপত্যকায় আলুর চাষ শুরু করে, কত ধরনের যে আলু হয় পেরুতে! স্প্যানিশরা এই আশ্চর্য খাবার নিয়ে যায় ইউরোপে, সেখান থেকে এখনতো সারা গ্রহেই আলুর জয়জয়কার। তিব্বতেও দেখেছিলাম সবখানেই আলুর ক্ষেত। সেই সাথে কত ধরনের যে ভুট্টা হয় !
সিঁড়ি বেয়ে প্রাচীন ক্ষেতগুলো পর্যবেক্ষণের পর উপরের সুরক্ষা প্রাচীরে পৌঁছালাম সবাই, সবারই চক্ষুচড়কগাছ সামনের বিশাল পাথরের তৈরি নিপুণ নিখুঁত স্থাপনা দেখে। নানা আকারের পাথর এমন ভাবে জোড়া লাগানো হয়েছে একটি আরেকটির সাথে যে দুই পাথরের ফাঁকে পাতলা ব্লেডও ঢোকানো সম্ভব নয়!
যে ইনকারা কোন রকম ধাতব পদার্থের ব্যবস্থা জানত না তারা কি করে এবড়ো থেবড়ো পাথরখণ্ড এত চমৎকার ভাবে মসৃণ করে মাপমত বসিয়ে এমন আশ্চর্যজনক নিদর্শন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল তা এখনো রহস্যে ঘেরা।
বিশেষ করে সূর্য দেবতার উপাসনার নিমিত্তে সেই সময়ের নির্মাণাধীন মন্দিরটি যা স্প্যানিশ লুটেরাদের আক্রমণের কারণে আজো অসামাপ্ত, সেখানে এত শত বছর ধরে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাড়িয়ে আছে ছয়টি দৈত্যাকৃতি মনোলিথ পাথর, ওজনে প্রত্যেকেই ২০ টনের উপরে হবে!
কি উপায়ে সম্ভব হল এমন! উত্তরে গাইড দেখাল সেই পাথরগুলোর উপরে এবং নিচে বহুল পরিচিত বেরিয়ে থাকা অংশ, যা ব্যবহার করে পাথরগুলো ঠেলেঠুলে জায়গামত নিয়ে আসা হত, তারপর পাথরের উপর পাথর দিয়েই ক্রমাগত আঘাত করে মসৃণ থেকে মসৃণতর করা হয়েছে,
এবং এক পর্যায়ে সেই বাহির হয়ে থাকা অংশ সম্পূর্ণরূপে মিলিয়ে গেছে, রেখে গেছে চকচকে অসম্ভব মসৃণ প্রস্তরপৃষ্ঠ। এই বিশাল পাথরগুলো আনা হয়েছিল প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরের পর্বত থেকে।
এই প্রসঙ্গে জানা গেল এক নতুন তথ্য, হ্যারিসন ফসেট ( গাইড প্রথমে ভুলে হ্যারিসন ফোর্ড বলেছিল) নামের এক প্রত্নতত্ত্ববিদ এই বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে ছিলেন অনেক দিন, তার স্ত্রীকে পত্র লিখে জানিয়েছিলেন- আমাজনের কিছু আদিবাসী গোত্র বিশেষ বিশেষ গাছের রস প্রক্রিয়াজাত করে তার সাহায্যে বিশালকায় পাথরখণ্ডকেও নরম করতে সক্ষম হয় অর্থাৎ পাথর পরিবহণ বা সেখান আঁকিবুকি করা অনেক সহজতর হয়ে ওঠে ( প্রফেসর শঙ্কুও এমন একটা ধারণা পোষণ করতেন বটে, যে আদি কিছু সভ্যতার প্রকৌশলীরা অল্প সময়ের জন্য কোন পাথরকে বিশেষ উপায়ে অতি হালকা করতে পারত) ! হ্যারিসনের পরের চিঠিতে জানা যায় তারা আমাজনের গভীরে প্রবেশ করবেন, যদিও স্থানীয়রা যেতে প্রবল ভাবে নিষেধ করছেন, কারণে সেখানে নরখাদকরা থাকে! সেটিই ছিল হ্যারিসনের শেষ চিঠি !!
এক বিশাল পড়ে থাকা পাথর দেখিয়ে গাইড ফেঁদে বসল আরেক গল্প, জানাল এই পাথরসহ বিশেষ কিছু পাথর নিয়ে অনেক ব্যতিক্রমী মতবাদ আছে, তারমধ্যে জনপ্রিয়তমটি হচ্ছে এই নির্মাণকলা এলিয়েনদের কাছ থেকে পাওয়া। পাথরটি দেখা যায় অর্ধেক অতি নিখুঁত ভাবে কাটা , এমন নিখুঁত ভাবে কাটার যন্ত্র কি ছিল সেই আমলে! তাহলে কি- অনেকেই ধরে নিলেন ভিনগ্রহবাসীদের লেজারগানই হতে পারে এর উত্তর!
ভ্রমণসঙ্গী মাইক্রোসফটের প্রকৌশলী ইসাইয়াস সেরণা মৃদু হেসে কেবল বলল- লেজার গান জিনিসটা কিন্তু এখনো কেবল কল্পকাহিনীতেই সীমাবদ্ধ, এর অস্তিত্বের প্রমাণ আজ পর্যন্ত পাওয়া যায় নি। আমাদের চেষ্টা করা উচিত গল্পগাঁথায় ভুলে না থেকে আসল শ্রমলব্ধ সত্যটি অন্বেষণের চেষ্টা করা।
স্থানীয় অধিবাসীদের চোখে পড়ল থেকে থেকে, কি যে রঙ্গিন তাদের পোশাক পরিচ্ছদ, বিশেষ করে মহিলা আর শিশুদের, মনে হয় মধ্য আমেরিকার মায়ানদের চেয়ে অনেক বেশী রঙ ঝলমলে ছিল ইনকা শহরের প্রাচীন বিকেলের বিলুপ্ত বাজারগুলি।
কিন্তু তাদের মুখে আজ হাসি নেই, ঔপনিবেশিক প্রভুরা ছলে বলে কৌশলে দখল করে নিয়েছে তাদের উর্বর জমি, প্রাচীন সংস্কৃতি, বিকশিত মনন। নিজে ভূমে পরবাসী বানিয়ে ছেড়েছে ইনকা বংশধরদের, সমস্ত গ্রাম-শহর লুট করে তাদের নির্বাসনে পাঠিয়েছে পাথুরে কাঁকরময় বন্ধুর জমিতে, সেই জমিতে আক্ষরিক অর্থেই রক্ত বিসর্জন দিয়ে যখন সুজলা সুফলা করেছে দক্ষ কৃষিবিদ ইনকারা, সেই জমি জবর দখল করে আবার তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে দুর্গমতর স্থানে। এই শঠতা, গুণ্ডামি, নোংরামি চলছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে, আজো এই অস্তিত্ব দুঃখজনক ভাবে অতি উজ্জল আন্দেজের বুকে।
এক জায়গায় দেখা গেল বিশেষ ধরনের দানব পাথরের স্তম্ভের সাথে, যদিও তা ভূমিতে শোয়ানো ছিল, এর নাম নর, যেহেতু এর কিছু অংশ বাহির হয়ে আছে, আর একটি পাথর আছে যার নাম নারী, যা এই নরের উপর স্থাপন করলে নর-নারী নিখুঁত ভাবে পরস্পরের সাথে মিলে গিয়ে একটি বিশালকায় খিলান হিসেবে কাজ করে, তাদের বন্ধ থাকে চির অটুট।
আরো উপরে উঠে গোটা শহরের চমৎকার আদিগন্তবিস্তৃত রূপ দেখা গেল, আন্দেজের উপত্যকার মাঝে ঘুমিয়ে আছে যেন ৫০০ বছর আগের এক জনপদ।
সেখান থেকে সামনের পাহাড়ে মনে হল প্রকৃতির নানা খেলায় তৈরি হয়েছে মানুষের মুখের মত এক আদল, সে এক ইনকাদের কাছে ছিল এক মহা শক্তিশালী দেবতা! এমনও হতে পারে এই পাথর দেবতার সন্ধান পেয়েই ইনকারা এই অঞ্চলে আদি বসত গড়েছিল, দেবতার ছত্রছায়ায় থাকার জন্য। ভিরাকোচান না টুনুপা নামে পরিচিত এই দেবতা ছিল আদি ঈশ্বর ভিরাকোচার বার্তাবাহক। উল্লেখ্য, ভিরাকোচা কেবল ইনকাদের নন, বরং ল্যাতিন আমেরিকার প্রাক কলম্বিয়ান অনেক সভ্যতার পুরাণেই সর্ব শক্তিমান ঈশ্বর হিসেবে পরিচিত।
সেই পাথুরে আদলের দিকে তাকিয়ে নিজের অজান্তেই হাসি চলে আসল, যে সর্বশক্তিমান সংগ্রামী মানুষ এমন বন্ধুর পরিবেশে সাফল্যের বান আনতে পারে সেই কিনা ঐ অথর্ব পাথর পূজা করত ! কিসের আশায়! তাদেরই না কি দোষ, তাও দেবতা চোখে সামনে ছিল, আমাদের আধুনিক বিশ্বে তো অদৃশ্য কল্পিত দেবতা নিয়ে সারাদিনই মারামারি, বোমাবাজি চলছে তো চলছেই। কতটাই বা সভ্য হয়েছি আমরা!
শহর শীর্ষ থেকে গ্রামবাসীদের গবাদিপশু রাখার বেশ নয়নমনোহর ব্যবস্থা দেখে ছোটখাট কলোসিয়াম বলেই ভ্রম হল।
অনেক সহযাত্রীই তখন অন্য পাহাড়ের গায়ে ঝুলে থাকা ইনকাদের সেই শস্য ভাণ্ডারের উদ্দেশ্যে পাহাড় ডিঙ্গোচ্ছে, কিন্তু আমাদের বেরসিক গাইড জানাল আমাদের সময় শেষ! মিনিট পনের পরেই বিখ্যাত ইনকা ট্রেন এসে থামবে, গন্তব্য সুদুর আল কালিয়ান্তেস, যেখান থেকে পরের দিন আমাদের মাচু পিচু যাবার কথা! টিকিটসহ অন্যান্য সবকিছুই বরাবরের মতই শেষ মুহূর্তে ব্যবস্থা করা হয়েছে, এখন কোন ভাবেই ট্রেন মিস করা চলবে না!
কাজেই ওয়্যানটাইটামবোতে অল্প কিছুক্ষণ থেকে জাদুময় মায়ানগরীকে বিদায় দিয়ে আবার যাত্রা পথে আমরা। মনে পড়ছে এই নগরীর পতনের কথা, দখলদার বর্বর স্প্যানিয়ার্ডদের কাছে রাজধানী কুজকোর পতন ঘটলে বিদ্রোহী ইনকা নেতা মানকো কাপাক এইখানেই অস্থায়ী রাজধানী নির্মাণ করেন, যদিও পরবর্তীতে প্রবল আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে পাহাড়ি রাজধানী ভিলকাবাম্বায় ঘাটি করতে বাধ্য হন। ১৫৪০ সালে পতন ঘটে এই বিস্ময়কর শহরের। ওয়্যানটাইটামবোর সেই রক্তময় ইতিহাসের কথা আরেকদিনের জন্য তোলা থাকল।।
মন্তব্য
হ। খাড়ান ভাত খাইয়া লই। পরে আপনের পোস্টে মন্তব্য করতাছি।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আসুম নাকি! লিখতে যেয়ে দুপুরে খাওয়া হয় নাইক্যা ভাল মত, এখন কফিই ভরসা!
facebook
আয়া পড়েন, সেইরকম খানাপিনা আছে। আর আইজকা তো কার্নিভালের একটা অফিসিয়াল দিন বালিকাদেরকে নিয়ে। পুরাই টেরম টেরম কাহিনি অবস্থা!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ঠিকানা ! আর না হয়লে ওয়েব ক্যাম!
facebook
আপনেও ভাত খাইতে গ্যাছেন?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আরে নাহ, কমেন্ট করার জন্য ইটা রাখি নাই। মাথায় মারার জন্য রাখছি। এই পোলার পোস্টে কি কমেন্ট করার আছে আর? এখন থাইকা তাই পোস্ট দেখলেই একটা করে ইটা মেরে যাবো।
আমি তো দড়ির অর্ডার দিছি। দ্যাশ থাইকা। এক নম্বর নাইলনের দড়ি। খাষ্টাঙ্গের পায়ার লগে তারে বাইন্ধা হেরপর থাইকা তাড়েকানু নামে ব্লগায়া ফাডায়ালামু।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ইটা না মাইরা পাথর মারেন না! তাহলেই এমন একটা শহর গড়ার চিন্তা ভাবনা করতে পারতাম! জীবিত অবস্থায়ই আপনাদের দুইজনের নামেই সড়ক থাকবে, চাইলেও আশ্রয়ও
facebook
অদ্ভুত সুন্দর । প্রথম ছবিটা দেখেই তো দম বন্ধ হয়ে এসেছিলো । সেই অন্ধ গায়কের প্রতি শ্রদ্ধা ।
অপরূপ জায়গা একটা।
facebook
সুপার লাইক
ডাকঘর | ছবিঘর
শুভেচ্ছা তাপস দা।
facebook
চমৎকার। টিনটিনের সূর্যদেবের বন্দীর কথা মনে পড়ছিল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমারও ! আসলে লিমাতে লম্বা ট্রানজিটের ফাঁকে ল্যাতিন আমেরিকায় টিনটিনের সবগুলো অ্যাডভেঞ্চার ঝালাই করেছিলাম !
facebook
ইনকারা আলু আবিষ্কার করেছে ! আমি কৃতজ্ঞ, আলু আমার প্রিয় কিনা অনেক । হ্যরিসন ফসেটের জন্য খারাপ লাগছে, বেচারা!! দেইখেন , আপনিও ঘুরতে ঘুরতে নরখাদকদের সামনে না পড়ে যান।
হ্যাঁ, আলু এর আগে বিশ্ব চিনত না কিন্তু। সেখানে অনেক অনেক প্রজাতির আলু হয়। অনেক বর্ণের, নানা আকৃতির।
ব্রিটিশরাও অনেক চেষ্টা করেছে এই ধরনের খাবার আবিস্কারের, কিন্তু তাদের দৌড় ছিল রুটিফল পর্যন্ত!
আমার চারপাশে তো সবসময় খাদকদেরই দেখি !
facebook
পাত্থর, খালি পাত্থর, ছবিতেও আর পোস্টেও, সেইরকম পাত্থর
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
কোমর পর্যন্ত গেড়ে নাকি এমনিই!
facebook
অণু ভাই, এরপর কই যাবেন? পৃথিবীতে আর কিছু তো বাকি রাখলেন না! শনি, রবি, সোম, মঙ্গলই কেবল বাকি থাকল।
লেখা-ছবি বরাবরের মতই (গুড়)
ইসরায়েল যাবার খায়েশ আছে, দেখি।
শুভেচ্ছা।
facebook
ভাল আছেনতো ! পায়ে ব্যাথা হয় নাইতো ! হাঁটাহাঁটি, ওঠা-নামাতো এ ক'দিনে কম করলেন না !
ভাল থাকবেন।
মন ভাল নেই ! এত দৌড় ঝাপের পর শীতের মধ্যে মহা বিরক্ত লাগছে।
বসন্তের জন্য অপেক্ষারত--
facebook
খুব ভালো লেগেসে । ওনু বাংলাডেসে কোবে াসবে।
এখনই বলতে পারছি না, জানাব।
facebook
এক নিশ্বাসে পড়ে ফেললাম আর চোখ বন্ধ করে আপনার অদ্ভুত সুন্দর বর্ণনায় চলে গেলাম ৪৫০-৫৫০ বছর আগের ইনকাদের সেই মায়াময় নগরে। আপনার অন্য লেখাগুলোর মতো এটাও দুর্দান্ত হয়েছে!!!
অনেক অনেক ধন্যবাদ। আরও লিখছি ইনকাদের অন্যান্য জনপদ নিয়ে।
facebook
অণুদার পোস্ট না পড়েই বলা যায় -অসাম!
এহ ! বললেই হপে !
facebook
নতুন মন্তব্য করুন